Thursday, June 18, 2020

“ঘরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন”- শ্লোগানটির পেছনে ব্যবসায়ীক ধান্ধা

“ঘরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন”- শ্লোগানটি সুন্দর।
কিন্তু এই সুন্দর শ্লোগানগুলোর পেছনে কারো ব্যবসায়ীক ধান্ধা নেই তো ?
করোনার সময় অনেক সাধারণ ব্যবসায়ীর পতন হলেও সর্বকালের রেকর্ড লাভ ছাড়িয়ে গেছে ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের ব্যবসায়ীদের। এর মধ্যে অন্যতম হলো অনলাইন শপ অ্যামাজনের মালিক জেফ বেজোস। করোনা আতঙ্ক যখন শুধু শুরু হয়, মানে জানুয়ারী থেকে মার্চ, তখনই অ্যামাজনের বিক্রি পূর্বের রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। ৩ মাসে বিক্রি হয় ৭৫ বিলিয়ন ডলার, যা পূর্বের তুলনায় ২৬% বেশি। কোম্পানিটি এই তিন মাসে প্রতি ঘণ্টায় ইনকাম ছিলো ৩৩ মিলিয়ন ডলার। তবে এপ্রিল ও মে মাসে তাদের বিক্রি কতটুকু বেড়েছে সেই হিসেব এখনও পাওয়া যায়নি। একই সাথে অ্যামাজনের শেয়ারের দাম সর্বকালের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যায় এসময়। (https://bit.ly/2zQIiuD, https://cnb.cx/2zSleLR)
এ বিষয়টি নিয়ে দ্য গার্ডিয়ানে ইতিমধ্যে খবরও এসেছে,- করোনাকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আড়াই কোটি লোক বেকার হলেও জেফ বেজোসের মত বিলিয়নিয়ারা হাতিয়ে নেবে ৩০৮ বিলিয়ন ডলার। (https://bit.ly/2LJJQJl)
কথা হচ্ছে, মানুষ যত ঘরে থাকবে, সে তত অনলাইন কেনাকাটায় ঝুকবে,
সেটাই স্বাভাবিক। তাহলে যারা বিশ্বব্যাপী অনলাইনে কেনাবেচায় করে, তারা তো চাইবেই যেন মানুষ ঘরের মধ্যে বন্দি হয়ে থাকে, কারণ মানুষ যত বন্দি থাকবে, তাদের ব্যবসা তত বেশি হবে। এজন্য তারা যদি মিডিয়া, হু বা পরিবশবাদীদের কিছু উপরি দিয়ে বলে, তারা যেন মানুষকে ভয় দেখায় ঘরে বন্দি রাখে, “ঘরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন” শ্লোগান শিখিয়ে দেয় তবে মন্দ কি ? ১০ টাকা ইনভেস্ট করলে ১০০ টাকা লাভ আসবে।
কথা হচ্ছে- করোনা দমনে এখন পর্যন্ত লকডাউন বা সোশ্যাল ডিসটেন্সিং এর কার্যকরীতা প্রমাণিত নয়। বরং তার সাইড ইফেক্ট নিশ্চিত। কোন ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়ার আগে তা ইফিকেসি ও সেফটি পরীক্ষা করে ছাড়া হয়। কিন্তু লকডাউন বা সোশ্যাল ডিসটেন্সিং এর ইফিকেসি ও সেফটি নিশ্চিত না করেই কেন তা জোর করে জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া হলো ? এটা কি এমনি এমনি হয়েছে ? নাকি জেফ বেজোসের দেয়া উপরি টাকার গুনে হয়েছে ???
উল্লেখ্য, করোনার দমনে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং বা লকডাউন জনগণের উপর জোর করে চাপিয়ে দেয়ার মূলে ছিলো ডেমোক্যাটিক ব্লকভূক্ত পরিবেশবাদীরা। আর এই পরিবেশবাদীদের গত ফেব্রুয়ারীতে ১০ বিলিয়ন ডলার দেয় জেফ বেজোস। (https://n.pr/2ZnwXwQ)
বিষয়টি তো খুব স্বাভাবিক। একটি দল অতি-জনদরদি হয়ে আপনাকে স্যোশাল ডিসটেন্সিং শিখাবে, আপনাকে জীবনের ভয় দেখিয়ে ঘরে বন্দি থাকতে বলবে । দোকানপাট ঠিকমত খুলতে দিবে না। প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হলে ৬ ফুট দূরে দাড়াতে বলবে। আপনি বলবেন, এত ঝামেলা করে লাভ কি বাপু? অনলাইনে অর্ডার দিয়ে দেই। ব্যস তাহলেই তাদের লাভ।
২০২৬ সালের মধ্যে নাকি অ্যামাজনের মালিক জেফ বেজোস প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হবে (৮০ লক্ষ কোটি টাকার মালিক)। এরজন্য যদি পৃথিবীর কয়েক কোটি লোককে দুর্ভিক্ষে মরতে হয় কিংবা ২০-৩০ কোটি স্বচ্ছল লোককে ভিক্ষুক হতে হয়, তবে এসব ধনীদের কিছুই আসে যায় না। কারণ সাধারণ মানুষকে এরা মানুষই মনে করে না, ছাগল-ভেড়া মনে করে। তাই কিছু ছাগল-ভেড়া মরলে ক্ষতি কি ??

0 comments:

Post a Comment