আওয়ামী সরকার দেশজুড়ে ব্যাপক উন্নয়ন হাতে নিয়েছে, এমন কোন রাস্তা-চিপা নাই যেখানে ফ্লাইংওভার নির্মাণ করতেছে না। অতিসম্প্রতি রাজধানীতে শুরু হতে যাচ্ছে ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ঢাকার যেসব এলাকায় ফ্লাইংওভার আছে, এই এক্সপ্রেসওয়ে তার উপর দিয়ে যাবে। এই এক্সপ্রেসওয়ে আবার যুক্ত হবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে এর সাথে। বলাবাহুল্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে ঢাকার ব্যস্ততম ৩৫ কিলোমিটার লম্বা রাস্তা খোড়া হলে ঢাকাবাসী কি পরিমাণ হেনস্তা হবে, সে কথা নাইবা বললাম। তবে জনগণ যতই কষ্ট করুক, এই এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে কিন্তু জনগণকে গুনতে হবে মোটা টোল।
বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশের জনগণকে কষ্ট দিয়ে এখন যত ফ্লাইংওভার-সেতু নির্মাণ হচ্ছে, কোনটাই জনগণের জন্য তৈরী হচ্ছে না, হচ্ছে বিদেশীদের জন্য। একটি ফ্লাইংওভার থেকে আরেকটি ফ্লাইংওভার, ফ্লাইংওভার থেকে এক্সপ্রেসওয়ে, সেখানে থেকে পদ্মা সেতু, পদ্মা সেতু থেকে পায়রা বন্দর। এগুলো যত তৈরী হচ্ছে কোনটাই জনগণের জন্য হচ্ছে না, হচ্ছে এশিয়ান হাইওয়ের অংশ হিসেবে, যেন বিদেশীরা বাংলাদেশে যানজট এড়িয়ে তাদের লুটের প্রজেক্টে সহজেই পৌছাতে পারে।
একইভাবে যশোরে গাছ কেটে যে ৬ লেন রাস্তার কথা বলা হচ্ছে, সেটাও কিন্তু জনগনের দরকার নেই। ভারতের সীমানার ঐ পাড়ে ৬ লেন রাস্তা আছে, তাই বাংলাদেশে ৬ লেন রাস্তা করতে হবে, যেন ভারতীয় মালামাল একই ফ্লোতে বাংলাদেশে ঢুকতে পারে। যশোরে যে রাস্তা আছে, তা দুইপাশে একটু মোটা করলেই যথেষ্ট, আলাদা করে ৬ লেন করা অপচয় ছাড়া কিছু নয়।
আমি আফ্রিকার এমন রাষ্ট্র চিনি, যাদের রাস্তাঘাট খুব উন্নত, কিন্তু ঐ দেশের মানুষ খেতে পায় না। বাংলাদেশে এখন একই সিস্টেম চলছে। বাংলাদেশের জনগণের টাকা দিয়ে, জনগণকে কষ্ট দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে ফ্লাইংওভার, এক্সপ্রেসওয়ে, সেতুর মত ভৌত কাঠামো। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষকে চাল কিনতে হচ্ছে ৭৭ টাকা কেজি। গতকালকে খবর এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে দ্রব্যমূল্য আরো বাড়বে। (http://bit.ly/2FZWkIH) তাহলে খুব শিঘ্রই বাংলাদেশের চালের মূল্য ১০০ টাকায় পৌছাবে এটা নিশ্চিত।
আমি আগেও বলেছি, অর্থনৈতিক ঘাতকরা এই সিস্টেমের নাম দিয়েছে কর্পোরেটোক্রেসি। কর্পোরেটোক্রেসি পলিসির মাধ্যমে সম্রাজ্যবাদীরা বাংলাদেশের মত রাষ্ট্রগুলোকে তাদের গোলাম বানায়। এই সিস্টেমের মাধ্যমে বিদেশী ঋণ দিয়ে বানানো হবে ফ্লাইংওভার, সেতুর মত ভৌত কাঠামো, আর ঋণের বোঝায় ঐ দেশটি হয়ে পড়বে দরিদ্র। দেশের জনগণের টাকায় বানানো সেই সব ভৌতকাঠামো ব্যবহার করে বিদেশীরা, লুটে নেবে দেশের সম্পদ। অপরদিকে উৎপাদনশীল খাতে সরকার কোন বিনিয়োগ করবে না। ফলে মানুষ হতে থাকবে দরিদ্র। মুক্তিযুদ্ধের পর উৎপাদনশীল খাতে সরকারের অবস্থান ছিলো ৫০% এর উপরে। কিন্তু এখন তা নেমে এসেছে ১% এ ( http://bit.ly/2FD79Az)। সরকার উৎপাদন বা জিডিপি নিয়ে যে অহংকার করে তাদের সে হিসেবে সরকারের অবদান ১%ও নেই।
বাংলাদেশের জনগণ বুঝছে না, তারা কত বড় ষড়যন্ত্রের কবলে পড়েছে। ব্রিটিশরা এ অঞ্চলে ক্ষমতা নেয়ার পর বেশ কয়েকটি দুর্ভিক্ষ ঘটায়। দুর্ভিক্ষে মারা যায় কয়েক কোটি মানুষ। দুর্ভিক্ষ ঘটানোর কারণ, মানুষ পেট নিয়ে এত ব্যস্ত হয়ে পড়বে, তাদের দেশের সম্পদ কে লুটে নিয়ে গেলো তা টের পাবে না। বাংলাদেশের সম্পদের দিকেও এখন চোখ পড়েছে বিদেশী শত্রুদের, তাই দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে বাংলাদেশেও সৃষ্টি করা হচ্ছে কৃত্তিম দুর্ভিক্ষ। উদ্দেশ্য ১০০টাকায় চাল কিনতে না পেরে জনগণ হয়ে পড়বে হাড্ডিসার, এসুযোগে দেশের সম্পদ লুটতে পারবে বিদেশী শত্রুরা।
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/
--------------------------
0 comments:
Post a Comment