Friday, March 9, 2018

যারা বলে “আমি শরীর দেখাবোই, তুমি দেখবা না”- তারা মূলত বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে চায়।


ফেসবুকে এই মেয়ের ভিডিওটা দেখলাম-

মেয়েটাকে রাস্তায় কিছু ছেলে হ্যারাস করছে করেছে (http://bit.ly/2oW2GCh)। মেয়েটার কথাগুলো শুনছিলাম। সত্যিই খুব খারাপ লাগছিলো। এ ধরনের নারী নিপীড়ন আমি সহ্য করতে পারি না। চিন্তা করছিলাম প্রতিবাদ করবো। কিন্তু সমস্যা হলো, মেয়েটার পুরো ভিডিওটা দেখার পর মেয়েটির নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ তৈরী হলো। 

মানে আমি বলতে চাইছি, একটা সাধারণ মেয়ে রাস্তায় নিপীড়িত হইছে, এরপর ফেসবুকে প্রতিবাদ করছে, এটা এক কথা। কিন্তু মেয়েটার পুরা কথা শুনে মনে হইলো, সে আসলে নারী নিপীড়ন বন্ধ করতে চায় না, সে চায় তার নিজস্ব থিউরী বাস্তবায়ন করতে। এবং সে জন্যই সে ভিডিওটা বানাইছে।

আসলে এখানে সাইকোলোজির অনেক থিউরী আছে। ধরুন, সমাজে কোন ঘটনা ঘটলো। প্রত্যেক ঘটনার বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। আপনি করলেন কি, ঐ প্রতিক্রিয়ার বিপরীতে নিজের পছন্দমত থিউরী বসায় দিলেন। অর্থাৎ প্রতিক্রিয়াকে কাজে লাগায় নিজস্ব থিউরী স্ট্যাবলিশ করা। এ ভিডিওটতে মেয়েটা এই কাজটাই করছে বা তাকে দিয়ে কেউ করাইছে।

সে যে থিউরীটা স্ট্যাবলিশ করতে চাইছে, সেটা সিআইএপন্থী নারীবাদীদের অনেক পুরাতন থিউরী-
“নারীরা যেমন ইচ্ছা তেমন পোষাক পরবে, কেউ কিছু বলতে বা বাধা দিতে পারবে না।”
এই থিউরীটা সিআইএপন্থী নারীবাদীরা বহু আগে থেকে বিভিন্ন রং বদলায় প্রচার করতো। যেমন এ থিউরীর আরেকটা রূপ- “ধর্ষণের জন্য দায়ী নারীর পোষাক না, পুরুষের মানসিকতা দায়ী।” অর্থাৎ ধর্ষণ ঘটনাগুলোকে পূজি করে তারা মেয়েদের বল্গাহারা হওয়ার উপদেশ দিতো।

আসলে এ থিউরীটা গোজামিল থিউরী, বাস্তবতাকে অস্বীকার করার থিউরী। সৃষ্টিগতভাবে নারী-পুরুষ পরস্পর পরষ্পর দ্বারা আকৃষ্ট হয়। নারীর শরীর দেখে পুরুষ আকৃষ্ট হয়, আবার পুরুষের শরীর দেখে নারী আকৃষ্ট হয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক তৈরী হয় একই আকর্ষণেরই দ্বারা। এবং এই আকর্ষণ থেকে সকল প্রাণী বংশ বৃদ্ধি করে। তবে স্বামী-স্ত্রীর মত বৈধ সম্পর্ক না হলে, এই আকৃষ্ট হওয়ার পর কেউ আবেগ সংবরণ করতে পারে, কেউ পারে না। যারা এই আবেগ সংবরণ করতে পারে না, তাদের আমরা উচ্ছৃঙ্খল বলি, বখাটে বলি, ইভটিজার বলি। আমি আমার ভার্সিটি লাইফে এমন নারীও দেখছি, যারা সুন্দর পুরুষ দেখলে সেক্স করার অফার পর্যন্ত দিয়ে বসতো। তারমানে নারী সমাজেও এমন নারী আছে। তবে নারীরা সম্ভবত নিজেদের আবেগ যতটুকু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, পুরুষরা ততটা পারে না। এ কারণে সমাজে (উচ্ছৃঙ্খল) পুরুষদের আবেগ বেশি দৃশ্যমান হয়, নারীরটা খুব দেখা যায় না (তবে বান্ধবীরা গোপন কথা সব জানে)।

এখন কেউ যদি বলে, “আমি শরীর দেখাবোই, তুমি দেখবা না”- আমার মনে হয় সে বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে চায়। নারী-পুরুষের চিরাচরিত আকর্ষনবোধকে অস্বীকার করতে চায়। সত্যকে ভুলে সবাইকে গোয়েবলস থিউরী দিয়ে মিথ্যা শেখাতে চায়। ইমোশন তৈরী করে কনসাস মাইন্ডকে ধোকা দিয়ে সাব-কনসাস মাইন্ডে তাদের বানানো থিউরী প্রবেশ করাতে চায়।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, তাদের থিউরী শুনলে সমাজে নারী নির্যাতন কমবে না, বরং আরো বাড়বে। পৃথিবীতে ধর্ষণে শীর্ষে অবস্থান করা ১০টি দেশের তালিকায় ১টিও মুসলিম দেশ নাই। এ থেকে প্রমাণিত হয় তাদের থিউরী আসলে ভুল। তাদের থিউরী শুনলে সামাজিক বাধন নষ্ট হবে, অরাজকতা তৈরী হবে, আপাতত তাদের উপরওয়ালাদের উদ্দেশ্য সেটাই।

তবে নারীবাদীদের এই অংশটা যে নিরপেক্ষ নয়, তার আরেকটা প্রমাণ আমার কাছে। দেখবেন, তারা “নারীকে খাদ্য ভাববেন না”- এই টাইপের কথা প্রায় প্রচার করে, কিন্তু কর্পোরেটরা যে নারীকে খাদ্য বানিয়ে তাদের পন্য বিক্রি করছে সেটার বিরোধীতা কিন্তু তারা করে না। তারা কখনই বলে না, “এ ধরনের বিজ্ঞাপন-নাটক-মুভি-পর্নেো সমাজে নারী নির্যাতন বৃদ্ধি করছে, উস্কে দিচ্ছে, তাই এগুলো বন্ধ করুন।”
তাদের এ চুপ থাকার কারণ- নারীবাদীরা উপরে গিয়ে মিলেছে সিআইএ’র সাথে, আর সেই সিআইএ’কে উপর থেকে পলিসি দেয় ইহুদীবাদী কর্পোরেটরা। নারীবাদীরা যদি সত্যিই নারীদের ভালো চাইতো- তবে তারা আগে বিজ্ঞাপন, মুভি, পর্নোমুভি, সিরিয়ালে নারীদের পন্য বানানোর বিরোধীতা করতো। তারা এগুলো বিরোধীতা না করে প্রমাণ করেছে, আসলে রসুনের গোড়াগুলো সব এক।

সবার শেষে আবার বলবো-
আমি সমাজে নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে রাজি, কি করা যায় সেটা নিয়ে আসুন চিন্তা করি। কিন্তু কারো বিশেষ এজেন্ডার ফাঁদে দয়া করে পা দেবেন না।

পড়তে পারেন: নারীবাদ সিআইএ’র প্রজেক্ট :http://bit.ly/2uP0hx3


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment