Sunday, April 29, 2018

মেয়ে এখন বিয়ে করতে চায় না, নিজের পায়ে দাড়াতে চায়

মেয়ে এখন বিয়ে করতে চায় না, নিজের পায়ে দাড়াতে চায়
খোঁজ নিয়ে দেখবেন, যে মেয়েটি এ জাতীয় কথা বলে,
সে নির্ঘাৎ সমবয়সী কোন ছেলের সাথে প্রেম করে।
‘পড়ালেখা শেষ করবো’, ‘নিজের পায়ে দাড়াবো’ এ টাইপের কথা বলে, তাদের বেশিরভাগ চায় বিয়েটাকে পিছিয়ে দিতে।
কারণ তার সময়বয়সী প্রেমিক ছেলেটা এখনও লেখাপড়া করছে। লেখাপড়া শেষ করে চাকরী নেবে, এরপর চাকুরী পেয়ে ঐ মেয়েটিকে বিয়ে করবে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, তার পছন্দের ছেলেটি যদি তখনই বিয়ে করতে সমর্থ হতো, তবে নিশ্চয়ই ঐ মেয়েটি “নিজের পায়ে দাড়াবো”, ”পড়ালেখা শেষ করবো”- এ টাইপের মুখরোচক বাক্য ঝাড়তো না।
আসলে সৃষ্টিগতভাবে একজন পুরুষ যতটা বিয়ের জন্য আগ্রহী থাকে, একজন নারী তার থেকে বেশি আগ্রহী। কিন্তু স্বভাবগত কারণে পুরুষ তার বিষয়টি যতটা সহজে প্রকাশ করতে পারে, নারী সেটা পারে না।
একটু ভালোভাবে খেয়াল করবেন, বাল্যবিবাহ বন্ধে সরকারীভাবে যেসব বিজ্ঞাপন চালু হয়েছে, তার সবগুলো হলো অভিনয়। বাস্তবিক দৃশ্যে কখনই বাল্যবিয়ে বন্ধ দেখানো হয় না। একটা বিয়ে বন্ধ করার পর ঐ মেয়েটা কতটুকু কষ্ট পায় সেটা ফিল্ডে না গেলে বোঝা সম্ভব না।
বিজ্ঞাপনগুলোতে দেখায়, “একটা মেয়ে বিয়ে বন্ধ করার পর স্কুলের মাঠে গিয়ে দৌড়াচ্ছে, আহ কি আনন্দ!”
বাস্তবিক অর্থে এ ধরনের বিজ্ঞাপনগুলো একদম হাস্যকর। কারণ একজন নারী বিয়ের পর যে বিশেষ আনন্দ উপভোগ করে, সেটা নিশ্চয়ই মাঠে দৌড়ায় পাওয়া যায় না। তাই বিয়ের আনন্দ বাদ দিয়ে কেউ মাঠে দৌড়ের আনন্দ উপভোগ করছে, এটা বিশ্বাস করা যায় না।
এটা ঠিক, একটা মেয়ে অন্যের বাসায় বউ হয়ে গেলে তাকে কিছু সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। এটা ৩০ বছরের মেয়েও বিয়ে করলে হবে, ১২ বছরের মেয়েও বিয়ে করলে হবে। অনেক ক্ষেত্রে ভালোও হতে পারে, এটার সাথে বয়সের কোন সম্পর্ক নাই। বরং আজকাল যারা অধিক বয়সে বিয়ে করে তাদের মধ্যে ডিভোর্সের হার বাড়ছে, যা আগে কম বয়সীদের ক্ষেত্রে দেখা যেতো না।
বিয়ের বয়স বাড়তে থাকলে সমাজে যে সমস্যাটা প্রকট হচ্ছে সেটা হলো নিঃসন্তান দম্পত্তি। কয়েকদিন আগে মাদারীপুর জেলায় এক পাগলীর সন্তান হয়েছিলো। এ খবরে কয়েকশ’ পরিবার সেই বাচ্চাটিকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। এ দ্বারা বোঝা যায়, সমাজে নিঃসন্তান পরিবারের সংখ্যা কিভাবে হু হু করে বাড়ছে, একটা পাগলির জারজ বাচ্চা হইছে, সেটাও নিতেও তারা দ্বিধা করছে না । সন্তানহীনতার পেছনে অবশ্যই দুইটি বিশেষ কারণ থাকতে পারে। বয়স বাড়লে যেমন সন্তান নেয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়। অন্যদিকে কমবয়সে বিয়ে না করে মেয়েরা প্রেম করে বয়ফ্রেন্ডের দ্বারা প্রেগনেন্ট হয়ে পড়ে। তখন অনেকেই গোপনে এবরেশন করায়। একবার অ্যাবরেশন করালে পরবর্তী গর্ভধারণের হার হ্রাস পায়। বর্তমানে বিভিন্ন অলি-গড়ি গড়ে ওঠা কথিত মাতৃসদন বা ক্লিনিকগুলোতে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ্ নারী এবোরেশন করাচ্ছে, যাদের অধিকাংশ অবিবাহিত তরুণী।
আমার কথা হলো- “বাল্যবিয়ে বাধ্যতামূলক নয়, কিন্তু সমাজে বাল্যবিয়ের দরকার আছে। অনেকের বাল্যবিয়ের দরকার হতে পারে “
বিদেশী ইহুদীবাদীদের প্ল্যানে সরকার ও এনজিওগুলো বাল্যবিয়েতে বাধা দিচ্ছে, এটা বাংলাদেশের মানুষকে বুঝতে হবে। বুঝতে হবে- ওরা ভালাকিছু বলে প্রচার করলেই সেটা বিশ্বাস করা যাবে না, ওদের মিষ্টির মধ্যেও বিষ আছে। বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থার সাথে বাল্যবিয়ে ওতঃপ্রতভাবে জড়িত, এটা হাজার বছরের সংস্কৃতি। এই বাল্যবিয়েতে হাত দিলে বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে । দেশে ধর্ষণ, পর্নোগ্রাফী, ইভটিজিং, মানসিক অসুস্থতা, পতিতাবৃত্তি, সন্তানহীনতা, জারজ সন্তান, এবোরেশন, বহুগামিতা, পরকীয়া, ডির্ভোস, সন্তান স্ট্যাবলিশ হওয়ার আগে বাবা-মা মারা যাওয়া এরকম নানান সমস্যা দেখা দিবে, যা আমাদের সমাজকে থাকার অযোগ্য করে তুলবে। বাল্যবিবাহ সমাজ ব্যবস্থার একটা উপাদান। এই উপাদান ধ্বংস করার মানে পুরো সমাজ ব্যবস্থার ভারসাম্য নষ্ট করে, সমাজকে বিশৃঙ্খল করা। তাই অবিলম্বে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন’ বাতিল করা হোক।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

ইসলামের সাথে ইহুদীবাদীদের অন্যতম বিরোধ হচ্ছে ‘সুদ’।

ইসলাম সুদ পছন্দ করে না, আর ইহুদীবাদীরা সুদ পছন্দ করে।
বর্তমানে বিশ্বে চলতেছে ইহুদীবাদী অর্থনীতি। এই অর্থনীতিতে সুদ আছে।
এই অর্থনীতির বিশেষ বৈশিষ্ট্য ধনী কেবল ধনী হবে, আর গরীব আরো গরীব হবে।
আমরা যে কর্পোরেটোক্রেসি নিয়ে আলোচনা করি, সেটা হচ্ছে অর্থনীতিকে কুক্ষীগত করা।
মানে, আপনাকে তারা উৎপাদক হতে দেবে না। ‘সুদ’ ব্যবস্থা দিয়ে সেটাকেই সহজে করা যায়।
যেমন ধরুন, ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে সুদ পাওয়া যায়। তাই কেউ ব্যবসা না করে ব্যাংকে টাকা জমা রাখাটাকেই বেশি ভালো মনে করে। এতে সাধারণ জনগন উৎপাদক হতে পারে না,
অপরদিকে ব্যাংকে টাকা রাখলেও আলটিমেটলি জনগণ উপকৃত হয় না,
কারণ সুদ হচ্ছে ‘টাকায় টাকা’ মানে একটা অনুৎপাদনশীল সিস্টেম, এতে মূল্যস্ফিতি হয়।
যেমন, ধরুন, কেউ ব্যাংকে ১০০ টাকা রাখলো, সেটা ১ বছর পর সুদ আসলে ১১৫ টাকা হইলো।
কিন্তু যে পন্যটার দাম ১০০ টাকা ছিলো, সেটা ১ বছর পর বেড়ে ১১৫ টাকা হয়ে গেছে।
তারমানে ব্যাংকে টাকা রেখে সুদে টাকা বৃদ্ধি করে আলটিমেটলি কোন উপকার হচ্ছে না,
বরং জনগণের ক্ষতি হচ্ছে। মাঝখান দিয়ে বড় বড় কর্পোরেটরা জনগণের টাকা নিয়ে ইচ্ছেমত ব্যবহার করছে, আর ব্যবসায় প্রতিন্দ্বন্দ্বী না থাকায় মনোপলি ব্যবসা করে জনগণকে লুটেপুটে খাচ্ছে। আর এটাই হচ্ছে কর্পোরেটোক্রেসি।
ইসলামী ব্যবস্থায় মানুষকে ঋণ দেয়া হবে, এবং ঋণের সাথে পলিসি ও পুরো কাজ তদারকী করতে ব্যাংকের লোক থাকবে। লাভ হলে লাভ নেবে এবং লস হলে লস নেবে। যদি দুর্নীতি না হয়, তবে ৯৫% কাজে সফল হওয়া যায়, তাই কোন কোন সেক্টরে লস হলেও গড়পড়তা ঋণ দিয়ে লাভই হয়। তাই সুদহীন ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আসলে কোন ক্ষতি নাই।
সুদ বাদ দিলে প্রথম যে সুবিধাটা হবে মানুষের দ্রব্যমূল্য স্থির হবে, মূল্যস্ফিতি হবে না।
এরপর জনগণের মধ্যে উৎপাদন খাত বাড়িয়ে দিলে জীবনব্যয় অনেক হ্রাস পাবে। দেখা যাবে, আগে যে লোকটা মাসে খাবার খরচ লাগতো ৪ হাজার টাকা, এখন একই খাবার খেতে লাগছে ২ হাজার টাকা।
হযরত উমরের সিস্টেমে যদি আদমশুমারী করে দেশে উৎপাদনশীল খাত বৃদ্ধি করা যায়, তবে দেশে বেকারত্ব সমস্যা তো দূর হবেই, সাথে বিদেশে যে প্রবাসী লোক গেছে তাদের ফেরত নিয়ে আসতে হবে। কারণ দেশেই তখন অনেক শ্রমিক লাগবে। জনসংখ্যাকে তখন বোঝা নয়, বরং সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। প্রত্যেকের অধিক সন্তান হোক, এটাই চাওয়া হবে। কারণ যত জনসংখ্যা তত শক্তিশালী হওয়া যাবে। হযরত উমরের সিস্টেমে যদি শহর ডিন্ট্রোলাইজ করে দেয়া যায়, তবে ঢাকায় জীবনযাত্রার ব্যয় বিশেষ করে বাড়িভাড়া ও গাড়িভাড়া কমে যাবে এবং প্রত্যেক জেলা শহরে ঢাকার মত উন্নত জীবনযাত্রা পাওয়া যাবে।
সুদ সিস্টেমে গরীবের থেকে ধনীর কাছে টাকা আসে, কিন্তু ইসলামী জাকাত সিস্টেমে ধনীর থেকে গরীবের কাছে টাকা যায়। ফলে দারিদ্রতা হ্রাস পায়। প্রাথমিক যুগে ইসলামী অর্থনীতি দ্বারা মানুষ এতটাই সমৃদ্ধশালী হয়ে পড়েছিলো যে, তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমানের যুগে জাকাত নেয়ার মত আর লোক খুজে পাওয়া যেতো না। আজকাল ইহুদীবাদী এনজিওগুলো দারিদ্রবিমচন কর্মসূচির নামে উচ্চসুদে ঋণ দেয়। তাদের মূল উদ্দেশ্য দারিদ্র বিমোচন নয়, বরং দরিদ্রজনগোষ্ঠীকে সুদের মাধ্যমে চুষে খেয়ে নিঃশেষ করা।
এরপর রয়ে গেছে, দেশের খনিজ তথা প্রাকৃতিক নিচে সম্পদ। আমাদের দেশে এখন কত প্রাকৃতিক আরহণ হচ্ছে তার কোন হিসেব নেই। এগুলো কিন্তু জনগণের সম্পদ। মাটির নিচ থেকে যত সম্পদ উঠবে তার ভাগ কিন্তু জনগণ পাবে। যেমন, মাটির নিচ থেকে কোন সম্পদ পাওয়া গেলো, সেটা জনগণের বিভিন্ন চাহিদার জন্য ব্যয় হবে। মাটির নিচ থেকে যত সম্পদ পাওয়া যাবে, সেটা দিয়ে মানুষের বিভিন্ন মৌলিক জীবন চাহিদা যেমন: শিক্ষা, চিকিৎসা, জ্বালানি ইত্যাদির খরচ হ্রাস করতে করতে ফ্রি করে দেয়া হবে।
ইসলামী শাসন ব্যবস্থা ও ইহুদীবাদী শাসন ব্যবস্থার মৌলিক পার্থক্যগুলো আবার লক্ষ্য করুন-
১) উৎপাদনশীল ব্যবস্থা কুক্ষিগত করা হবে না, বরং জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া হবে।
২) সুদ না থাকায় এবং উৎপাদনশীল ব্যবস্থা ছড়িয়ে দেয়ায় জীবন নির্বাহ ব্যয় অনেক কমে যাবে।
৩) জাকাতের কারণে দারিদ্রতা হ্রাস পাবে।
৪) প্রাকৃতিক বা খনিজ সম্পদ সরাসরি জনকল্যাণে ব্যয় হওয়ায় জনগণ সরাসরি তা থেকে উপকৃত হবে।
আমি আপনাদের প্রায় বলি, মানুষের অধিকার যদি সত্যিই প্রতিষ্ঠা করতে চান, তবে সব অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সাথে ইসলামী নিয়ম কানুনগ্রুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করুন। একেবারে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে যদি দেখেন, তবে দেখবেন- ইসলামী নিয়মগুলো হচ্ছে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার নীতি। তাই জনগণের অর্থনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে মুসলমান ছাড়াও ইহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধদেরও এ সিস্টেম গ্রহণ করা উচিত।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

জীবনের মূল্যবান সময়টাকে কেন অপচয় করেন ?

একটা মানুষ বাচে কত দিন ?
৫০, ৬০, ৭০ ?
পড়ালেখা করতে চলে যায় ২৫-২৬ বছর,
চাকুরী পেতে চলে যায় ৩০ বছর
বিয়ের টাকা জমাতে চলে যায় ৩৫ বছর ।
এরপর বিয়ে, ঘরসংসার, বাচ্চা-কাচ্চা হওয়া।
অথচ একটা পুরুষ বয়ঃপ্রাপ্ত হয় ১৫ বছর,
২০ বছর তাকে শারীরিক চাহিদা পুষে রাখতে হয়।
স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে হাবিজাবি পড়িয়ে ২৫-২৬ বছর পার করে ।
কেউ কি বলতে পারবেন, কর্মক্ষেত্রে শিক্ষা জীবনের কতটি বিষয় কাজে লাগে ?
এত এত পরীক্ষা, এ্যাসাইন্টমেন্ট, ল্যাব, কিন্তু বাস্তব জীবনে এগুলো কতটুকু দরকার লাগে ?
আর যদি দরকারই না লাগে, তবে এত গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো অপচয় কেন ?
মানুষের জীবন তো একটাই, তাই না ?
এই যে অযথাই মানুষের সময়গুলো অপচয় করা হচ্ছে,
পড়ালেখার সিস্টেমটা কি আরো শর্ট করে আনা যায় না ?
১৮-২০ বছরে জরুরী পড়ালেখা শেষ, চাকুরী পাবে ২২ বছরে, সবগুছিয়ে বিয়ে করবে ২৫ বছরে।
আর যার সামর্থ আছে, সে সুযোগ পেলেই বিয়ে করে ফেলবে।
বিয়ের ব্যাপারটা গুরুত্ব দিচ্ছি, কারণ শিক্ষাক্ষেত্রে দেখে এসেছি সবাইকে।
পোলাপাইন শারীরিক কষ্টে একেকটা মানসিক রোগি হয়ে গেছে।
সারা দিন এসব আলোচনা, হাই হুতাশ। অনেকে তো সেই খেয়ালে পড়ালেখা মনযোগ দিতে পারে না।
হুশ হারিয়ে ফেলে।
এই আজকাল মোটিভেশনাল স্পিচ এত মার্কেট পেয়েছে তার কারণ কি ?
সত্য হলো অধিকাংশ পোলাপাইন সেক্সুয়াল ফ্রাস্টেটেড, আর কিছু না।
কিছু একটা উল্টাপাল্টা করতে গিয়ে পড়ালেখায় মনযোগ হারাইছে।
মনযোগ আনতে এখন মোটিভেশনাল স্পিচ নিচ্ছে।
আগে গ্রাম দেশে একটা কথা প্রচলিত ছিলো,
“বাদাইম্মা পোলারে বিয়া দাও, দেখবে সব ঠিক হইয়া যাইবো”।
দেখা যায়, সমাজ সংসারে মনোযোগ নাই, কিন্তু বিয়ের পর সংসার বাচ্চা নিয়ে বেশ দায়িত্বশীল হয়ে উঠেছে ছেলে-মেয়েটি।
আমার মনে হয়, যদি শিক্ষাব্যবস্থায় এমন পরিবর্তন আনা যায়,
মূল শিক্ষাটা আরো সংক্ষিপ্ত সময় লাগবে, প্রফেশনাল ক্ষেত্রে আরো কম বয়সে ঢুকতে পারবে।
একইসাথে বিয়ে সুবিধামত করতে পারবে, কোন ধরাবাধা থাকবে না,
তবে পুরো সমাজ ব্যবস্থায় আরো অনেক গতিশীলতা আনা সম্ভব।
আমি আবারও বলছি, বর্তমানে যে সমাজ ব্যবস্থা চালু আছে, তাতে শুধু কর্পোরেটদের স্বার্থই আদায় হবে, কিন্তু মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হবে না।
তাই যদি পুরো সমাজ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে চান, তবে নতুন করে চিন্তা করুন।
নিরপেক্ষ তরুণ সমাজকেই চিন্তা করতে হবে, আগামী সমাজ ব্যবস্থা কেমন হবে ?

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার কথাটা শুনতে সুন্দর শোনা গেলেও এর ভেতরে একটা গোমর আছে।

ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার
কথাটা শুনতে সুন্দর শোনা গেলেও এর ভেতরে একটা গোমর আছে।
ধর্ম যার যার, অর্থাৎ ধর্ম পারসোনাল ম্যাটার। মানে তুমি ধর্ম পালন করো সেটা ঘরের ভেতরে, যত খুশি সেখানে ধর্ম পালন করো, যতভাবে ইচ্ছা ততভাবে পালন করো। কিন্তু ধর্মের কোন কথা তুমি ঘরের বাইরে কিছুতেই আনতে পারবা না।
অপর শ্লোগানটি হচ্ছে- রাষ্ট্র সবার।
মানে রাষ্ট্র হবে সেক্যুলার। সেখানে ধর্মের কোন স্থান নাই, সেটা হবে নাস্তিকতা, অথবা সম্রাজ্যবাদীরা সেক্যুলারিজমের নামে তাদের কোন কৃষ্টি কালচারও যদি আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়, তবে সেটাই মেনে নিতে হবে।
‘ধর্ম যার যার’ বলে ইসলাম ধর্মকে সমাজ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে ‘রাষ্ট্র সবার’ বলে তাদের বানানো একটা সিস্টেমকে সামাজিককরণ করা হচ্ছে।
মেনে নিলাম। তাদের শ্লোগান।
আচ্ছা, বাংলাদেশের এখন মূল মূল সমস্যা কি ?
দুর্নীতি, সুদ, ঘুষ, ধর্ষন, দারিদ্রতা, বেকারত্ব, মাদক, সন্ত্রাস।
আচ্ছা, তারা যে সিস্টেম দাড় করিয়েছে, সেটা কি এসব সমস্যার সমাধান করতে পারছে ?
গত ৪৭ বছর তো তারা এই শ্লোগান দিয়েছে, এরপরও কি এ সমস্যাগুলো দূর করতে পেরেছে?
হয়ত কিছু আইন করেছেন, কিন্তু এ সব কথিত আইন কি এসব সামাজিক সমস্যার দমন বা হ্রাস করতে পেরেছে ?
পারেনি। এবং কখনও পারবেও না। কারণ তাদের বানানো কথিত সেক্যুলার সিস্টেম আর যাই পারুক, সবকিছুর সমাধান দিতে পারে না।
যারা ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার বলে শ্লোগান দেয়-
আমি তাদের বলবো-
৪৭ বছর তো এই শ্লোগান দিলেন- ধর্মকে ঘরের ভেতর ভরে, আপনাদের কথিত সিস্টেম নিয়ে নাড়াচাড়া করলেন। কিন্তু সমাধান তো দিতে পারলেন না। এবার না হয় সামান্য সময়ের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ‘ধর্মকে ঘর থেকে বের করে সামাজিক করুন। ধর্ম দিয়ে এসব সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করুন। দেখুন সমস্যার সমাধান হয় কি না ?
দেখুন-
ধর্ম দিয়ে ঘুষ-দুর্নীতি দমন হয় কি না ? (দুদকের গেটে একবার দেখেছিলাম ধর্মীয় আয়াত লেখা)
ধর্ম দিয়ে ধর্ষন দূর হয় কি না ? (ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ধর্মে আগে থেকেই ছিলো)
ধর্ম দিয়ে বেকারত্ব দূর হয় কি না ?
ধর্ম দিয়ে দারিদ্রতা দূর হয় কি না ?
ধর্ম দিয়ে সন্ত্রাস দূর হয় কি না ?
ধর্ম দিয়ে মাদক সমস্যা দূর হয় কি না ?
আমি নিশ্চিত, ওরা ৪৭ বছর চেষ্টা করে যে সমাধান পায়নি তা সামান্য সময় চেষ্টা করলেই ধর্ম দিয়ে দেখিয়ে দেয়া সম্ভব। সুতরাং ইসলাম ধর্মকে ঘরের গোপন প্রকষ্ঠ থেকে সমাজে টেনে আনুন, দেখবেন, এক নিমিষেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
(বি:দ্র: আমেরিকা মানুষের মধ্যে ইসলামফোবিয়া তৈরী করতে নিজেরাই বিভিন্ন ফেইক ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র তৈরী করেছে এবং তার মাধ্যম দিয়ে সমাজে ইসলাম ধর্মের প্রয়োগের ভীতি তৈরী করেছে, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণদিত ও মিথ্যা। সুতরাং মার্কিন যোগসূত্রে তৈরী হওয়া সে সব ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের দলিল এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হবে না।)

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

ভাই এটা জাতিসংঘ বলছে, এটাতে ভুল থাকতে পারে না। এ ধরনের চিন্তাধারা থেকে আমাদের সরে আসা উচিত

ভাই এটা জাতিসংঘ বলছে, এটাতে ভুল থাকতে পারে না
ভাই এটা বিশ্বব্যাংক করতে বলছে, এটা করলে আমাদের ভালো হবে
ভাই এটা আমেরিকার বিজ্ঞানীরা টেস্ট করছে, এটায় ভুল থাকতে পারে না।
এই স্বীকৃতি জাতিসংঘের ইউনেস্কো দিছে, তাই এটা মহামূল্যবান
আমার মনে হয়, এ ধরনের চিন্তাধারা থেকে আমাদের সরে আসা উচিত। কারণ:
যে জাতিসংঘ বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের মেরে ইহুদীবাদীদের স্বার্থ রক্ষা করছে,
যে বিশ্বব্যাংক অর্থনৈতিক ঘাতক হয়ে বিভিন্ন দেশ লুটে খাচ্ছে,
যে আমেরিকা দেশে দেশে মুসলমান মারতেছে,
তারা যখন আপনাকে উপর দিয়ে ভালো কিছু বলছে, ভালো কিছু দিচ্ছে,
তখন তো ধরে নেয়া উচিত নিশ্চয়ই তার ভালোর মধ্যে খারাপ আছে। কি ‘খারাপ’ আছে, এটা আমি এখন ধরতে পারছি না, কারণ আমার হয়ত সে প্রযুক্তি নেই, কিংবা আমার সে বিষয়ে গবেষণা এত উন্নত নয়। কিন্তু এরা আমাকে ভালো জিনিস দিলেও নিশ্চয়ই তার ভেতর এমন কিছু খারাপ লুকিয়ে আছে, যেটা আমি এখন বুঝতে পারতেছি না, হয়ত ৩০-৪০ বছর পর গিয়ে বুঝতে পারবো।
বাংলাদেশে ৮০-এর দশকের শেষের দিকে ‘বিশ্ব ব্যাংক’ বাংলাদেশ সরকারকে চাপ প্রয়োগ করে কৃষিক্ষেত হতে ‘ব্যাঙ’ ধরে দেয়ার জন্য। সেই সময় কৃষিক্ষেত হতে কোটি কোটি ব্যাঙ ধরা হয়। কিছু দিন পর দেখা যায়, ধানক্ষেতে পোকার আক্রমণ মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং হাজার হাজার ধানক্ষেত পোকার আক্রমনে ধানশূন্য হয়ে পড়ে। এমতাবস্হায় বিশ্বব্যাংক পরামর্শ দেয় উন্নত সার ও কীটনাশক জমিতে ব্যবহার করতে। বিদেশী কোম্পানিগুলো তখন বাংলাদেশে সার ও কীটনাশক বিক্রি সুযোগ পায়। বিশ্ব ব্যাংক তখন অতিরিক্ত শর্তসাপেক্ষে ঋণ দেয় এবং বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন করে। অর্থাৎ একদিকে পরিবেশ বান্ধব ব্যাঙ কিনে নিলো। আমরা ভাবলাম- আহারে ওরা কত ভালো, জমিতে বিনামূল্যে পাওয়া ব্যাঙগুলো কোটি টাকা দিয়ে কিনে নিলো। কিন্তু পোকা খেকো ব্যাঙ ধরে আমরা নিজেদের যে কি ক্ষতি করলাম, তা আমরা বুঝতে পারি নাই। যার ফল অবশ্য অন্যদিক দিয়ে দিতে হলো, হাজার কোটি টাকার সার ও কীটনাশক কিনতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে ওদের থেকে।
ইহুদীসংঘ তথা জাতিসংঘ প্রায় পরিবেশ বিপর্যয়, দুর্যোগ ইত্যাদি শ্লোগান তুলে। বাংলাদেশ মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে, তাই বনায়ন চাই। কত সুন্দর সুন্দর তাদের কথা। শুনতেই ভালো লাগে। কিন্তু তাদের এসব সুন্দর কথার আড়ালে কত কিছু লুকিয়ে আছে, তা কি আমাদের জানা ?
১৯৭০ সালের মাঝামাঝি সময়ে জাতিসংঘের UNDP-এর মাধ্যমে কিছু বিদেশী প্রজাতির গাছ বাংলাদেশে আসে। এরপর এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক, বিশ্ব ব্যাংক এবং ইউএসএইড এর অর্থায়নে উপজেলা পর্যায়ের “সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি”এবং সরকারের বন বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে গাছগুলো ছড়িয়ে দেয়া হয়। এ গাছগুলো মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছড়ানো হয় ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি নামক দুটি গাছ। ইতিমধ্যে লক্ষ লক্ষ ইউক্যালিপটাস ও আশাকমনি উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন এনজিও সরকারের বানায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে। কৃষকের থেকে মোটা দামে গাছগুলো কিনে নেয়ায় কৃষকও আগ্রহী হচ্ছে এ গাছ লাগনোয়। আমাদের শোনানো হচ্ছে, গাছ লাগানোর মাধ্যমে পরিবেশ ভালো থাকবে। কিন্তু সব গাছ কি পরিবেশ বান্ধব ? বানয়নের নামে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছে লাগানোয় আসলেই কি পরিবেশের উন্নতি হচ্ছে ?
দেখা গেছে, এই দুইটি গাছে উপকারের থেকে অপকার অনেক বেশি। বিশেষ করে:
১) এ গাছগুলো মাাটির পানি দ্রুত শোষণ করে। একটি পূর্ণ বয়স্ক ইউক্যালিপটাস গাছ দৈনিক ৯০ লিটার পানি শোষণ করে, ফলে মাটি শুষ্কতা তৈরী হয়। বর্তমানে উত্তরাঞ্চলে যে মরুভূমি পরিবেশ তৈরী হয়েছে তার পেছনে একটি কারণ মনে করা হয় এসব ক্ষতিকারক গাছের বনায়নকে। আমি আপনাদেরকে আগেই বলেছিলাম, ইহুদীবাদীরা বাংলাদেশে পানির সংকট তৈরী করে পানিযুদ্ধ তৈরী করবে। এর একটি অংশ হিসেবে ৭০-৮০ দশক থেকে এই ক্ষতিকারক গাছের বনায়ন হতে পারে।
২) এই গাছগুলো রেনু নিঃস্বাসের সাথে গেলে এ্যালার্জি ও অ্যাজমা জাতীয় রোগের তৈরী হয়। ফলে সম্রাজ্যবাদীরা তাদের ওষুধ ‍বিক্রির নতুন মওকা পায়।
৩) এ গাছের চারপাশে অন্য কোন গাছ জন্মাতে পারে না।
৪) ইউক্যালিপটাস গাছে প্রচুর তেল থাকে, এটা দাবানল সহায়ক। অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি বছর যে দাবানল তৈরী হয়, তার পেছনে এই ইউক্যালিপটাস গাছ দায়ী। বাংলাদেশে এ গাছ দিয়ে বনায়ন করলে বাংলাদেশেও খুব শিঘ্রই দাবানল নামক পরিবেশ দূর্যোগ দেখা দিতে পারে।
৫) ইউক্যালিপটাস গাছ প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করে, ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
ক্ষতির কথা বিবেচনা করে সরকার ২০০৮ সালে ইউক্যালিপটাস গাছের চারা উৎপাদন নিষিদ্ধ করে। কিন্তু এখনও সরকারিভাবে গাছ উচ্চমূল্যে কিনে নেয়ায় কৃষক তার চাষ বন্ধ করছে না। উপরন্তু বিদেশী অর্থপ্রাপ্ত এনজিওগুলো বিভিন্ন জেলায় বনায়নের নামে এসব গাছ লাগানো অব্যাহত রেখেছে।
এতো গেলো ব্যাঙ আর গাছ নিয়ে ষড়যন্ত্র। এখন বাংলাদেশে প্রযুক্তির নাম দিয়ে জিএমও খাদ্য যেমন গোল্ডেন রাইস নিয়ে আসা হচ্ছে, পেছনে আছে জাতিসংঘ, ইউএসএইড, বিশ্বব্যাংকের মত সম্রাজ্যবাদী সংস্থাগুলো। আমি নিশ্চিত, বিষয়গুলো এখন বোঝা যাচ্ছে না, কিন্তু ১০-২০ বছর পর এর ক্ষতি নিয়ে সবাইকে কপাল চাপড়াতে হবে।
তথ্যসূত্র:
৪) পরিবেশের রাজনীতি, ড. মাহবুবা নাসরীন

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, April 25, 2018

‘গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এনজিও “গ্লোবাল সামিট ফর উইমেন” শেখ হাসিনাকে এ পুরষ্কার দিচ্ছে।

ইহুদীসংঘ তথা জাতিসংঘের দেয়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৫ম পয়েন্ট ‘লিঙ্গ সমতা’ বা ‘নারীদের ঘরের বাইরে বের করে আনা’ নামক দাবিদাওয়া আমেরিকার চাহিদামাফিক করতে পারায় শেখ হাসিনাকে এ পুরষ্কার দিচ্ছে আমেরিকান এনজিওটি। (https://bit.ly/2Jm6zrR)

তবে, শেখ হাসিনাকে এই পুরষ্কার দেয়ার আরেকটি কারণ থাকতে পারে-

আপনাদের মনে থাকার কথা, কোটা আন্দোলনের সময় আমি বলছিলাম- কোটার ভেতর দুই ধরনের কোটা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র চাহিদা। একটি ‘নারী কোটা’, অপরটি ‘উপজাতি কোটা’। তখন কেউ বিষয়টা বুঝছে, কেউ বুঝে নাই। শেখ হাসিনা যেহেতু সবকোটা (নারী কোটাসহ) বাতিল করছে, তাই তাকে এখন মার্কিন সংস্থাটি পুরষ্কার দিয়ে তাকে স্মরণ করিয়ে দিলো, “আপনাকে উইমেন্স লিডারশিপের জন্য পুরস্কার দিলাম, ভুলেও নারী কোটা বাতিল কইরেন না, তাহলে কিন্তু পরে বিতর্কিত হবেন।”

অনেকে হয়ত বলতে পারেন, “দাদা! নারীকে ঘরের বাইরে বের করে আনলে সমস্যা কি ? আপনি কি নারীজাতির অগ্রযাত্রার বিরোধী, আপনি কি কুপমণ্ডুক, মৌলবাদী”।

না আমি কোনটাই নই। আমি নারীর অগ্রযাত্রার বিরোধী নই, নারীজাতি লেখাপড়া করুক, জাতি গঠনে ভূমিকা পালন করুক, এটাই আমি চাই। তবে “কেউ ভুল বুঝিয়ে নারী জাতিকে ইহুদীবাদীদের কর্পোরেট স্বার্থে ব্যবহৃত করুক” আমি তার ঘোর বিরোধী।

হয়ত বলতে পারেন: নারী আবার কার স্বার্থে ব্যবহার হয় ?

যারা এ ধরনের প্রশ্ন করবেন, তারা সম্ভবত আমার পেইজে নতুন এসেছেন, আমার আগের লেখাগুলো পড়েননি। আমি তাদের অনুরোধ করবো দয়া করে আমার এ দুটো লেখা আগে পড়ে আসুন-

ক) নারীবাদ সিআইএ’র প্রজেক্ট : https://bit.ly/2uP0hx3

খ) কর্পোরেটক্রেসি এবং প্রধানমন্ত্রীর উইম্যান এমপাওয়ারমেন্ট: https://bit.ly/2qXn5aV

আসলে ইহুদীবাদী কর্পোরেটরা কি চায় এটা আমাদের আগে বুঝতে হবে। বাংলাদেশে কোন মহিলা শিক্ষিত হলো, কোন মহিলার বাল্যবিবাহ হলো, কোন মহিলা ঘরের বাইরে চাকুরী নিলো, এটা নিয়ে কেন ওদের এত মাথা ব্যথা, কেন এগুলো বিরুদ্ধে ওদের লম্ফঝম্ফ, কেন সেগুলো রুখতে ওদের এত পুরষ্কার দেয়া- এটা আগে আমাদের বুঝতে হবে। নিশ্চয় ওরা এমনি এমনি এসব করছে না। ওদের এসব করার পেছনে কোন না কোন স্বার্থ আছে। স্বার্থটা আমাদের আগে বুঝতে হবে।

মূলত: কর্পোরেট চায় সস্তায় শ্রম। পুরুষের তুলনায় নারীর শ্রমের মূল্য কম এবং পুরুষের তুলনায় নারী তার কাজে মনোযোগী বেশি। বাংলাদেশে খুব শিঘ্রই বিদেশী কর্পোরেটরা বিভিন্ন কলকারখানা বানাবে (অর্থনৈতিক জোন তৈরী হওয়া, ফ্লাইওভার-এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বানানো, দেশে বড় বড় ফাইভ স্টার হোটেল তৈরী হওয়া, বড় বড় বিদ্যুৎ প্রজেক্ট তৈরী হওয়া তার লক্ষণ- কর্পোরেটোক্রেসি নিয়ে আমার আগের লেখাগুলো পড়ে আসুন) । তো এইসব কলকারখানা তৈরী হলে কর্পোরেটদের অনেক সস্তায় শ্রমিক দরকার হবে। কিন্তু মহিলারা যদি বিয়ে করে ঘরসংসার করে, সন্তান দেখাশোনা করে, তবে ওদের সস্তায় শ্রমিক দেবে কে ? এইজন্য মিথ্যা তালবাহানা করে, নারী শিক্ষা, বাল্যবিয়ে বন্ধ, জেন্ডার সমতা ইত্যাদি নানান মুখরোচক কথা বলে তারা নারীদের ঘরসংসার, বিয়ে-সন্তান আটকে রাখে, নারীদের ক্ষমতায়নের কথা বলে ঘরের বাইরে বের করে নিয়ে আসে। নয়ত এত সস্তায় শ্রম পাবে কিভাবে ? (শুধু গার্মেন্টস শিল্পের দিকে তাকান, বাংলাদেশের নারীরা সস্তায় শ্রম দেয় বলে পশ্চিমা কর্পোরেটরা সস্তায় কাপড় বানায়)।

আমি একটা কথা আগেও বলেছি, এখনও বলছি। বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থার সাথে কর্পোরেটোক্রেসি আক্রান্ত সমাজ ব্যবস্থা মিলবে না। তাই বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে কর্পোরেটোক্রেসি পুশ করতে হবে। বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় বাবা ইনকাম করে, আর মা ঘরে সন্তানদের দেখাশোনা করে ও মূল্যবোধ শিক্ষা দেয়। কিন্তু কর্পোরেটোক্রেসি আক্রান্ত সমাজ ব্যবস্থায় বাবা-মা বাইরে ইনকাম করে, সন্তান কাজের মানুষের কাছে বা ডে কেয়ার সেন্টারে লালিত হয়। যদি বাবা-মা দুইজনকেই ঘরের বাইরে আনা যায়, তবে বাংলাদেশের সামাজিক সিস্টেম ভেঙ্গে যাবে। সামাজিক সিস্টেম ভেঙ্গে গেলে সামাজিক মূল্যবোধও ভেঙ্গে যাবে। এতে দুটো উপকার হবে। প্রথমত, সবাই তাদের চিরকালীন দাসে পরিণত হবে, দ্বিতীয়ত, মূল্যবোধ ভেঙ্গে গেলে বাংলাদেশে কোন নাগরিক আর কখনই তাদের ইহুদীবাদী সিস্টেমের বিরুদ্ধে রিভোল্ট করতে পারবে না।

মনে রাখবেন বর্তমানে পৃথিবীতে ই্হুদীদের জনসংখ্যা সবচেয়ে কম এবং সেই কম জনসংখ্যা দিয়েই বিশ্বশাসন করছে। এই শাসন কিন্তু তারা অস্ত্র দিয়ে করছে না, করছে বু্দ্ধি দিয়ে। তাদের কূটকৌশলের বুদ্ধি তারা ঢুকিয়ে দিয়েছে আমাদের মনের ভেতর। আমারা নিজেরাও বুঝতেছি না, আমার ভালো মনে করে যা করছি, আসলে সেগুলো তাদেরই স্বার্থ।

আমি জানি, ইহুদীবাদীদের অনেকেই দেখতে পারে না, মুখে মুখে তাদের বিরুদ্ধে বলে। আমি তাদের বলবো, যদি সত্যি ইহুদীবাদীদের বিরোধীতা করতে চান, তবে ওদের পলিসির বিরোধীতা করুন, মন থেকে ওদের ইহুদীবাদী সফটওয়্যার মুছে ফেলে, নিজস্ব সফটওয়্যার সেট করুন। আপনি যদি ওদের পলিসিগুলো মন থেকে সরিয়ে দিতে পারেন, তবে এটাই হবে ওদের সবচেয়ে বড় পতন। সুতরাং যুদ্ধটা আগে নিজের সাথে।

কর্পোরেটোক্রেসি নিয়ে আমার অন্যান্য লেখা:

১) বাংলাদেশে কর্পোটেক্রেসি ও জন পার্কিন্সের লেখা এক অর্থনৈতিক ঘাতকের স্বীকারক্তি : https://bit.ly/2DvaQHK

২) কর্পোরেটোক্রেসি, উৎপাদক ও কৃষি : https://bit.ly/2vM5h7w

৩) কৃষিতে কর্পোরেটোক্রেসি ও জিএমও ফুড : https://bit.ly/2vIEtVM

৪) কর্পোরেটোক্রেসি : অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে বিদেশীদের কাছে : https://bit.ly/2JrVDch

৫) কর্পোরেটোক্রেসি ও ক্রিকেটারের ইনকাম : https://bit.ly/2HQFVdG

৬) আমেরিকায় কর্পোরেটোক্রেসি : https://bit.ly/2HNV4wc

৭) কর্পোটেক্রেসির বাস্তবতা : ব্রাজিল - https://goo.gl/NqUG6r

৮) দেশে ফ্লাইওভার সেতুর উন্নয়ন হবে, কিন্তু জনগণ খেতে পারবে না, এটাই কর্পোটেক্রেসি: https://goo.gl/wzixWj

৯) বাংলাদেশে কথিত উন্নয়ন হয় কার স্বার্থে : কর্পোরেটোক্রেসি- https://goo.gl/b6prVg

১০) কর্পোরেটোক্রেসি : কোটা, প্রশ্নফাঁস, মেধাবী ও ব্রেইন ড্রেইন : https://goo.gl/ydnRvg


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

সরকার সাধারণ জনগণের টাকা বিদেশী কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেয়, মাঝ থেকে সে কমিশন পায়।

সরকার যেটা করে, সেটা হলো কর্পোটেক্রেসিকে সমর্থন করে। অর্থাৎ সাধারণ জনগণের টাকা বিদেশী কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেয়, মাঝ থেকে সে কমিশন পায়।
যেমন ধরুন ‘উবার’ । উবারের মাধ্যমে বাংলাদেশের কিছু লোক হয়ত কিছু ইনকাম করতে পারছে। কিন্তু ভাড়ার একটা অংশ কিন্তু চলে যাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি উবারের কাছে। উবার যে সফটওয়্যার এনেছে এটা বাংলাদেশে বানানো কোন ব্যাপারই না। বাংলাদেশে এ সফটওয়্যার বানিয়ে দেশের টাকা দেশেই রাখা যায়। এতে ভাড়া আরো হ্রাস করা সম্ভব। কিন্তু সেটা না করে বিদেশী কোম্পানির কাছে বখরা দিয়ে বাংলাদেশে ট্যাক্সি চালাতে হয়। এর পেছনের ঘটনা খুজতে গিয়ে পেলাম অবশ্য ভিন্ন কিছু, মানে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় নাকি উবারের পেছনে তদরিব করেছে। স্বাভাবিকভাবে অনুধাবন করা যায়, উবার একটা ‘কমিশন মানি’ জয়ের এ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেয়।
মিডিয়ায় মাঝে মাঝে খবর আসে, বিদেশী কোম্পানির নকল লোশন, পাউডার, অমুক-তমুক। পুলিশ গিয়ে সেগুলোতে ধরপাকড় করে, এরপর সে সব কোম্পানি বন্ধ করে দেয়। আসলে একটা জনবান্ধব সরকার কখন এমন করতে পারে না। যে লোকটা বিদেশী কোম্পানির নকল করে স্নো-পাউডার বানাচ্ছে, সে নিশ্চয়ই বিদেশী কোম্পানির কাছে গিয়ে ট্রেনিং নিয়ে বানাচ্ছে না, তার অবশ্যই কিছু না কিছু যোগ্যতা আছে ঐ পন্যগুলো বানানোর জন্য। আর বিদেশী কোম্পানিরা তো আর আকাশ লোশন-পাউডার বানি নিয়ে আসে না, তাই তাদের মত বানানোও অসম্ভব নয়। সরকারের বরং উচিত বাংলাদেশের সে সব নকলকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা করা, তাদের প্রতিভাকে কাজে লাগানো। সরকার যদি নিজ উদ্যোগ নিয়ে সে সব ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষকতা করতো, সরকারীভাবে কলকারখানা বানিয়ে দিতো, তবে এসব প্রসাধনীর জন্য বাংলাদেশের মানুষকে বিদেশের মুখ পানে চেয়ে থাকতে হতো না, বরং বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রসাধনী বাংলাদেশে ব্যবহার করে বিদেশেও রপ্তানি করা যেতো। একবার শুনেছিলাম, সিঙ্গাপুর নামক দেশটি নাকি বাংলাদেশের কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরার মত ছিলো। সেখানে নাকি সব পন্যের নকল তৈরী হতো। একবার তাদের দেশের সরকার সে সব নকলবাজকে পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাদের পন্য বানানোর জন্য টাকা, যায়গা, কলকারখানা দেয়, স্বীকৃতি দেয়। ব্যস, তাদের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে বেড়ে উঠে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি।
আজ থেকে ৫-৭ বছর আগে হবে। বাংলাদেশের এক লোক নকল প্রাডো গ্রাড়ি বানাতে গিয়ে র‌্যাবের কাছে ধরা পড়ে, যে ইতিমধ্যে কয়েকটা প্রাডো গাড়ি বিক্রি করে বাজারেও ছাড়ে। যেই প্রাডো গাড়ির মার্কেটে মূল্য ৮০ লক্ষ টাকা, সেটা সে ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে বাজারে ছাড়ছিলো। র‌্যাব খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে কারখানা সিলগালা করে দেয়। আমার কথা হলো, একটা লোকের প্রতিভা থাকলে তাকে কেন জেলে যেতে হবে ? কেন তার প্রতিভার মূল্যায়ন করা হবে না ? সরকার ঐ লোকটাকে গ্রেফতার না করে তাকে দেশেই কারখানা করে দিক, সে দেশেই গাড়ি বানাক। আমার তো মনে হয় ঢাকার ধোলাইখাল খুঁজলে শত শত গাড়ির তৈরীর ইঞ্জিনিয়ার পাওয়া সম্ভব। আমি নিশ্চিত তাদেরকে যদি সরকারীভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়, তবে তারা বিশ্বমানের গাড়ি বানাতে পারবে। কিন্তু সরকার সেটা করবে না। এর একটি কারণ বিদেশ থেকে গাড়ি আমদানির কারণে ঐ বিদেশী রাষ্ট্রটির সাথে সরকারের অঘোষিত কোন চুক্তি থাকে। এবং অপর কারণ প্রতিটি গাড়ির থেকে সরকার মোটা ট্যাক্স নেয়।
আসলে “বাংলাদেশ দরিদ্র রাষ্ট্র”, “বাংলাদেশের মানুষ কষ্টে থাকে”, এগুলো মিথ্যা কথা। দুর্নীতিবাজদের বানোয়াট কথা। এগুলো বললে জনগণের সম্পদ লুটতে সুবিধা হয়। দেশ যদি গরীর–ই হতো তবে তাদের পানামা পেপাস আর প্যারাইডাইস পেপারে এত এত টাকা পাওয়া যায় কেন ?
আসলে কোন সমস্যাই সমস্যা না, যদি সেটা সারাতে সরকারের সদিচ্ছা থাকে। সদিচ্ছা থাকলে যে কোন মুহুর্তে দেশকে সমৃদ্ধশালী করে ফেলা সম্ভব। সরকার যেটা করে, সে দেশী উৎপাদনশীল খাতগুলোকে বন্ধ করে, বিদেশীদের থেকে আমদানি করে । এর ফলে দেশের প্রতিভাগুলো মরে যায়, বিদেশ থেকে আমদানি করার কারণে দেশে কৃত্তিম সংকট তৈরী হয়, মানুষের জীবন ব্যয় বেড়ে যায় এবং দেশে বেকারত্ব তৈরী হয়।
লেখা শুরু করেছিলাম, কর্পোরেটোক্রেসি পলিসির কথা বলে। বাংলাদেশে এখন সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষিত বেকার। এই বেকারত্ব এক নিমিষেই দূর করা সম্ভব, যদি কর্পোরেটোক্রেসি পলিসির বিরুদ্ধে কাজ করা যায়, দেশের প্রতিভা ও জনবল কাজে লাগিয়ে উৎপাদনশীল খাত বৃদ্ধি করে বিদেশী নির্ভরতা কমানো যায় । আমার মনে হয়, এই কর্পোটেক্রেসি পলিসির বিরুদ্ধে সবাইকে সচ্চার হওয়া উচিত। বিশেষ করে এ পলিসির শিকার দেশের সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষিত বেকার। তাদেরকেই আগে এগিয়ে আসতে হবে এ আন্তর্জাতিক আগ্রাসণ রুখতে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

রংপুর মেডিকেল কলেজে ছাত্রদের উপর লাল সূতা পরা ছাত্রলীগ সেক্রেটারি গৌরাঙ্গ চন্দ্র সাহার নির্যাতন


ছবিগুলো দেখে ভয় পাবেন না
এগুলো কিচ্ছু না। রংপুর মেডিকেল কলেজের ছোট ভাইদের উপর একটু প্র্যাকটিস করেছে ছাত্রলীগের সিনিয়র ভাইরা, লোহার রড দিয়ে পরীক্ষা করে দেখছে ছোট ভাইদের টিস্যু কতটুকু শক্ত। ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছিলো শিবসেনার আদর্শ অনুকরণে ডান হাতে লাল সূতা পরা ছাত্রলীগ সেক্রেটারি গৌরাঙ্গ চন্দ্র সাহা।
ছোট ভাইদের অন্যায় ছিলো, তারা কেন হলের বাইরে থাকবে ?
কেন তারা গৌরাঙ্গ দাদাকে নিয়মিত চাদা দিবে না ?
কেন তাদের র‌্যাগিং সহ্য করবে না ?
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দেশ, বাংলাদেশ গৌরাঙ্গদের দেশ।
ওদের বাপ-দাদারা এই দেশটা কিনেছিলো।
তাই তোরা যদি এই দেশে থাকতে চাস, তবে ওদের মাইর খেয়ে, চাদা দিয়েই থাকতে হবে।
আর যদি ভালো না লাগে, তবে সোজা পাকিস্তানে চলে যা, এই বাংলার মাটি তোদের জন্য না।
শালা রাজাকারের বাচ্চা, পাকিস্তানের প্রেতাত্বা।
লেখার বিস্তারিত: https://goo.gl/xmKffi, আর্কাইভ : http://archive.is/Vla5W

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

পশ্চিমবঙ্গবাসী সানাউল্লাহ খান সাহেবের প্রশ্নের জবাব-


শ্রদ্ধেয় পশ্চিমবঙ্গবাসী সানাউল্লাহ খান, ধন্যবাদ আপনার কমেন্ট করার জন্য।

আপনার কমেন্টের উত্তর দেয়ার জন্য আমি কমেন্টবক্সকে যথেষ্ট মনে করিনি।

তাই নতুন করে পোস্ট লিখতে বসেছি।

আপনি কমেন্টে দুটি প্রশ্ন রেখেছেন:

প্রথম প্রশ্ন: অনেক লড়াই সংগ্রাম রক্তের বিনিময়ে পাকিস্তান লাভ, তারপরও পাকিস্তান ভাগের প্রয়োজন পড়লো কেন ?

দ্বিতীয় প্রশ্ন : ভাগ যখন হয়েই গেলো, তখন পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মানুষ এত অত্যাচারিত কেন ?

উত্তর :

আপনার কমেন্টের মধ্যে আপনার উত্তর রয়ে গেছে। আপনি কমেন্টে বলেছেন, “অনেক লড়াই সংগ্রাম রক্তের বিনিময়ে পাকিস্তান লাভ” । তারমানে পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য যারা দায়ী তারা অন্যায় অবিচার দেখলে তার প্রতিবাদে লড়াই-সংগ্রাম পছন্দ করেন। আর আমার জানা মতে, অন্যায় অবিচার দেখলে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা, সংগ্রাম এটা মুসলমানদের ধর্মেরই নির্দেশ। আর সেই নির্দেশটা পাকিস্তান আর বাংলাদেশের মুসলমানরা পালন করলেও, ভারতের মুসলমানর পালন করেনি। তারা অন্যায় দেখলেও, মুখ বুঝে সহ্য করেছে, কাপুরুষের মত লুকিয়ে থেকেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মুসলমানরা সেটা করেনি।

সানাউল্লাহ দাদা, আপনার জানার জন্য বলছি, পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য দায়ী মুসলিমলীগের শীর্ষ নেতারা কিন্তু এক সময় কংগ্রেস করতো। কিন্তু তারা বঙ্গভঙ্গের সময় দেখলো- কংগ্রেসের হিন্দু নেতারা মুখে মুখে সেক্যুলারিজমের কথা বললেও, তারা একেকজন পাক্কা হিন্দুত্ববাদী। তারা হিন্দু-মুসলিম এক রাষ্ট্রের কথা বলে, বড় মানচিত্র পাওয়ার জন্য, কিন্তু কাজে কর্মে এমন রাষ্ট্র চায় যা হবে হিন্দু নেতৃত্বাধীন। মুসলিমলীগের নেতারা হিন্দুদের চালাকি বুঝে ফেললো। তারা ভাবলো, হিন্দুদের সাথে একত্রে আন্দোলন করলে তারা আমাদের ঠকাবে। তখন তারা পৃথক চিন্তা করলো, তৈরী করলো মুসলিম লীগ। যেই মুসলিম লীগ থেকে পরবর্তীতে বের হয়ে আসলো পাকিস্তান। আপনার জানা থাকার কথা, যে লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তান ভাগ হয়েছিলো, সেই লাহোর প্রস্তাবের নেতৃত্বে ছিলো কিন্তু একজন বাংলাদেশী, যার নাম শেরে বাংলা একে ফজলুল হক। তারমানে ‍মুসলমানদের পৃথক ভূমি পাকিস্তান তৈরীর পেছনে বর্তমান বাংলাদেশীদের একটা বিরাট ভূমিকা ছিলো।

আমি বলেছি, বাংলাদেশীরা সংগ্রাম প্রিয়। তারা অন্যায় দেখলে সংগ্রাম করে, প্রতিবাদ করে। ৪৭-এ দেশভাগের পর বাংলাদেশীরা দেখলো- তারা যতটুকু অধিকার পাওয়ার জন্য আন্দোলন করেছে, তার সবটুকু অধিকার তারা পাচ্ছে না। সেখান থেকেই বাংলাদেশ ভাগ করার জন্য আন্দোলন।

তবে এখানে একটু বলে রাখি-

৪৭ সালে দেশভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানীরা কতটুকু অধিকার পেয়েছে, আর ঐ একই সময় পশ্চিমবঙ্গবাসী মুসলমানরা কতটুকু অধিকার পেয়েছে ? এটা যদি তুলনা করেন তবে হিসেব মিলে যাবে।

পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: বুয়েট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ বিশ্ববিদ্যালয়স, ৪টি ক্যাডেট কলেজ, ভিকারুন্নিসা নূন স্কুলের মত স্কুল। কিন্তু স্বাধীনতার ৭০ বছর পার হয়ে গেলেও পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা তাদের জন্য কোন ভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। ঐ এলাকার মুসলমানরা দীর্ঘদিন ধরে মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা উঠতেই মমতার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলো, “মুর্শিদাবাদের মুসলমানরা আমাদের রাজমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করে, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় হলে আমরা রাজমিস্ত্রী পাবো কোথায় ?”

সানাউল্লাহ দাদা, আপনার যুক্তিমতেই বলছি, পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালী মুসলমান সব সময় সংগ্রাম প্রিয়। তারা অন্যায়, অত্যাচার অবিচার দেখলেই প্রতিবাদ করে। তারা যখন বুঝলো, ৪৭-এ দেশ ভাগ হয়ে যতটুকু অধিকার পাওয়ার দরকার ছিলো, ততটুকু পাচ্ছি না, তখন তারা ফের সংগ্রাম শুরু করলো এবং বাংলাদেশের জন্ম দিলো।

তবে সানাউল্লাহ দাদা, আপনি যদি পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের উপর করা নির্যাতন এবং বাংলাদেশের মুসলমানদের নির্যাতন এক পাল্লাায় পাবেন, তবে ভুল করবেন। এই দুই দেশের মুসলমানদের মধ্যে কোন তুলনা করার সুযোগ নাই।

যেমন, ধরুন বেশকিছুদিন ধরে বাংলাদেশে কোটা নিয়ে আন্দোলন চলছে। কোটা নিয়ে তারাই আন্দোলন করছে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। যদিও যারা কোটা নিয়ে চ্যান্স পাবে, তাদের অধিকাংশ মুসলমান। এখানে আন্দোলনটা হচ্ছে মেধার ভিত্তি নিয়ে। এটা অবশ্যই অনেক আপডেট আন্দোলন। অপরদিকে, ভারতে মুসলমান মেয়েদের ঘর থেকে মেয়ে তুলে নিয়ে হিন্দুরা ধর্ষন করছে, ছেলেদের ধরে ধরে হত্যা করছে, বাড়িঘর পুড়িয়ে ‍দিচ্ছে। এই দুই আন্দোলন কি এক হলো ? ভারতীয় মুসলমানরা তো নূণ্যতম মৌলিক অধিকার পায় না, বাংলাদেশের কোটা নিয়ে আন্দোলনের সাথে কি এর কোন তুলনা চলে ?

বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা যখন মেধার ভিত্তিকে চাকুরী নিয়ে আন্দোলন করছে, তখন পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে অবস্থানটা কোথায়, আসুন দেখি:

শিক্ষা:

১) পশ্চিমবঙ্গে সাধারণভাবে ৭০ শতাংশ অধিবাসী শিক্ষিত। সেখানে মুসলমানদের শিক্ষার হার মাত্র ৩০ শতাংশ (সরকারী হিসেবে মুসলিম জনসংখ্যা ২৮%, যদিও প্রকৃত হিসেব আরো বেশি হতে পারে)।

২) মাধ্যমিক পর্যায়ে মুসলিম ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৫ শতাংশ। কলেজ পর্যায়ে মুসলিম ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩ শতাংশ। মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা অতি নগণ্য। মুসলমানদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত স্কুল মাত্র ১২টি। কলেজ নেই একটিও। পশ্চিমবঙ্গে প্রতি বছর মেধা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ৮০০ ছাত্রছাত্রী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়। এর মধ্যে মুসলিম ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা মাত্র ১০ জন। অপরদিকে প্রতিবছর প্রকৌশল বিভাগে ১০০০ ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়, সেখানে মুসলমান মাত্র ১২-১৫ জন, যার হার ১ শতাংশ।

৩) মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ইসলামিয়া কলেজ ও লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় দেশবিভাগ পূর্বকালে অর্থাৎ ব্রিটিশ আমলে। তখন এ কলেজ দুটি শুধু মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। বর্তমানে ইসলামিয়া কলেজ, (মাওলানা আযাদ কলেজ) ও লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে মুসলিম ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা মাত্র ১০ শতাংশ। এ নগণ্য সংখ্যক ছাত্রছাত্রীকে অন্যান্য বিষয় থেকে বঞ্চিত করে শুধু উর্দু, ফার্সি ও আরবী বিভাগে অধ্যয়নের সুযোগ দেয়া হয়।

চাকুরী:

১) পশ্চিমবঙ্গে জনসংখ্যার প্রায় ২৮ ভাগ মুসলমান, কিন্তু সরকারি চাকুরীতে মুসলমান সংখ্যা মাত্র ৩ শতাংশ।

২) ২০১০ সালে ‘Secretariat of the Public Service Commission, West Bengal’ দফতরে ৩৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১ জন মুসলমানও নেই।

৩) ২০১০ এ ক্লার্কশিপ পরীক্ষায় পাস করে মোট ২৭৮ জন। তার মধ্যে মুসলিম মাত্র ৩ জন। অর্থাৎ মুসলিম নিয়োগের হার এক শতাংশের কম।

৪) ২০১০ এ পিএসসির দু’দফতর মিলিয়ে মোট নিয়োগের সংখ্যা ৫৫৬ আর মুসলিম নিয়োগ মাত্র ১৩! এখানে মুসলিম নিয়োগের হার মাত্র ২.৩%।

৫) পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানরা মোট জনসংখ্যার ২৮% হলেও সরকারি দাবি অনুযায়ী পুলিশে শতকরা ৯ জন মুসলিম চাকরি করছেন। কিন্তু বাস্তবে তাও মেলে না।

মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা: পশ্চিমবঙ্গে ২০১৩ সালে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার সংখ্যা ১০৬টি। এতে মুসলমানদের হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি।

দেশভাগ চেয়ে পাকিস্তানীরা ভালো করেছে কি খারাপ করেছে, এই প্রশ্ন যদি আপনি করেন, তবে আপনারা শুধু শিক্ষা ও চাকুরীর সেক্টরে দুই এলাকার হিসেব মিলান, আমার মনে হয় আপনি সব হিসেব পেয়ে যাবেন। বাংলাদেশের মানুষ এখন মেধার ভিত্তিতে কোটার জন্য আন্দোলন করে, আর পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ মুসলমান এখন পড়ালেখাই পারে না, ভার্সিটি পাশ করে মেধা কোটা আর মুক্তিযুদ্ধ কোটা বুঝতে পারা তো অনেক পরের কথা।

সানাউল্লাহ দাদাদের বলবো, আপনারা এখনও মোহের মধ্যে পড়ে আছেন, যার আদৌ কোন ভিত্তি নাই। ১৯০৫ সাল সালে মুসলিমলীগের নেতারা যে কথাটা বুঝেছিলো, আজকে ১১৩ বছর পরেও আপনারা বুঝতে পারছেন না, হিন্দুদের সাথে এক সাথে থাকলে ক্ষতিটা কি হবে। আমি বলবো, মোহ থেকে বেড়িয়ে আসুন, ভারতে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোকে স্বাধীন করার জন্য আন্দোলন করুন। মাওবাদীরা যদি আন্দোলন করতে পারে, সেভেন সিস্টার্স যদি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য আন্দোলন করতে পারে, তবে মুসলমানরা কেন পারবে না ? আমার কথা হলো, ধুকে ধুকে ইদুরের মত অপমানিত হয়ে মরার থেকে, একবারে সিংহের মত সংগ্রাম করে মরে যাওয়া অনেক ভালো।


কমেন্ট বক্স থেকে সানাউল্লাহ খান সাহেবের কিছু প্রশ্নের জবাব-

Sanaullah Khan প্রিয় সাথী, নয়ন চ্যাটার্জী আমি জানি তুমি চিরকালই সত্যের পক্ষে এবং তথ্য দিয়ে সত্য তুলে ধরার জন্যই তুমি সবার প্রিয় । তোমার কথার জবাব দেওয়ার জন্য আমি কিন্তু মন্তব্য দীর্ঘায়িত করবো না । সামান্য কয়েকটি কথা বলতে চাই... এক. পাকিস্তান সৃষ্টি যে কারণে করা হয়েছিল তার অন্যতম শর্ত হল, পাকিস্তান মুসলিম রাষ্ট্র নয় ইসলামিক রাষ্ট্র হবে সেই শর্ত পূরণ করতে জিন্নাহ থেকে শুরু করে বর্তমান শরীফ সরকার কেউ কখনো সেরুপ তৎপর হয়নি কেন?
সমানভাবে মুসলিম লিগের ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ শেখ মুজিব ইসলামের নামে আওয়ামী লিগ গঠন করে আওয়াম অর্থাৎ জাতি বা বাঙালি জাতিয়তাবাদী আন্দোলনের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে বাংলা ভাষাভাষী অধ্যুষিত পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান হতে বিচ্ছিন্ন করে নেয় । সেখানেও একই ফাঁকি বর্তমান না মুজিব না হাসিনা কেউ ই পরবর্তীতে বাংলাদেশকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিনত করতে চাইনি বা ভারতীয় বাধ্যবাধকতা মেনে এখনো হতে দেইনি । মূখ্য কথা হলো- আমরা কি চাই? মুসলিম রাষ্ট্র না ইসলামিক রাষ্ট্র? খেলাফতি গনতন্ত্র না ধর্মনিরপেক্ষ গনতন্ত্র? যতদিন না এই প্রশ্নের উত্তর সঠিক ভাবে জানতে পারি ততদিন একে অপরকে কমজোর ইমানদার ভাবতে পারি । কিন্তু বাস্তব বড়ই কঠিন আমরা যাদের উদাহরণ তুলে এদেশে আদর্শ ইসলামিক মুভমেন্ট করবো সেই প্রতিবেশিরা যদি নিজেরাই বিপথগামী হয় তখন আমাদের করনীয় কি হবে? দুঃখজনক সত্য হলো আমাদের থেকে ইমানি আবেগে হয়তো একটু এগিয়ে আছো কিন্তু তা উদাহরণ তুলে ধরার মত নয় । চেষ্টা করবো এ ব্যাপারে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমানদের মুল ত্রুটি কোথায় তুলে ধরার জন্য ।


Noyon chatterjee 5 সানাউল্লাহ দাদা, আমি এখন যে এলাকায় আছি সেখানের দিনের কর্মচাঞ্চল্য মাত্র শুরু হলো। কর্মব্যস্ততার মাঝে আপনার কমেন্টের উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেলো, এজন্য দুঃখিত। 
আসলে দাদা, আমার মনে হয় আপনি যেদিকে আলোচনা করতে চাইছেন, সেটা আমার আলোচনার বিষয় ছিলো না। আমি বলিনি
 পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছে ইসলামীক মুভমেন্টের জন্য। যদি পাকিস্তান সে কারণে সৃষ্টি হতো, তবে নিশ্চয়ই সেটা জিন্নাহ’র মত লোকের হাতে নেতৃত্ব থাকতো না। 
আমি একটা কথা স্পষ্ট করে বলেছি, তা হলো মুসলমানদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র। যেখানে রাষ্ট্রের সব সুযোগ সুবিধা মুসলমানরা ভোগ করবে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। কিন্তু ভারতে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের কথা বলা হলেও সেখানে সব সুবিধা হিন্দুরা ভোগ করেছে। কারণ হিন্দুরা অসাম্প্রদায়িক নয়। তারা কট্টর সাম্প্রদায়িক। কংগ্রেস অসাম্প্রদায়িকতা বললেও, নেহেরু স্বাধীনতার মাত্র ১ বছর পর ১৯৪৮ সালে হায়দ্রাবাদে গণহত্যা চালায়। আপনি যে তৃণমূল করেন, সেই তৃণমূল নেত্রী মমতা কিন্তু ২০০২ সালে গুজরাট গণহত্যার সময় মোদির সাপোর্টার ছিলো।
আমি আপনাকে বলিনি, আপনাকে ইসলামী খিলাফত করতে হবে। আমি বলেছি, মুসলমানদের আর হিন্দুদের সাথে এক থাকা সম্ভব নয়। এজন্য মুসলমানরা পৃথক রাষ্ট্রের দাবি তুলুক। প্রয়োজনে সংগ্রাম করুন। কেউ কেউ বলছে, ভারতের মুসলমানরা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকে। মেনে নিলাম। এক্ষেত্রে প্রত্যেক এলাকার মুসলিম নেতা বা প্রধানরা একত্রে হয়ে মিটিং করুক, কি করা যায় প্রস্তাব দিক। নীতিগতভাবে এক হয়ে সব এলাকায় বিদ্রোহ শুরু করুক, কৌশল অবলম্বন করুক। আমি নিশ্চিত সারা বিশ্বের মুসলমানরা আপনাদের সার্পোট দিবে। আর বাংলাদেশের মুসলমানরা তো অবশ্যই দিবে। বাংলাদেশের আওয়ামী সরকার হয়ত কিছূ বাধা সৃষ্টি করতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশীদের আপনি চেনেন না, তারা প্রয়োজনে সীমান্ত পার হয়ে আপনাদের সাহায্য করবে। তাছাড়া আমার মনে হয়, ভারত সরকার নিঃসন্দেহে বিপদে। একদিকে তার পাকিস্তান, অন্যদিকে চীন। বাংলাদেশের শুধূ সরকার ভারতপন্থী। কিন্তু পুরো জনগণ এন্টি ভারত (হিন্দু)। সুতরাং আপনারা স্বাধীনতার চাইলে প্রধান সাহায্য বাংলাদেশীদের থেকেই পাবেন। কিছু লাগবে না, শুধু চিকেনস নেকটা আটকে দিলে মোদি সরকার ম্যা ম্যা শুরু করবে।


Sanaullah Khan বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাইলো ভারত সর্বস্তরে সমর্থন ও সহযোগিতা করলো । কাশ্মীর গত 50 বছর ধরে স্বাধীনতা চাইছে বিনিময়ে লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে । বিশ্ব বিবেক নিশ্চুপ । এরপরও কি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়?

Noyon chatterjee 5 সানাউল্লাহ দাদা, ইংরেজীতে একটা প্রবাদ আছে- নো রিস্ক, নো গেইন। আপনি রিস্ক নিবেন না, কিন্তু আরাম আয়েশে থাকতে চাইবেন সেটা হবে না। বাংলাদেশীদের যেই সাহায্য করুক, বাংলাদেশীরা আসলেই মুক্তিযুদ্ধের সময় রিস্ক নিয়েছিলো, ৩০ লক্ষ লোক রক্ত দিয়েছিলো, যার সুফল তারা আজ ভোগ করছে। তবে কাশ্মীরীদের স্বাধীনতা প্রার্থনার মধ্যে গলদ ছিলো, এ কারণে তারা সুফল পায়নি। আজকে ভারতীয় মুসলমানরা স্বাধীনতা প্রত্যাসা করুক, অনেক শক্তি দাড়িয়ে যাবে তাদের সাহায্য করার জন্য। অন্তত বর্তমান আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাই বলে। 
আরেকটা কথা আপনাকে বলছি, ভারতে আসলে মুসলমানদের সংখ্যা কত ? ভারত সরকার বহুদিন ধরে ১৮ কোটি বলে প্রচার করছে। আমার মনে হয় এটা মিথ্যা। খবর নিয়ে দেখেন ভারতে মুসলমানদের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। কিন্তু তারা লুকিয়ে রেখেছে, যেন মুসলমানরা বিদ্রোহ করতে না পারে। ঠিক হাতির মত অবস্থা। হাতির বিরাট শরীর, কিন্তু তার বিরাট কান আর ছোট চোখের জন্য শরীর বুঝতে পারে না। অনেকে কথার কথা হিসেবে বলে, হাতি যদি বুঝতে পারতো, তার এত বড় শরীর তবে নাকি সে পুরো পৃথিবী গুড়িয়ে দিতো। 
সানাউল্লাহ দাদা, আপনাকে অনুরোধ করবো, ভারতে মুসলমানদের প্রকৃত জনসংখ্যাটা আগে বের করেন। এটা মুসমানদের একটা রিবাট শক্তি। অপরদিকে হিন্দুরা সব হিন্দু নয়। এর মধ্যে শিখ, জৈন, অগ্নিউপাসকসহ অনেক ধর্মের লোক আছে। তাছাড়া হিন্দুরা নিজেদের মধ্যে বহু গোত্রে বিভক্ত। এছাড়া পুরো ভারতে ২ হাজারের উপর ভাষা চালু আছে, এটা তাদের জন্য বিরাট সমস্যা । ভারতে আর্মির মধ্যেও সমস্যা। তাদের মূল শক্তি গোরখা ও শিখরা। তারা উভয়ই আলাদা গোরখা ল্যান্ড ও শিখ ল্যান্ড চায়। তাই গণ্ডগোল একটা লাগলে সবাই জেগে উঠবে।


Noyon chatterjee 5 সানাউল্লাহ দাদা, ভারতে যদি মুসলমানরা বিদ্রোহ শুরু করে তবে আমার মনে হয় পশ্চিমবঙ্গেই প্রথম শুরু করা উচিত। এর কয়েকটি কারণ:
১) পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানদের জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি। 
২) ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন এই পশ্চিমবঙ্গের বিরাট ভূমিকা ছিলো।

৩) পশ্চিমবঙ্গ স্টেটটি এক কোনায়। ফলে তাকে সব দিক থেকে শত্রুকে মোকাবেলা করতে হবে না।
৪) পশ্চিমবঙ্গ এখনও বিজেপির হাতে যায়নি, ফলে উগ্রহিন্দুরা অন্য স্টেটগুলোর মত সক্রিয় নয়।
৫) পশ্চিমবঙ্গে ভারতের দুর্বল পয়েন্ট চিকেনস নেক অবস্থিত। 
৬) বাংলাদেশী মুসলমানরা তাদের সাহায্য করবে।
৭) পশ্চিমবঙ্গের এক কোনায় দার্জেলিং অবস্থিত। দার্জেলিং এর উপজাতি গোষ্ঠীগুলোও স্বাধীন গোর্খাল্যান্ডের জন্য আন্দোলন করছে।



===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------