Thursday, September 20, 2018

এবারের নির্বাচনে শেখ হাসিনা ভারতের উপর কতটা আস্থা রাখতে পারবে ?


এবারের নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকারের উপর শেখ হাসিনা কতটা আস্থা রাখতে পারে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। শেখ হাসিনা সরকারের মূল ভিত্তি রুশব্লকের ভারতীয় কংগ্রেস, এটা নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু মার্কিনপন্থী বিজেপি সরকার আওয়ামীলীগের কতটুকু সহায়ক হবে তা নিয়ে যথেষ্ট ভাববার বিষয় আছে।

আমেরিকা এ অঞ্চলে চীনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলতে চায়। কিন্তু এ অঞ্চলে সরাসরি আসা আমেরিকার জন্য কঠিন। তাই এ অঞ্চলে আমেরিকা ভর করেছে ভারতের বিজেপি’র উপর। আমেরিকাই ভারতকে এ অঞ্চলে আঞ্চলিক সুপার পাওয়ার হিসেবে গড়ে তুলবে, যারা চীনের শক্তিকে খর্ব করবে। সে দিক বিবেচনা করলে ভারত এখন চীনের বিপরীতে আঞ্চলিক শক্তি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর। কিন্তু আমেরিকার মূল অংশের সাথে বিরোধ আওয়ামী সরকারের। সে দিক বিবেচনা করলে বাংলাদেশ এখন ভারতের বিজেপি’র বাবা’র শত্রু।

ভারতীয় রাজনীতির দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, বিজেপি কংগ্রেসকে চারদিক দিয়ে ঘিরে ধরছে। কংগ্রেসকে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব দিক থেকে ফেলে দিতে তৎপর বিজেপি। ভারতীয় কংগ্রেস যদি আওয়ামীলীগের বাবা হয়, তবে সেদিক বিবেচনা করলে বিজেপিও আওয়ামীলীগের বাবা’র (কংগ্রেস) শত্রু।

বাবার শত্রু হলেও আওয়ামীলীগ প্রথম থেকে চেয়েছে বিজেপি’র সাথে সম্পর্ক সুন্দর রাখতে, এটা-ওটা দিয়ে বুঝ দিয়ে বিজেপিকে ঠাণ্ডা রাখতে। এজন্য দেশীয় সম্পদ, চুক্তি অনেক কিছু দিয়ে বিজেপির মন জয় করতে চেয়েছে। কিন্তু যত কিছুই দিক, বাবা আমেরিকার কথা রাখতে বিজেপি কতক্ষণ আওয়ামীলীগের সাথে নরম থাকে সেটাও দেখার বিষয়। তাছাড়া আওয়ামীলীগের থেকেও ভালো কোন অপশন আছে, তবে বিজেপি সে সুযোগ নেবে না কেন ?

বিজেপির সাথে বিএনপি’র তারেক জিয়া প্যানেলের সম্পর্ক খারাপ, কিন্তু ড. কামালের সাথে মোটেও সম্পর্ক খারাপ না, বরং ভালো। তাই বিএনপি যদি কামাল হোসেনের লিডিং এ যায় এবং বাবা আমেরিকার যেহেতু সেখানে পূর্ণ সমর্থন আছে, তখন সন্তান বিজেপি’র সেখানে সমর্থন জানানোই স্বাভাবিক।

একটি কথা মনে রাখতে হবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে চীনের ক্ষমতা খর্ব করার জন্য ‘পিভট টু এশিয়া’ পলিসি নিয়েছে, আর ভারতের বিজেপি সরকার সেই নীতি বাস্তবায়ন করতে নিয়েছে ‘লুক ইস্ট’ পলিসি। আর ‘পিভট টু এশিয়া’ আর ‘লুক ইস্ট’ পলিসি উভয় বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশে মার্কিনপন্থী সরকার জরুরী। চীনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড ইস্যুতে ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগ-বিজেপি বিরোধ স্পষ্ট দেখা গেছে।

এটা ঠিক, রুশব্লকের আওয়ামী সরকার হয়ত ভারতবিদ্বেষী বাংলাদেশীদের বকাঝকা দিয়ে চূক্তির নামে ভারতকে অনেক কিছু দেবে, কিন্তু আমেরিকা তো ভারতকে পুরো অঞ্চলের খলিফা বানিয়ে দেবে। সুতরাং ১০ টাকার জন্য ১০০ টাকা কেন হাত ছাড়া করবে ভারত ? তাছাড়া পিভট টু এশিয়া সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশকে নিজের ৩০ তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে ভারত। পুরোটার ক্ষমতা যখন হাতছানি দিচ্ছে, তখন আওয়ামীলীগ থেকে খণ্ডিত সুযোগ সুবিধা নিয়ে লাভ কি ??

তাই স্বাভাবিক হিসেবে, এবারের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ভারতের বিজেপি সরকারের উপর ভরসা রাখা তো দূরের কথা বাস্তবদৃষ্টিতে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবাই শ্রেয়।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, September 19, 2018

খবর ও মন্তব্য :

খবর ও মন্তব্য :
(১) খবর : বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সর্বকালের সর্বসেরা প্রবৃদ্ধি অর্জন : মাথাপিছু আয় ১৭৫১ ডলার (https://bit.ly/2xtkEzl)
মন্তব্য : দাড়ান, দাড়ান। মাথাপিছু আয় ১৭৫১ ডলার বা ১৪৫৩৩৩ টাকা দেখিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করে লাভ হবে না। আসুন আরেকটু হিসেবে কষে নেই-
বর্তমানে বাংলাদেশে মাথাপিছু ঋণ ৬০০০০ টাকা। (https://bit.ly/2JpG2yc)
তাহলে প্রকৃত মাথাপিছু আয় হিসেব করতে ঋণ হিসেব করা জরুরী।
ঋণ বাদ দিলে হবে, ১৪৫৩৩৩ - ৬০০০০ = ৮৫৩৩৩ টাকা ।
এবার আসুন, বাংলাদেশে ৫% ধনীর আয় হচ্ছে মোট আয়ের ২৮% (https://goo.gl/xDmtsy)
সেটা বাদ দিয়ে বাকি ৯৫% সাধারণ জনগণের মাথাপিছু আয় হলো = ৬০ হাজার টাকা বা ৭২২ ডলার
স্বাভাবিকভাবে তাই মাথাপিছু আয় ধরা যায় ৭২২ ডলার হিসেব করা উচিত, অতিরিক্ত ১ হাজার ডলার দেখানোর দরকার নাই।
(২)
খবর : দেশে শিগগিরই অনেক পরিবর্তন হবে: মওদুদ (https://bit.ly/2QC4Raa)
মন্তব্য : পরিবর্তন অবশ্যই হবে। তবে সেই পরিবর্তনে যেন খোদ বিএনপি নিজেই অস্তিত্ব হারিয়ে ইতিহাসের পাতা থেকে ভ্যানিশ না হয়ে যায়। বিএনপি নেতৃত্বে থেকে জোট করুক সমস্যা নাই। কিন্তু ড. কামালের অধিনে থেকে বিএনপি নির্বাচনে গেলে জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করবে বিএনপি। বিপুল জনসমর্থনযুক্ত বিএনপির মাথায় কাঠাল ভাঙ্গবে তারা, পুরো দেশজুড়ে সাংগঠনিক কাঠামোকে ব্যবহার করবে, কিন্তু দিন শেষে বিএনপির হাতে লোটা ধরিয়ে দিবে, এটা নিশ্চিত থাকতে পারে।
(৩)
খবর : আটকে পড়া বাঙালিদের নাগরিকত্ব দেবে পাকিস্তান (https://bit.ly/2NlSiSw)
মন্তব্য : খুব ভালো কথা। কিন্তু আটকে পড়া পাকিস্তানীদের (বিহারীদের) জন্য কি করেছিলো বাংলাদেশ ? কেন তাদের সঠিক দেখাশোনা করেনি ? কেন মেইনস্ট্রিমে মিশিয়ে দেয়নি ? যার ফলশ্রুতিতে দরিদ্র পাকিস্তানীরা (বিহারীরা) বিপথে গিয়েছে। আজকে মেইনস্ট্রিমে মিশতে না পারায় দরিদ্রের কারণে মদ-গাজা ইয়াবা ব্যবসা আর সন্ত্রাসীপনা করে বিহারীরা। একইসাথে বিহারী ক্যাম্পগুলোকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে সম্রাজ্যবাদীদের বিভিন্ন সংস্থা (জাতিসংঘ)। রাষ্ট্র যখন তার ভেতরে অবস্থান করা মানুষগুলোর সাথে বৈষম্য করে তখন বিদেশীরা তো সুযোগ নেবেই। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ভেতরে পাকিস্তানীরা ছিলো দুই ভাগে বিভক্ত। ধনী ও দরিদ্র। ধনীরা আটকানোর পরও সামলে উঠে হয়েছে ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, আর গরীবরা হয়েছে মুহম্মদপুরের জেনেভাক্যাম্পের ইয়াবা ব্যবসায়ী।
(৪) এশিয়ার সবচেয়ে কম উদ্ভাবনশীল রাষ্ট্র বাংলাদেশ (https://bit.ly/2Oz3Myr)
মন্তব্য : ঠিকই তো আছে। বাংলাদেশ মেধাবীদের জন্য কি করেছে ?
সব তো করেছে কোটাধারীদের জন্য। কোটার যখন রাজত্ব, তখন মেধাবীরা ড্রেইন করে চলে যাচ্ছে বিদেশে। বাংলাদেশের মেধাবীরা গুগল, ইউটিউব, অ্যাপল, নাসা চালাচ্ছে, আর বাংলাদেশ তখন ভারত-চীনের ইঞ্জিনিয়ার ভাড়া করে এনে ফ্লাইওভার-সেতু বানাচ্ছে। research and development (R&D) লিস্টে অনেক হাভাতে দেশের নাম থাকলেও বাংলাদেশের যায়গাই হয়নি। (https://bit.ly/2dLjLeE)
(৫)
খবর: ফলমূল-শাকসবজি-মাছকে বিষমুক্ত করতে কার্বন গ্রিন (https://bit.ly/2Mplanv)
মন্তব্য : ফলমূল বা শাকসবজী ফরমালিন বা রাসায়নিক সারের ক্রিয়ামুক্ত করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখা। পানিতে ভিজিয়ে রাখলেই এই সব রাসায়নিক উপাদান এমনিতেই চলে যায়। কিন্তু এর মধ্যে মানুষের আবেগকে কাজে লাকিয়ে ‘শক্তি রঞ্জন পাল’ নামক এক হিন্দু কর্পোরেট ডাক্তার ‘লাইফ অ্যান্ড হেলথ লিমিটেড’ নামক কোম্পানির নাম দিয়ে ‘কার্বন গ্রিন’ নামক একটি প্রডাক্ট মার্কেটে আনছে। কার্বন গ্রিনে থাকে ৮৫% সোডিয়াম বাই কার্বনেট বা খাবার সোডা আর ১৫% থাকে অ্যাক্টিভেটেড কার্বন। এই অ্যাক্টিভেটেড কার্বন এর কিন্তু অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। অ্যাক্টিভেটেড কার্বন ব্যবহারে ডাইরিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা বমি হতে পারে। আর কার্বন যদি ভালোভাবে রিফাইন না করা হয়, তবে তা ব্যবহারে ক্যান্সারও হতে পারে। তাই পানি দিয়ে ধুয়েই ফলমূল শাক সবজীর ফরমালিন ও সার দূর করুন, অযথা খরচ করে কার্বন গ্রিন ব্যবহারের দরকার দেখি না।
[অনেকদিন না লেখায়, লেখা অগোছালো। চেষ্টা করছি গুছিযে নিতে। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত]

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

বাংলাদেশের নির্বাচনে বাংলাদেশপন্থী কাউকে পাওয়া যায় না কেন?

বাংলাদেশের রাজনীতিতে যার দিকে তাকানো হয়,
সেই কোন না কোন দিক থেকে বিদেশী শক্তি দ্বারা প্রভাবিত। কেউ ভারতীয় নেটওয়ার্কে চলে, কেউ আমেরিকার নেটওয়ার্কে চলে, কেউ চীনের নেটওয়ার্কে চলে। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য শুধু বাংলাদেশপন্থী কাউকে পাওয়া যায় না।
অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশে এখন এরদোয়ানের মত নেতা দরকার, যে কোন পন্থী হবে না, শুধু দেশ ও জনগণপন্থী হবে। সে ক্ষেত্রে আমি বলবো, আপনি নিজে এরদোয়ানের মত নেতা চান, কিন্তু আপনি নিজে কতটুকু সেই সব বিদেশপন্থীদের চিন্তাধারা থেকে বের হয়েছেন ? আমার মতে, প্রত্যেকটি দেশের শাসক হচ্ছে, ঐ দেশের জনগণের কর্ম ও জ্ঞানের ফল। যে দেশের জনগণ যেমন, তার শাসক ঠিক ঐ শ্রেণীর হয়। অধিকাংশ বাংলাদেশীর কর্ম ও মানসিকতা যে শ্রেণীর, শাসকও ঐ শ্রেণীর। বাংলাদেশের জনগণ যখন নিজস্ব চিন্তাধারা উন্নত করে, বিদেশী সম্রাজ্যবাদীদের বানিয়ে দেয়া মন-মস্তিষ্ক চিড়ে নতুন কিছু ভাবতে পারবে, তখন সে শাসকও পাবে নতুন কাউকে। হয়ত কিছু লোক বলবে, “আমরা তো নতুন করে কিছু চিন্তা করতে পারি”, আমি তাদের বলবো- ঠিক আছে। আপনারা চালিয়ে যান। তবে শাসনের বিষয়টা একদিনের ফসল নয়। এরদোয়ান একদিনের ফসল নয়, বহু চিন্তাধারা, বহু জ্ঞানের সমাবেশ আর বহু ত্যাগ তিতিক্ষার মিলিত ফল। বাংলাদেশে এখনও সে ধরনের চিন্তায় আসতে পারেনি।
আমি বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখি, বাংলাদেশের প্রায় সব মানুষ আবেগ দ্বারা তাড়িত হয়। যারা আবেগ দ্বারা তাড়িত হয়, তারা সঠিক ডিসিশন নিতে পারে না। বিদেশী শক্তিরা ঠিক সেই আবেগটাই ব্যবহার করে বাংলাদেশীদের ব্যবহার করে। শিকারী যখন মাছ শিকারে ছিপ ফেলে, তখন ছিপের আগায় থাকে একটা বরশি। কিন্তু বরশিটা প্রকাশ্যে দেখা যায় না, তার উপর খাবার দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। মাছ যখন সেই বরশি দেখে, সে দেখে এক টুকরা লোভনীয় খাবার। সে খাবারের আবেগ দ্বারা ধাবিত হয়। কিন্তু খাবার গেলার পর দেখতে পারে, তার গলায় আটকে গেছে ধাতব কাটা। যার ফলফল জীবন শেষ।
আমি গত কয়েকদিন ধরে অনেক ব্যস্ততার মাঝেও নির্বাচন নিয়ে অনেক লেখা পড়লাম। আমার কাছে বার বার মনে হচ্ছে সবাই বাংলাদেশীদের আধার দিয়ে শিকার করতে চায়। আওয়ামীলীগও চায়, ড কামালও চায়। জনগণ হইলো ফুটবলের মত, একবার একপক্ষের লাত্থি খেয়ে একদিকে যায়, আরেকবার অন্যপক্ষের লাত্থি খেয়ে অন্যদিকে যায়। কিন্তু জনগণের কোন গোল পোস্ট নাই, যেখানে বলটা ঢুকতে পারে।
আচ্ছা, দাড়ান আমি একটা বুদ্ধি ঠিক করেছি।
সবার প্রথম একটা লক্ষ্য ঠিক করতে হবে জনগণের।
জনগণের একটা সর্বজনবিদিত নিজস্ব মতবাদ থাকবে, একটা পলিসি থাকবে।
সেই পলিসির উপর জনগণ এক হবে ।
যেমন- আওয়ামীলীগ চলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দিয়ে, বিএনপি চলে জাতীয়তাবাদী চেতনা দিয়ে, ভারতের বিজেপি চলে হিন্দুত্ববাদী চেতনা, কোটা আন্দোলন চলে কোটা বন্ধ করার চেতনা নিয়ে, সড়ক আন্দোলন চলে নিরাপদ সড়কের চেতনা নিয়ে।
ঠিক তেমনি বাংলাদেশের জনগণকে একটা বিশুদ্ধ পলিসি বা মতবাদের উপর প্রথমে একমত হতে হবে।
যেই চেতনা বাস্তবায়ন করলে, আসলেই জনগণের মুক্তি আসবে এবং শত্রুরা আর খুবলে খেতে পারবে না।
আমার মনে হয়, জনগণকে আগে ঠিক করতে হবে, জনগণ কি চায় ?
কোন শক্তিশালী চেতনার উপর তারা এক হতে চায়।
সেই চেতনাটাই আগে ঠিক করুক।
তারপর সেই চেতনাটা সবাই একযোগে ব্যক্তি ও জাতীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন শুরু করলেই অপারগ হয়ে পালিয়ে যাবে প্রতিপক্ষ। মুক্তি আসবে জনগণের।
[বি: দ্র: অনেকদিন ধরে নিয়মিত লেখালেখি না করায়, লেখা বেশ অগোছালো। তবে আশা করছি, কয়েকদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।]

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, September 5, 2018

অ্যানালিস্ট ক্লাস -২ : জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি কিভাবে সম্পর্কিত হয় ?


জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির মধ্যে সম্পর্ক ধরতে হলে প্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে লোকাল (থানা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে রাজনীতি) রাজনীতির সাথে জাতীয় রাজনীতির সম্পর্ক। লোকাল রাজনীতির সাথে জাতীয় রাজনীতির সম্পর্ক যেমন, জাতীয় রাজনীতির সাথে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ঠিক সেকরম। একটি সম্পর্ক বুঝলে, অন্যটি বোঝা সহজ।

বিষয়গুলো খেয়াল করুন:

(১) জাতীয় রাজনীতিতে যেমন দুটি বড় দল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে (উদাহরণ আওয়ামীলীগ-বিএনপি), ঠিক তেমনি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দুটি বড় ব্লক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একটি মার্কিন ব্লক, অন্যটি রুশ ব্লক।

(২) লোকাল রাজনীতি করা একজন চেয়্যারম্যান, তার এলাকায় হয়ত খুব জনপ্রিয় হতে পারে। কিন্তু জাতীয়ভাবে তার কোন অবস্থান নেই। জাতীয়ভাবে আসতে হলে ঐ চেয়ারম্যানকে জাতীয় রাজনৈতিক দল যেমন- আওয়ামীলীগ বা বিএনপি’র পরিচয়ে আসতে হবে। তখন যদি তাকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়, “অমুক এলাকার আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান বা অমুক এলাকার বিএনপির চেয়ারম্যান। তাহলে জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতিবিদরা তাকে সহজেই চিনতে পারে। ঠিক তেমনি, বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ যখন জাতীয় পর্যায়ে রেখে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যায়, তখন যদি তাকে বলা হয় আওয়ামীলীগ/বিএনপির নেতা। তবে কিন্তু চেনা যায় না। কারণ আন্তর্জাতিক রাজনীতির পরিমণ্ডলে আওয়ামীলীগ বা বিএনপির কোন অবস্থান নেই । তখন ঐ রাজনীতিবিদকে যোগ দিতে হয় আমেরিকা বা রাশিয়ান ব্লকে। তখন তার পরিচয় হয় অমুক দেশের রাশিয়ান বা মার্কিন ব্লকের সদস্য। যেমন: ড. কামাল হোসেন বাংলাদেশে মার্কিন ব্লকের সদস্য।

(৩) প্রশ্ন আসতে পারে, একজন জাতীয় রাজনীতিবিদের সাথে কেন বিদেশী ব্লকের সাথে সম্পর্ক তৈরী হয়?

উত্তর হবে: দুই দিকেরই স্বার্থ আছে। লোকাল রাজনীতির সাথে জাতীয় রাজনীতির সম্পর্ক বুঝলে, জাতীয় রাজনীতির সাথে আন্তর্জাতিক রাজনীতির সম্পর্ক বুঝা সম্ভব।

ক) একজন লোকাল চেয়ারম্যানের উপর লোকাল ও জাতীয় লেভেলে নানা রকম হুমকি বা থ্রেট থাকতে পারে। সেই থ্রেট এড়ানোর জন্য সে জাতীয়ভাবে যারা রাজনীতি করে তাদের সাথে গাট বাধে। তার সাথে জাতীয় রাজনীতিবিদদের সম্পর্ক থাকায় এলাকার প্রতিপক্ষরা তাকে কিছু করতে পারে না। পাশাপাশি লোকাল লেভেলে তার প্রভাব বিস্তার এবং প্রতিপক্ষ থেকে এগিয়ে থাকতে জাতীয় রাজনীতিবিদরা সর্বাত্মক হেল্প করে।
একইভাবে জাতীয় ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদের জন্য অনেক ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল থ্রেট থাকে। এজন্য তাকে বিদেশী রাজনীতিক ব্লকের সাথে সম্পর্ক মেইনটেইন করতে হয়, নয়ত তার প্রতিপক্ষরা তাকে শেষ করে দিতে পারে। পাশাপাশি জাতীয় লেভেলে প্রভাব বিস্তার ও প্রতিপক্ষ থেকে এগিয়ে থাকতে আন্তর্জাতিক লেভেল থেকে হেল্প করা হয়।
যেমন: শেখ হাসিনা রুশব্লক মেইনটেইন করে। এটা করে তারা ভারতীয় কংগ্রেসের মাধ্যম দিয়ে (ভারতের কংগ্রেস রুশব্লকের সদস্য)। এ কারণে ওয়ান ইলেভেনের সময় মাইনাস টু করে যখন আমেরিকা শেখ হাসিনাকে হটিয়ে দিতে চাইছিলো, তখন রুশব্লকের ভারতীয় কংগ্রেস শেখ হাসিনাকে রক্ষার জন্য সর্বাত্মক কাজ চালায়। পাশাপাশি প্রতিপক্ষ বিএনপি থেকে এগিয়ে থাকতে রুশব্লকের ভারতীয় কংগ্রেস সব সময় শেখ হাসিনাকে সাহায্য করে।

(খ) আবার, একজন লোকাল চেয়্যারমানের দ্বারা জাতীয় রাজনৈতিক দল বা রাজনীতিবিদ ফায়দা নেয়। যেমন জাতীয় দলগুলো লোকাল রাজনীতিবিদদের উপর নির্ভর করে লোকাল পর্যায়ে তাদের প্রচার-প্রসার বা স্বার্থ উদ্ধার করে। একই ঘটনা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিবিদদের মধ্যেও হয়। জাতীয় রাজনীতিবিদদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক শক্তিগুলো ঐ দেশে তাদের মতবাদ/প্রচার প্রসারসহ বিভিন্ন স্বার্থ উদ্ধার করে।

৪) তবে অনেক ক্ষেত্রে দুইজনের ইন্টারেস্ট বা স্বার্থ এক নাও হতে পারে বা পরিবর্তিত হতে পারে। তখন স্বাভাবিকভাবে দেখা যায়, পরপষ্পর সমঝোতা করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালায়। তবে কিছু কিছু সেটা নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে দল পরিবর্তনের ঘটনা ঘটে। যেমন একসময় চীন সোভিয়েত ব্লকে ছিলো। এরপর দল পরিবর্তন করে মার্কিন ব্লকে যোগ দেয়। এরপর আবার মার্কিনব্লক ত্যাগ করে রুশব্লকে যোগ দেয়।

(৫) জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কিছু আ্ঞ্চলিক দল থাকে, যাদের অবস্থান পুরো দেশব্যাপী বিস্তৃত নয়। যেমন: জাতীয় পার্টি, জাসদ ইত্যাদি। এ দলগুলোর পৃথক অবস্থান থাকলেও জাতীয়পর্যায়ে কোন ঘটনার সময় (উদহারণ:নির্বাচন) তারা বড়দলগুলোর (যেমন: আওয়ামীলীগ বা বিএনপি) সাথে জোট বাধে (আবার নিজেদের মধ্যেও জোট তৈরী করতে পারে)। অনুরূপ আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রেও এরকম আঞ্চলিক শক্তি থাকে। তারা আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলো নিয়ে জোট বাধে বা বড় শক্তিগুলোর সাথে জোট বেধে কাজ চালায়। যেমন: এশিয়ায় চীন রাশিয়ার সাথে, ভারত আমেরিকার সাথে। মিডলইস্টে সৌদি আরব আমেরিকার সাথে, ইরান রাশিয়ার সাথে জোট বাধে ইত্যাদি।

৬) উপরের দিকে যখন দুই দলের সাথে জোট হয়, তখন নিচের দিকেও জোট বা সু-সম্পর্ক লক্ষ্য করা যায়। আবার উপরের দিকে বিপরীতজোটে চলে গেলে নিচের দিকে শত্রুতা লক্ষ্য করা যায়। যেমন- আওয়ামীলীগ আর জাসদ যখন উপরের দিকে জোট বাধে তখন লোকাল পর্যায়ে আওয়ামীলীগ ও জাসদের চেয়্যারম্যানের মধ্যে জোট বা সুসম্পর্ক গড়ে। আবার আওয়ামীলীগ ও জাসদ প্রতিপক্ষ হয়ে গেলে লোকাল চেয়্যারম্যানদের মধ্যে সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়। অনুরূপ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কোন জোট হলে, জাতীয় পর্যায়ে ঐ ব্লকের সদস্যদের মধ্যে জোট বা বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। ভেঙ্গে গেলে শত্রুতা বা প্রতিপক্ষতা তৈরী হয়। যেমন: এক সময় আমেরিকা আর চীন একব্লকে ছিলো, তখন বাংলাদেশে মার্কিন ও চীনব্লকের রাজনীতিবিদদের মধ্যে জোট বা সুসম্পর্ক লক্ষ্য করা যায়। এখন চীন মার্কিন ব্লক ত্যাগ করে রুশ ব্লকে যোগ দিয়েছে। তাই এখন বাংলাদেশে চীন ও মার্কিনপন্থীদের মধ্যে শত্রুতা বা বিপরীতপক্ষতা লক্ষ্য করা যায়।

আজকের পাঠের পর আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থাকে, কিংবা কোন অংশ যদি বুঝতে না পারেন, তবে তা কমেন্ট করুন। আমি সুযোগ-সময় করে তার উত্তর দিবো।

(১ম পর্ব- রিয়েল ফেস ও আর্টিফিসিয়াল ফেস-https://bit.ly/2PKbc2S)


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Tuesday, September 4, 2018

বর্তমান ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স, ঠিক যেন মেয়েদের চুলের বেণীর মত প্যাচের পর প্যাট লেগে গেছে


‘ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স’ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আমার প্রথম মাথায় আসে মেয়েদের ‘চুলের বেণী’র কথা, চুলের বেণীতে যেমন একপ্যাচের পর অন্য প্যাচ দিয়ে লম্বা করা হয়, বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্সের অবস্থা ঠিক সেই চুলের বেণীর মত প্যাচের পর প্যাচ লেগে গেছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যখন আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা সিস্টেম তৈরী হলো, তখন সেই ‘নীতি’র আবির্ভাব। যুদ্ধ দিয়ে নয়, বরং পলিটিক্স বা কৌশলগত সিদ্ধান্ত দিয়ে হবে ঘায়েল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একদল অ্যানালিস্ট তৈরী করে যখন কাজ শুরু করলো, তখন রাশিয়া দেখলো তাদেরও একদল অ্যানালিস্ট লাগবে মার্কিন নীতিকে সামাল দিতে। শুরু হয়ে গেলো পাল্টাপাল্টি কূটনীতি-যুদ্ধ। দেয়া হলো এক প্যাচের উপর অন্য প্যাচ। প্যাচ লাগতে লাগতে এখন সেটা নারীদের বেণীর মত হয়ে গেছে। বর্তমান কালে আমরা যে প্যাচ দেখি সেটা বেনীর ৯ নম্বর প্যাচ, একটু বুদ্ধিমানরা হয়ত ৯ নম্বরটা খুলতে পেরে খুশি। কিন্তু সেই প্যাচের পর আরো ৮টি প্যাচ রয়ে গেছে। একটার পর একটা খুলতে পারলেই মূল যায়গায় যাওয়া সম্ভব।

ইহুদীরা উপরে বসে থাকে। এরপর দুই পক্ষ হয়ে একপক্ষ একদিকে মার্কিনব্লকের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে, আরেক পক্ষ অন্যদিকে রাশিয়ানব্লকের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে। ইহুদীরা দুইপক্ষ এক সাথে বসে চা খায়, কিন্তু নিচ দিয়ে প্যাচ লাগিয়ে ফায়দা নেয়। নিচ দিয়ে আমেরিকান ব্লকে অনেক রাষ্ট্র ও রাজনীতিক যোগ হয়, আবার রাশিয়ান ব্লকেও যোগ হয় অনেক রাষ্ট্র ও রাজনীতিক। বিশ্বব্যাপী চলে আন্তর্জাতিক রাজনীতি।

মুসলমানরা এখন বিশ্বজুড়ে নির্যাতিত ও নিপীড়িত। মুসলমানরা যদি এই অবস্থা থেকে উত্তরণ চায়, তবে মুসলমানদেরকে প্রথমে এই আন্তর্জাতিক রাজনীতি বুঝতে হবে, প্যাচগুলো ধরতে হবে। অনেক মুসলমান কিন্তু এই প্যাচের মধ্যে ঢুকে বিলীন হয়ে যায়। এটা হলে চলবে না। নিজেই পৃথক প্যাচ তৈরী করতে হবে আর সেই প্যাচে শত্রুদেরকে ঘায়েল করতে হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশের নির্বাচন সন্নিকটে। এ মুহুর্তে জাতীয় সেক্টরে আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিষয়গুলো অবলোকন করা সহজ। বাংলাদেশের জনগণ হয়ে গেছে ফুটবলের মত। একবার এক পক্ষ লাথি মেরে একদিকে পাঠায়, আরেকবার আরেকপক্ষ লাথি মেরে অন্যদিকে পাঠায়। দুই পক্ষ জনগণকে নিয়ে খেলে, কিন্তু জনগণের নিজের কোন অবস্থান নাই। সে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু নিজে কিছু করতে পারে না। বাংলাদেশের জনগণকে সেই জ্ঞান দিতে আমি অ্যানালিস্ট ক্লাস শুরু করেছিলাম। প্রথম ক্লাসে ‘ঘটনার আড়ালে এক্টরস বা প্লেয়ার কতজন’, ‘রিয়েল ফেস ও আর্টিফিসিয়াল ফেস’ টার্মগুলো এনেছিলাম। প্রথম ক্লাস নেয়ার পর দীর্ঘ ১ মাস ব্যক্তিগত কাজে আমি ব্যস্ত থাকায় সময় নিয়ে ‘অ্যানালিস্ট ক্লাস’ এর জন্য ফেসবুকে বসতে পারিনি। এজন্য অনেকে কষ্ট পেয়েছেন। একারণে আমি আন্তারিকভাবে দুঃখিত।

এবার ঠিক করেছি ২য় ক্লাসটি নিবো। ২য় ক্লাসটি হবে ‘জাতীয় রাজনীতির সাথে আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্ক রক্ষা করে কিভাবে ?’ ২য় ক্লাসের স্ট্যাটাস লেখা শেষ, খুব শিঘ্রই রিলিজ হবে।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

চামড়া শিল্প ধ্বংস এবং মাদ্রাসা বন্ধের ষড়যন্ত্র

কাঁচা চামড়া রফতানির কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। কারণ কাঁচা চামড়া রফতানি করা হলে দেশের চামড়াশিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে: তোফায়েল
(https://bit.ly/2wsl2xE)
ঠাকুর ঘরে কে রে ?
আমি কলা খাই না।
চামড়া আমরা ভারত পাঠাবো না !!!
চামড়ার ট্যানারিগুলো হাজারিবাগ থেকে সাভারের হেমায়েতপুরে স্থানান্তরের পর মন্ত্রী তোফায়েল গিয়েছিলো ট্যানারিমালিকদের সাথে দেখা করতে। সরকারের অসহযোগীতার কারণে হেমায়েতপুরের ট্যানারিগুলো চামড়া প্রসেসিং এর জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠেনি। এ নিয়ে ট্যানারি মালিকরা মন্ত্রীর কাছে তাদের দুঃখ বর্ণনা করছিলো। তাদের দুরবস্থার সমাধান দেয়া তো দূরের কথা, উল্টা বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল তখন বলেছিলো: “চামড়ার ব্যবসা করতে না পারেন, চানাচুরের ব্যবসা করেন। আপনারা চামড়া না নিবেন, আমরা সব চামড়া ভারত পাঠিয়ে দেবো।”
আসলে সরকার এই আচরণ বহু দিন ধরেই করছে। তারা মিডিয়ার সামনে বলছে একটা, কিন্তু করছে আরেকটা। সরকার চামড়া নিয়ে ফুল সেট-আপ এমনভাবে করেছে যেন বাংলাদেশের চামড়া ভারত চলে যায়, ভারতের চামড়া শিল্প দাড়িয়ে যায় এবং বাংলাদেশের চামড়া শিল্প ধ্বংস হয়ে যায়। মুখে বলছে- চামড়া শিল্পের উন্নতি করা হবে, কিন্তু বাস্তবে চামড়া শিল্পকে আরো মাটির সাথে মিটিয়ে দিচ্ছে। যেমন- চামড়া শিল্পকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের (বিসিক) অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। অথচ চামড়া শিল্প হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য পোষাক শিল্পের পর বড় সবচেয়ে বড় শিল্প। যদিও বিসিকের (ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প) মোটেও ক্ষমতা নাই, চামড়ার মত একটি বড় শিল্পকে নেতৃত্ব দেয়ার। কিন্তু এর কোন পরিবর্তন নাই।
মন্ত্রী তোফায়েল নিজ মুখে স্বীকার করছে, এ বছর চামড়ার দাম কমানো সঠিক ছিলো। (https://bit.ly/2MYhgWX)
উল্লেখ্য চামড়ার পণ্যের মূল্য আকাশ ছোয়া হলেও সরকার বছর বছর চামড়ার দাম কমিয়ে যাচ্ছে। যেমন: প্রতিবর্গফুটের দাম
২০১৩ সালে ৮৫ -৯০ টাকা।
১০১৪ সালে ৭৫-৮০ টাকা
২০১৫ সালে ৫০ টাকা,
২০১৬ ৫০-৫৫ টাকা
২০১৭ সালে ৫০-৫৫ টাকা এবং
২০১৮ ৪৫-৫০ টাকা। (https://bit.ly/2MsMxB6)
বাংলাদেশের চামড়ার মূল্যগুলো সাধারণ যায় মাদ্রাসা বা ইসলামী শিক্ষালয়গুলোতে। যদি চামড়ার দাম কমিয়ে দেয়া যায়, তবে অটোমেটিক মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে অর্থের অভাবে বসিয়ে দেয়া সম্ভব। চামড়ার মূল্য কমানোর একটি অন্যতম কারণ এটি ।
এছাড়া আরেকটি কারণ হলো, এবারের চামড়াগুলো ভারতে পাচার করা। উল্লেখ্য, চামড়ার ট্যানারিগুলো হেমায়েতপুরে স্থানাস্তর করা হলেও সরকারের অবহেলার কারণে সেগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়নি। ফলে ট্যানারিমালিকরা চামড়া কিনতে পারছে না। এতে চামড়াগুলো ভারতে পাচার হওয়া সহজ হয়ে যায়। (https://bit.ly/2MAGATx)
সরকার পুরো বিষয়টি মধ্যস্থতা করেছে, কারণ তার ব্রোকারি মানি আছে। সরকারী ঘোষণা মাধ্যমে যদি চামড়ার দাম কমিয়ে দেয়া যায়, তবে পুরো লাভটা আওয়ামী সরকারের পকেটে আছে। তোফায়েল নিজেই বলছে- চামড়া পাচার হলে বাংলাদেশের ট্যানারি শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে, কিন্তু সে ও তার দল বাস্তবেই চায়, বাংলাদেশের চামড়া ও ট্যানারি শিল্প ধ্বংস হয়ে যাক। এবং ভারতের ট্যানারি শিল্প দাড়িয়ে যাক। বেড়া নিজেই যদি গাছ খেয়ে ফেলে, তবে সেই বেড়া দিয়ে গরু-ছাগল ঠেকাবেন কিভাবে ?

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------