Sunday, November 25, 2018

খবর ও মন্তব্য :

১) খবর –
নির্বাচনের আগে ওয়াজ মাহফিল নয়: ইসি (https://bit.ly/2THvxbe)
মন্তব্য : সংবিধান অনুসারে বাংলাদেশের মানুষ ধর্ম পালন ও প্রচারের অধিকার রাখে। ওয়াজ মাহফিল যেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ধর্ম পালনের অনুসঙ্গ, তাই সেটা বন্ধ করার অধিকার ইসি কখনই রাখে না, এবং সেটা অবশ্যই সংবিধানের ২ ও ১২ ধারা বিরোধী । ইসি বলতে পারতো, ওয়াজের মধ্যে রাজনৈতিক আলাপ না করার জন্য। কিন্তু সেটা না বলে ডাইরেক্ট ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করা, অনেকটা মাথা ব্যাথা হলে মাথা কেটে ফেলার মত অবস্থা। ওয়াজের মাধ্যমে লোক জমায়েতের কথা যদি বলে, তবে কয়েকদিন পর এরা তো নির্বাচনের কারণে মসজিদের নামাজও বন্ধ করে দেবে। বলবে- নির্বাচনের কারণে মসজিদের নামাজ বন্ধ করো। এ ধরনের মাথামোটা লোকগুলোকে কেন যে এসব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয়, তা আমার মাথায় আসে না। এগুলো ঘাড় ধাক্কা দিয়ে পদ থেকে বহিষ্কার করা উচিত।
২) খবর – বিয়ে করেছে ফারজানা ব্রাউনিয়া (https://bit.ly/2DYL9lK)
মন্তব্য : এটি ফারজানা ব্রাউনিয়ার তৃতীয় বিয়ে। তবে সেটা সমস্যা নয়। সমস্যা হলো পাত্র লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, যে সাবেক এসএসএফের মহাপরিচালক ও ডিজিএফআই’র পরিচালক। বাংলাদেশের বাল্যবিয়ে বন্ধ করার পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী অর্থলোভী ফারজানা ব্রাউনিয়া মার্কিন নেটওয়ার্কে চলে। অপরদিকে শেখ হাসিনার আমলে এসএসএফের মহাপরিচালক ও ডিজিএফআই’র পরিচালক হওয়া হাসান সারওয়ার্দী’র এন্টি-মার্কিন নেটওয়ার্কের লোক হওয়া স্বাভাবিক। সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী দুইজনের মধ্যে যখন বিয়ে হয়, তখন স্বাভাবিকভাবে একটা প্রশ্ন আসে, ফারজানা হাসান সারওয়ার্দীকে শিকার করলো ? নাকি হাসান সারওয়ার্দী ফারজানাকে ?
৩) ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিলো আওয়ামীলীগের সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী একে খন্দকার (https://bit.ly/2QfpVWI)
মন্তব্য : একে খন্দকার মার্কিনপন্থী লোক। এতদিন মার্কিনপন্থীদের ডাইরেক্ট কোন দল ছিলো না। তাই এরা আওয়ামীলীগের মধ্যে ঢুকে ছিলো। এখন মার্কিনপন্থীরা দল খুলেছে, তাই আওয়ামীজোট ছেড়ে এরা নিজের দলে ঢুকে পড়লো। শুধু একে খন্দকার না, আমি আরো আগেই বহুবার বলেছি- এরকম আরো বহু মার্কিনপন্থী আওয়ামীজোটের মধ্যে ঢুকে আছে, যারা আসলে আওয়ামীলীগের গলার কাটা, যারা কাজ করবে সুযোগ বুঝে। তথ্যমন্ত্রী ইনু, অর্থমন্ত্রী মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর সবগুলো মার্কিনব্লকের লোক, কিন্তু ঢুকে আছে আওয়ামী সরকারের ভেতর। এরাও সুযোগ বুঝে একে খন্দকার হয়ে যাবে, তখন আওয়ামীলীগ বুঝবে ফাটল কাকে বলে।
৪) ঢাকায় নগ্ন নারীদেহের ছবির প্রদর্শনী (https://bit.ly/2BuIiP2)
মন্তব্য : ঢাকার উত্তরায় গ্যালারি কায়ায় চলছে নগ্ন নারী দেহের ছবির প্রদর্শনী। সত্যিই বলতে ইউরোপ-আমেরিকায় শিল্প বলতে বোঝায় হয়, নগ্ন নারী দেহের ছবি-মূর্তিকে। বাংলাদেশের মত মুসলিম দেশে অবশ্য সে চর্চাটা ছিলো না। কিন্তু একটি মহল বাংলাদেশে সেই চর্চাটা শুরু করতে বেশ কিছুদিন যাবত উঠেপড়ে লেগেছিলো। বিশেষ করে গত ২রা ফেব্রুয়ারি শিল্পকলা একাডেমিতে ‘ঢাকা আর্ট সামিট এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ইনু বলেছিলো, “নগ্ন নারীদের ছবি লিঙ্গ বৈষম্য দূর করে।” (https://bit.ly/2FADlZ8)
ইনুর বক্তব্যের পর আমি বুঝেছিলাম, খুব শিঘ্রই বাংলাদেশে নগ্ন নারীদেহের ছবির ব্যাপক প্রচলন শুরু হতে যাচ্ছে, যা একটি রেজাল্ট দেখা যাচ্ছে এখন উত্তরায়।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

এই টাকলা মনিরুলকে কে কাউন্টার টেরোরিজমের প্রধান বানাইছে ?


শালা কি বুঝে কাউন্টার টেরোরিজম কি ?

মনিরুল ফতোয়া দিছে, যে রবীন্দ্রসংগীত আর গাঞ্জা লালন চর্চা করে সে নাকি জঙ্গী হইতে পারে না। (https://bit.ly/2BuycxF)
হায়রে গোবেট, দুই বছর আগে কি হইছিলো, এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেছি। তুই না কইছিলি, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাফি হলি আর্টিসান হালমাকারীদের পক্ষে ভয়েস দিয়ে ভিডিও ছাড়ছে সাফি। (https://bit.ly/2AhzM4n)

উল্লেখ্য, এই সাফি ছিলো ক্লওজাপ ওয়ান তারকা, রবীন্দ্র সংগীত গাইতো ও পছন্দ করতো। এমনকি সে রবীন্দ্র সংগীতের উপর পিএইচডিও করতে চাইছিলো। (https://bit.ly/2FOhiyu)

টাকলা মনিরুলের এই কাউন্টার টেরোরিজমের দায়িত্বে থাকার যোগ্যতা আছে বলে মনে হয় না। আমার তো এখন সন্দেহ হইতেছে, মনিরুলের সাথে হয়ত জঙ্গীদের কোন সংযোগ আছে, নয়ত সে এরকম আজগুবি কথা বলে কেন সাফির মত জঙ্গীদের লুকাইতে চাইতেছে ?

অবিলম্বে টাকলা মনিরুলকে কাউন্টার টেরোরিজমের দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হোক।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

ইহুদীদের সিন্ডিকেট এবং মুসলমানদের দূর্বলতা

সিন্ডিকেট বা কমিউনিটি এক বড় জিনিস।
যার সিন্ডিকেট বা নিজস্ব কমিউনিটি আছে,
অন্য সবাই তার কাছে ধরা।
ইহুদীরা এক্ষেত্রে সব থেকে এগিয়ে ।
অন্যান্যরা যেখানে সর্বোচ্চ এক বা দুই সিন্ডিকেট তৈরী করতে পেরেছে, সেখানে ইহুদীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সর্বমূখী সিন্ডিকেট করে রাজত্ব তৈরী করে ফেলেছে।
উদাহরণ দিলে বুঝতে সহজ হবে। যেমন ধরুন, কোন সংগঠন বা দলের হয়ত:
১) ব্যবসায়ী সংগঠন বা সিন্ডিকেট আছে,
২) কারো আছে রাজনৈতিক সিন্ডিকেট
৩) কারো আছে প্রশাসনিক সিন্ডিকেট
৪) কারো আছে মিডিয়া সিন্ডিকেট
৫) কারো আছে বিচারবিভাগীয় সিন্ডিকেট
৬) কারো ব্যাংক সিন্ডিকেট
৭) কারো আছে সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট
৮) কারো আছে গোয়েন্দা বাহিনীর সিন্ডিকেট
৯) কারো আছে এনজিও সিন্ডিকেট
১০) কারো আছে প্রযুক্তি সিন্ডিকেট
১১) কারো আছে বিজ্ঞানী সিন্ডিকেট
১২) কারো আছে্ ঔষধ সিন্ডিকেট
১৩) কারো আছে লেখক/বুদ্ধিজীবি সিন্ডিকেট
১৪) কারো আছে অভিনেতা-অভিনেত্রী-খেলোয়াড়-পরিচালক সিন্ডিকেট
১৫) কারো আছে ধর্মীয় গুরু সিন্ডিকেট
১৬) কারো আছে বিভিন্ন সংগঠনভিত্তিক সিন্ডিকেট (উদা: পরিবেশবাদী, মানবাধিকার ইত্যাদি)
১৭) কারো আছে এনালিস্ট সিন্ডিকেট
১৮) কারো আছে মাদক সিন্ডিকেট
১৯) কারো আছে শ্রমিক ইউনিয়ন সিন্ডিকেট
২০) কারো আছে সামরিক বাহিনী বা অস্ত্রের সিন্ডিকেট
একের জনের একেকটা আছে। কারো কাছে একাধিকও থাকতে পারে। কারো শুধু নিজ দেশে আছে। কিন্তু ইহুদীদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব সিন্ডিকেট আছে, অথবা সবগুলো সিন্ডিকেটে তাদের লোক ঢুকানো আছে, অথবা সে সব সংগঠনকে তারা ফান্ড দেয় বা বুদ্ধি দেয়। এই আন্তর্জাতিক মাল্টি সিন্ডিকেট পাওয়ার একটা বড় পাওয়ার। কারণ অন্য এক বা একাধিক সিন্ডিকেটের মালিককে তারা তুলোধুনো করতে সময় লাগে না, আবার কোন ব্যক্তি, যত বড় ক্ষমতার মালিক হোক, এর কাছে সে পাত্তাই পাবে না। এটা অবশ্যই ইহুদীরা একদিনে করেনি, এ সিন্ডিকেট দাড় করাতে তারা হাজার বছর চেষ্টা করতে হয়েছে।
যীশু খ্রিস্টের জীবন কাহিনী পড়লে স্পষ্ট হয়, ইহুদীদের সাথে খ্রিস্টানদের দ্বন্দ্ব ছিলো।
মুসলমানদের শেষ নবীর জীবন ঘটনা পড়লে দেখা যায়, ইহুদীদের সাথে মুসলমানদের দ্বন্দ্ব হয়।
এই দ্বন্দ্ব-মানসিকতা সৃষ্টি হয় সাম্প্রদায়িকতা বা জাতীয়তাবোধ থেকে, যা থেকে তাদের মনে ধারণা সৃষ্টি হয়, আমাদের খ্রিস্টান ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে জয়ী হতে হবে (মুসলমানদের মনে অবশ্য এখন সেই মানসিকতাই নেই, বীজ যদি না থাকে তবে গাছ হবে কিভাবে? )।
এই মানসিকতা পূজি করে ইহুদীরা এগিয়ে যায়, যাওয়ার পথে তারা কম বাধার সম্মুক্ষিন হয়নি। খ্রিস্টানরা বহুবার তাদের মার দিয়েছে, মুসলমানরাও তাদের মার দিয়ে বের করে দিয়েছে। কিন্তু তারা পিছু হটেনি। তারা তাদের মূল নীতিতে দৃঢ় ছিলো। বাবা মারা যাওয়ার আগে সন্তানকে বলে গেছে,
“বাবা আমি পারলাম না, তুমি আমার রেখে যাওয়া কাজ সমাপ্ত করো।”
ঐ ছেলে মারা যাওয়ার সময় তার সন্তানকে বলে গেছে, একই কথা
ঐ ছেলে মারা যাওয়ার সময় তার সন্তানকে বলে গেছে একই কথা।
এভাবে চলেছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম, কিন্তু মূলনীতি থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হয়নি। বর্তমান কালে ইহুদীরা যতটুকুই সফল, এর পেছনে প্রজন্মের পর প্রজন্মে তাদের দৃঢ়চেতা থাকা অবশ্যই মূল কারণ।
উপরের আলোচনা থেকে দুটি বিষয় বের হয়ে আসে-
ক) মান্টি সিন্ডিকেট
খ) দীর্ঘ সময়
আমি জানি, অনেক মুসলমান মনে করে, তারা একা একা অনেক কাজ করে ফেলবে, বা করতে পারবে। এটা সম্পূর্ণ ভুল, ইহুদী মাল্টি সিন্ডিকেটের সামনে সে একটা ধূলাবালির সমানও না।
আবার অনেকে মনে করে, ১ দিনে সে অনেক কিছু করে ফেলবে। এটাও ভুল। কারণ শত শত বছর ধরে যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা জমা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে লড়তে হলেও ইহুদীদের মত অত বড় না হলেও মোটামুটি একটা সময় দরকার। তাই ইহুদীদের সাথে লড়তে হলে মুসলমানদের সেভাবেই চিন্তা করা উচিত।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------