Thursday, March 22, 2018

বাংলাদেশের মানুষ কি কি জিএমও ফুড ইতিমধ্যে খাচ্ছে তা দেখে নিন


জিএমও বা জেনেটিকালি মোডিফাইডি ফুড নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি।
কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ কি কি জিএমও ফুড ইতিমধ্যে খাচ্ছে বা খুব শিঘ্রই বাংলাদেশে আসছে সেটা নিয়ে এখনও আলোচনা করি নাই, এ পোস্ট এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। 

১) বেগুন : প্রথমে বাংলাদেশে জিএমও ফুড যেটা প্রবেশ করেছে সেটা হলো বিটি বেগুন। ২০১৩ সালে সেটা প্রবেশ করে। অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন, জিএমও ফুড মনে হয় দেখতে ব্যতিক্রম কিছু। না ! জিএমও ফুডে ফসলের বীজের জিনের ভেতর পরিবর্তণ করা হয়। আপনি যখন সবজী কিনতে যান, তখন নিশ্চয়ই সবজীওয়ালাকে জিজ্ঞেস করেন না, “এটা জিএমও কি না ?” আর যদি করেনও তবে সেটা সবজীওয়ালা কেন, খোদ কৃষক পর্যন্ত জানে কিনা তাতে সন্দেহ। জিএমও ফসল অন্য ফসলের থেকে সুন্দর ও সতেজ হয়। সুতরং সে ফসলটাই বরং আপনি সবজীর বা খাবারের দোকানে গিয়ে আগে ক্রয় করেন।

২) তেলাপিয়া মাছ: বাংলাদেশে কয়েক বছর যাবত জেনেটিকাল মোটিফাইড তেলাপিয়া চাষ হচ্ছে । এগুলো দেখতে বড় । (http://bit.ly/2GNe8I6) কয়েকটি সূত্র মতে, এগুলো সম্ভবত বাজারে মনোসেক্স তেলাপিয়া নামে পরিচিত।

৩) সয়াবিন তেল: বাংলাদেশের সয়াবিন তেলের বেশিরভাগ আমদানি করা হয় ব্রাজিল থেকে। আর ব্রাজিলের সয়াবিনের পুরোটাই জিমএমও।

৪) সাদা চিনি : এগুলো আখ নয়, বীট থেকে উৎপাদিত। বীটগুলো জিএমও, আমদানি করা হয় ব্রাজিল থেকে। তবে ব্রাজিল থেকে আমদানি হোক বা ভারত থেকে আনা হোক, এটা সাদা বা পরিষ্কার করতে যে উপাদান ব্যবহার করা হয় তা ক্যান্সারের জন্যা দায়ী। বিশ্বব্যাপী সাদা চিনিকে ক্যান্সার তৈরীর অন্যতম কারণ হিসেবে গন্য করা হয়।

৫) গম ও ভূট্টা : যদি আমদানিকৃত হয়, তবে জিএমও হওয়ার সম্ভবতা ১০০%।

৬) আলু : জিএমও আলু এখনও বাজারে আসে না। তবে খুব শিঘ্রই তা বাজারে আনার জন্য চেষ্টা করছে সরকার। এ আলুর নাম থ্রি আর জিন আলু বা লেট ব্রাইট রেজিসট্যান্টন পটেটো। খুব শিঘ্রই বাংলাদেশের আলুর মধ্যে ঢুকে যাবে জিএমও আলু। (http://bit.ly/2GJngx7)

৭) ক্যানোলার তেল : এটা এক ধরনের সরিষার তেল। বাংলাদেশের সরিষার তেল হয় কালচে, কিন্তু ক্যানোলার তেল হয় স্বচ্ছ্ব। ক্যানোলার তেল জিএমও, চাষ হয় প্রধানত কানাডায়। এটি বাংলাদেশে চাষ করার জন্য কানাডার একটি প্রতিনিধি দল বেশ কয়েক বছর যাবত চেষ্টা করেছে। ২০০৬ সালে তারা কানাডা হাইকমিশনের উদ্যোগে বাংলাদেশে সেমিনারের আযোজন করে। (http://bit.ly/2psh5pb) কিন্তু বাংলাদেশ আবহাওয়ায় এটা চাষ করা যায় না। তবে তারা এখন ঐ তেলটি বাংলাদেশে আমদানি করতে চাইছে। এজন্য ট্যাক্স কমানোর জন্য আবেদনও করেছে। (http://bit.ly/2FXZxrW)

৮) গোল্ডেন রাইস বা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ চাল : এ চাল ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশের বাজারে আসবে। সম্ভবত প্রাণ কোম্পানির মাধ্যমে এ চালটি প্রথমে মার্কেটে আসতে পারে। গত ৬ই মার্চ, ২০১৮ তারিখে কৃষিমন্ত্রী গোল্ডেন রাইস আসার ব্যাপারে ঘোষণা দিয়েছে। (http://bit.ly/2FOb1lU)

জিএমও থেকে বাচতে কি করবেন ?
প্রথমত, কৃষকদেরকে জিএমও’র বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে। তাদের কিছুতেই জিএমও বীজ নিতে দেয়া যাবে না। হাইতিতে কৃষকরা ৬০ হাজার বস্তা জিএমও বীজ জ্বালিয়ে দিয়ে জিএমও’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। (http://bit.ly/2FUOq2R) বাংলাদেশে কৃষকদেরও এভাবে প্রতিবাদী হতে হবে।

দ্বিতীয়ত, শুধু কৃষক নয়, সকল জনগণ এর বিরুদ্ধে গণহারে প্রতিবাদ করুন। সেমিনার করুন, লেখালেখি করুন। বলুন আমরা জিএমও খাবো না। আমরা ক্যান্সারের বাসা হবো না। আমার শরীর নিয়ে ক্যান্সার ব্যবসা বন্ধ করো।

তৃতীয়ত, দেশীবীজগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে। সেগুলো যেন জিএমও’র সাথে মিক্স না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

চর্তুথত, বিদেশী খাবার এড়িয়ে চলবেন। দেশী ফসল, ফলের উপর জোর দেবেন।

পঞ্চমত, কর্পোরেটদের জিএমও প্রযুক্তি ছাড়া দুনিয়াতে কি আর কোন সমাধান নেই ? অবশ্যই আছে। জৈব/অর্গানিক সিস্টেমে কিভাবে কৃষি ক্ষেত্রে সৃষ্ট সমস্যার (কীট/আগাছা/সার) সমাধান করা যায় সে চেষ্টা করতে হবে, গবেষণা বৃদ্ধি করতে হবে। মনে রাখবেন, তারাই এতদিন কৃষককে কীটনাশকে অভ্যস্ত করেছে, এখন তারাই কীটনাশক থেকে বাচতে জিএমও অফার করছে। তাদের খপ্পর থেকে বাচতে তাদের সবকিছু বর্জন করা ছাড়া উপায় নেই। এজন্য পুনরায় আদি পদ্ধতি বা অর্গানিক ফুডের দিকে সবাইকে যেতে হবে।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment