আসলে যারা বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করে, তারা ভৌগলিক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান বা প্রাকৃতিক গুরুত্বপূণ সম্পদগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে অন্যদের নিজের মুখাপেক্ষী করে রাখতে চায়। বর্তমান সময়ে এই কৌশল প্রয়োগই হলো আসল যুদ্ধ।
আমরা পুরাতন অনেক যুদ্ধের ইতিহাস পড়তে গিয়ে দেখি, যুদ্ধের ফিল্ডে প্রত্যেক দল চায় পানির উৎসকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে। কারণ তারা জানে, যুদ্ধের ভেতর পানির উৎস যার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, যুদ্ধের ফলাফল অটোমেটিক তার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
বর্তমান আন্তর্জাতিক ক্ষমতা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করে ‘তেল’। ‘তেল’ এর উৎস যার নিয়ন্ত্রণে ক্ষমতাও তার নিয়ন্ত্রণে। অনেকেই আশঙ্কা করে, আগামীতে তেল এর স্থান দখল করবে “সুপেয় পানি”। অর্থাৎ সুপেয় পানির উৎস যার নিয়ন্ত্রণে, সেই বিশ্বের ক্ষমতার মালিক। আর সেটাকেই বলে “পানি যুদ্ধ”।
এই তত্ত্বটা কিন্তু ইসরাইল অনেক আগেই দেখিয়েছে। ৬৭’র যুদ্ধে জর্ডান নদীর পানির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পুরো আরবকে হাতের মুঠোয় নিয়েছে ইহুদীবাদী রাষ্ট্রটি। কেউ তোড়িবেড়ি করলেই ভয় দেখায়- তোমাকে শুকিয়ে মারা হবে। (https://bit.ly/2J7ky4B,https://bit.ly/2Ht7bOX)
লিবিয়ার গাদ্দাফির পতনের যে কয়টি কারণ হিসেবে দেখা হয়, তার মধ্যে অন্যতম ছিলো গাদ্দাফির গ্রেট ম্যান মেইড রিভার প্রজেক্ট (https://bit.ly/1LRVTxf) । এর দ্বারা সুপেয় পানির জন্য ঐ অঞ্চলে লিবিয়া আলাদা শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতো। ২০১১ সালে যুদ্ধের সময় ন্যাটো বাহিনী লিবিয়ার ওয়াটার ইনফ্রাকচারগুলো ধ্বংস করে দেয়। (https://bit.ly/2qGMoxP)
বাংলাদেশের জন্য আশঙ্কা কি ?
বাংলাদেশের জন্য আশঙ্কা হচ্ছে, খুব শিঘ্রই সুপেয় পানি নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হতে পারে, অথবা ইতিমধ্যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে, যা এখনো জনসাধানের নজরে আসে নাই। বিশেষ করে, ইহুদীসংঘ বা জাতিসংঘ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ডেকে নিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নামক ১৭টি বিষয়ে চুক্তি সই করাইছে। এই চুক্তির ৬ নম্বর হলো- “সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ... সবার জন্য পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের সহজপ্রাপ্যতা ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।” (https://bit.ly/2GT4xiP )
মনে রাখবেন, ওরা যেটা বলে, সেটার উল্টা করাই ওদের কাজ। বরং এ চূক্তির দ্বারা বোঝা গেলো বাংলাদেশের খুব শিঘ্রই পানি নিয়ে তারা ষড়যন্ত্র করতে পারে।
সুপেয় পানি কিভাবে আটকাবে ?
আমার ধারণা “ভূ-গর্ভস্থ পানির অভাব”, “পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর” ইত্যাদি মিথ ছড়িয়ে তারা ভূ-গর্ভস্থ পানি তুলতে দিবে না বা আটকে রাখবে। তারা বলবে উপরের পানি ব্যবহার করো, ভূ-গর্ভস্থ পানি না। কিন্তু উপরের পানিগুলো তো দূষিত। তখন তারা তাদের কাছ থেকে প্রযুক্তি কিনতে বলবে। যেমন: ঢাকা ওয়াসা প্ল্যান করেছে ২০২১ সালের মধ্যে তারা উপরের পানি দিয়ে মোট চাহিদার ৭০% মেটাবে, অর্থাৎ ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাবে। এছাড়া ‘কৃষিকাজে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১৮’ একটি নতুন আইন পাশ করা হয়েছে, যা দিয়ে ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহারে বিধি নিষেধ দেয়া হয়েছে। (https://bit.ly/2EW5gx3)
ভূ-গর্ভস্থ পানি কি আসলেই শেষ হয় ?
ভূগর্ভের পানির স্তর নেমে যাচ্ছে, এটা একটা মিথ। এলাকাভেদে একেক এলাকায় পানির স্তর একের রকম। ঢাকায় উন্মুক্ত মাটি না থাকায় পানির স্তর একটু নিচে থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু অন্য এলাকা (যেমন উত্তরবঙ্গে) কয়েক হাত নিচেই পানির স্তর পাওয়া যায়। তবে যেটাই হোক, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত থাকায়, পানির স্তর নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ দেখি না। যারা দুশ্চিন্তাগুলো তৈরী করছে, তাদের এসব মিথ তৈরীর পেছনে কোন বিশেষ উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা উচিত।
সবার শেষে একটা কথা বলবো, গত কয়েকদিন আগে সাভার ও মানিকগঞ্জে মাটির নিচে দুটো সুপেয় পানির খনি পাওয়া গেছে। হিমালয় থেকে নেমে আসা সেই খনিতে যতটুকু পানি আছে তা দিয়ে ঢাকাবাসীর ৪০ বছরের পানির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। এবং যেহেতু প্রতিনিয়ত সেই খনি পরিপূর্ণ হচ্ছে তাই সেটা ফুরানোর সম্ভবনা নাই। (https://bit.ly/2JUiQor)
তারমানে বাংলাদেশের কাছে এতটুকু সম্পদ আছে, যার দরুণ তাদের পানির ঘাটতি হওয়ার সম্ভব নাই। কিন্তু কথা হলো বাংলাদেশীদের তো সচেতনতা নাই। বাংলাদেশের সম্পদগুলো নিয়ে যদি সাধারণ জনগণ সচেতন ও সজাগ না থাকে তবে গ্যাস সম্পদের মত পানি সম্পদও হাত ছাড়া হতে পারে। তখন গ্যাসের মত পানির উপরে ভাসলেও সাধারণ জনগণ পানি পাবে না, কিনতে হবে মোটা টাকা দিয়ে। তাই এখন থেকেই পানি নিয়ে সাবধান।
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/ noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/ Noyon-Chatterjee-6-20264727 0140320/)
-------------------------- -------------------------- --------------------------------------------
(https://www.facebook.com/
--------------------------
0 comments:
Post a Comment