Wednesday, January 30, 2019

রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য শেখ হাসিনার ম্যাজিকনীতি পরিহার করা উচিত

যাদুকররা কিভাবে যাদু করে এটা নিয়ে আমি একবার খোঁজ নিয়েছিলাম। দেখেছিলাম, যাদুকরদের যাদুর পেছনে কিছু কৌশল আছে। যেমন- যাদুকররা হাত দিয়ে কোন জিনিস লুকাবে। এক্ষেত্রে কাজটা করবে এক হাতে, কিন্তু নাড়তে থাকবে অন্য হাত। একহাত নাড়িয়ে সে মানুষের দৃষ্টিকে বিভ্রান্ত করবে, অন্যহাত দিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসটা লুকিয়ে ফেলবে। মানুষের দৃষ্টি বিভ্রান্ত করে অন্য হাতের সাহায্যে লুকানোর সেই পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে যাদু বা ম্যাজিক।
গত কয়েকদিন ধরে দেখছি, নির্বাচনের পর থেকে শেখ হাসিনা ‘ম্যাজিকনীতি’ গ্রহণ করেছেন। সম্ভবত বানোয়াট নির্বাচনের দৃশ্য ভুলাতে শেখ হাসিনার এই কৌশল। তিনি ম্যাজিক দেখিয়ে জনগণের স্নায়ুকে উত্তেজিত করে পুরাতন স্মৃতি ভুলাতে চাইছেন।
যেমন: হঠাৎ করে বুড়িগঙ্গার তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কিংবা ধর্ষককে ক্রশফায়ার। দুটো শুনতেই খুব ভালো। কিন্তু বুড়িগঙ্গা যতগুলো অবৈধ স্থাপনা আছে, তার সবগুলো সরকার-প্রশাসনের যোগসাজসেই হয়েছে। তাই অবৈধস্থাপনাকারীদের সাথে সরকার-প্রশাসনের সাথে যুক্তদেরও বিচার হওয়া উচিত। এছাড়া বুড়িগঙ্গার তীরে যে অবৈধ স্থাপনার তালিকা তৈরী করা হয়েছে, আমি নিজে দেখেছি, তার একটি বড় অংশ প্রকৃতপক্ষে অবৈধ স্থাপনাই নয়, বরং তাদের নাম উদ্দেশ্যমূলকভাবে লিস্টে ঢুকানো হয়েছে। সরকার ম্যাজিক দেখাতে চোখ বন্ধ করে যে কাজ করছে তাতে নিরাপরাধ ব্যক্তিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যেটা কখনই কাম্য হতে পারে না। (https://bit.ly/2TmH679)
ক্রশফায়ারের নামে ধর্ষকে গুলি করে হত্যা। ধর্ষণ প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হোক, এটা আমারও দাবী। কিন্তু ক্রশফায়ারের নামে মিথ্যা লোক যেন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের স্বীকার না ঘটে, সেটাও খেয়াল রাখা উচিত। বিশেষ করে এসব ক্ষেত্রে সরকারের নিরপেক্ষ হওয়া বাঞ্চনিয়। আমরা দেখেছি এর আগে সরকার মাদক নির্মূলে ক্রশফায়ার দিলো, কিন্তু ইয়াবার মূল হোতা বদিকেই কিছু বললো না। এতে বোঝা যায়, সরকার নিজেই মাদকের ক্রশফায়ার নিয়ে দ্বিচারিতায় ভুগছে। কোর্ট কাচারিতে গিয়ে দেখবেন, ৮০% নারী নির্যাতন মামলা ভুয়া, অপরকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে (https://bbc.in/2CWKiiL)। শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে যদি ক্রশফায়ার দেয়া হয়, তবে ‘ভুল’ হওয়ার সম্ভবনা আছে। পাশাপাশি যদি ক্রশফায়ারও দেয়, তবে সেখানে প্রশাসনের অবস্থান নিরপেক্ষ থাকতে হবে। কক্সবাজারে একটি ধর্ষণের ঘটনায় দেখলাম, শাহাব উদ্দিন নামক এক ধর্ষককে ক্রশফায়ারে দেয়া হয়েছে, খুব ভালো। কিন্তু শ্যামল দে নামক আরেকজনকে বাচিয়ে রাখা হয়েছে (https://bit.ly/2sXhemC)। সরকারের ভেতর যেহেতু হিন্দু প্রীতি বা ভীতি আছে, সম্ভবত সে কারণে শ্যামল দে কে ক্রশফায়ারে দেয়ার সাহস পায় নাই। এ দিকগুলোতে পরিষ্কার থাকা সরকারের জন্য জরুরী।
আওয়ামী সরকারের উন্নয়নের ম্যাজিকনীতি প্রথম দৃশ্যমান হয় ফ্লাইওভার, মেট্রোরেলে মাধ্যমে। আপনারা যদি জনপার্কিন্সের লেখা ‘এক অর্থনৈতিক ঘাতকের স্বীকারক্তি’ বই পড়েন, তবে স্পষ্ট হয়ে যাবে, আওয়ামী সরকারের কথিত উন্নয়নের ম্যাজিকের আড়ালে কিভাবে দেশকে বিদেশী কর্পোরেটদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। সরকার বিদেশ থেকে ঋণ এনে অনুৎপাদনশীল খাত ফ্লাইওভার-মেট্রোরেল করতেছে, আর উৎপাদনশীল খাতগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে। যেমন, গত কয়েকদিন খরবগুলো যদি দেখেন-
- জাপানের ঋণে হচ্ছে পাতাল রেল, চলছে নকশার কাজ (https://bit.ly/2Sd9yem)
- মহাখালীতে আবারও ফ্লাইওভার (https://bit.ly/2RW4mfs)
এই খবরগুলোর উল্টা পাশের খবর-
১) ৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ, অপর্যাপ্ত লবণ-বরফে পঁচে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ (https://bit.ly/2BaalCS)
২) বগুড়ায় বহুমুখী হিমাগারের অভাবে নষ্ট হচ্ছে সবজী, হুমকির মুখে ১৮ হাজার চাষী (https://bit.ly/2Wv4Qb5)
৩) মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে হিমাগারের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সবজি চাষীরা (https://bit.ly/2ShAQjB)
৪) কুমিল্লায় হিমাগারের অভাবে নষ্ট হচ্ছে শাক-সবজি ও ফলমূলের ৩০%
(https://bit.ly/2sXAXm2)
৩ বছর আগে এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছিলো,“ সরকার আর হিমাগার নির্মাণ করতে চায় না ” (https://bit.ly/2TlhmYI)
সরকার যদি দেশজুড়ে হিমাগার নির্মাণ করতো, তবে প্রতিদিন হাজার হাজার কোটি টাকার খাদ্যসম্পদ নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পেতো, খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়তো না, জনগণ স্বল্পমূল্যে খাবার পেতো, এছাড়া বেচে যেতো কৃষক সমাজ। এটাই মূলত উৎপাদনশীল খাত। কিন্তু সরকার সেটা না করে ফ্লাইওভার-মেট্রোরেলের বানানোর ম্যাজিকে নেমেছে। কিন্তু এই ম্যাজিক দেশকে শুধু ঋণের মধ্যে জড়িয়ে দেবে, জনগণের লিভিংকস্ট বাড়িয়ে তুলবে।জনগণের খরচ কমাতে পারবে না।
শেখ হাসিনাকে বলবো, দয়া করে ম্যাজিশিয়ান নয় রাষ্ট্র পরিচালক হোন। ম্যাজিক দেখিয়ে হয়ত কিছু সময়ের জন্য কিছু মানুষকে ধোঁকা দিতে পারবেন, কিন্তু সব সময়ের জন্য সব মানুষকে ধোঁকা দিতে কখনই পারবেন না।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

ভারতের মলমিশ্রিত নোংরা পানি ঢুকছে বাংলাদেশে, দুর্গন্ধে পরিবেশ বিপর্যয়

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা থেকে সুয়ারেজের নোংরা পানি বাংলাদেশের প্রবেশ করছে। এতে শুধু সুয়ারেজ লাইনের পানি নয়, আছে আগরতলার ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ডাইং কারখানা, চামড়া কারখানা ও মেলামাইন কারখানার বিষাক্ত দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ্য। যে খালের মাধ্যমে এই দুষিত পানি বাংলাদেশে প্রবেশ করছে তার নাম ‘কালান্দি খাল’। আর এলাকার মানুষ এই পানিকে ডাকে কালান্দির কালো পানি নামে। এই খালের কারণে বাংলাদেশের বি-বাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মাইলের পর মাইল এলাকা মৌ মৌ করে ভারতীয়দের মলমূত্রের গন্ধে।

বিভিন্ন সময়ে খবরে প্রকাশ, এই বিষাক্ত পানির কারণে খালের সাথে যুক্ত আখাউড়া উপজেলার ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার লোক স্বাস্থ্যঝুকির মধ্যে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি জমি, মরে ভেসে উঠছে মাছ (https://bit.ly/2Wp2fQ3)।
এই বিষয়টির প্রতিবাদে স্থানীয়রা বেশ কয়েকবার মানবন্ধনও করেছে (https://bit.ly/2sOY5Du)। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
আজ থেকে ৫ বছর আগে সেই কালো পানি পরিশোধন করতে প্ল্যান্ট বসানোর অর্থও বরাদ্দ হয়েছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছিলো (https://bit.ly/2B7L7VF), কিন্তু এতটুকুই। এখনও অবাধে প্রবেশ করে যাচ্ছে সেই দুষিত পানি।
ভারত বিভিন্ন নদীতে বাধ নিয়ে পানি আটকে রাখছে। বিশুদ্ধ পানি সে দিতে চায় না, কিন্তু প্রতিদিন টয়লেট করে তার পানি ঢুকিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশে, আশ্চর্য ! পৃথিবীর কোন অন্য কোন দেশে এভাবে টয়লেট সেরে সেই পানি পার্শ্ববর্তী দেশে পাঠিয়ে দেয়ার নজির আছে কি না, তা আমার জানা নাই। কিন্তু তারপরও বলতে হয়, “তবু তো দিচ্ছে, সেটা মলমিশ্রিত পানি হোক না”। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষায় “কুছ তো মিল গেয়্যা” ( https://bit.ly/2FVh5c3)।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

মেট্রোরেল : শুভঙ্করের ফাঁকি - ২


গত ২৫শে জানুয়ারী ‘মেট্রোরেল: শুভঙ্করের ফাঁকি’ আর্টিকেল লেখার পর কেউ কেউ আমার লেখার সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন। আসলে কেউ কেউ দ্বিমত পোষণ করতেই পারেন, সবার চিন্তাধারা যে এক হবে, এটা আমি কখনই ভাবি না, বরং প্রতিটা মানুষের চিন্তাধারা যে আলাদা এটাই বরং স্বাভাবিক।
তবে, মেট্রোরেল নিয়ে কিছু চিন্তা আমার মনে সব সময় উদ্রেক হয়-
১) সরকারী ভাবে মেট্রোরেলের মত একটি নতুন ও বড় সিস্টেম কিভাবে চলবে তা নিয়ে ভাবনার দরকার আছে। সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কিছুদিন আগে বলেছে, “লোকসান দিয়ে বিআরটিসি আর কতোদিন চলবে ? এভাবে সরকারি কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশ থেকে গাড়ি কিনে এনে দেশের মানুষ কী সুফল পাচ্ছে দেখতে হবে। দেখা যাচ্ছে, অনেক দাম দিয়ে বিআরসিটি বাস কেনা হচ্ছে। কিন্তু কিছু দিন পর ডাম্পিংয়ে চলে যাচ্ছে। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে সরকারকে।” (https://bit.ly/2CMC38F) সরকার যেখানে বিআরটিসি সামান্য বাস সার্ভিস চালাতে পারছে না, সেখানে মেট্রোরেলের মত নতুন ডাইনামিক একই সিস্টেম তারা কতদিন চালাতে পারবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তাছাড়া সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত, এটা সরকার নিজেই স্বীকার করে। দেখা যাবে, মেট্রোরেল চালু হলে বাসের যাত্রী কমে যাবে। তখন বাস মালিক সমিতি (যার বেশিরভাগ মালিক এমপি-মন্ত্রীরাই) সরকারকে ঘুষ দিবে যেন মেট্রোরেলগুলো কারণে অকারণে বসিয়ে রাখা হয়। এভাবে বসে থাকতে থাকতে মেট্রোরেলও এক সময় বিআরটিসির মত ভাগাড়ে চলে যাবে।
২) সরকার যখন চালাতে পারবে না, তখন কথা আসবে মেট্রোরেল বেসরকারীভাবে চালানোর । আর বেসরকারী মানে উচ্চভাড়া। মানুষ চায়, স্বল্পভাড়া ও সহজ যাতায়াত। কিন্তু বেসরকারীখাতে গেলে আর স্বল্পভাড়া সম্ভব হবে না। জনগণকে ঋণে ফেলে মেট্রোরেল বানানো হলো, জনগনের রাস্তা ছোট করে পিলার উঠলো, জনগণ ৩ বছর নির্মাণ যানজট সহ্য করলো, কিন্তু বানানোর পর সেটা জনগণের থাকলো না, হয়ে গেলো বেসরকারী কর্পোরেটদের, ফলে যে টাকা খরচ করতে পারবে, সে উঠবে, বাকিরা আগের মত নিচে সরু রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করবে। বাংলাদেশের যেহেতু অধিকাংশ মানুষ স্বল্প খরচে যাতায়াত করতে চায়, সেহেতু দেখা যাবে, ভাড়া বেশি হললে একবারে মেট্রোরেলের সব সিট ভড়বে না, তখন ১৪ জোড়া রেলের পরিবর্তে ৪-৫ জোড়া চলবে, ফলে সেই ৬০ হাজার যাত্রীর কথা বলে বানানো মেট্রোরেলে ৩-৫ হাজার যাত্র্রী চলাচল করবে।
৩) মেট্রোরেলকে বলা হয়, ‘এমআরটি’ বা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট। আমি ব্যক্তিগতভাবে ম্যাস র‌্যাপিড ট্র্যানজিটের বিরুদ্ধে নই, বরং পক্ষে। কিন্তু আমি বিরুদ্ধ হচ্ছি, যারা বলছে এই ম্যাস র‌্যাপিডি ট্র্যানজিটে মাধ্যমে যানজট হ্রাস পাবে, তাদের এ বক্তব্যের। বাস্তবে এমআরটির সাথে চলমান জনজট পরিস্থিতির কোন রিলেশন নাই। একটি উদহরণ দিলে বুঝতে সহজ হবে। ধরে নিলাম মেট্রোরেল একসাথে ৬০ হাজার লোককে পরিবহণ করতে পারে। কিন্তু এই সংখ্যাটা কি বেশি কিছু ? একটি হিসেবে দেখা যায়, ঢাকা শহরে দৈনিক ৫ হাজার নতুন লোক প্রবেশ করে। সেদিক বিবেচনা করলে ১২ দিনে প্রবেশ করে ৬০ হাজার লোক (https://bit.ly/2RQlqnc )। অর্থাৎ ঢাকা শহরে ১২ দিনে যে লোক প্রবেশ করছে ৩ বছর ধরে ২২ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মেট্রোরেল দিয়ে শুধু ততগুলো লোকের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাই ঢাকার যানজট নিরসনে প্রথম চ্যালেঞ্জ সেই ৫ হাজার নতুন লোককে ঢাকায় প্রবেশ করতে না দেয়া, বাইরের জেলায় তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, যাকে আমরা বলছি বিকেন্দ্রীকরণ।
৪) ‘এমআরটি’ বা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিটের একটি অন্যতম উদ্দেশ্য মানুষ যেন ব্যক্তিগত পরিবহন বা প্রাইভেট কার জাতীয় পরিবহণ ব্যবহার না করে। ২০৩৫ সাল পর্যন্ত ঢাকা শহরের জন্য জাপানের জাইকা যে মাস্টারপ্ল্যান দিয়েছে, সেখানে তারা প্রাইভেট মটরসাইকেল ব্যবহারেরও বিরোধীতা করেছে। তারা বলেছে, মটরসাইকেল যে হারে বাড়ছে তাতে খুব শিঘ্রই ঢাকায় যানজটের জন্য মটরসাইকেল দায়ী হবে। তাদের এ ধরনের বক্তব্য থেকে অবশ্য বুঝেছি, তারা ঢাকা সম্পর্কে সত্যিই খুব ধারণা রাখে। বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশে যারা প্রাইভেট গাড়ি চালায়, তারা কিন্তু মাঝের কোন স্থানে থামতে চায় না। যেমন- তারা বাড়ির গ্যারজ থেকে বের হয়ে অফিসের গ্যারেজে বা স্কুলের পার্কিং এ গাড়ি রাখে। কিন্তু এ লোকগুলো কিন্তু কখনই চাইবে না, গাড়ি ব্যবহার বাদ দিয়ে মেট্রোরেল ব্যবহার করতে এবং মেট্রোরেল থেকে নেমে আরো ১ কিলো রাস্তা হেটে নির্দিদষ্ট গন্তব্যে পৌছাছে। হ্যা এটা সম্ভব ছিলো যদি মেট্রোরেল থেকে নামার পর পরিবেশ ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মত হয়। কিন্তু দেখা যাবে, মেট্রোরেল থেকে নামার পর পরিবেশ সেই ভীড়যুক্তই হবে। সুতরাং প্রাইভেট কার তারা কখন বাদ দিবে না, মেট্রোরেলও প্রাইভেট গাড়ি বা মটরসাইকেল কমাতে পারবে না।
৫) ‘জাপান খুব ভালো কন্সট্র্যাকশন বানায়, তাই মেট্রোরেল খুব ভালো হবে ’ এসব কথা বলে কোন লাভ নেই। কারণ একজন বিক্রেতা চাইবে বাজারে তার পন্য ভালো কথা বলে ছড়াতে। জাইকার কাজ হলো বাংলাদেশের মত দেশগুলোকে ঋণ দেয়ার নাম করে মেট্রোরেলের মত এসব অপ্রয়োজনী প্রকল্প গছায় দেয়া। ঋণ বলতে আসলে সেই ঋণ না। জনপার্কিন্সের লেখা ‘একজন অর্থনৈতিক ঘাতকের স্বীকারক্তি’ বইটা পড়লে বুঝতে পারবেন, এরা ঋণ দেয়ার কথা বলে প্রকল্প বিক্রি করে, তারপর সেখানে কনসালটেন্সি, মালামাল, ইঞ্জিনিয়ার, সার্ভিসিং উচ্চমূল্য দিয়ে মূল প্রকল্পের ৬০% নিজেরাই ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। এরপর পুরো টাকা সুদে আসলে আবার নেয়। এরপর সরকার সেই প্রকল্প চালাতে না পারলে ফের প্রকল্প চালিয়ে টাকা নেয়া নেয়। এরা হলো কর্পোরেট, তারা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের জোগসাজসে একটি দেশে অর্থনৈতিক শাসন বিস্তার করে, যাকে বলা হচ্ছে কর্পোরেটোক্রেসি।
সরকার এই মেট্রোরেলের পর আরো ৪টি মেট্রোরেল, ৫টি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ২১টি ট্র্যান্সপোর্ট হাবসহ অর্ধশতাধিক এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যা বিদেশীদের থেকে ঋণ এনে বাস্তবায়নের চেষ্ট চলছে। আমরা চাইছি, যানজট নিরসন হোক, কিনতু সরকার চাইছে যানজট দীর্ঘজীবি হোক, কারণ যানজট যতদিন থাকবে, ততদিন তারা সেই মুলা ঝুলিয়ে বিদেশ থেকে ঋণ এনে এসব আজগুবি প্রকল্প গ্রহণ করতে পারবে, এবং নিজের পকেট ভরতে পারবে। যদিও বাস্তবে বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া অন্যকোন উপায়ে যানজট নিরসন কখনই সম্ভব না।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

মেট্রোরেল : শুভঙ্করের ফাঁকি


“মেট্রোরেল হয়ে ঢাকা শহরের যানজট কমবে”-এই কথাটা সরকারের অনেক মন্ত্রী-আমলারা বলেছে। তারা এক্ষেত্রে দুটি বাক্য ব্যবহার করেছে-
১) মাত্র ৩৭ মিনিটে উত্তরা থেকে মতিঝিল যাওয়া যাবে।
২) এক সাথে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহণ করতে পারবে ।
(https://bit.ly/2DyXY51)

প্রথম কথাটি শুনে যদি আপনি মনে করেন, ট্রেনে উঠবেন আর ৩৭ মিনিট পর উত্তরা থেকে মতিঝিল চলে আসবেন, তবে কিন্তু ভুল করবেন। কারণ-
উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশন আছে, আর প্রতি স্টেশনে ট্রেন থামবে ৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড পর পর (https://bit.ly/2Sa8fN2), সে হিসেবেও কিন্তু ১৫টি স্টেশন যেতে সময় লাগবে প্রায় ৫৩ মিনিট। আর যদি প্রতি স্টেশনে কমপক্ষে গড়ে ১ মিনিট দাড়ায় (৪-৫ মিনিট হওয়াও অস্বাভাবিক নয়), তাহলে আরো ১৫ মিনিট যোগ করে ১ ঘণ্টা ৮ মিনিট।
আর ট্রেন যদি দ্রুত চলতে পারে, তবে হয়ত দ্রুত যাওয়া সম্ভব। ফ্লাইওভারগুলোতে কিন্তু যানবাহন আস্তে চলতে বলা হয়, ফ্লাইওভারে গতি দ্রুত করলে তার ক্ষতি হয়। তেহরানে মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতি ১০০, কিন্তু চলে সর্বোচ্চ ৩৭ কিলো গতিতে টানে। কারণ ৪-৫শ’ টন ওজনের একটি মেট্রো ১০০কিলো গতিতে টেনে নিলে দ্রুত ফ্লাইওভারে ফাটল ধরবে। তাই মেট্রোরেলের গতি কমিয়ে আনতে হয়। এছাড়া স্পট কাছাকাছি হওয়ায় এত বেশি গতি তোলাও সম্ভব না। এক্ষেত্রে মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ৩০ কিলো বা তার নিচে হতে পারে। তাই মাত্র ৩৭ মিনিটে আসা যাবে, এ কথাটা আসলে ভুল এবং ১ ঘন্টার বেশি সময় লাগতে পারে।
(১ ঘন্টা ৮ মিনিট হওয়ার শর্ত: *যদি সকল রেলগাড়ি ভালো থাকে, *লাইনে কোন সমস্যা না থাকে, *যদি কোন স্টেশনে কোন সমস্যা না হয়, কারণ একটি রেলগাড়ি স্টেশন না ছাড়লে অন্যটি ঢুকতে পারবে না এবং *যদি সকল স্টেশনে যাত্রীরা নিয়মশৃঙ্খলা মেনে উঠতে পারে)

দ্বিতীয় কথাটার হিসেব মিলাচ্ছি।
সংবাদ হিসেবে মোট ১৪ জোড়া মেট্রোরেল চলবে (https://bit.ly/2Hx0I72)। যদিও বলা হচ্ছে, প্রতি মেট্রোরেল বসে ও দাড়িয়ে দেড় হাজারের উপরে যাত্রী নিতে পারবে। কিন্তু কথা হলো মাথার উপর দিয়ে চলা প্রতি মেট্রোতে কতগুলো করে বগি থাকবে ? প্রতি বগিতে বসে দাড়িয়ে যেতে পারে প্রায় দেড়শ’ যাত্রী। প্রতি বগির ওজন হবে ৭০ থেকে ১০০ টন। তাহলে মাথার উপরে একটি ট্রেন সর্বোচ্চ কতগুলো বগি বহন করতে পারবে ? এটা ঠিক মাটির নিচে সাবওয়েতে প্রচুর যাত্রী নেয়া যায়, কিন্তু ফ্লাইওভারের উপরে মেট্রোতে কিন্তু এত ওজন বহন করা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে তিনটির বগি বহন করলে দাড়িয়ে বসে সর্বোচ্চ সাড়ে ৪শ’ জন যাত্রী যেতে পারবে। যদিও বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে দেড় হাজার যাত্রী এক সাথে যেতে পারবে, তাহলে কিন্তু প্রতি গাড়িতে কমপক্ষ ১০টি বগি বহণ করতে হবে। তখন ঘন্টায় ৬০ হাজার যাত্রী যেতে পারবে। তাইওয়ানের মত প্রযুক্তিতে উন্নত রাষ্ট্রে মেট্রোরেল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ হাজার ক্যাপাসিটি দেয়, সেখানে বাংলাদেশ কিভাবে ৬০ হাজার ক্যাপাসিটির ঘোষণা দিলো তা আমার মাথায় আসে না। পার্শ্ববর্তী দেশে ভারতেরে চেন্নাইয়ে প্রতি মেট্রোতে দেখলাম ৩টি করে বগি। বাংলাদেশও এর থেকে বেশি দিতে পারবে বলে মনে হয় না। সেক্ষেত্রে ১৪ জোড়া ট্রেন সর্বোচ্চ ১২,৬০০ যাত্রী বহণ করতে পারবে, ৬০ হাজার চিন্তা করা স্বপ্নেও সম্ভব না।

এতো গেলো কোন সমস্যা না হলে সহজ হিসেব, এবার আসুন দেখি সমস্যা হলে কি হবে –
ক) প্রতি স্টেশনে ৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের দাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু যাত্রী উঠতে-নামতে কিংবা গাড়ি ছাড়তে যদি এর বেশি সময় লাগবে, তবে ৩ মিনিট ৫ মিনিট বা ১০ মিনিট হতে পারে। তখন উত্তরা থেকে মতিঝিল পৌছাতে ১ ঘন্টা ৩৭ মিনিটের স্থানে দুই আড়াই ঘন্টা খুব স্বাভাবিক।
খ) মোট ২৮টি রেল যদি সুস্থ থাকে তবে ১২ হাজার যাত্রী চলাচল করবে। কিছু আগে দেখলাম বিআরটিসি কিছু ভালো ভলবো বাস সার্ভিসিং এর অভাবে অকেজো করে ফেলেছে (https://youtu.be/Zs_o8pqUjGo)। সরকার যেখানে সামান্য বাস সার্ভিসিং ঠিক রাখতে পারে না, সেখানে মেট্রোরেলগুলো সুস্থ রাখবে কিভাবে ? ১ বছরের মধ্যে ২৮টা মেট্রোরেলের মধ্যে যদি ৭টা নিয়মিত চলে তবে ঢাকাবাসীকে আনন্দিত হওয়া উচিত। মনে রাখবেন, তখন কিন্তু ১২ হাজার যাত্রী ৩ হাজারে নেমে আসবে। অর্থাৎ মুখে বলেছে ৬০ হাজার, কিন্তু ১ বছরে নেমে হবে ৩ হাজার।
গ) রেল নষ্ট হওয়া খুব স্বাভাবিক। কিন্তু হঠাৎ যদি রাস্তায় কোন রেল নষ্ট হয়ে থেমে যায় তখন দেখা যাবে পুরো রেল ব্যবস্থা থেমে যাবে। আর এটা রাস্তা নয়, ফ্লাইওভারের উপরে। ইচ্ছে হলেই কেউ স্টেশন ছাড়া নামতে পারবে না। ফলে কোন রেল নষ্ট হলে হৈচৈ পড়ে যাবে, কারণ মানুষ উপরে আটকা পড়ে থাকবে।
ঘ) দেশে রেললাইন স্থলে হলেও তার খুব বেহাল অবস্থা। কোন স্থানে লাইনে সমস্যা হলে জনগণ জানায়, রেল বিভাগের খবর নেয়ার সময় কোথায় ? মেট্রোরেলের ক্ষেত্রে লাইন হবে উপরে, আপনার কি মনে হয় সরকার প্রতিদিন এই ১২-১৪ কিলো লম্বা লাইন টেস্ট করবে ? ফলে কোন একটি দুর্ঘটনা ঘটলে রেলের বগি শুধু উপর থেকেই পড়বে না, জনগণের ফেইথ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে।
ঙ) মেট্রোরেলের জন্য যে ১৬টি স্টেশন করা হবে, সেগুলো নুতন করে যানজটের জন্ম দিবে। এমন হবে, শেষে ৩ হাজার যাত্রী বহণ করতে ৩০ লক্ষ লোকের যাতায়তের সমস্যা তৈরী করবে। সরকার এসব স্টেশনে যাত্রী উঠতে অটো সিড়ির জন্য ঋণ নিয়ে খরচ করছে। কিন্তু এই অটো সিড়ি কতদিন চলবে তা প্রশ্নের বিষয়। তাছাড়া খুব কম যায়গায় মধ্যে যাত্রী উঠতে গেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটা খুব স্বাভাবিক।

এবার আসুন, মেট্রোরেলের কিছু আনুসাঙ্গিক দিক আলোচনা করি-
- জাপান থেকে ঋণ এনে, দেশকে ঋণের মধ্যে ফেলে ডুবিয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করে এই মেট্রোরেল কতটুকু যুক্তিসঙ্গত ? এই ঋণের টাকা তো জনগণকে ট্যাক্স-ভর্তুকি আর চাল-ডালের অতিরিক্ত দাম দিয়ে পরিশোধ করতে হচ্ছে।
- স্বাভাবিক নিয়ম হচ্ছে, কোন একটি প্রজেক্ট পরীক্ষামূলক করে তার ভালো মন্দ যাচাই করে তারপর সেটাকে হ্রাস-বৃদ্ধি করা। কিন্তু সরকার ১টি মেট্রোরেলের বাস্তবতা না দেখেই আরএসটিপি প্রজেক্টের আন্ডারে আরো ৪টি মেট্রোরেল বানানোর ঘোষণা দিয়েছে। (https://bit.ly/2Hx0MDK)
- ঋণ নিলেই শুধু হবে না, ঋণের টাকা সুদ আসলে পরিশোধ করতে হবে। এ বছর বাজেটে প্রায় ৫০ হাজার কোটি ছিলো শুধু ঋণের সুদ পরিশোধ। উল্লেখ গত কয়েকদিন আগে মেট্রোরেল প্রজেক্টের ঋণ দাতা জাপান সরকারের জাইকা তাদের ঋণের সুদ ৬ গুন বৃদ্ধি করে, যদি দৈনিক যুগান্তরের খবর সরকারের পক্ষ থেকে তা কঠিনভাবে সেন্সর করা হয়।(https://bit.ly/2Wk9Yyr)

- বর্তমানে মেট্রোরেল বানানোর কারণে প্রচুর যানজট তৈরী হচ্ছে। যে প্রজেক্টে ১ বছর পর মাত্র ৩ হাজার লোক যাতায়ত করবে, সেটার জন্য এখন প্রতিদিন যানজটে ফেলে লক্ষ লক্ষ মানুষকে অবর্ণনীয় কষ্ট দেয়া এবং ভবিষ্যতেও সরু রাস্তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ যানজটে আটকে থাকার দায় কে নেবে ? এর বদলে ২২ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ঢাকা শহরকে যদি বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ নিতো সরকার তবে মানুষ কমে অটোমেটিক যানজট হ্রাস পেতো।

আমি নিশ্চিত, হাজার কোটি টাকা খরচ করা মেট্রোরেল প্রকল্প খুব শিঘ্রই একটি বাতিল প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হবে। হয় মেট্রোর ফ্লাইওভারগুলো তখন কুকুর বিড়ালের অভয়ারণ্য হবে, গাজিয়ে উঠবে গাছ, অথবা যদি ২-৪টি হেলে দুলে চলেও, সেটা হবে প্রেমিক-প্রেমিকাদের নিরাপদ ডেটিংস্থল, কারণ একমাত্র তারাই সময় নিয়ে চিন্তা করবে না, ২ ঘণ্টার যায়গায় ৪ ঘণ্টা হলেও তাদের কোন সমস্যা-ই নেই।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

বিপিএল মাধ্যমে দেশের জনগণের টাকা লুটতরাজ করে বিদেশে পাচার হচ্ছে না তো ?


গত ২১শে জানুয়ারীতে ওলামালীগ বিপিএলকে জুয়ার আসর বলাতে দেখলাম অনেকে ক্ষেপে গেলো। খোদ আওয়ামীলীগ পর্যন্ত বললো, ওলামালীগ তাদের কেউ না। অথচ এর পরদিন দৈনিক মানবজমিনের হেডিং হলো “ক্রিকেট জুয়ায় কাঁপছে দেশ” (https://bit.ly/2Tb5fxo)। 
আপনাদের মনে থাকার কথা, ১ বছর আগে একটি অনলাইন জুয়ার সাইটে বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগ বিপিএলে টিচাগং ভাইকিংস আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যাচটি ঘিরে বাজি হয়েছিলো প্রায় ৩শ' কোটি টাকা (https://bit.ly/2AWxZ5W)। এটা শুধু একটি সাইটের হিসেব, এরকম ডজন ডজন জুয়ার সাইট আছে অনলাইনে। খবরে প্রকাশ, ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হওয়া মাত্র ঘরে ঘরে ছেলেপেলেরা ব্যস্ত হয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে। সেখানে প্রতি বলে বলে, প্রতি প্লেয়ারে প্লেয়ারে ধরা হয় বাজি। বিটিআরসি দায় সারতে নামে মাত্র কিছু সাইট বন্ধ করেছিলো। কিন্তু সেটা গত বছরের কথা, এ বছর গজিয়ে গেছে আর কয়েকগুন জুয়ার সাইট। এগুলো তো গেলো সাইট ভিত্তিক জুয়া, এছাড়া জনআড়ালে থাকা জুয়ার কথা না হয় বাদ-ই দিলাম।
(বেট৩৬৫ তে দেখুন আজকের খেলার কোন কোন বিষয় নিয়ে জুয়া হচ্ছে: https://bit.ly/2U9vmVt)

সত্যিই বলতে, একটা খেলার মূল্য কত ? ১০ কোটি, ২০ কোটি ?
কিন্তু সেটার জুয়ার মূল্য যখন ১০ হাজার কোটি হয়, স্বাভাবিক সেটা খেলার মধ্যে প্রভাব বিস্তার করবেই।
আর খেলার মধ্যে প্রভাব বিস্তার করলে তা অবশ্যই ফ্র্যাঞ্চাইজি বা ক্লাবগুলোর মধ্যে সংযোগ প্রাপ্ত হবে। কারণ দেশবিদেশ থেকে টাকা দিয়ে কিনে আনা এসব মূল্যবান প্লেয়ারকে মাঠে নামিয়ে ব্যবসায়ীদের লাভ কি ? তার কোন উপায়ে ইনকাম করে ? সবটাই কি ক্রিকেট প্রেম ? নাকি আড়লে আরো ঘটনা আছে ?
বাস্তবতা হলো ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা তাদের ভাড়া করার খেলোয়াড় দিয়ে মাঠে নাটক সাজাবে আর সাধারণ মানুষ সেই নাটকে অংশ নিয়ে বোকার মত হারাবে কোটি কোটি টাকা। সাধারণ মানুষ দেখবে, একজন প্লেয়ারের হাত থেকে ক্যাচ মিস হচ্ছে, অথচ এটা বাহ্যিক দৃশ্য, ভেতরের কথা হলো ক্লাব থেকে বলা হয়েছে, এত রান করার আগে কেউ ক্যাচ ধরতে পারবে না। হঠাৎ করে একজন প্লেয়ার এমন লুজ বল করছে যেন ছক্কা মারা সহজ হয়, সাধারণ মানুষ ভাবছে এটা এমনি এমনি, কিন্তু অন্তরালের কথা হলো তাকে বলাই হয়েছে ছক্কা মারার মত লুজ বল করতে। খুব ভালো প্লেয়ার যার জন্য রান করা কোন ব্যাপার না, কিন্তু সেই আজেবাজে শট খেলে তার উইকেট হারিয়ে আসছে, কিংবা ইচ্ছা করে রান আউট হয়ে যাচ্ছে। দর্শক এগুলো দেখে আবেগ আপ্লুত হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবতা হলো পর্দা আড়লে দাড়ানো ক্লাব বা ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা বলেছে সেভাবে খেলতে। কারণ তাদের সাথে সংযোগ আছে বিভিন্ন জুয়ার কোটের। সেখানে হার জয়ের পক্ষে ধরা হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। সেখানে ভাগ পাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা, তাই খেলাকে কমবেশি করছে তারা, ধোকা দিচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এই যে তরুণ প্রজন্মকে ক্রিকেট নামক জুয়াতে মত্ত করা হয়েছে, তারা দেশের টাকা দিয়ে অনলাইনে ডলার কিনে জুয়াতে টাকা লাগাচ্ছে। সেই টাকা লুটে নিয়ে যাচ্ছে বিদেশী জুয়ারীরা, আর সেই জুয়ারীদের হাতে হাত রেখে সেই টাকার ভাগ খাচ্ছে ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা। আসুন দেখি তারা কারা -
১) ঢাকা ডাইনামাইটসের মালিক সালমান এফ রহমান
২) সিলেট সিক্সার্সের মালিক আবুল মাল আব্দুল মুহিত
৩) রংপুর রাইডার্সের মালিক বসুন্ধরা গ্রুপের আব্দুস সোবহান
৪) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল
৫) খুলনা টাইটান্সের মালিক এমপি কাজী নাবিল আহমেদ

আমি জানি, আপনি বলবেন, তারা যে জড়িত, তার দলিল কি ?
এটা ঠিক আমার কাছে দলিল নেই। কারণ তারা যে পর্যায়ের এমপি-মন্ত্রী-ক্ষমতাবান তারাই প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করে, তাই নির্ধারণ করে দেয় কে অপরাধী আর কে অপরাধী না। সুতরাং আমি কিভাবে ডাইরেক্ট তার দলিল পাবো ? ফ্রাঞ্চাইজি মালিকদের নাম দেখে বুঝি এখানে তারাই আছে, যারা শেয়ার মার্কেটে দরিদ্রদের হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে দেয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভোল্টের টাকা ফিলিপাইনের জুয়ার কোটে পাঠিয়ে দেয়, এরা তো তারাই যারা ভূমিদস্যুতা করে গরীবের জমি মেরে বড় বড় রিয়েল স্টেট প্রজেক্ট করে। তারাই যখন ফ্রাঞ্চাইজি দল খুলে, তখন অনুমান করতে পারি, এত এত খরচ করে তাদের লাভটা আসলে কি ?
কিছুদিন আগে ভারতের আইপিএলের দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ফ্রাঞ্চাইজি মালিক চিত্রনায়িকা প্রীতি জিনতা বলেছিলো, ‘অনেকেই এখন ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে জড়িত। যেহেতু কোনো ভাবেই ম্যাচ গড়াপেটা বন্ধ করা যাচ্ছে না। সেহেতু আইন করে বেটিং বৈধ করে দেয়া উচিত। এতে করে সরকারের কোষাগারে অনেক টাকা জমা পড়বে ।” (https://bit.ly/2Dtzqds) তারমানে আইপিএল’র অনুকরণে বলতে পারি, বাংলাদেশ সরকারও যতই লোক দেখানো অমুক-তমুক গ্রেফতার করুক, বিটিআরসি অমুক-তমুক বেটিং সাইট বন্ধ করুক, এতে কোন লাভ হবে না, বরং ফ্রাঞ্চাইজির জুয়ার কানেকশনকে লোকচক্ষুর আড়াল করাও সরকারের একটি মহলের উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে মনে হয়। তাছাড়া আমার মনে হয়, আওয়ামীলীগ টানা ৩ টার্ম ক্ষমতায় থেকে আগে থেকে অনেক স্ম্যার্ট হয়েছে, তারা এখন দুর্নীতি করে, কিন্তু কৌশলে করে। জনগণকে দেখায় ক্রিকেট, কিন্তু আড়ালে থাকে টাকা মারার ফন্দি।

নির্বাচনের সময় দেখেছি, আওয়ামী সরকার জনগণকে কি দিয়েছে ? – এটা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে।
কেউ বলেছে ব্লাউজ দিয়েছে, কেউ বলেছে মোবাইল দিয়েছে, কেউবা বলেছে বিউটি পারলার দিয়েছে।
কিন্তু আমি বলবো, আওয়ামী সরকার বিপিএল’র মাধ্যমে ঘরে ঘরে জুয়া দিয়েছে। জনগণকে জুয়াতে জুয়াতে মাতিয়ে দিয়েছে। সাবাস ! আওয়ামীলীগ সাবাস !


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

আড়াই কোটি শিশুকে গণহারে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো কতটা যুক্তিসঙ্গত ?


আমি সম্ভবত ফেসবুকে একমাত্র ব্যক্তি যে শুরু থেকে ফ্রি ভিটামিন ও ফ্রি কৃমি নাশক ওষুধ ক্যাম্পেইনের বিরুদ্ধে বহু আগে থেকে বলে আসছি। হয়ত সেটা কেউ শুনতো, আবার কেউ না শুনতো। আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন, নতুন বছরে ভিটামিন এ ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তা বাতিল হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ওষুধগুলোকে খারাপ বলা হয়নি। বরং ফিল্ডে ওষুধ পৌছে যাওয়ার পর স্থানীয় কর্মীরা ওষুধগুলোকে বাহ্যিক খারাপ অবস্থায় দেখতে পেয়ে তা অনুপযুক্ত বলে ফেরত দেয়। এরপর সেটা কেন্দ্রে আসে এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সে ওষুধ নেড়ে চেড়ে বলে, সেখানে ভারতীয় চক্রান্ত আছে।https://bit.ly/2U8SD9Y)

পাঠক! বিষয়টি খুব ‘হাইস্যকর’। এটা কেবল বাংলাদেশ বলেই সম্ভব হয়েছে। উচিত ছিলো স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাত ঘুড়ে ওষুধ ফিল্ডে যাবে। কিন্তু সেটা ফিল্ড থেকে খারাপ বিবেচিত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাতে এসেছে। তারমানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও তার মন্ত্রনালয় সেটার মান নির্ণয় তো দূরের কথা, চোখ দিয়ে না দেখেই তা ফিল্ডে পৌছে দিয়েছেন, ফিল্ডের লোকজন (যারা ফার্মাসিস্ট বা ডাক্তার নন, সাধারণ কর্মী) সাধারণ চোখ দিয়ে তা খারাপ অবস্থায় দেখে ফেরত দিয়েছেন। তারমানে ফিল্ডের কর্মীরা যদি বিষয়টি না ধরতে পারতেন, তবে এসব মানহীন ওষুধ আমাদের আড়াই কোটি সন্তানের পেটে পৌছে যেতো। বিষয়টি কতটা গুরুতর বা উদ্বেগজনক, এটা যদি বাংলাদেশে না ঘটে অন্য কোন দেশে ঘটতো তবে নিশ্চিত সে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হতো, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ তো খুব সামান্য বিষয়। তাছাড়া বাহ্যিক মান যেখানে নির্ণয় করা হচ্ছে না, সেখানে ওষুধের ভেতরে লুকিয়ে বিষাক্ত কিছু দেয়া হয়েছে কি না, সেটার মান নির্ণয় করবে কে ?

তাছাড়া, ভিটামিন এ ক্যাপসুল সাধারণত খাওয়ানো হয় বয়স্ক মানুষ দিয়ে, তাই তারা বাহ্যিক পরিবর্তন ধরতে পেরেছে, কিন্তু ফ্রি কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হয় ‘ক্ষুদে ডাক্তার’র নামক পদ্ধতিতে, যেখানে ছোট ছোট শিশুকে ডাক্তার বানিয়ে অন্য শিশুদেরকে ঔষধ খাওয়ানো হয়। এক্ষেত্রে যদি ওষুধ নষ্ট হয়, তখন কি ঐ ছোট শিশুগুলো কি তা ধরতে পারতো ?

আরেকটি কথা, এর আগেও এইসব ফ্রি ওষুধ খেয়ে অনেক বাচ্চা অসুস্থ হয়, অনেকে বাচ্চা মারা যায়। তখন সরকারের পক্ষ তা ‘গুজব’ বলে প্রতিবার দায় এড়ানো হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, ওষুধের মান নিয়ে সরকার নিজেই সন্দিহান। কারণ সরকার নিজেই বলছে, ভারতীয় কোম্পানি মামলা করে নিজের অবস্থান ঠিক রেখেছে। তাহলে সন্দেহের বিষয়টি কেন সরকার জনগণের কাছে প্রকাশ করলো না ? কেন লুকিয়ে রাখলো ? এটা তো কয়েক বছর আগের কথা, এবার যদি ফিল্ড পর্যায়ের কর্মীরা বিষয়টি প্রকাশ না করতো, তবে এবারও তো ভারতীয় নিম্নমানের কোম্পানির ঔষধ খাওয়ানো হতো বাচ্চাদের।

একটি কথা অবশ্যই জানা দরকার। কেন বাচ্চাদের ফ্রি ঔষধ খাওয়ানো হচ্ছে ?
আমি জানি, অনেকেই বলবো, রাতকানা রোগ সারাতে।
এখানে কথার কিন্তু গ্যাপ আছে। আসলে রাতকানা রোগ সারাতে নয়, বরং সরকার বিভিন্ন সময় বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ নেয়, সেই ঋণ নেয়ার সময় বিশ্বব্যাংক কিছু শর্ত জুড়ে দেয়। এর মধ্যে একটি শর্ত হলো, দেশের সমস্ত বাচ্চাদের ভিটামিন এ খাওয়াতে হবে (https://bit.ly/2S2BCRk)। বিভিন্ন সময় খবরে আসে, সম্রাজ্যবাদীদের হাতিয়ার বিশ্বব্যাংকের সেই ভয়ঙ্কর শর্ত (!) পালন করতে গিয়ে বাংলাদেশের কৃষি সেক্টর বিপর্যস্ত হয়, পটশিল্প ধ্বংস হয়। তাহলে সেই বিশ্বব্যাংকের সেই শর্ত পালন কি আমাদের শিশুদের জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে না ? (বিদেশী সম্রাজ্যবাদীদের শর্তজুড়ে দেয়া বিভিন্ন ওষুধ ক্যাম্পেইনের পেছনে ষড়যন্ত্র থাকে, যা আমার এ লেখায় বিস্তারিত পাবেন: https://goo.gl/4SxqoR)

পাঠক, আপনি যদি সাধারণ কোন ব্যক্তি হোন, তবে ইংরেজীতে গুগল করুন, ভিটামিন এ ক্যাপসুলের সেফ ডোজ কত ?
উত্তর পাবেন, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪ হাজার আইইউ, আর বড় ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার আইইউ (https://bit.ly/2FIe52x)। এর বেশি নেওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। উল্লেখ্য অনেক ভিটামিন ওয়াটার সলিবল, যা অতিরিক্ত হলে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। কিন্তু ভিটামিন এ ফ্যাট সলিবল, যা শরীরের মধ্যে থেকে যায়, এবং অতিরিক্ত হলে সমস্যা তৈরী করে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ভিটামিন এ ক্যাম্পেইনের নামে বাচ্চাদেরকে যে ভিটামিন এ ক্যাপসুলগুলো খাওয়ানো হচ্ছে সেগুলো দুই ধরনের।
- ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর জন্য ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল যার পরিমাণ ১ লক্ষ আইইউ
- ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর জন্য ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল যার পরিমাণ ২ লক্ষ আইইউ, তা সহ্য মাত্রার থেকে অনেকগুন বেশি। (https://bit.ly/2FQoZ5n)

অতিরিক্ত ভিটামিন হওয়া শরীরের মধ্যে বিষক্রিয়া তৈরী করে যাকে বলে হাইপারভিটামিনোসিস। এই বিষক্রিয়ায় –
১। শিশুদের করোটির হাঁড় অস্বাভাবিক দুর্বল হয়ে যায় ।
২।দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায় ।
৩।হাঁড়ে ব্যাথা হয় ও ফুলে যায় ।
৪।সচেতনায় পরিবর্তন আসে ।
৫।ক্ষুধা কমে যায় ।
৬।মাথা ঝিমঝিম করে ।
৭।ঘুম ঘুম ভাব লেগেই থাকে ।
৮।মাথা ব্যাথা করে ।
৯। হৃদপিণ্ডের কপাটিকা শক্ত হয়ে যায় ।
১০।আক্রান্ত ব্যাক্তি দ্রুত রেগে যায় ।
১১। লিভার নষ্ট হয়ে যায় ।
১২।বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া ।
১৩।দৈহিক ওজন কমে যায় ।
১৪।ত্বক ও চুলের রং পরিবর্তন হয়ে যায় এবং চুল পড়ে যায় ।
১৫।ত্বক ও চুল তেলতেলে হয়ে যায় এবং ত্বক হলদেটে বর্ণ ধারণ করে ।
১৬।স্বতঃস্ফুর্তভাবে হাঁড় চটে যায় ।
১৭।ঠোঁটের কোণে ফাঁটল বা চিড় ধরে ।
১৮। কোমা, মৃত্যু
(https://bit.ly/2R3QgDq)

পাঠক ! যে শিশুটির শরীরে ভিটামিন এ’র অভাব আছে, তাকে না হয় এক-দুই বার ওভার ডোজ দেয়া গেলো, কিন্তু যার শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ আছে, তাকে ওভার ডোজ দিলো তো সমস্যা হবে। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সম্রাজ্যবাদীদের বেধে দেয়া শ্লোগান “বাদ যাবে না একটি শিশু” (https://bit.ly/2R6g9CB), পূরণ করতে আড়াই কোটি শিশুকে গণহারে ওভারডোজ দেয়া হচ্ছে, যা তার দেহে বিষক্রিয়া বা হাইপারভিটামিনোসিস তৈরী করতে পারে। আমরা বাচ্চাটিকে এতকষ্ট করে ওষুধ খাওয়াাচ্ছি সুস্থ সবল প্রজন্ম পাওয়ার জন্য, কিন্তু ৫ বছরে ১০ বার ওভার ডোজের ওষধ খাওয়ানোর ফলে যদি শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার দায় নেবে কে?
কোরবানির ঈদের সময় আমরা দেখি সরকার গরুর মধ্যে অমুক-তমুক অসুখ আছে দাবি করে গরুকে পর্যন্ত টেস্ট করার দাবি তুলে। তাহলে শিশুর শরীরে আদৌ ভিটামিন এ’র চাহিদা আছে কি নাই, সেটা না মেপে শুধুমাত্র ‘থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি’ ট্যাগ লাগিয়ে গণহারে সকল শিশু পূষ্টিহীন বানিয়ে ভিটামিন এ এর ওভারডোজ খাওয়ানো কখণই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তাদের যদি এতই ঔষধ খাওয়াতে ইচ্ছা করে তবে সেভ ডোজের ক্যাপসুল বানাক, এবং ১০টা ক্যাপসুলের ১ পাতা বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিক, তারাই তাদের সন্তানদের মাসে মাসে ১টা করে খাওয়াবে। কিন্তু গণহারে সবাইকে ওভারডোজের ওষুধ খাওয়ানো মেনে নেয় যায় না। আমি যদি সন্দেহ করি, এই ওভারডোজ ঔষধ খাওয়ানোর মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে আফ্রিকানদের মত লুলা-ল্যাংড়া প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলবে, যেন তাদের সম্রাজ্যবাদ দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে সেটা খুব বেশি অমূলক হবে না।

পাঠক ! আপনারা নিশ্চয়ই আমার সাথে একমত হবেন, একজন বাবা-মা তাদের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসে তার সন্তানকে। সেই আদরের সন্তানের মুখে সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া ঔষধকে বিশ্বাস করে তুলে দিচ্ছে, সরকারের উচিত সে বিশ্বাস রাখা। যে ঔষধটি তুলে দিচ্ছে, সেটা সম্পর্কে বাবা-মাকে সম্পূর্ণ অবহিত করা সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পরে। এবং সে ক্ষেত্রে কোন গ্যাপ রাখা উচিত নয়। এবং সে ক্ষেত্রে যদি কোন দায়িত্বহীনতা ঘটে তবে অবশ্যই সেটার জন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সকলের সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়া উচিত।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

পূর্ণিমার ধর্ষণ কি আদৌ ধর্ষণ ? নাকি মিউচ্যুয়াল সেক্স ??



ধর্ষণকে পূজি করে পূর্ণিমা রানী শীল সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে চাইছে, সেই ধর্ষণ কি আদৌ ধর্ষণ ছিলো ? নাকি মুসলমানদের ফাঁসাতে শাহরিয়ার কবিরদের টাকা খেয়ে মিউচ্যুয়াল সেক্স করে তারপর সেটাকে ধর্ষণ বলে চালিয়ে ১১ মুসলমানকে যাবজ্জীবন খাটিয়েছিলো এই পূর্ণিমা। এই মিথ্যাবাদী নারীকে যদি নির্যাতিতা নারী হিসেবে সুযোগ দেয়া হয়, তবে হাজারও নির্যাতিতা নারীকে অপমান করা হবে, জয়ী করা হবে সত্যের উপর মিথ্যাকে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

ইসলাম ধর্ম অবমাননায় দৈনিক প্রথম আলো


“পেছন থেকে স্ত্রী চিৎকার করে বলছে, হারামজাদা তোর আবার বিয়ে করার শখ হইছে সেটা বললেই তো পারিস। হাদিস ছাড়োস কেন? তুই লাগলে চারটা কেন আরও দশটা বিয়ে কর...”......দৈনিক প্রথম আলোতে আজকে গল্পচ্ছলে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করা হয়েছে। এর আগেও আলপিনে ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গ করে পরে ক্ষমা চায় মতিউর রহমান। ধর্মবিদ্বেষী প্রথম আলোর এটা একটা মিশন, মাঝে মাঝে সে ভিন্ন ভিন্ন রূপে তা প্রকাশ করে। গল্পের লেখক ‘ইমদাদ বাবু’ প্রবাসী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে হয়ত ব্যবস্থা নেয়া যাবে না, কিন্তু এর সম্পূর্ণ দায় বর্তায় দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানের উপর। তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
সূত্র: https://bit.ly/2CxAsDx


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

যারা চায় সমাজে নারী-পুরুষ একত্রে চলুক, তারা নারী জাতির খারাপ চায়


এবার নির্বাচনী ইশতেহার তৈরী করতে গিয়ে, ইশতেহার : ‘জেগে ওঠো বাংলাদেশ ২০১৮’ এর ১৬.৮ নম্বরে বলেছিলাম: “নারী নির্যাতন বন্ধ করতে নারীদের জন্য আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং কমপ্লেক্স, যানবাহন, হাসপাতাল, তৈরী করতে হবে। নারীদের জন্য পৃথক প্রতিষ্ঠানে শুধু নারীরা কাজ করবে, ফলে অনেক নারীর নিরাপদ কর্মসংস্থান হবে।” (https://bit.ly/2VW0N7k)
আমি জানি, নারী আর পুরুষকে যখন আমি আলাদা করার কথা বলবো, তখন বৈষম্য শব্দটা তুলবে এক শ্রেণীর লোক। বলবে, “তুমি সমাজে বৈষম্য তৈরী করতে চাচ্ছো।” আচ্ছা, যারা সমাজে নারী-পুরুষ আলাদা করা পছন্দ করে না, তারা কেন ক্রিকেট, ফুটবল, দৌড়, সাতার, কুস্তি প্রতিযোগীতার সময় নারী-পুরুষ একত্র করে না। কেন নারীদের নিয়ে আলাদা প্রতিযোগীতার ব্যবস্থা করে ? এর কারণ, তারা জানে, সরাসরি জয়-পরাজয় দেখা যায়, এমন কোন সিস্টেমে নারী-পুরুষ একত্র করলে নারী-পুরুষের ব্যাপক পার্থক্য দৃশ্যমান হবে, যা “নারী-পুরুষ একত্রে চলতে হবে”, এই তত্ত্বের প্রতি বিরাট বাধা।
আসলে সমাজে নারী-পুরুষ পরষ্পরের প্রতিযোগী নয় বরং সহযোগী। এবং দুইজনকে প্রতিযোগী হিসেবে যারা একত্রে দাড় করিয়ে দেয় তারা নারী জাতির ভালো চায় না, বরং নারী জাতির খারাপ চায়। নারী ও পুরুষকে যদি আলাদা করা যেতো, তবে নারী জাতির আরো অনেক বেশি উন্নতি করা সম্ভব ছিলো। আসুন কিছু হিসেব মিলিয়ে নেই….
১) 'বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো' (ব্যানবেইস) এর জরিপে বলছে, ২০১৮ তে প্রাথমিক শিক্ষায় ছাত্রী সংখ্যা মোট শিক্ষার্থীর ৪৫%, কিন্তু শিক্ষিকা সংখ্যা ২৫%। যদি ছাত্র-ছাত্রী আলাদা করে ছাত্রদের জন্য পুরুষ শিক্ষক ও ছাত্রীদের জন্য মহিলা শিক্ষক নিয়োগ করা হয়, তবে এখানে আরো ২০% শিক্ষিকা নিয়োগ করা সম্ভব।
২) লেবার ফোর্স সার্ভে (এলএফএস) ২০১৬-১৭-এর তথ্যমতে, দেশে মোট ১ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে। কিন্তু এই ১ কোটি ৮৬ লক্ষ নারীর মধ্যে ৬০% নারী যুক্ত হয়েছে কৃষি সেক্টরে। পাঠক, এই ৬০% নারী আসলে কারা ? কৃষিতে ফসলের উপযুক্ত দাম না পাওয়ায়, কৃষক যখন উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে চায়, তখন কৃষক স্বামী তার জমিতে পুরুষ কামলা নিয়োগ না করে নিজের স্ত্রীকে মাঠে নামিয়ে দেন। স্ত্রী স্বামীর খরচ বাচায়। হালের বলদ যে কাজ করে, একজন নারী শত শারীরিক কষ্ট বহন করে সেই কাজ করে। “নারীর কর্মসংস্থান’ বাড়ছে, নারী পুরুষের বৈষম্য হ্রাস পাচ্ছে’ এই কথাগুলো প্রচার করে যারা বিদেশ থেকে কাড়ি কাড়ি পুরষ্কার কামিয়ে আনে, আসলে কত নারীর অমানুষিক কষ্ট সেই কথাটার সাথে জড়িয়ে আছে, সেটা তারা জানে না। কৃষিতে পর্যাপ্ত হিমাগার তৈরী, যান্ত্রিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে যদি কৃষককে ফসলের উপযুক্ত মূল্য এনে দেয়া যায়, তখন অটোমেটিক বাংলাদেশের নারী কর্মসংস্থান অর্ধেক নেমে আসবে।
৩) নারী-পুরুষের একত্রে থাকলে নারী কর্মসংস্থান বৃদ্ধি কখন সমাজের উন্নতি প্রকাশ করে না, বরং অবনতি প্রকাশ করে। বাংলাদেশের কর্মসংস্থানে সবচেয়ে বেশি নারী সংযুক্ত আছে কৃষি (৬০%) এবং পোষাক শিল্পে। এবং উভয় ক্ষেত্রে নারীরা সংযুক্ত হয়েছে স্বল্প শ্রমিক মজুরীর দরুণ। একজন নারী কেন স্বল্প মজুরীর পরও হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করছে ? কারণ স্বামী/বাবার ইনকামে পরিবার চলছে না। কর্পোরেটোক্রেসি অর্থনৈতিক ষড়যন্ত্রে living cost কে এতটা বৃদ্ধি করা হয়, যেন পুরুষের ইনকামে সংসার না চলে, তখন নারী স্বল্পমূলে শ্রম বিক্রি করতে বাধ্য হয়। যদি পরিবারে পুরুষ সঙ্গী উপযুক্ত ইনকাম করতো, তবে একজন নারী কখনই কৃষি বা পোষাক শিল্পের মত কঠিন শ্রমের স্থানে যেতো না।
৫) কৃষিতে নারীর হালচাষ, কিংবা গার্মেন্টসে নারীর হাড়ভাঙ্গা খাটুনিরকে যারা ‘নারী ক্ষমতায়ন’ শব্দযুগল দ্বারা প্রকাশ করে তাদের বলছি, এই শব্দযুগল হচ্ছে ওয়ার্ল্ডের বড় বড় কর্পোরেটদের মুখরোচক শব্দ। গণতন্ত্র নাম দিয়ে যেমন তারা দুই দলকে লাগিয়ে দিয়ে উপর থেকে ক্ষমতা নিয়ন্ত্রন করে, ঠিক তেমনি নারী ক্ষমতায়নের নাম দিয়ে তারা সমাজে নারী ও পুরুষ শ্রমিকের মজুরীর মধ্যে লাগিয়ে মজুরী নিয়ন্ত্রণ করে। নারীর থেকে স্বল্পমূল্যের মজুরীর পাওয়ার কথা বলে পুরুষের মজুরী বাড়াতে দেয় না। এতে আলটিমেটলি স্বল্প শ্রম মজুরী সুযোগ নিয়ে সেই কর্পোরেটরাই লাভবান হয়, নারী কখনও লাভবান হয় না।
৬) শ্রমের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষকে প্রতিযোগী করা যাবে না। বরং নারী-পুরুষ আলাদা সেক্টর করতে হবে। নারীদের জন্য আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, শপিং কমপ্লেক্স, যানবাহন করলে সেখানে একদিকে যেমন প্রচুর পরিমাণে নারী নিয়োগ পাবে, অন্যদিকে পুরুষের সাথে শ্রমের তুলনা না করায় নারীকে অনেক বেশি মজুরী দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, ইহুদীবাদী কর্পোরেটরা চায়, শ্রমের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ দ্বন্দ্ব তৈরী করে স্বল্পশ্রমিকমূল্যের ফায়দা লুটতে, কিন্তু আমরা যদি নারী-পুরুষের সেক্টর আলাদা করে দেই, তবে ইহুদীরা সেই ফায়দা লুটতে পারবে না।
সবচেয়ে বড় কথা, ইহুদীরাবাদীরা নারীকে পুরুষের সাথে কর্মসংস্থানে নামালেও তারা কিন্তু নারী জাতির নিরাপত্তা দিতে পারেনি। পুরুষ শিক্ষকের দ্বারা ছাত্রী নির্যাতন, বসের দ্বারা নারী স্ট্যাফ নির্যাতন, বাসে হেলপারের দ্বারা নারী যাত্রী নির্যাতন, পুরুষ ডাক্তারের দ্বারা নারী রোগী নির্যাতন, এগুলো এখন হরহামেশাই ঘটছে এবং দ্রুত বাড়ছে, কমার কোন লক্ষণ নেই। নারী আর পুরষ সেক্টর আলাদা করে দিলে, একদিকে যেমন নারীদের বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে, অন্যদিকে নারীদের শ্রম মজুরীও অনেক বাড়বে, পাশাপাশি সর্বক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, যেটা নারী-পুরুষ একত্রে করে কখনই সম্ভব নয়।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------