Sunday, July 29, 2018

এনালিস্ট ক্লাস : ১ । এক্টরস বা প্লেয়ারস সূত্র :

এনালিস্টের প্রাথমিক কাজ হলো ঘটনার মূল বের করে নিয়ে আসা। এজন্য ঐ ঘটনার পেছনে কতগুলো বা কত ধরনের এক্টর বা প্লেয়ার কাজ করতেছে তা জানতে হবে।
এক্টরস বা প্লেয়ারস সূত্র :
একটা ঘটনার পেছনে কতজন প্লেয়ার/এক্টর আছে, এটা যতক্ষণ জানা না যাবে, ততক্ষণ বুঝা যাবে না, ঐ ঘটনাটা আসলে কেন ঘটলো। কোন একটি ঘটনা ঘটলে যে প্রকাশ্য বিষয়টা ঘটায়, সাধারণ মানুষ তাকেই দায়ী করে। কিন্তু একজন এনালিস্ট এটা করতে পারে না। একজন এনালিস্ট ঐ ঘটনার পেছনে কতগুলো এক্টর বা প্লেয়ার কাজ করেছে তার অনুসন্ধান করে। কোন ঘটনা শুধু এক নয়, একাধিক লোক বা সংগঠনের ইন্ধনেও ঘটতে পারে, যা চিন্তা করা সাধারণ মানুষের চিন্তার অনেক উর্ধ্বে।
সমাজে কোন ঘটনা ঘটলে, একপক্ষ অন্য পক্ষের উপর দোষ চাপিয়ে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে যারা কাজটি করে, তারা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য থাকে এবং কাজটি এতটাই কৌশলে করে যে সাধারণ মানুষ পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়। এছাড়া এক রাজনৈতিক দল, অন্য রাজনৈতিক দলের উপর দায়-দাবি চাপিয়ে দেয়, যার কারণে ঘটনার মূল অনুসন্ধান করতে ব্যর্থ হয় সাধারণ মানুষ।
একটা ঘটনার পেছনে কতগুলো শক্তি কাজ করতেছে এবং কার উদ্দেশ্য কি, এটা জানতে পারলে আপনি অনেক ক্ষেত্রে এক শক্তিকে অন্য শক্তির উপর ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু যদি আপনি সেটা না জানেন, তবে উল্টা তারা নিজের স্বার্থে আপনাকে ব্যবহার করবে।
একটি উদাহরণ দিলে বুঝতে সহজ হবে। যেমন, ধরুন বইমেলায় আগে অনেক ‘ধর্মবিরোধী বই’ বিক্রি হতো। এটা নিয়ে লেখালেখি করার পর অনেক প্রকাশনা বন্ধ করে দেয় সরকার। কথা হলো, এই বইমেলায় কয়টি শক্তি কাজ করেছে ?
(১) মার্কিন বা সিআইএপন্থী একটি গ্রুপ, যারা বইমেলায় ইসলামবিরোধী বই প্রকাশ করতো,
(২) আওয়ামী সরকার,
(৩) জনগণ
আপনার যদি সিআইএপন্থীদের কাজ সম্পর্কে ধারণা থাকে,
এবং তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী সরকারের পলিসি সম্পর্কে জানা থাকে,
তবে সহজেই আপনি আওয়ামী সরকারকে দিয়ে বইমেলায় ইসলামবিরোধী বই বন্ধ করতে পারেন।
এক্ষেত্রে খুব সহজেই বিষয়টি বন্ধ করা সম্ভব।
কিন্তু আপনার কাছে যদি ভুল তথ্য থাকে,
যেমন: আওয়ামী সরকার নিজেই ইসলামবিদ্বেষী বই ছাপতেছে, কিংবা এগুলো ‘ভারতীয় ষড়যন্ত্র’
তাহলে কিন্তু আপনি (২) নং শক্তিকে (১) নং শক্তির উপর ব্যবহার করতে পারবেন না,
বরং মূল কালপ্রিট মানে (১) নং শক্তি হাইড হয়ে (৩) ও (২) নং শক্তির মধ্যে লাগিয়ে দিলো।
এবং তাতেই তার উদ্দেশ্য সফল।
রিয়েল ফেস ও আর্টিফিসিয়াল ফেস সূত্র:
রিয়েল ফেস শব্দের অর্থ একজন এক্টর বা প্লেয়ারের আসল পরিচয়, আর আর্টিফিয়াল ফেস হলো ঐ এক্টর বা প্লেয়ার যে কৃত্তিম রূপ ধারণ করে। যারা এক্টর বা প্লেয়ার থাকে, তারা সব সময় রিয়েল ফেস থেকে আর্টিফিসিয়াল ফেসের দিকে যেতে চায়, উদ্দেশ্য সবাইকে ধোকা দেয়। অনেকক্ষেত্রে তারাও চায়, সাধারণ মানুষ তাদের আর্টিফিসিয়াল ফেসে আঘাত করুক। সাধারণ মানুষ যতদিন তাদের আর্টিফিসিয়াল ফেসে আঘাত করবে, ততদিন তাদের কোন ক্ষতি হবে না, বরং আরো লাভ হবে। কিন্তু যখন রিয়েল ফেসে আঘাত করা হবে, তখন তার মূল উদ্দেশ্য ফাঁস হবে এবং সে সহজেই ধরাশায়ী হবে।
ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল যে কোন বড় গেম বুঝার জন্য রিয়েল ফেসে আঘাত করা জরুরী, কিন্তু সাধারন মানুষ সর্বদা আর্টিফিসিয়াল ফেসে আঘাত করে এবং এতে মূল এক্টর বা প্লেয়ারের ক্ষতির পরিবর্তে আরো লাভ হয়।
যেমন বইমেলায় ধর্মবিদ্বেষী বই বের হচ্ছে। আপনি যদি ভাবেন এটা আওয়ামী সরকার করাচ্ছে তবে এটা ভুল যায়গায় আঘাত, আবার আপনি যদি বলেন, এরা সব নাস্তিক তখনও এটা আর্টিফিসিয়াল ফেস। কিন্তু আপনি যখন বুঝতে পারলেন- এই গোষ্ঠীটা মার্কিন বা সিআইএপন্থী একটি গ্রুপ, তখন আপনি রিয়েল ফেসে আঘাত করলেন। তখন
(১) আমেরিকা মূল পলিসি সম্পর্কে ব্রডওয়েতে আপনি চিন্তা করতে পারবেন,
(২) সরকারের সাথে আমেরিকার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থেকে কি ফায়দা নেয়া যায় সেটা চিন্তা করবেন।
(৩) এরপর এক পক্ষ হয়ে অন্য পক্ষকে দমন করবেন।
(চলবে)

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Thursday, July 26, 2018

শেখ হাসিনা আল্লাহর উপর আস্থা ও ভরসা বাদ দিয়ে নিজের উপর আস্থা ও ভরসা চালু করে নতুন ব্যবসা ফেদেছে

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটা কথা প্রায় বলেন,

আমার উপর ভরসা রাখুন। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে যখন সবাই কথা বললো, তখনও তিনি একই কথা বলেছিলেন, বলেছিলেন- আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা, আমার উপর আস্থা রাখুন। আমার দ্বারা দেশের কোন ক্ষতি হবে না।

বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান, আর কোন মুসলমানকে যদি প্রথম জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি কার উপর ভরসা রাখেন ?

আমি নিশ্চিত সে বলবে-‘আমি আল্লাহ’র উপর ভরসা রাখি’।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সংবিধান থেকে ২০১১ সালে ‘আল্লাহ’র উপর আস্থা ও ভরসা’ তুলে দিয়েছেন এবং এখন নিজের উপর আস্থা ও বিশ্বাস চালু করতে চাইছেন। কিন্তু সেই আস্থা ও বিশ্বাস কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য ?

কোটা আন্দোলনের শুরুতে তিনি বলেছেন- কোটা বাতিল,

কিন্তু এখন বলছেন- কোটা থাকবে।

তারমানে তিনি মুখে বলেন একটা, কাজে করেন আরেকটা। তাহলে তার উপর ভরসা কিভাবে রাখা যাবে?

মানুষ আস্থা ও ভরসা করে নিরাপদ ভেবে ব্যাংকগুলোতে টাকা জমা রাখে, কিন্তু তার আমলে হাজার হাজার কোটি টাকা গায়েব, ব্যাংকের টাকা চলে যায় জুয়ার কোর্টে, সোনাগুলো সব তামা হয়ে যায়, কোটি টন কয়লা উড়ে যায় বাতাসে, আশ্চর্য !!

শেখ হাসিনার ছেলে জয় যখন আমেরিকার ভার্জিনিয়া, ওয়াশিংটন বা মেরিল্যান্ডে বিলাসবহুল বাড়ি কিনে, তার মেয়ে পুতুল যখন ফ্লোরিডায় ৩টা বাড়ি কেনে, রেহানার মেয়ে যখন ব্রিটেনে নির্বাচন ক্যাম্পেইনে কোটি কোটি ডলার খরচ করে তখন বোঝা যায় দেশের জনগণের ভরসা আর আস্থা কোথায় যায় ? ব্যবসার ক্ষেত্রে অন্যতম পূজি নাকি ক্রেতার আস্থা ও ভরসা। শেখ হাসিনাও আল্লাহ উপর আস্থা ও ভরসা বাদ দিয়ে নিজের উপর আস্থা ও ভরসা চালু করে নতুন ব্যবসা ফেদেছেন, সেটাই বোঝা যাচ্ছে।

শেখ হাসিনার কিছু কিছু পদক্ষেপ পুরোপুরি দেশবিধ্বংসী। বিশেষ করে রূপপুর পারমানবিক প্রকল্প, বরিশালের পারমানবিক প্রকল্প। কোন একটা পরমাণু দুর্ঘটনা ঘটলে শেখ হাসিনা ইউরোপ-আমেরিকায় কেনা বাড়িতে পাড়ি জমাবে, কিন্তু বাংলাদেশের ১৬কোটি জনগণ যাবে কোথায় ?

শেখ হাসিনার সাবেক এপিএস মতিউর রহমান রেন্টু তার লেখা আমার ফাঁসি চাই বইয়ে লিখেছিলো, শেখ হাসিনা নাকি প্রায়ই বলতো, “যে দেশের মানুষ আমার বাবা আর পরিবারকে হত্যা করেছে, সে দেশের মানুষকে আমি দেখে নেবো।” আমার তো সন্দেহ লাগছে, বাংলাদেশ নিয়ে সেই ধরনের কোন হিংসাত্মক পরিকল্পনার দিকে আগাচ্ছে শেখ হাসিনা ! দেশের সকল উৎপাদনশালী খাত বন্ধ করে, পুরো অর্থনীতি ভারতের হাতে তুলে দেয়া, শিক্ষা সেক্টর ধ্বংস করা, মেধাবী আর বেকারদের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ভারতীয়দের এনে মোটা বেতনে চাকুরী দেয়া, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বসিয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য জমি বরাদ্দ দেয়া, বিভিন্ন রাস্তাঘাট-সেতু-ফ্লাইওভার আর বিদ্যুৎকেন্দ্রের নামে বিদেশী ঋণ এনে তা লোপাট করা এবং কর্পোরেটোক্রেসি পলিসিতে কর্পোরেটদের কাছে দেশ বিক্রি করে দেয়া, জনগণকে চুপ রাখতে চাপকিয়ে পিঠের চামড়া তুলে নেয়া, আর বিদেশীদের সমর্থনের জন্য সর্বস্ব বিলিয়ে দেয়া।

শেখ হাসিনা বতর্মানে একটানা ১০ বছর ক্ষমতা পার করছেন। তার ইচ্ছা ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা। এজন্য যতকিছু করতে হয়, সব কিছু করতে তিনি প্রস্তুত। কিন্তু সমস্যা হলো আন্তর্জাতিক রাজনীতির খেলোয়াড়রা শেখ হাসিনার থেকে অনেক বড় ও দক্ষ। শেখ হাসিনার দুর্নীতি ও ক্ষমতালোভের সুযোগ নিয়ে তারা ফাঁদ পারতে পারে, ফলে শেখ হাসিনার লোভের কারণে পুরো দেশ হারাতে পারে স্বাধীনতা। যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিলো, সে বঙ্গবন্ধুর কন্যার লোভ আর বিশ্বাসঘাতকার কারণে সে দেশ পরাধীনতার শিকল পড়তে পারে। তবে ইতিহাস সাক্ষী, বিশ্বাসঘাতকরা কখনও পার পায় না, এক দিন না, একদিন তাকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হয়, ঝুলতে হয় ফাঁসির কাষ্ঠে। যারা ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চায়, এমনও তো হতে পারে, ২০৪১ সালের পাঠ্যপুস্তকগুলোতে ইতিহাস অধ্যায়ে লেখা থাকবে, “দেশ নিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করার কারণে অমুক শাসক, তার ছেলে-মেয়ে-বোনকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হয়।” সময়-ই কথা বলবে…….


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Tuesday, July 24, 2018

‘বাংলাদেশে লিভ-টুগেদার বৈধ’ করতে ইহুদী এজেন্ট নাইমুলের টেস্ট কেস


গত কয়েকদিন আগে, হঠাৎ একটা খবর ছড়িয়ে পড়ে, যার শিরোনাম- 
“দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়ে বিয়ে ছাড়াও একসাথে থাকতে পারবে -সুপ্রিম কোর্ট”
খবরটি জুলাই ২১, ২০১৮, ১:০৩ পূর্বাহ্ণ সময়ে প্রকাশ করে দৈনিক আমাদের সময়ের অনলাইন পোর্টাল।
যদিও কয়েক ঘন্টা পর খবরটি সরিয়ে নেয় আমাদের সময়, এ জন্য ঐ লিঙ্কে ঢুকলে খবরটা পাবেন না (https://bit.ly/2mHFgi9)। কিন্তু তারপর যদি কেউ সেই লেখাটা পড়তে চান, তবে ওয়েবক্যাশে (https://bit.ly/2Lm30rf) লেখাটা পাবেন।

তবে খবরটা ‘আমাদের সময়’ সরিয়ে নিলেও কয়েকঘণ্টার মধ্যে তা কপি করে অসংখ্য নিউজ পোর্টালে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে, “বাংলাদেশে সুপ্রীম কোর্টের রায়ে লিভ-টুগেদার বৈধ”।

খবরটি পড়লে বুঝতে পারবেন, খবরটির মধ্যে ঝামেলা আছে। প্রথমত, লিভ-টুগেদার নিয়ে আসলে কোন সরাসরি কোন রায় নেই। কোন একটি মামলা পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর বিতাড়িত প্রধান বিচারপতি সিআইএ এজেন্ট এসকে সিনহা কিছু বলেছিলো দাবি করা হচ্ছে, এবং হঠাৎ করে তা মিডিয়ায় নিয়ে আসা হলো এবং কিছুক্ষণ পর তা গায়েবও করে দেয়া হলো।

আমি একটা কথা প্রায় আপনাদের বলি,
কোন ঘটনা দেখলে আগে আপনার লাভ বা ক্ষতি খুজবেন না,
বরং দেখবেন ঘটনাটা কে ঘটালো এবং তার নিজের উদ্দেশ্য/লক্ষ্য কি ?

এই খবরটি মিডিয়ার সামনে আনলো দৈনিক আমাদের সময় অনলাইন, যার সম্পাদক নাইমুলের স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি। তসলিমা নাসরিনের সাবেক স্বামী নাইমুল ইসলাম খান একটা সময় বাংলাদেশ যেন ইসরাইলের স্বীকৃতি দেয় তা নিয়ে প্রচুর লেখালেখি করে (লেখাটা আমার পেইজ থেকে সরিয়ে দিয়েছে বিধায়, অন্য একটি ফেসবুক পেইজে পেলাম-https://goo.gl/BHg4eF)

যাই হোক কোন অপকীর্তি ঢাকতে সে আমাদের সময়ের সম্পাদকের পদ থেকে আড়াল হয়ে তার বর্তমান স্ত্রী নাসিমা খান মন্টিকে বসায়। এখন তার স্ত্রীর মাধ্যমে সেই দালালিপনা অব্যাহত রাখছে।

আমাদের সময়ে এ খবর হঠাৎ করে ছড়ানোর উদ্দেশ্য সম্ভবত ‘টেস্ট কেস’।
অর্থাৎ টেস্ট করে দেখা- পাবলিক প্রতিক্রিয়া কি ?’
যদি পাবলিক প্রতিক্রিয়া নিশ্চুপ হয়, তবে হয়ত সরকারের কাছে পশ্চিমা এজেন্টরা আবদার জানাবে বাংলাদেশে লিভ-টুগেদার বৈধ করার জন্য একটা আইন জারি করতে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ভারতে সুপ্রীম কোর্টের মাধ্যম দিয়ে লিভ-টুগেদার বৈধ বলে স্বীকৃতি নিয়েছে পশ্চিমা এজেন্টরা। এখন বাংলাদেশেও করতে চাইছে। নির্বাচন যেহেতু সামনে, তাই মার্কিনপন্থীদের অনেক দাবী-দাওয়া পূরণ করবে শেখ হাসিনা। তাই সুযোগ বুঝে কোপ মারতে চেয়েছিলো পশ্চিমা দালালরা। তবে সেই কোপ মারার আগে একটা টেস্ট কেস করে চেখে নিলো, এই আরকি।

আসলে এরকম আরো অনেক টেস্ট কেস চলে, কিন্তু সাধারণ মানুষ বুঝে না।
যেমন গতকালকে একটা ছবি ছড়াইছে ফেসবুকে, একটা ছেলে-মেয়ে বৃষ্টিতে বসে টিএসসিতে পরষ্পর পরষ্পরকে চুমু খাচ্ছে (https://bit.ly/2NAwE8s )। এই ছবি নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। কিন্তু আমি বার বার বলছি, কোন ঘটনা দেখলে আগে খুজবেন কে ঘটনা ঘটাইলো এবং তার নিজের উদ্দেশ্য কি?

এই ছবিটা তুলছে পূর্বপশ্চিম বিডি’র এক ফটোগ্রাফার, নাম জীবন আহমেদ। পূর্ব পশ্চিম বিডি কিন্তু সেই পীর হাবিবুরের রহমানের পোর্টাল, যে এক সময় আমাদের সময়ের নাইমুলের সহযোগী ছিলো। পীর হাবিবুর রহমান বেশি সমালোচিত হয়েছে কিছুদিন আগে, ভারতের একটি নিউজের অনুবাদ করে শেখ হাসিনা, এসএসএফ ও বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্যাচ লাগিয়ে দেয়ার জন্য। এর জের ধরে তার পোর্টালের এক হিন্দু সাংবাদিককে বেশ কিছুদিন যাবত গুমও থাকতে হয়েছে। এক সময় ছাত্র ইউনিয়ন করা পীর হাবিবুর রহমান এ ঘটনায় মার্কিনপন্থীদের হয়ে কাজ করেছে, এটা স্পষ্ট।

যাই হোক, সেই পূর্বপশ্চিমবিডি’র জীবন আহমেদ সেই ‘কিস’ এর ছবিটা তুললো, যার ফেসবুক আইডি ঘাটলে বোঝা যায়, সে ঐ পশ্চিমাপন্থী নাস্তিক গ্রুপটার সাথে সম্পর্কিত (https://www.facebook.com/jibon.ahmed.4)। আসলে ২০১৫ সালে যখন যখন অভিজিত টিএসসিতে কোপানি খায় তখন এই ফটোগ্রাফার জীবন আহমেদ অভিজিত আর তার বউয়ের সাহায্যে এগিয়ে আসছিলো, সেই থেকে ওদের গ্রুপের নিয়মিত সদস্য। (https://bit.ly/2LALrCO)

যাই হোক, এবার বলি এ ছবির পেছনে কারণ কি ?
কারণ ঐ একটাই, মার্কিনপন্থী (নাস্তিকবেশধারী) ঐ গ্রুপটা চায় বাংলাদেশে প্রকাশ্যে নারী-পুরুষ কিস করুক এবং মানুষ সেটা অভ্যস্থ হোক। আপনাদের মনে থাকার কথা, কয়েক বছর আগে কথিত ভ্যালেন্টাইন ডে’র সময় সবাইকে প্রকাশ্যে কিস করার আহবান জানিয়ে ফেসবুক গ্রুপ খুলছিলো হনুমান আজাদের পোলা আর চিকনি শাম্মী (https://bit.ly/2OemjjJ)। কিন্তু পাবলিকের হুমকি খেয়ে কেউ আর সেইদিন ঐ সাহস পায়নি। কিন্তু এখন আবার নতুন করে পাবলিককে অভ্যস্থ করতে চাইছে বিষয়টিতে। তাই ভিন্ন ছুরতে তাদের গ্রুপের অন্য লোক দিয়ে ছবি তুলে প্রচার করছে, আর বেকুব বাংলাদেশীরা সেটা প্রচার করছে। মার্কিনপন্থীদের সাথে আওয়ামীলীগের দ্বন্দ্ব এখন চরমে থাকায় এ ঘটনা আরো দূর গড়াতে পারে।

এ বিষয়গুলো যেন আপনারাও সহজে বুঝতে পারে, সেজন্য আমি একটা ‘অ্যানালিস্ট ক্লাস’ তৈরী করছি। আপনারা অপেক্ষা করুন, ‘সবুরে মেওয়া ফলে’।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

বাংলাদেশ বিক্রি করে দিচ্ছে শেখ হাসিনা সরকার, বিক্রির পলিসির নাম ‘কর্পোরেটক্রেসি’

আজকে খবরে আসছে, তিন মাসের মধ্যে নোয়াখালী বিমানবন্দরের ভিত্তি প্রস্তর: মন্ত্রী (https://bit.ly/2O9EdEr)
শুধু নোয়াখালী নয়, শরীয়তপুর ও বগুড়ায়ও নতুন বিমানমন্দর হবে। নোয়াখালীর বিমান বন্দরটি বানানোর প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪ হাজার কোটি টাকা (চূড়ান্ত ব্যয় ১ লক্ষ কোটিও হতে পারে)। আমার কথা হলো, মানুষ বাসে চড়ার ভাড়া পায় না বিমান বন্দর দিয়ে কি করবে ? দেশের মূল এয়ারপোটর্ মানে শাহজালাল বিমানবন্দরের নাকি অর্ধেকও এখন ব্যবহার হয় না। তাহলে এত এত বিমানবন্দর কেন ?
এটা ঠিক, বিমানবন্দর বানানোর নাম দিয়ে বহু টাকা চুরি করা যাবে। তবে এর পেছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রও আছে। যাকে বলছে ‘কর্পোরেটোক্রেসি। জন পার্কিন্সের লেখা ‘একজন অর্থনৈতিক ঘাতকের স্বীকারক্তি’ শিরোনামের বইটা পড়লে সহজে বুঝতে পারবেন, কিভাবে বর্তমান সরকার এসব উন্নয়নের নামে বাংলাদেশকে সম্রাজ্রবাদীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে।
‘কর্পোরেটোক্রেসি’ ষড়যন্ত্র শুরু হওয়ার লক্ষণ হলো, আক্রান্ত দেশে প্রচুর বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে, বিমানবন্দর হবে, ফাইভ স্টার হোটেল হবে (https://bit.ly/2NEYhxx), বড় বড় রাস্তাঘাট, ফ্লাইওভার হবে। যা ঐ দেশের জনগণের জন্য মোটেও এখন দরকারি কোন বিষয় না, কারণ ঐ দেশের মানুষ এখন দুইবেলা দুইমুঠো খেতে চায়, বিমানে চড়ে ঘুরতে চায় না। তাহলে এগুলো কেন ?
সম্রাজ্যবাদীরা বাংলাদেশের সম্পদ লুটপাট ও সস্তায় শ্রমিক নেয়ার জন্য আসবে। ইতিমধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরী হচ্ছে (https://bit.ly/2JLPZkR)। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশী কোম্পানিগুলো লাগবে প্রচুর বিদ্যুৎ। আর সেকারণে-
১) পাবনার রূপপুরে রাশিয়া এক লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করে বানাচ্ছে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র
২) বরিশালে হচ্ছে আরেক পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র যার খরচ সোয়া এক লক্ষ কোটি টাকার বেশি।
৩) কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৩৬ হাজার কোটি ব্যয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাচ্ছে আমেরিকার জিই,
৪) পটুয়াখালীতে ৭০ হাজার কোটি টাকার বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাচ্ছে জার্মানির সিমেন্স,
৫) কক্সবাজারে ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র জাপান,
৬) খুলনার রামপালে ১৭ হাজার কোটি টাকা দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাচ্ছে ভারত,
৭) পটুয়াখালীতে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাচ্ছে চীন
এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জনগণের জন্য নয়। আর বাংলাদেশের এত বিদ্যুৎ-ও দরকার নাই। এগুলো ব্যবহার করবে বিদেশী কোম্পানিগুলো, কিন্তু এর খরচ কিন্তু বিদেশীরা দিবে না। দেবে বাংলাদেশের সাধারণ জনগন। ফলে চালের মুল্য বেড়ে কেজি ২০০ টাকা হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। খাদ্যদ্রব্যের দাম যখন চরমে উঠবে, তখন বাড়ির বাবা-মা-ভাই-বোন মিলে সব একযোগে সম্রাজ্যবাদী কলকারখানায় নামমাত্র মূল্যে দাসে পরিণত হবে। আর আধুনিক দাসত্বের নামই হলো কর্পোরেটোক্রেসি।
জন পার্কিন্সের লেখা একজন অর্থনৈতিক ঘাতকের স্বীকারক্তি বইটি পড়লে দেখবেন, সম্রাজ্যবাদী কর্পোরেট কোম্পানিগুলো কিভাবে নিজেদের প্রয়োজনে দক্ষিণ আমেরিকাতে এসব পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ করেছে, কিন্তু খরচ নিয়েছে জনগণের কাছ থেকে। বইয়ের মধ্যে স্পষ্ট আছে, তারা জানে এসব পাওয়ার প্ল্যান্টের কারণে ঐ অঞ্চলের পরিবেশ মারাত্মক দুষণ হবে। কিন্তু তারপরও তারা করেছে। বাংলাদেশেও রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, রুপপুর বা বরিশালের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে পরিবেশ ধ্বংস হবে। (https://bit.ly/2O5bznO) কিন্তু তারপরও সেগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে। কারণ এটাই কর্পোরেটোক্রেসি।
মূল কথা, তারা ঐ দেশের সম্পদ চুষে খাবে, কিন্তু তার প্রতিক্রিয়া বা ‘বিষ’ বহন করতে হবে জনগণকে। আর পুরো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হবে ঐ দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত শাসকের মাধ্যমে।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এ অঞ্চলকে ২০০ বছরের জন্য দাসে পরিণত করেছিলো, তখন বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলো মীর জাফর। আর এখন শেখ হাসিনা সামান্য কিছু টাকার লোভে ফের বাংলাদেশকে ঐ সম্রাজ্যবাদী কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিচ্ছে। সবাই সাবধান।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Friday, July 20, 2018

কোরবানীর উপর ট্যাক্স কেন ?

মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সরকার কি এতটুকু ভর্তুকী দিতে পারে না ??
মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল আজহা। এই ঈদে মুসলমানরা পশু কোরবানী করে। এই পশু ক্রয় করা হয় হাট থেকে। এই হাটগুলোর বেশিরভাগ হয় অস্থায়ী হাট। এই অস্থায়ী হাটের স্থানগুলোতে সরকার ইজারা দেয়। এই ইজারার জন্য সরকার দরপত্র আহবান করে। এর মাধ্যমে যে খুব বেশি লাভ হয় তা নয়। ঢাকায় হাটগুলোতে সরকার ২০ কোটি টাকার মত রাজস্ব আয় করতে চায়। কিন্তু সিন্ডিকেটগুলো টেন্ডার ড্রপ আটকে রাখে, এবং নামমাত্র ইজারায় হাটগুলো নেয়। এবার ২০টি হাটের জন্য ইজারামূল্য প্রস্তাব এসেছে মাত্র ১২কোটি টাকার মত। (https://bit.ly/2NW3AcN)
আমার কথা হলো, সরকার তো অনেক যায়গায় ভতুর্কি দেয়-
পূজা মণ্ডপগুলোতে শত কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়,
বৌদ্ধ প্যাগোডাগুলোতে ভর্তুকি দেয়
তাহলে মুসলমানদের কোরবানির হাট থেকে কেন ট্যাক্স (ইজারা) আদায় করতে হবে ?
এই সামান্য করা টাকা কি ভর্তুকি দেয়া যায় না ?
সরকারের এই ইজারা নামক ট্যাক্সের কারণে হাটগুলো নেয় বিভিন্ন সন্ত্রাসী টাইপের লোকজন। এরপর প্রতি বছর সেটা নিয়ে হয় খুনোখুনি। এছাড়া প্রত্যেক পশুর বিক্রয়মূল্যের ৫-১০% পর্যন্ত হাসিল আদায় করা হয়। এই অ্যামাউন্টটা একটা বড় টাকা। সারা বাংলাদেশে হাসিলের এই মূল্য ২ হাজার কোটি টাকার মত হতে পারে। যা সরকারদলীয় যুবলীগ-আওয়ামীলীগের পকেটে যায়। এটা এক দৃষ্টিতে কোরবানীর উপর চাদাবাজি, যা সরকার তার দলীয় লোকজনকে করার সুযোগ করে দেয়।
এটা ঠিক প্রত্যেকটা হাট করতে ও রক্ষনাবেক্ষণের জন্য কিছু খরচের দরকার।
কোরবানী উপলক্ষে সরকার সেটা ভর্তুকী দিয়ে দিক।
ঢাকা শহরে যদি ২০টা হাট হয়, তবে ভর্তুকি সর্বোচ্চ ২০কোটি টাকা দিতে হবে, এর বেশি না। পুরো দেশ হিসেব করলে সর্বোচ্চ ৩০-৩৫ কোটি টাকা হবে।
কিন্তু এই টাকাটা সরকার দিলে হাসিলের নামে জনগণকে ২ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে না,
ফলে পশুর মূল্য কমে যাবে। এবং হাটকে কেন্দ্র করে মারামারি খুনোখুনিও হবে না।
যে দেশে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকার বাজেট হয়, সে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় অনুসঙ্গ পালনের জন্য কেন ট্যাক্স দিবে ? হিন্দুদের মূর্তি বানাতে তো ট্যাক্স দিতে হয় না। তাহলে মুসলমানদের কোরবানীর পশু ক্রয় করতে কেন ৫-১০% ট্যাক্স/চাদা দিতে হবে ?
কোরবানীর মাধ্যমে তো পুরো দেশ লাভবান হচ্ছে, তাহলে আলাদা করে ট্যাক্স আদায় কেন ?
কোরবানীর সময় লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন হয়, বিদেশ থেকে প্রচুর রেমিটেন্স আসে।
২০১৬ সালে কোরবানী ঈদকে উপলক্ষ করে দেশের অর্থনীতিতে যোগ হয়েছিলো দেড় লক্ষ কোটি টাকা, যা এ বছর আরো বৃদ্ধি হওয়ার কথা। (https://goo.gl/AmESYJ)
আমার মনে হয় জনগণের দাবী তুলতে হবে,
কোরবানীর উপর ট্যাক্স নেয়া চলবে না। হাসিল/ইজারা বাতিল করতে হবে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

বাংলাদেশে কোরবানীর হাট ও পশুর জবাইয়ের স্থান নিয়ে ষড়যন্ত্র কবে থেকে ?



বাংলাদেশে কোরবানীর হাট ও পশু জবাইয়ের স্থান নিয়ে প্রথম প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র হয় ২০০৫ সালে।
বাংলাদেশে মার্কিনপন্থী উকিল মনজিল মোর্শেদ প্রথম হাইকোর্টে একটি রিট করে, হাটের সংখ্যা হ্রাস ও কোরবানীর স্থান নির্দ্দিষ্ট করতে। (https://bit.ly/2zLndkQ)

২০০৫ সালে করা রিটে কোর্ট থেকে রুল পায় ২০০৯ সালে।
এরপর সেই রুলের দোহাই দিয়ে সিআইএপন্থী মিডিয়া দৈনিক প্রথম আলো থেকে শুরু করে অন্যান্য মিডিয়াগুলো নিউজ করতে থাকে। সাথে থাকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা),
বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) এর মত সিআইএপন্থী এনজিওগুলো।

দৈনিক প্রথম আলোর হাট বিরোধী খবরগুলো দেখুন-
১) রাজধানীর পশুর হাট শুরু হয়েছে সময়ের আগেই (https://bit.ly/2JxNhPK)
২) বিকল্প জায়গা খুঁজে বের করুন : হাসপাতালের পাশে পশুর হাট (https://bit.ly/2LfO6BX)
৩) আরমানিটোলা মাঠ : এই মাঠে কেন পশুর হাট? (https://bit.ly/2NTyMtb)
৪) বড় বিড়ম্বনা রাস্তায় পশুর হাট (https://bit.ly/2Nn6JkQ)
৫) স্কুলমাঠে গরুর হাট, শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বন্ধ (https://bit.ly/2Nsn1cb)
৬) স্কুল ছুটি দিয়ে গরুর হাট! (https://bit.ly/2O0CuB1)
৭) ছাগলের গন্ধে স্কুল বন্ধ! (https://bit.ly/2mrxOro)

সিআইএপন্থীদের চাপের মুখে ২০১৫ সালে আওয়ামী সরকার কোরবানীবিরোধী দাবিদাওয়াগুলো মেনে নেয়। এবং ঐ বছর থেকে ঘোষণা দেয় হাটগুলো ঢাকার বাইরে সরিয়ে দেয়ার এবং কোরবানীর স্পষ্ট নির্দ্দিষ্ট করার।
খবর-
ক) কম জনবহুল এলাকায়যাচ্ছে অস্থায়ী পশুর হাট (https://bit.ly/2Lt7Wq6)
খ) পশুরহাট এবার মূল শহরের বাইরে (https://bit.ly/2JwXSuu)
গ) এবার রাজধানীর বাইরে কোরবানির পশুর হাট বসছে (https://bit.ly/2moC8rp)
ঘ) স্কুল-কলেজ মাঠে পশুর হাট না বসানোর নির্দেশ এলজিআরডি মন্ত্রনালয়ের (https://bit.ly/2LsOSZd)
ঙ) ব্যস্ত স্থানে কোরবানির পশুর হাট না বসাতে পুলিশের চিঠি (https://bit.ly/2L1lBIG)

তবে মুসলমানদের তীব্র বিরোধীতার মুখে কোরবানীর স্পষ্ট নির্দ্দিষ্ট করার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি পণ্ড হয় , কিন্তু কোরবানির হাটগুলো বাইরে রয়ে যায়। এক্ষেত্রে তারা প্রথম টার্গেট করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন । হাটগুলো নিয়ে যাওয়া হয় বসিলা, ভাটারা, দক্ষিণখানসহ মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে (https://bit.ly/2L1pEVz)। মোটামুটি শহরের ভেতরে ছিলো আফতাবনগর হাট। প্রশাসন এবার আফতাবনগর হাট তুলে তেজগাও পলিটেকনিক মাঠে হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।(https://bit.ly/2mpzrWw)
যদিও আফতাবনগর একটি বিরাট হাট, যার সাথে অন্যহাটের তুলনা চলে না। ১০টা পলিটেকনিক মাঠ এক হলেও আফতাবনগরের হাটের সমান হবে না।

ঢাকা উত্তরের হাটগুলো বের করে দিতে পারলেও ঢাকা দক্ষিণের হাটগুলো এখনও বের করে দিতে পারে নাই। এখনও ঢাকা দক্ষিণের অনেক হাট শহরের মধ্যে আছে। এখন সিআইএপন্থীরা আন্দোলন শুরু করছে ঢাকা দক্ষিণের হাটগুলো বাইরে বের করে দেয়ার জন্য। সাথে পশু জবাইয়ের স্পট নির্ধারণ করতেও দাবী তুলছে তারা। (https://bit.ly/2NYy3a7)

তবে শুধু সিআইএপন্থীরা নয়, আওয়ামীলীগ-যুবলীগের একটি মহল এখানে ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। তারাও সিন্ডিকেট করে চায় হাটের সংখ্যা কমাতে, কারণ তারা ভাবে একটি হাট বন্ধ হলে অন্যহাটে গরু বিক্রি বাড়বে। যদিও ‘এক হাট বন্ধ হলে অন্য হাটে পশু বিক্রি বাড়বে’ আসলে এটা বৃহৎ পরিসরে ভুল তত্ত্ব। কারণ যারা হাট বন্ধের উস্কানি দিচ্ছে, তাদের মূল উদ্দেশ্য কোরবানী হ্রাস বা বন্ধ করা। এতে প্রথম কয়েকদিন লাভ হলেও একটা পর্যায়ে পশু কোরবানী হ্রাস পাবে, ফলে হাটের ইজারাদারদের লাভও হ্রাস পাবে। তাই হাট বন্ধ না করে, অধিক হাট করে একাধিক হাটের ইজারা নেয়ার চেষ্টা করা উচিত আওয়ামী নেতাদের।


এ বছর আফতাবনগর হাট বন্ধের জন্য যুক্তি দেয়া হযেছে হাটকে কেন্দ্র করে খুনোখুনি। (https://bit.ly/2mpzrWw)
সত্যিই বলতে, ফুটবল খেলা নিয়ে তো এ বছর অনেক মারামারি খুনোখুনি হলো, কৈ সরকার তো ফুটবল খেলা দেখা নিষিদ্ধ করলো না, পতাকা উড়ানো নিষিদ্ধ করলো না। তাহলে হাটকে কেন্দ্র করে আওয়ামী-আওয়ামী মরছে এটা নিয়ে এত চিল্লাচিল্লি কেন ?
খুনোখুনি বন্ধ করার দায় প্রশাসনের উপর, তারা কেন খুনোখুনি বন্ধ করতে পারলো না, সে কারণে তারা পদত্যাগ করুক। অথচ সেই দায় হাটের উপর চাপিয়ে হাট বন্ধ করে জনগণকে কষ্ট দেয়া হচ্ছে।

আমি সবসময় একটা কথা বলি, “কোন ঘটনা/কথা দেখলে, আগে দেখো কথাটা কে বলছে এবং তার উদ্দেশ্য কি?” অথচ পাবলিক দেখে তার লাভ/ফায়দা কি। আর সেখানেই ধরা খায়। যারা হাট বন্ধ করতে চাইছে তারা নিজের উদ্দেশ্য হাইড করে, পাবলিককে ‘যানজট/জনদুর্ভোগ হ্রাস’ নামট মুলা খাওয়ায় দিছে।

কিন্তু পাবলিকের বোঝা উচিত ছিলো, যে ঢাকা শহরে ৩৬৫ দিন যানজট থাকে, সেখানে ঈদের ৩-৪টা দিন যানজটের কথা বলে হাট কমিয়ে ফেলা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক। তাছাড়া, দূর্গা পূজার সময় ঢাকা শহরে প্রায় ২০০ মণ্ডপ হয়। অনেক সময় ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ করে পূজা চলে। তখন কেউ যানজটের কথা বলে না। কিন্তু, কোনবানি আসলে কেন তাদের চুলকানি শুরু হয় সেটাই সন্দেহজনক!

আসলে যে সিআইএপন্থীরা চাইছে হাটের সংখ্যা কমুক, তাদের মূল উদ্দেশ্য যাতাযাত ভাড়া বৃদ্ধি করা, পশুর মূল্য বৃদ্ধি করা এবং সবশেষে কোরবানি হ্রাস করা। এভাবে কোরবানীতে বাধা দিতে দিতে এক পর্যায়ে কোরবানী বন্ধ করে দেয়া। উল্লেখ্য, কোরবানীকে কেন্দ্র করে লক্ষ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এতে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। গত ২০১৬ সালে কোরবানী ঈদকে উপলক্ষ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যোগ হয় বাড়তি দেড় লক্ষ কোটি টাকা (https://goo.gl/AmESYJ)। তারমানে কোরবানীতে বাধা দেয়া গেলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বিরাট প্রভাব ফেলা সম্ভব।

জনগণের উচিত, হাট বন্ধের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শক্ত আওয়াজ তোলা। সাথে দাবি তোলা, ঢাকা শহরের প্রত্যেক থানায় যেন কমপক্ষে ১টা কোরবানীর হাট থাকে। আর যেসব ষড়যন্ত্রকারী হাটের সংখ্যা হ্রাস করার পেছনে কাজ করছে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা উচিত।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

কোরবানীর হাট হ্রাস ও পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ চায় লেখক কলামিস্ট আবুল মকসুদ। সংগঠনের ব্যানার বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।



আমি জানি অনেকেই বলবে, “ভায়া, কোরবানী হাট যত্রতত্র বন্ধ এবং পশু জবাইয়ের স্থান নির্দিষ্ট করা তো পরিবেশ ও সমাজের জন্য ভালো। 

আমি কিন্তু আগেই বলেছি, কে আপনাকে কি লোভ দেখালো, সেটার দিকে না তাকিয়ে আগে দেখুন,
- কে কথাটা বলছে, আর
-তার উদ্দেশ্য কি ?

খেয়াল করে দেখুন আবুল মকসুদের গায়ে আছে সাদা কাপড় মোড়ানো। আবুল মকসুদ ২০০৩ সাল থেকে গান্ধীবাদী হয়। এ কারণে তার সাদা পোষাক ধারণ। আচ্ছা গান্ধী তো গো-রক্ষা আন্দোলনের নেতা ছিলো। তারমানে আবুল মকসুদও গো-রক্ষা আন্দোলনের অনুসারী। যার নিজের উদ্দেশ্য গো-রক্ষা করা, সে হাট হ্রাস ও জবাইয়ের স্থান নির্দ্দিষ্ট করার মাধ্যমে আসলে কি চাইছে ? গো-জবাই বন্ধ করতে ?

কোরবানীর হাটের সংখ্যা যদি কমিয়ে ফেলা যায়, তবে মানুষের অবশ্যই পশু কিনতে কষ্ট হবে, পশুর দাম বৃদ্ধি পাবে, পরিবহণ খরচ বাড়বে। জবাইয়ে স্থান যদি নির্দ্দিষ্ট করা হয়, তবে মানুষকে বিভিন্ন বাধা দিয়ে কোরবানীর প্রতি নিরুৎসাহিত করা যাবে, আলটিমেটলি হ্রাস পাবে কোরবানীর সংখ্যা।

এবার আসুন সংগঠনের ব্যবচ্ছেদ করি।
বাংলাদেশে পরিবেশে নাম দিয়ে কিছু এনজিও আছে, যাদের উদ্দেশ্য পরিবেশ রক্ষার নাম দিয়ে সম্রাজ্যবাদীদের বিভিন্ন উদ্দেশ্য সার্ভ করা। এগুলো হলো-
১)বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)
২) বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন)
৩) ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট
৪) পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)
৫) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা)

আমি অনেক আগে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, যেখানে বলেছিলাম, ইহুদীসংঘ তথা জাতিসংঘ বিভিন্ন দেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা বা ‘এসডিজি’ নামক ১৭টি শর্ত (১৬৯টি উপশর্ত) বেধে দিয়েছে। এইসব শর্তের মাধ্যমে বাংলাদেশের মত রাষ্ট্রগুলোকে তারা নিয়ন্ত্রণ করবে (https://bit.ly/2uGRjzR)

উপরে যে সংগঠনগুলোর নাম দিলাম, তাদের কাযই হলো বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা নামক শর্তগুলো পালন করতে বাধ্য করা। এজন্য তারা যত আন্দোলন-সেমিনার করে সেখানে টেকইস উন্নয়ন লক্ষমাত্রা কার্যকর করার কথা বলে। (https://bit.ly/2L0k7yu)

কিন্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রার মধ্যে ‘কোরবানী’ সম্পর্কে কি বলা আছে ?

আছে, অবশ্যই আছে।
সম্রাজ্যবাদীরা প্রাণীরক্ষার নাম দিয়ে কোরবানী বন্ধ করতে চায়, যা তাদের কথিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার-ই অংশ (https://bit.ly/2JuHiLy)

কিন্তু এর পেছনে সম্রাজ্যবাদীদের কি উদ্দেশ্য ?
এটা নিয়ে আমি আগেও লিখেছি। ইহুদীবাদী কর্পোরেটরা চায়, মানুষ পশু জবাই ধিরে ধিরে বন্ধ করে দিক, আর সে সুযোগে তারা সবাইকে মাংশ সার্ভিস দেবে। এজন্য তারা কৃত্তিম মাংশ নামক একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। যা দিয়ে তারা সবার মাংশের চাহিদা মেটাবে ্এবং বিরাট ব্যবসা লুটবে। কৃত্তিম মাংশের পেছনে আছে, মাইক্রোসফটের বিল গেটস, ভার্জিন গ্রুপের রিচার্ড ব্র্যানসন কিংবা জাস্টের জোশু তেট্রিকের মত ইহুদীবাদী কর্পোরেটরা। এছাড়া চীন ও ইসরাইল কৃত্তিম মাংশ তৈরীতে একটি চূক্তি সম্পাদিত করেছে (https://bit.ly/2L1mL6V)

ষড়যন্ত্র অনেক গভীর,
কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে তারা একেবারেই বেখবর।
তাই হাটের সংখ্যা হ্রাস ও জবাইয়ের স্থান নির্ধারণের বিরুদ্ধে যে কোন উদ্দগের বিরুদ্ধে এখনই শক্ত আওয়াজ তুলুন।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Thursday, July 12, 2018

ঢাকা শহরের জনসংখ্যার ঘনত্ব কখনও পুরো বাংলাদেশের প্রমাণ হতে পারে না


গতকালকে কথিত জনসংখ্যা দিবসে দৈনিক প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদকের লেখা এক আর্টিকেলে বাংলাদেশের জনগণকে তুলনা করা হয়েছে ইদুরের সাথে। আমার কাছে এ ধরনের আর্টিকেল খুবই মানহানীকর মনে হয়েছে। (https://bit.ly/2md2e0q)

আর্টিকেলটিতে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব নিয়ে স্পষ্টত মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। 
আপনারা দেখবেন, বাংলাদেশে অধিক জনসংখ্যার প্রমাণ হিসেবে সব সময় ঢাকা শহরকে উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু ১টি বিষয় আপনাকে বুঝতে হবে, ঢাকা শহর কখনও পুরো বাংলাদেশের প্রমাণ হতে পারে না। পুরো বাংলাদেশের আয়তন হচ্ছে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার, সেখানে ঢাকার আয়তন হচ্ছে মাত্র ৩৬০ বর্গ কিলোমিটার। এই ৩৬০ বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যা থাকছে প্রায় ২ কোটি। ঢাকা শহরের জনসংখ্যার ঘনত্ব যদি সারা দেশে থাকতো, তখন বাংলাদেশের জনসংখ্যা হতো ৮১৬ কোটি, যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার থেকেও বেশি। তাই ঢাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব দিয়ে আপনি পুরো দেশ মাপলে হবে না।

আমি আমার লেখায় বার বার বলেছি, ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করলে জনসংখ্যা সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে যাবে। তখন যানজটসহ যাবতীয় জনজট সমস্যা দূর হবে। কিন্তু নিজেদের সমস্যা সমাধানের অনিহাকে যদি আপনি পুরো জনসংখ্যার সমস্যা বলে চালিয়ে দেন, তবে সেটা অবশ্যই ডাহা মিথ্যা কথা।

প্রথম আলোর আর্টিকেলটিতে ‘বাংলাদেশে কৃষি জমির সঙ্কট’ নামক কথিত সমস্যাকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আমার কাছে এটাও ভুয়া মনে হয়।
কৃষিজমির নির্দ্দিষ্ট সংখ্যা কখন জনসংখ্যার সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে না।
কারণ যত সময় যাচ্ছে, একটি কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদনের পরিমাণ তত বাড়ছে।
বৃটিশ আমলে ১ বিঘা কৃষি জমিতে ২-৩ মন ধান হতো, অথচ এখন ১ বিঘা জমিতে ২২ মন হয়। নতুন কিছু ধান বের হয়েছে যেটা বিঘাতে ৩০-৪৫ মন পর্যন্ত হয় (https://bit.ly/2zyQ37U)।
তারমানে কৃষি জমি নির্দ্দিষ্ট থাকলেও ফলন বেড়ে যাচ্ছে।
ব্রিটিশ আমলের শেষ দিকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা যদি ৫ কোটি থাকে, আর ধান যদি বিঘায় ৩ মন হয়।
তবে হিসেব করলে জনসংখ্যা বেড়েছে ৩-৪ গুন, কিন্তু বিঘাতে ধান উৎপাদন বেড়েছে ১০ গুন।
শুধু ধান নয়, হিসেব করলে অনেক ফসল-ফলাদি, মাছ-মাংশ পূর্বের তুলনায় অনেক বেড়েছে, যা আগে কল্পনাও করা যেতো না।
এমনিতেই গ্রামে গঞ্জে একটি প্রবাদ হয়নি: “মুখ দিবেন যিনি, আহার দিবেন তিনি”।
অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেন, সেই সৃষ্টি অনুপাতে তিনি খাবার দিচ্ছেন, এটা তারা অস্বীকার করতে পারেনি।

আপনারা অনেকে জানতে পারেন, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমানায় নতুন একটি বাংলাদেশ জাগছে, যার আয়তন বাংলাদেশের আয়তনের ১০ ভাগের ১ ভাগ। (https://bit.ly/2uestIt) সমুদ্রের মাঝে জেগে ওঠা এ এলাকাগুলো অনেক উৎপাদনশীল, তাই বাংলাদেশে খাদ্য-পানীয়ের অভাব হবে এটা কেউ বলতে পারে না।

প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক জাপানের বয়স্ক জনগোষ্ঠী বৃদ্ধির কথা টেনে বলেছে, বাংলাদেশেও নাকি ভবিষ্যতে এমন হবে।
কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুয়া কথা। বরং বাংলাদেশে এখন জনসংখ্যাকে যেভাবে গলাটিপে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে, তাতেই নতুন প্রজন্ম হ্রাস পাবে আর বয়স্ক প্রজন্ম বাড়বে। ফলে জনসংখ্য হ্রাস কর্মসূচি কারণে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে জাপানের মত সমস্যা দেখা দিবে। কিন্তু জনসংখ্যা ন্যাচারাল উপায়ে বাড়তে দিলে নতুন প্রজন্ম সঠিক পরিমাপেই আসবে, তখন এ ধরনের সমস্যা তৈরী হবে না।।

আমি গতকালকে একটা লেখায় আপনাদের বলেছি,
কোন কথা/ঘটনা দেখলে দুইটি জিনিস খুঁজবেন-
(১) কে বলছে বা করছে :
(২) তার নিজের লক্ষ্য/উদ্দেশ্য কি ?

(১) নং প্রশ্নের উত্তর: দৈনিক প্রথম আলো বলছে, যে দৈনিকটি বাংলাদেশে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সবচেয়ে বড় এজেন্ট বা মূখপাত্র।
(২) নং প্রশ্নের উত্তর: মার্কিন সম্রাজ্যবাদটিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা হ্রাস করতে হবে, এই পলিসি ১৯৭৪ সালেই আমেরিকার ইহুদি পরামর্শদাতা কিসিঞ্জার গ্রহণ করে।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5/posts/580801512321516)

গতকালকে অনেকে প্রশ্ন করেছিলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা কিভাবে আমেরিকার জন্য হুমকি ?
এর উত্তর অনেক রকম হতে পারে। তবে আমার মনে হয়, এর মূল কারণ ইহুদীরা, যারা এখন ভর করেছে আমেরিকার উপর। পৃথিবীতে ইহুদীদের মোট জনসংখ্যা মাত্র ১ কোটি ৪৫ লক্ষ (২০১৮)। তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও ঋণাত্মক। ইহুদীরা নিজেরা ছাড়া সবাইকে তাদের জন্য হুমকি মনে করে। ইহুদীরা চায় তারা ছাড়া পৃথিবীতে কেউ থাকবে না। একারণে তারা অন্যান্য ধর্মের লোকদের জনসংখ্যা হ্রাস করতে কার্যক্রম চালায়। তবে আগে অস্ত্রপাতি দিয়ে গণহত্যা চালানো হতো, কিন্তু এখন পলিসি উন্নত করে ফ্যামিলি প্ল্যানিং এর মাধ্যমে নিরবে গণহত্যা চলানো হয়।

আপনারা হয়ত জানেন, একটা সময় আমেরিকা-চীন বন্ধু রাষ্ট্র ছিলো। তখন ইহুদী হেনরি কিসিঞ্জার চীনকে বুদ্ধি দিয়েছিলো এক সন্তাননীতি গ্রহণ করতে। হেনরি কিসিঞ্জারের সেই পলিসিকে বলে ডি-পপুলেশন থিউরী (https://bit.ly/2zxktHA)। চীন-আমেরিকার বন্ধুত্ব যখন ভেঙ্গে যায়, তখন চীন বুঝতে পারে কত বড় কুবুদ্ধি তাদের দিয়েছিলো কিসিঞ্জার। ২০১৫ সালে চীন তাদের এক সন্তান নীতি বাতিল করেছে (https://bbc.in/2L77IYP) এবং মায়েদের অধিক সন্তান হলে তাদের পুরষ্কৃত করছে। (https://bit.ly/2N8vsch)

আমার মনে হয় ইহুদীদের এসব কুচক্রী প্ল্যান সম্পর্কে আমাদের সচেতন হওয়ার সময় এসেছে।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

বার বার ক্ষমতায় যেতে ধিরে ধিরে দেশ বিক্রি করে দিচ্ছে আওয়ামীলীগ



আজ থেকে ৯ মাস আগে এক স্ট্যাটাসে বলেছিলাম, গ্যাসের লোভে বঙ্গপোসাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঢুকবে (https://bit.ly/2yKIV6P)। এবং এও বলেছিলাম, যায়গাটা সম্ভবত মহেশখালী থেকে শুরু, যেখানে রয়েছে পৃথিবীর অন্যতম বড় জ্বালানি রিজার্ভ (http://bit.ly/2Iwhi3e)। 

আমার কথা সত্য করে দিয়ে, গতকালকে খবরে দেখলাম সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নাম দিয়ে সেই মহেশখালীতেই ঢুকছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দখলে নিচ্ছে ৫ হাজার ৬০০ একর ভূমি (https://bit.ly/2uuj0w2)। যেহেতু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এলএনজিভিত্তিক, তাই সেটা সংগ্রহ করতে অচিরেই আমেরিকা সেখানে গভীর সমুদ্র বন্দর করার সুযোগ পাবে, তা নিশ্চিত। তারপর সেই অজুহাতে খোড়াখুড়ি।

আমার অ্যানালাইসিসে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের জয়লাভের সবচেয়ে বড় বাধা ছিলো বঙ্গপোসাগরে গ্যাস সমৃদ্ধ এলাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ঢুকতে না দেয়া। কিন্তু সেই বাধাকে সমঝোতার মাধ্যমে ঠাণ্ডা মাথায় অতিক্রম করলো শেখ হাসিনা । কিছুদিন আগে শেখ হাসিনা বলেছিলো, “২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে আমেরিকার কাছে গ্যাস বিক্রির মুচলেখা দিয়ে আসে। সেই গ্যাস তুলবে আমেরিকা, কিনবে ভারত।(https://bit.ly/2oOOWJa)”। 
তাহলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে, এবার আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসতে কি বিক্রি করছে? 

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে সেই মহেশখালী এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধানের দায়িত্ব ভারতীয় কোম্পানিকে দিয়েছে আওয়ামী সরকার। (https://bit.ly/2tWs67L)। তারমানে ক্ষমতায় যেতে দেশের সম্পদ বিদেশীদের (ভারত-আমিরকা) হাতে তুলে দেয়ার পথে হাটছে আওয়ামীলীগ !

আমার যতদূর মনে পড়ে, গত নির্বাচনের ঠিক আগ মুহুর্তে আমেরিকার সাথে রাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী টিকফা চূক্তি সাক্ষর করেছিলো আওয়ামীলীগ (https://bit.ly/2JcCrPb)। এবারেও নির্বাচনের আগে আমেরিকাকে শান্ত করতে চাইছে আওয়ামীলীগ। কিন্তু বার বার ক্ষমতায় যেতে ধিরে ধিরে দেশ বিক্রি করে দিচ্ছে আওয়ামীলীগ। অমুককে গ্যাস দিয়ে শান্ত করছে, তমুককে ট্র্যানজিট দিয়ে খুশি করছে। এভাবেই চলতেছে, তবু ক্ষমতা চাই। 

“....নে মা নে, দেশটা তোর বাবা স্বাধীন করছিলো, তুইই তো নিবি। তোর বাবার দেশ তুই যা খুশি তাই করবি, যার কাছে খুশি তার কাছে বিক্রি করবি, এতে আমাদের বলার কি আছে ? যার ভালো না লাগে সে পাকিস্তানে চলে যাক।.....”

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------