খবরের প্রকাশ-
“দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের কাছে এমন মনোভাবের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, এ ধরনের অনুষ্ঠানের কারণে চলে নানা কর্মযজ্ঞ। এতে সড়কজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বাড়ে জন ভোগান্তি।এজন্য এসব সামাজিক বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ঢাকার বাইরে তাদের অনুষ্ঠানগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আহ্বান জানিয়ে আসছে দুই সিটি করপোরেশন।” (http://bit.ly/2CXrUJd)
পাঠক ! ভালোভাবে খেয়াল করুণ-
সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তা বলছে- “ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ঢাকার বাইরে তাদের অনুষ্ঠানগুলো সরিয়ে নেওয়ার কথা।”উল্লেখ্য এর আগে কুতুববাগকে ফার্মগেটে অনুষ্ঠান করতে দেয়নি সরকার।
দেওয়ানবাগ বা কুতুববাগ ভালো না খারাপ আমি সে তর্কে যাবো না। আমার আলোচনার বিষয়- সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তার কথাটি। তারা বলছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুষ্ঠান ঢাকার মধ্যে করতে দেয়া হবে না।
আমার ধারণা সিটি কর্পোরেশন এখানে ধর্মীয় অনুষ্ঠান বলতে শুধু মুসলমানদের অনুষ্ঠানকেই বুঝিয়েছেন। কারণ- প্রতিবছর ঢাকায় অসংখ্য রাস্তা বন্ধ করে দূর্গা পূজা করে হিন্দুরা । কুতুববাগ যেখানে অনুমতি পায়নি সেখানে বিশাল গেট করে রাস্তা বন্ধ করে অনুষ্ঠান করে হিন্দুরা। ঢাকার অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ করে মণ্ডপ করা হয়। যার সংখ্যা প্রায় ৩শ’। মন্দির থাকার পরও মন্দিরের বাইরে মণ্ডপ বানিয়ে রাস্তাঘাট ও যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু সে সময় সিটি কর্পোরেশন বলে না, ঐ সব অনুষ্ঠান ঢাকার বাইরে নিয়ে যাওয়ার কথা। আওয়ামীলীগ-যু্বলীগ-ছাত্রলীগ প্রায় রাস্তা বন্ধ করে প্রোগ্রাম করে, তখন সেটা নিয়ে সমস্যার কথা কেউ বলে না। কিছুদিন আগে ঢাকা ধানমন্ডির আবহানী মাঠে ৫ দিন ব্যাপী ভারতীয় শিল্পীদের এনে উচ্চাঙ্গ সংগীত অনুষ্ঠান করা হয়, সে অনুষ্ঠানের কারণে ধানমন্ডি-মুহম্মদপুর-রায়েরবাগের তৈরী হয় প্রচণ্ড যানজট। যদিও সেটা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ উচ্চবাচ্চ করেনি। অথচ যানজট ও পরিবেশদূষণের কথা বলে, কোরবানীর হাটগুলো ঢাকা সিটির বাইরে সরিয়ে দেয়া হয়েছে, এতে কোরবানীর পশু কিনতে তৈরী হচ্ছে মারাত্মক সমস্যা।
দেওয়ানবাগ ও কুতুববাগকে সরকার অনুষ্ঠান সরিয়ে নেয়ার কথা বলতেই সংগঠনগুলো অবনত মস্তকে তা অনুসরণ করেছে এবং বলেছে- “সরকার যে সিদ্ধান্ত দেবে আমরা তা মেনে নেবো।” সরকারের সাথে তাদের অভ্যন্তরীণ কোন চূক্তি বা সমঝোতা হয়েছে কি না তা আমার জানা নাই,
কিন্তু, আমার প্রশ্ন হচ্ছে সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তার সেই বক্তব্য- “ঢাকার সিটির ভেতরে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান করতে দেয়া হবে না”- এর মাধ্যমে কি ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে ? সরকার তার অনুগামী কুতুববাগ ও দেওয়ানবাগের মাধ্যমে আবার টেস্ট কেস করছে না তো ? অন্য মুসলমানরাও যখন অনুষ্ঠান করতে যাবে, তখন হয়ত বলবে- “দেওয়ানবাগ-কুতুববাগ সরকারের নির্দেশ মেনে অনুষ্ঠান সরিয়ে নিয়েছে, আপনারাও সরিয়ে নিন। ঢাকার ভেতর আপনাদের (মুসলমানদের) কোন অনুষ্ঠান করতে দেয়া হচ্ছে না অনেক আগে থেকেই, আপনাকেও সেই নির্দেশনা মানতে হবে।”
সরকার রিসেন্ট এমন কিছু উদ্যোগ নিয়েছে, যা দেখে আমি সত্যি হতবাক হয়েছি, কারণ- তারা অতি সূক্ষভাবে কৌশল করে মুসলমানদের দুর্বল করার উদ্যোগ নিয়েছে, এজন্য তারা বেছে নিয়ে মুসলমানদের দ্বন্দ্বের বিষয়গুলোকে। এই দ্বন্দ্ব দিয়ে ঢুকে তারা একদল হয়ে অন্যদলকে ঘায়েল করছে। আর সেই ঘায়েল ঘটনাকে প্রচার করে সকল মুসলমানদের উপর বিধিনিষেধ দিচ্ছে। এসব কৌশলের কারণে মুসলমানরা নিজের ক্ষতি সম্পকের্ বুঝতেছেও না, উল্টো নিজেদের গর্ত নিজেরাই খুড়ে দিচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ইসলামী দল ও সংগঠনের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বিভক্তি বাড়ছে। এ ব্যাপারগুলো নিয়ে আরো বিস্তারিত ও গভীর আলোচনার দরকার আছে।
===============================
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/
--------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
0 comments:
Post a Comment