Thursday, May 31, 2018

রাষ্ট্রের শীর্ষস্তর যখন বিশ্বাসঘাতকতা, আইনলঙ্ঘন করে তখন সেই রাষ্ট্রের পতন অত্যাসন্ন

খবর : (১)
নতুন প্রজন্মের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রপতির (https://bit.ly/2LBSUyL)
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বহুদিন ধরে জোকার রাষ্ট্রপতি হিসেবে বহুল প্রচারিত। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে দর্শকদের হাসানোই তার একমাত্র কাজ। কিন্তু সেই রাষ্ট্রপতি হঠাৎ করে কেন নতুন প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িক বানানোর প্রজেক্টে নেমেছেন ?
আজকে খবরে দেখলাম, ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রনব ঘোষ কট্টর হিন্দুত্ববাদী আরএসএসর অনুষ্ঠানে যোগদান করেছে। (https://bit.ly/2L5RzyY)

আমার বিশ্বাস রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এখনও নিজেকে প্রনবের মত অসাম্প্রদায়িক বলে দাবি করতে পারবে না। কিন্তু সেই প্রনব নিজেই যখণ হিন্দুত্ববাদে যোগদান করছে, সেখানে আব্দুল হামিদ কেন তরুন প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িকতার দিকে ঝুঁকাতে চাইছে ? উগ্রহিন্দুত্বের বিপরীতে অসাম্প্রদায়িকতা কতটুকু গ্রহণযোগ্য ? আমরা জানি, ভারতের মুসলমান কিংবা মায়ানমারের রোহিঙ্গারা হিন্দুত্ববাদ বা বৌদ্ধবাদের বিপরীতে ৭০ বছর ধরে অসাম্প্রদায়িকতা দেখিয়েছে। কিন্তু কি ফল পেয়েছে ? মার তো খেয়েছেই, এখন নিজ ভূমিটাও হারাতে বসেছে। আব্দুল হামিদ কি বাংলাদেশের মুসলমানদেরও রোহিঙ্গা বা অসমীয় মুসলমানদের মত বানাতে চায় ?


খবর: (২)
ভারতকে যা দিয়েছি সারা জীবন মনে রাখবে: শেখ হাসিনা (https://bit.ly/2kz0MVi)

এই খবরের পর আনন্দবাজার পত্রিকায় রিপোর্ট এসেছে-
“মোদীর কাছে ‘প্রতিদান’ চান হাসিনা” (https://bit.ly/2smgZBu
)
প্রথম খবরে শেখ হাসিনা ভারতকে ‘যা দিয়েছেন’ বলতে নিজের কিছু দেননি, দিয়েছেনে দেশ ও দেশের সম্পদ। কিন্তু পরের খবরে স্পষ্ট শেখ হাসিনা নিজের জন্য চাইতে গিয়েছেন।
অর্থাৎ দেশ বিলিয়ে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চান শেষ হাসিনা, বিষয়টি শেখ হাসিনা ও ভারতীয় মিডিয়ার বক্তব্যে মোটামুটি পরিষ্কার। এতদিন কথাগুলো হয়ত ভিন্ন ভিন্ন মহল থেকে আসছিলো, কিন্তু এখন খোদ শেখ হাসিনা ও ভারতের পক্ষ থেকে বিষয়টি পরিষ্কার করা হলো।
বঙ্গবন্ধু যে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, তার কন্যা সেই দেশকে ভারতের কাছে ক্ষমতার জন্য বিক্রি করে দিচ্ছে, অবতীর্ণ হয়েছে লেন্দুপ দর্জি বা মীর জাফরের ভূমিকায়। দেশ পুরোপুরি বিক্রির আগে বিশ্বাসঘাতকদের তাড়ানো ছাড়া অন্য কোন উপায় দেখছি না।

খবর : (৩)
বিদেশী পতাকা উড়ানো নিয়ে রিট খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্টের দুই বিচারক
বিশ্বকাপ ফুটবলকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ নুরুল আমিনের করা সেই রিট আজকে শুনানির সময় খারিজ করেছে হাইকোর্টের বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও কেএম কামরুল কাদের। রিটকারীর বক্তব্য ছিলো, বিদেশী পতাকা ওড়ানো রাষ্ট্রের আইনবিরোধী। কিন্তু দুই বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও কেএম কামরুল কাদেরের সরাসরি দাবি হচ্ছে, ‘আইনবিরোধী বলে কিছু নেই। যেই আইন জনগণের বিনোদনের বিরুদ্ধে যায় সেই আইন-ই থাকা উচিত নয়।’ অর্থাৎ দুই বিচারপতিও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন সংরক্ষেণের স্থান হাইকোর্টে বসে দেশের আইনকে সরাসরি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন। সাবাস।

রাষ্ট্রের শীর্ষস্তরে যখন বিশ্বাসঘাতকতা, আইনলঙ্ঘন আর শত্রুর এজেন্ডা বাস্তবায়ন প্রকাশ্যেই হয়, তখন সেই রাষ্ট্রের পতন অত্যাসন্ন, তা বুঝতে বিজ্ঞানী হতে হয় না।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, May 30, 2018

নিপাহ ভাইরাসের কারণে অনেক রাষ্ট্রই ভারতীয় সবজী ও ফলমূল নিষিদ্ধ করেছে। অথচ বাংলাদেশে দেদারসে ঢুকছে ভারতীয় ফলমূল, পেয়াজ, রসুনসহ অনেক পণ্য


আল জাজিরা’র প্রতিবেদন, ভারতে নিপাহ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেদনে দেখুন, ভারতীয়রাই বলছে, তারা ভারতের ফলমূল খাচ্ছে না, ফলে ভারতে ফলমূলের দাম ইতিমধ্যে অর্ধেক দামে নেমে এসেছে। এরই মধ্যে আরব আমিরাত, বাহরাইনসহ অনেক রাষ্ট্র ভারতীয় সবজী ও ফলমূল নিষিদ্ধ করেছে। অথচ বাংলাদেশে দেদারসে ঢুকছে ভারতীয় ফলমূল, পেয়াজ, রসুনসহ অনেক পণ্য। এইসব রোগবাহী পন্য যে খুব শিঘ্রই বাংলাদেশে ঢুকবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। অথচ বাংলাদেশী মিডিয়া এখনও ভারতীয় পণ্যের হুমকি নিয়ে কোন নিউজ করছে না। প্রশাসনও এই ব্যাপারে একদম চুপ, ফলে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি হুমকির মধ্যে থাকলেও কোন সতর্কতাই জারি হয়নি।
এদিকে জনগণ ব্যস্ত রয়েছে বিশ্বকাপ ফুটবল মানে কে ব্রাজিল আর কে আর্জেন্টিনা নিয়ে, তাই তাদেরকে এখন ডিস্ট্রার্ব করা যাচ্ছে না।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

ভারতে নিপাহ ভাইরাস মহামারি : বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা


ভারতীয় সবজী ও ফলমূল নিষিদ্ধ করলো বাহরাইন ও আরব আমিরাত
বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য নিষিদ্ধ হবে কবে ?
আপনাদের মনে থাকার কথা, আমি মাত্র ৫ দিন আগে আপনাদের সতর্ক করেছিলাম। বলেছিলাম ভারত থেকে যে কোন মহামারি রোগ বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে (https://bit.ly/2kyE1kv)।
হয়ত আমার কথা কেউ বিশ্বাস করেছিলেন, আবার কেউ বিশ্বাস করেননি। কিন্তু আমার সেই সতর্কতা শতভাগ প্রমাণ করে মাত্র ৫ দিনের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ভারতীয় পন্য বর্জনের ডাক উঠেছে।

গত কয়েকদিনের খবরগুলো পড়ুন-
১) ভারতে নিপাহ ভাইরাস (https://bit.ly/2H29jJf)

২) নিপাহ ভাইরাস: কেরালায় একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু (https://bit.ly/2sptueS
)
৩) ভারতে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ, ১৩ জনের মৃত্যু (https://bit.ly/2IYRCQV

৪) নিপাহ ভাইরাসের প্রতিষেধক না থাকায় আক্রান্ত হলে মৃত্যুঝুঁকি ৭০ ভাগ (https://bit.ly/2L6fFJX
)
৫)মহামারী আকারে ছড়াতে পারে ভারতের নিপাহ ভাইরাস: ডব্লিউএইচও (https://bit.ly/2H3Jqsp
)
৬) ভারতে নিপাহ ভাইরাস, দক্ষিণের পাশাপাশি উত্তরেও আতঙ্ক (https://bit.ly/2L2RWKT)

৭) কেরালা থেকে কর্ণাটকের দিকে নিপাহ ভাইরাস (https://bit.ly/2sgUFsW
)
৮) থাবা বসাচ্ছে নিপাহ ভাইরাস, পশ্চিমবঙ্গে সতর্কতা (https://bit.ly/2sn1b0J
)
৯) নিপাহ ভাইরাস : ভারত থেকে ফল ও সবজী আমদানি নিষিদ্ধ করলো আরব আমিরাত (https://bit.ly/2shl7CU
)
১০) নিপাহ ভাইরাসের কারণে ভারতীয় ফল ও সবজী নিষিদ্ধ করলো বাহরাইন (https://bit.ly/2JcqKvQ
)
১১) নিপাহ মহামারি : ব্রেন ড্যামেজ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে (https://bit.ly/2JlU17g
)
১২) ভারতীয় বিজ্ঞানীদের দোষারোপ : নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুর জন্য বাংলাদেশী ভাইরাস দায়ী (https://bit.ly/2svAPKb
)
আপনার লক্ষ্য করবেন, গতকয়েকদিন যাবত বাংলাদেশের প্রশাসন ও মিডিয়া দেশী বিভিন্ন পণ্যে ফর্মালিন বা ভেজাল ইত্যাদি নিয়ে বেশি লম্ফঝম্ফ করছে। বিষয়টি এক দৃষ্টিতে ভালো মনে হলেও ভিন্ন দৃষ্টিতে চিন্তা করলে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। কারণ এমনও হতে পারে, প্রশাসন ও মিডিয়া ভারতীয় অর্থপুষ্ট হয়ে বাংলাদেশের মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুড়াতে চাইছে। বিশ্বব্যাপী যেখানে ভারতীয় নিপাহ ভাইরাস নিয়ে উৎকণ্ঠা তৈরী হয়েছে, অনেক দেশ ভারতীয় পন্য নিষিদ্ধ করছে। অপরদিকে বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে ভারতীয় পন্য (ভারতীয় পেয়াজ, রসুন, আদা, চিনি, ডাল, মাছ, যে কোন ধরনের ভারতীয় ফলমূল, সুতা, পোষাক ইত্যাদি)। কিন্তু বাংলাদেশের মিডিয়া বা প্রশাসন নিপাহ ভাইরাস নিয়ে কোন সতর্কতা নেই এবং সেটা নিয়ে নিউজও করে না। উপরন্তু শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে ভারতীয় পন্য আরো আরো দ্রুত বিস্তার করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে জনগণের উচিত জোরালো দাবি তোলা, যেন সরকার দ্রুত ভারতের সকল পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করে দেয়। নয়ত বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাস মহামারি তৈরী হলে চরম বিপদজনক পরিস্থিতি তৈরী হবে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Monday, May 28, 2018

সেক্যুলারিজম থেকে হিন্দুত্ববাদের দিকে পদযাত্রা


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমি খুব পছন্দ করি। তার পূবর্ পুরুষ ইরাক থেকে এদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে এসেছিলো। যারা আরব থেকে এদেশে ইসলাম প্রচার করতে আসতো তাদের বলতো ‘শায়েখ’। সেই শায়েখ’র সংক্ষিপ্ত হয়ে যায় ‘শেখ’ নামে। যা বংশপদবি হিসেবে এখনও অনেকের নামের শুরুতে সংযুক্ত আছে।
কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা সেই শেষ ঐতিহ্যকে ভুলণ্ঠিত করেছে। হিন্দুধর্মের প্রতিক স্বস্তিকা চিহ্ন বিশ্বভারতীর লোগো (হিটলার বাহিনী স্বস্তিকা চিহ্ন ব্যবহার করতো)। সেই স্বস্তিকা চিহ্নকে গলায় চাদর দিয়ে আকড়ে ধরে মূর্তির সামনে গিয়ে মাথা নত করেছে এবং ফুল ছিটিয়েছে। আমি ইতিমধ্যে কয়েক ইসলাম ধর্মীয় আলেমের সাথে কথা বলেছি, তারা বলেছেন, এটা ইসলাম ধর্ম অনুসারে চরম গর্হিত কাজ হয়েছে, যা ইসলাম ত্যাগের সামিল। তাই তার নামের পূর্বে ইসলামী উপাধি ‘শেখ’ শব্দ ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
ধর্মান্তর বিষয়টি নতুন কিছু না। অধিক কিছু পাওয়ার জন্য অনেকেই ধর্ম ত্যাগ করে। স্কয়ার গ্রুপের মালিক স্যামসন এইচ চৌধুরী মুসলমান থেকে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছিলো ব্যবসা বড় করার জন্য। গোপালগঞ্জবাসী স্যামসন এইচ চৌধুরীর মত আরেক গোপালগঞ্জবাসীনী হাসিনাও ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য ধর্ম পরিবর্তন করতে পারে, যা সবাই দেখতে পেলো।
১৯২১ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে রবীণ্দ্রনাথ। তবে তার আগে ১৯০১ সালে ঐ স্থানে রবীন্দ্রনাথ ‘ব্রহ্মচর্যাশ্রম’ নামক একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলো। পরবর্তীকালে ১৯২১ সালে সেই ‘ব্রহ্মচর্যাশ্রম’ স্কুলটি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়। ‘ব্রহ্মচর্যাশ্রম’ শব্দের অর্থ অভিধানে বলা হয়, “হিন্দু শাস্ত্র মতে জীবনের প্রথম পালনীয় অবস্থা”। ‘ব্রহ্মচর্যাশ্রম’ অনেকটা মুসলমানদের মক্তবের মত। মুসলমানরা যেমন তাদের শিশু বেড়ে উঠলে প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা করাতে মক্তবে পাঠায়, আর হিন্দুরা পাঠায় ‘ব্রহ্মচর্যাশ্রমে। সে দিক বিবেচনা করলে নওহিন্দু আওয়ামী সভানেত্রী কি ব্রহ্মচর্যাশ্রম শিক্ষা নিতে আসলেন কি না, সেটাই চিন্তার বিষয়।
তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ভারতীয়দের থেকেও অতিহিন্দুত্ব দেখিয়েছে হাসিনা। বিশ্বভারতীর ভেতরে রবীন্দ্রের কোন মূর্তি বানানোর নিয়ম নেই। বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের পর সেখানে রবীন্দ্রের মূর্তি স্থাপন করতে চেয়েছিলো হাসিনা। কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তা ‘না’ করে দেয়। (https://bit.ly/2xdZzMt)


যাই হোক, লেখার শিরোনাম ছিলো সেক্যুলারিজম থেকে হিন্দুত্ব। আওয়ামীলীগ এতদিন প্রচার করেছে তারা সেক্যুলার সংগঠন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে তাদের কার্যক্রমগুলো সেক্যুলার থেকে হিন্দুত্বের দিকে টার্ন নিচ্ছে। সরস্বতী পূজা, দূর্গা পূজা, বৈশাখী পূজাসহ যাবতীয় হিন্দু ধর্মীয় আচার ভারতের থেকে বাংলাদেশে বেশি শুরু করেছে আওয়ামী সরকার। বাংলাদেশের মুসলমানদের দিয়ে বাধ্যতালমূলক পূজা করিয়েছে। ভারতের পাঠ্যপুস্তকে রামায়ন ঢুকেনি, কিন্তু বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকে ক্লাস ৮ এ ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে রামায়ন। এর কারণ এতদিনে পরিষ্কার হলো হাসিনা হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে। অতি সম্প্রতি খবর এসেছে হাসিনা বাজারে পাওয়া যায় এমন ৮০টি কোরআনের অনুবাদ গ্রন্থের ভুল (!) সংশোধনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। হাসিনার মত একজন ধর্মান্তরিত হিন্দু কেন মুসলমানদের ধর্মীয়গ্রন্থে হাত দিচ্ছে সেটা সত্যিই ভাববার বিষয়। (তথ্যসূত্র:https://bit.ly/2LBCOoC)
===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Friday, May 25, 2018

ইহুদীদের হাতিয়ার ‘সেলিব্রেটি ওরশিপ’


সেলিব্রেটি ওরশিপ যার বাংলা করলে দাড়াবে ‘সেলিব্রেটি পূজা’ বা ‘সেলিব্রেটির ‘আরাধনা’। অভিধানগুলোতে ফিল্ম, টেলিভিশন, স্পোর্টসের নায়ক-গায়ক বা খেলোয়াড়দের প্রতি অতিমাত্রায় আবিষ্ট থাকাকে সেলিব্রেটি ওরশিপ বলে। বর্তমানে এ বিষয়টিকে অনেকে এক ধরনের মানিসিক রোগ বলেও বিবেচনা করে। যাকে বলে Celebrity worship syndrome (CWS) । বেশ কিছুদিন আগে, বাংলাদেশের এক ছেলের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম। সে বলেছিলো, “আমি যদি কখন মেসি’র পায়খানাও পাই, তবে সেটা পায়েস হিসেবে খেয়ে নিবো”।

মানুষ সৃষ্টিগতভাবে অনুকরণ প্রিয়। আর সেই অনুকরণটা ‘সেলিব্রেটি’দেরকেই তারা সহজে করে থাকে। পৃথিবীতে সেলিব্রেটি থাকতেই পারে, কিন্তু সমস্যা হলো সেই সেলিব্রেটি যখন ভাবা হয় নায়ক-গায়ক খেলোয়াড় বা বর্তমান মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের থেকে। কারণ বর্তমানে মিডিয়া চালায় ইহুদীরা। তাই তারা কথিত সেলিব্রেটির সুযোগটাও নেয়। তারাই মিডিয়া পাওয়ারকে কাজে লাগিয়ে ইচ্ছামত সেলিব্রেটি বানায় (অথবা রিক্রুট করে) এরপর নিজেদের কাজে লাগায়। সোভিয়েত রাশিয়া ভাঙ্গার পর তাদের ভেতরে ঢুকে থাকা অনেক মার্কিন গোয়েন্দার সংস্থা সিআইএ’র এজেন্টের নাম প্রকাশ পায়। দেখা যায়, সে সব এজেন্টের একটা বড় অংশ সিনেমা অভিনেতা-অভিনেত্রী, খেলোয়াড়, গায়ক বা গায়িকা। বাস্তবিক অর্থে এই সেলিব্রেটিরা সবাই দুইটা জিনিসের পাগল। এক- টাকা, ২-মিডিয়ায় প্রচার। ইহুদীরা এ দুইটার লোভই তাদের দেখায়, ফলে তারা সহজেই এজেন্টে পরিণত হয়। সেলিব্রেটিদের দিয়ে কর্পোরেট পন্যের প্রচার তো খুব স্বাভাবিক বিষয়, ইহুদীরা তাদের দিয়ে নিজস্ব মতবাদগুলোও প্রচার করে।

গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশী মিডিয়ায় ভারতীয় নায়িকা ‘প্রিয়াংকা চোপড়া’কে বার বার দেখা যাচ্ছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইউনিসেফের দূত হিসেবে প্রিয়াংকা বাংলাদেশে এসেছে। ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ যায়গায় দেখা করেছে। বাংলাদেশের সকল মিডিয়া তাকে প্রাণপনে হাইলাইট করার চেষ্টা করেছে। সোজা ভাষায়, প্রিয়াংকা কোন একটি বিশেষ মেসেজ নিয়ে এসেছে এবং নায়িকা হওয়ায় তার মেসেজটা খুব সহজে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে প্রবেশ করবে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

প্রিয়াংকার চোপড়া ভারতীয় হলেও সে কিন্তু লেখাপড়া করেছে আমেরিকায়। মিডিয়ায় তার শুরু ২০০০ সালে মিস ওয়ার্ল্ডে প্রথম স্থান দিয়ে। এরপর ২০০২ সালে ভারতীয় সিনেমায় অভিনয় শুরু। ২০১৭ সালে ফোর্বস বিশ্বের ১০০ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির তালিকায় প্রিয়াংকার স্থান দেয় এবং ২০১৮ সালে টাইমস ১০০ জন শক্তিশালী ব্যক্তির তালিকায় প্রিয়াংকার স্থান দেয়। গত কিছুদিন আগে ব্রিটিশ দস্যু পরিবারের বিয়েতে প্রিয়াংকা ব্রিটিশ পোষাক পরে উপস্থিত হয়। অর্থাৎ প্রিয়াংকাকে ইহুদীবাদী মিডিয়া বার বার হাইলাইট করতে চাইছে। উদ্দেশ্য তাকে দিকে কোন কাজ করাবে। ঠিক কয়েকদিন পর দেখা গেলো সে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ইস্যুতে এসেছে। সে ঠিক কেন এসেছে হয়ত কয়েকদিন পর সেটা স্পষ্ট হবে। তবে একটি বিষয় আপনাদের বলে রাখি (সবাই বিষয়টি বুঝবেন না), সম্ভবত প্রিয়াংকা সরোস-রানিয়া-পোপ-ট্রুডো নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত।

কয়েকদিন আগে টিভি অভিনেতা মোশাররফ করিমকে দেখা গেছে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশেষ মতবাদ প্রচার করতে, যদিও সে ধরা পড়ে যায়। আসলে সে কাজটি করেনি, কেউ তার সেলিব্রেটি শক্তিটাকে কাজে লাগিয়ে নিজস্ব মতবাদ প্রচার করতে চেয়েছে। শুধু এ কয়েকটি নয়, এরকম অসংখ্য কথিত সেলিব্রেটিকে ইহুদীরা রিক্রুট করছে নিজস্ব মতবাদ প্রচারের জন্য। ভারতের শচীন টেন্ডুলকারকেও দেখলাম ইউনিসেফ নিয়েছে, তার দ্বারাও সামনে কোন ঘটনা ঘটতে পারে।
বাংলাদেশে আওয়ামীলীগও ঐ একই পলিসি অবলম্বন করেছে। নিজেদের দলে নিয়েছে মমতাজ, আসাদুজ্জামান নূর, তারানা হালিম বা কবরীকে, যেন সাধারণ মানুষ তাদের প্রিয় টিভি অভিনেতা-অভিনেত্রী বা গায়ক-গায়িকাকে দেখে আওয়ামীলীগের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এখন সামনে আসছে শমী কায়সার। খুব শিঘ্রই হয়ত দেখা যেতে পারে সাকিব আল হাসান বা মাশরাফি বিন মতুর্জাকে।

আমি চাই, পৃথিবীতে ইহুদীবাদী সম্রাজ্যের পতন ঘটুক। কিন্তু এর জন্য মুসলমানদের কথিত সেলিব্রেটি ওরশিপ থেকে বেড়িযে আসতে হবে। কোন অভিনেতা-অভিনেত্রী, নায়ক-নায়িকা বা ক্রিকেটার-ফুটবলারকে অন্ধ অনুকরণ বা মানা যাবে না (জাফর ইকবালও মিডিয়ার বানানো কথিত সেলিব্রেটি ছিলো)। ইহুদীবাদী মিডিয়া যাকে হাইলাইট করছে, তাকেই সন্দেহের চোখে দেখতে হবে। কি কারণে, কি উদ্দেশ্যে তাকে হাইলাইট করা হচ্ছে, তার কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। এটা ঠিক তাদের অনেকের মধ্যে তার সেক্টরে প্রতিভা থাকবে এবং তার দ্বারাই সে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করবে। স্বাভাবিক ইহুদীরা তো ঐ প্রতিভাধারী লোকগুলোকেই দলে টানতে চাইবে, তাহলে তাদের কাজ তাড়াতাড়ি হবে। পৃথিবীতে অনেক প্রতিভা আছে, কিন্তু ঐ ব্যক্তিটিকেই কেন ইহুদী মিডিয়িা এত হাইলাইট করা হচ্ছে সেটা নিযে অনুসন্ধান করতে হবে। কারণ ইহুদী মিডিয়া কোন কিছুই এমনি এমনি হাইলাইট করে না।

মনে রাখবেন, ইহুদীরা কখনই সামনে আসবে না। তারা সেলিব্রেটি বানাবে এবং তাদের ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে পরিচালিত করবে। ঠিক যেভাবে একজন রাখাল লক্ষ লক্ষ ভেড়ার পালকে তাড়িয়ে নিয়ে যায়। তাই ‘সেলিব্রেটি ওরশিপ’ থেকে বেড়িয়ে আসা ছাড়া নিজ জাতিকে রক্ষা করার আর উপায় নাই।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Thursday, May 24, 2018

ভারতীয় পেঁয়াজে ছেয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের মার্কেট

এর কারণ ভারতীয় পেঁয়াজকে শুল্কমুক্ত করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এতে ভারতীয় পেয়াজের দাম অনেক কমে গেছে। ফলে বড় হয়ে গেছে ভারতীয় ও দেশী পেঁয়াজের দামের পার্থক্য।
এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই বাংলাদেশ ও ভারতের মাঝে এখনও একটা বর্ডার আছে। বাংলাদেশ ও ভারত এক দেশ নয়। ভারত থেকে যখন কোন পণ্য বাংলাদেশে আসবে তখন বাংলাদেশ সরকারের শুধু ভারতীয় পণ্যের দামের দিকে তাকালে হবে না, তাকাতে হবে বাংলাদেশে তৈরীকৃত ঐ পন্যের অবস্থার দিকে। বাংলাদেশের নিজস্ব ঐ পণ্যের দাম কত সেটা বিবেচনা করে শুল্ক আরোপ করতে হয়। এই বিষয়টিকে বলে ‘ট্রেড ব্যারিয়ার’। একটা দেশে যখন ট্রেড ব্যারিয়ার উঠে যায় আর ঐ দেশ দেউলিয়া হয়ে যাওয়া একই কথা।
কিন্তু সরকার যদি নিজেই সেই ট্রেড ব্যারিয়ারের গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে, মানে শুল্ক ফ্রি করে দেয়, তখন তা দেশের জন্য হুমকি হয়ে দাড়ায়। কমমূল্যের জিনিস প্রবেশ করলে হয়ত দৃশ্যত কিছু মানুষ উপকৃত হবে। কিন্তু পুরো প্রেক্ষাপট বিবেচেনায় দেশের ক্ষতি হবে। কারণ দেশের কৃষকরা বসে যাবে, আমরা ঐ পণ্যের জন্য পুরোপুরি তাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাবো। এবং নির্ভরশীল হয়ে গেলো পরবর্তীতে তারা একচেটিয়া আমাদের উপর বিজনেস খাটাবে।
ছোট বেলায় এক হিন্দু শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তাম, সে আমাকে মাঝে মাঝে ভারতের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পলিসি সম্পর্কে ধারণা দিতো। একদিন সে বলেছিলো, ভারত সরকার চালের পেছনে অনেক ভর্তুকি দেয় এবং সেই সেই ভতুর্কি দেয়া চাল কমমূল্যে বাংলাদেশে পাঠায়। উদ্দেশ্য বাংলাদেশে অপেক্ষাকৃত কমমূল্যের ভারতীয় চাল প্রবেশ করাতে হয়। এভাবে ২০-৩০ বছর ভর্তুকি অব্যাহত রেখে কমমূল্যে ভারতীয় চাল প্রবেশ করলে এক সময় বাংলাদেশের কৃষকরা ধান চাষ পরিহার করবে, তখন একচেটিয়া বাংলাদেশের চালের মার্কেট কন্ট্রোল করবে ভারত। তখন আগের ক্ষতি সুদে-আসলে পুষিয়ে নেবে।
আমি সময় সময় একটা কথা বলি, মুসলমানরা ব্যক্তি স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেয়, কিন্তু জাতিগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয় না। এ কারণে মুসলমানদের আজ এই অবস্থা।
ভারতীয় পেয়াজের দাম কম, এই কারণে হয়ত বাংলাদেশের মানুষ ভারতীয় পেয়াজকে গ্রহণ করছে। কিন্তু ক্ষণিকের লাভ পেতে গিয়ে, দীর্ঘমেয়াদীভাবে সে যে তার দেশকে অন্যের উপর নির্ভর করে দিচ্ছে বা নিজের স্বাধীনতা হারাচ্ছে এটা সে অনুধাবন করতে পারছে না।
অপরদিকে পুরো সিস্টেমটাতে জনগণকে প্রলুব্ধ করছে এক শ্রেণীর আমদানিকারী ব্যবসায়ী। আমার জানা মতে, আমদানিকারী গোষ্ঠিটি বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের রাজনৈতিক দলের লোকজনই। তারা প্রত্যেক ক্ষেত্রে আমদানি করতে চায়। কারণ আমদানি করলে সহজে লাভ পাওয়া যায়। এজন্য তারা প্রথমে যেটা করে, দেশীয় জিনিসের স্বল্পতা তৈরী করে বা দাম বৃদ্ধি করে। এটা তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সাহায্যেই করে। এরপর সেই শূণ্য স্থানে তারা বিদেশী আমদানি করা জিনিস নিয়ে আসে। এতে খুব সহজেই হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়া যায়।
যেমন,
-দেশের ফল আম’কে সিস্টেম করে আটকে রেখে ভারতীয় আম প্রবেশ করানো।
অথবা
- বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে না কিংবা গ্যাসের দাম দ্বিগুন করে, বিদেশ থেকে এলপি গ্যাস আমদানি করা হচ্ছে। অর্থাৎ দেশের মানুষকে নিজের দেশেরটা রেখে বিদেশীটা খাওয়াতে বাধ্য করা।
একই জিনিস ঘটেছে পেয়াজের বেলায়ও। দেশের পেয়াজের মৌসুমেও পেয়াজ আটকে রেখে দাম বাড়িয়ে ভারত থেকে শুল্কমুক্ত করে পেয়াজ আমাদানি করা হয়েছে।
বর্তমানে ভারতে পেয়াজের দাম বাংলাদেশী টাকায় ৫ টাকা কেজি, সেই পেয়াজ শুল্কমুক্তভাবে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে ১৩ টাকায় এবং খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে ৩০ টাকায়। অর্থাৎ বিরাট ব্যবসা করছে ঐ বিশেষ শ্রেণীটি। মাঝখান দিয়ে পথে বসিয়ে দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশী কৃষকশ্রেণীকে।
আরেকটি কথা আপনারা সবসময় মনে রাখবেন, ভারতীয় পণ্য হলে বাংলাদেশীদের অনেক যাচাই করে খাওয়া উচিত। কারণ ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশ সরকার কোন ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই প্রবেশ করায়, যেটা অন্য দেশ করে না। এমনিতেই ভারতীয় পেয়াজ খুব নিম্নমানের হয়। তার উপর ভারতীয়রা সেই পণ্যে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কিছু প্রবেশ করায় তবে সেটা ধরার জন্য বাংলাদেশে কোন ব্যবস্থা নেই। আপনাদের মনে থাকার কথা, কয়েকবছর আগে এক ইন্ডিয়ান ফেসবুকে বলেছিলো, তারা ভারতীয় পণ্যের মাধ্যমে ক্রনিকরোগের জীবাণূ বাংলাদেশে প্রবেশ করায়, এতে তারা ব্যবসাও করে, আবার সেসব রোগের চিকিৎসা করতে বাংলাদেশের মানুষ ভারতেরই যায়। এতেও তাদের লাভ হয়। তবে খুব ভয়ের বিষয় অতি সম্প্রতি পৃথিবীতে সুপারবাগ ও ডিজিস-এক্স নামক দুটো মৃত্যুরোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা করছে অনেকে। আমার ধারণা ইহুদীবাদীরা এই রোগ দুটি ছড়িয়ে বড় ধরনের ব্যবসা ফাদ করচে। আর ভারত যেহেতু ইসলাইল ও আমেরিকার বড় দালাল তাই বাংলাদেশে যদি এমন কিছু প্রবেশ করে তবে সেটা ভারত তথা ভারতীয় পণ্যের মাধ্যমেই বাংলাদেশে ডোর টু ডোর আসা সম্ভব। তাই সব ধরনের ভারতীয় পণ্য (চাল, ফল, পেয়াজ, গরু, ঔষধ, কাপড় ইত্যাদি) থেকে বাংলাদেশীদের সাবধান থাকা জরুরী।
তথ্যসূত্র:
১) বেনাপোল বন্দরে বেড়েছে তিনগুন পেয়াজ আমদানি : https://bit.ly/2IGPOM4

২) বেনাপোল দিয়ে ৭ দিনে ১০ হাজার ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি :https://bit.ly/2GMTSVf


৩) শুল্কমুক্ত ভারতীয় পেঁয়াজ : https://bit.ly/2LpuKY8


৪) ভারতে ৪ রুপির পেঁয়াজ বাংলাদেশে ৩০ টাকা : https://bit.ly/2LrSBGT


৫) সুপারবাগ আতঙ্ক : https://bit.ly/2IG4I56


৬) আসছে ডিজিজ এক্স : https://bit.ly/2FI9V7f


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকালকে বলেছে, “বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, প্রমাণ নাই” !

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজকে বলেছে,
“বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, প্রমাণ নাই“ (https://bit.ly/2khpklM)

অথচ ২০১৭ সালের ১০ই এপ্রিল চ্যানেল ২৪ এর রিপোর্ট বলছে,
২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় ইয়াবা চোরাচালনকারীদের একটা তালিকা করে। সেই তালিকায় বদির নাম সবার আগে ইয়াবা গডফাদার হিসেবে সংযুক্ত ছিলো। এছাড়া সহকারী ব্যবসায়ীর তালিকায় ছিলো,
১) বদির ভাই আবদুস শুক্কুর
২) বদির ভাই আবদুল আমিন
৩) বদির ভাই মজিবুর রহমান
৪) বদির ভাই শফিক
৫) বদির ভাই ফয়সাল
৬) বদির ভাগিনা শাহেদুর রহমান নিপু এবং
৭) বদির ফুপাতো ভাই কামরুল হাসান রাসেলের নাম ।
(http://bit.ly/2jop4nv,


https://youtu.be/fAefuWR-rjQ)


কথা হলো ২ বছর আগের করা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের সেই তালিকার কথা আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেমালুম ভুলে গেলেন কেন ?

গতকালের খবরে দেখলাম, বদি নিজেও খুব বুক ফুলিয়ে বক্তব্য দিয়েছে।
বলেছে, সে ক্রসফায়ারকে ভয় পায় না, এমনকি ক্রস ফায়ার আরো আগে শুরু হওয়া উচিত ছিলো এমন কথাও বলেছে। (https://bit.ly/2IJ8KFZ,
https://bit.ly/2s8xUXg
)
অর্থাৎ সে অনেকটা নির্ভয়। সে জানে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিবে না। এর কারণ সরকার লেভেলে তার রয়েছে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ। নেটওয়ার্ক ঠিক থাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় তার ব্যাপারে না জানার ভান করে আর সেও নির্ভয়ে কথা বলতে পারে।
আমার কাছে আসা গোপন তথ্যে জানতে পেরেছিলাম,
২০১৬ সালে যখন সে জেলে যায়, তখন খোদ শেখ হাসিনাকে সে ১১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলো ছাড়া পাওয়ার জন্য। এরপর মাত্র ১৮ দিনের মাথায় সে ছাড়া পায়। তাকে বরণ করা হয় ২০০ তোরণ দিয়ে। তাই এইবারও যদি বদি ছাড়া পেয়ে যায়, তবে ধরে নিতে হবে খোদ শেষ হাসিনার সাথে বদির পূর্বের ন্যায় কোন সমঝোতা হয়েছে।
এছাড়া সরকার মাদকের বিরুদ্ধে উপর দিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করলেও বাস্তবে কতটুকু তা বাস্তবায়ন করবে তার নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কারণ মায়ানমারে ১টা ইয়াবার দাম খুচরা রেটে ৪০-৬০ টাকা। পাইকারী রেট আরো কম। কিন্তু বাংলাদেশে সে ইয়াবা যখন বিক্রি হয় তখন তার মূল্য হয়ে যায় ৩৫০-৫০০ টাকা। অর্থাৎ মায়ানমার যদি ইয়াবা ব্যবসা করে ১ টাকা পায়, তবে বাংলাদেশে যারা ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত তারা পায় ৯ টাকা। (http://bit.ly/2hM74iv)
২০১৬ সালের হিসেব মোতাবেক বৎসরে ইয়াবার পেছনে ব্যয় হয় প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। মায়ানমার যদি পায় ১০ হাজার কোটি টাকা, তবে বাংলাদেশে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। (http://bit.ly/2gwBNmr
)
আমার জানা মতে, সরকারদলীয় রাজনীতির সাথে জড়িত লোকজনই এ ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত এবং মধ্যবর্তী লাভবান তারাই হয়ে থাকে। সরকার যদি ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ করে দেয়, তবে তাদের রাজনীতির অন্যতম চালিকা (বাবা) শক্তি সেই ৪০ হাজার কোটি টাকা আসার পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। তাই নিজেদের ক্ষতি করে শেখ হাসিনা সেই বাবা নেটওয়ার্কে হাত দেবে নাকি এখন সেটাই দেখার বিষয়।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------