Thursday, June 18, 2020

লকডাউন, সোশ্যাল ডিসটেন্স, স্কুল বন্ধ করা, বর্ডার ক্লোজ করা এগুলোর কোন বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয় নয় এবং সম্পূর্ণ ভুল পলিসি

পৃথিবীর অন্যতম সিনিয়র এপিডেমিওলজিস্ট, সুইডিশ সরকারের উপদেষ্টা, ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিস প্রিভেনশন এবং কন্ট্রোল এর প্রথম প্রধান বিজ্ঞানী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেলের উপদেষ্টা অধ্যাপক জোহান জিসেককে বলেছে-

লকডাউন, সোশ্যাল ডিসটেন্স, স্কুল বন্ধ করা, বর্ডার ক্লোজ করা এগুলোর কোন বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয় নয় এবং সম্পূর্ণ ভুল পলিসি। কারণ শেষ পর্যন্ত এটি হার্ড ইম্যুনিটির দিকেই যাবে। শুরুতে যুক্তরাজ্য যা করেছিলো (হার্ড ইম্যুনিটিকে প্রাধান্য দিয়ে) সেটা ছিলো অধিকতর ভালো সিদ্ধান্ত, কিন্তু ১৮০ ডিগ্রি ইউটার্ন নিয়ে তারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। “ইমপেরিয়াল কলেজ পেপার” (যে পেপারে বরাত দিয়ে বিভিন্ন মিডিয়া ভবিষ্যতবানী করছিলো, যেমন- করোনাতে যুক্তরাষ্ট্রে ২২ লক্ষ লোক, যুক্তরাজ্যে ৫ লক্ষ লোক মারা যাবে) মোটেও ভালো কিছু ছিলো না। এটা ছিলো খুব বেশি হতাশাব্যঞ্জক এবং সন্দেহজনক। সে কোনদিনই এ ধরনের আনপাবলিশ পেপারের প্রভাব মানুষের উপর এত দেখে নাই। লকডাউনের মাধ্যম দিয়ে ফ্ল্যাটারিং কার্ভ (উপবৃত্তকে খোটো) করার কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু এটা আসলে হচ্ছে ঝূকিপূর্ণ ব্যক্তিদের মৃত্যুর মাধ্যম দিয়েই। এবং এটা সব দেশের জন্য রেজাল্ট প্রায় সমান। কোভিড-১৯ খুবই সাধারণ রোগ এবং ফ্লু এর মতই, তবে এটা নতুন হওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরী করেছে। কোভিড-১৯ এর মৃত্যুহার এ অঞ্চলের জন্য (ইউরোপ) ০.১% এবং যুক্তরাজ্য এবং সুইডেনের জনগণকে গণহারে এন্টিবডি টেস্ট করা হলে দেখা যাবে, ৫০% লোক ইতিমধ্যে তা দ্বারা আক্রান্ত হয়ে গেছে। যুবকদের জন্য কি করনীয় এই জবাবে সে বলে, “দাদা-দাদি দের কাছ থেকে দুরে থাকো।”
“ব্রিটেনে অনেক মানুষ লকডাউনের পক্ষে বলে” উপস্থাপকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রফেসর জোহান জিসেককে হেসে উঠেন। বলেন- এটা সাধারণ জনসাধারণ এর দুর্ভোগ আনবে। আর কেউই কার্যকারিতা র যথেষ্ট প্রমাণ দিতে পারবে না। তাই শেষে সবাই সুইডেনএর পথ অবলম্বন করবে । কারন কত দিন লকডাউন করে রাখা সম্ভব? একটা সময় মানুষ ঠিক ঘরের বাহিরে আসবে।
জোহান জিসেককে মনে করেন স্বাস্থ্য সচেতনতা জরুরি কিন্তু লকডাউন সোসাল ডিসটেনসিং এর কোন দরকার নেই । কারন এর সমাধান কেবল হার্ড ইম্যুনিটির এর মাঝে আছে। জোহান জিসেককে এই সিস্টেম ছাড়া এর ভালো সমাধান দেখছে না। এর সাথে সে আরও যোগ করে, যেসব দেশ আগে লকডাউন করেছে, তারাও এখন সুইডেন এর পথেই আগাচ্ছে।

তথ্যসূত্র: https://bit.ly/3atSINr

Related Posts:

0 comments:

Post a Comment