Thursday, March 22, 2018

আজকে বাংলাদেশ “স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উৎসব” পালন করছে।


আমি আগে এক পোস্টে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের উত্তরণের কারণে নতুন নতুন কি সমস্যা তৈরী হবে, তা নিয়ে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম (http://bit.ly/2pv4aU8)। তাই নতুন করে এর লাভ-ক্ষতি নিয়ে আলোচনা করবো না। আমার এ পোস্টে আমি আলোচনা করবো, আন্তর্জাতিক সম্রাজ্যবাদীদের কোন প্ল্যান বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এসব শব্দ (স্বল্পোন্নত, উন্নয়নশীল) ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হয়।
একটা বিষয় আমার পাঠকদের বুঝতে হবে, জাতীয় পর্যায়ে যে কোন বিষয় বুঝতে হলে আপনাকে আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো বুঝতে হবে। বাংলাদেশের রাজনীতি কোন দিতে যাবে, কিংবা নতুন নতুন কি বিষয় বাংলাদেশের আসনে আসতে পারে, এগুলো মূল সূচনা হয় আন্তর্জাতিকভাবে। সরকারিভাবে শুধু এগুলোর বাস্তবায়ন হয়। তাই আপনি যদি শুধু আওয়ামীলীগ-বিএনপি কিংবা ‘কে কয়টাকা দুর্নীতি করলো’ এর মধ্যে পরে থাকেন, তবে মূল বিষয়টা বুঝতে পারবেন না। আপনাকে আন্তর্জাতিকভাবে সম্রাজ্যবাদীদের প্ল্যানগুলো আগে ধরতে হবে, সেগুলো যখন ধরতে পারবেন, তখন আগামীতে কি কি হতে যাচ্ছে, সেগুলো নিয়ে সচেতন হতে পারবেন, আগে থেকেই প্রতিবাদ করতে পারবেন, তখন একটা কাজ হবে। কিন্তু এখন কোন অন্যায় দেখলে হয়ত আপনি প্রতিবাদ করছেন, কিন্তু সে প্রতিবাদে দেরি হয়ে গেছে। তাই আগে থেকে সম্রাজ্যবাদীদের প্ল্যানগুলো সূক্ষভাবে ধরা জরুরী।
যেমন, ধরুন বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে । এরজন্য বাংলাদেশকে জাতিসংঘের ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ নামক কিছু টার্গেট ফিলাপ করতে হয়েছে। এখন বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরীক্ষামূলক দেয়া হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশকে দেয়া হয়েছে “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা” নামক ১৭টি টার্গেট (১৬৯টি লক্ষ্য)। সময় বেধে দেয়া হয়েছে ২০৩০ সাল। এই ১৭টি টার্গেট হলো:
১) দারিদ্র্য বিমোচন
২) ক্ষুধা মুক্তি
৩) সু স্বাস্থ্য
৪) মানসম্মত শিক্ষা
৫) লিঙ্গ সমতা
৬) সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা
৭) নবায়নযোগ্য ও ব্যয়সাধ্য জ্বালানী
৮) কর্মসংস্হান ও অর্থনীতি
৯) উদ্ভাবন ও উন্নত অবকাঠামো
১০) বৈষম্য হ্রাস
১১) টেকসই নগর ও সম্প্রদায়
১২) সম্পদের দায়ীত্বপূর্ণ ব্যবহার
১৩) জলবায়ু বিষয়ে পদক্ষেপ
১৪) টেকসই মহাসাগর
১৫) ভূমির টেকসই ব্যবহার
১৬) শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠা
১৭) টেকসই উন্নয়নের জন্য অংশীদারিত্ব
(http://bit.ly/2GT4xiP)
শুনতে ভালো শোনা গেলেও প্রত্যেকটি বিষয়ের আড়ালে রয়ে গেছে সম্রাজ্যবাদীদের ফাঁদ। মূলত ইহুদীবাদী সারাবিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ইহুদীসংঘ তথা জাতিসংঘের মাধ্যমে এসব মুখরোচক প্ল্যান বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়। শুনতে খুব সুন্দর শোনা শোনা গেলেও এসব লক্ষ্যমাত্রা পালন করলেই অটোমেটিক সারাবিশ্বের মানুষ ইহুদীবাদীদের দাসে পরিণত হবে।
যেমন ধরুন- এই ১৭টি টার্গেটের ২ নম্বরটি হচ্ছে ‘২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত করতে হবে।” কিন্তু এই প্ল্যানটি বাস্তবায়ন করতে গেলে বাংলাদেশকে জিএমও ফুড গ্রহণ করতে হবে। জাতিসংঘের ‘জিরো হাঙ্গার-২০৩০’ প্রজেক্টের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে আসছে জিএমও ফুড। (http://bit.ly/2FOb1lU)
১৭ লক্ষ্যমাত্রার ৫ নম্বরে আছে ‘লিঙ্গ সমতা’। এই লিঙ্গ সমতার মধ্যে আছে `নারী পোষাক পড়তে বাধ্য করা যাবে না’, ১৮ বছরের নিচে বিয়ে বন্ধ করতে হবে, নারীকে চাকুরী ক্ষেত্রে নিয়ে আসতে হবে। এছাড়া এর মধ্যেই আছে সমকামীতা বৈধকরণ। সমকামীতা বৈধকরণ জাতিসংঘ খুব সুন্দর নামে আনবে, “Leave no one behind”। (http://bit.ly/2u7hnqW)
১৭ লক্ষ্যমাত্রার ১৬ নম্বরে আছে “শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান”। এই টার্গেটের আন্ডারে আছে ধর্মবিদ্বেষ প্রচার বৈধকরণ। (http://bit.ly/2pvczqu)
ইহুদীবাদীদের সব মাস্টারপ্ল্যান আমি ধরতে পারছি না, তবে প্রত্যেকটা পয়েন্টের ভেতর বেশ কিছু ষড়যন্ত্রের জাল। ব্যাপক গবেষণা করলে হয়ত সেগুলো বের হবে। যেমন : (৬) নম্বরে আছে ‘সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাষন ব্যবস্থা’। ইহুদীবাদীদের একটা মাস্টারপ্ল্যান আছে সারা বিশ্বের সুপেয় পানীর ব্যবস্থাকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নেয়া। জিএমও’র মাধ্যমে তারা যেভাবে খাদ্যের নিয়ন্ত্রন নেবে, ঠিক তেমনি এ প্রজেক্টের মাধ্যমে মানুষের পানিও তারা নিয়ন্ত্রণে নিতে চাইবে। কারণ পানীয় নিয়ন্ত্রণ করে আরেকটি দেশকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যেমন ইসরাইল প্যালেস্টাইনের পানি আটকে রেখে নিয়ন্ত্রণ করছে। “বাংলাদেশের নদীগুলোকে ভারত শুকিয়ে ফেলছে”-এর সাথে জাতিসংঘের টার্গেটের কোন সম্পর্ক আছে কি না, তা আমি বলতে পারবো না। তবে প্রথমআলো কয়েকদিন ধরে জারের সুপেয় পানি নিয়ে অনেক খবর করছে (http://bit.ly/2ua8nBt), এটা আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের ইহুদীবাদীদের প্ল্যানগুলো প্রথম আভাস আসে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর বিভিন্ন খবরের মাধ্যমে। তারা ঘুরিয়ে পেচিয়ে ৪-৫ বছর নিউজ করে একটা এজেন্ডার পক্ষে জনমত তৈরী করবে এরপর সরকারকে দিয়ে সেটা আইন করে বাস্তবায়ন করে। দেখা যাবে এই জারের খবর দিয়ে শুরু হলেও পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট ইহুদীবাদীদের কোন প্ল্যানের সাথে মিলে গেছে, যা বৈধ করা হবে জাতিংসের টেকসই লক্ষ্যমাত্রার (৬) নম্বর পয়েন্টের মাধ্যমে।
যাই হোক পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে, শেষে এসে বলবো, মুসলমানরা ফেসবুকে অনেক ধর্ম ও দেশবিরোধী কার্যক্রমের বিরোধীতা করে। কিন্তু এগুলো সব নিয়ন্ত্রণ হয় আন্তর্জাতিক প্ল্যানের অংশ হিসেবে। আপনি যদি অনুমান করতে পারেন, ভবিষ্যতে তারা কি ষড়যন্ত্র আনতে চাইছে, তবে আগে থেকেই তার বিরোধীতা করুন এবং বিকল্প সমাধান বের করুন, তবেই মুসলমানরা ইহুদীবাদের খপ্পর থেকে বের হয়ে নতুন কিছু করতে পারবে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment