Tuesday, March 27, 2018

আজকে বাংলাদেশের হাইকোর্টে মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার বৈধতা নিয়ে একটি রিট খারিজ করেছে দিয়েছে আদালত।


উল্লেখ্য কিছুদিন আগে মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গীত পাঠ করতে সার্কুলার জারি করে সরকার। সেই সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করে কুড়িগ্রাম জেলার একটি মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলাম মিয়া ও এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর অভিভাবক মনির হোসেন স্বাধীন শেখ। রিটকারীদের দাবি ছিলো, “১৯৭৮ সালের বিধান অনুসারে কেবল স্কুলেই দিনের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে, মাদ্রাসায় নয়। মাদ্রাসা শরিয়ত মোতাবেক চলে। এখানে কোনো প্রকার সঙ্গীতের প্রতিযোগিতা অনুমোদন করে না।”

রিটটি খারিজ করার যুক্তি হিসেবে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলে, “‘আপনি দেখান পবিত্র কোরানের কোথায় আছে, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া যাবে না? পবিত্র কোরানের কোথাও নেই যে, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া যাবে না। আগে তো মাদ্রাসার সিলেবাসে অংক, ইংরেজি, বিজ্ঞান বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল না। যুগের চাহিদা অনুযায়ী সে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রকারান্তরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করার জন্যই এ রিট করা হয়েছে।’
আদালত আরও বলে, ‘স্কুলের শিক্ষার্থীরা জাতীয় সঙ্গীত গাইবে, আর মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা গাইবে না, এটা তো হতে পারে না। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা দেশের বাইরে গেলে যখন বিদেশিরা জাতীয় সংগীতের বিষয় জানতে চাইবে, তখন শিক্ষার্থীরা কী জবাব দেবে? ব্রিটিশ আমলে আমরা ইংরেজি না শিখে পিছিয়ে পড়েছিলাম। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে দিতে এ ধরনের রিট করা হয়েছে।’
(সূত্র: https://bit.ly/2GyCaZC)

রিট নিয়ে বিচারপতির বক্তব্য সত্য না মিথ্যা আমি সেই তর্কে যাব না। তবে পুরো খবরটা পড়ে আমার বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে কিছু ভাবনা উদয় হলো। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে ‘মা’ শব্দটা বেশ কিছুবার ব্যবহৃত হয়েছে। বাংলাদেশের যারা জাতীয় সঙ্গীতের পক্ষে তাদের দাবি, ‘এখানে মা শব্দটা দ্বারা মাতৃভূমিকে বুঝানো হয়েছে। তাই এখানে ধর্মীয়করণে সুযোগ নেই।”

পাঠক ! আমার জানা মতে নিজেদের দেশ বা ভূমির ক্ষেত্রে ‘মা’ শব্দটা নিয়ে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্বাসগত কিছু তফাৎ আছে।

হিন্দুদের ক্ষেত্রে নিজভূমি বা দেশকে সরাসরি ‘মা’ বা ‘মাতা’ বলে চিহ্নিত করায় কিছু নিজস্ব বিশ্বাস রয়েছে। হিন্দুদের ক্ষেত্রে স্বদেশ বা মাতৃভূমি একটি নারী লিঙ্গ বলে বিবেচিত হয়। এ ক্ষেত্রে, তারা মাতৃভূমি বলতে নারী লিঙ্গে কোন অবয়বকে কল্পনা করে। এবং অনেক ক্ষেত্রে সেই নারী লিঙ্গে অবয়বও তা অঙ্কন করে। যেমন ‘ভারত মাতা’ বলতে ভারতীয় হিন্দুরা একটি আলাদা দেবীকে কল্পনা করে। এ কারণে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে ভারত মাতা কি জয় বলাকে ইসলামবিরোধী বলে ফতওয়া দেয়া হয়েছে। এবং বিষয়টি নিয়ে ভারতের মাদ্রাসাগুলো বেশ কয়েক বার কোর্টের দারস্ত হয়েছে। (https://bit.ly/2pKXm4a)

অপরদিকে মুসলমানদের ক্ষেত্রে বিশ্বাসটা একটু ভিন্ন। মুসলমানরা মাতৃভূমি বলতে কোন লিঙ্গ নির্দেশিত কিছু চিহ্নিত করে না, বরং গর্ভধারিনী মায়ের আবাস ভূমিকে বুঝায়। মুসলমানরা মাতৃভূমি বলতে কোন নারী লিঙ্গের কোন অবয়ব কল্পনা করে না।

এ কারণে হিন্দুরা যদি দেশকে মা বা মাতা বলে বুঝতে হবে সেখানে তারা কোন দেবীকে কল্পনা করেছে। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার স্বদেশ নামক গানে স্বদেশের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছে,
“ডান হাতে তোর খড়্গ জ্বলে,
বাঁ হাত করে শঙ্কাহরণ,
দুই নয়নে স্নেহের হাসি
ললাটনেত্র আগুনবরণ।
কবি স্বদেশকে তুলনা করে দেবী দূর্গার সাথে। তারমানে রবীন্দ্রনাথ যে স্বদেশকে হিন্দু ধর্মীয় দেবীর সাথে তুলনা করে এটা স্পষ্ট।

বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের শেষের কিছু লাইন-
“ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে,....ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে,.....মা, তোর ভূষণ ব'লে গলার ফাঁসি । ” (https://bit.ly/2Gh9Lnt)
আপনি যতই বলেন, এখানে মা নিয়ে ধর্মীয়করণে সুযোগ নেই, কিন্তু এখানে স্পষ্ট রবীন্দ্রনাথ মা বলতে কোন দেবীকে কল্পনা করেছে। এই তিনটি লাইন স্পষ্ট - এখানে রবীন্দ্রনাথ মাতৃভূমিকে দূর্গা, অথবা কালী, অথবা অন্নপূর্ন্না, অথবা কোন দেবীর সাথে তুলনা করেছে। মায়ের চরণে মাথা পাতা (দেবীর পূজা), চরনে ধন-সম্পদ দেয়া (দেবীর মূর্তির সামনে ভোগ বা অন্য সম্পদ দেয়া) এবং মাকে ভূষণ (বস্ত্র, অলংকার বা অস্ত্র) দেয়া তিনটি বিষয়ের সাথে দূর্গা বা কালীর পূজা সময় লক্ষ্যনীয় অনুষ্ঠানাদি।

তাই আপনি ‘আমার সোনার বাংলা’ গানকে যতই অসাম্প্রদায়িক বলে জাতীয় সঙ্গীত বানাতে চান, মাদ্রাসা ছাত্রদের দিয়ে সুর করে পড়ান, লাভ হবে না। হিন্দুদেবী বন্দনা, বন্দনাই থাকবে।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

পৃথিবীর ১১টি 'সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড’-এর মধ্যে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় রয়েছে ১টি

বাংলাদেশ গরীব রাষ্ট্র, পশ্চিমাদেশগুলো বাংলাদেশকে ডাকে ‘থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি’ নামে, পাশের ভারত ডাকে ‘কাংলাদেশ’, মিডলইস্টে গেলে বাংলাদেশী শ্রমিকদের বলে ‘মিসকিন’। কিন্তু আসলেই কি বাংলাদেশ গরীব দেশ ?

বাংলাদেশ কিন্তু গরীব দেশ নয়। বাংলাদেশে যে পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ আছে, সেগুলো যদি সঠিক উপায়ে আহরণ করা যায় তবে বাংলাদেশীরা মিডলইস্টের মানুষের মত পায়ের উপর পা তুলে সারা জীবন বসে খেতে পারবে। কিন্তু সমস্যা হলো বাংলাদেশের মানুষ জানেই না তাদের কি সম্পদ আছে। আর বাংলাদেশের মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে দেশীয় শাসকরা সেই সব সম্পদ বিদেশীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে।

এই ভিডিওটি (
https://youtu.be/BUXNtjV1ds0) বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় অবস্থিত 'সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড’ নামক একটি অঞ্চল নিয়ে। সোয়াচ অব নো-গ্রাউন্ড হচ্ছে বঙ্গপোসাগরের ভেতরে এক ধরনের গিরি খাদ, পৃথিবীর মধ্যে এ ধরনের ১১টি গিরিখাদ আছে, যার ১টি বাংলাদেশে অবস্থিত। তবে এই সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এখানে তিমি, হাঙ্গর, ডলফিনের প্রজননক্ষেত্র।


হয়ত ভাবছেন- এগুলো হলে লাভ কি ?

অনেক লাভ আছে। সবগুলো হয়ত জানা নাই। তবে একটি হতে পারে, এ অঞ্চলটি তিমি মাছের প্রজননস্থল হওয়ায় এখানে ambergris নামক এক ধরনের বস্তু পাওয়া যেতে পারে। ambergris হলো তিমি মাছের (মৃত) স্প্যার্ম থেকে তৈরী পাথর সদৃশ্যবস্তু,যা ভাসমান সোনা বলে পৃথিবীতে মূল্যবান বস্তু বলে বিবেচিত হয়। ambergris এর প্রতি কেজির মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড যদি তিমি মাছের প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হয়, তবে সেখানে কত কেজি ambergris পাওয়া যেতে পারে?

বাংলাদেশের মানুষ খবর না রাখলেও বিদেশীরা কিন্তু বাংলাদেশের সম্পদ সম্পর্কে খুব ভালো খবর রাখে। আমেরিকার রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট ২০১৬ সালে এক কনফারেন্সে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড সম্পর্কে বিশ্বের নেতৃবৃন্দের আগ্রহ রয়েছে সেটা বুঝিয়েছিলো (https://bit.ly/2DUviAj)। ভারতীরা ২০০৮ সালে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড সম্পর্কে বিস্তারিত গবেষণাপত্র বের করে (https://bit.ly/2G57XBL)

ইতিমধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ নামক ১৭ শর্তের চুক্তিতে সই করে এসেছে, যার ১৪ নম্বরে বাংলাদেশের সমুদ্র সম্পদের কথা বলা আছে। এই ১৭ নম্বর শর্তে ব্লু ইকোনোমি থিউরীতে বাংলাদেশে সমুদ্র সম্পদ কিভাবে ব্যবহার করা যায় সেই বিষয়টি স্পষ্ট করা আছে। কথা হলো- এই ব্লু ইকোনোমিতে বাংলাদেশের মানুষের সস্তায় ভাত থেকে পারবে নাকি শাসক গোষ্ঠীর ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ভরপুর হবে সেটাই এখন চিন্তার বিষয়।

এখানে মনে রাখতে হবে, আইনত বাংলাদেশের সকল প্রাকৃতিক সম্পদে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার সবার আগে। কোন সম্পদ পাওয়া গেলে তা দিয়ে আগে জনগনের জীবনযাত্রা উন্নত করতে হবে, অধিকার দিতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের অজ্ঞতা ও বেখেয়ালের কারণে এসব সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছে দুর্নীতিবাজ শাসকগোষ্ঠী, আর তা স্বল্পমূল্যে লুটে নিয়ে যাচ্ছে বিদেশী সম্রাজ্যবাদীরা। তাই বাংলাদেশীদের ভাগ্য পরিবর্তনে দেশের অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নাই।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

বাংলাদেশ যখন হিজরাদের হাতে


হিজরা’ শব্দটার ব্যবহারিক অর্থে বিশেষ মনুষ্য শ্রেণীকে বোঝালেও, পরিভাষিকভাবে ‘হিজরা’ শব্দটা কাপুরুষ বা প্রতিক্রিয়াহীন মানুষকে বোঝায়। যারা শত-সহস্র অন্যায় দেখলেও চুপ করে থাকে তাদের পরিভাষিকভাবে ‘হিজরা’ বলে।
আজকে মহান ২৬শে মার্চ। মহান স্বাধীনতা দিবস। এ দিনের মূল শিক্ষা ছিলো-দেশের বিরুদ্ধে অন্যায় দেখলে অস্ত্র হাতে ঝাপিয়ে পড়তে হবে”। কিন্তু সে শিক্ষা কি আদৌ মানুষ পাচ্ছে ? আজকের দিনের মূল প্রোগ্রাম- দেশের মানুষ এক সাথে রবীন্দ্রের লেখা জাতীয় সঙ্গীত পাঠ করবে।এই গানের মাধ্যমেই নাকি স্বাধীনতার চেতনা জাগ্রত হবে।
কিন্তু যে গানে স্বাধীনতার কথা নেই, মুক্তিযুদ্ধের কথা নেই, দেশকে কিভাবে রক্ষা করতে হবে সে কথা নেই। আছে- “ঘুম পাড়ানি মাসি পিসি মোদের বাড়ি এসো” টাইপের সুর দিয়ে জাতিকে কিভাবে ঘুম পাড়িয়ে রাখা যায়, ডিমোরালাইজ করা যায় সেই তত্ত্ব, সে গান গেয়ে জাতির স্বাধীনতার চেতনা জাগ্রত হবে কিভাবে ?
আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীত শুনবেন, রনসঙ্গীত। ওদের জাতীয় সঙ্গীত শুনলে মনে হয় দেশের জন্য যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ি, ফ্রান্সের জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে স্পষ্ট বলা আছে- শত্রুর মাথা কেটে নেয়ার নির্দেশ। আর বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে আছে ঘুমিয়ে থাকার চেতনা, হিজরা হওয়ার চেতনা। জাতীয় সঙ্গীতের লেখক রবীন্দ্রের কথা বেশি বলতে চাই না। শুধু বলবো বিশিষ্ট পতিতা ব্যবসায়ী রবীন্দ্র’র কলকাতার ২৩৫-২৩৬ বউবাজার স্ট্রিটে ছিলো ৪৩টি বেশ্যাঘর, যার ভাড়া ১৪০ রুপি। সোনাগাছি পতিতাপল্লীতেও ছিলো দুইটি ঘর। সত্যি বলতে এই পতিতালয়ের চেতনা দিয়ে তো দেশের মানুষকে জাগ্রত করতে পারবেন না, বরং জাতিকে ডিমোরালাইজ করতে পারবেন।
ইতিমধ্যে এর প্রভাব কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি। ওমুক দেশ বাংলাদেশ দখলের হুমকি দিচ্ছে, ওমুক দেশ সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ ঘটাচ্ছে, তমুক দেশ বাংলাদেশের সম্পদ লুটে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে মানুষের মধ্যে কোন চেতনা আসছে না। চেতনা আসছে, নাগিন ড্যান্স দেয়ার মধ্যে, চেতনা আসছে পিয়ার চোখ মারার মধ্যে, চেতনা আসছে ভ্যালেন্টাইন ডে কিংবা পহেলা বৈশাখে বাঘ-ভল্লুকের মূর্তি নিয়ে নাচানাচির মধ্যে। এটাই হচ্ছে, রবীন্দ্রের জাতীয় সঙ্গীতের প্রভাব, জাতিকে ডিমোরালাইজ বা হিজরা করার ফলাফল। তাই বলতে বাধা নেই, সত্যিই বাংলাদেশ এখন হিজরাদের হাতে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

১ মিনিট নিরবতা পালন ব্রিটিশদের অধীনে বাংলাদেশের গোলামির ইতিহাসও স্মরণ করিয়ে দেয়

আজকে (২৫ মার্চ) বাংলাদেশ সময় রাত ৯:০০টা থেকে ৯:০১ মিনিটে সবার লাইট বন্ধ রাখতে বলেছে সরকার। সাথে সবাই করবে ১ মিনিট নিরবতা পালন।
১ মিনিট নিরবতা পালনকে ইংরেজীতে বলে Moment of silence। এই কালচারটা মূলত খ্রিস্টাদের উপসনালয় চার্চ ও ইহুদীদের উপসনালয় সিনাগগ থেকে আগত। খ্রিস্টানদের চার্চ ও ইহুদীদের সিনাগগে Silent prayer বা নিরবে প্রার্থনা বলে একটা ধর্মীয় রীতি আছে। ঐ কালচারটা সবার জন্য চালু করতে এই ১ মিনিট নিরবতা। তবে প্রথম দিকে এ কালচারটা শুধু কমনওয়েলথভূক্ত মানে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদীরা এক সময় যে দেশগুলো শাসন করেছে সেখানে (১ মিনিট নিরবতা কালচার) ছড়িয়ে দেয়া হয়। তারমানে ১ মিনিট নিরবতা পালন শুধু ইহুদী ও খ্রিস্টান ধর্মের কালচার বহন করে না, বরং বাংলাদেশ এক সময় ব্রিটিশদের অধীন ছিলো, এই গোলামির ইতিহাসও স্মরণ করিয়ে দেয়।
একইভাবে, ২৫শে মার্চ কালোরাতকে স্মরণ করতে যদি লাইট বন্ধ করতে হয়, তবে ঐ দিন গণহত্যাকে স্মরণ করতে তো আজকে গণহত্যাও চালাতে হবে। আসলে যে কোন কিছু স্মরণ করতে হয় যার যার অবস্থান থেকে। মানে আপনি একাত্তর সালকে স্মরণ করবেন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে, পাকিস্তানী বাহিনী হয়ে নয়। ২৫শে মার্চ কালোরাত্রী এনেছিলো পাকিস্তানীরা , বাংলাদেশীরা পুলিশ লাইন থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় তার প্রতিরোধ গড়েছিলো। ২৫শে মার্চ যদি স্মরণ করতে হয়, তবে সেই প্রতিরোধের কথা স্মরণ করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি পাকিস্তানীদের মত কালোরাত্রীকে নিয়ে আসেন, তবে সিস্টেমরা তো উল্টো হয়ে যাবে। মানে আপনি তো পাকিস্তানী গণহত্যাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন।
আসলে আওয়ামী সরকার এখন মুক্তিযুদ্ধকে পূজি করে ব্যবসা চালাচ্ছে। তারা ধিরে ধিরে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ নামের সিস্টেম দাড় করিয়েছে, এরপর নিজেদের সে চেতনাভূক্ত দাবি করে অতিরিক্ত সুবিধা নেবে, আর বিরোধীদের তার বিরুদ্ধ দাবি করে শায়েস্তা করবে।
মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশীদের অহংকার। দয়া করে এর অপব্যবহার করবেন না, একে নিয়ে ব্যবসা করবেন না। মনে রাখবেন, মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা নিয়ে ব্যবসা করলে তার ব্যবসায়ীর মূল্য তৈরী হবে, আর যা বাজারে উঠে তার নেতিবাচক হতেও সময় লাগে না। ইতিমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবসায়ীক মূল্য তৈরী হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার বর্তমান নাম হয়েছে সুবিধাবাদী, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা কি আদৌ সুবিধা পাওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো ? এটা কি মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা নয় ?

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

শিতাংস গুহা হোয়াইট হাউসের সামনে ট্রাম্পের প্রতি আহবান জানাচ্ছে, বাংলাদেশে আক্রমণ করার জন্য !


ভিডিওর লোকটার নাম শীতাংস গুহা। বাংলাদেশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা, থাকে আমেরিকায়। শিতাংস গুহা হোয়াইট হাউসের সামনে আন্দোলন করছে, ট্রাম্পের প্রতি আহবান জানাচ্ছে, বাংলাদেশে ট্র্যাম্পকে আক্রমণ করার জন্য, হিন্দুদের রক্ষা করার জন্য। হিন্দুরা নাকি বাংলাদেশে খুব কষ্টে আছে।
গত কয়েকদিন আগে এ লোকটা দৈনিক ভোরের কাগজে একটা কলাম লিখছে (https://bit.ly/2G7tDsW)। তারা বুয়েটসহ প্রায় ১৪ বিঘা মুসলিম সম্পত্তি ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জন্য চায়। , (https://bit.ly/2G6h94R)
`মগের মুল্লুক’ বলে একটা প্রবাদের কথা আপনাদের সবার জানা। আমরা জানি, ইতিমধ্যে ভারতে হিন্দুরা মগের মুল্লুক প্রতিষ্ঠা করেছে। ‘বাবরী মসজিদ হিন্দুদের মন্দির’, ‘তাজমহল হিন্দুদের মন্দির’, ‘কুতুব মিনার হিন্দুদের মন্দির’, এখন তাদের দাবি, মুসলমানদের কাবাঘরও নাকি হিন্দুদের মন্দির।
ভারতের হিন্দুরা ক্ষমতায়, তাই গায়ের জোরে এ ধরনের ‘ঠাকুর মার ঝুলি’ হয়ত তারা আওড়াতে পারে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশেও তারা একই টাইপের প্রলাপ বকের যাচ্ছে। যদি তাদের উদ্ভট দাবি পূরণ না করা হয়, তবে ট্র্যাম্পের ভয় দেখাচ্ছে, মোদির ভয় দেখাচ্ছে।
‘বাংলাদেশে হিন্দুরা খারাপ আছে’ এ কথা একটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে সবাইকে শুনানো হয়, “ইহুদী খারাপ আছে” “ইহুদীরা খারাপ আছে”, সাইকোলোজির ভাষায় যাকে বলে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল। পরবর্তীতে সেই ইমোশনোল ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে পরাধীন হয় ফিলিস্তিনিরা।
বাংলাদেশেও মুসলমানরা হিন্দুদের আদর করে যায়গা দিয়েছিলো। এতদিন নিজের মুখে খাবার না দিয়ে হিন্দুর মুখে খাবার তুলে দিয়েছিলো। হিন্দু-মুসলিম ভাই-ভাই শ্লোগান তুলে বুকে জরিয়ে ধরেছিলো, মন্দিরে গিয়ে পূজা করেছিলো, বৈশাখী পূজায় মূর্তি নিয়ে নেচেছিলো। কিন্তু হিন্দুরা কিন্তু মুসলমানদের কখনই ভাই মনে করেনি। যদি সত্যিই হিন্দুরা মুসলমানদের ভাই মনে করতো, তবে ভুয়া দবি তুলে কখনই তারা ট্র্যাম্পের মত সম্রাজ্যবাদীকে বাংলাদেশে আসার জন্য আহ্ববান করতে পারতো না।
আমি বাংলাদেশের মুসলমানদের বলবো, এ বাংলাদেশ মুসলমানদের নয়। এ বাংলাদেশ হিন্দুদের। এ দেশ হিন্দুদের ভাইদের দেশ মুসলমানদের এ দেশে থাকার কোন অধিকার নাই। তোমরা চলে যাও, হিন্দুদের জন্য দেশ ছেড়ে দাও। ওদের কথা না শুনলে তোমাদের মোদি দিয়ে শায়েস্তা করা হবে, তোমাদের ট্র্যাম্প দিয়ে হত্যা করা হবে। তাই এখনই দেশ ছাড়ো। তোমাদের হয়ত সিরিয়ান আর রোহিঙ্গাদের মত যাওয়ার কোন যায়গা নাই, তোমরা না হয় হিন্দু ভাইদের মায়ায় বঙ্গপোসাগরেই ঝাঁপ দাও।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Thursday, March 22, 2018

আজকে বাংলাদেশ “স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উৎসব” পালন করছে।


আমি আগে এক পোস্টে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের উত্তরণের কারণে নতুন নতুন কি সমস্যা তৈরী হবে, তা নিয়ে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম (http://bit.ly/2pv4aU8)। তাই নতুন করে এর লাভ-ক্ষতি নিয়ে আলোচনা করবো না। আমার এ পোস্টে আমি আলোচনা করবো, আন্তর্জাতিক সম্রাজ্যবাদীদের কোন প্ল্যান বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এসব শব্দ (স্বল্পোন্নত, উন্নয়নশীল) ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হয়।
একটা বিষয় আমার পাঠকদের বুঝতে হবে, জাতীয় পর্যায়ে যে কোন বিষয় বুঝতে হলে আপনাকে আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো বুঝতে হবে। বাংলাদেশের রাজনীতি কোন দিতে যাবে, কিংবা নতুন নতুন কি বিষয় বাংলাদেশের আসনে আসতে পারে, এগুলো মূল সূচনা হয় আন্তর্জাতিকভাবে। সরকারিভাবে শুধু এগুলোর বাস্তবায়ন হয়। তাই আপনি যদি শুধু আওয়ামীলীগ-বিএনপি কিংবা ‘কে কয়টাকা দুর্নীতি করলো’ এর মধ্যে পরে থাকেন, তবে মূল বিষয়টা বুঝতে পারবেন না। আপনাকে আন্তর্জাতিকভাবে সম্রাজ্যবাদীদের প্ল্যানগুলো আগে ধরতে হবে, সেগুলো যখন ধরতে পারবেন, তখন আগামীতে কি কি হতে যাচ্ছে, সেগুলো নিয়ে সচেতন হতে পারবেন, আগে থেকেই প্রতিবাদ করতে পারবেন, তখন একটা কাজ হবে। কিন্তু এখন কোন অন্যায় দেখলে হয়ত আপনি প্রতিবাদ করছেন, কিন্তু সে প্রতিবাদে দেরি হয়ে গেছে। তাই আগে থেকে সম্রাজ্যবাদীদের প্ল্যানগুলো সূক্ষভাবে ধরা জরুরী।
যেমন, ধরুন বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে । এরজন্য বাংলাদেশকে জাতিসংঘের ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ নামক কিছু টার্গেট ফিলাপ করতে হয়েছে। এখন বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরীক্ষামূলক দেয়া হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশকে দেয়া হয়েছে “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা” নামক ১৭টি টার্গেট (১৬৯টি লক্ষ্য)। সময় বেধে দেয়া হয়েছে ২০৩০ সাল। এই ১৭টি টার্গেট হলো:
১) দারিদ্র্য বিমোচন
২) ক্ষুধা মুক্তি
৩) সু স্বাস্থ্য
৪) মানসম্মত শিক্ষা
৫) লিঙ্গ সমতা
৬) সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা
৭) নবায়নযোগ্য ও ব্যয়সাধ্য জ্বালানী
৮) কর্মসংস্হান ও অর্থনীতি
৯) উদ্ভাবন ও উন্নত অবকাঠামো
১০) বৈষম্য হ্রাস
১১) টেকসই নগর ও সম্প্রদায়
১২) সম্পদের দায়ীত্বপূর্ণ ব্যবহার
১৩) জলবায়ু বিষয়ে পদক্ষেপ
১৪) টেকসই মহাসাগর
১৫) ভূমির টেকসই ব্যবহার
১৬) শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠা
১৭) টেকসই উন্নয়নের জন্য অংশীদারিত্ব
(http://bit.ly/2GT4xiP)
শুনতে ভালো শোনা গেলেও প্রত্যেকটি বিষয়ের আড়ালে রয়ে গেছে সম্রাজ্যবাদীদের ফাঁদ। মূলত ইহুদীবাদী সারাবিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ইহুদীসংঘ তথা জাতিসংঘের মাধ্যমে এসব মুখরোচক প্ল্যান বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়। শুনতে খুব সুন্দর শোনা শোনা গেলেও এসব লক্ষ্যমাত্রা পালন করলেই অটোমেটিক সারাবিশ্বের মানুষ ইহুদীবাদীদের দাসে পরিণত হবে।
যেমন ধরুন- এই ১৭টি টার্গেটের ২ নম্বরটি হচ্ছে ‘২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত করতে হবে।” কিন্তু এই প্ল্যানটি বাস্তবায়ন করতে গেলে বাংলাদেশকে জিএমও ফুড গ্রহণ করতে হবে। জাতিসংঘের ‘জিরো হাঙ্গার-২০৩০’ প্রজেক্টের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে আসছে জিএমও ফুড। (http://bit.ly/2FOb1lU)
১৭ লক্ষ্যমাত্রার ৫ নম্বরে আছে ‘লিঙ্গ সমতা’। এই লিঙ্গ সমতার মধ্যে আছে `নারী পোষাক পড়তে বাধ্য করা যাবে না’, ১৮ বছরের নিচে বিয়ে বন্ধ করতে হবে, নারীকে চাকুরী ক্ষেত্রে নিয়ে আসতে হবে। এছাড়া এর মধ্যেই আছে সমকামীতা বৈধকরণ। সমকামীতা বৈধকরণ জাতিসংঘ খুব সুন্দর নামে আনবে, “Leave no one behind”। (http://bit.ly/2u7hnqW)
১৭ লক্ষ্যমাত্রার ১৬ নম্বরে আছে “শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান”। এই টার্গেটের আন্ডারে আছে ধর্মবিদ্বেষ প্রচার বৈধকরণ। (http://bit.ly/2pvczqu)
ইহুদীবাদীদের সব মাস্টারপ্ল্যান আমি ধরতে পারছি না, তবে প্রত্যেকটা পয়েন্টের ভেতর বেশ কিছু ষড়যন্ত্রের জাল। ব্যাপক গবেষণা করলে হয়ত সেগুলো বের হবে। যেমন : (৬) নম্বরে আছে ‘সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাষন ব্যবস্থা’। ইহুদীবাদীদের একটা মাস্টারপ্ল্যান আছে সারা বিশ্বের সুপেয় পানীর ব্যবস্থাকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নেয়া। জিএমও’র মাধ্যমে তারা যেভাবে খাদ্যের নিয়ন্ত্রন নেবে, ঠিক তেমনি এ প্রজেক্টের মাধ্যমে মানুষের পানিও তারা নিয়ন্ত্রণে নিতে চাইবে। কারণ পানীয় নিয়ন্ত্রণ করে আরেকটি দেশকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যেমন ইসরাইল প্যালেস্টাইনের পানি আটকে রেখে নিয়ন্ত্রণ করছে। “বাংলাদেশের নদীগুলোকে ভারত শুকিয়ে ফেলছে”-এর সাথে জাতিসংঘের টার্গেটের কোন সম্পর্ক আছে কি না, তা আমি বলতে পারবো না। তবে প্রথমআলো কয়েকদিন ধরে জারের সুপেয় পানি নিয়ে অনেক খবর করছে (http://bit.ly/2ua8nBt), এটা আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের ইহুদীবাদীদের প্ল্যানগুলো প্রথম আভাস আসে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর বিভিন্ন খবরের মাধ্যমে। তারা ঘুরিয়ে পেচিয়ে ৪-৫ বছর নিউজ করে একটা এজেন্ডার পক্ষে জনমত তৈরী করবে এরপর সরকারকে দিয়ে সেটা আইন করে বাস্তবায়ন করে। দেখা যাবে এই জারের খবর দিয়ে শুরু হলেও পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট ইহুদীবাদীদের কোন প্ল্যানের সাথে মিলে গেছে, যা বৈধ করা হবে জাতিংসের টেকসই লক্ষ্যমাত্রার (৬) নম্বর পয়েন্টের মাধ্যমে।
যাই হোক পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে, শেষে এসে বলবো, মুসলমানরা ফেসবুকে অনেক ধর্ম ও দেশবিরোধী কার্যক্রমের বিরোধীতা করে। কিন্তু এগুলো সব নিয়ন্ত্রণ হয় আন্তর্জাতিক প্ল্যানের অংশ হিসেবে। আপনি যদি অনুমান করতে পারেন, ভবিষ্যতে তারা কি ষড়যন্ত্র আনতে চাইছে, তবে আগে থেকেই তার বিরোধীতা করুন এবং বিকল্প সমাধান বের করুন, তবেই মুসলমানরা ইহুদীবাদের খপ্পর থেকে বের হয়ে নতুন কিছু করতে পারবে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

মাদরাসায় জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা বন্ধে রিট


খবর : মাদ্রাসাগুলোতে জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা বন্ধে হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) আওতাধীন দেশের সব মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে গত জানুয়ারিতে দলগত জাতীয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতা আয়োজনের নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেই পরিপত্রকে চ্যালেঞ্জ করে গতকাল হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করেছেন কুড়িগ্রামের শুখদেব ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মুহম্মদ নুরুল ইসলাম মিঞা ও ঢাকার কদমতলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর অভিভাবক মুহম্মদ মনির হোসেন স্বাধীন শেখ। রিটকারীদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। মামলাটি হাইকোর্টের রিট শাখায় জমা দেয়া হয়েছে। রিট পিটিশনে বলা হয়েছে, মাদ্রাসা হলো ইসলামী জ্ঞান শিক্ষার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। গান ও বাদ্যযন্ত্র ইসলামে নিষিদ্ধ। তাই মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রিটকারীদের ধর্মপালনের মৌলিক অধিকার খর্ব করেছে। মামলাটি আগামী রবিবার ২৫ মার্চ শুনানির কথা রয়েছে। (http://bit.ly/2u9xBzV)
মন্তব্য : খুবই ভালো উদ্যোগ। ইসলাম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ইসলাম ধর্মীয় কাজ হবে। সেখানে জোর করে ধর্মবিরুদ্ধ কাজ চাপিয়ে দেয়া কখনই সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

বাংলাদেশে কথিত উন্নয়ন কার স্বার্থে হয় ? জনগণের স্বার্থে ?


বাংলাদেশ সরকার যেসব উন্নয়ন করে কিংবা প্রকাশ্যে যেগুলোকে উন্নয়ন হিসেবে দাবী করে, সেগুলো আসলে কার স্বার্থে হয় ? এই প্রশ্নটা কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কারণ উন্নয়ন করতে গেলে কিছু জনগণকে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়, জনগণের জমি এ্যাকোয়্যার করতে হয়, দেশের মানুষের উপর ঋণের বোঝা চাপে, দেশের পরিবেশ দূষিত হয়। কিন্তু তারপরও মানুষ খুশি থাকে, কারণ তারা ভাবে- “এ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো নিশ্চয়ই আমাদের স্বার্থে করা হচ্ছে। উন্নয়নের সুফল আমরা ভোগ করবো।” তাই তারা মুখ বুঝে সব কষ্ট সহ্য করে। কিন্তু জনগণের স্বার্থে উন্নয়ন করা হচ্ছে কি না, এটা কি জনগণ যাচাই-বাছাই করতে পেরেছে ?
আমি আমার পাঠক শ্রেণীকে বলবো, কোন উন্নয়নের কথা শুনলেই লাফ দেবেন না, দয়া করে এ প্রশ্নের খুজবেন। যখন খুজতে যাবেন, তখন সব উন্নয়নের পেছনের খবরটা বেড়িয়ে আসবে। আমার এ লেখা উন্নয়নের পেছনের কারণ খোঁজার জন্য।

(১) চলতি ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসের খবর। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী ড্রেজিং প্রকল্প উদ্বোধন করলেন। নদী ড্রেজিয়ের মাধ্যমে নৌ রুটগুলো হবে। এতে সস্তায় নৌ চলাচল করা যাবে এবং কৃষি কাজের অনেক সুবিধা বর্ণনা করলেন প্রধানমন্ত্রী। (http://bit.ly/2GeB9pl)
সত্যিই আমিও নদী ড্রেজিংয়ের পক্ষে। কারণ নদী ড্রেজিং করলে সস্তায় নৌ-চলাচল বাড়ে, সড়ক পথে উচ্চমূল্যে যাতায়াত কমে। একই সাথে বন্যা কম হয় এবং কৃষকের সেচের সুবিধা হয়।
কিন্তু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন এত জনদরদী হয়ে নদী ড্রেজিয়ের ঘোষণা দিচ্ছেন, তখন আমার সন্দেহ হলো এবং পেছনের কারণ খুজঁতে উদ্দত হলাম এবং পেয়েও গেলাম ভিন্ন কিছু তথ্য।
‘দ্য ইকোনোমিক টাইমস’র একটি রিপোর্ট পেলাম । রিপোর্টটি ২০১৭ সালের ৭ই অক্টোবরের (তারিখ খেয়াল করুন) সেখানে একজন সাংবাদিক বলছে, ভারত সরকার বাংলাদেশের নদীগুলোকে ড্রেজিং করতে ইনভেস্ট করছে, কারণ ভারতের ইচ্ছা তারা কলকাতা পোর্ট থেকে বিভিন্ন পন্যদ্রব্য নদী পথে বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করাবে এবং চট্টগ্রাম পোর্টে যাবে, সেখানে থেকে সারা বিশ্বের বাণিজ্য করবে ভারত। (https://youtu.be/fvM6AGHQwLY)
সম্ভবত ভারত সরকার পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নদী ড্রেজিয়ের জন্য ঋণ দেয়ার কথা ছিলো, কিন্তু জনগণের বিরোধীতার মুখে তারা টাকা দেয়নি, তাই বাংলাদেশের বাজেট থেকেই টাকা দিয়ে নদী ড্রেজিং করা হচ্ছে। তারমানে বাংলাদেশের নদী খননকার্যের বিরাট প্রকল্পের পেছনের কারণ জনগণের স্বার্থ নয়, বরং বাংলাদেশের নৌ-রুটকে বানিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহার করবে ভারত, সেটাই।

(২) “ঢাকায় যানজট নিরসনে ফ্লাইওভার-এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করা হচ্ছে”, “জনগণের সুবিধার জন্য পদ্মা সেতু করা হচ্ছে।” এগুলো আসলে ভুল কথা। জনগণের জন্য করা হচ্ছে ভেবে হয়ত জনগণ এগুলো বানানোর সময় অনেক কষ্ট সহ্য করছে, অথবা ঋণের বোঝা মাথায় নিচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ঢাকা শহরে যে ফ্লাইওভার বা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মোটেও জনগণের স্বার্থে হচ্ছে না, বরং করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক প্ল্যান তথা এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে (https://en.wikipedia.org/wiki/Asian_Highway_Network)। উল্লেখ্য এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক জাতিসংঘের মাধ্যমে প্রস্তাবিত হয় ১৯৫৯ সালে। ১৯৫৯ সালে নিশ্চয়ই ঢাকা শহরে যানজট ছিলো না। তাহলে এখন কেন যানজটের অজুহাত দিয়ে ফ্লাইওভার-এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কথা বলা হচ্ছে?
একইভাবে জনগণের পদ্মা সেতু বলা হলেও আসলে পদ্মা সেতু হচ্ছে Trans-Asian Railway (১৯৫০ সালের প্রজেক্ট-https://en.wikipedia.org/wiki/Trans-Asian_Railway) এবং Asian Highway Network এর মধ্যে কানেকশন। (http://bit.ly/2G09e9p) সোজাভাষায় আন্তর্জাতিক প্রকল্পের বাস্তবায়ন হিসেবেই এসব সেতু-ফ্লাইওভার করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক লুটেরারা যেন সহজে সড়ক পথে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল বা উপকূলীয় এলাকার সম্পদ লুটার জন্য যেতে পারে, সেজন্য বানানো হচ্ছে এসব সেতু-ফ্লাইওভার। মাঝখান থেকে জনগণ যদি কিছু উপকার পায় তবে সেটা পূজি করে ভোট চাওয়া যাবে।

(৩) বাংলাদেশের জনগণকে বিদ্যুৎ সরবারাহ দেয়ার জন্য রামপালে ১৩৫০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র, পাবনার রূপপুরে ২৪০০ মেগাওয়াট পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরী হচ্ছে, এগুলো আসলে ভুল কথা। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় যে ১০০টি অর্থনিতক জোন করা হচ্ছে তার বেশিরভাগ তুলে দেয়া হচ্ছে বিদেশীদের হাতে। বিদেশীদের সেই সব কলকারখানা চালানোর জন্য যে বিপুল বিদ্যুতের প্রয়োজন তার সেগুলো সামাল দিয়েই তৈরী হচ্ছে এসব বড় বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র। জনগণকে বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা বললে একই সাথে এতগুলো বড় বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কথা সরকার মোটেও চিন্তা করতো না। তাদের মূল উদ্দেশ্য বিদেশী লুটেরাদের সুবিধা, মোটেও দেশের জনগণ নয়।

এসব পলিসিগুলো বুঝতে আপনারা জন পার্কিন্সের লেখা ‘একজন অর্থনৈতিক ঘাতকের স্বীকারক্তি’ বইটি পড়ুন। সেখানে স্পষ্ট লেখা আছে এসব পলিসি। তারা এই পলিসির নাম দিয়েছে ‘কর্পোরেটোক্রেসি’। ‘কর্পোরেটোক্রেসি’পলিসি অনুসারে দুর্বল রাষ্ট্রটির মধ্যে এমন বিদ্যুৎকেন্দ্র, সেতু বা ড্যাম করা হবে, যার মাধ্যমে ঐ রাষ্ট্রটি পরিবেশগতভাবে খুব ক্ষতিগ্রস্ত হবে, জনগণ ঋণের বোঝায় ন্যুজ হবে। কিন্তু দিনশেষে ঐ স্থাপনা গুলোর সুফল ভোগ করবে বিদেশী লুটেরারা। বলাবাহুল্য সমাজ্যবাদীরা তাদের এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য বেছে নেয় দুর্নীতিবাজ শাসকশ্রেনীকে। যারা এসব প্রজেক্ট লুফে নেয় অর্থনৈতিকভাবে লুটপাটের জন্য। পাশাপাশি এগুলো দেখিয়েই তারা অবুঝ জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা করে। কিন্তু সব কিছুর পেছনে থাকে বিদেশী সম্রাজ্যবাদীদের উদ্দেশ্য, যা সাধারণ জনগণ কখন বুঝতে পারে না।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

ইহুদীবাদীদের একটা সিস্টেম হলো, প্রথমে কাউকে সেলিব্রেটি বানায়, এরপর সেলিব্রেটিকে নিজস্ব মতবাদ প্রচারে কাজে লাগায়


চ্যানেল ২৪ এ ‘জাগো বাংলাদেশ’ নামক একটা প্রোগ্রাম হয়। প্রোগ্রামটিতে উপস্থাপনা করে টিভি অভিনেতা মোশাররফ করিম। মোশররফ করিম অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বলে, “মেয়েরা কি স্বাধীনভাবে পোষাক পড়বে না ? পোষাকের কারণেই যদি নারী নির্যাতিত হতো, তবে ৫ বছরের শিশু কেন নির্যাতিত হয়, বোরকা পরা মেয়ে কেন ধর্ষিত হয় ?” (http://bit.ly/2HNcS6X)

প্রোগ্রামটি দেখে আমার একটা কথা মনে পড়লো। ইহুদীবাদীদের একটা সিস্টেম হলো, প্রথমে কাউকে সেলিব্রেটি বানায়, এরপর সেলিব্রেটিকে নিজস্ব মতবাদ প্রচারে কাজে লাগায়। মোশাররফ করিমকে টিভি নাটকে অভিনয় করিয়ে বড় সেলিব্রেটি বানানো হয়েছে, এখন তাকে দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে বিশেষ একটি মতবাদ।

বিষয়টা বুঝতে আপনাকে লোকাল পলিসি গুলো বুঝতে হবে। যেমন আওয়ামীলীগ ক্রিকেটে মাশরাফি বা সাকিববে প্রমোট করেছে। তারা এখন বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সেলিব্রেটি। হয়ত দেখা যাবে খুব শিগ্রই এ দু’জনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে আওয়ামলীগ। হয়ত তারা আওয়ামীলীগের হয়ে প্রচারে নামবে কিংবা এমপি পদে দাড়াবে।

যাই হোক, আগের আলোচনায় ফিরে আসি- মোশররফ করিমের বক্তব্য : “পোষাক যদি নারী নির্যাতনের জন্য দায়ী হতো, তবে ৫ বছরের শিশু বা বোরকা পরা নারী নির্যাতিত হচ্ছে কেন ?”
পাঠক, আমরা সবাই নারী নির্যাতন বিরোধী। আমরা চাই সমাজে নারী নির্যাতন কমে যাক।
একটি গোষ্ঠীকে প্রায় দেখা যায়, প্রথমে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে বলে,
কিন্তু পরের কথায় বলে, পোষাক নারী নির্যাতনের জন্য দায়ী না।

আসলে এ গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে সাধারণ মানুষকে সাইকোলাজিক্যালী ডিরেইল করা। এক প্রসঙ্গ তুলে অন্য স্বার্থ হাসিল করা। সাইকোলোজির ভাষায় ফলস বিলিভ প্রবেশ করানো।

প্রথম প্রসঙ্গ, - “নারী নির্যাতন কেন বাড়ছে”, “কিভাবে নারী নির্যাতন কমানো যায় ?”
আগে এ বিষয়দুটি সুরাহা করা দরকার । এরপর আসবে- নারী কোন পোষাক পরবে ?

এই বিষয়ে সাইকোলোজির এক শিক্ষকের সাথে একবার কথা বলছিলাম, তিনি আমাকে একটা ‘শব্দ’ বলেছিলেন, আমার কাছে শব্দটা অনেকগুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। শব্দটা ছিলো ‘যৌনউন্মাদ’। তিনি বলেছিলেন, ইহুদীবাদীরা চায়- “সব মানুষ যৌনউন্মাদ হয়ে যাক”।
‘যৌনউন্মাদ’ টার্মটা আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। আমি এ শব্দটার উপরে গবেষনা করেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, বর্তমানে নারী নির্যাতন বৃদ্ধি, পারিবারিক অশান্তি, পারিবারিক কাঠামো ভেঙ্গে যাওয়া, সমাজের অবক্ষয়ের পেছনে যত কারণ আছে তার কারণ এই ‘যৌনউন্মাদ’ শব্দটা রয়েছে।
(ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি সবার কাছে-এ বিষয়গুলো আলোচনার করার প্রয়োজন বলেই করছি । কারো এতটুকু খারাপ লাগলে বাকি অংশ নাও পড়তে পারেন)

যৌনউন্মাদ কাকে বলে ? কিভাবে তা হয়?
যৌনতা মানুষের স্বাভাবিক শারীরিক ক্রিয়া ও চাহিদা। প্রত্যেক মানুষ সৃষ্টিগতভাবে যৌনতা নিয়ে জন্মায় এবং এই যৌনতার একটি নির্দ্দিষ্ট পরিমাপ থাকে। মানুষ বড় হয়, বিয়ে করে, এর মধ্যে তার সেই চাহিদা পূরণ হয়। সৃষ্টিগতভাবে তার যতটুকু চাহিদা আছে সেটা সমাজ বিয়ে, ঘরসংসারের মাধ্যমে পূরণ করার জন্য যথেষ্ট।
কিন্তু কোন কৃত্তিম উপায়ে যদি ঐ মানুষটির যৌনআকাঙ্খা বাড়িয়ে দেয়া যায় তখন ? ঠিক যেভাবে একজন মানুষকে ওষুধ খাওয়ায় তার ক্ষুধা বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। সে ১০ টাকার যায়গায় ২০ টাকার খেলেও পেট ভরে না, সেকরম। যৌনউন্মাদ হচ্ছে সে ধরণের একটি বিষয়, যেখানে কৃত্তিম উপায়ে মানুষের যৌন আকাঙ্খা বৃদ্ধি করে দেয়া হয়।

উদহারণস্বরুপ পর্নোগ্রাফির ক্যাটাগরিগুলোর দিকে খেয়াল করুন। অফিসে নারী কর্মজীবি আসলে বস কিভাবে সুযোগ নেবে, পুরুষ কর্মজীবি নারী বসের থেকে কিভাবে সুযোগ নেবে, ঘরে কাজের মহিলা আসলে ঘরের পুরুষ কিভাবে সুযোগ নেবে, ছাত্র কিভাবে শিক্ষিকার থেকে সুযোগ নেবে, ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে আসলে শিক্ষক কিভাবে সুযোগ নেবে, ড্রাইভার/দারোয়ান কিভাবে ঘরের মহিলার সুযোগ নেবে, ডাক্তার কিভাবে রোগিনীর থেকে সুযোগ নেবে, রোগি কিভাবে মহিলা ডাক্তারের থেকে সুযোগ নেবে, ফেরিওয়ালা কিভাবে ঘরের গৃহিনীর থেকে সুযোগ নেবে, বাসে গেলে কিভাবে নারী যাত্রীর থেকে সুযোগ নেবে, ভাবীর থেকে দেবর কিংবা শালীর থেকে দুলাভাই সুযোগ নেবে, মেসের ব্যাচেলররা কিভাবে পাশের বাড়ির বিবাহিত নারীর থেকে সুযোগ নেবে, বন্ধুর মায়ের থেকে কিভাবে সুযোগ নেবে, এমনকি ইনসেস্ট (মা-ছেলে, বাবা-কন্যা), সমকামীতা বা শিশু বাচ্চাদের প্রতি কিভাবে আসক্ত হতে হয় সেটাও শেখানো হচ্ছে। ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলো আজকাল সেই পর্নের অনুকরণে সফট পর্নোসমৃদ্ধ শর্ট মুভি তৈরী করছে। টিভি চ্যানেল কিংবা ইন্টারনেটের সুযোগ মানুষ এগুলো দেখছে আর সবকিছু তার কাছে সেক্স অবজেক্ট মনে হচ্ছে। আগে শিক্ষিকা বা বন্ধু মাকে নিজের মায়ের মত সম্মান করতো একটা ছেলে, কিন্তু ঐসব সিরিয়াল-মুভি দেখে তারা কতটুকু হট সেটা পরিমাপ করছে। সারাদিন তার মাথায় শুধু সেক্স আর সেক্স চিন্তা। ঘরের নারী, কাজের মহিলা, শিক্ষিকা, নারী বাসযাত্রী এমনকি শিশু বাচ্চা সবকিছু দেখলে তার ব্রেনে ডোপানিম নিঃসরণ ঘটছে এবং সে তার আকাঙ্খা পূরণ করতে চাইছে। এটাকেই বলা হচ্ছে ‘যৌনউন্মাদ’ । মানুষকে যৌন উন্মাদ বানানোর জন্য সর্বপ্রথম ১৯৪৯ সালে ইহুদী হিউগ হফনার প্লেবয় ম্যাগাজিন বের করে। হিউগ হফনারের দেখানো সেই পথ এখন অনেক দূর বিস্তৃত।

মোশররফ করিম যে বললো- ৫ বছরের শিশু বা বোরকা পরা নারীরা কেন নির্যাতিত হয় ? এর উত্তর হবে মানুষকে যে কৃত্তিমভাবে যৌনউন্মাদ বানানো হচ্ছে, তার ফলশ্রুতিতেই ৫ বছরের শিশু বা বোরকা পরিহিতা নারী নির্যাতিত হচ্ছে। আর মোশাররফ করিমরা নারীকে শর্ট পোষাক পরিয়ে সেই যৌনউন্মাদদের রান্না করা খাদ্য সরবরাহ করতে চাইছে। এর আলটিমেট এফেক্ট নারী নির্যাতন আরো বাড়বে, কখনই কমবে না।

মোশাররফ করিমদের বলবো-
দয়া করে- “আপনার মানসিকতা পরিবর্তণ করুণ, নারী পোষাক নয়”-এইসব মুখরোচক কথা বাদ দিন। আপনি, ইমাম গাজ্জালির বক্তব্যের অর্ধেক কথা প্রচার করে নিজেকে টাউট বলে প্রমাণ করেছেন। ইমাম গাজ্জালি মানুষের মনও পরিষ্কার করতে বলেছেন, আবার নারীদের বোরকাও পড়তে বলেছেন। কিন্তু আপনি শুধু একটা অংশ প্রচার করছেন।

বাস্তবতা হলো- টিভিচ্যানেল আর ইন্টারনেটে সুরসুরি দেয়া ছবি দেখবেন, আর মন পরিষ্কার করতে বলবেন, এটাতো ছেলের হাতের মোয়া নয়। হয়ত উপর দিয়ে সুশীল সাজতে পারবেন, নারী স্বাধীনতার পক্ষেও বলবেন, কিন্তু সুযোগ পেলে যৌন উন্মাদনা জাহির করতে কেউ ছাড়বেন না।

আমি আবার বলছি, নারী নির্যাতনের কথা বলে ‘নারী পোষাক ফ্রি করা’র ভুয়া তত্ত্ব ছড়ানো বাদ দিন। যদি সত্যিই নারী নির্যাতন হ্রাস করতে চান, তবে আগে পর্নোগ্রাফী আর ভারতীয় টিভি চ্যানেলের বিরুদ্ধে বলুন, মানুষের যৌনউন্মাদ হওয়া বন্ধ করুন। যদি আপনি পর্নোগ্রাফি ও ভারতীয় টিভি চ্যানেল বন্ধের কথা আগে না বলেন, তবে বুঝতে বাকি নাই আপনি নিজেই সেই ধর্ষক দলের পক্ষের লোক।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

কীটনাশকের দ্বারা আগে মানুষ যদি ১% ক্ষতিগ্রস্ত হতো, তবে জিএমও’র মাধ্যমে মানুষ ১০০% ক্ষতিগ্রস্ত হবে


কর্পোরেটোক্রেসির সিস্টেমটাই এরকম-
১) প্রথমে তারা নিজেরাই কোন একটা রোগ তৈরী করবে,
২) এরপর বলবে, অমুক ওষুধ ১০ টাকার খেলে রোগ সারে,
৩) এরপর ১০ টাকার ওষুধ আপনি নিয়মিত ব্যবহার করতে থাকবেন,
৪) কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবহার করার পর দেখবেন রোগ আরো বেড়ে গেছে, তখন বলবে ২০ টাকার ওষুধ ব্যবহারের জন্য, এরপর বলবে ৫০ টাকার ওষুধ, এরপর ১০০০ টাকার ওষুধ, এরপর ১ লক্ষ টাকার চিকিৎসা।
৫) একটা সময় দেখা যাবে, ঐ অসুখেই আপনার জীবন অবসান হয়ে গেছে। মাঝখান দিয়ে কর্পোরেট ওষুধ কোম্পানিগুলোকে আপনি জীবনের সব সম্পদ চুষে নিয়ে গেছে।

যেমন ধরুন-
-তারাই প্রথমে সয়াবিন তেল আনলো। সয়াবিন তেল আসার আগে এত বেশি গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ছিলো না। সেই ওসুখ উপশমের নামে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ আনলো। প্রথমে আট আনার ওষধ, এরপর ২টাকা, এরপর ১০ টাকা, এরপর ২০টাকা। এরপর তারাই বললো আলসার হয়ে গেছে, এরপর হয়ত হয়ে যাবে ক্যান্সার।
-নাকে একটু সর্দি হলেই ডাক্তাররা দিয়ে দেয় এন্টাজল/রাইজনল টাইপের ওষুধ। দুইদিন ব্যবহারের পর রোগি সে অষুধে অভ্যস্ত হয়ে পরে, নিয়মিত ব্যবহার না করলে নাক বন্ধ থাকে, নিঃশ্বাস নিতে পারে না। ডাক্তারের কাছে গেলে বলে আপনার পলিপাস হয়ে গেছে, ৩শ’ টাকার স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। এরপর গেলে বলে নাক কাটতে হবে।
-আজ থেকে ৫০ বছর আগে মানুষের মাথায় খুসকি ছিলো না। শ্যাম্পু কোম্পানিগুলো আসার পর খুসকি সারা তো দূরে থাক, মানুষের মাথায় খুসকির পরিমাণ বেড়ে গেছে। মাথার চুল মসৃণ করার নামে, খুসকি দূরের নামে, পরিষ্কার করার নামে, উকুন দূর করার নামে, চুল ভাঙ্গা বন্ধের নামে, চুল পড়া বন্ধের নামে, চুলের উজ্জলতা বৃদ্ধির নামে মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেট কোম্পানি ডাভ, সানসিল্ক, হেড এন্ড শোল্ডার, ক্লিনিক প্ল্যাস, প্যান্টিন, ট্রিসেমি, ল’অরিয়াল বহু টাকা লুটে নিয়ে যাচ্ছে।
-আমরা আজকে জিএমও ফুডের বিরোধীতা করছি। কিন্তু কেন আজকে জিএমও ফুড আনার জন্য অজুহাত তৈরী হয়েছে ? বলা হচ্ছে,“জিএমও ফুডের জন্য কীট নাশক লাগবে না, ফসলের ভেতরেই কীট নাশক ক্ষমতা থাকবে।” অথচ চিন্তা করে দেখুন, এতদিন কৃষককে কীট নাশকে অভ্যস্ত করেছে কে? তারাই করেছে, প্রতিদিন নিত্য নতুন কীট নাশক দিয়ে পোকা দমন করেছে, আর কৃষকের পকেট শূণ্য করেছে। এরপর তারাই মিডিয়ায় প্রচার করেছে- কীটনাশক ব্যবহারে ক্যান্সার হয়। এরপর কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে দেয়া হচ্ছে জিএমও। পাঠক একটু চিন্তা করে দেখুন- এতদিন কীটনাশক মিশ্রিত সবজী পানিতে ধুলে বা উচ্চআচে রান্না করলে কীটনাশকের ক্ষতি নষ্ট হয়ে যেতো, কিন্তু জিএমও’র নামে ফসলের জিনের ভেতর যখন কীটনাশক ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে সেটা সরাসরি এফেক্ট কি মানব শরীরের উপর পড়বে না ? কীটনাশকের দ্বারা আগে মানুষ যদি ১% ক্ষতিগ্রস্ত হতো, তবে জিএমও’র মাধ্যমে মানুষ ১০০% ক্ষতিগ্রস্ত হবে ।

আসলে কর্পোরেট সিস্টেমটা প্রায় সব যায়গায় একইরকম।
-তারাই প্রথমে কোনভাবে সমস্যার সৃষ্টি করে।
-এরপর সেটাকে সাময়িক উপশম করে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার দিকে ঠেলে দেয়। হয়ত আপনাকে এমন একটা ওষুধ দেয়া হলো, যার ভেতর জিনগত এমন চেঞ্জ করে দেয়া আছে- সে অষুধ খেলে আপনার সমস্যা তাৎক্ষনিক উপশম হবে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি অনেক সমস্যার তৈরী হবে।
-এরপর চিকিৎসার নামে দীর্ঘমেয়াদী অর্থ শোষন করবে তারা। আর আপনি তাদের বিশ্বাস করে বার বার তাদের কাছে প্রতারিত হবেন।

এখন উচিত-
প্রথমত, শতভাগ অর্গানিক খাদ্যের দিকে যাওয়া, যেখানে থাকবে না সার, কিটনাশক বা জিএমও’র ব্যবহার। হয়ত প্রথমে কিছু সমস্যা হবে, কিন্তু সমন্বিত উদ্যোগ নিলে অর্গানিক খাদ্যে ফিরে যাওয়া সম্ভব। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জিএমও’র বিপরীতে গড়ে উঠেছে অর্গানিক খাদ্যের বিরাট মার্কেট।
দ্বিতীয়ত, ওষুধের ক্ষেত্রেও একই কাজ করতে হবে। ভেষজ ও প্রাকৃতিক সিস্টেমের দিকে যেতে হবে। প্রকৃতির মধ্যে সমস্ত অসুখের সমাধান আছে। তবে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ কোম্পানি করলেও সেখানে নিজস্ব গবেষণা সিস্টেম রাখতে হবে। নিজস্ব সিস্টেমে সমধান খুজতে হবে। কর্পোরেটদের গবেষণার উপর নির্ভর করলে হবে না। তাদের কিছু ব্যবহার করলেও সেখানে কোন ষড়যন্ত্র আছে নাকি তা যাচাই করে নিতে হবে। তবে এগুলো সব সম্ভব হবে নিজস্ব স্বতন্ত্রবোধ থেকে। অসাম্প্রদায়িক তথা স্বতন্ত্রবোধহীন মুসলমান জাতির সেটা আছে তো ?


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

বাংলাদেশের মানুষ কি কি জিএমও ফুড ইতিমধ্যে খাচ্ছে তা দেখে নিন


জিএমও বা জেনেটিকালি মোডিফাইডি ফুড নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি।
কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ কি কি জিএমও ফুড ইতিমধ্যে খাচ্ছে বা খুব শিঘ্রই বাংলাদেশে আসছে সেটা নিয়ে এখনও আলোচনা করি নাই, এ পোস্ট এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। 

১) বেগুন : প্রথমে বাংলাদেশে জিএমও ফুড যেটা প্রবেশ করেছে সেটা হলো বিটি বেগুন। ২০১৩ সালে সেটা প্রবেশ করে। অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন, জিএমও ফুড মনে হয় দেখতে ব্যতিক্রম কিছু। না ! জিএমও ফুডে ফসলের বীজের জিনের ভেতর পরিবর্তণ করা হয়। আপনি যখন সবজী কিনতে যান, তখন নিশ্চয়ই সবজীওয়ালাকে জিজ্ঞেস করেন না, “এটা জিএমও কি না ?” আর যদি করেনও তবে সেটা সবজীওয়ালা কেন, খোদ কৃষক পর্যন্ত জানে কিনা তাতে সন্দেহ। জিএমও ফসল অন্য ফসলের থেকে সুন্দর ও সতেজ হয়। সুতরং সে ফসলটাই বরং আপনি সবজীর বা খাবারের দোকানে গিয়ে আগে ক্রয় করেন।

২) তেলাপিয়া মাছ: বাংলাদেশে কয়েক বছর যাবত জেনেটিকাল মোটিফাইড তেলাপিয়া চাষ হচ্ছে । এগুলো দেখতে বড় । (http://bit.ly/2GNe8I6) কয়েকটি সূত্র মতে, এগুলো সম্ভবত বাজারে মনোসেক্স তেলাপিয়া নামে পরিচিত।

৩) সয়াবিন তেল: বাংলাদেশের সয়াবিন তেলের বেশিরভাগ আমদানি করা হয় ব্রাজিল থেকে। আর ব্রাজিলের সয়াবিনের পুরোটাই জিমএমও।

৪) সাদা চিনি : এগুলো আখ নয়, বীট থেকে উৎপাদিত। বীটগুলো জিএমও, আমদানি করা হয় ব্রাজিল থেকে। তবে ব্রাজিল থেকে আমদানি হোক বা ভারত থেকে আনা হোক, এটা সাদা বা পরিষ্কার করতে যে উপাদান ব্যবহার করা হয় তা ক্যান্সারের জন্যা দায়ী। বিশ্বব্যাপী সাদা চিনিকে ক্যান্সার তৈরীর অন্যতম কারণ হিসেবে গন্য করা হয়।

৫) গম ও ভূট্টা : যদি আমদানিকৃত হয়, তবে জিএমও হওয়ার সম্ভবতা ১০০%।

৬) আলু : জিএমও আলু এখনও বাজারে আসে না। তবে খুব শিঘ্রই তা বাজারে আনার জন্য চেষ্টা করছে সরকার। এ আলুর নাম থ্রি আর জিন আলু বা লেট ব্রাইট রেজিসট্যান্টন পটেটো। খুব শিঘ্রই বাংলাদেশের আলুর মধ্যে ঢুকে যাবে জিএমও আলু। (http://bit.ly/2GJngx7)

৭) ক্যানোলার তেল : এটা এক ধরনের সরিষার তেল। বাংলাদেশের সরিষার তেল হয় কালচে, কিন্তু ক্যানোলার তেল হয় স্বচ্ছ্ব। ক্যানোলার তেল জিএমও, চাষ হয় প্রধানত কানাডায়। এটি বাংলাদেশে চাষ করার জন্য কানাডার একটি প্রতিনিধি দল বেশ কয়েক বছর যাবত চেষ্টা করেছে। ২০০৬ সালে তারা কানাডা হাইকমিশনের উদ্যোগে বাংলাদেশে সেমিনারের আযোজন করে। (http://bit.ly/2psh5pb) কিন্তু বাংলাদেশ আবহাওয়ায় এটা চাষ করা যায় না। তবে তারা এখন ঐ তেলটি বাংলাদেশে আমদানি করতে চাইছে। এজন্য ট্যাক্স কমানোর জন্য আবেদনও করেছে। (http://bit.ly/2FXZxrW)

৮) গোল্ডেন রাইস বা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ চাল : এ চাল ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশের বাজারে আসবে। সম্ভবত প্রাণ কোম্পানির মাধ্যমে এ চালটি প্রথমে মার্কেটে আসতে পারে। গত ৬ই মার্চ, ২০১৮ তারিখে কৃষিমন্ত্রী গোল্ডেন রাইস আসার ব্যাপারে ঘোষণা দিয়েছে। (http://bit.ly/2FOb1lU)

জিএমও থেকে বাচতে কি করবেন ?
প্রথমত, কৃষকদেরকে জিএমও’র বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে। তাদের কিছুতেই জিএমও বীজ নিতে দেয়া যাবে না। হাইতিতে কৃষকরা ৬০ হাজার বস্তা জিএমও বীজ জ্বালিয়ে দিয়ে জিএমও’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। (http://bit.ly/2FUOq2R) বাংলাদেশে কৃষকদেরও এভাবে প্রতিবাদী হতে হবে।

দ্বিতীয়ত, শুধু কৃষক নয়, সকল জনগণ এর বিরুদ্ধে গণহারে প্রতিবাদ করুন। সেমিনার করুন, লেখালেখি করুন। বলুন আমরা জিএমও খাবো না। আমরা ক্যান্সারের বাসা হবো না। আমার শরীর নিয়ে ক্যান্সার ব্যবসা বন্ধ করো।

তৃতীয়ত, দেশীবীজগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে। সেগুলো যেন জিএমও’র সাথে মিক্স না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

চর্তুথত, বিদেশী খাবার এড়িয়ে চলবেন। দেশী ফসল, ফলের উপর জোর দেবেন।

পঞ্চমত, কর্পোরেটদের জিএমও প্রযুক্তি ছাড়া দুনিয়াতে কি আর কোন সমাধান নেই ? অবশ্যই আছে। জৈব/অর্গানিক সিস্টেমে কিভাবে কৃষি ক্ষেত্রে সৃষ্ট সমস্যার (কীট/আগাছা/সার) সমাধান করা যায় সে চেষ্টা করতে হবে, গবেষণা বৃদ্ধি করতে হবে। মনে রাখবেন, তারাই এতদিন কৃষককে কীটনাশকে অভ্যস্ত করেছে, এখন তারাই কীটনাশক থেকে বাচতে জিএমও অফার করছে। তাদের খপ্পর থেকে বাচতে তাদের সবকিছু বর্জন করা ছাড়া উপায় নেই। এজন্য পুনরায় আদি পদ্ধতি বা অর্গানিক ফুডের দিকে সবাইকে যেতে হবে।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------