Thursday, March 15, 2018

অজ্ঞানেরাই সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞানের বিরোধিতা করে। এখন জিএমও নিয়ে কথা তুলছে : মতিয়া চৌধুরী


কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছে, “অজ্ঞানেরাই সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞানের বিরোধিতা করে। এখন ‘জিএমও’ নিয়ে কথা তুলছে”। গত রবিবার (১১মার্চ) রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে জাতীয় কৃষি নীতি-২০১৮ এর খসড়ার ওপর পর্যালোচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, “অজ্ঞানেরাই সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞানের বিরোধিতা করে। একসময় ওরা নয়া কৃষির নামে হাইব্রিডের বিরোধিতা করেছিল। এখন জিএমও নিয়ে কথা তুলছে। ওরা মনে করে আমরা দেশকে ভালবাসিনা। ওরাই দেশকে ভালবাসে। মার থেকে মাসির দরদ বেশি হলে তাকে ডাইনি বলে।”

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, দেশে কৃষির কোনো কোনো নীতি ছিলনা। শেখ হাসিনার সরকারই ক্ষমতায় এসে জাতীয় কৃষিনীতি তৈরী করে। ২০১৩ সালের জাতীয় কৃষিনীতিকে ঝেড়েপুছে নতুনভাবে জাতীয় কৃষিনীতি-২০১৮ চুড়ান্ত করা হচ্ছে। কর্মশালাসহ বিভিন্ন ভাবে মতামত নেয়া ছাড়াও জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৮ এর খসড়া ওয়েবসাইডে দেয়া হয়েছে। দেশ বিদেশ থেকে যে কেউ মতামত পাঠাতে পারবেন। (http://bit.ly/2p6P1s1)

কৃষি মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে এ লিঙ্কে (http://moa.gov.bd/site/view/policies) গিয়ে জাতীয় কৃষিনীতি – ২০১৮ এর খসড়া ডাউনলোড করা যাচ্ছে। এই খসড়ায় ৯ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘জীব প্রযুক্তি গবেষণা’ অংশে বলা আছে- • “জিএম প্রযুক্তি উন্নয়ন সহায়ক গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণে বিজ্ঞানীদের উৎসাহিত করা হবে”

অর্থাৎ ‘জিএমও’ শব্দখানা এবার নতুন কৃষিনীতিতে সরকার প্রবেশ করাচ্ছে। উল্লেখ্য কৃষিনীতি-২০১৩ তে ‘জিএমও’ প্রযুক্তি নিয়ে কোন কথা ছিলো না।

আমি আপনাদেরকে অনেকদিন ধরে বলছি, সরকার অনেক কিছু বিক্রির পর এবার দেশের কৃষি সেক্টর বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছে, এবার কৃষিনীতিতে ‘জিএমও’ প্রযুক্তির কথা ঢুকিয়ে সেটা নিশ্চিত হয়েছে। এবং এ বিক্রির জন্য সরকার টার্গেট নিয়েছে ইমোশনকে। আপনারা মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্যটা লক্ষ্য করুন। তিনি বলছেন- “ওরা মনে করে আমরা দেশকে ভালবাসিনা। ওরাই দেশকে ভালবাসে। মার থেকে মাসির দরদ বেশি হলে তাকে ডাইনি বলে।” অর্থাৎ ‘ভালোবাসা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আপনাদের মনে থাকার কথা, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে যখন তুমুল বিরোধীতা ও প্রতিবাদ হচ্ছিলো, তখন শেখ হাসিনা বলেছিলো, “আপনারা আমার ওপর বিশ্বাস রাখুন। আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। আমি এমন কোনো কাজ আগেও করিনি, ভবিষ্যতেও করব না যা দেশের এবং দেশের মানুষের সামান্যতম ক্ষতি করে।”
(http://bit.ly/2pah09w)

অর্থাৎ ইমোশনকে পূজি করে দেশ বিক্রি। তবে দেশের জনগণের উচিত ক্রিকেট-ফুটবল ফেলে কিছুটা হলেও সচেতন হওয়া। কারণ এবার সম্রাজ্যবাদীরা দেশীয় দালালদের সহযোগীতায় হাত দিয়েছে খাবারে। দেখা যাবে, তাদের খাবার খেয়ে কয়েকদিনের মধ্যে বাংলাদেশের জনগণ আফ্রিকার জনগোষ্ঠীর মত হাড্ডিসার হয়ে গেছে, তখন খুব সহজেই বিনাবাধায় তারা বাংলাদেশের সম্পদ লুটে নিয়ে যেতে পারবে।

বি:দ্র: ‘জিএমও’ নিয়ে আলোচনা, লেখালেখি, গণসচেতনা ও প্রতিবাদ এখন সবচেয়ে বেশি দরকার। বাংলাদেশের সকল জনগণকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment