বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমি খুব পছন্দ করি। তার পূবর্ পুরুষ ইরাক থেকে এদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে এসেছিলো। যারা আরব থেকে এদেশে ইসলাম প্রচার করতে আসতো তাদের বলতো ‘শায়েখ’। সেই শায়েখ’র সংক্ষিপ্ত হয়ে যায় ‘শেখ’ নামে। যা বংশপদবি হিসেবে এখনও অনেকের নামের শুরুতে সংযুক্ত আছে।
কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা সেই শেষ ঐতিহ্যকে ভুলণ্ঠিত করেছে। হিন্দুধর্মের প্রতিক স্বস্তিকা চিহ্ন বিশ্বভারতীর লোগো (হিটলার বাহিনী স্বস্তিকা চিহ্ন ব্যবহার করতো)। সেই স্বস্তিকা চিহ্নকে গলায় চাদর দিয়ে আকড়ে ধরে মূর্তির সামনে গিয়ে মাথা নত করেছে এবং ফুল ছিটিয়েছে। আমি ইতিমধ্যে কয়েক ইসলাম ধর্মীয় আলেমের সাথে কথা বলেছি, তারা বলেছেন, এটা ইসলাম ধর্ম অনুসারে চরম গর্হিত কাজ হয়েছে, যা ইসলাম ত্যাগের সামিল। তাই তার নামের পূর্বে ইসলামী উপাধি ‘শেখ’ শব্দ ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
ধর্মান্তর বিষয়টি নতুন কিছু না। অধিক কিছু পাওয়ার জন্য অনেকেই ধর্ম ত্যাগ করে। স্কয়ার গ্রুপের মালিক স্যামসন এইচ চৌধুরী মুসলমান থেকে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছিলো ব্যবসা বড় করার জন্য। গোপালগঞ্জবাসী স্যামসন এইচ চৌধুরীর মত আরেক গোপালগঞ্জবাসীনী হাসিনাও ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য ধর্ম পরিবর্তন করতে পারে, যা সবাই দেখতে পেলো।
১৯২১ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে রবীণ্দ্রনাথ। তবে তার আগে ১৯০১ সালে ঐ স্থানে রবীন্দ্রনাথ ‘ব্রহ্মচর্যাশ্রম’ নামক একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলো। পরবর্তীকালে ১৯২১ সালে সেই ‘ব্রহ্মচর্যাশ্রম’ স্কুলটি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়। ‘ব্রহ্মচর্যাশ্রম’ শব্দের অর্থ অভিধানে বলা হয়, “হিন্দু শাস্ত্র মতে জীবনের প্রথম পালনীয় অবস্থা”। ‘ব্রহ্মচর্যাশ্রম’ অনেকটা মুসলমানদের মক্তবের মত। মুসলমানরা যেমন তাদের শিশু বেড়ে উঠলে প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা করাতে মক্তবে পাঠায়, আর হিন্দুরা পাঠায় ‘ব্রহ্মচর্যাশ্রমে। সে দিক বিবেচনা করলে নওহিন্দু আওয়ামী সভানেত্রী কি ব্রহ্মচর্যাশ্রম শিক্ষা নিতে আসলেন কি না, সেটাই চিন্তার বিষয়।
তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ভারতীয়দের থেকেও অতিহিন্দুত্ব দেখিয়েছে হাসিনা। বিশ্বভারতীর ভেতরে রবীন্দ্রের কোন মূর্তি বানানোর নিয়ম নেই। বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের পর সেখানে রবীন্দ্রের মূর্তি স্থাপন করতে চেয়েছিলো হাসিনা। কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তা ‘না’ করে দেয়। (https://bit.ly/2xdZzMt)
যাই হোক, লেখার শিরোনাম ছিলো সেক্যুলারিজম থেকে হিন্দুত্ব। আওয়ামীলীগ এতদিন প্রচার করেছে তারা সেক্যুলার সংগঠন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে তাদের কার্যক্রমগুলো সেক্যুলার থেকে হিন্দুত্বের দিকে টার্ন নিচ্ছে। সরস্বতী পূজা, দূর্গা পূজা, বৈশাখী পূজাসহ যাবতীয় হিন্দু ধর্মীয় আচার ভারতের থেকে বাংলাদেশে বেশি শুরু করেছে আওয়ামী সরকার। বাংলাদেশের মুসলমানদের দিয়ে বাধ্যতালমূলক পূজা করিয়েছে। ভারতের পাঠ্যপুস্তকে রামায়ন ঢুকেনি, কিন্তু বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকে ক্লাস ৮ এ ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে রামায়ন। এর কারণ এতদিনে পরিষ্কার হলো হাসিনা হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে। অতি সম্প্রতি খবর এসেছে হাসিনা বাজারে পাওয়া যায় এমন ৮০টি কোরআনের অনুবাদ গ্রন্থের ভুল (!) সংশোধনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। হাসিনার মত একজন ধর্মান্তরিত হিন্দু কেন মুসলমানদের ধর্মীয়গ্রন্থে হাত দিচ্ছে সেটা সত্যিই ভাববার বিষয়। (তথ্যসূত্র:https://bit.ly/2LBCOoC)
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5 )
পেইজ কোড- 249163178818686
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/ )
------------------------------------------------------------------------------------------------
(https://www.facebook.com/
--------------------------
0 comments:
Post a Comment