Wednesday, January 31, 2018

আনিস আলমগীর সরস্বতী মূর্তিকে ‘সেক্সি’ বলায় যদি ৫৭ ধারায় মামলা হয়, তবে দাঙ্গা লাগালোর উৎসাহ দাতা রাজীব চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা হবে না কেন?


ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে এমন অজুহাত দিয়ে সাংবাদিক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে বাদি হয়ে মামলা করেছে পুজা উদযাপন পরিষদের আইন সম্পাদক এড. সুশান্ত বসু ।

খুব ভালো কথা। কিন্তু পূজা উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন সদস্যরা যখন মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে, সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে স্ট্যাটাস দেয় তার বিরুদ্ধে কে মামলা করবে ?

আপনাদের মনে থাকার কথা, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ, কোতোয়ালী থানা শাখা, চট্টগ্রাম মহানগরের সিনিয়র সহসভাপতি রাজীব চৌধুরী মিল্টন “সংখ্যালঘু নির্যাতন রোধে চট্টলায় এলাকাভিত্তিক প্রতিরোধ টিম ও জনসচেতনতা তৈরি” নামক একটি ইভেন্টে বিভিন্ন দেশীয় ধারালো অস্ত্রের ছবি দিয়ে বলে-

“কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ যেমন ধর্ম রক্ষার্থে ব্রম্মাস্ত্র ধারন করেছিলেন, তেমনি আমাদেরও প্রস্তুুতি ঠিক থাকা চাই।

সময় এসেছে প্রতিরোধ করবার, বসে বসে মার হজম করার দিন শেষ।

আমাদের সকলের ঘরে এরকম একটি খড়গ থাকা চাই।

জয় শ্রী কৃষ্ণ, জয় গোবিন্দ গোপাল।”

সূত্র: http://bit.ly/2ebuxqE

রাজীব চৌধুরী মিল্টন এর ফেসবুক আইডি-https://www.facebook.com/rcmilton

সাংবাদিক আনিস আলমগীর সরস্বতী মূর্তিকে ‘সেক্সি’ বলায় যদি ৫৭ ধারায় মামলা হয়, তবে পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য রাজীব চৌধুরী মিল্টন অস্ত্রের ছবি দিয়ে মুসমানদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা উৎসাহ দিলে কি মামলা হবে না ? আপনারা কি বলেন ??


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদ্রাসা ছাত্রদের ভর্তি হওয়ায় গা-জ্বালা করছে মেসবাহ কামালের


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসা ছাত্রদের ভর্তি হওয়ায় গা-জ্বালাতন হওয়া মেসবাহ কামালের ফেসবুক আইডি ঘেটে আমি ঠিক বুঝলাম না, সে কোন এলাকার অধিবাসী ?
কলকাতা, বার্মীজ উপজাতি নাকি বাংলাদেশ ?
তবে প্রথম দু’টোই বেশি মনে হলো।

আপনারও চেক করে দেখতে পারেন।
মেসবাহ কামালের ফেসবুক্ আইডি-https://www.facebook.com/mesbah.kamal.39



===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Tuesday, January 30, 2018

যেখানে রবীন্ত্রনাথ মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কিংবা নবীর জীবনী অস্বীকার করে, সেখানে মাদ্রাসায় তার গান গাইতে কেন বাধ্য করা হবে ?


শুদ্ধভাবে দলগতভাবে জাতীয় সঙ্গীত চর্চার নির্দেশ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) আওতাধীন দেশের সব মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দলগত জাতীয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতা আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে। (http://bit.ly/2E14TVK)

আমার জানা মতে, মাদ্রাসা তৈরী হয়েছে মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া স্থান। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ এমন এক ব্যক্তি যে নিজেই মুসলমানদের ধর্ম সম্পর্কে নাক শিটকিয়েছে। এ সম্পর্কে মোতাহার হোসেন চৌধুরী শান্তি নিকেতনেকবি রবীন্দ্রনাথকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আপনার লেখায় ইসলাম ওবিশ্বনবী সম্পর্কে কোনো কথা লেখা নেই কেন? উত্তরে কবি বলেছিলো, 'কোরআন পড়তে শুরু করেছিলুম কিন্তু বেশিদূর এগুতেপারিনি আর তোমাদের রসুলের জীবন চরিতও ভালো লাগেনি। [তথ্যসূত্র: বিতণ্ডা, লেখক সৈয়দ মুজিবুল্লা, পৃ -২২৯ ]"

যেখানে রবীন্ত্রনাথ মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কিংবা নবীর জীবনী অস্বীকার করে, অনাগ্রহ প্রকাশ করে, সেখানে ধর্মীয় শিক্ষালয়গুলোকে কেন রবীন্দ্রনাথের গান গাইতে বাধ্য করা হবে ? সেখানে রবীন্দ্রনাথের গান গাওয়া কতটুকু যৌক্তিকতা থাকতে পারে ?

একটু আগে খবর দেখলাম, শিক্ষামন্ত্রনালয়ের দুর্নীতির সাথে শিক্ষামন্ত্রীর স্ত্রী জোহরা জেসমিনও জড়িত (http://bit.ly/2GvfGpq) । তারমানে জামাই-বউ মিলে একত্রে দুর্নীতি করে এরা দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন শেষে এসেছে ধর্মীয় শিক্ষালয়ের ধর্মটুকুও তুলে দিতে।

সত্যিই বলতে এই চোরগুলোর আসলে লজ্জা নেই। কথায় বলে- “ন্যাংটার নেই বাটপারের ভয়।” টাকলা নাহিদ এতটা লজ্জাহীন হয়ে গেছে, তার আর কিছুতেই লজ্জা লাগছে না। এ চোরগুলোকে জনতার আদলতে তুলে গণপিটুনি দিয়ে নুড করে পাবলিকলি শুলে চড়ানো উচিত। তবে এদের দেখে যদি বাকিদের কিছুটা হলেও লজ্জা পয়দা হয়।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

রিপোর্টারকে নিউজ করতে নিষেধ করে ঘুষ দিচ্ছে দেব দয়াল (চঃ দাঃ)


কুষ্ঠিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বেহাল অবস্থা নিয়ে যমুনা টিভি নিউজ করতে গেলে যমুনা টিভির রিপোর্টারকে ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করে কুষ্টিয়ার সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-প্রধান প্রকৌশলী দেব দয়াল সরকার। (http://bit.ly/2nplyYM)

দেব দয়াল সরকার লিখে গুগলে সার্চ দিতে বেড়িয়ে আসলো তার পরিচয়।

দেব দয়াল সরকারের পিতার নাম কল্পনাথ সরকার, বাড়ি- ঝিনাইদহের শৈলকুপার বাঘিনী গ্রাম।

দেব দয়াল সরকারের পরিচিতিতে লেখা আছে-

জনাব দেব দয়াল সরকার (পরিচিতি নম্বর-৪০০৭১৭)

উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (চঃ দাঃ) ।

জনাব দেব দয়াল (চঃ দাঃ) সাহেব কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা কোঠার লোক। মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দিয়ে দয়াল (চঃ দাঃ)র অবসর গ্রহণের বয়স ১ বছর বাড়িয়ে ৬০ বছর করে। সে দিক থেকে হিসেব অনুযায়ী দেব দয়াল (চঃ দাঃ) মাত্র ১২ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো !!! (http://bit.ly/2BDxtqI)

যাই হোক,

জনাব দেব দয়াল (চঃ দাঃ) নিয়ে গুগল করতেই আরো কিছু খবর চোখে পড়লো-

দৈনিক কালেরকণ্ঠ ৬ই আগস্ট ২০১৫ তারিখে “জোড়াতালির রাস্তা বর্ষায় জলাবদ্ধতা” শিরোনামে এক রিপোর্ট করে। সেখানে দেব দয়াল (চঃ দাঃ) কে রাস্তার বেহাল অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে সে বলে, “ এলাকার মানুষের কথার কোনো ভিত্তি নেই। কারণ তারা সড়কের কাজ সম্পর্কে কিছু না বুঝেই মন্তব্য করে। আর ছোটখাটো সংস্কার ছাড়া গত ১০ বছরে সড়কটি সংস্কারে বড় কোনো প্রকল্প অনুমোদন হয়নি। ফলে সড়কটি খারাপ থেকে আরো খারাপ আকার ধারণ করেছে।”

অথচ ডাটা বলছে, ২০১৪ সালে ১কোটি ২০ লক্ষ এবং ২০১৫ সালে ৭ কোটি ২০ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয় রাস্তা সংস্কারে।

দেব দয়াল (চঃদাঃ) যে প্রায় মিথ্যা কথা বলে তার প্রমাণ মেলে ১৩ই এপ্রিল, ২০১৫ সালে একটি লোকাল পোর্টালে। সেখানে রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করার নাম করে ২২ লক্ষ টাকা নেয়। সাংবাদিক জিজ্ঞেস করলে সে প্রথমে বলে ৫ লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছে এবং পরে স্বীকার করে ১৭ লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছে। (http://bit.ly/2DP4E0M)

২০১৭ সালের জুন মাসে সাংবাদিকরা তার সাথে রাস্তার বেহাল অবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে দেব চঃ দাঃ বলে, “আমাদের অফিসে জনবল কম। তাই মহাসড়কের দেখভালো আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে।” (https://goo.gl/nhqHEC)

দেব দয়াল (চঃ দাঃ) কে নিয়ে গুগল করতে আরো তথ্য বেড়িয়ে আসলো। বিপুল অর্থ ব্যয়ে রাস্তা নির্মাণের পর মাত্র ২ মাসের মধ্যে রাস্তায় ফাটল তৈরী হলে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এবং সরকারি কর্মচারি বিধিমালার আন্ডারে মামলা দায়ের হয়। কিন্তু তদন্তের দায়িত্ব সওজের উপসচিব আনোয়ার হোসেন চৌধুরী তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে বলে, দেব দয়াল (চঃদাঃ)’র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সত্য নয়। ফলে ছাড়া পেয়ে যায় দেব দয়াল (চঃদাঃ)। এবং ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধার সার্টি্ফিকেট দেখিয়ে সে চাকুরী ১ বাড়িয়েও নেয়। (http://bit.ly/2EpNuDW)

এত প্রকাশ্য দুর্নীতি করে দেব দয়াল (চঃদাঃ) বার বার ছাড়া পাওয়া প্রমাণ করে তার উপর আশির্বাদস্বরূপ রয়েছে মন্ত্রনালয়ের শীর্ষ পর্যায়ে হাত। এবং সেই হাত যে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পৌছেছে তাতে সন্দেহ নাই।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করলেও দেব দয়াল (চঃদাঃ)’র যমুনা টিভির রিপোর্টারকে ঘুষ দেয়ার চিত্র অস্বীকার করা যাবে না। অবিলম্বে দেব দয়াল (চঃদাঃ)কে তার পদ থেকে বহিষ্কার করা হোক এবং দুর্নীতির টাকা জব্দ করে সেই টাকায় চাল ক্রয় করে দরিদ্র জনগণের মধ্যে ফ্রি বিলিয়ে দেয়া হোক।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

তিন বেলা পেট ভরতে চাল লাগে, ফ্লাইওভার-মেট্রোরেল, সেতু, রাস্তা, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পেট ভরায় না।


তিন বেলা পেট ভরতে চাল লাগে, ফ্লাইওভার-মেট্রোরেল, সেতু, রাস্তা কিংবা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পেট ভরায় না। দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে বলে শুধু কতগুলো ইট-সিমেন্টের কাঠামো দেখানো হয়, কিন্তু চালের দাম বাড়ায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণী যে ভাত খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে সে খবর সরকারের নেই।
আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে ‘কর্পোরেটোক্রেসি’ ষড়যন্ত্রের শিকার । কর্পোরেটোক্রেসি বাস্তবায়নের তিনটি ধাপ- প্রথমত: পূজিপতি বা সম্রাজ্যবাদী কর্পোরেট, মাঝের ধাপ : ব্যাংক, শেষের ধাপ : দুর্নীতিগ্রস্ত গণতান্ত্রিক সরকার। ‘অক্সফাম’ বলছে বিশ্বের ৮২ শতাংশ সম্পদ আছে মাত্র ১% ধনীর হাতে। কর্পোরেটোক্রেসি এমন এক পলিসি যার মাধ্যমে পুরো সামান্য সামান্য কিছু লোকের হাতে চলে আসবে, বাকিরা না খেয়ে মরে যাক, তাতে সমস্যা নাই।
যেমন : পৃথিবীর শীর্ষ ৫ ধনীর মধ্যে দুইজন হচ্ছে স্পেনের ব্যবসায়ী আমানচিও ওরতেগা (সম্পদ ৬৭ বিলিয়ন ডলার) এবং মেক্সিকোর ব্যবসায়ী কার্লোস স্লিম হেলু (সম্পদ ৫০ বিলিয়ন ডলার)। এদের সম্পদের দিকে তাকালে কিন্তু আপনি স্পেন ও মেক্সিকোর অর্থনৈতিক অবস্থা বুঝবেন না। স্পেনের প্রায় ৪০% এবং মেক্সিকোতে প্রায় ৫০% লোক চরম দরিদ্র অবস্থায় জীবন যাপন করে। (https://goo.gl/cqeJWchttps://goo.gl/EHHejt)
হিসেবটা খুব সোজা, রাষ্ট্র উচু উচু ফ্লাইওভার বানাবে, সেটা বানানোর খরচ নেয়া হবে আপনার পকেট থেকে। সেই খরচ যোগাতে গিয়ে আপনার চালের দাম বেড়ে ৫ গুন হবে। সেই ফ্লাইওভার বানানোর সময় আপনাকেই রাস্তায় যানজট সহ্য করতে হবে। আপনার সারা দিনের রুটি-রোজগার কমে যাবে। কিন্তু ফ্লাইওভার বানানোর পর আপনি সেই ফ্লাইওভারে উঠতে পারবেন না। কারণ আপনি রিকশায় চড়েন, লোকাল বাসে চড়েন। সেই ফ্লাইওভারে উঠবে যাদের প্রাইভেট কার আছে তারা। তারা দ্রুত কর্মস্থলে যাবে, তাদের সাশ্রয় হবে। তাদের ব্যবসা বাণিজ্য ভালো হবে। আর এভাবেই একটা দেশের গবীরদের টাকা ধনীদের পকেটে চলে যায়। ধনীরা ফুলে-ফেপে আরো ধনী হয়, আর গরীবরা না খেতে পেয়ে মারা যায়। বলাবাহুল্য বাংলাদেশের গরীবদের টাকা শুধু বাংলাদেশের ধনী নয়, আন্তর্জাতিক কর্পোরেট বা ধনীদের পকেটে যাওয়া শুরু করেছে। আর এটাকেই বলা হচ্ছে ‘কর্পোরেটোক্রেসি’।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

‘পদ্মবত’ মুভি : মুসলমানদের বিরুদ্ধে উগ্র হিন্দুদের দাঙ্গা বাধানোর উস্কানি


‘পদ্মবত’ মুভি সম্পর্কে জানাতে হলে আপনাকে আগে জানতে হবে, ২০১৩ সালে বাংলাদেশের ক্লাস ৯-১০ এর পাঠ্যবইয়ে রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায়ের লেখা ‘স্বাধীনতা’ নামক একটি কবিতা ছিলো, যা মুসলমানদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে ২০১৭ সালে বাদ দেয়া হয়। ঐ স্বাধীনতা কবিতা আর এই পদ্মাবত মূভি একই জিনিস। স্বাধীনতা কবিতাটি ‘পদ্মিনী উপাখ্যান’ কাব্য থেকে সংকলন করা হয়েছিলো। ঐ সময় ‘স্বাধীনতা’ নামক কবিতার বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে আমি একটা আর্টিকেল লিখেছিলাম, যা

পেইজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আর পাওয়া যাচ্ছে না, তবে গুগল সার্চ করে এ লিঙ্কে (http://bit.ly/2rSOiyD) লেখাটা পেলাম। সেখানে মুল ঘটনা বিস্তারিত পাবেন।

পদ্মবত মুভি আসলে কি?

হিন্দুরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদের স্বগোত্রীয়দের উস্কানি দিতে নানান ভ্রান্ত গল্প বানায়। এসব ভ্রান্ত গল্পকে পূজি করে তারা যুগে যুগে মুসলমানদের বিরুদ্ধচারণ করেছে, ‍মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাঙ্গাকে বৈধতা দিয়েছে। যেমন “বাবরী মসজিদের স্থানটি হচ্ছে রামের জন্মস্থান, তাই সেটা ভাঙ্গতে হবে।” কিংবা “তাজমহল হিন্দু মন্দির ছিলো তাই তা ভাঙ্গতে হবে”, “আরবের কাবা ঘর মূলত শিব মন্দির”। এ ধরনের বহু আজগুবি গল্প বা হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা তারা যুগে যুগে বানিয়ে হিন্দুদেরকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে উস্কাতো। বাংলাদেশে ভুয়া সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা সাজানোও একই বিষয়। বাস্তবে যার কোন অস্তিত্ব নেই। মূলত পদ্মাবত মুভি বা পদ্মিনী উপখ্যান সেই স্বভাব থেকেই উদ্ভব।

পদ্মবত মুভির ঘটনায় হিন্দুরা গল্প সাজিয়ে বলে, ‘পদ্মিনী’ হচ্ছে একজন রাজপুত রানী। ১৪শ’ শতাব্দীতে দিল্লীর সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি নাকি ঐ নারীর রুপের কথা শুনে পাগল হয়ে যান এবং চিতোর আক্রমণ করে। হিন্দুরা আরো গল্প সাজায়, ঐ সময় মুসলিম শাসক আলাউদ্দিন খিলজি ও তার বাহিনী থেকে নিজেদের সম্ভ্রম বাচাতে নাকি পদ্মিনীসহ ১৩ হাজার হিন্দু নারী আগুনে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলো।

মুসলমানরা আসার আগে ভারত কত অনুন্নত ছিলো সে ইতিহাস সবার জানা। প্যাগান গোষ্ঠীদের অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ থেকে মুসলমানরা উদ্ধার করে আলোর পথ দেখায়। বিজেপি মাত্র ৪ বছর ক্ষমতা পেয়ে বলে সমস্ত মুসলমানকে বের করে দেয়া হবে। অথচ মুসলমানরা ভারত ৬০০ বছর একচেটিয়া শাসন করে যদি সত্যিই হিন্দুদের উপর নির্যাতন করতো, তবে ভারত বর্ষে এখন একটা হিন্দুও যেতো না। উল্লেখ্য, হিন্দুরা যে সাম্প্রদায়িক ইনটেনশন নিয়ে কাজ করে, তার প্রমাণ- মুসলমানদের আসার আগে হিন্দুরা বৌদ্ধ ধর্মের বিলুপ্তি ঘটায় (http://bit.ly/2rPR6w8)

তারপরও এখন সারা ভারত জুড়ে মুসলিমবিরোধী সেন্টিমেন্ট বিশেষ করে দাঙ্গা উস্কে দিতে এসব ইতিহাস বিকৃত সিনেমা তৈরী করা হচ্ছে। কথিত ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের দেশ ভারতে কত উগ্র সাম্প্রদায়িক পরিবেশ বিরাজ করছে তার নিকৃষ্ট প্রমাণ এ পদ্মাবত মুভি। উল্লেখ্য, এ মুভির বিরুদ্ধে উগ্রহিন্দুদের একটি গোষ্ঠী শুরু থেকে বিরোধীতা করে। এ বিরোধ থেকে হয়ত অনেকে ভেবেছে মুভিটি মনে হয় এন্টি-হিন্দু। আসলে তা না। মুভির কাহিনীর প্রয়োজনে একটি দৃশ্যে কথিত পদ্মবতীকে কথিত আলাউদ্দিন খিলজীর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে দেখানো হয়, আর তাতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে উগ্রহিন্দুরা। যদিও পুরো মুভির এন্টি মুসলিম সেন্টিমেন্ট ঠিক আছে। তবে আমার খারাপ লেগেছে অন্য কারণে। হিন্দুরা বানোয়াট চরিত্র ‘পদ্মবতী’র জন্য মাঠে নামলো, কিন্তু মুভিটিতে যে মুসলমানদের সুলতান আলাউদ্দিন খিলজীকে মিথ্যা ইতিহাস দিয়ে বিকৃত করে (পশুর মত) উপস্থাপন করা হলো তার প্রতিবাদ কোন মুসলমান করলো না। বর্তমানে মুসলমানদের কঠিন অবস্থার জন্য মুসলমানদের বোবা থাকা একটি কারণ।

তবে একই সাথে আলোচনা করা যায়, এ ধরনের একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক ঘটনা কিভাবে বাংলাদেশের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্য করা হলো ? কেন ৪ বছর (২০১৩-১৬) তাদের এ ইসলামবিদ্বেষী পড়তে বাধ্য করা হয়েছিলো ? শিক্ষামন্ত্রী নাহিদের এ কারণে কেন বিচার হলো না ??

মজার ব্যাপার হচ্ছে, এ ধরনের একটি সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেয়ার ঘটনা যখন পাঠ্যবই থেকে বাদ দেয়া হলো, তখন বাংলাদেশের কথিত অসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী মাঠে নেমে বললো- বাংলাদেশের পাঠ্যবই নাকি সাম্প্রদায়িক করা হয়েছে !! আশ্চর্য !!!


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, January 28, 2018

বাল্যবিবাহ বিরোধীরাই মূলত ব্যাকডেটেড

বাংলাদেশে এখন বাল্যবিবাহ বিরোধী যে আইন চলে তা মূলত, ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন -১৯২৯ হতে আগত’। এ আইনটিকে তখন এ নামে ডাকা হতো না। ডাকা হতো- ‘সারদা আইন’ নামে। আইনটি তৈরী করেছিলো হরবিলাস সারদা নামক এক ব্যক্তি, যাকে ব্রিটিশরা আনুগত্যতার দরুণ ‘দেওয়ান বাহাদুর’ উপাধি দিয়েছিলো।
হরবিলাস সারদা ছিলো হিন্দু হিতৈষী। সে হিন্দুদের জন্য বইও লিখেছিলো, নাম- হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ব (Hindu Superiority)। ঐ সময় বাল্যবিবাহ নিয়ে আইন হিন্দুদের জরুরী হয়ে পড়ে, তার অন্যতম কারণ- ‘যৌতুক প্রথা’। অনেক হিন্দু বাবা-মা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে মেয়েকে যৌতুক দিতে পারতো না, ফলে মেয়েটি বয়ঃপ্রাপ্ত হয়ে গেলে তাকে ‘আইবুড়ো’ নামে ডাকা হতো এবং বিয়ে দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়তো। এ আইনে মেয়েদের নূন্যতম বিয়ের বয়স করা হয়েছিলো ১৪ বছর। এতে হিন্দু বাবা-মায়েরা অন্তত যৌতুক রেডি করার জন্য কিছুটা সময় পেতো।
হরবিলাস সারদা মূলত ১৯২৭ সালে যে আইনটি তৈরী করেছিলো তা ‘হিন্দু বাল্যবিবাহ আইন’, পরবর্তীকালে কৌশল করে তা হিন্দু-মুসলিম সবর উপর চাপিয়ে দেয়া হয়। যাই হোক, ঐ সময় সারদা আইনের অন্যতক বেইজ ধরা হয় Age of Consent বা যৌন সম্মতির বয়স বা নারীদের বয়ঃপ্রাপ্তির সময়কে। ঐ সময় এ অঞ্চলের নারীরা সাধারণত ১৪ বছর বয়সে বয়সঃপ্রাপ্তি হতো। (https://goo.gl/cxSGYb ) উল্লেখ্য ১৯৮৪ সালে আইনটিকে সংশোধন করে মেয়েদের বিয়ের বয়ষ ১৮ এবং ছেলেদের ২১ করা হয়।
অতি সম্প্রতি বিজ্ঞানিরা আবিষ্কার করেছেন, সময় যত কাছে আসছে, ছেলে ও মেয়েরা তত তাড়াতাড়ি বয়:প্রাপ্ত হচ্ছে। কয়েক বছর আগে, জার্মান বিজ্ঞানিরা এক গবেষণায় দাবি করে-
১৮৬০ সালে মেয়েরা বয়ঃপ্রাপ্ত হতো ১৬.৬ বছর বয়সে
১৯২০ সালে তা নেমে আসে ১৪.৬ বছর বয়সে
১৯৫০ সালে তা হয় ১৩.১ বছর বয়স
১৯৮০ সালে তা আরো নেমে দাড়ায় ১২.৫ বছর বয়স
এবং ২০১০ সালে তা দাড়িয়েছে ১০.৫ বছর বয়সে
বলাবাহুল্য সূত্রমতে ২০১৮ সালে এই বয়স অবশ্যই ৯ এর ঘরে নেমে এসেছে। (https://goo.gl/hpPgvb)
লক্ষ্যণীয়, বাল্যবিবাহ নিরোধ বা ‘সারদা আইন’ করা হয়েছিলো নারীদের বয়ঃপ্রাপ্তিকে কেন্দ্র করে। তখন মেয়েদের বয়:প্রাপ্তি হতো ১৪ বছর বয়সে, কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান বলছে বর্তমানে মেয়েদের বয়ঃপ্রাপ্তির বয়স ৯ বছরে নেমে এসেছে। সে হিসেবে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনটি ব্যাকডেটেড বা মানধাত্তার আমলের আইন, যা বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞান সমর্থন করে না। বর্তমান অনেকে এ আইনকে আধুনিকতা হিসেবে ধারণা করতে পারেন, কিন্তু বাস্তবে এ আইন যারা সঠিক মানে তারাই ব্যাকডেটেড এবং যারা সঠিক মনে করেনা তারাই আধুনিক।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

দেশে ‘কর্পোরেটোক্রেসি’ নামক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে, এখনই দেশজুড়ে প্রতিবাদ করুন


২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের ঠিক আগমুহুর্তে স্বাগতিক ব্রাজিলে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। ব্রাজিলের জনগণ রাস্তায় নেমে আসে এবং বলতে থাকে- “ফিফা তুমি ফিরে যাও”, “আমরা ফুটবল চাই না খাদ্য চাই”, “বিশ্বকাপ ফুটবল মানে অপচয়”, “ফুটবলে নয় স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে অর্থ চাই”- এরকম নানান শ্লোগান দিতে থাকে। ব্রাজিলে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয় দেশটির বিশাল বস্তিবাসীরা। খবরে আসে- “ব্রাজিলে জিনিসের দাম, যাতায়াতের খরচ আকাশছোঁয়া, চাকরি নেই, ছেলেমেয়ের স্কুলের খরচ কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না, সামাল দেওয়া যাচ্ছে না অসুখ-বিসুখের খরচ, নেই কোনও সামাজিক সুরক্ষা। সেদিকে নজর না দিয়ে বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়াম তৈরিতে কেন টাকার অপচয় করছে সরকার? প্রশ্ন তুলছেন সে দেশের মানুষ।”

পাঠক ! ব্রাজিলের বিভিন্ন শহরের নাম, যেমন- ‘সাও পাওলো’ বা ‘রিও ডি জেনিরো’ লিখে যদি আপনি গুগলের সার্চ দেন, তবে ভেসে ওঠবে অত্যাধুনিক সব স্থাপনা, রাস্তাঘাট, ফ্লাইওভার, স্টেডিয়াম, সু-উচ্চ ভবন আর ফাইভ স্টার হোটেলের ছবি। ওসব দেখে আপনার মনেই হবে না, ব্রাজিলে দরিদ্র মানুষ আছে, মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে, মাত্র ৫০ সেন্টের জন্য মেয়েরা নিজেদের শরীর বিলিয়ে দিচ্ছে। খাদ্যের জন্য বাবা-মা নিজ সন্তানকে বিক্রি করছে। (https://goo.gl/u5W1Srhttps://goo.gl/RXf8mM,https://goo.gl/Rxmn8H)

হ্যা, এই ষড়যন্ত্র তত্ত্বের নাম হচ্ছে ‘কর্পোরেটোক্রেসি’। সম্রাজ্যবাদীরা এভাবেই একটি দেশের অর্থনীতি দখল করে। সম্রাজ্যবাদীরা কোন দেশে নিজেদের সুবিধার জন্যই রাস্তাঘাট, ফ্লাইওভার, সেতু বানাতে পরামর্শ দেবে। থাকার সুবিধার জন্য ফাইভ স্টার হোটেল, এন্টারটেইনমেন্টের জন্য স্টেডিয়াম বানাতে বলবে, যা ঐ দেশে তখন দরকার ছিলো না। ঐ দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত শাসকের মাধ্যমে তারা তাদের প্ল্যান বাস্তবায়ন করবে এবং সেগুলো বানানোর খরচ তারা ঐ দেশের জনগণের পকেট থেকে বের করবে, ফলে দেশে মূল্যস্ফিতি দেখা দেবে, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধি পাবে, জনগণ খাবার পাবে না। আবার সেই সব অবকাঠামো বানাতে গিয়ে সম্রাজ্যবাদীরা লাভবান হবে। যখন ঐ দেশে তারা ঘুড়তে যাবে, এন্টারটেইনমেন্ট করতে যাবে, ব্যবসায়ী কাজে যাবে তখন ঐ সব অবকাঠামো ব্যবহার করবে, ছবি তুলে বলবে- ‘দেখো দেশটা কত সুন্দর।’

‘কর্পোরেটোক্রেসি’ পলিসি নিয়ে লেখা বই, ‘একজন অর্থনৈতিক ঘাতকের স্বীকারক্তি’-তে নিজেকে অর্থনৈতিক দাবি করা ‘জন পার্কিন্স’ নিজেই স্বীকার করে, ‘এই সব কাজ করার জন্য আমাদের মূল হাতিয়ার ছিলো ভুয়া অর্থনৈতিক ডাটা’। ‘ভুয়া অর্থনৈতিক ডাটা’ মানে তারা যে দেশে ‘কর্পোরেটোক্রেসি’ চালাতো সেই দেশ নিয়ে বিভিন্ন ‘ভুয়া অর্থনৈতিক ডাটা প্রচার করতো’। যেমন ‘অমুক দেশের জিডিপি বাড়ছে’, ‘দরিদ্রতা হ্রাস পাচ্ছে’, ‘এতগুলো দেশের মধ্যে অর্থনীতি এগিয়ে আছে’ ইত্যাদি। মূলত: অর্থনৈতিক ঘাতকরা এইসব ভুয়া অর্থনৈতিক ডাটা তৈরী করতো ঐসব দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত শাসকদের জন্য, যাদের সাথে তারা হাত মিলিয়ে এ পলিসি বাস্তবায়ন করতো। বিভিন্ন বিদেশী সংস্থার নাম দিয়ে প্রচার করা সে সব অর্থনৈতিক ডাটা প্রচার করে ঐ দেশের শাসকরা দেশের চলমান অর্থনৈতিক দুরাবস্থাকে লুকিয়ে রাখতে চাইতো। কিন্তু বাস্তবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্ব বৃদ্ধি, জীবনযাত্রার খরচ বৃদ্ধিতে জনগণের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। একটি দেশ অর্থনৈতিক সূচক যতই উপরে থাকুক, ঐ দেশের মানুষ যদি না খেয়ে থাকে, তবে সেই সূচক ধুয়ে নিশ্চয়ই জনগণের পেট ভরবে না।

পাঠক ! বাংলাদেশেও এখন বাস্তবায়ন চলছে ‘কর্পোরেটোক্রেসি’ নামক ষড়যন্ত্র। ফ্লাইওভার, রাস্তাঘাট, সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, মেট্রোরেল, স্টেডিয়াম ইত্যাদির নাম করে ভৌত অবকাঠামো দিয়ে ভরিয়ে ফেলা হচ্ছে দেশ। শুধু সৈন্যবাহিনী দিয়ে নয়, অর্থনৈতিক পলিসি দিয়েও একটি দেশ দখল করা যায় তার উদাহরণ হচ্ছে ‘কর্পোরেটোক্রেসি’। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের মানুষ এর সুফল (!) পেতে শুরু করেছে। চালের দাম ৭০ ছড়িয়েছে, অন্যান্য দ্রব্যমূল্য আকাশ চড়া। অনেক মানুষ কম খেয়ে দিনাতিপাত করছে। বাংলাদেশের মানুষের চিন্তা করা উচিত, সবে মাত্র ‘কর্পোরেটোক্রেসি’ নামক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে, তাই দেশের এই অবস্থা। যদি এখনই দেশজুড়ে প্রতিবাদ করে এই ষড়যন্ত্র থামানো না যায়, তবে আগামী ২-৪ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের বিরাট জনসংখ্যা পথে বসে যাবে, আফ্রিকার মত দুর্ভিক্ষে পতিত হবে, এতে কোন সন্দেহ নাই। 


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Saturday, January 27, 2018

ভারতের রিপাবলিক ডে’ অনুষ্ঠানে আত্মস্বীকৃতি চোর শিক্ষামন্ত্রীর জামাই ইমরান এইচ সরকার।


তিনি মুখে বড় বড় নীতিবাক্য আওড়ান, কিন্তু রংপুর মেডিকেল কলেজের ক্যান্টিনের বাকি টাকা মেরে দিয়েছিলেন। ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন, অজ্ঞাত কারণে তিনি ভারতীয় হাইকমিশনের অনুষ্ঠানে এতিমের মত ঘোরাঘুরি করছেন। যদিও ছবিখানা তার ফেরিফাইড পেইজ থেকে পাওয়া যায় নাই, পাওয়া গেছে সাংবাদিক পীর হাবীবুর রহমানের ফেসবুক একাউন্ট থেকে।

তারমানে মুখে যত নীতি কথাই বলেন, ইন্ডিয়ান হাই কমিশনের নেটওয়ার্ক ইমরান সরকারকেও মেইনটেইন করতে হয়।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Friday, January 26, 2018

চোরের গডফাদার নাহিদের ফাঁসি চাই


এপিএস ফেমাস বাড়ৈ দুর্নীতির দায়ে বহিষ্কার
পিও মোতালেব গ্রেফতার
একাধিক কর্মচারি গ্রেফতার
এখনও অনেক কর্মকর্তা জড়িত বলে প্রমাণ পাচ্ছে দুদক (https://youtu.be/ORYSLBWuMrs)
কিন্তু নাহিদ দুধে ধোয়া তুলসি পাতা ?
গত ৯ বছর ওরা দুর্নীতি করলো, আর নাহিদ বসে বসে আঙ্গুল চুষছে ?
চোরের গডফাদার নাহিদ, তার কর্মচারিদের সেই দুর্নীতি করতে বলেছে, যার সিংহভাগ তার কাছে চলে আসতো। সে যদি ভালোই হতো, তবে ৯ বছর পর দুর্নীতিবাজরা ধরা পড়তো না, প্রথম বছরেই ধরা পড়তো।
পাশাপাশি, দেশের মধ্যে দুর্নীতি বিদেশে দুর্নীতিও খতিয়ে দেখতে হবে। বাংলাদেশের শিক্ষা সেক্টরকে ধ্বংস করার জন্য নাহিদ বিদেশীদের থেকে কত টাকা খেয়েছে তাও বের করা দরকার।
নাহিদের কারণে লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষাজীবন নষ্ট হয়ে গেছে।
ওকে সাধারণ কোন শাস্তি দিলে হবে না।
তাকে শিক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে বহিষ্কার করে ফাঁসি দিতে হবে।
যে মন্ত্রী দেশের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিতে চায়, এর থেকে লঘু শাস্তি তার জন্য কম হয়ে যাবে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

এসএসসি পরীক্ষা আসার আগে শিক্ষামন্ত্রীর নতুন নিয়ম -

১) পরীক্ষার হলে ৩০ মিনিট আগে প্রবেশ করতে হবে, নয়ত অনুপস্থিত দেখানো হবে।
২) পরীক্ষা শুরুর তিন দিন আগে থেকে কোচিং সেন্টার বন্ধ ।

৩) প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে পরীক্ষা বাতিল, প্রয়োজনে ১০ বার বাতিল হবে ।
৪) অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে ।
৫) ফেসবুক বন্ধ করা হবে ।
শিক্ষামন্ত্রী এ বছর প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এ পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করছে। এগুলো যে পজিটিভ হবে বিষয়টা সেরকম না, সে পরীক্ষামূলক হিসেবে এ পদক্ষেপগুলো নিয়েছে।
আমি অনেক আগে থেকে একটা কথা বলেছি, শিক্ষামন্ত্রী সকল শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ বানিয়েছে, আর তার নানা ধরনের এক্সপেরিমেন্ট ছাত্র-ছাত্রীদের উপর প্রয়োগ করেছে। কিন্তু কোনটাই যে সফল হয়নি তা বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশের বেহাল দশা বলে দেয়। (২৭শে এপ্রিল, ২০১৭ তারিখে দৈনিক যুগান্তরে খবরের হেডিং- “শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ বানানো অব্যাহত : শিক্ষা ব্যবস্থায় ফের নতুন পদ্ধতি” )
মজার ব্যাপার হচ্ছে, নাহিদ শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে আছে ৯ বছর আর বাংলাদেশেও স্বাধীনতাপ্রাপ্ত হয়েছে ৪৭ বছর। এখন কিন্তু মোটেও পরিবেশটা এক্সপেরিমেন্ট করার নয়, বরং আগেরটাকে এগিয়ে নেয়া। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী সেটা না করে, নতুন নতুন পদ্ধতি এনে ছাত্র-ছাত্রীদের লেজে-গবরে অবস্থা করে তুলেছে।
আমি আগে একটা কথা বহুবার বলেছি, শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ হচ্ছে বিদেশী এজেন্ট, যে আমেরিকা ও ভারত (বিজেপি) জোটের স্বার্থ উদ্ধার করছে। এ কারণে পরপর দুইবার তাকে ইউনেস্কো থেকে পুরস্কৃতি করা হয়েছে এবং একবার ভারত থেকে পুরষ্কার দেয়া হয়েছে।
(http://bit.ly/2n9zNRe)
আসলে আন্তর্জাতিক সম্রাজ্যবাদীদের বাংলাদেশ নিয়ে একটা প্ল্যান আছে। বলতে পারেন এটা আমেরিকার ‘পিভট টু এশিয়া’ এবং ভারতের ‘লুক ইস্ট পলিসি’র সমন্বিত রূপ। এ দুই পলিসির আন্ডারে বাংলাদেশের পুরোপুরি কর্তৃত্ব নিতে চাইবে আমেরিকা ও ভারতের সমন্বিত জোট। কিন্তু সেই কর্তৃত্ব দীর্ঘ মেয়াদে প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রয়োজন বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে দেয়া। কারণ শিক্ষা ব্যবস্থা ভালো থাকলে সমঝদার প্রজন্ম আসতে থাকবে, যারা তাদের সম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবে। তাই সেটা হতে দেয়া যাবে না। ব্রিটিশরা এ অঞ্চলে ক্ষমতা দখলের পর সর্বপ্রথম ৮০ হাজার মক্তব বন্ধ করেছিলো এবং ফার্সীভাষা ভিত্তিক স্বয়ংসম্পূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা তুলে তাদের বানানো শিক্ষা সিস্টেম চালু করেছিলো। পুরো প্রজেক্ট করতে তাদের ১০০ বছরের বেশি সময় লাগে, কিন্তু এর মাধ্যমে তারা পুরো জাতির মন-মগজ পাল্টে গোলামির বন্ধনে আবদ্ধ করতে সক্ষম হয়। বিষয়টা এমন, এখনও আমরা ব্রিটিশ চিন্তা-চেতনা থেকে বের হতে পারিনি। এখনও বাংলাদেশের শিক্ষা, আইন-বিচার ও অর্থনীতি ব্রিটিশ সিস্টেম ফলো করে।
ব্রিটিশরা ক্ষমতা দখলের পর যে কাজটি করেছিলো, এখন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ একই কাজ করে আমেরিকা-ভারতের সম্রাজ্যবাদ বাংলাদেশে দৃঢ় করতে কাজ করছে। ইতিহাস ফিরে আসে বার বার, কেউ বুঝতে পারে, কেউ বুঝতে পারে না।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Wednesday, January 24, 2018

যশোরের অভয়নগরে একই দড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে দুই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা


যশোরের অভয়নগরে একই দড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে দুই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে অভয়নগর উপজেলার নলপাড়া গ্রামের খালপাড় থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত দুই শিক্ষার্থী হলো- জয়ারাবাদ সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সৈকত (১৮) ও সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী লিপা (১৩)। গ্রামবাসী জানায়, মৃত দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। পুলিশও প্রেমের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। (http://bit.ly/2DFkF8hhttp://bit.ly/2DxEEm2)
মন্তব্য : আত্মহত্যা করুক, সমস্যা নাই। যেহেতু মেয়েটির বয়স ১৮ এর নিচে এবং ছেলেটির বয়স ২১ এর নিচে সুতরাং তারা যেন কিছুতেই বিয়ে না করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে আগে। জীবন গেলে যাক, বাল্যবিবাহ বন্ধে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা জরুরী।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------