সারা বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার। এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে হয়ত তারা অনেক যায়গায় প্রতিরোধ-বিক্ষোভ-সংগ্রাম গড়ে তুলছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত সফলতার মুখ দেখছে না। এই ঘটনার পেছনে আমি মূল দুটি কারণ আমার দৃষ্টিতে এসেছে,
প্রথম কারণ, নিজেদের মধ্যে বিশ্বাসঘাতকতা । অথবা বিশ্বাসঘাতক কাউকে নেতা হিসেবে মানা ।
দ্বিতীয় কারণ, নিজস্ব চেতনা থেকে দূরে সরে যাওয়া।
দ্বিতীয় কারণ, নিজস্ব চেতনা থেকে দূরে সরে যাওয়া।
মুসলমানদের মধ্যে এখন অনেক সমস্যা, এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। কিন্তু সমস্যা উত্তরণে অনেক বিষয়ের দিকে না তাকিয়ে আপাতত মূল দুটি বিষয়ের দিকে আলোকপাত করছি।
প্রথম উদাহরণ হিসেবে দেয়া যায় কাশ্মীরকে। কাশ্মীরের বিশ্বাসঘাতকতা মূলে ছিলো তাদের নেতা শেখ আব্দুল্লাহ। শেখ আব্দুল্লাহ’র উত্থান হয়েছিলো হিন্দু রাজার বিরুদ্ধে মুসলিম আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। কিন্তু পরবর্তীকালে সেই শেখ আব্দুল্লাহ-ই সেক্যুলার হয়ে যায়। সে মুসলমানদের সাথে না, হিন্দুদের সাথে মিলে দেশ গঠন করতে বেশি ইচ্ছুক হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী পদের বিনিময়ে হিন্দুদের সাথে সমঝোতা করে এবং তার বিশ্বাসঘাতকতার কারণে কাশ্মীর চলে যায় ভারতের হাতে। প্রায় ৭০ বছর ধরে নির্যাতিত হতে থাকা কাশ্মীরকে অনেক জীবন ও নারীর সম্ভ্রমকে মূল্য হিসেবে দিতে হয়েছে। কিন্তু তারপরও তারা সফলতার মূখ দেখেনি, কারণ কাশ্মীরের নেতৃত্বে ঘুড়ে ঘুড়ে সেই বিশ্বাসঘাতকরাই এসেছে। বিশ্বাসঘাতককে নেতৃত্বে রেখে আপনি নিশ্চয়েই জয়ী হতে পারবেন না।
এরপর যদি ফিলিস্তিনের দিকে তাকান তবে দেখবেন একই অবস্থা। ৭০ বছর ধরে তারা নির্যাতিত। ৬৭ সালে মাত্র ৬ দিনের যুদ্ধে বিরাট এলাকা দখল করে নেয় ইহুদীরা। সমস্যা হলো, এ যুদ্ধগুলোতে মুসলমানদের হয়ে যারা নেতৃত্ব দেয় তারা নিজেরাই মুসলমান না। ৬৭ সালের যুদ্ধে মুসলমানদের তিন নেতা ছিলো যথাক্রমে মিশরের জামাল আব্দেল নাসের, সিরিয়ার হাফিজ আল আসাদ আর মরোক্কোর বাদশাহ হুসাইন। অথচ জামাল আব্দেল নাসের ছিলো কট্টর ইসলামবিদ্বেষী (ইখওয়ানিদের হত্যাকারী), হাফিজ আল আসাদ ছিলো বামপন্থী আর মরক্কোর হুসাইন নিজেই ছিলো ইসরাইলি এজেন্ট, যা পরবর্তীতে ফাঁস হয়। পরবর্তীকালে ফিলিস্তিনিরা নেতা হিসেবে নেয় ইয়াসির আরাফাতকে, যে একজন বামপন্থী। এই যখন মুসলমান নেতাদের অবস্থা তখন মুসমানদের পরাজয় ঘটবে এটাই তো স্বাভাবিক।
বিশ্বাসঘাতকতার পর আসছি নিজস্ব চেতনা নিয়ে। এখানেও সমস্যা। মুসলমানরা আজকাল তাদের ধর্মীয় পরিচয় থেকে জাতীয়তাবাদী পরিচয় দিতে বেশি সাচ্ছন্দ্য বোধ করে। যেমন:
- বাংলাদেশের মুসলমানরা নিজেদের আগে বাঙালী, পরে মুসলমান ভাবে,
-ভারতীয় মুসলমানরা নিজেদের আগে ভারতীয় পরে মুসলমান মনে করে;
-আরবের মুসলমানরা নিজেদের আগে আরবীয়, পরে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
আর সমস্যা সেখানেই হয়। কারণ মুসলমানরা নিজেদের জাতীয়তাদী পরিচয় দিলেও মুসলমানদের শত্রুরা নিজেদের সাম্প্রদায়িক পরিচয় দিয়ে যুদ্ধ করতে এগিয়ে আসে। ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারের ঘটনার পর বুশ মুসলমান দেশে হামলাকে ক্রুসেড বলে ঘোষণা করেছিলো, ইহুদীরা ইসরাইল-ফিলিস্তিনে যেটা করছে সেটা তারা তাদের ধর্মীয় যুদ্ধ মনে করে, ভারতে হিন্দুরা যেটা করছে সেটা তাদের কাছে হিন্দুত্ববাদ এবং মায়ানমারে যেটা হয়েছে সেটাও বুদ্ধবাদ বলেই করা হয়েছে। এবং এটা খুব স্বাভাবিক বিষয় সাম্প্রদায়িক চেতনার কাছে জাতীয়বাদী চেতনা কখনই টিকবে না, এবং সেটা সম্ভবও নয়। কিন্তু তারপরও মুসলমানরা বছরের পর বছর একই ভুল করে চলেছে।
- বাংলাদেশের মুসলমানরা নিজেদের আগে বাঙালী, পরে মুসলমান ভাবে,
-ভারতীয় মুসলমানরা নিজেদের আগে ভারতীয় পরে মুসলমান মনে করে;
-আরবের মুসলমানরা নিজেদের আগে আরবীয়, পরে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
আর সমস্যা সেখানেই হয়। কারণ মুসলমানরা নিজেদের জাতীয়তাদী পরিচয় দিলেও মুসলমানদের শত্রুরা নিজেদের সাম্প্রদায়িক পরিচয় দিয়ে যুদ্ধ করতে এগিয়ে আসে। ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারের ঘটনার পর বুশ মুসলমান দেশে হামলাকে ক্রুসেড বলে ঘোষণা করেছিলো, ইহুদীরা ইসরাইল-ফিলিস্তিনে যেটা করছে সেটা তারা তাদের ধর্মীয় যুদ্ধ মনে করে, ভারতে হিন্দুরা যেটা করছে সেটা তাদের কাছে হিন্দুত্ববাদ এবং মায়ানমারে যেটা হয়েছে সেটাও বুদ্ধবাদ বলেই করা হয়েছে। এবং এটা খুব স্বাভাবিক বিষয় সাম্প্রদায়িক চেতনার কাছে জাতীয়বাদী চেতনা কখনই টিকবে না, এবং সেটা সম্ভবও নয়। কিন্তু তারপরও মুসলমানরা বছরের পর বছর একই ভুল করে চলেছে।
এই সূত্র শুধু কাশ্মীর-ফিলিস্তিন নয়, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের জন্য, ছোট থেকে বড় সব আন্দোলন বিক্ষোভের জন্য প্রযোজ্য। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সাধারণ মুসলমানদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সাধারণ মুসলমানরা যদি সচেতন হয়, তখন বিশ্বাসঘাতক বা চেতনাহীন কোন আন্দোলনকে তারা সাপোর্ট দেবে না। ফলে একই ভুল বার বার হওয়ার আশঙ্কাও কমে যাবে।
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/ noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/ Noyon-Chatterjee-6-20264727 0140320/)
-------------------------- -------------------------- --------------------------------------------
(https://www.facebook.com/
--------------------------
0 comments:
Post a Comment