Friday, April 6, 2018

“নিজের গোয়ায় এত গু, অপরে কয় থু থু” । হিন্দুরা নিজেদের পশ্চাতের ময়লাগুলো আগে পরিষ্কার করুন।

উগ্রহিন্দুদের নেতা রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের মৃত্যুর পর বাংলাদেশের উগ্রহিন্দু গোষ্ঠী বলতে শুরু করেছে, কথিত ‘লাভ জিহাদ’র কারণে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে। অবশ্য এর আগে তারা বলেছিলো, ইসলামী জঙ্গীরা নাকি রথীশকে গুম করেছে।
কিন্তু দৈনিক ইত্তেফাক (অনলাইন) পত্রিকার ৫ই এপ্রিল তারিখে যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি বের হয়ে আসে, তা হলো দীপার শুধু কামরুল মাস্টারের সাথেই অবৈধ সম্পর্ক ছিলো না, স্কুলের আরেক শিক্ষক মতিয়ার রহমান, রথিশের অফিস সহকারী মিলন মোহন্তসহ একাধিক পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিলো। এবং বিষয়গুলো যে লুকায়িত ছিলো তাও নয়। কামরুল মাস্টারের সাথে তার অবৈধ সম্পর্কের কথা সবাই জানতো। তথ্যসূত্র বলছে, স্বামীর সাথে বিয়ের সাথে সাথেই মনমালিন্য শুরু হয় দীপার।
যেহেতু, কামরুল মাস্টারের সাথে দীপার দীর্ঘদিনের অবৈধ সম্পর্কের কথা সবাই জানতো, তাই এটা ভাবা যেতেই পারে রথীশ নিজেও জানাতো তার স্ত্রীর অন্য পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে। আমার মনে আছে, অনেক দিন আগে উগ্রহিন্দু নেতা গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক নিজেই এক ফেসবুক লাইভে বলেছিলো- হিন্দুরা নিজেরাই নিজেদের স্ত্রীদেরকে পরপুরুষের সাথে সম্পর্ক বা পরকীয়া করতে দেয়। যেহেতু কামরুল মাস্টারের সাথে সম্পর্কটা ওপেন সিক্রেট ছিলো, তাই রথীশ বিষয়টি জানতো না, এটা হতে পারে না। আমার মতে, রথীশ যে পরকীয়ার বলী হয়েছে এটা কিন্তু বলা যাবে না, বরং পরকীয়া হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করেছে। বিরোধটা ছিলো স্কুল কমিটি নিয়ে, রশীথের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক থাকায় কামরুল হত্যার সুযোগটা বেশি পেয়েছে। এখানে কামরুল-দীপা সম্পর্কে বাধা হয়ে দাড়ানোর কারণে খুন হতে হয়েছে, বিষয়টা কিন্তু তা নয়।
এখানে প্রথম যে বিষয়টি বের হয়ে আসে, স্বামী রথীশের সাথে দীপা সাংসারিকভাবে সুখি ছিলো না। ধরে নিতে পারি, স্বামী সুখ বঞ্চিত হওয়াই দীপকে বহুগামী করে বা পরপুরুষের বিছানায় নিয়ে যায়। কিন্তু এত বড় মনোমালিন্য থাকার পরও দীপা কিন্তু স্বামীর সাথে ডিভোর্স নিতে পারেনি ? কারণ হিন্দু ধর্ম মতে ডিভোর্স নেই। হিন্দু ধর্মে ডিভোর্স থাকলে শুরুতেই রথীশের থেকে ডিভোর্স নিয়ে দীপা অন্য স্বামীর ঘর করে সুখি হতে পারতো, কিন্তু ধর্মের কারণে সে সুযোগটি পায়নি। একারণে দীপাও একাধিক পুরুষের বিছানায় গিয়েছে আবার রথীশও বিষয়টিতে মৌন হয়ে সম্মত্তি দিয়েছে।
শুধু রথীশের দোষ দিবো না, হিন্দু নারীদের কেন যেন খাই খাই ভাব দেখা যায়। আমি একাধিক হিন্দু নারীকে চিনি, যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে দীপার মত চাকুরী করছে। তারা বিবাহিতা হওয়ার সত্ত্বেও একাধিক পুরুষ (হিন্দু-মুসলিম) এর সাথে বহুগামী সম্পর্ক রক্ষা করছে। হিন্দু নারীরা কেন এতটা বহুগামী হয় তা আমার বুঝে না। আপনারা ভারতীয় মুভি-সিরিয়ালগুলো দেখবেন, হিন্দু গৃহবধুরা যেখানে সুযোগ পায়, সেখানেই সুযোগ নেয়। এই রথীশের স্ত্রী দীপা, সে কিন্তু তার স্বামীর অফিসের পিওনের সাথেও অবৈধ সম্পকে লিপ্ত ছিলো! হিন্দুরা যদি তাদের নারীদের মধ্যে বহুগামীতা রোধ না করতে পারে, এই রোগ তাদের পুরো সমাজকে শেষ করে দেবে, এটা বলা যায়।
এবার শেষে আসি, দীপার প্রেমিক কামরুল মাস্টারের কথায়। হিন্দু নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক সে তো অনেক হিন্দুর কাছে পাক্কা মুমীনের সার্টিফিকেট পেয়ে গেছে। কিন্তু ৫ই এপ্রিলের দৈনিক ইত্তেফাক (অনলাইন) পত্রিকা বলছে, কামরুল মাস্টার ছাত্র জীবনে জাসদ ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলো। তারমানে দাড়াচ্ছে, কামরুল মাস্টারটা হচ্ছে সে দলের লোক যারা অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে সারাদিন ইসলামের বিরুদ্ধে বলে এবং হিন্দুত্ববাদ প্রচার করে। মুসলমানরা হয়ত এদের নাস্তিক বলে, কিন্তু বাস্তবে এরা যে ভেতর ভেতর হিন্দু নারীর পাণি খেয়ে মাতাল হয়ে আছে, সেটা তো সাধারণ মানুষ বুঝে না। নয়ত কি এমন স্বার্থ থাকতে পারে, এইসব জাসদ নাস্তিকদের, যারা ইসলামের বিরুদ্ধে গিয়ে হিন্দুদের পক্ষে বলে সারা দিন, পূজা মণ্ডপে গিয়ে নাচানাচি করবে? আসলে এদের বিছানায় দিপার মত হিন্দু নারীরা নিয়মিত যাতায়ত করে, অথবা রথীশের মত পুরুষরা তাদের বউ-মেয়েকে পাঠায়, যেন মুসলমান হয়েও কামরুলের মত লোকরা হিন্দুর পক্ষে কথা বলে আর ইসলামের বিরুদ্ধে বলে।
তাই আমি হিন্দুদেরকে বলবো, দয়া করে আপনারা মুসলমানের দোষ খোজা বাদ দেন। নিখোজ হওয়ার সাথে সাথে বললেন- জঙ্গীরা অপহরণ করছে। আর মরার পর বলতেছেন লাভ জিহাদ। আরে ভাই- গ্রামে একটা প্রবাদ আছে, “নিজের গোয়ায় এত গু, অপরে কয় থু থু” । নিজের পশ্চাতের ময়লাগুলো আগে পরিষ্কার করেন। হিন্দু পুরুষদের শারীরিক সক্ষমতা বাড়ান, হিন্দু বিবাহিতা নারীদের খাই খাই স্বভাব বন্ধ করার উদ্যোগ নেন, হিন্দু পুরুষদের নিজের স্ত্রীকে অন্যের বিছানায় পাঠানোর (গোবিন্দ প্রামাণিক লাইভে এসে বলেছিলো) স্বভাবের বিরুদ্ধে বলুন। নিজের পশ্চাতের ময়লা পরিষ্কার না করে খালি অপরকে দোষ দিতে থাকলে, নিজের সমস্যা কখনই দূর হবে না।
দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট: https://bit.ly/2IxeVwl, আর্কাইভ : http://archive.is/fpcX4

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment