Monday, August 5, 2019

কেবিসি এগ্রোর শুকর নিয়ে আমার লেখা ও তার ব্যাখ্যা

গতকাল কেবিসি এগ্রো নিয়ে একটা লেখা দিয়েছিলাম। দেয়ার পর কোন কোন পেইজ থেকে বলা হচ্ছে এই কোম্পানির সাথে হিন্দুদের নাকি বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নাই এবং ভারতীয়দের সাথেও নাকি সম্পর্ক নাই। এটি একটি বাংলাদেশী কোম্পানি।  যাই হোক, আমার মনে হয়, আমি অনলাইনে যে কিছু তথ্য পেয়েছি, তার শেয়ার করছি-
প্রথম কথা হলো কেবিসি এগ্রোর ওয়েবসাইট (যা এখন বন্ধ, তার ওয়েবক্যাশ) বলছে-
১)  Initially the company was started as an India-Bangladesh Joint Venture Company,
২) The company was incorporated on June 29, 2008 as a private limited company with paid up capital of Tk. 223.61 million against the authorized capital of Tk.310.00 million
(https://bit.ly/2MDOrOT)
৩) ২০১২ সালে সামুর ব্লগার জুলভার্ন একটা স্ট্যাটাস লিখে। সেখানে দেয়া তথ্য- অনুযায়ী সে রুপসী বাংলায় একটা অনুষ্ঠানে যায়, সেখানে তার কেবিসি এগ্রোর চেয়ারম্যানের সাথে দেখা হয়, তার নাম রাজকুমার আগারওয়াল বলে উল্লেখ করে এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে সুবির চৌধুরী উল্লেখ করে। ধামরাইয়ে তাদের কারখানা সম্পর্কে অনেকগুলো তথ্যও জুলভার্ন সংযুক্ত করে। (http://archive.fo/uLkkF)
৪) কেবিসির ওয়েবসাইটের দেয়া তথ্য অনুসারে কোম্পানিটি ২০১৬ সালে তাদের শেয়ার (বা শেয়ারের একটা অংশ) কিনে নেয় মাহবুব গ্রুপ। কিন্তু কোম্পানিটি কেবিসিকে তাদের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বলে না, বলে সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
৫) ২০১৭ সালের এক স্ট্যাটাসে দেখা যায়, কোম্পানির পুরাতন এমডি কল্যানি চৌধুরীর থেকে কিছু একটা বুঝে নিচ্ছে নতুন এমডি মাহবুব রহমান। (https://drive.google.com/file/d/1CILXnW4gEk--RzYQWKusAfMAG6p8wYgJ/view)
কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে যে রাজকুমার আগারওয়াল এর নাম বাদ গেছে কি না, সে সম্পর্কে কোন তথ্য নেই।
৬) কোম্পানির স্টকে ৩ হাজার টন শুকর পন্য পাওয়া যায়, এবং কোম্পানি শুরু থেকে প্রায় ৩ লক্ষ টন  শুকর পন্য এনেছিলো বলে চালান পাওয়া যায়। তারমানে ২০১৬ সালে শেয়ার বদল হওয়ার বহু আগে থেকে তারা শুকর পন্য দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলো।  অর্থাৎ এই শুকর বাংলাদেশে নিয়ে আসার কারবারি শুরু করে ঐ মারোয়ারী ব্যবসায়ী রাজকুমার আগারওয়ালই।
৭) কোম্পানির মালিক পর্যায়ে শেয়ার বদল হলেও কেবিসির হিন্দু মালিক থাকা অবস্থায় যে মহাব্যবস্থাপক ছিলো, তাপস দেবনাথ, মুসলিম মালিক আসার পরও সেই তাপস দেবনাথ আছে।  এমনকি গতকাল পুলিশ যখন আসে, তখন পত্রপত্রিকায় তাপস দেবনাথের নাম পাওয়া যায়। তাপস দেবনাথের ফেসবুক আইডি ঢেটে দেখলাম সে উগ্রহিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনের খুব ভক্ত। আমার ধারণা কোম্পানির মালিক পরিবর্তন হলেও ফ্যাক্টরির কার্যক্রম আগের পলিসিতেই চলতে থাকে বা যারা দায়িত্বে ছিলো সেভাবেই চালাচ্ছিলো। যেহেতু কাজটা শুরু করে  দেয় ভারতীয় হিন্দু মারোয়ারি ব্যবসায়ী, এবং এখনও ফ্যাক্টরির ভেতরে থেকে হিন্দু মহাব্যবস্থাপক বিষয়টি চালিয়ে নিচ্ছিলো এজন্য নতুন মাহবুব গ্রুপের থেকে আমার কাছে সেই রাজকুমার আগারওয়ালকেই বেশি দায়ী মনে হয়েছে।  এবং সে কারণেই আমি কোম্পানির মূল যেখান থেকে শুরু হয়েছে তাকেই দোষ দিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছি।
৮) বিভিন্ন সময় ফ্যাক্টরির যে স্ট্যাফ দের ছবি আমি সংগ্রহ করতে পেলেছি, সেখানে আমার কাছে কোম্পানিটিকে হিন্দুদের আখড়া কোম্পানি বলে মনে হয়ছে। হয়ত পড়ে আর্থিক সংকটে তারা শেয়ার বিক্রি করে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশে শুকর দিয়ে কাজ করার সূচনাটা হিন্দুরাই করে। আমার স্ট্যাটাসে আমি সেটাই বুঝাতে চেয়েছি।


কোম্পানি ও তৎসম্পর্কিত কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম-
































1 comment:

  1. ভাই আরো এগিয়ে যাও । এটাই প্রশান্তি ; কেউ তো একটু হলেও প্রতিবাদ করছে। শুভকামনা।

    ReplyDelete