Thursday, March 8, 2018

কর্পোটোক্রেসির “মূল তত্ত্বটা কি ?”


আমি গত কয়েকদিন যাবত কর্পোরেটোক্রেসি নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি। অনেকেই জানতে চেয়েছেন, এ ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসার উপায় কি? সমাধান জানতে হলে আগে আপনাকে বুঝতে হবে, কর্পোটোক্রেসির “মূল তত্ত্বটা কি ?”
কর্পোরেটোক্রেসির মূল তত্ত্ব হচ্ছে-
ইহুদীবাদী কর্পোরেটরা আপনাকে উৎপাদক হতে দেবে না। তারা হবে উৎপাদক। তাদের উৎপাদন সিস্টেমে আপনি হবেন কর্মচারি এবং তাদের উৎপাদন গ্রহিতা।
আরো সহজভাষায় যদি বলি-
তারা হবে ব্যবসায়ী, আর আপনি হবেন চাকুরীজীবি। আপনি সারাদিন তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে যে টাকা ইনকাম করবেন, সেটা দিয়ে তাদের পন্য কিনে ঘরে আসবেন।
বর্তমানে আপনি যদি ইহুদীবাদী কর্পোরেটোক্রেসির পতন ঘটাতে চান, তবে ব্যক্তিগত থেকে সমষ্টিগত সকল পর্যায়ে তাদের সিস্টেমের ঠিক উল্টা কাজ করতে হবে। মানে আপনি চাকুরী করবেন না, আপনি ব্যবসা করবেন। অর্থাৎ উৎপাদক হবেন।
এ ভিডিওটা আাপনাদের সাথে শেয়ার করলাম, কারণ এ ভিডিওতে একটা গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ আছে। বাংলাদেশের এক বিএসসি-অনার্স পাশ করা যুবক মাঠে চাষ করে ২ বিঘা জমিতে ৭৫ দিনে ৪ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। জমি তার নিজস্ব ছিলো না, আরেকজনের জমিতে চাষ করে তার এই লাভ।
বাংলাদেশে এখন এমন অবস্থা, কোটি কোটি শিক্ষিত যুবক ঘুড়ছে চাকুরীর আসায়। চাকুরী খুজতে খুজতে জুতার তলা ক্ষয় করে ফেলছে। আমি এমন পরিবারকে চিনি, যাদের গ্রামে ১০-১২ বিঘা জমি আছে, কিন্তু চাষ করার লোক নাই। ঐ পরিবারের ছেলে অনার্স পাশ করে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে ঢাকায় ঘুরছে চাকুরীর আসায়। আপনারা হয়ত জানেন, বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ে নতুন একটি সাবজেক্ট আছে “ক্যারিয়ার শিক্ষা”। একটি ছেলেকে ছোট বেলা থেকে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে শার্ট-প্যান্ট ইন করে, গলায় টাই পরে, হাতে ব্যাগ নিয়ে কিভাবে কর্পোরেটদের দাস হতে হবে, কিভাবে বসের মন যুগিয়ে চলতে হবে। কিভাবে ‘ইয়েস স্যার’ ‘ইয়েস স্যার’ বলতে হবে। অপরদিকে শিক্ষিত শ্রেণীকে কৃষিতে করা হচ্ছে নিরুৎসাহিত। বলা হচ্ছে কৃষক মানে ছোটলোক।
আপনারা এ লিঙ্কে যেতে পারেন (https://www.science.co.il/agriculture/Companies.php)। এ লিঙ্কে গেলে পাবেন ইসরাইলি বিভিন্ন কোম্পানি নাম, যারা বিশ্বব্যাপী (বিশেষ করে ইউরোপ ও মিডল ইস্ট) কৃষি নিয়ে কাজ করে। বলাবাহুল্য ইসরাইল একটি ছোট একটা দেশ, আয়তন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের সমান, জনসংখ্যাও খুব কম। ঐ দেশ অস্ত্র রফতানির মত লাভজনক ব্যবসাও করে। কিন্তু ওগুলো বাদ দিয়ে তারা এত এত আন্তর্জাতিক মানের কোম্পানি খুলে কৃষির দিকে ঝুকলো কেন ?
উত্তর সোজা- ওরা আসল সিস্টেমরা বুঝে। ওরা জানে কৃষির মধ্যে রয়ে গেছে মৌলিক চাহিদার সবগুলো উৎস। তাই ওরা মৌলিকতা ধরে রেখেছে। এজন্যই ইহুদরা সারা বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে এবং বাকিরা তাদের দাস হয়েছে।
হয়ত বলবেন, “বাংলাদেশে কৃষিতে অনেক প্রতিবন্ধকতা। লাভ নেই, ক্ষতি আছে, তাই সবাই চাকুরী বা বিদেশে পাড়িতে ঝুকছে।”
মানছি। কিন্তু প্রতিবন্ধকতাগুলো কি ? আপনারা কি সেগুলো নিয়ে কখনও প্রতিবাদ করেছেন ?
চাকুরী নির্ভর কত প্রতিবাদ হয়েছে, কিন্তু কৃষি নিয়ে ? হয়নি। এবং বাংলাদেশের শিক্ষিত যুবক জানেও না, কি করলে সে সমস্যাগুলো সমাধান পাওয়া যায়।
যেমন -
১) প্রপাগান্ডা আছে, “বাংলাদেশে কৃষি জমি কম।” এটা একদম ভুয়া কথা। গ্রাম অঞ্চলে গেলে দেখা যায়, বহু জমি অনাবাদী/সঠিক উপায়ে চাষাবাদের অভাবে পড়ে আছে।
২) ফসল উঠলে দাম না পেলে লস খেতে হয়। এর সমাধান হলো, দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করার সুব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশে ৫ টাকা কেজি আলু, রাশিয়াতে বিক্রি হয় ১ ডলার বা ৮০ টাকায়। শুধু কৃষজপন্য রফতানি করে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ধনী ও সাবলম্বী রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে। তখন একদিকে যেমন- বাংলাদেশ থেকে দূর হবে বেকারত্ব নামক অভিশাপ, অন্যদিকে ইহুদীবাদী কর্পোরেটদের বিরোধীতা করা হবে।
৩) দেশজুড়ে প্রচুর পরিমাণে কোল্ড স্টোরেজ তৈরীর বিকল্প নাই।
৪) বিদেশে রফতানি করার জন্য যত কিছু দরকার তার সবটার জন্য চাপ দিতে হবে সরকারকে। মনে রাখবেন কর্পোরেটোক্রেসির সিস্টেমে কর্পোরেটদের মূল হাতিয়ার হচ্ছে সরকারগুলো। সরকারের মাধ্যমে তারা তাদের পলিসি বাস্তবায়ন করে। এজন্য সরকার তাদের পলিসি অনুসারে দেশের উৎপাদনশীল খাতগুলো বন্ধ করতে চাইবে, নিরুৎসাহিত করবে। এটা তারা করতে পারে- কারণ জনগণ সচেতন নয়। সবাই যদি বিষয়গুলো বুঝতো এবং একযোগে প্রতিবাদ করতো, তবে সরকার সুযোগ পেতো না এবং ইহুদীবাদীদের ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব ছিলো।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment