Sunday, April 15, 2018

কোটা আন্দোলনের থেকে বেশি জরুরী ছিলো সরকারি চাকুরীর পদ বাড়ানোর জন্য আন্দোলন করা

গত কয়েকদিন বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ কোটা পদ্ধতি তুলে দিতে বেশ আন্দোলন করেছে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে কোটা আন্দোলনের থেকে বেশি জরুরী ছিলো সরকারী চাকুরী পদ বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করা।
কারণ কোটার কারণে আর কয়টা পদ মুক্ত হয়েছে ? বছরে সর্বোচ্চ ১ হাজার ?
কিন্তু বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা সাড়ে ৪ কোটি ? তাদের কি হবে ?
তথ্য বলছে,
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি সংখ্যা = ২ কোটি ২২ লক্ষ, যা মোট জনংখ্যার ৭.৪%
পার্শ্ববর্তী ভারতে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারি সংখ্যা = ২.১৫ কোটি, যা তাদের মোট জনসংখ্যার ১.৯% (২০১১ সালের হিসেব)
পাকিস্তানের সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারি সংখ্যা = ২৮ লক্ষ, যা তাদের মোট জনসংখ্যার ১.৭% (২০০৮ সালের হিসেব)
অথচ বাংলাদেশে বতর্মানে সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারি সংখ্যা মাত্র ১৩ লক্ষ, যা মোট জনসংখ্যার = ০.৮%
বাংলাদেশে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারির যে দরকার নাই, সেটাও কিন্তু নয়। সরকারী অফিসে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম লোক দেখা যায়। এতে কাজে দীর্ঘ সূতিত্রায় পড়তে হয়, আর সেই সুযোগে ঘুষ গ্রহণ স্বাভাবিক হয়ে দাড়ায়। কোর্ট-কাচারিতে মামলার জট, পড়ে আছে লক্ষ লক্ষ মামলা । প্রয়োজনের তুলনায় ম্যাজিস্ট্রেট-জাস্টিস কম। ১০-১৫ বছরের পুরোনো মামলা ঝুলে আছে। কজলিস্টে মামলা তুলতে দিতে হচ্ছে ঘুষ।
যদি বাংলাদেশের জনসংখ্যার ২% এর জন্য সরকারী চাকুরীর সুযোগ সৃষ্টি করা যায় তবে আরো নতুন ১৯ লক্ষ লোক সরকারী চাকুরী লাভ করবে ।
তবে এখানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে, নতুন পদ সৃষ্টি করা তো অনেক পরের বিষয়, সরকারী চাকুরীতে এখনও প্রায় ৩ লক্ষ পদ খালি আছে, সেখানে লোক নেয়া হচ্ছে না (https://bit.ly/2gVGALr)। চাহিদা অনুযায়ী লোক নেয়া হতো, তবে এখনই ৩ লক্ষ লোক সরকারী চাকুরী পায়।
আমরা দেখি, প্রায় সরকারী চাকুরীদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু এই বেতন বৃদ্ধির থেকে বেশি জরুরী সরকারী চাকুরীর পদ সংখ্যা বৃদ্ধি করা। যদি অধিক সংখ্যক লোককে সরকারী চাকুরী দেয়া যায়, তবে দেশের বিরাট বেকার জনগোষ্ঠীর সুবিধা হয়। কারণ রাষ্ট্রের সবার আগে এগিয়ে আসা উচিত বেকারদের বেকারত্ব ঘুচাতে। আর তা হলে রাষ্ট্রীয় কাজেও আসে গতি।
বাংলাদেশ সম্প্রতি উন্নয়নশীল দেশের খাতায় পরীক্ষামূলক নাম লিখিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঝে মাঝেই বলে দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। কিন্তু যে দেশে সাড়ে ৪ কোটি শুধু শিক্ষিত বেকার সে দেশ উন্নয়নশীল দেশের খাতায় নাম লেখালেই কি আর না লেখালেই কি ?
স্বাধীনতার পর কবি রফিক আজাদ লিখেছিলো : “ভাত দে হারামজাদা নইলে মানচিত্র খাব”। বাংলাদেশ উন্নয়শীল দেশের খাতায় নাম লেখানোর পর দেশের সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষিত বেকারেরও নিশ্চয়ই সেই ‘উন্নয়ন’ শব্দটাকে চিবিয়ে খেতে ইচ্ছা করবে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment