Tuesday, March 27, 2018

পৃথিবীর ১১টি 'সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড’-এর মধ্যে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় রয়েছে ১টি

বাংলাদেশ গরীব রাষ্ট্র, পশ্চিমাদেশগুলো বাংলাদেশকে ডাকে ‘থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি’ নামে, পাশের ভারত ডাকে ‘কাংলাদেশ’, মিডলইস্টে গেলে বাংলাদেশী শ্রমিকদের বলে ‘মিসকিন’। কিন্তু আসলেই কি বাংলাদেশ গরীব দেশ ?

বাংলাদেশ কিন্তু গরীব দেশ নয়। বাংলাদেশে যে পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ আছে, সেগুলো যদি সঠিক উপায়ে আহরণ করা যায় তবে বাংলাদেশীরা মিডলইস্টের মানুষের মত পায়ের উপর পা তুলে সারা জীবন বসে খেতে পারবে। কিন্তু সমস্যা হলো বাংলাদেশের মানুষ জানেই না তাদের কি সম্পদ আছে। আর বাংলাদেশের মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে দেশীয় শাসকরা সেই সব সম্পদ বিদেশীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে।

এই ভিডিওটি (
https://youtu.be/BUXNtjV1ds0) বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় অবস্থিত 'সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড’ নামক একটি অঞ্চল নিয়ে। সোয়াচ অব নো-গ্রাউন্ড হচ্ছে বঙ্গপোসাগরের ভেতরে এক ধরনের গিরি খাদ, পৃথিবীর মধ্যে এ ধরনের ১১টি গিরিখাদ আছে, যার ১টি বাংলাদেশে অবস্থিত। তবে এই সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এখানে তিমি, হাঙ্গর, ডলফিনের প্রজননক্ষেত্র।


হয়ত ভাবছেন- এগুলো হলে লাভ কি ?

অনেক লাভ আছে। সবগুলো হয়ত জানা নাই। তবে একটি হতে পারে, এ অঞ্চলটি তিমি মাছের প্রজননস্থল হওয়ায় এখানে ambergris নামক এক ধরনের বস্তু পাওয়া যেতে পারে। ambergris হলো তিমি মাছের (মৃত) স্প্যার্ম থেকে তৈরী পাথর সদৃশ্যবস্তু,যা ভাসমান সোনা বলে পৃথিবীতে মূল্যবান বস্তু বলে বিবেচিত হয়। ambergris এর প্রতি কেজির মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড যদি তিমি মাছের প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হয়, তবে সেখানে কত কেজি ambergris পাওয়া যেতে পারে?

বাংলাদেশের মানুষ খবর না রাখলেও বিদেশীরা কিন্তু বাংলাদেশের সম্পদ সম্পর্কে খুব ভালো খবর রাখে। আমেরিকার রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট ২০১৬ সালে এক কনফারেন্সে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড সম্পর্কে বিশ্বের নেতৃবৃন্দের আগ্রহ রয়েছে সেটা বুঝিয়েছিলো (https://bit.ly/2DUviAj)। ভারতীরা ২০০৮ সালে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড সম্পর্কে বিস্তারিত গবেষণাপত্র বের করে (https://bit.ly/2G57XBL)

ইতিমধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ নামক ১৭ শর্তের চুক্তিতে সই করে এসেছে, যার ১৪ নম্বরে বাংলাদেশের সমুদ্র সম্পদের কথা বলা আছে। এই ১৭ নম্বর শর্তে ব্লু ইকোনোমি থিউরীতে বাংলাদেশে সমুদ্র সম্পদ কিভাবে ব্যবহার করা যায় সেই বিষয়টি স্পষ্ট করা আছে। কথা হলো- এই ব্লু ইকোনোমিতে বাংলাদেশের মানুষের সস্তায় ভাত থেকে পারবে নাকি শাসক গোষ্ঠীর ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ভরপুর হবে সেটাই এখন চিন্তার বিষয়।

এখানে মনে রাখতে হবে, আইনত বাংলাদেশের সকল প্রাকৃতিক সম্পদে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার সবার আগে। কোন সম্পদ পাওয়া গেলে তা দিয়ে আগে জনগনের জীবনযাত্রা উন্নত করতে হবে, অধিকার দিতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের অজ্ঞতা ও বেখেয়ালের কারণে এসব সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছে দুর্নীতিবাজ শাসকগোষ্ঠী, আর তা স্বল্পমূল্যে লুটে নিয়ে যাচ্ছে বিদেশী সম্রাজ্যবাদীরা। তাই বাংলাদেশীদের ভাগ্য পরিবর্তনে দেশের অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নাই।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment