Sunday, August 19, 2018

“উন্মুক্ত স্থানে পূজা হলে”, উন্মুক্ত স্থানে কোরবানী করলে সমস্যা কোথায় ?


রাস্তার ওপর পশু কোরবানি দেবেন না : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছে, আমরা ১১টি সিটি কর্পোরেশনে মোট দুই হাজার ৯৩৬টি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। পশু কোরবানীর জন্য এ সংখ্যা যথেষ্ট। কোন রকম খোলা স্থানে কুরবানী করাকে আমরা মোটেই উৎসাহিত করি না।
(https://bit.ly/2MnSAaLhttps://bit.ly/2MpM4Az)
মদখোর মন্ত্রী বেয়াই মোশাররফের কথাগুলো খেয়াল করুন-
১) রাস্তায় কোরবানি দেবেন না। অথচ সিটি কর্পেরেশন থেকে নির্ধারিত স্পটগুলো দেখুন ৯৯% স্পটই হচ্ছে রাস্তা। এর কারণও আছে ঢাকা শহরে রাস্তা আর খালি যায়গা কোথায় ? (https://bit.ly/2MXzF33)
২) ১১ সিটিতে স্পট হইছে ২৯৩৬টা, তারভাষ্য মতে এটা নাকি কোরবানি করার জন্য যথেষ্ট। ধরে নিলাম ১১ সিটি কোরবানি হয় ১ কোটি। তাহলে প্রতি স্পটে কোরবানি করতে হবে ৩ হাজারের মত। অথচ সিটি কর্পোরেশন থেকে সামিয়ানার সাইজ দেখুন, সর্বোচ্চ একটি স্পটে ১০টি কোরবানী করা যাবে (https://bit.ly/2BnFQMq)।
তাহলে বাকি ২৯৯৫টি কোরবানী করবে কোথায় ?
৩) খোলা স্থানে কোরবানী করাকে আমরা মোটেই উৎসাহিত করি না : মোশাররফ
কিন্তু কেন ?
খোলা স্থানে কোরবানীতে হঠাৎ সমস্যা হচ্ছে কেন ?
বিদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়নে কেন মুসলমানদের কোরবানীর বিরুদ্ধে বলতে হবে ?
বাংলাদেশের হিন্দুরাও তো পূজা করে ?
সারা বাংলাদেশে ৩০ হাজার মণ্ডপ হয়, পতিতালয়ের মাটি দিয়ে মূর্তি নির্মাণ করা হয়, কয়েক লক্ষ মূর্তি পানিতে ডুবিয়ে পানি দূষণ করা হয়, তখন তো মোশাররফ বলে না, আমরা “উন্মুক্ত স্থানে পূজাকে সমর্থন করি না”, তাহলে উন্মুক্ত স্থানে কোরবানী করলে সমস্যা কোথায় ?
ক্ষমতার জন্য মানুষ কতটা নিচে নামতে পারে, বেয়াই মোশররফের এ বক্তব্য তার প্রমাণ। মোশররফের বোঝা উচিত, যে পশ্চিমা বিদেশী শকুনীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে তারা বাংলাদেশের মুসলমানদের ধর্মের বিরোধীতা করছে, সেই বিদেশীরা কিন্তু তাদের পশ্চাতে বাশ দিয়ে রেখেছে কখন সুযোগ পেয়ে সবগুলোকে জেলে পুরে ফাঁসিতে ঝুলাবে। যারা জনগণের প্রাপ্য নষ্ট করে বিদেশী দালালি করে, তাদের শেষ পরিনতি মীর জাফরের মত হয়, ইতিহাস তার সাক্ষী।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, August 15, 2018

মাদ্রাসা শিক্ষায় হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদ কেন ?

মাদ্রাসা শব্দটা আরবী শব্দ। পারিভাষিকভাবে মাদ্রাসা বলতে, ‘যে প্রতিষ্ঠানে ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করা হয়’ তাকেই বুঝানো হয়। স্বাভাবিকভাবে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক ইসলাম ধর্মের হওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বাংলাদেশে অনেক মাদ্রাসায় শিক্ষক এখন হিন্দু !
বিষয়টা যে খুব স্পর্শকাতর তা বুঝতে পারলাম কয়েকদিন আগের এক খবরে। ঝালকাঠিতে এক মাদ্রাসার ছোট বাচ্চারা দেয়া ‘আল্লাহ’ শব্দটি লিখেছিলো, এতে এক হিন্দু শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ ছাত্রদের বেদম প্রহার করে। পরে বিষয়টা সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ঐ এলাকায় ব্যাপক আন্দোলন হয়। যার কারণে অনেক বাধ্য হয়েই ঐ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ । (https://bit.ly/2OzYhiN)
পাঠক ! বর্তমানে হিন্দু মানেই ইসলামবিদ্বেষী ও সাম্প্রদায়িক। ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার তাদের জন্য খুব স্বাভাবিক বিষয়। ফেসবুক ঘুড়লে যা ভালোভাবে চোখে পড়ে। নারায়নগঞ্জের শ্যামল কান্তির কথা আমরা ভুলে যায়নি। স্কুলের শিক্ষক হয়ে ছাত্রদের ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার কারণে কত বড় তুলকালাম ঘটে যায়। এরকম বহু উদাহরণ আছে স্কুলগুলোতে হিন্দু শিক্ষক কর্তৃক ইসলাম ধর্ম অবমাননার। সব মিডিয়াতেও আসে না।
এতদিন যে বিষয়গুলো স্কুলে দেখা গেলো, তাই এখন দেখা যাচ্ছে মাদ্রাসায়। এবং সেটা মাদ্রাসায় হিন্দু শিক্ষক থাকার কারণেই সম্ভব হয়েছে। কিছুদিন আগে সচিবালয়ের এক নেমপ্লেটের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায়, শিক্ষামন্ত্রনালয়ের মাদ্রাসা বিভাগের উপসচিবের নাম, সুবোধ চন্দ্র ঢালি।
আওয়ামী সরকার হিন্দুদের অনেক ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিয়েছে, এটা স্পষ্ট। কিন্তু ইসলামের সাথে হিন্দুত্ববাদ এক করার চেষ্টা তো ষ্পষ্ট সাম্প্রদায়কতা। তাদের সর্বশেষ আক্রমণ হচ্ছে মাদ্রাসাগুলোতে, যেখানে তারা হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদ চালু করতে চায়, এটা খুব স্পষ্ট একটা বিষয়। মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে বৈশাখী পূজা বা অমঙ্গল পূজা করানো কিংবা জাতীয় সঙ্গীতের নামে রবীন্দ্রনাথের দেবী বন্দনা পাঠ করানোর প্রতিযোগীতা অন্তত সেটাই বলে।
আমার মনে হয়, মাদ্রাসা ছাত্রদের এ ব্যাপারে এক হওয়া উচিত, একটা আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত।সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে একটা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে, যারা মাদ্রাসার হিন্দুশিক্ষকদের বের করতে কাজ করবে। এক দফা এক দাবি হবে, মাদ্রাসা শিক্ষা থেকে হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদ উভয়কেই দূর করতে হবে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Tuesday, August 7, 2018

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত, তার দ্রুত সুচিকিৎসা দরকার

গতকাল প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোতে পুলিশ আর ছাত্রলীগের সম্মিলিত হামলার পর আমার ধারণা ছিলো, আওয়ামীলীগের মধ্যে আবার কোন থার্ডপার্টি ঢুকে পড়েছে নাকি, যারা এমনটা করে গোলযোগ বাড়াচ্ছে। কিন্তু খবর নিয়ে অবাক হলাম, এই হামলার বিষয়টি নাকি সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো।
আমি একটা জিনিস বুঝি না, শেখ হাসিনা এত ভীত কেন ?
তার রিয়্যাক্ট কি মাত্রাতিরিক্ত হচ্ছে না ?
ছোট বাচ্চারা রাস্তায় নেমেছে আন্দোলন করতে,
যদি তিনি ধারণা করেন, কেউ তাদের মাঠে নামিয়েছে, তবে পেছনের লোকগুলোর তো উদ্দেশ্যই ছিলো পুলিশ বা ছাত্রলীগ যেন তাদের উপর হামলা করে। সেই হামলাটাই ছিলো তাদের সবচেয়ে বড় চাওয়া। কারণ হামলা করলেই ফুল পাবলিক সেন্টিমেন্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলে যাবে। এটা একটা ছোট বাচ্চাও বোঝে। কিন্তু শেখ হাসিনা বোকার মত সেই কাজটাই করে বসলো।
আমি যদি প্রধানমন্ত্রী হতাম, তবে আমি নিজেই ছাত্রদের সাথে মাঠে নামতাম। আর গাড়ির লাইসেন্স চেক করতাম। আন্দোলনের নেতৃত্ব অন্য কেউ নেবে কেন ? আমি নিজেই নিয়ে নিতাম। কিন্তু শেখ হাসিনার ব্যবহার যেন ঠিক সতীনের মত। হিংসুটে। যে ছাত্রগুলো আন্দোলনে নামলো, তিনি তাদের বন্ধু না বানিয়ে পিটিয়ে শত্রু বানিয়ে দিলেন। স্কুল-কলেজের এই বিরাট ছাত্র সমাজ যতদিন বাচবে ততদিন তারা আওয়ামীলীগকে চিনবে জানের শত্রু হিসেবে।
তিনি একবারও ভাবলেন না, যে পুলিশ-আর্মি আর প্রশাসনের উপর তিনি ভরসা করে আছে, এই ছাত্ররা হয়ত কোন পুলিশ আর্মি বা প্রশাসন কর্তারই ছেলে-মেয়ে। সরকারী চাকুরেদের বেতন যতই ডবল করে দেন, ছেলে-মেয়ের গায়ে হাত তুললে কোন বাবা-মাই পছন্দ করবে না।
কোটা আন্দোলনের সময়ও একই ঘটনা, কোটা নিয়ে তিনি এক মুখে দুই কথা বললেন। এরপর ছাত্রলীগ দিয়ে ছাত্রদের পিটিয়ে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করালেন। অথচ কোটা আন্দোলনকারীদের কিছু কিছু দাবী মেনে তিনি পুরো পরিস্থিতি শান্ত করে দিতে পারতেন। কিন্তু করলেন উল্টোটা। এতো গেলো পাবালিক ভার্সটির উপর আক্রমণ, এখন আবার আক্রমণ হানছেন প্রাইভেট ভার্সিটির উপর। যেন সমাজের কোন সেক্টরই বাদ না যায়, শেখ হাসিনার থাবা থেকে।
শেখ হাসিনার আচরণটা হচ্ছে ঠিক সাপের মত। সাপ কিন্তু আক্রমণ করার জন্য ছোবল মারে না, সে ভয় পায়, বোধহয় তাকে আক্রমণ করা হচ্ছে, সেই ভয় থেকেই ছোবল মারা। শেখ হাসিনার অবস্থা হয়েছে একইরকম, এখন তিনি সবাইকেই শত্রু ভাবছেন। এজন্য সবাইকে ধরে ধরে পিটাচ্ছেন। এতদিন বলতেন বিএনপি-জামায়াত তার রাজনৈতিক শত্রু, কিন্তু এখন পুরো দেশের জনগণকে তিনি শত্রু বানিয়ে ফেলেছেন, পিটাচ্ছেন। এটা কিন্তু এক ধরনের মানসিক রোগ, যার নাম ‘সিজোফ্রেনিয়া’। এই মানসিক রোগে আক্রান্ত রোগী সব সময় ভাবে, সবাই তার শত্রু, সবাই তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে !
কথা হলো-
একজন মানসিক রোগী কি দেশ চালানোর জন্য উপযুক্ত ?
তিনি তো সবাইকে শত্রু ভাবছেন।
এক শত্রু তো অন্য শত্রুর কখনই ভালো চাইতে পারে না,
জনগণ যেহেতু শেখ হাসিনার শত্রু, তাই তিনি কখনই জনগণের ভালো চাইবেন না, এটাই স্বাভাবিক।
আমার মনে হয়, শেখ হাসিনার মানসিক সু-চিকিৎসা করা জরুরী। সুইজারল্যান্ড, ব্রিটেন বা আমেরিকার মানসিক হাসপাতালগুলোতে ভালোমানের সাইক্রিয়াটিক ট্রিটমেন্ট হয়। তিনি সেখানে দ্রুত যোগাযোগ করতে পারেন। আশা করা যায় বছর খানেক চিকিৎসা নিলেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Monday, August 6, 2018

চলমান ছাত্র আন্দোলনকে চলমান ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন জানাই, তবে শেষে ফলাফলটাও যেন জনগণ পায়

আমি চলমান ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন জানাই,
এটা নিরাপদ সড়ক আন্দোলন থেকে সরকার পতনের আন্দোলন হয়ে উঠলে সেটাতেও সমর্থন জানাই।
আমি জানি, এ আন্দোলনে সিআইএ’র বড় ইন্ধন আছে, তবুও আমি এ আন্দোলনকে সমর্থন জানাই।
কারণ শেখ হাসিনা, দেশের সাথে বেঈমানি করেছে।
সে বঙ্গবন্ধু নাম বিক্রি করে, দেশের সম্পদ নিজ পকেটে পুড়েছে।
চলমান আন্দোলনে যতই বিদেশী ইন্ধন থাকুক এবং সেটা যতই আওয়ামীলীগ প্রচার করুক।
লাভ হবে না।
কারণ এই আন্দোলন আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে জনগণের চরম ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
- কোটার নামে অযোগ্য লোককে চাকুরী দেয়া।
- দেশের উৎপাদনশীল খাত বন্ধ করে, দেশকে আমদানি নির্ভর করা।
- রূপপুর পারমানবিককেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মত দেশবিধ্বংসী প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা।
- ইহুদীবাদী কর্পোরেটদের হাতে দেশ তুলে দেয়ার জন্য কর্পোরেটোক্রেসি পলিসি বাস্তবায়নে কাজ করা।
- পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সিআইএ এবং র’ এর পাঠ্য অন্তর্ভূক্ত করা।
- টাকার লোভে সিআইএ’র (ইউএসজিএলসি) এনজিওগুলোকে বাংলাদেশে অবাধে কার্যক্রম করতে দেয়া।
- জনগণের টাকা অবাধে লুটপাট করা।
- ধর্মবিরোধী অবস্থান নেয়া, মসজিদ ভাঙ্গতে আইন করা, মাদ্রাসা পাঠ্যবইগুলোতে ধর্মগ্রন্থের মনগড়া ব্যাখ্যা প্রবেশ করানো।
- সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ছুড়ে ফেলে সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রাধান্য দেয়া, ভিআইপি পর্যাদা দেয়া, অধিক চাকুরী, সুযোগ-সুবিধা দেয়া।
বহুদিনের জমে থাকা ক্ষোভ বিষ্ফোরণ আকারে বের হয়েছে।
১০ বছরের স্বেচ্ছাচারিতা আর বেপরোয়া সিদ্ধান্ত ডিনামাইট হয়ে সংরক্ষিত ছিলো
এবং যা আজকে বিষ্ফোরণ ঘটা শুরু করেছে।
আজ থেকে বছর খানেক আগে, তুরস্কে সেনাবিদ্রোহের সময় আমি একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম।
সেখানে শেখ হাসিনাকে বলেছিলাম- এরদোগানের পলিসি খেয়াল করুন।
সে জনগণের পক্ষে কাজ করছে। তাই বিপদে পড়লে জনগণ তাকে সেভ করবে।
সিআইএ তুর্কি সেনাবাহিনীর উপর চেপে বসে বিদ্রোহ করলো, উদ্দেশ্য এরদোগানের পতন ঘটানো।
কিন্তু এরদোগান সোশাল মিডিয়ায় জনগণকে ডাকলো, কারণ সে এতদিন জনগণের পক্ষ কাজ করেছে।
জনগণ তখন সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্কের সামনে শুয়ে পড়ে সেনাবাহিনীকে থামিয়ে দিলো।
আর আপনি জনগণকে লাত্থি মেরে বিদেশীদের হয়ে কাজ করেন, এই বিদেশীরা কিন্তু আপনি রক্ষা করবে না,
উল্টা বিপদে পড়লে তারাই জনগণের উপর চেপে বসে আপনার পতন ঘটাবে,
আজকে কিন্তু সেটাই হচ্ছে।
আওয়ালীমীলীগের মাথা ভারতীয় কংগ্রেস নিজেই এখন বিজেপির চাপের মধ্যে।
ওর প্রাণই ওষ্ঠাগত। এই বিপদে সে আপনাাকে রক্ষা করবে কিভাবে ?
আর চীন টাকা দিয়ে গোলাম কিনে, তাই কোন গোলাম আসলো, আর গোলাম গেলো সেটা তাদের দেখার বিষয় না।
একটা দেশ চালানোর জন্য দরকার প্রচুর মেধাবী ও যোগ্যলোকের । আর আপনি বেছে বেছে গণ্ডমূর্খদের দিয়ে সরকার সাজিয়েছেন, যারা ক্লাস ৫ এর বাচ্চাদের মত রিডিংও পড়তে পারে না। তারা এ বিপদে আপনাকে সুবুদ্ধি দিবে কিভাবে ?
তাছাড়া আওয়ামীলীগের নিজের অবস্থাই টালমাটাল, আওয়ামীলীগের শত্রু আওয়ামীলীগের ভেতরেই। নিজে মার্কিনবিরোধী হওয়ার পরও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীত্ব পদে (শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ এবং অর্থমন্ত্রনালয়) সিআইএ ঘেষা লোককে মন্ত্রীত্ব দেয়া হয়েছে। হিন্দুপ্রেমে দিওয়ানা হয়ে সিআইএ’র পাক্কা এজেন্ট সিনহাকে প্রধানবিচারপতি বানানোর কি শিক্ষা হয়েছে সেটাতেও তার শিক্ষা হয়নি।
উগ্রহিন্দুরা সিআইএ’র নেটওয়ার্কের হয়, এটা জানার পরও পুরো প্রশাসন উগ্রহিন্দু দ্বারা ভরপুর করেছে বোকা হাসিনা। তারা প্রকাশ্যে বিষ্ফোরণ ঘটালে কি অবস্থা হবে ?
শেখ হাসিনা ১০ বছর বাংলাদেশের ক্ষমতায় আছে এটা ঠিক। কিন্তু সে অবশ্যই গাদ্দাফি’র মত শক্তিশালী হয়নি। গাদ্দাফি টানা ৪২ বছর ক্ষমতায় ছিলো এবং দেশের অর্থনীতিরও অনেক উন্নয়ন করেছিলো। কিন্তু সিআইএ আরব বসন্তের নাম দিয়ে গাদ্দাফির পতন ঘটায়, গুলি করে হত্যা করে। এরপর মাত্র ৯ মাস পর (মে, ২০১২) হলিউডে রিলিস করে দেয় দ্য ডিক্টেটর নামক মুভি। মানুষ গাদ্দাফির জন্য কাদবে বা সিআইএকে ভৎর্সনা করা তো দূরের কথা, উল্টা ‘আলাদ্দিন মাদারফাকার’ গান গেয়ে গাদ্দাফিকে ব্যঙ্গ করে। একইভাবে এই আন্দোলনে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও যদি একই ঘটনা ঘটে তবে অবাক হওয়ার কিছু দেখি না।
আন্দোলন চলুক, সমস্যা নেই। তবে শেষে ফলাফলটাও যেন জনগণ পায়, অন্য কেউ নিতে না পারে সেটাও মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------