প্রথমত, একাত্তর টিভির টকশোতে বলা হয়েছে, জাতীয় সঙ্গীতের সাথে ‘আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন’। এখানে একটি বিষয় নিশ্চিত হওয়া দরকার ‘আমাদের’ বলতে একাত্তর টিভির আলোচকরা কাদের বুঝিয়েছেন ? কারণ জাতীয় সঙ্গীতের মূল থিম হলো বঙ্গভঙ্গ বাতিল বা দুই বাংলা এক হওয়ার থিউরী। বছর খানেক আগে কলকাতার অভিনেতা জিৎ বাংলাদেশ গিয়ে বলেছিলো, “দাও দুই বাংলা এক করে দাও”। কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছিলো,“২০ বছরের মধ্যে গোটা বাংলা এক হয়ে যাবে।” তাহলে আজকে যারা বলছে, এই গান তাদের অস্তিত্ব, তাহলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে, এটা কাদের অস্তিত্ব ? যারা চায় আবার দুই বাংলা এক হয়ে যাক ?
দ্বিতীয়ত, বলা হচ্ছে, “সংবিধানে আছে, জাতীয় সঙ্গীতের কথা।”
সংবিধান কিন্তু অপরিবর্তনীয় নয়। এরই মধ্যে সংবিধান ১৬ বার সংশোধন হয়েছে। সংবিধান পরিবর্তন করে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করলে দেশের উপকার বৈ ক্ষতি হবে না। জার্মানি, ইরাক, সুইজারল্যান্ড, নেপাল, রাশিয়া, নেদারল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা তাদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করেছে। জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করায় এ জাতিগুলোর অস্তিত্ব নষ্ট হয় যায়নি. কিংবা পরিবর্তনকারীরা দেশদ্রোহীও হয়ে যায়নি। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ ভারতের জাতীয় কবি। সেই জাতীয় কবির গান বানানো জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে খোদ ভারতেই বিতর্ক উঠেছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি বলেছে, রবীন্দ্রনাথ তাদের জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে সম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকারের প্রশংসা করেছে। তাই সেটা সংশোধণ করতে হবে (https://bit.ly/2uqxPD3)। ভারতে তাদের জাতীয় কবি রবীন্দ্রনাথ ও তার লেখা জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে যদি বির্তক উঠতে পারে, তবে বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে কথা হলে দেশদ্রোহী হযে যাবে এটা কেমন কথা ?
সংবিধান কিন্তু অপরিবর্তনীয় নয়। এরই মধ্যে সংবিধান ১৬ বার সংশোধন হয়েছে। সংবিধান পরিবর্তন করে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করলে দেশের উপকার বৈ ক্ষতি হবে না। জার্মানি, ইরাক, সুইজারল্যান্ড, নেপাল, রাশিয়া, নেদারল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা তাদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করেছে। জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করায় এ জাতিগুলোর অস্তিত্ব নষ্ট হয় যায়নি. কিংবা পরিবর্তনকারীরা দেশদ্রোহীও হয়ে যায়নি। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ ভারতের জাতীয় কবি। সেই জাতীয় কবির গান বানানো জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে খোদ ভারতেই বিতর্ক উঠেছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি বলেছে, রবীন্দ্রনাথ তাদের জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে সম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকারের প্রশংসা করেছে। তাই সেটা সংশোধণ করতে হবে (https://bit.ly/2uqxPD3)। ভারতে তাদের জাতীয় কবি রবীন্দ্রনাথ ও তার লেখা জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে যদি বির্তক উঠতে পারে, তবে বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে কথা হলে দেশদ্রোহী হযে যাবে এটা কেমন কথা ?
তৃতীয়ত, জাতীয় সঙ্গীতের উদ্দেশ্য কি ? এবং বর্তমান জাতীয় সঙ্গীত তার উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারছে কি না, সেটা যাচাই করা জরুরী।
জাতীয় সঙ্গীতের মূল উদ্দেশ্য একটা জাতিকে একতাবদ্ধ করা। কিন্তু বর্তমান জাতীয় সঙ্গীত সে উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারছে কি ? কখনই নয়। বর্তমান জাতীয় সঙ্গীতের কথাগুলো বাংলাদেশের সিংহভাগ ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায়, সেটা তারা মেনে নিতে পারছে না। ফলে জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে বির্তক ও জাতির মধ্যে অন্তঃদ্বন্দ্ব তৈরী হচ্ছে। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত সে ক্ষেত্রে জাতিকে একতাবদ্ধ করা তো দূরের থাক, উল্টো পুরো জাতির মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি তৈরী করেছে। যে জাতীয় সঙ্গীত তার মূল উদ্দেশ্য সার্ভ করে না বরং উদ্দেশ্যের বিপরীত কাজ করে সেই জাতীয় সঙ্গীত দ্রুত পরিবর্তন করাই জাতীর জন্য মঙ্গল বলে মনে হয়।
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/ noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/ Noyon-Chatterjee-6-20264727 0140320/)
-------------------------- -------------------------- --------------------------------------------
(https://www.facebook.com/
--------------------------
0 comments:
Post a Comment