‘কর্পোরেটক্রেসি’ নামক সম্রাজ্যবাদের ভয়াল থাবা দিয়ে কিভাবে বাংলাদেশের মত রাষ্ট্রগুলোকে গ্রাস করে তার স্ববিস্তারে বর্ণনা আছে বইটিতে।
প্রথমত, সম্রাজ্যবাদীদের তৈরী এসব অর্থনৈতিক ঘাতকরা বাংলাদেশের মত রাষ্ট্রগুলোকে বলবে- “আপনাদের দেশের উন্নয়নের জন্য অমুক অমুক রাস্তাঘাট, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস হাইওয়ে, সেতু, বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিমানবন্দর দরকার।”
দ্বিতীয়ত, এর জন্য ঋণ লাগলে তারাই ঋণ দেবে। কিন্তু শর্ত তাদের লোক ও প্রযুক্তি দিয়ে সে সব ভৌত কাঠামো বানিয়ে দেবে। ফলে ঋণের টাকার একটা বিরাট অংশ তাদের এক্যাউন্টেই ফিরে আসবে। কিন্তু সুদে-আসলে একটি বিরাট ঋণের বোঝা দেশেরে কাধে চাপবে।
তৃতীয়ত, ঋণের ভারে ন্যুজ দুর্নীতিগ্রস্ত শাসকদের দিয়ে সম্রাজ্যবাদীদের বিভিন্ন স্বার্থ উদ্ধার করা হবে।
চতুর্থত, অনুৎপাদনশীল ভৌত কাঠামো (রাস্তাঘাট, ফ্লাইওভার, সেতু) দিয়ে পুরো দেশ ভরে ফেলা হবে, সব টাকা শেষ করে পুরো দেশকে ঋণগ্রস্ত করা হবে, কিন্তু বিভিন্ন উৎপাদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ খাত (যেমন-শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি) -এ ইনভেস্ট কমিয়ে বেহাল দশায় পরিণত করা হবে। যেখানে একটি দেশ নিজের অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে মেরুদণ্ড খাড়া করে দাড়াতে পারতো, সেখানে ওদের ঋণের ফাদে আটকে সম্রাজ্যবাদীদের গোলামে পরিণত হবে।
অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন, একটি দেশে রাস্তাঘাট, ফ্লাইওভার, সেতু হলে তো দেশটি উন্নত হলো।
না উন্নত হয় না, ফ্লাইওভার, সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস হাইওয়ের থেকে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদনশীল খাতে জরুরী ইনভেস্ট দরকার। কিন্তু সেটা না করে বিদেশ থেকে ঋণ এনে ভৌতকাঠামো বানিয়ে উল্টো দেশের ক্ষতি হচ্ছে ।
অনুৎপাদনশীল খাতকে গুরুত্ব দিয়ে উৎপাদনশীল খাত বন্ধ করায় দেশের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য বাংলাদেশে উৎপাদনশীল খাতের ৯৯% বেসরকারী উদ্যোগে, মাত্র ১% সরকারের উদ্যোগে।(
http://bit.ly/2FD79Az) এ থেকে বোঝা যায়, উৎপাদনশীল খাতগুলোর দিকে সরকার নজর দিতে কতটুকু অনাগ্রহী।
তবে বাস্তবতা হচ্ছে,
এসব ফ্লাইওভার, সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস হাইওয়ে যখন তৈরী শেষ হবে, তখন এগুলো ব্যবহার করার সামর্থ বাংলাদেশের আর মানুষের থাকবে না, বিদেশী সম্রাজ্যবাদীরা এদেশের সম্পদ লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার সময় যাতায়তের সুবিধার জন্য এগুলো ব্যবহার করবে। বাস্তবে সম্রাজ্যবাদীদের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে এগুলো তৈরী করা হচ্ছে, বানানো হচ্ছে, কিন্তু সেগুলো সুদে আসলে পরিশোধ করছে এদেশের মানুষ। অর্থনৈতিক ঘাতকদের ম্যারপ্যাচে ঘুরছে বাংলাদেশ, কিন্তু কাউকে টু-শব্দ করতে দেখছি না।
সুন্দর এবং সময় উপযোগী লেখা। লেখার মাধ্যমে সত্য উন্মোচিত হয়েছে দেখেই ১ ঘন্টার মধ্যে ফেবুক থেকে লেখাটি মুছে দিয়েছে।
ReplyDeleteধন্যবাদ গুরুত্বদিক নিয়ে অালোচনা করছেন
ReplyDeleteধন্যবাদ গুরুত্বদিক নিয়ে অালোচনা করছেন
ReplyDeleteআরো তথ্যবহুল হলে ভাল হোত।সাধারণ মানুষকে পরিষ্কার করে বোঝানো যেত যে, উন্নয়নের পিছনের মূল লক্ষ্য কি!বাংলাদেশের মানুষ এখন বুঝছে যে দেশ তো অনেক উন্নত হচ্ছে। কিন্তু আমি আপনার এই লিখা পড়ে বুঝলাম যে আসলে কি হচ্ছে। দুর্নীতি থেকে শুরু করে সকল ঘটনা তুলে ধরতে চেষ্টা করলে খুশি হোতাম। ধন্যবাদ।দারুন লিখছেন। চালিয়ে যান আপনার এই কলম যুদ্ধ
ReplyDeleteচিন্তার খোরাক আছে। এই ফাঁদ থেকে কিভাবে কিছু দেশ বেরিয়েছে জানাবেন।
ReplyDeletegood collection
ReplyDeleteজাযাকাল্লাহ ভাই
ReplyDeleteফলাফল পান আর না পান লিখে যান । আশা করি ফলাফল একটা সময় আসবেই। অনেক গবেষনা মুলক লেখা ভাই। ধন্যবাদ
ReplyDeleteবইটির পিডিএফ লিংক হবে??
ReplyDelete