Thursday, March 22, 2018

কীটনাশকের দ্বারা আগে মানুষ যদি ১% ক্ষতিগ্রস্ত হতো, তবে জিএমও’র মাধ্যমে মানুষ ১০০% ক্ষতিগ্রস্ত হবে


কর্পোরেটোক্রেসির সিস্টেমটাই এরকম-
১) প্রথমে তারা নিজেরাই কোন একটা রোগ তৈরী করবে,
২) এরপর বলবে, অমুক ওষুধ ১০ টাকার খেলে রোগ সারে,
৩) এরপর ১০ টাকার ওষুধ আপনি নিয়মিত ব্যবহার করতে থাকবেন,
৪) কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবহার করার পর দেখবেন রোগ আরো বেড়ে গেছে, তখন বলবে ২০ টাকার ওষুধ ব্যবহারের জন্য, এরপর বলবে ৫০ টাকার ওষুধ, এরপর ১০০০ টাকার ওষুধ, এরপর ১ লক্ষ টাকার চিকিৎসা।
৫) একটা সময় দেখা যাবে, ঐ অসুখেই আপনার জীবন অবসান হয়ে গেছে। মাঝখান দিয়ে কর্পোরেট ওষুধ কোম্পানিগুলোকে আপনি জীবনের সব সম্পদ চুষে নিয়ে গেছে।

যেমন ধরুন-
-তারাই প্রথমে সয়াবিন তেল আনলো। সয়াবিন তেল আসার আগে এত বেশি গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ছিলো না। সেই ওসুখ উপশমের নামে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ আনলো। প্রথমে আট আনার ওষধ, এরপর ২টাকা, এরপর ১০ টাকা, এরপর ২০টাকা। এরপর তারাই বললো আলসার হয়ে গেছে, এরপর হয়ত হয়ে যাবে ক্যান্সার।
-নাকে একটু সর্দি হলেই ডাক্তাররা দিয়ে দেয় এন্টাজল/রাইজনল টাইপের ওষুধ। দুইদিন ব্যবহারের পর রোগি সে অষুধে অভ্যস্ত হয়ে পরে, নিয়মিত ব্যবহার না করলে নাক বন্ধ থাকে, নিঃশ্বাস নিতে পারে না। ডাক্তারের কাছে গেলে বলে আপনার পলিপাস হয়ে গেছে, ৩শ’ টাকার স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। এরপর গেলে বলে নাক কাটতে হবে।
-আজ থেকে ৫০ বছর আগে মানুষের মাথায় খুসকি ছিলো না। শ্যাম্পু কোম্পানিগুলো আসার পর খুসকি সারা তো দূরে থাক, মানুষের মাথায় খুসকির পরিমাণ বেড়ে গেছে। মাথার চুল মসৃণ করার নামে, খুসকি দূরের নামে, পরিষ্কার করার নামে, উকুন দূর করার নামে, চুল ভাঙ্গা বন্ধের নামে, চুল পড়া বন্ধের নামে, চুলের উজ্জলতা বৃদ্ধির নামে মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেট কোম্পানি ডাভ, সানসিল্ক, হেড এন্ড শোল্ডার, ক্লিনিক প্ল্যাস, প্যান্টিন, ট্রিসেমি, ল’অরিয়াল বহু টাকা লুটে নিয়ে যাচ্ছে।
-আমরা আজকে জিএমও ফুডের বিরোধীতা করছি। কিন্তু কেন আজকে জিএমও ফুড আনার জন্য অজুহাত তৈরী হয়েছে ? বলা হচ্ছে,“জিএমও ফুডের জন্য কীট নাশক লাগবে না, ফসলের ভেতরেই কীট নাশক ক্ষমতা থাকবে।” অথচ চিন্তা করে দেখুন, এতদিন কৃষককে কীট নাশকে অভ্যস্ত করেছে কে? তারাই করেছে, প্রতিদিন নিত্য নতুন কীট নাশক দিয়ে পোকা দমন করেছে, আর কৃষকের পকেট শূণ্য করেছে। এরপর তারাই মিডিয়ায় প্রচার করেছে- কীটনাশক ব্যবহারে ক্যান্সার হয়। এরপর কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে দেয়া হচ্ছে জিএমও। পাঠক একটু চিন্তা করে দেখুন- এতদিন কীটনাশক মিশ্রিত সবজী পানিতে ধুলে বা উচ্চআচে রান্না করলে কীটনাশকের ক্ষতি নষ্ট হয়ে যেতো, কিন্তু জিএমও’র নামে ফসলের জিনের ভেতর যখন কীটনাশক ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে সেটা সরাসরি এফেক্ট কি মানব শরীরের উপর পড়বে না ? কীটনাশকের দ্বারা আগে মানুষ যদি ১% ক্ষতিগ্রস্ত হতো, তবে জিএমও’র মাধ্যমে মানুষ ১০০% ক্ষতিগ্রস্ত হবে ।

আসলে কর্পোরেট সিস্টেমটা প্রায় সব যায়গায় একইরকম।
-তারাই প্রথমে কোনভাবে সমস্যার সৃষ্টি করে।
-এরপর সেটাকে সাময়িক উপশম করে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার দিকে ঠেলে দেয়। হয়ত আপনাকে এমন একটা ওষুধ দেয়া হলো, যার ভেতর জিনগত এমন চেঞ্জ করে দেয়া আছে- সে অষুধ খেলে আপনার সমস্যা তাৎক্ষনিক উপশম হবে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি অনেক সমস্যার তৈরী হবে।
-এরপর চিকিৎসার নামে দীর্ঘমেয়াদী অর্থ শোষন করবে তারা। আর আপনি তাদের বিশ্বাস করে বার বার তাদের কাছে প্রতারিত হবেন।

এখন উচিত-
প্রথমত, শতভাগ অর্গানিক খাদ্যের দিকে যাওয়া, যেখানে থাকবে না সার, কিটনাশক বা জিএমও’র ব্যবহার। হয়ত প্রথমে কিছু সমস্যা হবে, কিন্তু সমন্বিত উদ্যোগ নিলে অর্গানিক খাদ্যে ফিরে যাওয়া সম্ভব। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জিএমও’র বিপরীতে গড়ে উঠেছে অর্গানিক খাদ্যের বিরাট মার্কেট।
দ্বিতীয়ত, ওষুধের ক্ষেত্রেও একই কাজ করতে হবে। ভেষজ ও প্রাকৃতিক সিস্টেমের দিকে যেতে হবে। প্রকৃতির মধ্যে সমস্ত অসুখের সমাধান আছে। তবে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ কোম্পানি করলেও সেখানে নিজস্ব গবেষণা সিস্টেম রাখতে হবে। নিজস্ব সিস্টেমে সমধান খুজতে হবে। কর্পোরেটদের গবেষণার উপর নির্ভর করলে হবে না। তাদের কিছু ব্যবহার করলেও সেখানে কোন ষড়যন্ত্র আছে নাকি তা যাচাই করে নিতে হবে। তবে এগুলো সব সম্ভব হবে নিজস্ব স্বতন্ত্রবোধ থেকে। অসাম্প্রদায়িক তথা স্বতন্ত্রবোধহীন মুসলমান জাতির সেটা আছে তো ?


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment