Thursday, March 28, 2019

কূটনৈতিক পাড়া (বনানী-গুলশান-বারিধারা) থেকে ঐ সব প্রতিষ্ঠান সরানো হবে!


আজ থেকে ১৩ দিন আগে, মানে গত ১৫ই মার্চ দৈনিক যুগান্তরের কাছে এক সাক্ষাৎকারে ঢাকা উত্তরের নতুন মেয়র আতিকুল বলে,
“কূটনৈতিক জোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে। দ্রুততম সময়ে রাজউক, পুলিশসহ সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে একটি সমন্বয় সভা করব।  তিনি বলেন, গুলশান, বনানী, বারিধারার আবাসিক সড়কে কোনো ট্রেড লাইসেন্স নেই; কিন্তু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ জোনের নিরাপত্তা নিয়ে অবহেলা সহ্য করা হবে না।” (https://bit.ly/2FBwgEi)

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে হোটেল হলি আর্টিজানে হামলার পর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ঢাকা শহরে বেশ কিছু হোটেল রেস্তোরাঁ সহ অনুমদনবিহীন ৫৫২ টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে (এর মধ্যে গুলশানে রেস্টুরেন্ট আছে ১৯৩টি, বনানীতে ১৩৯টি, বারিধারা এলাকায় ১০টি রেস্টুরেন্ট) সে বছর ২৫ জুলাই থেকে রাজউক বিভিন্ন উচ্ছেদ অভিযান শুরু করলে এই উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে বনানীর কফি ওয়ার্ল্ড, ফুড প্যালেস রেস্টুরেন্ট সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রিট আবেদন করেন। এ বিষয়ে করা ২৩৩ টি রিটের নিষ্পত্তি করে হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০১৭ সালের জুলাইয়ে সকল প্রকার অনুমোদনবিহীন অবৈধ স্থাপনা সরাতে মালিকদের ১০ মাস সময় বেঁধে দেয়।
(https://bit.ly/2UjlOuH, https://bit.ly/2FGLDwM)

কিন্তু পরবর্তীতে হাইকোর্ট স্টেঅর্ডার বর্ধিত করায় ঐ সব রেস্তোরাসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে হাত দিতে পারেনি প্রশাসন।  যার দরুণ ২০১৮ সালের অক্টোবরে ফের বনানীর রেস্ট্রুরেন্টসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করে বিডিনিউজ২৪ (https://bit.ly/2CJTE1Q)।

সর্বশেষ আজ থেকে ১৩ দিন আগে ডিএনসিসি নতুন মেয়র ঘোষণা দেয় যে কোন উপায়ে কূটনৈতিক পাড়া (বনানী-গুলশান-বারিধারা) থেকে ঐ সব প্রতিষ্ঠান সরানো হবে।

ব্রিটেনে স্কুলগুলোতে ৭+ বছরের বাচ্চাদের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে `পৃথিবীতে তুমি কোথা থেকে আসলে’


গতকালকে বিবিসি বাংলা’র একটা খবর ভাইরাল হইছে,
খবরের শিরোনাম: “স্কুলে যৌন শিক্ষা: বাংলাদেশে ‘জেনারেশন ব্রেকথ্রু’ প্রকল্পের ক্লাসরুমে যা পড়ানো হচ্ছে”

৩৫০টি স্কুল ও মাদ্রাসায় বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।  যেখানে স্কুলের বাচ্চাদের এমন সব বিষয় শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, যা সাধারণভাবে আলোচনা করতে বাংলাদেশের মানুষ লজ্জা বোধ করতো।  দাবী করা হচ্ছে, “দুই বছর মেয়াদী এই কোর্সে, শিক্ষার্থীরা বয়ঃসন্ধিকালীন এসব অবশ্যম্ভাবী ইস্যুগুলো সম্পর্কে জানছে।  তারা শিখছে প্রজননস্বাস্থ্যের নানা দিক।  যৌনবাহিত এবং যৌনাঙ্গবাহিত রোগ সম্পর্কে অবহিত হচ্ছে। শিখছে এসব রোগ থেকে দূরে থাকার উপায়।....... বিদ্যালয়ের একটি বিশেষ শ্রেণীকক্ষে গত ৫ বছর ধরে এসব শিখছে বিদ্যালয়টি ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা। বাংলাদেশ সরকারের 'জেনারেশন ব্রেকথ্রু' নামের একটি প্রকল্পের আওতায় এই শ্রেণীকক্ষটি তৈরি হয়েছে। কক্ষটির নাম দেয়া হয়েছে 'কিশোর কিশোরী কর্নার'। আর এখানে তারা পড়ছে 'জেমস' নামে একটি কোর্স যেটির পূর্ণরূপ দাঁড়ায় 'জেন্ডার ইকুয়িটি মুভমেন্ট ইন স্কুলস'। কোর্সটি অনেকটা পশ্চিমা দেশগুলোর বিদ্যালয়ে পড়ানো সেক্স এডুকেশন বা যৌন শিক্ষার আদলে সাজানো।..........” (https://bbc.in/2HIONCa)

এতক্ষণ তো বিবিসির খবর পড়লেন, এবার আসুন আমরা অন্য সোর্সগুলো থেকে স্কুলে যৌন শিক্ষা’র বিষয়টি যাচাই করে দেখি।

প্রথমে আমরা দেখবো, 'জেনারেশন ব্রেকথ্রু' নামক পাইলট প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করছে কে এবং কত টাকা ?
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইট (https://bit.ly/2UWQtel)  বলছে, এই পাইলট প্রকল্পে ফান্ড দিয়েছে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল বা ইউএনএফপিএ।  টাকার পরিমাণ ২.২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এখানে আমার প্রশ্ন,
--যৌন শিক্ষার বিষয়টি তো শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত ।  তাহলে এই ফান্ড তো দেয়ার কথা ছিলো জাতিসংঘের শিক্ষা বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর।  আর যদি স্বাস্থ্য বিষয়ক দিক থেকে চিন্তা করি, তবে ফান্ড দেয়ার কথা ছিলো জাতিসংঘের অধীনস্থ ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু’ এর ।  কিন্তু টাকা ‘জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল’ দিবে কেন?

--তারমানে এই শিক্ষাটা কি জনসংখ্যা’র সাথে সম্পৃক্ত ? মানে এমন কোন শিক্ষা যা জনসংখ্যা বৃদ্ধি হ্রাসে সহায়ক হবে ?
--কিন্তু জন্মনিয়ন্ত্রণ শিক্ষা তো বিবাহিত দম্পত্তিদের দেয়া হচ্ছে, কিন্তু স্কুলের বাচ্চাদের কেন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি শিখতে হবে ?

বাংলাদেশে এই শিক্ষা দেয়ার সময় বলা হচ্ছে, বাচ্চাদের জড়তা কাটানো হচ্ছে, বাচ্চাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞান, প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান, বয়ঃসন্ধি সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে।  কিন্তু আসলে এই শিক্ষার আড়লে কি উদ্দেশ্য আছে ?
যেহেতু বাংলাদেশে এই শিক্ষাটি পাইলট প্রকল্প করে নতুন করে আনতে চাওয়া হচ্ছে, তাই পুরো বিষয়টি নিয়ে লুকাছাপা করা হবে।  তাই যেসব দেশে এই শিক্ষা চালু আছে, তারা কেন এই শিক্ষা প্রণয়ন করতে চাইছে, সেটা আগে বোঝা দরকার।
তাদের ওয়েবসাইট ঘেটে আমি যেটা বুঝলাম, যারা মুখে যত সুন্দর কথাই বলুক, স্কুলে বাচ্চাদের ‘যৌনশিক্ষা’ দেয়ার মূল উদ্দেশ্য-
 “তুমি ভয় জয় করে সেক্স করো, সমস্যার (গর্ভধারণ, যৌনরোগ) সমাধান (জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি/সেভগার্ড) শিখিয়ে দিচ্ছি।”
(https://bit.ly/2CzpmQa)

যেহেতু কিশোরী মেয়েদের অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ আটকানো এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য, তাই ফান্ডও দিয়েছে জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক সংস্থা। 

স্কুলে যৌনশিক্ষা দেয়া বিষয়টি সারা বিশ্বজুড়ে একটি বিতর্কিত বিষয়।  অনেক দেশেই এর বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিবাদ হয়েছে।  গার্জিয়ানরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছে স্কুলে যৌন শিক্ষা বন্ধ করার জন্য।
ক) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে স্কুলে যৌন শিক্ষার বিরুদ্ধে গার্জিয়ানদের প্রতিবাদ - https://bit.ly/2TcfrsN
খ) কানাডার অনটারিওতে গার্জিয়ানদের প্রতিবাদ (https://bit.ly/2FCqe7J)

এই সব যৌন শিক্ষার বইয়ে কি থাকে ?
বাংলাদেশে যেহেতু বিষয়টি নতুন এসেছে, তাই এখনও হয়ত প্রকাশ্যে অনেক কিছু বলছে না। কিন্তু যেসব দেশের স্কুলে বেশ কিছুদিন ধরে এই শিক্ষাটি চালু আছে, আসুন দেখি তাদের বইয়ে কি দেয়া হচ্ছে-

---- ব্রিটেনের ৫-৭ বছরের বাচ্চাদের স্কুলে যৌন শিক্ষার নামে কি শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, এই লিঙ্কে দেখুন- (https://bit.ly/2WshG97)
--- ব্রাজিলে বাচ্চাদের যৌন শিক্ষার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট নিজেই।  সে স্কুলে বাচ্চাদের বই নিয়ে দেখাচ্ছে বইগুলোর মধ্যে কি ধরনের জিনিস আছে - https://bit.ly/2FCqsM7

উল্লেখ্য পৃথিবীর ১০টি শীর্ষ ধর্ষণ সংগঠিত হয়, এমন রাষ্ট্রগুলো-
১) যুক্তরাষ্ট্র, ২) দক্ষিণ আফ্রিকা, ৩) সুইডেন, ৪) ভারত, ৫) যুক্তরাজ্য, ৬) জার্মানি, ৭) ফ্রান্স, ৮) কানাডা, ৯) শ্রীলঙ্কা, ১০) ইথিওপিয়া (https://bit.ly/2HIJr9Y)

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, এই ১০টি দেশেই স্কুলে অনেক দিন ধরে যৌনশিক্ষা চালু আছে।  যদিও দাবী করা হয়, যৌন শিক্ষা চালু হলে ছেলে-মেয়েরা কাছাকাছি আসলে এই নির্যাতন কমবে, কিন্তু বাস্তবে এতদিন ধরে যৌন শিক্ষা চালু থাকলেও ঐসব দেশে যৌন নির্যাতন কমে নাই, বরং বেড়ে গেছে।
এখন কথা হলো, বাংলাদেশেও স্কুলে যৌনশিক্ষা চালু হলে, বাংলাদেশেও যে ঐ শীর্ষ ধর্ষণপ্রবণ রাষ্ট্রের তালিকায় অবস্থান নিবে না তার কি গ্যারান্টি ?

স্কুলে যৌন শিক্ষা চালু হলে কি সমস্যা হবে ?

ক) এতদিন যৌন বিষয়ক শিক্ষা পারিবারিকভাবে ও বিশ্বাসভাজন ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যেই হয়ে আসছিলো।  কিন্তু স্কুলে যখন এই যৌন শিক্ষা দেয়া শুরু হবে, তখন এই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে প্রশ্ন আসবে।  যেমন- ধরুন, ক্লাসে কোন পুরুষ শিক্ষক ছাত্রীদের যৌনশিক্ষা দিচ্ছে, স্বাভাবিকভাবে ছাত্রী-শিক্ষকের মধ্যে অনেক বিষয় বাধন উন্মুক্ত হবে।  এমত অবস্থায় ঐ পুরুষ শিক্ষকটি ঐ ছাত্রীদের উপর কোনভাবে সুযোগ নিবে কি না ? ঐ শিক্ষকটি আসলে কতটুকু বিশ্বস্ত ? ঐ শিক্ষকটি যে যৌনশিক্ষা দেয়ার নাম করে ছাত্রীটিকে নিপীড়ন করবে না, তার কি গ্যারান্টি ? দেখা যাবে, স্কুলগুলো এই শিক্ষা চালু হলে ছাত্রী নিপীড়ন সকল বাধন ভেঙ্গে উন্মুক্ত হয়ে যাবে।

খ) একজন পুরুষ মহিলার মধ্যে কিভাবে বায়োলোজিকাল সম্পর্ক ঘটে - এই শিক্ষাটা দিতে কত সময়ের দরকার ? ৫ মিনিট, ১০ মিনিট ?
কিন্তু বছরের পর বছর যৌন শিক্ষার নামে কি শিক্ষা দেয়া হবে ? কি কি নতুন টপিকস আলোচনা হবে ? ব্রিটেনের যৌন শিক্ষা ক্লাসে ৫+ বছরের বাচ্চাদের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে- “অ্যানাল ইন্টারকোর্স, বাই সেক্সুয়াল, ক্লিটোরিস, অ্যানাস,ইরিকশন, হোমোসেক্সুয়াল, ইনসেস্ট, মাস্টারবেশন, অর্গাজম, ওরাল সেক্স, প্রসটিটিউট” এই আলোচনার প্রভাবে সব কিছু সহজ হয়ে গেলে কতদিনের মধ্যে তা প্ল্যাকটিক্যালে গড়াবে তা নিয়েও আলোচনা করার দরকার।

গ) যৌন শিক্ষার মধ্যে অন্যতম পাঠ্য হবে সমকামীতা বা গে/লেসবিয়ান/বাইসেক্সুয়াল শিক্ষা।  যে ছেলে বা মেয়েটি এখনও সেক্স কি বুঝে উঠে নাই তাকে যখন গে/লেসবিয়ান সম্পর্কে ধারণা দেয়া হবে, তখন দেখা যাবে যৌন ক্ষমতা প্রাপ্ত হওয়ার পর সে সঠিক যৌনতা ছেড়ে গে/লেসবিয়ান হয়ে গেছে।  গে/লেসবিয়ান হওয়া মানে একটি জাতিকে আনপ্রডাক্টটিভ করে দেয়া।

ঘ) যারা এই শিক্ষা দিচ্ছে, তাদের মূলে উদ্দেশ্য কিশোরীরা যেন গর্ভধারণ না করে কিংবা কেউ যেন যৌনরোগে আক্রান্ত না হয়।  খুব ভালো কথা। সেক্স করে তারপর কেন গর্ভধারণ বা যৌনরোগের কথা ভাবতে হবে ?
আমরা এমন শিক্ষা চালু করি, তোমরা ছোট বয়সে অবৈধ সেক্স করো না, তাহলেই তো গর্ভধারণও হয় না এবং যৌনরোগও হয় না। বর্তমানে আমরা সমাজে নৈতিকতা শিক্ষার মাধ্যমে কিন্তু সেটাই দিচ্ছি।  কিন্তু তারা নৈতিকতা শিক্ষার বাধন তুলে বাচ্চাদের সেক্সও করতে দিতে চাইছে, আবার গভর্ধারণ ও যৌনরোগ আটকাতে চাইছে, বিষয়টি কেমন হলো ?

বিবিসির রিপোর্ট আপনারা দেখেছেন,
“স্কুলে বাচ্চারা বলছে, আমাদের কাছে এইসব কথা বলা খুব সহজ হয়ে গেছে। আমরা ফ্রি এসব কথা বলতে পারছি, আমাদের বাধা আসছে না। ”
তাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে, “আহ! দেশ বোধ হয় খুব এগিয়ে গেলো”।

আচ্ছা, এসব কথা নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করা কি জরুরী কোন বিষয় ? এই আলোচনা করলেই কি দেশ এগিয়ে যাবে ?  বিভিন্ন পতিতালয়ে গিয়ে দেখুন, ছোট ছোট কিশোরী পতিতারা এইসব কথা প্রকাশ্যে লজ্জাহীন ভাবে বলছে। তাহলে পতিতালয় গুলো কি অন্য সব স্থান থেকে এগিয়ে নেই ?

দেশ, অর্থনীতি, জ্ঞান বিজ্ঞান নিয়ে অনেক আলোচনার দরকার আছে,
দেশকে এগিয়ে নিতে এসব বিষয়ে আরো শেখা ও আলোচনার দরকার। এগুলো নিয়ে আমাদের স্কুলের বাচ্চাদের আমরা এখনও শেখাতে পারিনি ঠিক মত। এ অবস্থায় যদি বাচ্চাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোচনা ফেলে সেক্স নিয়ে আলোচনায় বসিয়ে দেই, তবে তার প্রভাব কতদূর যাবে ? আপনি শিখিয়ে দেবেন থিউরী, ওরা নেমে যাবে প্ল্যাকটিক্যালে, তারপর কি হবে তা নিজেই ভেবে দেখুন।

একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন, পারিবারিক বাধন ও নৈতিকতার দিকে থেকে আমরা পশ্চিমাদের থেকে অনেক এগিয়ে আছি। আমাদের এই এগিয়ে থাকা তাদের জন্য হিংসের কারণ। পশ্চিমারা হচ্ছে লেজকাটা শেয়াল, তাদের না আছে পারিবারিক বাধন, না আছে নৈতিকতা। তারা নিজের লেজ কেটে ফেলেছে অনেক আগে এখন আমাদের লেজ কিভাবে কাটতে হবে, কাটলে কত উপকার হবে তার গুন বর্ণনা করছে। এবং কাটার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পয়সাও সরবরাহ করছে।  সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল নাহিদ কেন বিদেশীদের টাকা খেয়ে আমাদের আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করতে নেমেছে, সেজন্য তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো উচিত।

ছবি: ব্রিটেনে স্কুলগুলোতে ৭+ বছরের বাচ্চাদের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে `পৃথিবীতে তুমি কোথা থেকে আসলে’।

শত্রু আপনার ক্ষতি চাইবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে শত্রু অনেক স্ম্যার্ট হয়ে গেছে

গত ফেব্রুয়ারী মাসে হঠাৎ খবর আসে,
“সবচেয়ে দূষিত বায়ুতে বাংলাদেশ দ্বিতীয়”(https://bit.ly/2CIqEaP)

এ ধরনের পরিবেশবাদী খবর দেখলে, আমি সব সময় নড়েচড়ে বসি।
কারণ এ ধরনের বেশিরভাগ খবরের পেছনে অন্য ধান্দা থাকে।
খবর নিয়ে জানলাম, এই জরিপ করেছে-
 “যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থা ইপিএ ”

মুসলমান দেশগুলোতে যারা সারা দিন বোমা মেরে মানুষ মারে, তাদের যখন মুসলমান দেশের পরিবেশের প্রতি দরদ দেখি, তখন সন্দেহ তৈরী হয়।
যাই হোক, কয়েকদিন পর দেখলাম- দৈনিক প্রথম আলো বার বার জরিপ প্রকাশ করছে,  “সরকার কি বায়ু দূষণ রোধে ব্যবস্থা নিবে বলে মনে করেন ?”

আমি আগেও আপনাদের বলেছি, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার মূল প্যানেল হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ দ্বারা পরিচালিত ও ট্রেনিং প্রাপ্ত।  তাই তারা যখন বার বার কোন বিষয়ে আলোকপাত করে, তখন বুঝতে হবে, সরকারকে দিয়ে কোন কাজ দ্রুত করাইতে চাইতেছে তারা।

এক্ষেত্রে আপনারা যেটা করবেন,
দৈনিক প্রথম আলোকে এ ধরনের আচরণ করতে দেখলে প্রথমে খবর নিবেন, এর পেছনে মার্কিনপন্থী কোন সংস্থার কোন ফান্ড আছে কি না? কারণ দুনিয়াতে ফান্ড ছাড়া কোন কিছুই মাগনা হয় না।  আগে ফান্ডের উৎস খুজে বের করবেন, তারপর ক্লিয়ার হবে।

খবর নিয়ে দেখলাম, বিশ্বব্যাংক ২০০৯ সালে একটা প্রজেক্ট নিছে,
নাম :Bangladesh: Clean Air and Sustainable Environment Project
টাকা দিবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা, সময়কাল: ২০০৯-২০১৯ এর ৩১শে মার্চ
প্রজেক্টের মূল লিডার হরিনাথ শেসা ও নুপুর গুপ্তা নামক দুই ভারতীয় ।
(https://bit.ly/2HXhTwV)

আপনাদেরকে একটা বুদ্ধি আগেও শিখিয়েছি, আবারও শিখাচ্ছি,
সেটা হলো-
সম্রাজ্যবাদীরা যখন কোন কথা বলবে বা টার্ম ব্যবহার করবে তখন তারা যে শব্দগুলো ব্যবহার করবে, সেটার দিকে কখন তাকাবেন না এবং সেটা নিয়ে আলোচনাও করবেন না, করলে ওদের ষড়যন্ত্র কখনই ধরতে পারবেন না।
মনে রাখবেন, ওরা কতগুলো সুন্দর সুন্দর শব্দকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তার আড়ালে অন্য কোন উদ্দেশ্য হাসিল করলে।
তাই ক্লিন এয়্যার বললেও আসলে তারা অন্য কিছু চাইছে, আসুন এবার সেটা জানার চেষ্টা করি।

২০১৪ সালে বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে এই প্রজেক্টের উপর একটি আর্টিকেল তৈরী হয়েছে, যেখানে বার বার শুধু ইটভাটার কথা বলা হচ্ছে। আর্টিকেলটা পড়ে যতটুকু বুঝলাম, ক্লিন এয়্যারের কথা বলার মূল উদ্দেশ্য ইটভাটা বন্ধ করা।
(https://bit.ly/2TDQ3Z5)

আমি, জানি এ পর্যন্ত পড়ার পর অনেকেই বলবেন,
“ভাই ইট ভাটায় তো পরিবেশ দূষণ হয়, এটা তো সত্যি কথা।”
আমি বলবো-
দেখুন, ইট ভাটায় পরিবেশ দূষিত হয় কি, হয় না, এটা নিয়ে যদি ভাবতে থাকেন, তবে জীবনেও সম্রাজ্যবাদীদের মূল ষড়যন্ত্র ধরতে পারবেন না। আমি এ পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র ধরার কিছু কৌশল শেখাবো।  এরজন্য আপনি সর্ব প্রথম যেটা করেন, ওরা যে তত্ত্ব ছুড়ে দিয়েছে- ‘ইট ভাটায় পরিবেশ দূষণ হয়’- এই কথাটা ভুলে যান।  ভুলে গিয়ে প্রশ্ন করতে থাকুন, “ইটভাটা যদি খারাপই হয়, তবে একজন শত্রু  কেন ইটভাটা বন্ধ করতে চাইছে ? ইটভাটায় ক্ষতি হলে আমাদের হচ্ছে, তাতে ওদের কি? ওরা কেন টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশের ইটভাটা বন্ধ করার জন্য, ওদের উদ্দেশ্যটা কি?

ইটভাটার সাথে অন্য কিছু জড়িত নেই তো ?

অনেক খবর নিয়ে বুঝলাম-
ইটভাটা আর পুকুর  এই দুইটা শব্দ ওতপ্রতভাবে জড়িত।
ইটভাটায় ইট তৈরী হলে অটোমেটিক পুকুরের সংখ্যা বাড়ে,
আর পুকুরের সংখ্যা বাড়লে বাড়ে ‘মাছ চাষ’।
জাতিসংঘের ‘ফাউ’ ২০১৬ সালে বলেছে “বাংলাদেশ মৎস উৎপাদনে চতুর্থ,
(https://bit.ly/2HUDiXL)
আর ২০১৮ সালে বলেছে বাংলাদেশ মৎস উৎপাদনে তৃতীয়।  তারমানে দিনে দিনে বাংলাদেশে মৎস উৎপাদন বাড়ছে। (https://bit.ly/2CH1Sbj)
এবং সেই হিসেব আমরা না করলেও তারা করে, কারণ এই হিসেবে পেছনে তাদের আলাদা উদ্দেশ্য আছে।

ভারত যেখানে নদীতে বাধ দিয়ে বাংলাদেশের নদীগুলো ধূ ধূ মাঠে পরিণত করেছে,
সেখানে মাছ হ্রাস না পেয়ে উল্টো দিনে দিনে বাড়ছে, আশ্চর্যজনক।

একটু ক্যালকুলেশন করি-
পানির অভাবে আমাদের ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে,
বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করে ইউক্যালিপটাস আর আকাশমনি গাছ লাগিয়ে ক্ষেতের পানি শুষে নিচ্ছে-
এ অবস্থায় কৃষকের তো মরে যাওয়ার কথা ছিলো,
ভারতে যেভাবে কৃষকরা গণহারে আত্মহত্যা করছে, বাংলাদেশেও তেমন করার কথা ছিলো।
কিন্তু বাংলাদেশের কৃষকরা বুদ্ধি খাটিয়ে ফসল চাষ বাদ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছে।  এতে আয় না কমে উল্টা ৫-১০ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইটভাটা না থাকলে কি পুকুর হতো না ?
না হতো না।  কারণ ইটভাটার কারণে জমির মাটির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।  একজন জমির মালিকের হয়ত জমি আছে, কিন্তু পুকুর খনন করতে যে অর্থের প্রয়োজন, সেটা হয়ত নেই। কিন্তু ইটভাটার মালিকরা যখন নিজ দায়িত্বে জমির মাটি কেনে নিয়ে যায়, উল্টো তাদেরকে কর্মাশিয়াল রেটে মোটা টাকাও দিয়ে যায়, তখন অনেকেই ইচ্ছুক হয়ে জমির মাটি বিক্রি করে। আর জমির মাটি কেটে নেয়ার পর দ্রুত সেখানে হয়ে যায় পুকুর। আর পুকুরে কিছু পোনা ছেড়ে দিলে বাইরে থেকে খাবার দেন আর না দেন কয়েকদিন পর মাছ হয়ে যায় বড় সাইজের। আগে যে জমিতে বহু কষ্ট করে চাষ করে একজন চাষী লাভের মুখ দেখতো না।  কিন্তু মাছ চাষের পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় না।  বছরের মধ্যে সে হয়ে যায় লাখপতি।

কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর বানাচ্ছে, আপনি আসছেন, এত বড় অন্যায়ের পক্ষে ওকালতি করতে ?

আচ্ছা কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর কাটলে অন্যায়, আর কৃষি জমি নষ্ট করে শিল্প কারখানা বানালে অন্যায় হয় না ?
বাংলাদেশে যে ১০০টি শিল্পাঞ্চল হচ্ছে, সেটাতে কতগুলো কৃষি জমি খাবে তার হিসেব করেছেন একবার?
এক চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ভারতের জন্য যে অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে তার পরিমাণ ৩০ হাজার একর। ঐ এক শিল্পাঞ্চলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার কৃষক।  (https://bit.ly/2U3jY1G)

এই যে বিদেশীদের জন্য শিল্পাঞ্চল বানিয়ে লক্ষ লক্ষ কৃষককে পথে বসিয়ে দেয়া হচ্ছে, তাদের জমি কেড়ে নেয়া হচ্ছে, এখন পর্যন্ত দেখেছেন কোন মিডিয়া এ নিয়ে কোন উচ্চবাচ্চ করেছে ? কোন খবর করেছে?
কিন্তু নিজের জমি কেটে পুকুর বানিয়েছে, এর বিরুদ্ধে কত শত নিউজ করেছে প্রথম আলো, নিজের চোখেই দেখুন-
ক) https://bit.ly/2HIjtUn
খ)  https://bit.ly/2Fwm6Fc
গ) https://bit.ly/2FEFst4
ঘ) https://bit.ly/2U10avW

প্রথম আলোর মত বিদেশী দালালদের নির্দেশনায় সরকার ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে সংশোধিত আইন পাশ করে, যেন ইটভাটার মধ্যেমে পুকুর খনন করতে গেলে জেলাপ্রশাসনের অনুমুতি নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়, উদ্দেশ্য মাছ চাষে লাগাম টেনে ধরা।  (https://bit.ly/2FFndnm)

পুকুর খনন নয় বরং মাছ চাষের লাগাম টানাই যে মূল উদ্দেশ্য, সেটা বোঝা যায়, সম্প্রতি সরকার ঘোষণা দিয়েছে, মাছ চাষ করতে হলেও নিবন্ধন নিতে হবে, এই বাধ্যবাধকতা দেখে।  (https://bit.ly/2WuOVIV)

ইটভাটা হলেই কি পরিবেশের ক্ষতি ?
ইটা ছাড়া আপনার চলবে না। আমরা যে বাসাবাড়ি থাকি সেটা ইট দিয়েই তৈরী। ইটভাটা থেকে দূষিত বায়ু নির্গত হয় এটা ঠিক, কিন্তু ইটভাটার সাথে যদি একটি ফিল্টার লাগিয়ে দেয়া যায়, তবে দূষণের মাত্রা একেবারে কমিয়ে আনা সম্ভব।  আর তাছাড়া ইটভাটা বন্ধ না করে ইটভাটাগুলো শহর থেকে দূরে সরিয়ে দিলে অথবা নদীর পাড়ে নিয়ে গেলে দূষণের মাত্রা অনেক হ্রাস হবে। আর যে কারণে দূষণ হচ্ছে, মানে কয়লা পোড়ানোর কারণে, সেই কয়লা বাদ দিয়ে আধুনিক ইট ভাটা তৈরী করলে আর দুষণ নিয়ে কোন চিন্তা থাকবে না।   উল্লেখ্য, সরকার বিদেশীদের টাকা খেয়ে ২০২০ সালের মধ্যে সকল ইটভাটা বন্ধ করে গিয়ে ব্লক তৈরীর প্ল্যান নিয়েছে (https://bit.ly/2CC9Din)। এতে মাটি লাগবে না এটা ঠিক, কিন্তু সিমেন্ট আর পাথরের ব্যবহার বেড়ে যাবে। এতে বিদেশ থেকে পাথর-সিমেন্ট আমদানিও বাড়বে। যদি দেশের সিমেন্ট কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধি হয়, তবেও ক্ষতি, কারণ সিমেন্ট কারখানাগুলোও কিন্তু প্রচুর পরিমাণে বায়ু দুষণ করে।  অপরদিকে বর্তমানে বাংলাদেশ পাথরের জন্য পুরোপুরি ভারতের উপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। আগে সিলেটের ভোলাগঞ্জ থেকে পাথর উত্তোলন করা হতো, কিন্তু পরিবেশ দূষণের কথা বলে সেখানের পাথর ব্যবসাকে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। ঐখানে অনেক শ্রমিক বেকরা হয়ে গিয়েছে। সেখানে প্রশাসন ট্যাস্কফোর্স বাহিনী নিয়মিত অভিজান চালিয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ করেছে, এতে তাদের সাথে খেটে খাওয়া শ্রমিকদের নিয়মিত সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। (https://bit.ly/2OsbDOY)
 একই ঘটনা ঘটেছে দিনাজপুরের পাথর উত্তোলন থেকে। সেখানেও পাথর উত্তোলন প্রায়শঃই বন্ধ রাখা হয়। শেষে দেখলাম সাঙ্গু-মাতামুহুরী নদীর পাথর উত্তোলন হাইকোর্ট থেকে অর্ডার দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে (https://bit.ly/2HKx6lI)। এ অবস্থায় আমরা পাথরের জন্য পুরোপুরি ভারতের উপর নির্ভরশীল এবং পাথর হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় আমদানি পণ্য। ভারত চায় বাংলাদেশের পাথরের বাজার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রন করতে (https://bit.ly/2FJJ387 )।  তাই ইটভাটা বন্ধ হলে পাথর আমদানি বহুগুন বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে হয়।

পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে কি পরিবেশ দূষিত হবে ?
পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে মোটেও পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে না, বরং ভালো প্রভাব পড়বে। প্রতিনিয়ত দেশে জলাশয় ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠতেছে। ভারত নদীতে বাধ দিয়ে নদী শুকায় ফেলছে, বিশ্বব্যাংকের বুদ্ধিতে ইউক্যালিপটাস-আকাশমনি গাছ লাগায় জমির পানি চুষে নেয়া হচ্ছে, এ অবস্থায় পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া তো আমাদের জন্য আর্শিবাদ। কারণ পানির কাজ হচ্ছে তাপধারণ করা। পানির পরিমাণ হ্রাস পাওয়ায় বাংলাদেশ উত্তপ্ত হয়ে যাওয়ার কথা ছিলো, যা সম্রাজ্যবাদী সংগঠনগুলোই এক সময় পূর্বাভাস দিয়েছিলো, “বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে মরুভূমি হয়ে যাবে”। কিন্তু পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেটা ব্যালেন্স হয়েছে এবং পরিবেশ উত্তপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে। তাছাড়া নদী ও জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কা তৈরী হয়, কিন্তু পুকুর থাকায় সেটার পরিমাণও কমে এসেছে। একইসাথে গ্রামীণ এলাকায় পুকুর পাড়ে সবজী চাষ একটি বিরাট লাভজনক বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।

আমেরিকা তথা সম্রাজ্যবাদীরা কেন চাইছে ইটভাটা বন্ধ হোক কিংবা পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি না হোক?

শত্রু আপনার ক্ষতি চাইবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে শত্রু অনেক স্ম্যার্ট হয়ে গেছে, সে সরাসরি আপনার খারাপ না চেয়ে বরং উপর দিয়ে ভালো চায়, কিন্তু সেই কথিত ভালোটা করলে অনেক দূরে গিয়ে আপনার ক্ষতি-ই হয়ে যায়। এর পেছনে কারণ হতে পারে-
১) পুকুরে মাছ চাষের মাধ্যমে কৃষক শ্রেণী ধ্বংস না হয়ে তারা পদ্ধতি পরিবর্তন করতেছে । ফলে কৃষক বেকার হচ্ছে না, দরিদ্রও তৈরী হচ্ছে না। আর বেকারের সংখ্যা না বাড়লে কর্পোরেটরা লাভবান হয় না। কারণ তাদের শ্রমিক মূল্য কমে না।
২) সাধারণ মানুষের হাতে উৎপাদন খাত না কমে বরং বাড়তেছে। সাধারণ মানুষের হাতে উৎপাদন খাত থাকা কর্পোরেটোক্রেসির জন্য ক্ষতিকর। তাই সাধারণ মানুষের হাতে থাকা উৎপাদন খাতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়াই তাদের কাজ।
৩) কৃষক যদি দেখে তার জমিতে লাভ নেই, তখন সে হয়ত কর্পোরেটদের শিল্পাঞ্চলের জন্য তার জমি ছেড়ে দিবে। কিন্তু যদি দেখে ঐ জমিতে মাছ চাষ করলে লাভ হবে বেশি, তখন সে শিল্পাঞ্চলের জন্য জমি না দিয়ে নিজে সেখানে মাছ চাষ করবে। ফলে বিদেশী কর্পোরেটরা বাংলাদেশে যায়গা পাবে না।
৪) প্রতিনিয়ত বাড়িঘর তৈরী হবে এবং ইট লাগবেই, ইট ছাড়া চলবে না। কিন্তু দেশী ইট বন্ধ হলে বিদেশ থেকে পাথর আমদানি বাড়বে। এতে বিদেশীরা লাভবান হবে এবং দেশের জনগণের খরচ বাড়বে। আর জনগণের খরচ বাড়িয়ে দেয়াই কর্পোরেটোক্রেসি ওয়ালাদের অন্যতম চাওয়া।

Monday, March 25, 2019

কেন এবং কি উদ্দেশ্যে সরকারী উদ্যোগে ‘কুসংষ্কার রীতি’ আমদানি করা হলো ?


২৫শে মার্চ উপলক্ষে একটি বিষয় নিশ্চয়ই আপনাদের সবার নজরে এসেছে। বিষয়টি হলো সরকারি পুলিশ ও প্রশাসনের মাধ্যমে দেশজুড়ে ২৫ মার্চ উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্জলন করা। খবরগুলো:

১) “লক্ষাধিক মোমবাতি প্রজ্বালন করে শহীদদের স্মরণ করলেন বগুড়াবাসী”
পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা জানান, ১ লাখ ৩০ হাজার মোমবাতি বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই মোমবাতি প্রজ্বালন করেছেন।  (https://bit.ly/2YjvWCZ)

২) “নড়াইলে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন”
মোমবাতি জ্বালিয়ে স্মরণানুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন—জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।  (https://bit.ly/2HOm8Lr)

৩) “মেহেরপুরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন”
সোমবার সন্ধায় শহরের শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
(https://bit.ly/2TZ7E2C)

৪) ``মোমবাতি জ্বালিয়ে নাটোরে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন”
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মোমবাতি জ্বালিয়ে শোক র‌্যালী বের করা হয়।  (https://bit.ly/2U3GyHK)

৫) “নরসিংদীতে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন”
২৫ মার্চ ভয়াল কালরাত্রি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেছে জেলার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন।
(https://bit.ly/2TDO9rq)

৬) “আড়াই হাজার মোমবাতি জ্বেলে শহীদদের স্মরণ”
“ভয়াল ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আড়াই হাজার মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের শহীদদের স্মরণ করা হয়েছে। ”
(https://bit.ly/2YnyArm)

৮) “রাজশাহীতে ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জলন”
সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় রাজশাহী নগরীর হাদির মোড় বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে জেলা প্রশাসন। (https://bit.ly/2Ty9Zwj)

৯) “যশোরে হাজার মোমবাতির আলোয় ভয়াল ২৫ মার্চ স্মরণ”
প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হয় সেদিনের বীর শহীদদের।
(https://bit.ly/2JP6FNw)

১০) “সাতক্ষীরায় জেলা ২৫শে মার্চ উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্জলন”
২৫মার্চ সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা চত্বরে স্থাপিত বীর মুক্তিযোদ্ধা স্তম্ভের পাদদেশে মোমবাতি প্রজ্বলন হয়। (https://bit.ly/2Oq5jHJ)

এবার আসুন মৃতদের উদ্দেশ্যে এ ধরনের মোমবাতি প্রজ্জলন করার রীতি কোথা থেকে আসলো তা জানি:

১) প্যাগান ধর্ম: মৃতের জন্য প্রদীপ জ্বালানোর প্যাগান বা মূর্তিপূজকদের একটি বিশেষ প্রথা। এ সম্পর্কে উইকিপিডিয়া বলছে-
মৃতের জন্য প্রদীপ : প্যাগানদের একটা রীতি হলো মৃতের জন্য একটি প্রদীপ দেয়া, যেন মৃতব্যক্তি পরবর্তীতে জীবনে আলো পায়। তাদের বিশ্বাস পরবর্তী জীবনের বেশিরভাগ অংশই হচ্ছে অন্ধকারাচ্ছন্ন, তাই তারা তাদেরকে আলোকিত করতে এই আলো দেয়া। এই কালচার এশিয়াটিক অঞ্চল থেকে উৎপত্তি, Phoenicia এবং Punic colonies- তেও এই কালচার পালিত হয়। ইউরোপে রোমের অধিনে দেশগুলোতে এই রীতি দেখা যায় । (https://tinyurl.com/y3lwhwpf)

২) ডাইনী দমনে যাদুবিদ্যা :
ডাইনী দমনে যাদুবিদ্যার সাথেও এই মোমবাতি রীতি জড়িত। যাদুকররা বিশ্বাস করে মোমবাতি জ্বালিয়ে মৃতের আত্মাকে নিয়ে আসা হয় । (https://tinyurl.com/y23arfny)

(৩) হিন্দু ধর্ম :

দিপাবলী পূজার সময় হিন্দুরা বাড়ি বাড়ি প্রদীপ জালায়। হিন্দুদের দাবি, নিকষ অন্ধকারেই অশুভ আত্মা ও অশুভ শক্তি সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাই এই অশুভ শক্তিকে দুর্বল করতে ঘরের প্রতিটি কোনায় কোনায় বাতি বা প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে। (https://tinyurl.com/y3tns69f)

(৪) শিখ ও জৈন :

হিন্দু ধর্মের দিপাবলীর দিনটি শিখ ও জৈন ধর্মাবলম্বীরাও পালন করে। তারা এ দিনটিতে মোমবাতি জ্বালায়। (https://tinyurl.com/y4267hol) তবে শিখরা এ দিবসটি নাম দিয়েছে Bandi Chhor Divas । (https://en.wikipedia.org/wiki/Bandi_Chhor_Divas)।

(৫) বৌদ্ধ ধর্ম:

মোমবাতি জ্বালিয়ে পূজা ও ধ্যান করা বৌদ্ধ ধর্মের অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। (https://tinyurl.com/y36kmjwb)

(৬) খ্রিস্টান ধর্ম:
আব্রাহামিক ধর্ম হলেও পরবর্তীতে খ্রিস্টান ধর্মেও পৌত্তলিকতা বা প্যাগানিজম প্রবেশ করে। তাই মৃত ব্যক্তির জন্য মোমবাতি জ্বালানো কালচারটা খ্রিস্টানদের একটি বড় কালচার। এ দিবসটি তারা পালন করে All Soul’s Day নামে। খ্রিস্টানরা এ দিবসটি পালন করে ২রা নভেম্বর। খ্রিস্টানদের মধ্যে রোমান ক্যাথলিক, বাইজেন্টাইন ক্যাথলিক, ইস্টার্ন অর্থডক্স, প্রটেস্টান্ট, অ্যাঙ্গলিকানদের মধ্যে এ দিবস পালনের রীতি দেখা যায়। (https://tinyurl.com/y485d8ud)

(৭) ইহুদী ধর্ম :
ইহুদী ধর্মের মধ্যে বর্তমানে অনেক পৌত্তলিকতা বা প্যাগানিজম ঢুকে গেছে। তাই মৃতব্যক্তিদের জন্য মোমবাতি জ্বালানোর কালচারটা ইহুদী ধর্মও করে। ইহুদীদের এ অনুষ্ঠানটির নাম Yahrzeit candle । এ সময় ২৬ ঘন্টা মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখা হয়। (https://en.wikipedia.org/wiki/Yahrzeit_candle)

“মৃতের আত্মাকে শান্তি দিতে মোমবাতি”
অথবা ‘মৃতকে স্মরণ করে মোমবাতি’
অথবা ‘মৃতকে আলো দিতে মোমবাতি’
এই তিনটি বিষয় ইসলামধর্ম ভিন্ন অন্য ধর্ম বা রিচুয়ালগুলো সমর্থন করে।

বাংলাদেশে একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র এবং দেশটির রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। এ অবস্থায় হঠাৎ করে প্রশাসনের উদ্যোগে, দেশটির একটি জাতীয় উপলক্ষকে (২৫শে মার্চ) কেন্দ্র করে এমন একটি সংস্কৃতি আমদানি করা হলো, যা দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সংস্কৃতি ও চেতনার সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। ধর্মনিরপেক্ষতার নাম দিয়ে বাংলাদেশে অনেক কিছুর প্রচলন করা হয়, কিন্তু এই মোমবাতি প্রজ্জলনটা তো ধর্মনিরপেক্ষও কোন সংস্কৃতি নয়, বরং আদি পৌত্তলিকদের কুসংস্কার বিশ্বাস থেকে আগত।

কেন সরকারী উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান ?
সরকার সম্ভবত চাইছে ২৫শে মার্চকে ইউনেস্কো থেকে স্বীকৃতি নিতে। এবং এখানে যে বিশ্বাসটি কাজ করছে, সেটা হলো পৌত্তলিক বা প্যাগান কালচার গ্রহণ করলে দ্রুত স্বীকৃতি নেয়া সম্ভব।  সেই বিশ্বাস থেকে সম্ভবত রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের উদ্যোগে এই মোমবাতি প্রজ্জলনের উদ্যোগ।

সরকার তার রাজনৈতিক অর্জন দেখানোর জন্য রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন দিবসগুলোকে জাতিসংঘের ইউনেস্কোতে তালিকাভূক্ত করাতে দৌড়ঝাপ করছে। কিন্তু এটা ভুল গেলে চলবে না, ইউনেস্কো বা জাতিসংঘ হচ্ছে সম্রাজ্যবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বেনামি অঙ্গসংগঠন, যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গোয়েন্দা সংস্থা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পেছনে জড়িত (https://bit.ly/2utAj0w )।

বিষয়টি এমন দাড়াচ্ছে, রাষ্ট্রের মহান অর্জনগুলোকে এমন দুষ্টু শক্তির কাছ থেকে আমরা স্বীকৃতি চাচ্ছি, যারা খোদ আমাদের রাষ্ট্রের বিরোধী। এবং সেই দুষ্টু শক্তির স্বীকৃতি আদায়ের জন্য আমাদের দেশের সংস্কৃতি ও ধর্মকেও বিসর্জন দিতেও দ্বিধা করছি না। যারাই এ ধরনের অপতৎপরতার পেছনে জড়িত তাদের কঠিন শাস্তি দাবী করছি।
















----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

জেসিন্ডার ইসলাম গ্রহণ বনাম মুসলমানদের ‘ভিগিল’ গ্রহণ


ক্রাইস্টচার্জে মসজিদে হামলার পর কিছু অনুষ্ঠান পালন করতে দেখা গেছে:
১) মৃতদের উদ্দেশ্যে মোমবাতি প্রজ্জলন
২) নিরবতা পালন
৩) মৃতকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো

মৃতদের উদ্দেশ্যে এ ধরনের ইভেন্টকে বলে ‘ভিগিল’, এটা এক ধরনের প্যাগান বা মূর্তি পূজকদের কালচার, যা ইতিমধ্যে অনেক কমিউনিটিতেই চালু হয়েছে, এবং অতি সম্প্রতি মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার পর অনেক মুসলমানকে দেখা গেছে নিউজিল্যান্ডে অমুসলিমদের সাথে মিশে এই কাজগুলো করতে।

অনেক আগের স্ট্যাটাসগুলোর মধ্যে আমি বলেছিলাম,
ইহুদীবাদীদের অনেকগুলো কাজের মধ্যে একটি কাজ হচ্ছে ইহুদী ধর্মাবলম্বী বাদে অন্য আব্রাহামিক ধর্মাবলম্বীদের (মুসলিম ও খ্রিস্টানদের)-কে প্যাগানাজিম বা মূর্তিপূজার দিকে নিয়ে যাওয়া। ‘ভিগিল’ হচ্ছে সেরকম একটি কালচার, যার মাধ্যমে দুঃখভারাক্রান্ত কোন সম্প্রদায়কে সহানুভূতি দেখানোর ছলে তাদের ভেতর প্যাগান কালচার প্রবেশ করানো হয়।

এবার আসুন একটু নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডনের পরিচয় সম্পর্কে কিছু ধারণা নেই-

১) জেসিন্ডা আরডেন খুব দরিদ্র পরিবারে থেকে এসেছে। ২০০১ সালে ফ্রি-মেসন সংস্থা থেকে জেসিন্ডা আরডেনকে অনুদান দেওয়া হয় এবং তার পড়ালেখাসহ যাবতীয় খরচ চালানো হয়।
(https://bit.ly/2UTxSQv)
বর্তমানেও ফ্রি-মেসনদের অনেক অনুষ্ঠানে তাই অতিথি হিসেবে থাকে জেসিন্ডা আরডেন।
(http://freemasonsnz.org/galleries)

২) জেসিন্ডা খ্রিস্টানদের মধ্যে মনমর গোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত। কিন্তু খ্রিস্টান ধর্ম সমকামীদের স্বীকৃতি দেয় না। তাই ২০০০ সালে সে খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে নিজেকে নাস্তিক বলে দাবী করে। (https://ind.pn/2W5t0rw)
জেসিন্ডা গে (পুরুষ সমকামী)-দের  স্বীকৃতির ব্যাপারে অনেক দিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। সে অনেক গে-প্যারেডেও অংশগ্রহণ করে। (https://youtu.be/rGPmGrklQGw)

৩) জেসিন্ডা বিয়েতে বিশ্বাসী নয়। সে বহুদিন ধরে ক্লার্ক গেফোর্ড নামক এক ব্যক্তির সাথে লিভ-টুগেদার করছে এবং তাদের ঘরে ১টি সন্তানও আছে।

৪) জেসিন্ডা আব্রাহামিক খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করলেও প্যাগান বিশেষ করে হিন্দু ধর্মকে গুরুত্ব দেয়। যার কারণে প্যাগান হিন্দুদের অনেক পূজায় সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতাসহ উপস্থিত থাকে জেসিন্ডা।
(https://bit.ly/2CEdNGH, https://bit.ly/2HShOdT, https://bit.ly/2usZMXK)

৫) জেসিন্ডা নিজেকে মানবতাবাদী বলে দাবী করে, কিন্তু সে আসার ১ বছরের মধ্যে ইরাক ও আফগানিস্তানে নিউজিল্যান্ডে সেনা অবস্থানের সময়সীমা বৃদ্ধি করে। (https://bit.ly/2YkACZ4)

সম্প্রতি জেসিন্ডাকে ‘ইসলাম ধর্ম’ গ্রহণ করার আহবান জানিয়েছে এক মুসলিম যুবক। এতে কোন সমস্যা দেখি না। তবে জেসিন্ডার উত্তর ছিলো বেশ কৌশলী। সে বলেছে, “ইসলাম মানবতার শিক্ষা দেয়, আমার মনে হয় আমার মাঝে সেটি (মানবতা) আছে”।

তবে আমার মনে হয়, জেসিন্ডার ‘মানবতা’ ও ইসলামের মানবতার মধ্যে তফাৎ আছে।
ক) জেসিন্ডা সমকামীতায় বিশ্বাসী, ইসলাম সমকামীতায় বিশ্বাসী নয়
খ) জেজিন্ডা লিভ-টুগেদারে বিশ্বাস, ইসলাম লিভটুগেদারে বিশ্বাসী নয়
গ) জেসিন্ডা ধর্ম ত্যাগে বিশ্বাসী, ইসলাম ধর্ম ত্যাগে বিশ্বাসী নয়
ঘ) জেসিন্ডা খুনিকে বাচিয়ে দেয়ায় বিশ্বাসী, ইসলাম খুনিকে বাচিয়ে দেয়ায় বিশ্বাসী নয়
ঙ) জেসিন্ডা ইরাক-আফগানিস্তানে সৈণ্য পাঠিয়ে আগ্রাসনে বিশ্বাসী, ইসলাম অন্যায়ভাবে কাউকে আগ্রাসন তৈরীতে বিশ্বাসী নয়।

তাই জেসিন্ডা যে মানবতার কথা বলেছে, সত্যিই বলতে ইসলাম সেই মানবতায় স্বীকার করে না।
তবে জেসিন্ডা যে কথিত মানবতা প্রকাশ করেছে, সেটা অনেকটা ফ্রি-মেসনদের মত মানবতা, যা আব্রাহামিক ধর্ম থেকে দূরে সরে প্যাগানিজমের মাধ্যমে মানবতার আলাদা একটি সংজ্ঞা তৈরী করা।

যাই হোক,
এবার আপনাদেরকে আরেকটি তথ্য দিচ্ছি। ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার পর ফ্রি-মেসনারীদের প্যাগানগ্রুপটি বেশ সক্রিয় হয়েছে এবং এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের মধ্যে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। আপনারা জানেন, আর কিছুদিন পরেই আসছে পহেলা বৈশাখ, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বিভাগ থেকে বের হবে প্যাগানদের অনুষ্ঠান ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’, যা আন্তর্জাতিক ইহুদীবাদীদের সংস্থা ইউনেস্কো থেকে স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে। তবে গত কয়েক বছর যাবত মূর্তিপূজারীদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণের কারণে এই মঙ্গল শোভাযাত্রার নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের আগ্রহ অনেকটাই কমে গিয়েছিলো। যার কারণে তাদের শোভাযাত্রায় খুব একটা লোক হচ্ছিলো না, এবং গত বছর প্রায় হায়হুতাশ পড়ে যায়। এ অবস্থায় সেই অনুষ্ঠানকে বাচিয়ে রাখতে মুসলমানদের টেনে সেই প্যাগান কালচারে নিয়ে আসা খুব জরুরী। তাই এবার মুসলমানদের আকৃষ্ট নতুন পদ্ধতি নিয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা। তারা এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য করবে নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলা। আমি নিশ্চিত, এই উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করায় অনেক মুসলমানই এবার মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ  করবে। (https://bit.ly/2HGKHKL)

মজার বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন,
জেসিন্ডা আরডন কিন্তু ইসলাম গ্রহণ করেনি,
কিন্তু নিউজিল্যান্ডের মুসলমানদের ভিগিল আর বাংলাদেশের মুসলমানদের মঙ্গল পূজা ধরিয়ে দিয়েছে।
এটাই হলো চতুর ফ্রি-মেসনারীদের বৈশিষ্ট্য।


----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, March 24, 2019

জেসিন্ডা খ্রিষ্টান সন্ত্রাসবাদীদের উগ্রতার ভিডিও লুকিয়ে ফেলতে যতটুকু ইচ্ছুক, তার থেকে বেশি ইচ্ছুক মুসলিম নামে কেউ অস্ত্র হাতে নিচ্ছে, হামলার ডাক দিচ্ছে সে খবর ছড়াতে !


নিউজল্যান্ডে হামলা হয় ১৫ই মার্চ,২০১৯
কিন্তু তার ১০-১১ দিন আগে, মানে ৪-৫ই মার্চ থেকে নিউজিল্যান্ডের মিডিয়ায় একটি খবর খুব প্রচারিত হয়। সেটা হলো, ‘কিউই জিহাদী’ মার্ক টেলরের খবর।

মার্ক টেলর হচ্ছে নিউজিল্যান্ড বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তি, যে ধর্মান্তরিত হয়ে আবু আব্দুল রহমান হয় এবং ২০১৪ সালে সিরিয়াতে যুদ্ধ করতে যায় বলে খবরে প্রকাশ। কিন্তু সম্প্রতি তাদের মিডিয়াতে প্রচারিত হয়, মার্ক টেলর কুর্দিশ বাহিনীর কাছে ধরে পড়েছে এবং সে নিউজিল্যান্ডে ফিরতে চাইছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিউজিল্যান্ডের মিডিয়া গত ৪ঠা মার্চ থেকে বেশ গরম হয়ে ওঠে এবং মার্ক টেলরের নামের সাথে ইসলামী ধর্মীয় নামকরণ ‘জিহাদী’ শব্দ যোগ করে বন্দুক, ছুরি, তলোয়ার হাতে ছবি বার বার প্রচার করতে থাকে। নিউজিল্যান্ডের নিউজহ্যাব, নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড, স্ট্যাফ, রেডিও নিউজিল্যান্ড, ওয়ান নিউজ, নিউজটক’ বার বার এই ছবিগুলো প্রকাশ হতে থাকে।
ক) https://bit.ly/2U6peAJ
খ) https://bit.ly/2Ousb9n
গ) https://bit.ly/2UaCILS
ঘ) https://bit.ly/2GYvAMr

যদিও মার্ক টেলর গ্রেফতার হয়েছে বলে দাবী করা হচ্ছে,
কিন্তু এই নিউজগুলো নিউজিল্যান্ডে সংখ্যালঘু মুসলিম কমিউনিটির জন্য খুব উদ্বেগজন ছিলো, কারণ এ ধরনের উন্মুক্ত অস্ত্র হাতে, ইসলামী নামে, আরবী হরফ সংযুক্ত ছবি প্রকাশ করায় দেশটিতে নতুন করে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার পরিবেশ তৈরী করা হয় মসজিদে হামলার মাত্র ১০-১১ দিন আগে। এছাড়া, ২০১৩ সালে একবার নিউজিল্যান্ডে মিডিয়া থেকে দাবী তোলা হয়, ক্রাইস্টচার্চের সেই আন নূর মসজিদ থেকে দুই জন মুসলিম ইয়েমেনে যুদ্ধ করতে যায় (https://bit.ly/2FtM4sK)। তাই নতুন করে ‘জিহাদী’ ‘জিহাদী’ রব তুললে ঐ আন নূর মসজিদের দিকে ইসলামবিদ্বেষীদের চোখ পড়ে। 

আমি একটি বিষয় দেখেছি,
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রাইস্টচার্চে হামলারকারীর ভিডিও প্রকাশ না করতে বার বার আহবান করেছে। তার আহবানে সারা দিয়ে ফেসবুক থেকে হামলার ১৫ লক্ষ ভিডিও ডিলিট করা হয়। এমনকি তুরষ্ক বিষয়টি প্রকাশ করায় এরদোয়ানের সমালোচনায় ফেটে পড়ে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই নয় নিউজিল্যান্ডের মিডিয়ায় যখন ব্রেন্টন ট্যারেন্টের ছবি প্রকাশ করা হয়, তার মুখ ঢেকে রাখা হয়।
(https://bit.ly/2CmRjK1)

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডেনের এ ধরনের আচরণ থেকে আমরা অনুমান করতে পারি, সে খুব শান্তিকামী, ধর্মের নামে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ুক, সেটা সে চায় না।  কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, জেসিন্ডা খ্রিষ্টান সন্ত্রাসবাদীদের উগ্রতার ভিডিও লুকিয়ে ফেলতে যতটুকু ইচ্ছুক, তার থেকে বেশি ইচ্ছুক মুসলিম নামে কেউ অস্ত্র হাতে নিচ্ছে, হামলার ডাক দিচ্ছে সে খবর ছড়াতে !! তাই নজির আমরা দেখতে পাই, মসজিদে হামলার ১১ দিন আগ থেকে নিউজিল্যান্ডের মিডিয়ায় মুসলিমবিরোধী চেতনার উদ্রেগ করতে পারে, এ ধরনের প্রচুর ছবি ছড়িয়ে দেয়া হয়। এমনকি ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার ৫ দিন পর যখন সন্ত্রাসী টারেন্টের ছবি লুকানো হচ্ছে, তখনও নিউজিল্যান্ডের মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে আইএস বাহিনী নিউজিল্যান্ডে হামলা করতে আসছে এবং কিছু কল্পিত ছবি প্রকাশ করে ইসলামফোবিয়া আরো দৃঢ় করা হচ্ছে। (https://bit.ly/2Ye0OEV)

গত পোস্টে, আমি যেটা বলতে চেয়েছি, হয়ত অনেকেই বিষয়টি ধরতে পারেননি।
আমি বলতে চেয়েছি,
জেসিন্ডা আরডেন মাথায় ওড়না দিতে যতটুকু আন্তরিক,
আরবীতে সালাম দিতে যতটুকু আন্তরিক,
কিন্তু মুসলিমদের উপর যারা হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে তাদের দমন করতে সে ততটুকু আন্তরিক নয়।

আমি যেটা বলতে চেয়েছি, জেসিন্ডা অবুঝ কোন ব্যক্তি নয় যে, সে কিছু জানে না।
ইরাক হামলার অন্যতম খলনায়ক টনি ব্লেয়ারের এক সময় পলিসি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছে এই জেসিন্ডা আরডেন (https://bit.ly/2U7DhGr) ।  তার লেবার পার্টির ক্রাইস্টচার্চ মেয়র লিয়াননি ডালজেইলের তত্ত্ববধানেই ২০১২ সালে ক্রাইস্টচার্চের রাস্তায় ব্রেন্টর ট্যারেন্টের মতাদর্শের সন্ত্রাসীরা (হোয়াইট সুপ্রিমিস্ট বলে যারা নিজেদের দাবী করে)  সবচেয়ে বড় মার্চ করে (https://bit.ly/2CAXzOC)। সেদিক বিবেচনা করলে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ বা মুসলিমবিরোধী ডানপন্থীদের কার্যক্রম সম্পর্কে নিজেকে ‘ভাজা মাছ উল্টে খেতে পারে না’ বলে দাবী করতে পারে না জেসিন্ডা।

সত্যি বলতে আমার একটা দোষ কি জানেন?
আমি কিছু কিছু  জিনিস সম্পর্কে হয়ত আমার একটু বেশি জানা আছে,
তাই যাদের জানা নেই, তাদের থেকে কিছু বিষয় নিয়ে আমার মাথা খেলে বেশি।

যেমন: ক্লাস ১০ এর একটা কবিতার বই,
সদ্য অক্ষর জ্ঞান পাওয়া শিশু শ্রেণীর একটা বাচ্চা ঐ কবিতার অক্ষরগুলো দেখে অ’আ’ক’খ’-ই দেখতে পাবে। কিন্তু ৫ম শ্রেনীর একজন ছাত্র হয়ত ঐ কবিতা কিছু পড়তে পারবে,কিন্তু কবিতার কথাগুলো নাও বুঝতে পারে। ১০ম শ্রেণীর ছাত্র ঐ কবিতার পড়ে তার অন্তর্নিহিত কিছু কিছু বিষয় অনুধাবন করবে। আর কোন সাহিত্যিক হয়ত ঐ কবিতাকে বিশ্লেষণ করে তার ভেতর লুকিয়ে থাকা কোন নিগুঢ় তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করবে।  সবাই একই কবিতা দেখছে, কিন্তু সবার যার যার বোঝার অবস্থাটা ভিন্ন ভিন্ন।

আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্কে যারা ধারণা রাখেন, তাদের চোখেও কিন্তু জেসিন্ডার প্রকাশ্য ইসলামপ্রিয়তার দৃশ্যটা সাধারণ চোখ থেকে ভিন্ন।

উল্লেখ্য-
মার্কিন সম্রাজ্যবাদের যে রাজনৈতিক নেটওয়ার্ক দেশ ও  বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছে তা দুটি রূপে ছড়িয়েছে।
১) ডেমোক্র্যাট
২) রিপাবলিকান

এই দু্ইটি গ্রুপের তাদের মূল পলিসি (শত্রু দমন করে সম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠা) নিয়ে কোন দ্বিমত নাই
কিন্তু সেই পলিসি বাস্তবায়ন করবে তা নিয়ে দ্বিমত আছে। তা নিয়ে রাজনীতি আছে।

প্রথম গ্রুপ ডেমোক্র্যাট’রা চায় তাদের সম্রাজ্যবাদ বিস্তার ঘটাবে  লিবারেল সিস্টেমে। এরা সংখ্যালঘু, নির্যাতিত, নারীবাদ, সমকামী, অভিবাসী, আদিবাসী, শান্তির বার্তার কথা বলে মূল লুক্বায়িত পলিসি বাস্তবায়ন করবে। ওমাবা, ক্লিনটন, হিলারী এরা হলো ঐ দলের সদস্য। সারা বিশ্বেই তাদের এই ডেমেক্রেট নেটওয়ার্ক আছে।  জেসিন্ডা আরডেন, জাস্টিন ট্রুডো, অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, প্রথম আলো, ব্র্যাক ঐ দলের সদস্য।

অপরদিকে রিপাবলিকানরা বলবে, জাতীয়তাবাদের কথা, ধর্মীয় চেতনার পক্ষে কাজ করার কথা, জাতীয়তাবাদ বিরোধীদের উচ্ছেদের কথা, দেশকে মুক্ত করার কথা। বুশ, ট্রাম্প হচ্ছে ঐ দলের সদস্য। আন্তর্জাতিকভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী  মোদি, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান এ দলের সদস্য।

যারা ডেমোক্রেট তারা অভিবাসন বা শরনার্থীদের পক্ষে বলবে, রিপাবলিকানরা শরনার্থীদের বিপক্ষে বলবে।
ডেমোক্রেটরা নারীবাদের পক্ষে বলবে, রিপাবলিকানরা নারীবাদের (গর্ভপাতের) বিপক্ষে বলবে
ডেমোক্রেটরা সমকামীতার পক্ষে বলবে, রিপাবলিকানরা সমকামীতাদের বিপক্ষে বলবে।
(https://bit.ly/2FxgJqs)

এজন্য জেসিন্ডা আরডেন-
অভিবাসনের পক্ষে বলবে
সমকামীদের পক্ষে মার্চ করে (https://youtu.be/rGPmGrklQGw)
নারীবাদের পক্ষ হয়ে গর্ভ অবস্থায় পার্লামেন্টে যায়, ইউরোপ সফর করে আলোচনা তুলে। (https://bit.ly/2Fme1CL)

তাই জেসিন্ডা আরডেনের মধ্যে সাধারণ মুসলমানরা যে ইসলামপ্রিয়তা দেখেছে,
সেটা আমার চোখে আন্তর্জাতিক ডেমোক্রেটদের খুব স্বাভাবিক রাজনীতি হিসেবে ধরা পড়েছে। সাধারণ মুসলমানরা যেটাকে মুসলমানদের প্রতি সহানুভূতি হিসেবে দেখেছে, আমি দেখেছি তার ডেমোক্রেট বহুমুখী চেহারার অংশকে।

তবে মুসলমানরা যেন মাথায় কাপড়ের টুকরা আর আরবী উচ্চারণ দেখে মনে না করে, তাদের উপর হামলা কমে যাবে।  জার্মানিতে যখন শরনার্থী আসা শুরু করলো, তখন ডেমোক্রেট প্যানেলের অ্যাঞ্জেলা মার্কেলও কিন্তু মুসলিম শরনার্থীদের প্রতি খুব সুন্দর সুন্দর কথা বলে সংহতি প্রকাশ করেছিলো (https://bit.ly/2Fme0ib)। কিন্তু এ দ্বারা শরনার্থীদের উপর হামলা বিন্দুমাত্র কমেনি বরং বেড়েছে।  ২০১৬ সালে জার্মানিতে গড়ে দৈনিক ১০টির মত মুসলিমদের উপর হামলা ঘটতো। ২০১৬ সালে ২,৫৪৫ জন শরণার্থীর উপর এবং আশ্রয়কেন্দ্রের উপর ৯৮৮টি হামলার ঘটনা ঘটে৷ (https://bit.ly/2WqyYUj)

আসলে ডেমেক্রেট বা রিপাবলিকানরা অভিবাসী বা মুসলমানদের পক্ষে বিপক্ষে কথা বলবে, রাজনীতির অংশ হিসেবে, কিন্তু এটা মানে এই নয় তারা কেউ মুসলমানদের পক্ষের লোক হয়েছে গেছে বা মুসলিমবিরোধী ষড়যন্ত্র বন্ধ করবে। তারা এগুলো করে শুধু রাজনীতি করবে, এর বেশি কিছু নয়।

সত্যিই বলেতে আমার কাছে রিপাবলিকানদের থেকেও ডেমোক্রেটদের মারাত্মক মনে হয়। কারণ রিপাবলিকানরা প্রকাশ্যে করে, কিন্তু ডেমেক্রেটরা মুখে মিষ্টি কথা বলে, কিন্তু পেছনে ছুরি মারে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডেন সম্ভবত সেই দলেরই সদস্য।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Friday, March 22, 2019

মুসলমানদের হৃদয় জয় করলো নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী


চট্টগ্রামে অনেক ছোট ছোট পাহাড় বা টিলা আছে, সেই পাহাড় আরোহণ করা কিন্তু কঠিন কোন বিষয় নয়। যে কেউ যে কোন উপায়ে সেই পাহাড় জয় করতে পারে। মাঝে মাঝে খবর আসে, ঐ পাহাড়গুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে মাটি ব্যবসায়ীরা।

অপরদিকে হিমালয় পাহাড়ের কথা ভাবুন, সারা বিশ্ব তাকে এক নামে চিনে। তার যেমন ওজন, তেমন উচ্চতা। সেই হিমালয় পাহাড় জয় করা কিন্তু সহজ নয়। পাশাপাশি ঐ হিমায়লকে কেটে নেয়ার কথা কেউ চিন্তাও করতে পারে না।

তারমানে যার ওজন যত বেশি, তাকে জয় করাও তেমন কঠিন।
আবার যাকে জয় করা কঠিন তার অস্তিত্বও তেমন শক্ত।
কিন্তু যাকে জয় করা সহজ, তার অস্তিত্বও  সহজ।

আমরা দেখতে পাচ্ছি,
নিউজিল্যান্ডে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় ৫০ জন মুসলমান নিহত হওয়ার পর নিউজল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সেই হতাহতের দায় নেয়া তো দূরের কথা, উল্টো মুসলমানদের হৃদয়-ই জয় করে নিয়েছে।
আহহা! কত সহজ মুসলমানদের হৃদয়,
একই সূত্রে মুসলমানদের অস্তিত্বও সহজ,
৫০-১০০ মুসলমান মরলে মুসলমানরাই এখন হিসেব করে না।
মাথায় একটা পট্টি বানলে, আর মুখে  দুই-চারটা আরবী শব্দ উচ্চারণ করলেই মুসলমানরা খুশি হয়ে যায়।
মুহুর্তেই ভুলে যায় ভাই হারানোর বেদনা, স্বজন হারানোর কষ্ট।
আসলেই কি মুসলমানদের আলাদা কোন অস্তিত্ব আছে ??

নিউজিল্যান্ডে ৫০ জন হত্যার পর মুসলমানদের প্রধান দাবী হওয়ার দরকার ছিলো:
১) নিউজিল্যান্ডে মৃত্যুদণ্ড বিধান নেই। তারমানে ৫০ জনকে হত্যা করেও ট্যারেন্টের মৃত্যুদণ্ড হবে না। ট্যারন্ট মুসলমানদের হত্যা করেছে এবং মুসলিম আইনে হত্যার বদলে হত্যা। তাই নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী যদি সত্যিই মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতির ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল হয় তবে, আইন পরিবর্তন করে ট্যারেন্টকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হোক।
২) ট্যারেন্ট এর খুনের সাথে ‘২৫ এপ্রিল-আনজাক দিবস’ দিবসের চেতনা জড়িত। রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা এই দিবসকে কেন্দ্র করেই নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় খ্রিষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও মুসলিম বিদ্বেষী চেতনার উদ্ভব ঘটে। নিউজিল্যান্ড যদি এতই মুসলিম প্রেমী হয়, তবে সেই ‘আনজাক দিবস’ নিউজিল্যান্ডে নিষিদ্ধ করুক। একটা বিষয় লক্ষ্য করবেন, বাংলাদেশের শিক্ষা সিলেবাস থেকে ‘জিহাদ’ নিয়ে আলোচনা বাদ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে শিক্ষা সিলেবাসে এই জিহাদ নিয়ে আলোচনার কারণে কি ৫০ জন অমুসলিম নিহত হয়েছিলো ? যদি নাই হয়, তবুও তো মুসলমানদের ধর্মীয় বিষয় বাদ দিতে হলো, অথচ অমুসলিমরা যে ‘২৫ এপ্রিল-আনজাক দিবস’ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে এতগুলো হত্যাকাণ্ড ঘটালো, সেই দিবস পালন বাদ দেয়ার কথা কেউ বললো না।
৩) শুধু এক ট্যারেন্টকে ধরলে হবে না, নিউজিল্যান্ডে যত মুসলিমবিদ্বেষী সংগঠন আছে সবগুলো নিষিদ্ধ করতে হবে। নিউজিল্যান্ডে প্রকাশ্যে সক্রিয় কট্টর মুসলিমবিদ্বেষী উগ্রডানপন্থী National Front, Western Guard,  Dominion movement nz এর মত সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করা উচিত। এক ওসামা বিন লাদেনকে কেন্দ্র করে পুরো আফগানিস্তানের  উপর হামলা করা হয়েছে, তখন তো ব্যক্তি বা সংগঠন হিসেব করা হয় নাই, সকল মুসলমানই জঙ্গী-সন্ত্রাসী হয়ে গিয়েছিলো। তাহলে খ্রিস্টানদের বেলায় হিসেব শুধু কেন ব্যক্তি পর্যায়ে হবে, কেন সকল খ্রিস্টান সন্ত্রাসী সংগঠন নিষিদ্ধ করা হবে না ?

আমার কথা হলো, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী যদি এত ইসলাম ও মুসলিম প্রিয় হয়, তবে ইসলাম ও মুসলিমবিদ্বেষী যে বিষয় আছে সেগুলো আগে বন্ধ করুক, সেটা না করে সে মুসলমানদের শান্ত করতে চাইছে কেন ?
বিষয়টা হলো, অপরাধ বা অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ভূক্তভোগীকে ব্যাথ্যা ভুলোনোর চেষ্টা,
যেন তাকে যতই মারা হোক, সে যেন প্রতিবাদ না করে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের আচরণ তো কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।
তাছাড়া, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নিজেই তো সন্দেহ থেকে দূরে নয়। ব্রেন্টন ট্যারেন্ট বহুদিন আগে থেকে ওয়েবসাইটে প্রকাশ্যে মুসলিম হত্যার ছক কষেছিলো ও ঘোষণা দিচ্ছিলো। কিন্তু কেন নিউজিল্যান্ড সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলো না? বাংলাদেশের মত দেশেও কোন লোক এ ধরনের ঘোষণা প্রকাশ্যে দিলে তাকে কয়েকঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে তারা চুপ ছিলো কেন ? নিউজিল্যান্ড সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগীতা পেয়েই যে ব্রেন্টন বড় ঘটনা ঘটালো না, সেটা কি করে বিশ্বাস করা যায় ? বিশেষ করে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যে বাসে চড়ে ছিলো, সেই বাস চালকের আচরণও সন্দেহজনক ছিলো। মসজিদের ভেতর গুলি হচ্ছে জেনেও সে বাংলাদেশ ক্রিকেটবাহী বাসকে টেনে দূরে না নিয়ে মসজিদের সামনেই দাড়িয়ে ছিলো। এখানে পুরো প্ল্যানটাই সাজানো মনে হয়, তাই নিউজিল্যান্ড সরকারের বর্তমান অতিভক্তি প্রদর্শন তাদের বিশ্বাসঘাতক বহুরূপী চরিত্রকেই প্রকাশ করে।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

বাংলাদেশের ইকোনোমিক হিটম্যান !!!


জনপার্কিন্সের লেখা `এক অর্থনৈতিক ঘাতকের স্বীকারক্তি' বইয়ে `জন পার্কিন্স' নিজেকে অর্থনৈতিক ঘাতক বা ইকোনোমিক হিটম্যান বলে দাবী করেছিলো। জনপার্কিন্স জানায়, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ’র মত আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে তারা কাজ করে। তাদের কাজ হচ্ছে ভুল আার্থিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করে বিভিন্ন দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ভুল পথে পরিচালিত করা এবং সম্রাজ্যবাদীদের গোলাম বানানো।

সম্প্রতি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বলেছে, বাংলাদেশ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৮.১৩% এবং মাথাপিছু আয় হবে ১৯০৯ ডলার। এই তথ্যের উৎস বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) (https://bit.ly/2CtQkIk)।

উল্লেখ্য
বিশ্বব্যাংক বলেছিলো, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৭%
(https://bit.ly/2OkNKJ9)
আর আইএমএফ বলেছিলো প্রবৃদ্ধি হবে ৭.১%
(https://bit.ly/2OhMsyB)।

কিন্তু বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ থেকেও তাদের পূর্বাভাস বাড়িয়ে বাড়িয়ে ৮.১৩% বলে ঘোষণা করলো।  উল্লেখ্য বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর বর্তমান মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন (অতিরিক্ত সচিব), তাকে উপর থেকে সাপোর্ট দেয় পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী।
অতিরিক্ত সচিব কৃষ্ণা গায়েন নামটা ফেসবুক জগতের কাছে অধিক পরিচিত, কারণ কৃষ্ণা গায়েনের বোন হলো কট্টর ইসলামবিদ্বেষী ও গোমাতা আদর্শে বিশ্বাসী অদিতি ফাল্গুনী গায়েন। (ফেসবুক আইডি: https://www.facebook.com/audity.falguni.9)

জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি কি নির্দেশ করে ?
জিডিপি সূত্র: জিডিপি = ভোগ + বিনিয়োগ + (সরকারী ব্যয়) + (রপ্তানি − আমদানি)

ক) জিডিপি যেহেতু ব্যয়ের উপর ভিত্তি করে গণনা করা হয়,
তাই জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়লে বুঝতে হবে মানুষের ব্যয়ও বেড়ে গেছে।
আগে মানুষ যে চাল ৪০ টাকা করে কিনতো, সেটা ৬০ টাকা করে কিনে।
তাই জিডিপি বেড়েছে।

খ) জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়লে বোঝায় যায়, সরকার অনেক অনেক উন্নয়ন (!) প্রকল্প গ্রহণ করতেছে। এবং সেতু-ফ্লাইওভারের নাম দিয়ে দেশকে ঋণের বোঝায় ডুবায় দিচ্ছে।

গ) জিডিপির প্রবৃদ্ধি যেহেতু বিনিয়োগের উপর ভিত্তি করে, তাই ব্যাংক থেকে ঋণ বা বিনিয়োগের নাম করে যে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে সেটাও জিডিপির প্রবৃদ্ধিকে বেগবান করেছে। তাই জিডিপির প্রবৃদ্ধি ব্যাংক লুটপাটও নির্দেশ করে।

এবার আসুন মাথাপিছু আয়ের হিসেবে।
পরিসংখ্যা ব্যুরো দাবি করছে করছে মাথাপিছু আয় ১৯০৯ ডলার।
১৯০৯ ডলার= ১ লক্ষ ৫২ হাজার, ৭২০ টাকা
১২ মাসে আয় ১,৫২,৭২০ টাকা হলে ১ মাসের আয়= ১২,৭২৬ টাকা
বাংলাদেশের প্রত্যেক জনগণের মাথাপিছু আয় এটা। সেটা ৯০ বছরের বৃদ্ধ হোক, ১ দিনের শিশু হোক।
সে হিসেবে ৫  জন সদস্যের একটি পরিবার যদি ধরি,
তবে ১টি পরিবারের মাসিক আয় = ১২,৭২৬ গুন ৫ = ৬৩,৬৩০ টাকা

এবার আমাকে বলুন,
বাংলাদেশে কতগুলো পরিবার আছে, যাদের মাসিক আয় ৬৩ হাজার টাকা ?
শহরে পরিবারগুলোর মধ্যে মাসিক আয় ৬৩ হাজার টাকা কতগুলো পরিবারের আছে ?
আর গ্রামের পরিবারগুলোর মধ্যে মাসিক আয় ৬৩ হাজার টাকা কতগুলো পরিবারের আছে ?
এই হিসেব শেষ না করা পর্যন্ত মাথাপিছু আয় ‘খায় না মাথায় দেয়’ সেটাই বোঝা যাচ্ছে না।

জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয় কোন রাষ্ট্রগুলোতে ?
উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে-
বাংলাদেশের থেকে বেশি জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আছে,
লিবিয়া, ইথোপিয়া, ঘানা, গিনি, আর্মেনিয়া, আইভরি কোস্ট
(https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_countries_by_real_GDP_growth_rate)

উল্লেখ্য লিবিয়া যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশ, যেখানে পশ্চিমা কোম্পানিগুলো গণহারে তাদের তেল সম্পদ তুলে নিয়ে যাচ্ছে, তাই তাদের প্রবৃদ্ধিও অর্ধশত মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
একইভাবে ইথোপিয়া, গিনি, আইভরি কোস্টসহ আফ্রিকার দেশগুলোতে চলছে গৃহযুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষ। সেখানে বিদেশী সেনা মোতায়েন করে চলছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি।
ঘানার অর্থনীতি খারাপ বলে তাদের ফুটবলাররা নিজ দেশে ভাত না পেয়ে বাংলাদেশে এসে চুরি-চামারিতে যুক্ত হচ্ছে। আর্মেনিয়াতে কিছুদিন আগে চরম দারিদ্রতার কারণে জনগণের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী সার্জ সার্গিয়ান । (https://bit.ly/2HS8FlV)

সরকার কেন জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে দেখায় ?
বিদেশী সম্রাজ্যবাদীদের আকৃষ্ট করার জন্য, বিনিয়োগ বা ঋণের নামে তাদের ডলার নেয়ার জন্য।
কারণ বিদেশীরা যত ঋণ দিবে, সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের নামে তত বেশি লোপাট করতে পারবে।
জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি দ্রুত বৃদ্ধি নির্দেশ করে, বিদেশীদের আসার পথ অধিকহারে উন্মুক্ত।
মজার ব্যাপার হলো আগে বিশ্বব্যাংক আর আইএমএফ এসব ভুয়া পরিসংখ্যান দেখিয়ে ভুক্তভোগী রাষ্ট্রগুলোকে আকৃষ্ট করতো,
কিন্তু এখন বাংলাদেশ সরকার নিজের আমলা-কর্মকর্তাদের দিয়ে এসব ভুয়া পরিসংখ্যান তৈরী করছে দেশকে নিলামে তোলার জন্য।

জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি বাড়তে থাকলে আমরা কেমন অর্থনীতির দিকে যাবো ?

যেহেতু বাংলাদেশের থেকে বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত, দুর্ভিক্ষক্লিষ্ট ও রোগাক্রান্ত লিবিয়া, ইথোাপিয়া, আইভরি কোস্ট, ঘানা, গিনি বা আর্মেনিয়ার। তাই বাংলাদেশের যত প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে তত বাংলাদেশ লিবিয়া, ইথোাপিয়া, আইভরি কোস্ট, ঘানা, গিনি বা আর্মেনিয়ার মত হয়ে যাবে, যেসব দেশ প্রাকৃতিকভাবে অনেক সম্পদপূর্ণ, কিন্তু তাদের বিশ্বাসঘাতক শাসকরা টাকার লোভে সেসব সম্পদ বিদেশী সম্রাজ্যবাদীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে এবং শেষে ঐ দেশের মানুষ নিজের প্রাণ দিয়ে সেই বিশ্বাসঘাতকতার মূল্য পরিশোধ করছে।

ছবি : বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন (অতিরিক্ত সচিব)

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

সড়ক দূর্ঘটনা: মূল সমস্যাটা হলো জনসংখ্যা নিয়ে

নিরাপদ সড়ক চাই
বিচার চাই, জেল চাই
আইন চাই, ফাঁসি চাই
ফ্লাইওভার চাই, মেট্রোরেল চাই
অমুক চাই, তমুক চাই
আরো কত কিছু চাই,
কিন্তু কিছুতেই কিছু হবে না রে ভাই
মূল গলদটা যে কি, এটা কেউ বুঝে না
মূল সমস্যা সমাধান না করে, তোমরা যত ‘চাই’ ‘চাই’ করো কোন সমাধান হবে না।

চালক এক্সিডেন্ট করলে তাকে ফাঁসি দিতে হবে
তাহলে ডাক্তারের চিকিৎসারত অবস্থায় কোন রোগী মারা গেলে ঐ ডাক্তারকেও তো ফাঁসি দিতে হবে।
তীব্র জ্যামের মধ্যে ১০ সেকেন্ডের জন্য যখন সিগনাল ছাড়ে, তখন আমরাই পেছন থেকে বাস ড্রাইভারকে বলি, “তাড়াতাড়ি টানেন, তাড়াতাড়ি টানেন নয়ত আরেক সিগনালে আটকে যাবেন।”
তখন বাস ড্রাইভার জান পরান দিয়ে টান দেয়,
তখন যদি কেউ রাস্তা পারাপার হতে যায়, তবে বাসের চাকায় পিষ্ট হওয়া খুব স্বাভাবিক।
আবার গতিশীল বাস, একজন পথচারিকে বাচাতে যদি হার্ড ব্রেক কষে
তবে হুমকির মুখে পড়তে পারে বাসের অর্ধ শতাধিক যাত্রী। তাই সমস্যা সব খানেই আছে।

আসালে
মূল সমস্যাটা হলো জনসংখ্যা নিয়ে,
ঢাকা শহরের জনসংখ্যা অনেক বেশি।
এত বেশি মানুষ যখন কম যায়গার মধ্যে থাকে, তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটা খুব স্বাভাবিক। আর বেশি মানুষ হলে নিয়মশৃঙ্খলা হাজার চেষ্টা করে রাখতে পারবে না। আমি আগেও বলেছি, ঢাকা শহরে মাত্র ২৬০ বর্গকিলোতে প্রায় ২ কোটি জনসংখ্যা থাকে, এই ঘনত্বটা কতটা বেশি, সেটা বোঝার জন্য বলছি, এই সমঘনত্ব যদি পুরো বাংলাদেশে থাকতো, তবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা হতো ৮০০ কোটির বেশি, যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা থেকেও বেশি।
তাই সবার প্রথমে ঢাকা শহরকে বিকেন্দ্রীকরণ করে ঢাকা শহরকে হালকা করতে হবে। তখন হাজারটা নিয়ম করুন, দেখবেন তখন সবাই নিয়ম মানবে, এর আগে হাজার আইন করে আপনি নিয়ম মানাতে পারবেন না।
যে যাত্রী বা চালকের ১ কিলো যেতে ১ ঘন্টা লাগে, যে তো মানসিক বিপর্যস্ত, আর মানসিক বিপর্যস্ত লোক কি আইন মানবে ? অমুক লাইসেন্স, তমুক ফিটনেস সার্কিফিকেট করে আন্দোলন করেও কোন লাভ হবে না, বরং এতে আপনার ক্ষতি। এইসব আন্দোলন করে আপনারা সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারিদের পকেট ভারি করার বাড়তি সুযোগ করে দিচ্ছেন এবং যার শেষ পরিণতি হলো আপনার যাতায়াত ভাড়া আরো বাড়বে। গত বছর নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর পুলিশের আইজিপি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর অজুহাতে লেগুনা বন্ধ করে দিছিলো। এতে শুরুতে যাত্রী দুর্ভোগের শেষ ছিলো না। পরে কয়েকদিন পর আবার চালু করে দেয়। খবর নিয়ে জানা গেলো, আগে পুলিশ চাদা নিতো ৫০০ টাকা, এখন নিচ্ছে ৯০০। ফলশ্রুতিতে লেগুনার বাড়তি ভাড়া গুনতে হলো যাত্রীদের। (https://bit.ly/2Tis01u)
একইভাবে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর সরকার “সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮” আইন করে। আগের আইনে কারো কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে ৫০০ টাকা জরিমানা হতো, কিন্তু নতুন আইনে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে। তবে বড় কথা হলো, এই জরিমানার এক-তৃতীয়াংশ পাবে যে ট্রাফিক ঐ গাড়ি ধরবে, সে। নতুন আইন জারি হলে, পাবলিক কতটা ফাদেঁ পড়বে এবং ট্রাফিক-পুলিশ কতভাবে আর্থিক ফায়দা নেবে তা সময়-ই বলে দেবে।

যেহেতু সব আন্দোলনের শেষ ফলাফল জনবিরোধী হয়ে যায়, তাই কোন আন্দোলন করলে তার দাবীগুলো বুঝে শুনে করা উচিত এবং ফায়দা যেন জনকল্যানে হয়, সেটা খেয়াল রাখা উচিত।
তাই আমার মনে হয়, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের প্রথম দাবী হওয়া উচিত ছিলো,
ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা। ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করলেই ঢাকার জনসংখ্যা কমবে, তখন যত খুশি নিয়ম-আইন করুন, সব আইন মানা সম্ভব হবে।

[ বি:দ্র: বিকেন্দ্রীকরণ মানে কিন্তু উচ্ছেদ নয়। পুরান ঢাকার কেমিক্যাল কারখানা সরিয়ে নেয়ার নামে যেটা সরকার করতে চেয়েছিলো সেটা হলো উচ্ছেদ। বিকেন্দ্রীকরণ করার নিয়ম হলো ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পকে অধিক সুযোগ সুবিধা দিয়ে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা শহরে ট্র্যান্সফার করতে আকৃষ্ট করা। সরকার তাদের সুযোগ সুবিধা দিলে তারা নিজেরাই সেগুলো সরিয়ে নিয়ে যাবে, আর তখনই খালি হবে ঢাকা, এর আগে না। ]

এখানে বোঝার বিষয় হলো, সরকার কিন্তু নিজেই ঢাকা শহরের যানজট নিরসন করতে আগ্রহী নয়। সে নিজেই চায় না, যানজট শেষ হয়ে যাক। কারণ যতদিন যানজট আছে, সেটাকে পূজি করে ফ্লাইওভার-মেট্রোরেলের মত বড় বড় প্রজেক্ট নেয়া যাবে, আর লোপাট করা যাবে লাখ লাখ কোটি টাকা। তাই সঠিক উপায়ে ব্যবস্থা নিয়ে যদি যানজট শেষ হয়ে যায়, তবে সেই ‘আলাদিনের চেরাগ’ আর পাবে কোথায় ?

আরেকটি কথা মনে রাখতে হবে,
আমরা আন্দোলন করবো, খুব ভালো কথা,
কিন্তু এই আন্দোলনটা যেন কেবলই ছাত্র-জনতার হয়।
কোন বিশেষ মহল যেন সেই ছাত্র-জনতাকে তার ও তার দলের কোন বিশেষ স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে সেটাও মনে রাখা প্রয়োজন।
৯০ এর দশকে বাংলাদেশে গাছ লাগানোর জন্য অনেক আন্দোলন হয়েছে,
সেই আন্দোলনের রেশ ধরে অনেক গাছও এসেছে, ফান্ড করেছে বিশ্বব্যাংক, ঋণ দিয়েছে ব্র্যাক।
কিন্তু এখন বোঝা যাচ্ছে, আমরা আন্দোলন করে যেই গাছগুলো (ইউক্যালিপটাস, আকাশমনি) নিয়ে আসলাম সেগুলো আমাদের পরিবেশের জন্য উল্টো ক্ষতিকর।
তাই আন্দোলন করার আগে, খুব খেয়াল করতে হবে, আমার আন্দোলনের ফলটা যেন আরেকজন ঘরে না তুলতে পারে না এবং আমাদের ক্ষতি করতে না পারে।

শেষ কথা বলতে চাই,
এক আন্দোলন দিয়ে আমরা আরেক আন্দোলনকে যেন ধামাচাপা না দেই, সেটা খেয়াল রাখাও জরুরী।
গত সোমবার সন্ধার সময় পাহাড়ে উপজাতি সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৮ জন নিহত এবং ডজন খানেক আহত হওয়ার পর আমাদের বাংলাদেশীদের বড় আন্দোলন হওয়ার কথা ছিলো পাড়ারে যেন সেনাক্যাম্প আরো বাড়ানো হয় এবং উপজাতি সন্ত্রাসীদের দমন করা হয়, সেটা নিয়ে। কিন্তু সেটা না করে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মঙ্গলবার সকাল থেকে পরিস্থিতি ঘুরে গেলে সড়ক আন্দোলনের দিকে।
আপনারা হয়ত জানেন, বাংলাদেশে পাহাড়ে উপজাতিদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ টিকে থাকুক এবং এক সময় তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হোক, এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তসংস্থা সিআইএ’র বহুদিনের প্ল্যান। কিন্তু পাহাড়ে সেনাক্যাম্প ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বেশি হলে সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে পারছে না তারা। এজন্য বহুদিন ধরে তারা সেনাক্যাম্প সরাতে চাপ দিয়ে যাচ্ছে এবং বহুলাংশে সফলও হয়েছে। সেনাক্যাম্প সরানোর মূলে প্রধান মূখপাত্র হিসেবে কাজ করছে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা। পাহাড়ে যখন বড় ধরনের খুনোখুনি হলো, তখন সবার মুখে শ্লোগান হওয়ার দরকার ছিলো পাহাড়ে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধির বিষয়ে। কিন্তু পরদিন সকাল মানে মঙ্গলবার সকালে একটা সড়ক দুর্ঘটনার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায় এবং পুরো দেশের মানুষের মোড় ঘুরে সবাই সড়ক আন্দোলন নিয়ে কথা বলা শুরু করে। সিআইএ মূখপাত্র দৈনিক প্রথম আলো এক্ষেত্রে মিডিয়া সাপোর্ট কতটুকু দিয়েছে, সেটা আমার থেকে আপনারাই ভালো জানেন।  তাই কে কখন কোন ইস্যু তুলছে, কোন স্বার্থে তুলছে সেটার দিকেও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা ছাত্র-জনতা সবার জন্যই জরুরী।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, March 20, 2019

দেশটাকে কি তাহলে শেষ করে দিবেন ?


গত মাসে “১০ বিলিয়ন ডলারের সার্বভৌম তহবিল অনুমোদন” শীর্ষক একটি খবর আমার নজরে আসে। এই খবরের সারমর্ম হচ্ছে, বাংলাদেশের রিজার্ভে যে ৩২ বিলিয়ন ডলার আছে, এর থেকে প্রাথমিকভাবে ২ বিলিয়ন এবং ৫ বছরের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে একটি ফান্ড করা হবে। এই ফান্ডের সাহায্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প গড়তে বিদেশী ফান্ড নিয়ে আসা হবে।  (https://bit.ly/2FbMwfd)

বিষয়টি একটু ব্যাখ্যা করা দরকার। ধরুন, বাংলাদেশে কোন একটা ফ্লাইওভার করতে ১০ হাজার কোটি টাকা দরকার। ধরলাম বিশ্বব্যাংক বা জাপানের সাথে চূক্তি হলো এই ফ্লাইওভার বানাতে তারা টাকা দিবে। কিন্তু বিশ্বব্যাংক বা জাপান এই টাকাটা দেয়ার আগে সরকারকে বলবে তারা যেন কমপক্ষে সেই ফ্লাইওভারের শুরুতে ৫০০  কোটি টাকা খরচ করে, তবে তারা বাকি ৯৫০০ কোটি টাকা দেবে।

কিন্তু সরকারের এই ধরনের আলগা অর্থ দেয়ার  সংকট হওয়ায়  অনেক প্রকল্প গ্রহণ করলেও শুরুটা দিতে পারে না বলে অনেক কাজই আটকে থাকে। তাই বিদেশের টাকাও আনতে পারে না। বিদেশের টাকাগুলো আনা যেন সহজ হয়, তাই জনগণের সম্পদ রিজার্ভের টাকার দিকে হাত বাড়িয়েছে সরকার।

‘সার্বভৌম তহবিল’ করলে ভালো হবে না খারাপ হবে ?

১) আমার দৃষ্টিতে সার্বভৌম তহবিল হচ্ছে জনগণকে মেরে ফেলার চূড়ান্ত প্ল্যান। এতদিন শুরুর টাকার অভাবে অনেক বিদেশী ঋণ সরকার আনতে পারছিলো না, ফলে দেশও সহজে ঋণে জড়াচ্ছিলো না। কিন্তু ১০ বিলিয়ন ডলার হাতে পেলে সরকার ১০ বিলিয়ন ডলার দেখিয়ে দেশকে বিদেশীদের কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলার ঋণী করে তুলবে এবং প্রচুর টাকা্ আত্মসাৎ তথা লুটপাট করতে পারবে।

২) উন্নয়ন প্রকল্পের নামে বিদেশীদের থেকে প্রচুর ঋণ আসলে তার পাহাড়ের নিচে চাপা পড়বে জনগণ। বর্তমানে দেশের মাথাপিছু ঋণ প্রায় ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু গণহারে নতুন বিদেশী ঋণ আসলে মাথাপিছু ঋণ ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষে পৌছাবে। যা এক অর্থে দেশকে বিক্রি করে দেয়ার সামিল। ঐ অবস্থা বিদেশী ঋণদাতারা বাংলাদেশ নিয়ে যা খুশি তাই করতে পারবে এবং দেশের জনগণ ও ভূমির উপর অনেক বৈদিশীক সম্রাজ্যবাদী নিয়মনীতি চাপিয়ে দিবে।

৩) এর আগে আমরা দেখেছি সরকার ফিলিপাইনের জুয়ার কোটে রিজার্ভের টাকা নিয়ে গেছে। তারমানে রিজার্ভের বিরাট মজুদের দিতে তার লোভী চোখ পড়েছে। অথচ এই রিজার্ভ সম্পর্দের উপর দেশের অর্থনীতি বা মুদ্রার ভিত্তি নির্ভর করে। সেখান থেকে যদি ১০ বিলিয়ন ডলারের টাকা তুলে নেয়া হয়, তবে দেশের অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা তৈরী হতে পারে, দেখা দিতে পারে বড় ধরনের মুদ্রাস্ফীতি। তখন টাকার মান এতটা নেমে যেতে পারে যেন, বাংলাদেশের মানুষকে জিম্বাবুয়ের মত ১ বস্তা টাকা নিয়ে ১টা পাউরুটি কিনতে যেতে হবে।

৪) আপনারা মাঝে মাঝে খবর দেখবেন, “১০ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন”, “২০ হাজার কোটি টাকার ৩০ প্রকল্প অনুমোদন” এই ধরনের খবর প্রতিনিয়ত ভুড়ি ভুড়ি থাকে। দেখলে মনে হবে যেন, বাংলাদেশে প্রচুর টাকা, আর উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে দেশ। কিন্তু বাস্তবতা হলো, কথিত এই প্রকল্পগুলো হলো জনগণের জন্য ব্যয় বাড়ানোর ফাদ আর সরকারের লুটপাটের নতুন ধান্ধা।

বর্তমানে এই প্রকল্প এত বেশি হয়ে গেছে যে, খবরে এসেছে,

ক) “প্রকল্প ভারে ন্যুব্জ সংশোধিত এডিপি: মূল এডিপিতে প্রকল্প ছিল ১৪৫১টি, সেটি বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১৯১৬টি, আরো বাজেট চাই” (https://bit.ly/2Wc7q4R)

খ) প্রকল্পের ভারে পিষ্ট পরিচালকরা (https://bit.ly/2UGBNjj)

গ) কাজ শেষ না করেই ৩শ’প্রকল্পের সমাপ্তি, টাকা শেষ (https://bit.ly/2W8JKOQ)

৫) আমি আপনাদের আগেই একটা সূত্র শিখিয়েছিলাম কর্পোরেটোক্রেসির বিরুদ্ধে, “উন্নয়ন চাই না, খরচ কমান”। কর্পোরেটোক্রেসি মানেই সরকার আপনাকে উন্নয়ন প্রকল্প দেখিয়ে লুটপাট করবে আর অন্যদিকে খরচ বাড়িয়ে সেই টাকা কয়েকগুন উসুল করবে।  যেমন:
ক) বৈদেশিক ঋণের ভারে নুয়ে পড়েছে রেল। বর্তমানে চলমান ৪৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য নেয়া ৬৩ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ পরিষদের তাই এবার ট্রেনের যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে গড়ে ২৫ ভাগ ভাড়া বাড়ানোর উদ্যোগ (https://bit.ly/2TQhgvL)
খ) এলএনজি টার্মিনাল দেখিয়েও সরকার অনেক উন্নয়ন উন্নয়ন করেছিলো, সেই টার্মিনাল বানাতে এডিবি থেকে ফান্ডও নিয়ে এসেছিলো। এখন সেই এলএনজি টার্মিনালে বছরে ২৮ হাজার কোটি টাকার গ্যাস আমদানি করতেছে সেটার জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে, ফলে জনগণের জীবনযাত্রা ব্যয় কয়েকগুন বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাস্তবে সেই গ্যাস জনগণের কোন উপকারে লাগবে না, কিন্তু খরচ বহন করতে হবে জনগণকেই।
সরকার যে কর্পোরেটোক্রেসি নামক নতুন পলিসি দিয়ে দেশ বিক্রির ধান্ধা শুরু করেছে, সেটা সম্পর্কে আপনাদেরকে আমি আগেই খবর দিয়েছিলাম, এবার ধারবাহিকভাবে আপনারা মিলিয়ে দেখুন।

যাই হোক, কর্পোরেটোক্রেসি দিয়ে কিভাবে দেশ দখল করতে হয়, তার বর্ণনা ইকোনোমিক হিটম্যান ‘জন পার্কিন্স’র লেখা এক অর্থনৈতিক ঘাতকের স্বীকারক্তি বইয়ের ১৫ পৃষ্ঠার কিছু বলা আছে, সেটা দিয়েই স্ট্যাটাস শেষ করছি:

“আমরা অর্থনৈতিক ঘাতকরা যে কাজটি সবচেয়ে ভালোভাবে করতে পারি সেটা হচ্ছে বিশ্ব সাম্রাজ্যকে গড়ে তোলা। আমরা হচ্ছি এমন একটি বিশেষ শ্রেণী যা আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজে লাগিয়ে বাকি বিশ্বকে আমাদের কর্পোরেটক্রেসির গোলামীর শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা। এই কর্পোরেটক্রেসিই সরকার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোকে নিরঙ্কুশ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। মাফিয়ার সদস্যদের মতই অর্থনৈতিক ঘাতকরা সুযোগ-সুবিধা বিলায়। এগুলো মূলত ভৌত অবকাঠামো, যেমন- বিদ্যুৎকেন্দ্র, হাইওয়ে, সমুদ্রবন্দর, সেতু, রেললাইন, বিমানবন্দর ও শিল্প স্থাপনা নির্মাণের জন্য ঋণ প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এসব ঋণের মূল শর্ত হচ্ছে এই যে, এসব ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের কাজ যে কোন আমাদের কোম্পানীকে অবশ্যই দিতে হবে। তাই প্রকৃত অর্থে ঋণের অর্থ কখনই আমাদের বাইরে যায় না.............। ঋণের অর্থ হাতে না পেলেও ঋণগ্রহীতা দেশকে এই ঋণ সুদে আসলে পরিশোধ করতে হয়। যখন একজন অর্থনৈতিক ঘাতক পুরোপুরিভাবে সফল হয় তখন ঋণের অংক বিশালাকার ধারণ করে। তখন কয়েক বছরের মধ্যেই ঋণগ্রহীতা দেশটি ঋণখেলাপিতে পরিণত হতে বাধ্য হয়। যখনই এই ঘটনা ঘটে তখনই আমরা মাফিয়ার মত ঋণখেলাপী দেশটির টুঁটি চেপে ধরে আমাদের স্বার্থ হাসিল করি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘে আমাদের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট প্রদান, ঋণখেলাপী দেশে আমাদের সামরিক ঘাঁটি স্থাপন, আমাদের বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোর হাতে ঋণখেলাপী দেশের প্রাকৃতিক সম্পদকে তুলে দেয়া অথবা ঋণখেলাপী দেশের উপর দিয়ে অবাধে আমাদের যাতায়াতের অধিকার অর্জন করা। তারপরেও ঋণখেলাপী দেশটি আমাদের কাছে ঋণীই থাকে। সেই সাথে আমাদের বিশ্ব সম্রাজ্যে আরেকটি দেশ সংযুক্ত হয়।...।”

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------