Thursday, July 12, 2018

আমরা যদি চাই, ইহুদীবাদী সম্রাজ্যের পতন ঘটুক, তবে ইহুদী কিসিঞ্জারের তত্ত্ব “ফ্যামিলি প্ল্যানিং” থেকে বের হয়ে আসতে হবে

১১ই জুলাই ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘Family planning is a human right'
‘ফ্যামিলি প্ল্যানিং’ শব্দটা শুনতে খুব সুন্দর। এটা ইহুদীদের একটা বৈশিষ্ট্য। ইহুদীরা খারাপ জিনিসকে ভালো, আর ভালো জিনিসকে খারাপ নামে প্রচার করতে পারে। ‘ফ্যামিলি প্ল্যানিং’ পরিভাষার মূল অর্থ হচ্ছে, আপনার অনাগত সন্তানকে হত্যা। অথচ সেই মানব হত্যাকে এখন তারা মানবাধিকার নামে চালিয়ে দিচ্ছে। বুঝুন অবস্থা।
কোন একটি ঘটনা অ্যানালাইসিস করার জন্য ২টি জিনিস প্রয়োজন:
১) ঘটনাটি কে করছে বা কার নির্দেশে বা কার পলিসিতে হচ্ছে ?
২) যে করছে বা যার নির্দেশে হচ্ছে তার ইন্টারেস্ট/স্বার্থ কি ?
একজন সাধারণ মানুষের সাথে একজন গোয়েন্দা সংস্থার লোকের এখানেই তফাৎ। একজন গোয়েন্দা সব সময় উপরের দুটি বিষয় অনুসন্ধান করে। আর সাধারণ মানুষ উপরের দুইটি বিষয় এড়িয়ে যায় এবং কোন ঘটনা ঘটলে সেখানে নিজের স্বার্থ বা ফায়দা খোঁজার চেষ্টা করে। আর ফাঁদে পা দিয়ে ভুলটা করে সেখানেই। সাধারণ মানুষের এই অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে স্বার্থবাদী মহল তার স্বার্থ হাসিল করে। এজন্য সে আবার দুইটা কাজ করে-
ক) নিজেকে আড়াল করে নিজেই তৃতীয় পক্ষ তৈরী করে, যাকে সাধারণ মানুষ নিরপেক্ষ মনে করবে। যেমন: জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, অমুক বিশেষজ্ঞ, মিডিয়া, ইত্যাদি।
খ) নিজের স্বার্থ আড়াল করে জনগণের স্বার্থ মূখ্য করে প্রচার করে। আরো স্পষ্ট করে বললে জনগনকে স্বার্থের নামে মিথ্যা স্বপ্ন দেখায়।জনগণের স্বার্থ হাসিল হোক বা না হোক, সে তার স্বার্থ ঠিকই হাসিল করে নেয়।
যেমন ধরুণ: সাবানের বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনে দেখাচ্ছে সাবান মেখে একটা মেয়ের গায়ের ত্বক সুন্দর হচ্ছে, সে বয় ফ্রেন্ড পাচ্ছে, ভালো চাকুরী পাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে কোন মেয়ের সাবান মেখে গায়ের ত্বক সুন্দর না হলেও, বয় ফ্রেন্ড বা চাকুরী না পেলেও, সাবান কোম্পানি কিন্তু ঠিকই ব্যবসা করে পকেট ভারি করছে।
আমরা যদি একজন গোয়েন্দা সংস্থার লোকের মত চিন্তা করি, তবে
প্রথম চিন্তা করতে হবে, ফ্যামিলি প্ল্যানিং হচ্ছে কার পলিসি বা নির্দেশে ?
উত্তর হবে- ইহুদী হেনরী কিসিঞ্জারের পলিসিতে। মার্কিন প্রেসিডেন্টদের আজীবন উপদেষ্টা কিসিঞ্জার ১৯৭৪ সালে একটি পলিসি তৈরী করে যার নাম National Security Study Memorandum 200 (NSSM200) । এ পলিসিতে বলা হয়, (প্রাথমিকভাবে) ১৩টি দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি মার্কিন সম্রাজ্যবাদের জন্য হুমকি স্বরূপ। এই ১৩ দেশের মধ্যে একটি দেশ হলো বাংলাদেশ। সেই থেকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা কমানোর জন্য মাস্টারপ্ল্যান নেয় আমেরিকা। এবং এক্ষেত্রে তারা নিজেদের আড়াল করে তৃতীয় পক্ষ বা নিউট্র্যাল ফেস তৈরী করে। হেনরী কিসিঞ্জারের পলিসির উইকি পেইজে দেখবেন তারা তিনটি সংস্থার নাম বলেছে জাতিসংঘ(UN), USIA এবং USAID। বাংলাদেশে যে অসংখ্য এনজিও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে তারা সবগুলো উপরে গিয়ে এ তিনটি সংস্থার সাথে যুক্ত হয়েছে। (https://bit.ly/1Vx0lZxhttps://bit.ly/2uoLUxc)
উল্লেখ্য ১৯৭৪ সালে ২৯শে অক্টোবর ২ দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলো হেনরী কিসিঞ্জার। সে সময় বঙ্গবন্ধুর সাথে এক আলাপচারিতায় হেনরী কিসিঞ্জার বলেছিলো, “জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই খুব গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়।”( https://bit.ly/2uoHJ4D)
এবার দ্বিতীয় যে বিষয়টি চিন্তা করতে হবে, তা হলো: বাংলাদেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করলে আমেরিকার স্বার্থ কি ?
উত্তর আমি আগের পয়েন্টে দিয়ে দিয়েছি, বাংলাদেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করলে আমেরিকার সম্রাজ্যবাদের সুবিধা হবে, তাদের আন্তর্জাতিক পলিসিগুলো ঠিক থাকবে ও ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হবে।
এবার যদি কিসিঞ্জারের NSSM200 পলিসি যদি উল্টা করে দেই, তখন দাড়ায়: “বাংলাদেশের জনসংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে, আমেরিকার সম্রাজ্যবাদের জন্য তত অসুবিধা হবে”।
আমরা যদি চাই, ইহুদীবাদী সম্রাজ্যের পতন ঘটুক, তবে ইহুদী কিসিঞ্জারের বুদ্ধি থেকে পাওয়া তত্ত্ব মতে, বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পক্ষে বলতে হবে এবং ফ্যামিলি প্ল্যানিং নামক মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে বলতে হবে। তবেই ইহুদীবাদের পতন ঘটে ঘটানো সম্ভব।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment