Sunday, February 4, 2018

হঠাৎ কেন এত বেপরোয়া হিজরা জনগোষ্ঠী ?


গত কয়েকদিন আগে খবর এসেছে, ঢাকাস্থ যাত্রবাড়িতে টাকা না দেয়ায় ১৫ দিনের শিশুকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেছে হিজরারা। আসলে বাংলাদেশে হিজরাদের উৎপাত হঠাৎ করে বেড়ে গেছে এটা কেউই অস্বীকার করতে পারবেন না। হিজরা উৎপাত বলতে হিজরাদের চাদাবাজি বলা উত্তম। নতুন বাচ্চা হলে টাকা দেয়া, রাস্তায় হঠাৎ মানুষ আটকে টাকা নেয়া, দোকান থেকে চাদা নেয়, আরো অনেক ধরন আছে।

ছোট বেলায় হিজরাদের দেখতাম, দোকান বা বাজার থেকে চাদা তুলতো। তখন বিষয়টি এত আলোচিত হতো না। কিন্তু হিজরাদের নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, যখন তারা বাসাবাড়িতে ঢুকে চাদাবাজি শুরু করে। নতুন বাচ্চা হয়েছে গোপন তথ্যসূত্রে (সম্ভবত বাসায় বুয়ারা দেয়) এমন খবর পেলে তারা ঐ বাসায় হানা দেয় এবং ৫-১০ হাজার টাকা দাবি করে। এই হানা দেয়ার সময়টা এমন হয়, যখন ঐ বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ থাকে না, গৃহকত্রী বাসায় একা থাকেন। এ সুযোগে বাসার বাচ্চাকে জিম্মি করে এই টাকা আদায় করে। কখনও নগ্ন হয়ে, কখন ঘরে পায়খানা করে তারা ঐ বাসায় বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টি করে। এমনকি সদ্যজন্ম নেয়া নবজাতককে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েও তারা টাকা আদায় করে। যার ফল আমরা দেখলাম, যাত্রাবাড়িতে ঐ ১৫ দিনের বাচ্চার করুণ মৃত্যু।

আমার লেখার শুরুতেই আমি হেডিং দিয়েছি- “হঠাৎ কেন এত বেপরোয়া হিজরা জনগোষ্ঠী ?”

তারমানে আমি বলতে চেয়েছি, হিজরা জনগোষ্ঠী আগেও ছিলো, কিন্তু হঠাৎ করে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে । কিন্তু কেন এই অবস্থা ?

একটি উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেন। যেমন ধরুন কয়েকদিন আগে যাত্রাবাড়িতে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি নিয়ে খবর করে ‘সময়টিভি’। কিন্তু অজ্ঞাত কারণবশতঃ তারা ঐ খবরটি রিমুখ করে দেয় (http://bit.ly/2GJkOGN), যা ওয়েবক্যাশে এখনও পাওয়া যাচ্ছে (http://bit.ly/2BR33RX)। তারমানে মিডিয়া চাচ্ছে না, পাবলিকের মধ্যে হিজরাদের বিরুদ্ধ সেন্টিমেন্ট তৈরী হোক। তাই খবর প্রচার হলেও পরবর্তীতে তারা তা সরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

সত্যিই বলতে, কোন ব্যক্তি তখনই লাগামহীন হয়, যখন সে জানে কোন আইন বা নিয়মকানুন তার উপর কাজ করবে না। সে যা ইচ্ছা তাই করুক, তার সমস্যা নেই, তখনই সে বেপরোয়া হয়ে উঠে।

বর্তমানে হিজরারা বেপরোয়া হয়ে ওঠার কারণ তাদের এমন নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে, তারা যাই করুক, তাদের সব ধরনের ব্যাকিং বা আইনী সহায়তা দেয়া হবে। এবং সেই নিশ্চয়তা দিচ্ছে দেশি-বিদেশী কিছু এনজিও। এর মধ্যে সবার উপরে আছে ড. কামাল হোসেনের মেয়ে সারা হোসেনের (ডেভিড বার্গম্যানের বউ) এনজিও ‘ব্লাস্ট’ (বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট)। এই ব্ল্যাস্টের পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা পেয়েই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে হিজরা জনগোষ্ঠী। বিষয়টা এতটাই সিরিয়াস অবস্থায় পৌছেছে, হিজরারা চাদাবাজি এবং দৈহিক অপকর্ম এত বাধাহীনভাবে করতে পারছে যে, অনেক পুরুষ হিজরা সেজে চাদাবাজিতে যোগ দিয়েছে, এসব গ্রুপে আসল হিজরা কতজন আছে, সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

কেন হিজরাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে এনজিওগুলো ? কি তাদের উদ্দেশ্য ??

আপনারা জানেন, আন্তর্জাতিক ইহুদীবাদীরা বিশ্বজুড়ে সমকামীতা প্রচলন করতে চায়। এজন্য খোদ জাতিসংঘ বা ইহুদীসংঘের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে সমকামীতা আইনত বৈধতা দেয়ার জন্য বার বার চাপ দেয়া হয়। (http://bit.ly/2BT02kl)

তারা এ কার্যক্রমের নাম দিয়েছে এলজিবিটি(LGBT)। এল’তে বোঝায় লেসবিয়ান বা নারীসমকামী, জি-তে গে বা পুরুষ সমকামী, বি’তে বাইসেক্সুয়াল বা উভকামী এবং টি’তে ট্র্যান্সজেন্ডার বা রূপান্তরকামী। যারা বাংলাদেশে ‘এলজিবিটি’ বৈধতা তৈরী করতে চায়, তারা নারী সমকামী, পুরুষ সমকামী, উভকামী কিংবা রূপান্তরকামী’র কোন প্রতিনিধিকে বাংলাদেশে জনসম্মুখে উপস্থাপন করতে পারে না। যেহেতু তাদের প্রকাশ্য কোন উপস্থিতি নেই, তাই তাদের অধিকার দেয়ার প্রয়োজনীয়তাও নেই। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে সহজ হচ্ছে হিজরা জনগোষ্ঠী। এরা দাবি করে, হিজরারা সমকামী ও উভকামী। এ কারণে এলজিবিটি প্যারেডগুলোতে হিজরাদের সামনে রাখা হয় (ছবিতে পহেলা বৈশাখে মঙ্গলশোভাযাত্রায় মার্কিন দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এলজিবিটি প্যারেডে হিজরা)। অর্থাৎ বাংলাদেশে কতজন এলজিবিটি সদস্য আছে, এটা প্রমাণ করতে তারা হিজরা জনগোষ্ঠীকে দাড় করিয়ে দেয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, হিজরারা সমকামী বা উভকামী কোনটাই নয়। হিজরাদের সেক্সুয়ার পাওয়ার নেই, এজন্য হিজরাদের বলা হয় যৌন প্রতিবন্ধী। তাদের যদি সেক্সুয়াল পাওয়ার থাকতোই, তবে তারা সমাজের মেইন স্ট্রিমের অংশ হতো, তা নেই বলেই তাদের হিজরা নামে ডাকা হচ্ছে। কিন্তু তাদের এ অক্ষমতার সুযোগটাকে কুচক্রী গোষ্ঠী নিজ হীন স্বার্থে ব্যবহার করছে। বাস্তবে আমরা সমাজে যে ‘হিজরা’ দেখি তাদের ছাড়াও আরো অনেক হিজরা বা যৌন প্রতিবন্ধী আছে, যারা পরিবারের সাথে এট্যাচ আছে, স্বাভাবিক কাজকর্ম করছে। কিন্তু আমরা যাদের হিজরা বলে চিনি তারা আসলে ‘হিজরা পতিতা’ বা ‘হিজরা অপরাধী’। স্বাভাবিক কাজকর্ম না করে এরা দিনের বেলায় চাদাবাজি করে আর রাতের বেলায় একশ্রেণী কুরুচিপূর্ণ লোকের কুরুচি মেটায়। আমাদের সমাজে কিন্তু নারীদের মধ্যে ‘পতিতা’ শ্রেণীও আছে। ঐ নারী পতিতা কিংবা হিজরাদের মধ্যে আসলে কোন তফাৎ তেই। কিন্তু সেই ‘হিজরা পতিতা’ বা ‘হিজরা অপরাধী’দেরকেই সমাজের ‘হিজরা’ বলে পরিচয় করিয়ে দেয়া হচ্ছে, যা বাস্তবতার সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।

আসলে সম্রাজ্যবাদীদের কাজ হচ্ছে সমাজে সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করে সংখ্যাগুরুদের সাইজ করা। এজন্য তারা ডুয়েল রোল প্লে করে। তারা সংখ্যালঘুদের বলে তোমরা সংখ্যাগুরুদের বিরুদ্ধচারণ করো, আর সংখ্যাগুরুদের মাথায় হাত বুলিয়ে বুঝায়- “আহারে ! সংখ্যালঘুরা কত দুর্বল, তারা কত নির্যাতিত, তারা কত অবহেলিত, তাদের বিরুদ্ধচারণ করা যাবে না। আসো সবাই অসাম্প্রদায়িক হয়ে সংখ্যালঘু প্রেমিক হই” । একই সূত্রে তারা ‘কমন জেন্ডার’ টাইপের মুভি তৈরী করে সমাজের মানুষের মনে হিজরাদের জন্য সহানুভূতি তৈরী করে, হিজরাদের জন্য মানুষের চোখ পানি বের করে, মনকে নরম করে। আবার তারাই হিজরাদের বলে “তোরা বেপরোয়া হ, সংখ্যাগুরুদের কাছে চাদাবাজি কর। যা খুশি তাই কর, তোদের সব ধরনের ব্যাকিং দেয়া হবে, আইনী সহায়তা বিনামূল্যে দেয়া হবে, এমনকি মিডিয়ায় বিরুদ্ধে খবর আসলে তা ডিলিটও করে দেয়া হবে। কোন সমস্যা নাই ।” এ কারণেই হিজরারা এত বেপরোয়া।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment