কোটা পদ্ধতি আর প্রশ্নফাঁসের মধ্যে তফাৎ কোথায় বলতে পারেন ?
প্রশ্নফাঁস হলে আমাদের মধ্যে একটা মহল ছি: ছি: করে। বলে- “শিক্ষাক্ষেত্র গেলো, গেলো।” আরো বলে-“মেধা নষ্ট হচ্ছে, মেধাবী ও দুর্বল ছাত্র একাকার হচ্ছে। ” কিন্তু ঐ গোষ্ঠীটা কিন্তু কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে বলে না।
কিন্তু একটু চিন্তা করে দেখুন তো,
প্রশ্নফাঁস আর কোটা পদ্ধতির মধ্যে তফাৎটা কোথায় ?
প্রশ্নফাঁসে যেমন মেধাবী ও দুর্বল একাকার হয়ে যায়, ঠিক কোটা পদ্ধতিতেও তো একই অবস্থা। বরং কোটা পদ্ধতিতে একধাপ এগিয়ে মেধাবীকে বসিয়ে দুর্বলকে পুরষ্কৃত করা হয়।
এজন্য দেখবেন, যারা এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে তাদের কাছে কিন্তু কোনটাই খারাপ লাগে না। প্রশ্নফাঁসও খারাপ লাগে না, কোটা পদ্ধতিও খারাপ লাগে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ মুখে বলেছেন, তিনি প্রশ্নফাঁসে বড় কোন সমস্যা দেখছেন না। আবার দেখা যাচ্ছে, কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের পিটুনি খেতে হয়েছে, ৮০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে।
আসলে সত্যিই বলতে-
যারা প্রশ্নফাঁস করে, তারাই কোটা সিস্টেম প্রণয়ন করে,
তাদের কাছে কখনই এগুলো খারাপ লাগে না, বরং ভালো লাগে। তারাই এগুলো করে। তারা চায়, দেশের মেধাবীরা ধ্বংস হয়ে যাক, মূর্খ শ্রেণী টিকে থাকুক।
কারণ মেধাবীরা বেশি বুঝবে, তারা চাকুরী পেলে বলবে- ‘যোগ্যতায় চাকুরী পেয়েছি।’ মেধাবীরা মাথা খাটাবে, এতে চোর-চ্ছ্যাচ্চরদের সমস্যা হবে।
অপরদিকে মুর্খদের পুরষ্কার স্বরূপ চাকুরী দিলে তারা সারা জীবন মাথা নত করে থাকবে। উঠতে বসতে ‘জি হুজুর’ ‘জি হুজুর’ বলবে। চুরিতে তো বাধা দেবে না, বরং সাহায্য করবে। আর মেধা না থাকায়, নতুন কিছু চিন্তাও করতে পারবে না। মাছি মারা কেরানী হবে। এক ফাইলে মরা মাছি দেখলে, অন্য ফাইলে নিজ থেকে মাছি মেরে লাগায় দিবে।
আসলে এগুলো সবগুলো আন্তর্জাতিক ইহুদীবাদী সম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র তথা কর্পোরেটোক্রেসির অংশ। তাদের দিকনিদের্শনা অনুসারেই দেশের দুর্নীতিবাজ শাসকরা তাদের দেয়া প্ল্যান বাস্তবায়ন করে।
সত্যি বলতে, একটা দেশে মেধার মূল্যায়ন মানে ঐ দেশ জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উন্নতি হওয়া। কিন্তু ইহুদীবাদী কর্পোরেটরা তাদের ক্ষমতা ধরেই রেখেছে ‘প্রযুক্তি আর জ্ঞানের’ মোড়কে। সেটা মুসলমানদের কাছে চলে আসলে সমস্যা। তবে হ্যা, মুসলমানদেশগুলো যখন তাদের মেধাবীদের মূল্যায়ন না করবে, তখন মেধাবীদের কিনে নেবে সম্রাজ্যবাদীরা। ৫-১০ লক্ষ টাকা বেতনের চাকুরী দিয়ে নিজের দেশে নিয়ে আসবে। পরিভাষায় যাবে বলে, ব্রেইন ড্রেইন ।
এরপর মুসলমানদের মেধা দিয়ে তারা যে প্রযুক্তি তৈরী করবে, সেটা দিয়ে উল্টো মুসলমানদেরই শাসন করবে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার কামাবে, সারা বিশ্বে সম্রাজ্যবাদ টিকিয়ে রাখবে।
এই তো কিছুদিন আগে কাজী আইটি সেন্টার লিমিটেড’র মালিক মাইক কাজী বলেছিলেন, “আমি আমেরিকায় প্রায় ৩০ বছর ধরে কাজ করেছি। আর বাংলাদেশে ৮ বছর ধরে। আমেরিকানদের মধ্যে অনেক মেধাবী আছে। কিন্তু আমাদের বাঙ্গালী ভাই-বোনেরা আরও বেশি মেধাবী।” (http://bit.ly/2FJMj5W)
এ কথা শুনে স্বাভাবিক একটা প্রশ্ন উদিত হয়, সম্রাজ্যবাদীদের জন্য মুসলমানদের মেধা আসলে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ ?
কিছুদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্র্যাম্প মুসলমান দেশগুলো থেকে অভিবাসী নেয়ার বিরুদ্ধে আইন করেছিলো। তখন কিন্তু এর প্রতিবাদ করেছিলো ফেসবুক, গুগল ও অ্যাপলসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। কারণ তাদের কোম্পানি টিকে আছে মুসলমানদের মেধার উপর ভিত্তি করে। মুসলমান আসা বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে তাদের কোম্পানিগুলো মেধাশূণ্য হয়ে যাবে। আর মেধাশূণ্য হওয়া মানে তাদের পথে বসে যাওয়া। (http://bit.ly/2GFR3qD)
যাই হোক, কথা বলছিলাম কোটা পদ্ধতি আর প্রশ্নফাঁস নিয়ে। শেষে একই কথা আবার বলবো-
ইহুদীবাদীদের সিস্টেমই হলো, তারা মুসলমান দেশেই মুসলমানদের মেধার অবমূল্যায়ন করবে। মেধার মূল্যায়ন না পেয়ে শেষে মেধাবীরা ইহুদীবাদীদের কাছে নিজের মেধা বিক্রি করতে যাবে। এতে এক কাজে দুই কাজ হবে। মানে- মেধাহীন মুসলমানদেশগুলো কখনও মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে না। আর মুসলমানদের মেধা ক্রয় করে ইহুদীবাদীরা উল্টা মুসলমানদের উপরেই সেটা প্রয়োগ করবে। ইহুদীবাদী ভালো করেই জানে, স্ট্রাইকার (মেধাবী) শত্রুর কোটে না রেখে, নিজ কোটে নিয়ে আসাই সফলতার চাবিকাঠি।
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/ noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
(https://www.facebook.com/
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/ Noyon-Chatterjee-6-20264727 0140320/)
-------------------------- -------------------------- --------------------------------------------
(https://www.facebook.com/
--------------------------
0 comments:
Post a Comment