Saturday, February 24, 2018

শেখ হাসিনার আমলে কেন মসজিদ ভাঙ্গা হয় ??


আজকে সকালে খবর পেলাম বাংলাদেশের রাজধানী হাতিরঝিলের শেষ মসজিদটাও ভেঙ্গে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ। ঐ এলাকায় একটি-দুইটি নয় ৫টি মসজিদ ও ২টি মাদ্রাসা ভাঙ্গা হয়েছে, যা অধিকাংশের যায়গা এখনও ফেরত দেয়া হয়নি। এছাড়াও ফেসবুকে খবর এসেছে ঢাকায় নির্মিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে ২১টি মসজিদ ভাঙ্গা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
একটি বিষয় লক্ষ্যনীয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মসজিদ ভাঙ্গার ব্যাপারে খুবই আগ্রহী ও অগ্রগামী। কিন্তু কেন তার এই আচরণ ? এটা কি নতুন কিছু ? নাকি এর তার পুরাতন রোগ ??
এ ব্যাপারে শেখ হাসিনার সাবেক এপিএস মতিয়ুর রহমান রেন্টুর লেখা আমার ফাসি চাই বইয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে। আসুন বিষয়টা দেখি-
``১৯৮৬ সালের শুরু থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আবার ছাত্র আন্দোলনের জন্য নতুন করে তাগিদ দিতে থাকলেন। বহু চাপাচাপি, ধমকাধমকি এবং তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও যখন আন্দোলনের বিন্দুবিসর্গও হলো না তখন তিনি রেগে মে মাসের মাঝামাঝি তার জন্মভূমি এবং পিতার বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায় চলে গেলেন এবং বেশ কিছুদিন টুঙ্গিপাড়ায় থাকলেন। এরই মধ্যে একদিন শেখ বাড়ির (শেখ হাসিনার নিজের বাড়ির) কিছু মুরব্বীসহ টুঙ্গিপাড়া গ্রামের ২০/৩০ জন মুরব্বী এসে শেখ হাসিনার অংশের একটি নারিকেল গাছ দ্বারা শেখ বাড়ির অন্য শরীকের জায়গায় নির্মিত মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জানিয়ে সেই নারিকেল গাছটি কেটে ফেলার প্রস্তাব করলে, শেখ হাসিনা সরাসরি বলে দেন আমার নারিকেল গাছ কাটা হবে না। দরকার হলে মসজিদ সরিয়ে ফেলেন। তখন সকল মুরব্বী পবিত্র কুরআন পাকে মসজিদ সরানো নিষেধ আছে বলে মসজিদের দেয়াল ও স্থান ঘেঁষে থাকা শেখ হাসিনার জায়গায় অবস্থিত নারিকেল গাছটি কেটে ফেলার জন্য বারবার অনুনয়-বিনয় করতে থাকে। তখন শেখ হাসিনা বলেন, এই মসজিদ বন্ধ করে দেন। আমি আরো বড় মসজিদ বানিয়ে দেবো। মুরব্বীরা বলেন, একটু বাতাস হলেই নারিকেল গাছটি মসজিদের গায়ে এবং ছাদে লাগতে থাকে। এইভাবে চললে মসজিদের ছাদ এবং দেয়াল অচিরেই ভেঙ্গে যাবে। শেখ হাসিনা বলেন, ভেঙ্গে যায় যাক্, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আপনারা লক্ষ বছর কান্নাকাটি করলেও নারিকেল গাছ কাটব না। ( সূত্র: মুক্তিযোদ্ধা ও শেখ হাসিনার সাবেক এপিএস মতিয়ুর রহমান রেন্টুর লেখা আমার ফাসি চাই বই)
কি বুঝলেন ??
শেখ হাসিনা নিজেই মসজিদ ভাঙ্গায় খুবই আগ্রহী, এবং সেই আগ্রহ বাস্তবায়ন করতেই দেশজুড়ে উন্নয়নের নামে চলছে মসজিদ ভাঙ্গার মহোৎসব। এমনকি সেটার আইনী ভিত্তি তৈরী করতে আইন পর্যন্ত পাশ হয়েছে, যেখানে ওয়াকফকৃত মসজিদ মাদ্রাসা পর্যন্ত ভাঙ্গার অনুমতি দেয়া হয়েছে। (http://bit.ly/2HIV0uD)
সত্যিই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, ডিজিটাল হচ্ছে, ভাবতে ভালোই লাগে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

অবশেষে ভেঙ্গে ফেলা হলো হাতিরঝিলের পানির উপর মসজিদ


গতকাল জুম্মার নামাজ চলাকালে মুসল্লীদের ঘাড় ধরে মসজিদ থেকে বের করে দেয় সেনাসদস্যরা। 
অতঃপর ভেঙ্গে ফেলা হয় মসজিদটি।
হাতিরঝিলের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে, এই অজুহাতে মসজিদটি ভেঙ্গে দেয়া হলো ওয়াকফকৃত মসজিদটি।
মসজিদ কর্তৃপক্ষ একাধিকবার নিজস্ব অর্থায়নে মসজিদটি বহুতল করার সিদ্ধান্ত নিলেও তা করতে দেয়নি হাতিরঝিলের দায়িত্বরতরা, তাদের এক কথা- এই স্থানে মসজিদ থাকতে পারবে না।
একজন মুসল্লী জানালেন, এখনও ওয়াকফকৃত মসজিদটির নতুন যায়গা দেয়া হয়নি বরং অন্য একটি মসজিদকে এ মসজিদের বদলি বলে মিথ্যা দাবি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, হাতিরঝিলে রামপুরা রাস্তায় ঢুকতে একটি মন্দিরের কারণে রাস্তা ঘুরিয়ে নেয়া হলেও সৌন্দর্যেয কথা বলে ওয়াকফকৃত মসজিদটি উচ্ছেদ করা হলো।
(সূত্র : ইনবক্স)




===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

ভারতের হায়দারাবাদে ইহুদী কোম্পানি প্রক্টর এন্ড গ্যাম্বেলের বাচ্চাদের ডায়পারে (প্যামপারস)কৌশলে মুসলমানদের শেষ নবীর নাম লিখে দেয়া হয়েছে!


ভারতের হায়দারাবাদে ইহুদী কোম্পানি প্রক্টর এন্ড গ্যাম্বেলের বাচ্চাদের ডায়পারে (প্যামপারস)কৌশলে মুসলমানদের শেষ নবীর নাম লিখে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে হায়দারাবাদের মুসলমানরা ব্যাপক আন্দোলন-বিক্ষোভ করছে।
কিছুদিন আগে সবাই বহুজাতিক ইহুদীবাদী কোম্পানি ইউনিলিভারের পন্য বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো, এখন প্রক্টর এন্ড গ্যাম্বেলের পন্যগুলো (প্যানটিন, জিলেট, প্যামপারস, হেড এন্ড শোল্ডার, হুইসপার আলট্রা)বর্জন করা উচিত।
খবরের সূত্র:
১)http://dailym.ai/2BOKlyi
২)http://bit.ly/2CHhvwd
৩) http://bit.ly/2BKVH6m





===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Friday, February 23, 2018

বাংলা ভাষায় কার অবদান বেশি ? হিন্দু না মুসলমানের ??

আমরা যে বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি, লিখতে পারছি, এর পেছনে কার অবদান বেশি ? হিন্দুদের না মুসলমানদের ?? এই প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়া অস্বাভাবিক নয়। আসলে প্রাচীন আমলে বাংলাভাষা ছিলো আঞ্চলিক ভাষার মত, ভাষাটি এত বেশি সমৃদ্ধ ছিলো না যে একটি বিরাট জাতি তা সাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারে। প্রাচীন বাংলা ভাষায় সাহিত্য চর্চার খুব একটা নিদর্শনও পাওয়া যায় না (শুধু চর্যাপদ ছাড়া)। এরপর মধ্যযুগে বাংলাভাষা কৈশরে উপনিত হয়। কিন্তু দুঃখজনক, সেই ক্ষুদ্র বয়সে হিন্দুরা বাংলাভাষাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। হিন্দু সেন রাজত্বের আমলে ব্রাহ্মণরা বলা শুরু করল “সংস্কৃত হচ্ছে দেবভাষা আর বাংলা হচ্ছে মনুষ্য সৃষ্ট ভাষা। বাংলা ভাষা মর্যাদায় অনেক নিচু।”
এ সম্পর্কে ইতিহাস বলে- "ব্রাক্ষ্মণ্যবাদী সেন রাজারা বাংলা ভাষা চর্চা নিষিদ্ধ করেছিল। আর হিন্দু পুরোহিতরা এ কথা বলে বেড়াতো যে, যে ব্যক্তি বাংলা ভাষায় কথা বলবে সে নরকে যাবে। [ সুত্র : খন্দকার কামরুল হুদা, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও শেখ মুজিব, ১৯৯৫ পৃ. ৩২] "
ডক্টর দীনেশ চন্দ্র সেন অত্যন্ত সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছে। তার ভাষায়, ‘ইতরের ভাষা বলিয়া বঙ্গ ভাষাকে হিন্দু পন্ডিত মন্ডলী ‘দূর দূর’ করিয়া তাড়াইয়া দিতেন। (সওগাত, চৈত্র, ১৩৩৫)
অপরদিকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দে মুসলিম সেনাপতি মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজি বাংলা দেশে মুসলিম রাজত্ব কায়েমের ফলে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের নবজন্ম ঘটে। মুসলমান শাসক হুসেন শাহ, গৌড়ের সামসুদ্দিন ইউসুফ শাহ এবং অপরাপর মুসলমান সম্রাটেরা বাংলাদেশে বাংলা ভাষাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে আমাদের সাহিত্যে এক নতুন যুগ সৃষ্টি করেছিলেন। আর সে কারণেই দিনেশ চন্দ্র সেন মন্তব্য করে, "মুসলমান সম্রাটগণ বর্তমান বঙ্গ – সাহিত্যের জন্মদাতা এইরূপ বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। বঙ্গ সাহিত্য মুসলমানদেরই সৃষ্ট, বঙ্গভাষা বাঙ্গালী মুসলমানের মাতৃভাষা। [ সুত্র : দীনেশ চন্দ্র সেন - প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান, (১৯৪০) কলকাতা।]"
দীনেশ চন্দ্র সেন আরো বলে- ‘কয়লার খনির মধ্যে থাকিয়া হীরা যেমন জহুরির আগমনের প্রতীক্ষা করে, শুক্তির ভেতর মুক্তা লুকাইয়া থাকিয়া যেরূপ ডুবুরির অপেক্ষা করিয়া থাকে, বাংলা ভাষা তেমনই কোনো শুভদিন শুভক্ষণের জন্য প্রতীক্ষা করিতেছিল। মুসলিম বিজয় বাংলা ভাষার সেই শুভদিন শুভক্ষণের সুযোগ আনয়ন করিল।’ [দ্রষ্টব্য : বাংলা ভাষার ওপর মুসলমানের প্রভাব : শ্রী দীনেশ চন্দ্র সেন]।
বিশিষ্ট গবেষক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান“বাংলার সামাজিক ও সংস্কৃতির ইতিহাস” গ্রন্থের ভূমিকায় বলেন, “যদি বাংলায় মুসলিম বিজয় ত্বরান্বিত না হতো এবং এদেশে আরো কয়েক শতকের জন্য পূ্র্বের শাসন অব্যাহত থাকতো, তবে বাংলা ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যেত এবং অবহেলিত ও বিস্মৃত-প্রায় হয়ে অতীতের গর্ভে নিমজ্জিত হতো।
"বাংলা হলো মুসলমানদের প্রানের ভাষা - আর এ কারণেই আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ ১৯০৩ সালে "আল ইসলাম" পত্রিকায় সর্বপ্রথম বাংলাকে মুসলমানদের মাতৃভাষা রূপে তুলে ধরেন। [ সুত্র : ড. ইফতেখারউদ্দিন চৌধুরী, দৈনিক ইত্তেফাক, সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩]" আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ ১৩২৫ বঙ্গাব্দে - 'আল-ইসলামে' প্রকাশ্যে নির্ভীকচিত্তে উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা দেন যে, 'বাঙলা বাঙালী মুসলিমের কেবল মাতৃভাষাই নয়, জাতীয় ভাষাও।'
উপরের আলোচনা দ্বারা এটি স্পষ্ট- হিন্দুরা চেয়েছিলো বাংলা ভাষাকে জন্মলগ্নেই গলা টিপে হত্যা করতে, সেখানে মুসলমানরা বাংলাভাষাকে দিয়েছিলো পুনর্জন্ম। সে হিসেবে বাংলা ভাষায় কার অবদান বেশি, হিন্দু না মুসলমানের, এ ধরনের প্রশ্ন করা অবান্তরই বলা চলে।
মূলত বাংলাভাষা প্রাথমিক অবস্থায় ছিলো আঞ্চালিক ভাষার মত। ভাষাটি বিরাট জনগোষ্ঠীর জাতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য যথেষ্ট সমৃদ্ধ ছিলো না। এ জন্য দরকার ছিলো- বাংলাভাষার ব্যাপক চর্চা, যা ঘটে সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে, মধ্যযুগে সেই কাজটি করেছিলো মুসলিম কবি-সাহিত্যিকরা। মুসলিম সাহিত্যিকরা বাংলা ভাষায় ব্যাপক চর্চার মাধ্যমে ভাষাটি সমৃদ্ধ করে। যেহেতু মুসলিম কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে আরবী ও ফারসীর ব্যাপক প্রভাব ছিলো, তাই বাংলা ভাষায় প্রচুর পরিমাণে আরবী ও ফারসী শব্দ প্রবেশ করে, যা বাংলাভাষাকে সমৃদ্ধ করে একটি বিরাট জনগোষ্ঠীর ব্যবহারের উপযোগী করে তোলে। আসুন জেনে নেই, সে সময় কোন কোন মুসলিম সাহিত্যিক বাংলাভাষাকে চর্চা করে বাংলাভাষাকে পরিপূর্ণতা দান করেছিলেন-
মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যিক
-শাহ মুহম্মদ সগীর (১৪শ’ শতাব্দী), -জৈনুদ্দীন (১৫শ’ শতাব্দী), -মুজাম্মিল (১৫শ’ শতাব্দী),-দোনাগাজী: (১৬শ’ শতাব্দী), -শেখ ফয়জুল্লাহ (১৬শ’ শতাব্দী),- দৌলত উজির বাহরাম খান: (১৬শ’ শতাব্দী), - মুহম্মদ কবীর (১৬শ’ শতাব্দী),-সৈয়দ সুলতান (১৬শ’ শতাব্দী), - শেখ পরান (১৬শ’ শতাব্দী), -হাজী মুহাম্মদ (১৬শ’ শতাব্দী), -মীর মুহাম্মদ শফী (১৬শ’ শতাব্দী), -নসরুল্লাহ্ খাঁ (১৬শ’ শতাব্দী), -মুহম্মদ খান, - সৈয়দ মর্তুজা, -শেখ মুত্তালিব, -আবদুল হাকীম।
১৬০০ থেকে ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আরও কয়েকজন হলেন
-নওয়াজিশ খাঁ,-কমর আলী, -মঙ্গল (চাঁদ),-আবদুন নবী, -মুহম্মদ ফসীহ,-ফকির গরীবুল্লাহ্, -মুহম্মদ ইয়াকুব,-শেখ মনসুর,
-শেখ চাঁদ, -মুহম্মদ উজীর আলী, -শেখ সাদী, -হেয়াত মামুদ, -দৌলত কাজী।
১৭শ’ শতাব্দীতে আরকান (বর্তমানে বার্মার রাখাইন রাজ্য) রাজসভায় মহাকবি আলাওল, দৌলত কাজী, এবং কোরেশী মাগন ঠাকুর এর মতো বাংলা কবিদের সাধনা আর পৃষ্ঠপোষকতায় সেখানে বাংলা সাহিত্যের প্রভূত উন্নতি হয়। উল্লেখ্য, বর্তমানেও চট্টগ্রামের অনেক লাইব্রেরীতে আরকান রাজসভার বাংলা সাহিত্য চর্চার দলিলগুলো রাখা আছে। যদিও আজকাল মিডিয়া বা পাঠবই বিষয়গুলো এড়িয়ে যায় বললেই চলে। দু:খজনক হলেও সত্য, বাংলাভাষা মূল গোড়া অনুসন্ধান করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এমনকি অনেক মুসলমানও না জেনে বোকার মত বলছে- বাংলাভাষা নাকি হিন্দুদের ভাষা, যদিও ভাষাটি এ অবস্থানে এসেছে মুসলমানদের হাত ধরেই।
বাংলা ভাষায় মুসলমানদের ব্যাপক সাহিত্য চর্চার ফলে বাংলা ভাষা একটি সমৃদ্ধ ভাষা হয়ে উঠে এবং একটি পরিপূর্ণ ভাষা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বলাবাহুল্য সেই সময় বাংলাভাষায় আরবী ও ফার্সী ভাষার ব্যাপক প্রভাব ছিলো। কিন্তু সমস্যা ঘটে ব্রিটিশরা আসার পর। ব্রিটিশরা দেখলো বাংলা ভাষা চর্চা মানেই মুসলমানদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা । এই বিষয়টি যদি চলতে দেয়া হয়, তবে আগামীতে বাংলাসংস্কৃতি মানেই মুসলমানি সংস্কৃতি হবে। এটার অবশ্যই পরিবর্তণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে ১৮০০ সালে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করে ব্রিটিশরা কলকাতার হিন্দু সাহিত্যিকদের (যেমন: বঙ্গিম, ঈশ্বরচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ) পৃষ্ঠপোষকতা করে ভিন্নমাত্রার সাহিত্য রচনা করতে থাকে, এর মাধ্যমে তারা এক নতুন বাংলা ভাষার জন্ম দেয়, যা আরবী-ফার্সী বিবজির্ত, জটিল ও দুর্বধ্য সংস্কৃতি শব্দবহুল। (এ সম্পর্কে জানতে গোলাম মোর্তজার ইতিহাসের ইতিহাস বইটি পড়তে পারেন)
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সূচনাও হয়েছিলো তমদ্দুন মজলিস নামক একটি ইসলামী সংগঠনের পক্ষ থেকে। ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বরে তমদ্দুন মজলিস একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে যার নাম ছিল পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা না উর্দু? এই পুস্তিকার লেখক কাজী মোতাহার হোসেন, আবুল মনসুর আহমেদ এবং অধ্যাপক আবুল কাসেম (তমদ্দুন মজলিসের সাধারণ সম্পাদক) বাংলা ভাষাকে পূর্ব বাংলায় ভাব বিনিময়, অফিস ও আদালতের একমাত্র ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার পক্ষে জোরালো মতামত তুলে ধরেন। তাঁরা বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষেও জোরালো দাবি জানান। (bn.wikipedia.org/wiki/তমদ্দুন_মজলিস)
উপরের আলোচনা থেকে একটি বিষয় প্রমাণিত বাংলাভাষা মূলত মুসলমানদেরই ভাষা। এবং হিন্দুরা প্রথম থেকেই এ ভাষাকে নিগৃহিত করে এসেছে। কখন নিজেরা করেছে, কখনও বা ইংরেজদের প্ররচণায় করেছে।
(গত বছরের ৩টি পোস্টের সমন্বিত রূপ)

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

একুশের চেতনা : বাস্তবিক প্রয়োগ ও গ্রহণযোগ্যতা

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছিলো মুসলিম জাতীয়তাবাদের উপর ভিত্তি করে। সেখানে বলা ছিলো, মুসলমানরা এক সাথে থাকবে, মুসলমানদের জন্য তৈরী হবে পৃথক ভূমি। কিন্তু মাত্র ৫ বছরের মধ্যে ৫২’র সেই ভাষা আন্দোলন ছিলো সেই মুসলিম জাতীয়তাবাদের জন্য বিষফোড়া। এতদিন মুসলমান-মুসলমান এক হয়েছে, কিন্তু ৫২’র ভাষা আন্দোলনের মাধ্যম দিয়ে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ তৈরী করা হলো ভাষাকে কেন্দ্র করে।
যারা ভাষা আন্দোলনের তত্ত্ব তৈরী করেছিলো, তারা জানতো ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র পাকিস্তানের মানুষ দুই ভাষায় বিভক্ত- বাংলা ও উর্দু। সুতরাং ভাষা ভিত্তিক বিভেদ সৃষ্টির আলটিমেট ফলাফল দেশ ভাগ, যা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় (যদিও বুদ্ধিদাতাদের থেকে বেশি ক্রেডিট যাবে মাথামোটা রগচটা পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর কাছে) ।
ফিল্ডে থেকে যে লোকগুলো ভাষা আন্দোলনের জন্ম দিয়েছিলো তারা কিন্তু কেউ সেক্যুলার ছিলো না, ছিলো পাক্কা মুসলমান। ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্দোলনের দিন যে মাইকটা ব্যবহার করা হয়েছিলো সেটাও নাকি ছিলো মসজিদ থেকে নিয়ে আসা মাইক। তারপরও ভাষা আন্দোলনের ফলাফলটা ছিলো সেক্যুলার, অর্থাৎ ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদ, সেটা যে ধর্মেরই হোক।
ভাষা আন্দোলনের আজকে ৬৬ বছর হয়ে গেছে, এখনও সবাই ‘একুশের চেতনা’ ‘একুশের চেতনা’ করে। কিন্তু আপনি নিজেই একটু চিন্তা করে দেখুন, বর্তমান যুগে সেক্যুলার একুশের চেতনার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু ? আর সেটার বাস্তব প্রয়োগটাই কোথায় ?
৫২’র ভাষা আন্দোলনের মূল থিম যদি ধরি, “তুমি যে ধর্মেরই হও, বাংলাভাষী হিসেবে এক”।
কিন্তু এই সেক্যুলার তত্ত্ব তো সঠিক নয়।
উদারহণ- আপনি মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের দিতে তাকান। তাদের ভাষা বাংলা ভাষার সাথে মিলে যাওয়ায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। একই ভাষার হিন্দু রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে, কিন্তু মুসলিম রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশী ট্যাগ দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তারমানে তাদের কাছে ধর্মটাই আগে, ভাষা নয়।
একই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গ আর আসামেও। সেখানেও শুধু বাংলাভাষী (অথবা অসমভাষী) শুধু মুসলমান হলেও তাদের বাংলাদেশী ট্যাগ দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানোর ঘোষনা দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের ধর্মটাই মূল।
তারমানে আপনি ভাষার ভিত্তিকে মুসলিম-অমুসলিমকে এক করতে চাইলেও অমুসলিমরা সেটা চায় না, তাদের কাছে ধর্মীয় পরিচায়টাই মুল। সুতরাং আপনি মুসলমানের কাছে ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তাবাদের মূল্য থাকলেও অন্যদের কাছে তার মূল্য শূণ্য।
একটি বিষয় লক্ষ্য করবেন, যারা একুশের চেতনা, একুশের চেতনা করে মুখে ফেনা তুলছে, বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলায় তাদের অবস্থান কি ? তিন পার্বত্য জেলায় তাদের একুশের চেতনা থাকে কোথায় ?
ঐ গোষ্ঠীটি কিন্তু ৩ পার্বত্য জেলায় একুশের চেতনা ভুলে যায় এবং বাঙালী জাতীয়তাবাদ দূর করে বার্মীজ জাতীয়তাবাদ চাপিয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধু উপজাতিদের বলেছিলো- “তোমরা সবাই বাঙালী হয়ে যাও”, তারা বঙ্গবন্ধুর সেই আদর্শ অস্বীকার করে পাহাড়ে বার্মীজ জাতীয়তাবাদের পক্ষে রায় দেয়, এমনকি গত কয়েক বছর যাবত বাংলা ভাষা তুলে বার্মীজ ভাষায় পাঠ্যবই রচনা করা হচ্ছে। অর্থাৎ একুশের চেতনাধারীরা তিন পাবর্ত্য জেলায় একুশের চেতনার বিরুদ্ধে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
শুধু তা্ই নয়, বাংলাদেশের কোন ক্রিকেট প্লেয়ার উর্দুতে কথা বললে ‘একুশের চেতনা গেলো, একুশের চেতনা গেলো’, বলে যারা রব তুলে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন মোদিকে খুশি করতে হিন্দিতে কথা বলে অথবা বাংলাদেশের ঘরে ঘরে হিন্দি সিরিয়ালের দরুণ যখন ছেলে-মেয়েরা আত্মহত্যা করে , তখন ঐ একই গোষ্ঠী মুখে কুলুপ এটে বোবা হয়ে থাকে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে তারা নিজেরাই নিরপেক্ষতা হারায় এবং সাম্প্রদায়িক পক্ষ অবলম্বনকারী বলে প্রমাণিত হয়।
লেখার শেষে শুধু একটা কথা বলবো, ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তাবাদের আসলে কোন গুরুত্ব নাই, এটা প্রমাণিত। অন্তত মুসলিম বাঙালী হয়ে আপনি সেটা মেনে নিলেও হিন্দু বাঙালী বা বৌদ্ধ বাঙালীরা সেটা মেনে নিবে না। তাদের কাছে ধর্মীয় পরিচয়টাই বড়। তাই, মুসলিম হলে আপনার মুসলমান পরিচয়টাই বড় করে দেখুন।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Tuesday, February 20, 2018

দেশ বিক্রি হয় কিভাবে ?

“আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় গেলে দেশ বিক্রি করবে”- এ ধরনের বক্তব্যের বিরুদ্ধে আওয়ামী সরকার বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করেছে। তাদের দাবি- “দেশ আবার বিক্রি হয় কিভাবে ? এটা অপপ্রচার।”
তবে তারা যাই বলুক, দেশ কিন্তু বিক্রি হয়, এটা সত্যি। তবে দেশ কোন পণ্য নয় যে হাতে তুলে বিক্রি করবে। দেশ বিক্রি করতে হয় ভিন্ন ভিন্ন রূপে, ভাগে ভাগে।
আসলে দেশ হচ্ছে অনেক কিছুর সমন্বয়, দেশের সম্পদ, জনগণ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বন্দর-রাস্তাঘাট, ভূমি সবকিছু দেশের অংশ। এই অংশগুলোর মালিকানা যখন বিদেশীদের হাতে চলে যেতে থাকে, তখন বুঝতে হবে দেশ ধিরে ধিরে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এবং আমরা অন্য জাতির ক্রীতদাসে পরিণত হচ্ছি। এ বিষয়ে কয়েকটি উদহরণ দিচ্ছি পড়ে দেখুন-
(১) বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট চূক্তি করেছে বহুজাতিক কোম্পানি সিনজেন্টার সাথে। বাংলাদেশে গোল্ডেন রাইস নামক জিএমও চাল উৎপাদিত হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশে ধানের প্যাটেন্ট থাকবে বিদেশীদের হাতে। বাংলাদেশের কেউ সেই ধান নিয়ে কমবেশি করলে তারা মামলা ঠুকে দিবে। তাদের ট্যাক্স দিয়ে বাংলাদেশে চাষ করতে হবে। ধান চাষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বলে কিছু থাকবে না। অর্থাৎ মাছে-ভাতে বাঙ্গালীর ভাতের রশি থাকবে বিদেশীদের হাতে। এটা কি দেশ বিক্রি নয় ?
(২) বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের বৃহৎ অংশ ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। দেশী উৎপাদনের খাতগুলো অচল করে বিদ্যুৎ সেক্টর বিদেশ নির্ভর হওয়া কি দেশ বিক্রি নয় ?
(৩) বাংলাদেশে রাস্তায় আপনি চলবেন, এজন্য অন্যকে টাকা দিতে হবে। ভারতীয় কোম্পানি ‘সিমপ্লেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড’ এবং তার এদেশী দালাল ওরিয়ন গ্রুপ বিনা শুল্কে সেই টাকা লুটে নিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা শহরে মধ্যে যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে সেটাতে চড়তেও আপনাকে টাকা দিতে হবে। আপনার যানজটে আটকে, আপনার দেশের জমি নিয়ে বানানো হচ্ছে ফ্লাইওভার, কিন্তু সেটাতে উঠতে আপনাকে চীনের কোম্পানিকে দিতে হবে টাকা। অর্থাৎ নিজের দেশের রাস্তায় চলতে টাকা দিতে হবে বিদেশীকে। এটা এক ধরনের দেশ বিক্রি।
(৪) বাংলাদেশে নতুন করে ১০০টি অথনৈতিক অঞ্চল করা হচ্ছে, যার অধিকাংশ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে বিদেশীদের। দেশী ব্যবসায়ীদের নানাভাবে আটকে বিদেশী ব্যবসায়ীদের হাতে ব্যবসার সুযোগ ছেড়ে দেয়া কি বিদেশের কাছে বিক্রি নয় ?
৫) প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেশের মেধা নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলছে, “দেশে কি এমন মেধাবী আছে যে ২০ মিনিট দেখে প্রশ্নের উত্তর শিখতে পারে ?” যেন তিনি চাইছেনই ২০ মিনিটে মুখস্ত করার মত মেধাবি দেশে না জন্মাক। এভাবে প্রশ্নফাঁস হতে থাকলে দেশে মেধাবী বলে কিছু থাকবে না, তখন মেথার জন্য বাংলাদেশ নির্ভর করবে বিদেশের উপর, আর বাংলাদেশীরা হবে শ্রমিক তথা বিদেশীদের দাস।
৬) ভারতীয় টিভি চ্যানেলের আগ্রাসন, এক ধরনের দেশ বিক্রির ফসল। এগুলো যে সরকারই অনুমোদন করুক না কেন, টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে সাংস্কৃতিকভাবে ভারতের মত করে দেয়া অবশ্যই দেশবিক্রির সামিল।
৭) রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বা রুপপুর পরমাণু কেন্দ্র এক ধরনের দেশ বিক্রি। এত ছোট দেশে এ ধরনের ভয়ঙ্কর পরিবেশবিধ্বংসী স্থাপনা কেউ অ্যালাউ করবে না। মনে রাখেবন, এসব ভয়ঙ্কর স্থাপনায় দুর্ঘটনার দরুণ পরিবেশে নষ্ট হয়ে গেলে আপনার পালানোর কোন যায়গা থাকবে না, কিন্তু ক্ষমতাসীনরা বিদেশে যায়গা-জমি আগেই কিনে রেখেছে, সুতরাং তারা খুব সহজেই পালাতে পারবে।
৮) দেশের পূজিবাজারে বিদেশীদের অবাধ প্রবেশের সুযোগ করে দেয়াও এক ধরনের দেশ বিক্রি। কারণ এতে বিদেশী কোম্পানিগুলো গেমলিং করে দেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের লুটে নিয়ে যাবে।
৯) আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় এসে অর্পিত সম্পত্তি আইন পাশ করেছে। এটা স্পষ্ট দেশ বিক্রি। কারণ এর মাধ্যমে ভারতীয় হিন্দুরা বাংলাদেশে এসে জমি দাবি করবে, যার পরিমাণ বাংলাদেশের প্রায় এক-চর্তুথাংশ হতে পারে।
১০) বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলো এতদিন বাংলাদেশে ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করতো। এখন সেটা বিদেশীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের কন্টেইনার বসিয়ে রেখে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কন্টেইনারকে আগে সুযোগ দেয়া হচ্ছে। এতে অনেক ব্যবসায়ী শিপমেন্ট মিস করে পথে বসে যাচ্ছে। এটাও দেশ বিক্রির অংশ।
১১) সরকারের পরিকল্পনায় আছে, দেশের গ্যাস উত্তোলন করতে বিদেশী কোম্পানি সুযোগ দেয়া হবে এবং তারা সেই গ্যাস রফতানিও করবে। অপরদিকে বাংলাদেশের মানুষকে বিদেশী এলপি গ্যাসে অভ্যস্থ করতে প্ল্যান করেছে সরকার। অর্থাৎ বাংলাদেশে সস্তা গ্যাস বিদেশীরা নিয়ে যাবে, আর বাংলাদেশীরা আমদানি করা উচ্চমূল্যের গ্যাস ব্যবহার করবে।
হয়ত বলতে পারেন, ক্ষমতাসীনরা কেন দেশ বিক্রি করবে ?
উত্তর দুই কারণে-
ক) আর্থিক ভাবে উচ্চ লাভবান
খ) ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিদেশীদের সমর্থন।
ক্ষমতাসীনরা দেশের সম্পদ নিয়ে বিদেশে জমায়। বিদেশে বিভিন্ন সম্পত্তি কিনে রাখে, যেন দেশে বিক্রি শেষ হলে তারা সহজে বিদেশে আরাম আয়েশে জীবন যাপন করতে পারে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে টার্গেট দিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে।

আজকে প্রশ্নফাঁসের পক্ষে অনেক ওকালতি করছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তিনি অনেকগুলো প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। সেই প্রশ্নের উত্তর অনেকেই দিতে পারবেন, আমি আলাদা করে সেই উত্তর দিতে যাবো না। শুধু একটা কথা বলবো, বাংলাদেশের মানুষ অনেক বোকা, আমি অনেক আগেই বলেছি, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে টার্গেট দিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে। তারা চাইছে-ই শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে যাক, সুতরাং শিক্ষা ব্যবস্থাকে জোড়া লাগানোর জন্য যতকিছুই দেখানো হোক, সব লোক দেখানো।
বাংলাদেশ ধাপে ধাপে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, মানুষ যেন সেগুলো বুঝতে না পারে সে জন্য-
১) মানুষকে নাচ-গান-মুভি-খেলাধূলা দিয়ে মত্ত রাখা হচ্ছে।
২) মানুষ শিক্ষিত হলে সব বুঝতে পারে, সেজন্য শিক্ষাও শেষ করে দেয়া হচ্ছে,
৩) দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে মানুষকে সারাদিন পেটের চিন্তায় মত্ত রাখা হচ্ছে, যেন সে অন্য চিন্তা করতে না পারে,
৪) ধর্মীয় চর্চায় বাধা দেয়া হচ্ছে যেন তাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় চেতনা জাগ্রত না হরে পারে,
৫) বাংলাদেশের উৎপাদনশীল খাতগুলো ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। দেশীয় কলকারাখানা-শিল্প ধ্বংস করা হচ্ছে, কৃষিতে বাধা দেয়া হচ্ছে। বিদেশীদের ডেকে আনা হচ্ছে।
৬) ব্যাংক ও শেয়ারমার্কেটে জনগণের টাকা লুটপাট করা হচ্ছে ।

প্রধানমন্ত্রী যদি সেই ষড়যন্ত্র থেকে আলাদা কেউ হতেন, তবে অন্তত আজকের বক্তব্য দিতে পারতেন না। কিন্তু তিনি সেই ষড়যন্ত্র থেকে আলাদা কেউ নন, বরং তার অংশ। শুধুমাত্র ক্ষমতার মোহে এবং সামান্য কিছু অর্থের লোভে তিনি দেশের সাথে বেঈমানি করছেন। আমার মনে পড়ছে, ‘মতিউর রহমান রেন্টুর আমার ফাঁসি চাই বইয়ে’র কিছু অংশ, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্ভবত বলেছিলেন, যারা তার পিতা ও পরিবারকে হত্যা করেছে তাদের তিনি ছাড়বেন না, ধ্বংস করবেন। বাংলাদেশের মানুষের উপর সম্ভবত তিনি সেই আক্রোশের প্রতিশোধ নিচ্ছেন।

খবরের ভিডিও লিঙ্ক- https://www.youtube.com/watch?v=7v6nO8mB3eI

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Sunday, February 18, 2018

বাংলাদেশ দ্রুত বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। স্রমাজ্যবাদী কর্পোরেটরা তা কিনে নিচ্ছে এবং আওয়ামী সরকার দেশটা বিক্রি করে দিচ্ছে।

সারা বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বা ইকোনোমিক জোন হচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে খবর আসছে।
একটি সূত্র মতে এ পর্যন্ত ৫৯টি ইকোনোমিক অঞ্চল বরাদ্দ হয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশী কোম্পানিগুলো পেয়েছে মাত্র ১১টি এবং বাকি ৪৮টি পেয়েছে বিদেশী কোম্পানি। সরকার বিদেশী কোম্পানিগুলোকে এ ইনোনোমিক জোনগুলোতে ইনভেস্ট করার জন্য বেশ কিছু সুযোগ সুবিধাও ঘোষণা করেছে। যেমন : কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশের ট্যাক্স মওকুফ, বিদেশীকর্মীদের আয়কর ও গাড়ীর ট্যাক্স মওকুফ ইত্যাদি। আওয়ামী সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই ইকোনোমিক জোনগুলো দেশে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান করবে।
এসব খবর দেখার পর, আমার মনে কেবল একটি প্রশ্ন জাগ্রত হয়- বাংলাদেশে ইকোনোমিক জোন হলে সেখানে দেশী উদ্যোক্তাদের দিয়ে শিল্পকারখানা তৈরী করা হোক। প্রয়োজনে ঋণ দেয়া হোক। কিন্তু বিদেশীদের কেন বাংলাদেশের ইকোনোমিক জোন বর্গা দেয়া হচ্ছে ? তাও প্রায় ৮০% ! এর কারণ কি ?
আমি গত কয়েকদিন ধরে সম্রাজ্যবাদীদের দেশ দখলের একটা পলিসির নাম শুনিয়েছি, যাকে বলা হচ্ছে- “কর্পোরেটোক্রেসি’। মূলতঃ কর্পোটেক্রেসি পলিসি বাস্তবায়নের জন্যই এ ইকোনোমিক জোন বিদেশীদের বর্গা দেয়া। বিদেশীরা এসব ইকোনোমিক জোনে তাদের কলকারখানা স্থাপন করবে, বাংলাদেশে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পানি গ্যাস ব্যবহার করবে, বাংলাদেশের সস্তা শ্রমিক নেবে, এরপর পন্য বানানোর পর সেই পন্য বাংলাদেশেই বিক্রি করবে। বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করে সারা বিশ্বে রফতানি করবে। এসব বিজনেস করার জন্য প্রায় তাদের বাংলাদেশে আসতে হবে, এজন্য তাদের যাতায়তের সুবিধার্থে ফ্লাইওভার, সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে লাগবে। তাই সেগুলো বানাতে তারা ঋণ দেবে, এরপর সেই ঋণ সুদে আসলে পাবলিকের থেকে তুলে নেবে। আর সেই সুদ আসলে শোধ করতে গিয়ে জনগণে চালের দাম ৭২ টাকা ক্রস করবে। অর্থাৎ আমাদের গাছের কাঠাল আমাদের মাথায় ভেঙ্গে খাবে।
অনেকে বলে, ‘যানজট দূর করতে ফ্লাইওভার বানানো হচ্ছে’। এটা ভুল কথা। বাংলাদেশে এখন যেসব রাস্তা ফ্লাইওভার, সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বানানো হচ্ছে সেগুলো সব হচ্ছে এশিয়ান হাইওয়ের অংশ, যা ১৯৫৯ সালের প্ল্যান, ঐ সময় মানুষ যানজটের কথা চিন্তাও করতে পারে নাই। মূলত এসব ফ্লাইওভার, সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করা হচ্ছে বিদেশীদের জন্য, যেন তারা সহজে বাংলাদেশে বিজনেস করতে পারে। যদি বাংলাদেশের জনগণের জন্যই তা করা হতো, তবে এত দ্রুত এগুলো করার দরকার ছিলো না। (পুরো ব্যবস্থাটা ভিয়েতনামের মত)
আরেকটি কথা, সম্প্রতি বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে সেটাও কিন্তু কর্পোরেটোক্রেসির অংশ। কারণ সম্রাজ্যবাদীরা বাংলাদেশে সস্তায় শ্রমিক চায়। বাংলাদেশে জনগণ যদি ভালো লেখাপড়া করে তবে তারা উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু সেটা তারা পছন্দ করছে না, তারা চায় সবাই শ্রমিক হিসেবে থাকুক। পুরো জাতিকে চিরস্থায়ী দাস (শ্রমিক) হিসেবে তৈরী করার জন্যই বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে টার্গেট নিযে ধ্বংস করা হচ্ছে।
এমনকি কৃষিতে গোল্ডেন রাইস তথা জিএমও ফুডও কর্পোরেটোক্রেসি’র অংশ। বাংলাদেশের পুরো কৃষি সেক্টরকে ইহুদী কর্পোরেট মনসান্টো বা সিনজেন্টা মত কোম্পানির কুক্ষিগত করতেই এ গোল্ডেন রাইস নামক চাল নিয়ে আসা হয়েছে।
একটি বিষয় স্পষ্ট, বাংলাদেশ দ্রুত বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। স্রমাজ্যবাদী কর্পোরেটরা তা কিনে নিচ্ছে এবং আওয়ামী সরকার দেশটা বিক্রি করে দিচ্ছে। বিক্রির বিনিময়ে সরকার একদিকে বিদেশীদের থেকে টাকা পাচ্ছে, অন্যদিকে অবাধ দুর্নীতি করার পরও সম্রাজ্যবাদীদের সমর্থন হারাচ্ছে না। তবে দেশ বিক্রি শেষ হতে হয়ত আর বেশি দিন নাই, দেশবিক্রি শেষ হলে আওয়ামী সরকার হয়ত বিদেশে চম্পট দেয়ার রাস্তাও খালি রেখেছে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

এই হলো নাস্তিক বুদ্ধিজীবিদের ‘আইএম জিপিএ ফাইভ’ অবস্থা


গণ্ডমূর্খ বললেও ভুল হবে কিন্তু মুসলমানদের ইতিহাস নিয়ে বইমেলায় বই বের করে ‘জিহাদ ও খেলাফতের সিলসিলা’। ভাবখানা এমন- দুনিয়ার সব জাইনা ফালাইছে, আসলে বাল’টাও ফালাইতে পারেনাই (দুঃখিত)।

তার দাবি, যারা হাদীস বানাইছে, তারা নাকি সাহিত্যিক ছিলো, মনের মাধুরী মিশায় নাকি হাদীস বানাইছে, যোগ বিয়োগ এডিট করে বানাইছে।

আমি ধর্মবেত্তা নই, কিন্তু ইসলাম ধর্ম নিয়ে কিছুটা হলেও গবেষণা করেছি, হাদীস সম্পর্কে কিছুটা হলেও জ্ঞান নেয়ার চেষ্টা করেছি। হাদীস বর্ণণাকারীদের বলে রাবী। এই রাবীদের অনেক যোগ্যতা থাকতে হয়, এর মধ্যে একটি যোগ্যতা হলো ‘দাবত’। দাবত হলো- প্রাপ্ত হাদিস হ্রাস, বৃদ্ধি ও বিকৃতি ব্যতীত অপরের নিকট পৌঁছে দেওয়া। হাদীসে সাহিত্যিকের মত মনের মাধুরী মেশানো বা হ্রাস-বৃদ্ধি করার কোন সুযোগ নাই।

যাই হোক, পারভেজ গাঞ্জু হাদীস বানানোর (!)যে সূত্র আবিষ্কার করেছে, সেটা গাঞ্জায় কততম টান দেয়ার পর তার মনে উদ্ভব হইছে সেটাও বর্ণনা করলে ভালো হইতো।

স্ট্যাটাস লিঙ্ক : http://bit.ly/2BD2UFA,http://archive.is/pDfhy


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Saturday, February 17, 2018

নাস্তিক্যবাদীদের পেছনে কে (১)


আসাদ নূরের গ্রেফতারের পর নাস্তিক আসিফ মহিউদ্দিন লাইভে এসে নব্য নাস্তিক মুফতে মাসুদের সাথে কথা বলছিলো। আমি তাদের কথপোকথন শুনছিলাম। কথপোকথনের এক পর্যায়ে মুফতে মাসুদ বলে ফেললো-“আমাদের জন্য টাকা আসে। আমাদের টাকা আসতো আসাদ নূরের মাধ্যম হয়ে”।
আমার একটা প্রশ্ন মনের মধ্যে সব সময় কাজ করে-
“আচ্ছা নাস্তিকদের এই টাকা আসে কোথা থেকে ?”
“কারা নাস্তিকদের টাকা দেয় ? কি তাদের উদ্দেশ্য ?”
আমার এ লেখা, নাস্তিকদের টাকার উৎস সন্ধানে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বব্যাপী তাদের সম্রাজ্যবাদ ছড়িয়ে দিতে যে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, তার নাম ‘এনজিও’। এই এনজিও কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা সারা বিশ্বকে অক্টোপাসের মত আকড়ে ধরেছে। মার্কিন সরকারের মূল বা মাদার এনজিও’র নাম USGLC। (www.usglc.org/)
সম্পূর্ণ- U.S. Global Leadership Coalition। এই এনজিও এবাউটে লেখা- Strengthening America's leadership in the world through a strategic investment in development and diplomacy. অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী আমেরিকার নেতৃত্ব ধরে রাখাই এর মূল উদ্দেশ্য। সংস্থাটির বর্তমান চেয়্যারম্যানের নাম দান গ্লিকম্যান, একজন ইহুদী। এই সংস্থাটির সাথে কোয়ালিশন আছে ফেসবুক, রয়টার্স, কোকাকোলা, শেভরন, মাইক্রোসফট, পিএন্ডজিসহ হাজার হাজার ওয়ার্ল্ড জায়ান্ট সংস্থা।
যাই হোক, USGLC সংস্থাটির অনেকগুলো হাত আছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে National Endowment for Democracy বা NED । (www.ned.org)
NED নিয়ন্ত্রণ করে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। সংস্থাটির অপরেটিং বাজেট ১০৩ মিলিয়ন ডলার, যা দেয় মার্কিন মাদার কেন্দ্রীয় এনজিও সংস্থা USGLC। তবে প্রাইভেট বা অন্যান্য সহযোগী রাষ্ট্রগুলো থেকেও সেখানে ফান্ড আসে। এছাড়া মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টও NED কে পৃষ্ঠপোষকতা করে। সংস্থাটির বর্তমান প্রেসিডেন্টের নাম কার্ল গ্রার্সম্যান, সেও ধর্মে ইহুদী।
NED’র কাজ হচ্ছে বিশ্বব্যাপী ‘মুক্তচিন্তা’র বিষয়টি দেখাশোনা করা। NED এর একটি হাতের এর নাম হচ্ছে IFEX বা International Freedom of Expression Exchange।(https://www.ifex.org/)
বিশ্বব্যাপী ৬৫টি দেশে ১০৪টি এনজিও নেটওয়ার্ক তৈরী করেছে তারা। এই এনজিওগুলোর কাজ হচ্ছে বিভিন্ন দেশে নাস্তিক ব্লগার/সাংবাদিক তৈরী করা, মিডিয়ায় নাস্তিব্যবাদী পরিবেশ তৈরী করা এবং কেউ বিপদে পরলে তার সাহায্যে এগিয়ে আসা। সর্বপরি পুরো মিডিয়াকে সিআইএ’র কন্ট্রোলে নিয়ে আসা এবং তাদের স্বার্থে ব্যবহার করা সংস্থাটির লক্ষ্য। IFEX এর প্রধান কার্যালয় কানাডায় অবস্থিত।
এবার আসুন দেখি, বাংলাদেশে IFEX কোন কোন এনজিও কাজ করছে ?
বাংলাদেশে IFEX এর তত্ত্বাবধানে দুই ধরনের এনজিও কাজ করছে, একটি আন্তর্জাতিক, আরেকটি শুধু বাংলাদেশের জন্য।
শুধু বাংলাদেশের জন্য কাজ করা এনজিও নাম হচ্ছে- Media Watch Bangladesh।
এই এনজিওর ঠিকানায় দেয়া আছে একটি মোবাইল নম্বর 01819223309
এবং একটি মেইল আইডি- mediawatchbangladesh@gmail.com।
এ দুটো দিয়ে ফেসবুকে সার্চ করলে আসে একুশে টিভির সিইও বুলবুল আহসানের ফেসবুক আইডি- https://www.facebook.com/bulbul.ahsan
(চলবে)


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

Thursday, February 15, 2018

চেতনার অভাবে মুসলিম সমাজ


বর্তমানে মুসলিম সমাজ কঠিন সঙ্কটের পথে। মুসলিম সমাজ নিজেই জানে না, তাকে কোন পন্থায় এ সমস্যা উত্তরণ করতে হবে। এ সঙ্কট উত্তরণে মুসলিম বুদ্ধিজীবি মহলও যে খুব এগিয়ে এসেছেন তাও নয়, ফলে দ্রুত দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে পড়ছে মুসলমানরা।

আমি বিষয়টি নিয়ে অনেক চিন্তা করেছি এবং সঙ্কট উত্তরণে কিছু পথ নিয়েও ভেবেছি। প্রথমে আমার যেটা মনে হয়েছে, বর্তমানে মুসলিম সমাজের মধ্যে চেতনার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। চেতনা’ শব্দটা অনেকেই এখন ব্যঙ্গাত্মক অর্থে ব্যবহার করে। তারপরও বহুল প্রচলিত হওয়ায় আমি তা ব্যবহার করলাম। বর্তমানে মুসলিম বলতে কিছু নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে সীমাবদ্ধ ব্যক্তিকে বোঝায়, কিন্তু ‘মুসলিম চেতনা’ বলতে যেটা বোঝায়, তার যথেষ্ট অভাব বিদ্যমান। এর কারণ হতে পারে, মুসলমানদের ধর্মীয় গুরুরা শুধু ধর্মীয় নিয়ম-কানুন শিখিয়েছে, কিন্তু সেই নিয়ম কানুনের মধ্যে দৃঢ় ও একতাবদ্ধ থাকার জন্য যে ‘চেতনা’ দরকার সেটার প্র্যাকটিস করেনি। ফলশ্রুতিতে দেখবেন, অন্য চেতনাধারীরা তাদের চেতনাসমৃদ্ধ (যেমন : স্বাধীনতার চেতনা, নাস্তিক্য চেতনা, হিন্দু চেতনা ইত্যাদি) ব্যক্তি বা বস্তুর উপরে আঘাত আসলে তারা একসাথে সব ঝাপিয়ে পড়ছে, কিন্তু মুসলমানদের মধ্যে নিজস্ব চেতনার অভাব থাকায় হাজার হাজার মুসলমান মেরে ফেললেও মুসলমানদের ঘুম ভাঙ্গছে না।

কিন্তু কেন এই চেতনার অভাব ? আমি ৪ মাস আগে একটা আর্টিকেল লিখেছিলাম, যার শিরোনাম ছিলো- “জেনারেশন গ্যাপ ও মুসলিম সমাজ” (http://bit.ly/2BvD8CQ) লেখাটা যারা পড়েননি, দয়া করে আবার পড়ে নিবেন, তবে আমার এ লেখাটা বুঝতে সহজ হবে, নয়ত পুরো লেখাটা বুঝতে পারবেন না।

মুসলমানদের মধ্যে যেটা ঘটেছে তা হলো ব্রিটিশ প্রিয়ডে মুসলমানদের জেনারেশন টু জেনারেশন চেতনার সংযোগটা কেটে দিয়েছে ব্রিটিশরা। এতে মুসলমানদের মধ্যে পূর্ববর্তী প্রজন্মের (যখন মুসলমানরা সুপার পাওয়ার ছিলো) চেতনার ট্র্যান্সফার হতে পারেনি। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে মুসলমানরা একেবারে চেতনাশূণ্য হয়ে গেছে, অনেকে আবার অমুসলিম চেতনায় চেতনাবান হচ্ছে।

এখন মুসলমানদের যেটা করতে হবে, সেটা হলো চেতনার যে সংযোগটি কেটে দেয়া হয়েছে সেটা আবার পুন:সংযোগ করতে হবে। তখনই পূর্ববর্তী চেতনার ট্র্যান্সফার হবে। আর সেই চেতনার ট্র্যান্সফার হলেই কেবল বর্তমান মুসলমানরা চেতনাসমৃদ্ধ হতে পারবে এবং অমুসলিমদের ষড়যন্ত্র থেকে বাচতে পারবে।

এক্ষেত্রে মুসলমানরা যেটা করতে পারে, তাদের পূর্ববর্তী চেতনাসমৃদ্ধ প্রজন্মের বিভিন্ন বিশেষ ঘটনাকে টার্গেট করে একটা দিবস নির্ধারণ করতে পারে, এবং বছরে ঐদিনকে উপলক্ষ করে পূর্ববর্তী ঘটনার ব্যাপক আলোচনার মাধ্যমে তা নতুন করে ছড়িয়ে দিতে হবে।

যেমন, ধরুন আওয়ামীলীগ ৭ই মার্চ আসলে যায়গায় যায়গায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ চালিয়ে দেয়। এর মাধ্যমে কিন্তু আওয়ামীলীগ সদস্যরা নিজেদের মধ্যে চেতনা সমৃদ্ধ করে, এবং একই সাথে অন্যদের মধ্যে চেতনার বিস্তার ঘটায়। ঠিক একইভাবে ধরুন, যে তারিখে মুসলমানদের শেষ নবী বিদায় হজ্জের ভাষণ দিয়েছিলো ঐ তারিখে পৃথিবীর সব মুসলমানরা ঐ ভাষণের লিখিত রূপ পাঠ করে মাইকে ছেড়ে দিলো কিংবা ঐ ভাষণ নিয়ে গবেষণা করলো, লেখালেখি করলো। এতে দেখা যাবে, ঐ সময়কার চেতনা অটোমেটিক বর্তমান মুসলমানদের মধ্যে ট্র্যান্সফার হওয়া শুরু হয়েছে। হয়ত বলতে পারেন, ভাষণ তো লেখা আছেই, তাহলে আবার দরকার কি ? কিন্তু না, যত আলোচনা করবেন, প্রতি লাইন-দাড়ি-কমা নিয়ে গবেষণা করবেন, চেতনা তত বৃদ্ধি পাবে ও ছড়াবে, এটাই নিয়ম।

এভাবে করে যদি বছরে ৩০-৪০টি উপলক্ষ নির্ধারণ করে প্র্যাকটিস করা যায়, তবে মুসলমানদের পুরাতন অবস্থা ফিরিয়ে আনা খুব সহজ হবে, একইসাথে অমুসলিমদের চেতনাসমৃদ্ধ পহেলা বৈশাখ, ভ্যালেন্টাইন ডে, পহেলা ফাল্গুন, সাকরাইন ডে, হ্যালোইন উৎসব ইত্যাদি থেকে মুসলমানরা বেছে থাকতে পারবে বলে মনে হয়।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------