Sunday, September 15, 2019

মুসলিমদের কূটনৈতিক পলিসি শেখা উচিত – ২

“হিন্দুদের পূজায় ছুটি না দিলে অন্যায় হয়ে যাবে, আমরা হিন্দু-মুসলিম মিলে একটা সম্প্রীতির মধ্যে থাকি।”
যেসব বাংলাদেশী মুসলিম ভাইরা হিন্দুদের ছুটির কথা উঠতেই উপরের বাক্যটি চিন্তা করলেন,
তাদের উদ্দেশে বলতে চাই- আপনাদের থেকে আরো বেশি সম্প্রীতির পক্ষে ছিলো আসামের মুসলমানরা।
হিন্দুরা কিন্তু তাদেরকে রক্ষা করে নাই।
কলকাতার মুসলমানরাও কম সম্প্রীতি বাক্য কপচায় নাই। তাদেরও সময় আসতেছে।
আজকে মিডিয়াতে দেখলাম- পশ্চিমবঙ্গের এক নেতা বলছে- পশ্চিমবঙ্গ থেকে মুসলমানদের গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হবে। (https://bit.ly/2kmrmoo)
সত্যি বলতে আমি এখানে খারাপ কিছু দেখি না। এই সব সম্প্রীতির মুসলমানদের গলা ধাক্কা দিয়েই বের করে দেয়া উচিত।
তারা গলা ধাক্কা পাবারই যোগ্য, হিন্দুরা ঠিক করে এদের গলা ধাক্কা দিয়ে।
অনেকে বলবে- পূজায় ১৫ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে, কি এমন ক্ষতি হয়ে যাবে ?
অবশ্যই হবে, এটা দিয়ে বাংলাদেশের হিন্দুদের অবস্থান জানান দেয়া হবে এবং
বাংলাদেশের মুসলমানরা যে হিজরা হয়ে যাচ্ছে, এটা পরিমাপ নির্দেশ করবে।
কারণ- আপনি কিন্তু শুধু পূজার ছুটি দেখলেন, কিন্তু আমি তো গত কয়েকদিন আরো অনেক কিছু দেখছি-
১) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে গরুর মাংস নিষিদ্ধ করল হিন্দু অধ্যক্ষ
(https://bit.ly/2kBpKr1)
২) আসামের এনআরসি থেকে বাদ পরা হিন্দুদের বাংলাদেশের অর্পিত সম্পত্তি দিয়ে পুনর্বাসন করা হোক : বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট
(https://bit.ly/2mhEOKN)
৩) লালমনিরহাটে মসজিদ নির্মাণ কাজে ভারতের বিএসএফের বাধা
(https://bit.ly/2kxnq4h)
এই খবরগুলো কিন্তু এমনি এমনি নয়, এগুলো মধ্যে অনেক কিছু লুকিয়ে আছে।
আমি ১৫ দিনের ছুটির বিষয়টি এ কারণে আনলাম-
আপনি ভাবতেছেন, এই ১৫ দিনের ছুটি বোধ হয় আপনি মহতী হয়ে দিচ্ছেন।
তারা কিন্তু এই ১৫ দিনের দিনের ছুটি মহতী হয়ে নিচ্ছে না, বরং প্রভাব বিস্তার করার অংশ হিসেবেই নিচ্ছে।
যার দরুণ, ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১টা হিন্দু হাজার হাজার মুসলিম ছাত্রের গরুর মাংশ খাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে,
ভারতের বিএসএফ এসে বাংলাদেশের মসজিদে মসজিদ নির্মাণে বাধা দিচ্ছে,
এমনকি বাংলাদেশের ২৫% মুসলিমকে বাস্তচ্যূত করে সেই সম্পত্তি (অর্পিত) ভারতীয় হিন্দুদের বুঝিয়ে দিতে বলছে,
তাও তা বলছে এক বাংলাদেশী হিন্দু!
শুধু তাই নয়, যে বুয়েট দূর্গা পূজার জন্য পরীক্ষা পিছিয়ে দিলো, সেই বুয়েটের জমি অন্যায্য ভাবে দাবী করছে হিন্দুরা।
তারা বুয়েটকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জমি হিসেবে দাবী তুলেছে। (https://bit.ly/2kxnrFn)
অবশ্য এর মধ্যে হিন্দুদের দখলে রেখেছে বুয়েটের আড়াই একর জমি (https://bit.ly/2lPvJZm)।
আমি যখন এলাকার ছেলেপেলেদের সাথে চলতাম, তখন আমার গ্রুপের একটা নীতি ছিলো।
নীতিটা হলো- কেউ কিছু ভালোভাবে চাইলে দিতো, কিন্তু ত্যাড়ামি করে চাইলে দিতো না।
বলতো- “কিরে তুই আমার কাছে ত্যাড়ামি করে চাইলি কেন ? তোকে দিবো না।”
বতর্মানে হিন্দুরা যে ১৫ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করতে পারছে, এটা কিন্তু তাদের মুসলমানদের মিউচুয়াল থাকার অংশ না।
বরং মুসলমানদের উপর প্রভাব বিস্তার করার অংশবিশেষ, যা অন্যান্য সেক্টরের দিকে তাকালে স্পষ্ট হয়।
আর আপনি যখন তার ১৫ দিনের ত্যাড়ামি মেনে নিলেন, তখন সে বুঝলো- আপনি মানসিকভাবে দুর্বল।
তাই সে আপনার বিরুদ্ধে যা কিছু করুক, এমনকি আপনাকে মারতে যে যদি আমরিকান সৈন্যও নিয়ে আসতে চায়,
তবে আপনি কিছু করতে পারবেন না, কারণ তার বিরুদ্ধে বলার আপনার মানসিক শক্তিই নেই।
---“আপনি সমাজে অশান্তি তৈরী করেন, আপনার মত লোকদের কারণে সমাজে সমস্যা হয়”---
না ভাই ! আমি সমাজে অশান্তি তৈরী করি না, আমার কারণে সমাজে সমস্যাও তৈরী হয় না। আমি বরং চাই, সমাজে সমস্যা হওয়ার আগেই তা যেন থামিয়ে দেয়া যায়।
আপনি যেটা ৫ বছর পর চিন্তা করবেন, আমি তা এখনই চিন্তা করিয়ে দিতে চাই।
আজকে যারা অতি-সম্প্রীতি ধজ্জা ধরে আছে, সেক্যুলার বলে দাবী করছে,
তারা কি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবে- বাংলাদেশে হিন্দুরা কোন সমস্যা তৈরী করলে তা সে থামাতে পারবে ?
আমার মনে হয় না। উগ্র হিন্দুরা ঝামেলা শুরু করলে এই সব সেক্যুলাররা লেজ গুটায় পালাবে,
অনেক ক্ষেত্রে মুসলিম হলে হিন্দুরা সেই সব সেক্যুলারদের আগে শেষ করবে।
যেমন- ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার আগে, সবচেয়ে বেশি সেক্যুলারিজমের কথা বলতো স্থানীয় মুসলিম এমপি এহজান জাফরী।
কিন্তু দাঙ্গা শুরু হওয়ার পর হিন্দুরা প্রথমে তাকেই মেরেছে, সেক্যুলার না ফেক্যুলার গোনার টাইম নাই।
একটা কথা মনে রাখবেন-
নিউক্লিয়াস আয়তনে বড় হলেও চার্জ নিরপেক্ষ আর ইলেকট্রন ছোট হলেও তা ঋণাত্মক।
একের পর এক ইলেকট্রন যখন নিউক্লিয়াসের উপর আসতে থাকে, তখন এক সময় গোটা নিউক্লিয়াসই কিন্তু ঋণাত্মক হয়ে যায়।
সে কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ থাকতে পারে না।
তাই হিন্দুত্ববাদের বিপরীতে আপনি যদি ভাবেন নিরপেক্ষ বা সেক্যুলার হয়ে থাকবেন, তবে পারবেন না।
এক সময় তারা আপনাকে ধরাশায়ী করে ফেলবে। আপনাকে দিয়ে হরে কৃষ্ণ হরে রাম পড়াবে।
আপনাকে হিন্দুত্ববাদের কাছে ধরশায়ী করা হবে, আপনি কিছুই করতে পারবেন না্।
সত্যি বলতে-
লক্ষণ যা দেখা যাচ্ছে, তাতে বাংলাদেশে পরিস্থিতি কিন্তু আর ভালো হবার নয়।
মুসলমানরা আরো কোনঠাসা হবে, হিন্দুরা আরো চাপতেই থাকবে।
তাই সময় থাকতেই সচেতন হোন।
আমি বলছি না, আপনি এখনই দাঙ্গা শুরু করুন। বরং তাদের বিরুদ্ধে সচেতনতার সাথে পলিসি প্রয়োগ করুন।
তারা যে মানসিক প্রেসার তৈরী করতে চাইছে, সেটা আগে দমন করুন।
তবে এর জন্য প্রথম প্রয়োজন আপনার নিজের মানসিকতা পরিবর্তন।
নয়ত ওদের হিংস্র আক্রমণের কাছে আপনি পরাজিত হবেন, এটা নিশ্চিত।