Thursday, April 11, 2019

পহেলা বৈশাখ পালন নিয়ে জরুরী খবর

একটা সূত্রে জানতে পারলাম, পহেলা বৈশাখের দিন একটা বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটনা ঘটতে পারে। নববর্ষের দিন আগুনে অনেক মানুষ মেরে দেশের পরিস্থিতি আরো ঘোলা করা হতে পারে। তাই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের যে কোন বৈশাখী জনসমাগম এড়িয়ে যান, বিশেষ করে শিশুদের এড়িয়ে যেতে বলুন। কারণ আগুন ধরলে হুড়োহুড়ির ঘটনায় বড়রা পালাতে পারলেও শিশুরা পদপিষ্ট হয়ে মারা যেতে পারে। পাশাপাশি, ঐ দিন নিজ ফ্ল্যাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানায় বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করুন, কারণ আপনার ব্যস্ততার সুযোগে বিশেষ মহলটির চোখ (যারা আগুন ধরাচ্ছে) আপনার বাসাবাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের দিকে পড়তে পারে, তাই সাবধান।
জনস্বার্থে খবরটি ছড়িয়ে দিন।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------
-----------------------------------------------------------------------------------------

আজ হাইকোর্টে আম নিয়ে একটা রিট হইছে।


আম বাগান পাহারায় পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দিছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি ফলের বাজার ও আড়তগুলোতে আমসহ অন্যান্য ফলে রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে কিনা তা নজরদারি করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও র‌্যাবের সমন্বয়ে টিম গঠনের নির্দেশনা দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। আসন্ন আমের মৌসুমকে সামনে রেখে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের আইনজীবি মোনজিল মোর্শেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ রায় দেন হাইকোর্ট। (https://bit.ly/2Z8Qu1s)

আপনাদের বলে দিচ্ছি,
আমার ক্যালকুলেশন বলছে, এই রিট ও অর্ডারটার পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র হাত আছে এবং এটা বাংলাদেশে আসছে আম মৌসুমকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র।
এই রিটকারী আইনজীবি মোনজিল মোর্শেদ একজন সিআইএপন্থী আইনজীবি। এর আগে মার্কিনপন্থী বাম দলের অন্যতম সদস্য আইনজীবি মোনজিল মোর্শেদ সর্বপ্রথম উন্মুক্তস্থানে কোরবানি বন্ধে রিট করেছিলো। এছাড়া গরু মোটাতাজা বন্ধের নামে রিট করে কোরবানীর আগে বাংলাদেশের গরুর নামে কুৎসা রটনা করে রিট করেছিলো এই মোনজিল মোর্শেদ। এদের মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের সকল উৎপাদন খাত ধ্বংস করে দেয়া।

যাই হোক, আজকে আম নিয়ে এ রিটের বিরুদ্ধে যদি সবাই সচেতন না হয় এবং প্রতিবাদ না করে,
তবে আসছে আম সিজনে সত্য মিথ্যা রাসায়নিক-ক্যামিক্যাল বলে ‘বাংলাদেশের আম’কে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করা হবে।


----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------
-----------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, April 7, 2019

১৫ জন বক্তার ওয়াজের ওপর কড়াকড়ি আরোপের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


এই ১৫ জন বক্তা হলো-
আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসূফ (সালাফি), মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান(গুনবী), মাওলানা মামুনুল হক (যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস), মুফতি ইলিয়াছুর রহমান জিহাদী (প্রিন্সিপাল, বাইতুল রসূল ক্যাডেট মাদ্রাসা ও এতিমখানা, ক্যান্টনমেন্ট), মুফতি ফয়জুল করিম (জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির, ইসলামী আন্দোলন), মুজাফফর বিন বিন মুহসিন, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন (যুগ্ম মহাসচিব, ইসলামী ঐক্যজোট), মতিউর রহমান মাদানী, মাওলানা আমীর হামজা, মাওলানা সিফাত হাসান, দেওয়ানবাগী পীর, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, হাফেজ মাওলানা ফয়সাল আহমদ হেলাল, মোহাম্মদ রাক্বিব ইবনে সিরাজ।

তাদের দোষ : তারা ওয়াজের মধ্যে শোভাযাত্রাসহ পহেলা বৈশাখে নববর্ষ পালন, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ এবং নারীবাদ বিরোধী বয়ান, ‘মূর্তি ভাঙা ধর্মীয় কাজ’, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাফের’, ‘অমুসলিমদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়’, ‘গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ধর্মনিরেপক্ষতাবাদ মুশরিকদের কাজ’, ‘শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া, প্রতিমূর্তিতে ফুল দিয়ে নীরবতা পালন করা শিরক’, ‘গণতন্ত্র ইসলামে নাই, ইহা হারাম’ এবং ‘জাতীয় সংগীত কওমি মাদ্রাসায় চাপিয়ে দেওয়া যাবে না’, ‘আল্লাহর রাস্তার প্রতিষ্ঠায় উত্তম জিহাদ হচ্ছে সশস্ত্র জিহাদ’, ‘আল্লাহ রাসূলকে গালি দিলে কোপাতে হবে’, ‘ইসলামের বিরুদ্ধে আইন করলে কোপাতে হবে ইত্যাদি।
(https://bit.ly/2I4ovdJ, https://bit.ly/2U9pAHN)

হঠাৎ বক্তা ওয়াজেদের উপর কড়াকড়ি আরোপের সূত্র বাংলাট্রিবিউন নামক একটি নিউজপোর্টালে ‘সালমান তারেক শাকিল’ নামক এক সাংবাদিকের ৫টি আর্টিকেল,
১)ওয়াজ মাহফিল কি পেশায় পরিণত হচ্ছে? (https://bit.ly/2TgaR8x)
২) ‘আল্লাহ বলেন নো-নো, মুসা বলেন ইয়েস-ইয়েস’ (https://bit.ly/2FrmqX0)
৩) ওয়াজ মাহফিলের যত ধারা (https://bit.ly/2Keqm1y)
৪) ওয়াজ রাজনীতি একাকার (https://bit.ly/2Vy8OP2)
৫) ওয়াজ মাহফিল কীভাবে প্রভাব ফেলছে, শ্রোতা কি বাড়ছে? (https://bit.ly/2G2oHbg)

এই প্রতিবেদনগুলো পূজি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ন থেকে ১৫ জন বক্তার উপর কড়াকড়ি আরোপের প্ল্যান সারে কেউ।

উল্লেখ্য বাংলা ট্রিবিউন পোর্টালটি জেমকন গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।  যশোরের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ ও তার বাপ-ভাইদের প্রতিষ্ঠান এটি। এদের ইউল্যাব নামক একটা ইউনিভার্সিটি আছে, যেখানে সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে লোক এসে শিক্ষার্থীদের ব্রেনওয়াশ করে এবং মার্কিন দালাল বানানোর পলিসি ঠিক করে যায়।

বাংলা ট্রিবিউন পোর্টালটি চালায় কাজী নাবিলের ভাই কাজী আনিস আহমেদ, যে ‘পেন ইন্টারন্যালশাল’ নামক একটি ইহুদীবাদী লেখক সংস্থার এদেশীয় এজেন্টা।  (https://bit.ly/2FSSdis)

আরো উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এই যে গত ৫-৬ বছর যাবত ব্লগার নামক নাস্তিকদের উৎপাত এর পেছনে রয়েছে এই পেন ইন্টারন্যাশনাল নামক  সংগঠনটি, যা অমি পিয়াল ও আসিফ মহিউদ্দিন তাদের স্ট্যাটাসে স্পষ্ট করেছে।(https://bit.ly/2I3BnAQ , https://bit.ly/2Ii9hBw)

ভালো মন্দ সব জায়গায় আছে, ওয়ায়েজ বা বক্তাদের মধ্যেও ভালো মন্দ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।
একইভাবে ভাই-ভাইয়েও দ্বন্দ্ব থাকে, মতপার্থক্য থাকে, তেমনি মুসলমানদের বিভিন্ন সংগঠন বা গ্রুপের মধ্যে মত পার্থক্য থাকবে এটাও স্বাভাবিক।

কিন্তু সেটার জন্য যদি কোন সিদ্ধান্তের দরকার হয়, তবে মুসলমানরা নিজেরা মিলে নিবে।  সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব কিন্তু ইহুদীদের সংগঠন পেন ইন্টনাশন্যাল বা তাদের এদেশীয় মূখপাত্র বাংলাট্রিবিউনকে দেয়া হয় নাই।   মুসলমানদের শুদ্ধ করার দায়িত্বও তাদের দেয়া হয় নাই। নাস্তিকরা-নাস্তিকরা যখন কামড়াকামড়ি করে তখন কিন্তু তার মধ্যে মুসলমানরা নাক গলাতে যায় নাই, তাহলে মুসলমানদের মধ্যে ঢুকারও তাদের অধিকার নাই।

আসলে ইহুদীদের এদেশীয় মূখপাত্র বাংলাট্রিবিউন জানে, মুসলমান-মুসলমান ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব আছে, সেই দ্বন্দ্বকে কাজে লাগায় এমন ১৫ জন বক্তা বা ওয়াজের নাম প্রকাশ করা হয়েছে তাদের নিয়ে আলোচনা করতে গেলে কওমী-সুন্নী-ওহাবী-সালাফি-পীরগোষ্ঠীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরী হবে, আর সে সুযোগে তারা বৈশাখী পূজা, নারীবাদ, মূর্তি, অমঙ্গল পূজা, নবীকে কটূক্তি করা, ধর্মনিরপেক্ষতা, বেদীতে ফুল দেয়া, রবীন্দ্র পূজা সংগীত এগুলো এমন পর্যায়ে নিয়ে যাবে, যার এগুলোর বিরোধীতা করলে দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে।

ঠিক আছে-
ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে তবে মুসলমানরাও তবে উল্টা পলিসি নিক।
তারা যেমন ওয়ায়েজ বা বক্তা দমনের নামে মতবাদ স্ট্যাবলিশ করতে চাইছে।
উল্টা পলিসি হিসেবে- মুসলমানরা তবে ওয়ায়েজ বা বক্তার দিকে তাকাবে না, তাকাবে তাদের আলোচনার দিকে।
যেহেতু- বৈশাখী পূজা, নারীবাদ, মূর্তি, অমঙ্গল পূজা, নবীকে কটূক্তি করা, বেদীতে ফুল দেয়া, রবীন্দ্র পূজা সংগীত এগুলো ইসলাম সমর্থন করে না এবং যে ওয়ায়েজ এই বিষয়ের বিরুদ্ধে ওয়াজ করবে সকল মুসলমান তাকেই চোখ বন্ধ করে সমর্থন করবে।  ভেতরে ভেতরে নিজেদের মধ্যে যত দ্বন্দ্ব থাকুক, সেটা গৌন হয়ে অমুসলিমদের ষড়যন্ত্র দমন ‍মূখ্য হয়ে যাবে।

আমার মনে হয় এই ১৫ বক্তার ইসলামী সংগঠনগুলোর একত্রে আগে বসা উচিত।
তারপর সবাই একযোগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বসা উচিত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জিজ্ঞেস করা উচিত, বাংলাট্রিবিউন নামক ইহুদী পেন ইন্টারন্যাশনাল সংগঠনের প্রতিবেদন ফলো করে কেন ইসলামী বক্তাদের উপর কড়াকাড়ি বা শর্ত আরোপের দাবী তোলা হচ্ছে ? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহুদীদের পেন’র থেকে কত টাকা খেয়েছে ?

আর ওয়াজ কে কিভাবে করবে সেটা নির্ধারিত হবে মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কোরআন হাদীসের মাধ্যমে।
ওয়ায়েজরা ধর্মীয় নীতিমালা (কোরআর-হাদীস এর ধারা) মেনে ওয়াজ করলো কি না সেটা সরকারের ধর্ম মন্ত্রনালয় দেখতে পারে, কিন্তু ইসলামী ওয়ায়েজরা কিভাবে ওয়াজ করবে, কতটুকু সীমারেখা ফলো করবে সেটা নির্ধারনের দায়িত্ব তো ইহুদী মূখপাত্র বাংলাট্রিবিউন বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের নয়।   এটা তাদের জন্য সম্পূর্ণ অনধিকার চর্চা।

আমার জানা মতে,
বৈশাখী পূজা, নারীবাদ, মূর্তি, অমঙ্গল পূজা, নবীকে কটূক্তি করা, বেদীতে ফুল দেয়া, রবীন্দ্র পূজা সংগীত এর বিরুদ্ধে ওয়ায়েজরা ওয়াজ করেছে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন হাদীস মেনে।  ঐ বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার কারণে যদি নিষিদ্ধ করতেই হয় তবে ১৫ বক্তাকে নয় বাংলাদেশে কোরআন হাদীস নিষিদ্ধ করা হোক।  কারণ মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ এসব বিষয়ের বিরুদ্ধে বলা আছে, ওয়ায়েজরা সেখান থেকে শুধু পাঠ করেছে মাত্র।  তাই নিষিদ্ধ করলে কোরআন হাদীস আগে নিষিদ্ধ করে দেখাক শেখ হাসিনা সরকার।  সারাবিশ্ব দেখুক- ৯৫% মুসলমানের বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার ধর্মীয়গ্রন্থ কোরআন হাদীস নিষিদ্ধ করেছে, যা কোন অমুসলিম রাষ্ট্রও এখনও করার সাহস দেখায়নি।

এ ব্যাপারে ১৫ বক্তার ইসলামী সংগঠনগুলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানাচ্ছি।   এবং যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার কারণে তাদের উপর কড়াকাড়ি আরোপের দাবী তোলা হচ্ছে, সেগুলো আরো শক্ত ও ব্যাপকভাবে আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হোক।  মুসলমানরা যদি শুধু এক হয়, তবে ষড়যন্ত্রকারীদের ইদুরের মত গর্তে ঢুকতে এক মুহুর্তও লাগবে না।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

ইমপ্লাস টাওয়ারের আগুন লাগানোর সিসিটিভি দৃশ্য প্রকাশিত হয়েছে

ইমপ্লাস টাওয়ারের আগুন লাগানোর সিসিটিভি দৃশ্য প্রকাশিত হয়েছে (https://youtu.be/QJrujDrAV7E)। এই দৃশ্য দেখার পর এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে, এত ঘন ঘন আগুন লাগার পেছনে অবশ্যই কোন রহস্য আছে।

এবার আমাদের প্রথম দায়িত্ব কি ?-
প্রত্যেকে নিজ দায়িত্বে নিজ বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিং কমপ্লেক্স, বাজার, কারখানা,গুদাম হাসপাতালসহ সকল স্থাপনা ও যানবাহনে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন।  বহিরাগত কেউ এসে যেন আগুন লাগাতে না পারে সেজন্য সিকিউরিটি জোরদার করুন। আলাদা গার্ড  রাখুন এবং নিয়মিত তদারকি করুন।

যে প্রশ্নসমূহ আমাদের সামনে আসলো-

১) সিসিটিভিতে আগুন লাগার দৃশ্য জনমম্মুক্ষে আসলো জনগণের সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে। কিন্তু সরকার ও প্রশাসন কেন তা আগে বলতে পারলো না, এই আগুন পরিকল্পিত বা কেউ লাগাচ্ছে ? জনগণকে কেন বলতে হলো ??

২) গান পাউডারের মাধ্যমে যদি আগুন লাগানো হয়, তবে অবশ্যই সেটা দমকল কর্মীদের বোঝার কথা। কিন্তু তারা প্রতিবারই ‘আগুন লাগছে শর্ট সার্কিট থেকে’’, ‘অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা না থাকার কারণে’,  ‘অপরিকল্পিত জনবসতির কারণে’, ‘দাহ্য পদার্থের কারণে’, ‘কেমিকেলের কারণে’- এগুলো বলতেছে। তারা কেন মূল বিষয়টি এড়িয়ে যায় ?

৩) যদি সত্যিই আগুন লাগা ষড়যন্ত্র হয়, তবে সেটা উদঘাটন না করে কেন আগুন লাগার পরবর্তী ধাপ হিসেবে বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যেমন-
ক) ব্যবসা-শিল্প সরিয়ে সেখানে পর্যটন এলাকা করা,
খ) কর্পোরেটদের অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ক্রয় করা,
গ) নতুন অত্যাধুনিক মার্কেট করা,
ঘ) রাজউকের নিয়ম মানার নাম করে চাদাবাজি চালু করা,
ঙ) পরিকল্পিত এলাকার নাম দিয়ে পুরাতনদের উচ্ছেদ করা।
চ) কূটনৈতিক পাড়া খালি করা।

৪) আগুন লাগার পর এমন মানুষ/ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, যারা এগুলোর সাথে জড়িত নয়। কিন্তু এমন কিছু মানুষের নাম এড়িয়ে যাওয়া হয়, যাদের আটক করলে মূল ঘটনা বের হওয়া সম্ভব। যেমন- পুরান ঢাকার আগুনের সূত্রপাত হয় একটি বিষ্ফোরণের মাধ্যমে। এবং সেই বিষ্ফোরণের কারণেই প্রাণহানি ঘটে।  বলা হচ্ছে দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন ছড়িয়েছে, কিন্তু প্রথম বিষ্ফোরণটা কিভাবে ঘটলো সেটা কেউ বলছেও না, আলোচনাও করছে না। প্রথম বিষ্ফোরণটা যদি দোতালার পারফিউমের গোডাউন থেকে হয়, তবে ওয়াহিদ ম্যানসনের বাড়িওয়ালাকে না ধরে ঐ পারফিউমের গোডাউনের মালিককে কেন ধরা হচ্ছে না ? কেন তাকে নিয়ে মিডিয়ায় আলোচনা হচ্ছে না ? উল্লেখ্য ঐ গোডাউনের মালিক ছিলো মারোয়ারি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পার্ল ইন্টারন্যালশনাল এবং তার পার্টনার ছিলো ভারতীয় কোম্পানি ‘এ্যাডজাভিজ ভ্যানচার লিমিটেড ইন্ডিয়া’। বিষ্ফোরকস্থলের নাম কেন এড়িয়ে যাওয়া হলো, এটা আগে বের করা উচিত।

জনগণের ভুল কোথায় ?
জনগণের ভুল হলো অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা । জনগণ বিদেশী কর্পোরেটদের প্রভাবিত মিডিয়া ও সরকার এবং তার পক্ষ-বিপক্ষ দ্বারা প্ররোচিত হয়ে মূল আলোচনা থেকে সরে দিয়ে ভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। যেমন-
১) রিফাত রিয়া নিয়ে আলোচনা
৩) বনানী অগ্নিকাণ্ডের পর নাইমকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা
৩) হেলিকপ্টার পানি তুলতে পারলো কি না, সেটা নিয়ে অযথা আলোচনা।

মনে রাখবেন, যারা মূল কালপ্রিট তারা সব সময় চায়, জনগণ যেন মূল আলোচনায় না থাকতে পারে, তারা যেন বিভ্রান্ত হয়ে অন্য পথে আলোচনা করে, আর সেই সুযোগে তারা তাদের কার্যসিদ্ধি করবে। আমাকে অনেকে প্রশ্ন করে, এসব আগুন লাগলে আমাদের কি করার আছে? আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, আপনি ফেসবুকে যে আলোচনা করছেন, সেটা অন্তত টু-দ্য পয়েন্টে করুন, অযথা ‘নাইম কে স্যালুট’, ‘হেলিকপ্টার পানি তুলতে পারলো না’- এসব ফালতু টপিকস তুলে মূল আলোকপাতকে গৌন করে তুলবেন না। সেক্ষেত্রে মূল কালপ্রিটরা যে ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যায়, সেটাতে জনগণের দায়ও কম নয়।   সকল জনগণ যদি যদি একযোগে মূল পয়েন্টে আলোচনা করতে পারতো, তবে অবশ্যই ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হতো।

নিউজিল্যান্ডের ঘটনার পরও আমি বলছিলাম,
মুসলমানদের আলোচনার বিষয়বস্তু হওয়া উচিত ছিলো, “খুনিকে ফাসি এবং তার সমগোত্রীয়দের নিষিদ্ধ ও দমন করার দাবী তোলা”। কিন্তু মুসলমানরা সেটা না করে জেসিন্ডা আরডেন মাথায় হিজাব পড়লো না আরবীতে উচ্চারণ করলো সেটা নিয়ে তাকে স্যালুট স্যালুট করে মুখে ফেনা তুলে মূল টপিকসকে ঘুড়িয়ে দিয়েছে। বাস্তবজীবনে খেয়াল করবেন, কোন আলোচনা সভা বা জরুরী মিটিং এর মধ্যে কিছু ফালতু কোয়ালিটির লোক থাকে, যারা হঠাৎ ফালতু বিষয়ের অবতারণা করে মূল আলোচনাকে ঘুড়িয়ে নিয়ে যায়, অধিকাংশ মানুষের দৃষ্টি ভ্রম করে। বাস্তব জীবনে কিন্তু আমরা এদের খুব নিন্দা করি। কিন্তু দেশ ও জাতি নিয়ে আমরা নিজেরাই যেহেতু চিন্তা করি না দেখে একই সমস্যা আমরা চিহ্নিত করতে পারি না। বরং নিজেরাই সেই অপ্রাসঙ্গিক আলোচনায় হাওয়া লাগাই, এবং মূল বিষয়ে আলোকপাত না করে আলোচনা অন্য দিকে ঘুড়িয়ে বেকুব হই, আর ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য সফল করতে সাহায্য করি।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

হঠাৎ আগুন বৃদ্ধির পেছনে দুটি বিদেশী প্রজেক্ট গুরুত্বপূর্ণ

১) বিশ্বব্যাংকের ‘আরবান রিজিলিয়ান্স প্রজেক্ট’ (ইউআরপি)
প্রকল্পস্থান : ঢাকা ও সিলেট শহর
প্রকল্পের সময়কাল: ২০১৫-২০২০
টাকার পরিমাণ :১৪০০ কোটি টাকা
প্রকল্পের বাহ্যিক উদ্দেশ্য : এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা ও সিলেট শহরের অবকাঠামো শক্তিশালী করন যেকোন নির্মাণ যেন দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম হয় তা নিশ্চিত করা এবং শহরের দুর্যোগ মোকাবেলায় জনগনের সক্ষমতাবৃদ্ধি করা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে, জরুরী দুর্যোগ মোকাবেলায় ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পাবে। শহরের উন্নয়ন ও নির্মাণ কাজে সচেতনতা বাড়বে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে।
(https://bit.ly/2CUCqPC, https://bit.ly/2WLwoYO, https://bit.ly/2TUD5G8)

২) জাপানের জাইকার বিল্ডিং সেফটি প্রজেক্ট (ইউবিএসপি)
প্রকল্পের স্থান : ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহর
সময়: ২০১৭ থেকে শুরু
উদ্দেশ্য:  শিল্প-বাণিজ্য ও বাসবাড়ির অগ্নিনির্বাপন সিস্টেম তৈরী ও কেনার জন্য সুদে ঋণ প্রদান ও আমাদের জনগণকে ঋণের জালে আবদ্ধকরণ। (https://bit.ly/2CQXVRl)

এ প্রকল্পগুলোর কারণে বিদেশীদের থেকে চাপ থাকবে ‘আগুন সেফটি’ নেয়ার জন্য আর যেসব ভবনে নেয়া সম্ভব না সেগুলো ভেঙ্গে ফেলার জন্য। এ কারণে এখানে-সেখানে দ্রুত আগুন ধরবে এবং অজুহাত তৈরী হবে যেন পুরাতন ভবনগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয় এবং নতুন ভবনগুলো অগ্নি নির্বাপন নিতে বাধ্য হয়।

এক্ষেত্রে সরকারই ‘মার্কেট সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ মেগা প্রকল্প’ নামক একটি প্রকল্প নেয়, সরকারী মার্কেটগুলো ভেঙ্গে ফেলে পূন:নির্মাণ বা সংস্কার করে নতুন করে বহুতল কমপ্লেক্স করার জন্য, যেখানে জিমনেশিয়াম, কমিউনিটি সেন্টার, ফুড কোর্ট, হলরুম, সিনেমা হল, উন্মুক্তস্থানসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে।

২০১৮ সালেই মিডিয়াতে দক্ষিণ সিটির ৩৭টি মার্কেট বা বাজারের নাম আসে, যেগুলো সরকার ভেঙ্গে নতুন বা পুনঃসংস্কার করতে চাইছে, কিন্তু ঐ এলাকার ব্যবসায়ীদের কারণে পারছে না। এর মধ্যে আছে:
১) খিলগাঁও কাঁচাবাজার
২) নিউ মার্কেট
৩) চন্দ্রিমা সুপারমার্কেট
৪) সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার,
৫) পলাশী মার্কেট
৬) বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স মার্কেট
৭) হাতিরপুল কাঁচাবাজার
৮) চানখাঁরপুল অস্থায়ী মার্কেট
৯) সদরঘাট হকার্স মার্কেট
১০) লেডিস পার্ক হকার্স মার্কেট
১১) কাপ্তানবাজার রোড সাইড মার্কেট
১২) নওয়াব ইউসুফ মার্কেট, বংশাল
১৩) লক্ষ্মীবাজার মার্কেট
১৪) বাদামতলী মার্কেট
১৫) শ্যামবাজার
১৬) ঠাটারীবাজার
১৭) দয়াগঞ্জ রোড সাইড মার্কেট
১৮) নবাব ইউসুফ মার্কেট
১৯) আজিমপুর রোড সাইড মার্কেট
২০) মানিকনগর আধুনিক কাঁচাবাজার
২১) ইসলামবাগ কাঁচাবাজার
২২) ঋষিকেশ দাস রোড মার্কেট
২৩) ঢাকা ট্রেড সেন্টার
২৪) ছিদ্দিকবাজার মার্কেট
২৫) ৩৮/৬ নর্থব্রুক হল রোড সাইড মার্কেট
২৬) ভিক্টোরিয়া পার্ক মার্কেট
২৭) সিমসন রোড সাইড মার্কেট
২৮) নবাবগঞ্জ কাঁচাবাজার
(https://bit.ly/2Kj2Pgf)

শুধু বিদেশীদের টাকার জন্য নয়, পুরাতন বাজার/মার্কেট/শপিং সেন্টার ভেঙ্গে নতুন করলে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অনেক লাভ আছে। যেমন কিছুদিন আগে গুলশান ডিসিসি মার্কেটে আগুন ধরলো। ঐখানে প্রায় ৭ বিঘা যায়গার উপর বহুতল ভবন নির্মাণ করার জন্য চূক্তি হয়েছে মেট্রোগ্রুপের সাথে। উপর দিয়ে প্রকাশ করা হয়, ঐ বহুতল ভবনের ৩৭% পাবে সরকার, আর ৬৩% পাবে নির্মানাধীন মেট্রোগ্রুপ (https://bit.ly/2OK69iI)। আপনারা যারা রিয়েলস্টেট বিজনেস বুঝেন, তারা বুঝতে পারবেন, গুলশান ১ এর মত যায়গায় কর্মাশিয়াল স্পেস নির্মাণে ৩৭-৬৭ পার্সেন্টিস কতবড় অসম্ভব একটা চূক্তি। এটা যদি ৭৫-২৫ (ডিসিসি-মেট্রোগ্রুপ) হয় তবুও শত শত কোম্পানি খাড়া হয়ে যাবে সেখানে মার্কেট বানাতে। দেখা যাবে, সরকারী রাঘব বোয়ালদেরকেই পর্দার আড়ালে ৪০% দোকান বুঝিয়ে দেয়া হবে, যা চালিয়ে দেয়া হচ্ছে মেট্রোগুপের নামে।
এছাড়া মার্কেটগুলোর দোকান বরাদ্দ নিয়েও থাকে অসম্ভব রকম দুর্নীতি করার সুযোগ। এ সম্পর্কে একটি খবর পড়তে পারেন: https://bit.ly/2OPkdb0

তাই শুধু শুধু যায়গায় যায়গায় ব্যবসা-বানিজ্য করে কি লাভ ?
যদি সরকারেরই লাভ না হয় ?
জনগণের লাভ দিয়ে তো আর সরকার চলবে না।
সরকার ও তার কর্মকর্তা কর্মচারিদের লাভ হওয়ার জন্য যা করা দরকার,
তাই করতে হবে।
যদি প্রয়োজনে মানুষকে আগুন দিয়েও তাড়াতে হয়, পরিষ্কার করতে হয়
তবুও সেটাই করতে হবে, এটাই নিয়ম।

হঠাৎ করে আগুন বৃদ্ধির পেছনে তাই
-বু্দ্ধিদাতা : বিদেশীরা
-ব্যবসা করার সুযোগ : বিদেশীদের (সাথে সরকারের দলীয় টপ লিস্টেড ব্যবসায়ীরা)
- দুর্নীতি করার সুযোগ : সরকারের
মাঝখান দিয়ে পিষ্ট হবে জনগণ,
জনগণের ব্যবসা-বাণিজ্য ও জানমাল নষ্ট্ হবে
কাচা বাজারের স্থলে বহুতল অত্যাধুনিক মার্কেট হবে
কিন্তু জনগণের খরচ বহুগুন বৃদ্ধি পাবে।
আর একটাকেই বলে কর্পোরেটোক্রেসি।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Tuesday, April 2, 2019

বিদেশীদের খুশি করতে দেশের মানুষের পক্ষে কথা না বললেও, সেই বুদ্ধি বিএনপিকে রক্ষা করতে পারবে না।

“বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পকারখানায় আগুন লাগছে, এর পেছনে অন্য ঘটনা আছে”-এই কথাটা সম্ভবত আমি একমাত্র যে গত দুইমাস ধরে বলে চলেছি এবং এও বলেছি, এই ঘটনা খুব দ্রুত বাড়বে। আমার স্ট্যাটাস পড়ে আমাকে অনেকে ভালো বলেছে, আমার অনেকে গালি দিয়েছে। অনেকে বলেছে, আগে আপনাকে ভালো ভাবতাম, এখন ভাবি না। অনেকের কমেন্ট শুনে অনেক সময় মন  খারাপও করেছি, ভেবেছি, সত্যিই কি আমি ভুল কিছু করছি ? তারপরও মন শক্ত করে লেখা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করেছি।

আমার স্ট্যাটাসের কমেন্টেসে আমাকে অনেকে জ্যোতিষি বলেছে। বলেছে, আমি ভবিষ্যত বাণী করি।
বাস্তবে আমি কিন্তু ভবিষ্যত বাণী করি না, বরং অ্যানালাইসিস বা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করি।
অ্যানালাইসিস বা বিশ্লেষণ হচ্ছে এক ধরনের অংক বা ক্যালকুলেশন।
২+২ = ৪ হবে, এটা হলো অ্যানলাইসিস। এটা এক ধরনের ম্যাথমেটিকস, এক ধরনের বিজ্ঞানও বলা চলে। এভাবে ক্যালকুলেশন করে আমি ভবিষ্যতে কি হতে পারে, তা সম্পর্কে ধারণা করার চেষ্টা করি এবং আপনাদেরকে জানাই।
অ্যানালাইসিসের বস্তুগত সংজ্ঞা কি ? কিসের উপর নির্ভর করে তা করতে হয়, তা নিয়ে আমি সামনে বিস্তারিত স্ট্যাটাস দেবো। তবে রাজনৈতিক অ্যানালাইসিস নিয়ে আমি দুটো ক্লাস নিয়েছিলাম। আগামীতে সেই ক্লাসগুলো দীর্ঘায়িত করার ইচ্ছাও আছে।

গত কয়েকদিনে আগুন নিয়ে সরকার ও বেসরকারীভাবে অনেকগুলো খবর ও বক্তব্য আমি দেখেছি। এ খবরগুলো দেখে আমার মনে কিছু চিন্তা হয়েছে, সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু বড় সমস্যা হলো ‘সময়’। সামনে আমার ‘অবসরের সময়’ নিয়ে যে ইঙ্গিত পাচ্ছি, তাতে লেখালেখিতে কতটুকু সময় দিতে পারবো, তা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমি যেটা করার চেষ্টা করি, অন্তত খবরগুলো দেখে আপনাদেরকে কিছু ‘ইঙ্গিত’ দিয়ে রাখা, যা দিয়ে হয়ত আপনারা নিজেরাই অ্যানালাইসিস বা ক্যালকুলেশন করে নিতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে হয়ত, অনেক পাঠক অবজেকশন জানাবে, বলবে লিঙ্ক কোথায় ? দলিল কোথায় ? দলিল ছাড়া কথা বলেন কেন ? ইত্যাদি ইত্যাদি।

তবে সমালোচনার আমি সিক্ত হবো, এটা জেনেও, আমি কিছু খবর সম্পর্কে যাস্ট ‘ইঙ্গিত’ দিয়ে রাখছি, যেন আমি সময় না পেলে বা দেশে শর্ট সময়ে অনেক কিছু ঘটে গেলে আপনারা সে অনুসারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বা লেখালেখি করতে পারেন।

১) খবর: অগ্নি নিরাপত্তা: গার্মেন্টের আদলে উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ ইইউর
(https://bit.ly/2U7YOiT)
মন্তব্য : পশ্চিমারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার বা ব্যবসা করতে চায়। অগ্নি ভয় দেখিয়ে কমপ্ল্যায়েন্সের কথা বলে অনেক গার্মেন্টসকে এতদিন পথে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন বাসাবাড়ি বা সাধারণ কমার্শিয়ালের জন্য একই কথা বলে তারা আরো বড় ব্যবসার ধান্ধা করছে। আর তারা যত ব্যবসা করবে, জনগণের খরচ তত বাড়বে। এমনিতেই ঢাকায় কমার্শিয়াল স্পেস ও আবাসিক বাড়িভাড়ার খরচ বহন করতে গিয়ে জনগনের মাথায় হাত। আমার কথা হলো, যদি সত্যিই আগুন ধরতো, তবে সমস্যা নেই, কিন্তু স্যাবোট্যাজ আগুনকে কেন্দ্র করে কেন নতুন করে আমার খরচ বাড়ানোর ধান্ধা করা হবে ?

২) খবর: রোববার থেকে ঢাকাস্থ ভবনগুলোতে রাজউকের অভিযান, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকলে ভবন সিলগালা (https://bit.ly/2WzmXvx)
মন্তব্য: আমি বড় ধরনের চাদাবাজির ইঙ্গিত পাচ্ছি। ঈদের বখশিস নিতে সরকারী কর্মকর্তারা আসছে আমার-আপনার বাসায়।

৩) খবর: বনানী এফআরটাওয়ার নিয়ে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত, আগেই নোটিশ টাঙ্গানো হয়েছিলো। জমির মালিক ফারুক এবং বিএনপি নেতা তাসভির গ্রেফতার।

মন্তব্য: উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে।  একটা ঘটনার পরবর্তী ফায়দা কে নিবে, সেটা দেখে অনুমান করতে হবে ষড়যন্ত্রটা কে করেছে ? বনানীর মত যায়গায় নিজের তিন তলা কমার্শিয়াল স্পেসে আগুন ধরায় নিজের ক্ষতি কোন পাগলও করবে না। যেহেতু রাজউক ঐ ভবনটাকে ধরতে চাইছিলো (হয়ত ঘুষ দেয়নি), অতিরিক্ত অংশের (ঢাকায় এমন ভুরি ভুরি ভবন আছে) মালিক বিএনপি নেতা এবং ঐ এলাকা নিয়ে সরকারের একটা মাস্ট্যারপ্ল্যান  আছে (কূটনীতিক পাড়া ও তার আশেপাশে খালি করা), সেহেতু হুদাই দোষের তীর ১৮০ ডিগ্রি ঘুড়ায় লান্ড ওনার আর ভবন মালিকের দিকে দেয়া হচ্ছে।

৪)   একের পর এক আগুন নাশকতা কিনা খতিয়ে দেখুন :সাঈদ খোকন
(https://bit.ly/2V8ZYY6)

মন্তব্য: সাবাস ! এটাই তো চাচ্ছিলাম। কয়েকদিন পর সাঈদ খোকন-ই বলবে এই আগুনের পেছনে বিএনপির নাশকতা আছে। তারপর বিএনপির যে কয়টা আধমরা আছে সেগুলোকেও জেলে ভরবে। সাঈদ খোকন নিজেই পুরান ঢাকায় অগ্নিকান্ডসহ ব্যবসা বাণিজ্যের নষ্টের পেছনে ষড়যন্ত্রে জড়িত। কিন্তু বিএনপি এটা জেনেও তার বিরোধীতা করেনি, কারণ এর পেছনে বিদেশীদের ফান্ড আছে। কারণ এখানে ষড়যন্ত্র ফাস করলে যদি বিদেশীরা বিএনপির প্রতি নাখোশ হয়। এবার ভালো হলো, সেই দায় এবার খোদ আওয়ামীলীগই বিএনপির ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে। বিদেশীদের খুশি করতে দেশের মানুষের পক্ষে কথা না বললেও, সেই বুদ্ধি বিএনপিকে রক্ষা করতে পারবে না।

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

“দেশ হবে সিঙ্গাপুর, লস অ্যাঞ্জেলস, প্যারিস, সুইজারল্যান্ড; থাকবে না কোন গরীব”


অভিজান : ‘অগ্নিস্নানে শুচি’
তারিখ: ৩০/০৩/২০১৯
স্পট: গুলশান-১ ডিএনসিসি সুপার মার্কেট
ভবিষ্যত : ‘ঢাকা সিটি ট্রেড’, ২০ তলা।
নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান : মেট্রো গ্রুপ
মন্তব্য: “দেশ হবে সিঙ্গাপুর, লস অ্যাঞ্জেলস, প্যারিস, সুইজারল্যান্ড; থাকবে না কোন গরীব”

বিস্তারিত: গুলশান-১ এর ডিএনসিসি সুপার মার্কেটের ৭ বিঘা জমির উপর বিরাট ২০ তলা বহুতল ভবন নির্মাণ করবে মেট্রোগ্রুপ।  ভবনের নাম হবে ‘ঢাকা সিটি ট্রেড’। এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশনের সাথে অনেক আগেই চূক্তি হয়েছে।  এর আগে ফকিরন্নি দোকান সরাতে ২০১৭ সালের জানুয়ারীর শুরুতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন মরহুম মেয়র আনিসুল ইসলাম। আগুন দিয়ে পরিষ্কার করেছিলেন বেশ খানিকটা। তবে সে সময় কাজটা শেষ হয়নি।  পরবর্তীতে তার অসুস্থতা ও মৃত্যু কাজ দীর্ঘদিন কাজ থামিয়ে থাকে। তবে নতুন মেয়র আতিকুল দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন করে আনিসুলের রেখে যাওয়া কাজে হাত দিয়েছেন। আতিকুল বলছেন, “কোন কথা হবে না, হবে অ্যাকশন”।

বি: দ্র: ঢাকা ভার্সিটির পাশে নীলক্ষেতের শেষ অবস্থা কেউ বলতে পারবেন ? শেষ অবস্থা আমার জানা নাই। নীলক্ষেতের দোকান সরিয়ে সেখানে বিরাট বহুতল ভবন তৈরীর চূক্তি সেরেছিলো ফজলে নূর তাপস। তাদের কাছে কেউ তথ্য পৌছান, তাদেরকে সাবধান করেন। নয়ত যেকোন সময় তাদের এলাকাও সিঙ্গাপুর, লস অ্যাঞ্জেলস, প্য্যারিস, সুইজারল্যান্ড হওয়ার কাজ শুরু হতে পারে। নীলক্ষেত ঢাকার ছাত্র সমাজের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা এলাকা। নীলক্ষেত না থাকলে ছাত্রদের ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে। উল্লেখ্য আমি গত ২ মাসে যে লেখাগুলো লিখেছি, সেগুলো নিয়ে অনেকেই হয়ত তর্ক করেছেন। কিন্তু আমার অ্যানালাইসিস বলে সেটাই সম্ভবত দ্রুত ফলতে যাচ্ছে, সেই থাবায় হয়ত বাদ যাবেন না আপনিও ।

নিচের দুটি লেখার লিঙ্ক  সংযুক্ত করে দিলাম:
১) বুলডোজারে পরিষ্কার হয় কম, আগুনে বেশি (https://bit.ly/2OxZjgg)
২) ১ মাসে দেশের ৫৬টি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীক এলাকায় আগুন (https://bit.ly/2HKFW2U)

----------------------------------------------------------
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------