Friday, July 20, 2018

বাংলাদেশে কোরবানীর হাট ও পশুর জবাইয়ের স্থান নিয়ে ষড়যন্ত্র কবে থেকে ?



বাংলাদেশে কোরবানীর হাট ও পশু জবাইয়ের স্থান নিয়ে প্রথম প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র হয় ২০০৫ সালে।
বাংলাদেশে মার্কিনপন্থী উকিল মনজিল মোর্শেদ প্রথম হাইকোর্টে একটি রিট করে, হাটের সংখ্যা হ্রাস ও কোরবানীর স্থান নির্দ্দিষ্ট করতে। (https://bit.ly/2zLndkQ)

২০০৫ সালে করা রিটে কোর্ট থেকে রুল পায় ২০০৯ সালে।
এরপর সেই রুলের দোহাই দিয়ে সিআইএপন্থী মিডিয়া দৈনিক প্রথম আলো থেকে শুরু করে অন্যান্য মিডিয়াগুলো নিউজ করতে থাকে। সাথে থাকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা),
বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) এর মত সিআইএপন্থী এনজিওগুলো।

দৈনিক প্রথম আলোর হাট বিরোধী খবরগুলো দেখুন-
১) রাজধানীর পশুর হাট শুরু হয়েছে সময়ের আগেই (https://bit.ly/2JxNhPK)
২) বিকল্প জায়গা খুঁজে বের করুন : হাসপাতালের পাশে পশুর হাট (https://bit.ly/2LfO6BX)
৩) আরমানিটোলা মাঠ : এই মাঠে কেন পশুর হাট? (https://bit.ly/2NTyMtb)
৪) বড় বিড়ম্বনা রাস্তায় পশুর হাট (https://bit.ly/2Nn6JkQ)
৫) স্কুলমাঠে গরুর হাট, শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বন্ধ (https://bit.ly/2Nsn1cb)
৬) স্কুল ছুটি দিয়ে গরুর হাট! (https://bit.ly/2O0CuB1)
৭) ছাগলের গন্ধে স্কুল বন্ধ! (https://bit.ly/2mrxOro)

সিআইএপন্থীদের চাপের মুখে ২০১৫ সালে আওয়ামী সরকার কোরবানীবিরোধী দাবিদাওয়াগুলো মেনে নেয়। এবং ঐ বছর থেকে ঘোষণা দেয় হাটগুলো ঢাকার বাইরে সরিয়ে দেয়ার এবং কোরবানীর স্পষ্ট নির্দ্দিষ্ট করার।
খবর-
ক) কম জনবহুল এলাকায়যাচ্ছে অস্থায়ী পশুর হাট (https://bit.ly/2Lt7Wq6)
খ) পশুরহাট এবার মূল শহরের বাইরে (https://bit.ly/2JwXSuu)
গ) এবার রাজধানীর বাইরে কোরবানির পশুর হাট বসছে (https://bit.ly/2moC8rp)
ঘ) স্কুল-কলেজ মাঠে পশুর হাট না বসানোর নির্দেশ এলজিআরডি মন্ত্রনালয়ের (https://bit.ly/2LsOSZd)
ঙ) ব্যস্ত স্থানে কোরবানির পশুর হাট না বসাতে পুলিশের চিঠি (https://bit.ly/2L1lBIG)

তবে মুসলমানদের তীব্র বিরোধীতার মুখে কোরবানীর স্পষ্ট নির্দ্দিষ্ট করার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি পণ্ড হয় , কিন্তু কোরবানির হাটগুলো বাইরে রয়ে যায়। এক্ষেত্রে তারা প্রথম টার্গেট করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন । হাটগুলো নিয়ে যাওয়া হয় বসিলা, ভাটারা, দক্ষিণখানসহ মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে (https://bit.ly/2L1pEVz)। মোটামুটি শহরের ভেতরে ছিলো আফতাবনগর হাট। প্রশাসন এবার আফতাবনগর হাট তুলে তেজগাও পলিটেকনিক মাঠে হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।(https://bit.ly/2mpzrWw)
যদিও আফতাবনগর একটি বিরাট হাট, যার সাথে অন্যহাটের তুলনা চলে না। ১০টা পলিটেকনিক মাঠ এক হলেও আফতাবনগরের হাটের সমান হবে না।

ঢাকা উত্তরের হাটগুলো বের করে দিতে পারলেও ঢাকা দক্ষিণের হাটগুলো এখনও বের করে দিতে পারে নাই। এখনও ঢাকা দক্ষিণের অনেক হাট শহরের মধ্যে আছে। এখন সিআইএপন্থীরা আন্দোলন শুরু করছে ঢাকা দক্ষিণের হাটগুলো বাইরে বের করে দেয়ার জন্য। সাথে পশু জবাইয়ের স্পট নির্ধারণ করতেও দাবী তুলছে তারা। (https://bit.ly/2NYy3a7)

তবে শুধু সিআইএপন্থীরা নয়, আওয়ামীলীগ-যুবলীগের একটি মহল এখানে ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। তারাও সিন্ডিকেট করে চায় হাটের সংখ্যা কমাতে, কারণ তারা ভাবে একটি হাট বন্ধ হলে অন্যহাটে গরু বিক্রি বাড়বে। যদিও ‘এক হাট বন্ধ হলে অন্য হাটে পশু বিক্রি বাড়বে’ আসলে এটা বৃহৎ পরিসরে ভুল তত্ত্ব। কারণ যারা হাট বন্ধের উস্কানি দিচ্ছে, তাদের মূল উদ্দেশ্য কোরবানী হ্রাস বা বন্ধ করা। এতে প্রথম কয়েকদিন লাভ হলেও একটা পর্যায়ে পশু কোরবানী হ্রাস পাবে, ফলে হাটের ইজারাদারদের লাভও হ্রাস পাবে। তাই হাট বন্ধ না করে, অধিক হাট করে একাধিক হাটের ইজারা নেয়ার চেষ্টা করা উচিত আওয়ামী নেতাদের।


এ বছর আফতাবনগর হাট বন্ধের জন্য যুক্তি দেয়া হযেছে হাটকে কেন্দ্র করে খুনোখুনি। (https://bit.ly/2mpzrWw)
সত্যিই বলতে, ফুটবল খেলা নিয়ে তো এ বছর অনেক মারামারি খুনোখুনি হলো, কৈ সরকার তো ফুটবল খেলা দেখা নিষিদ্ধ করলো না, পতাকা উড়ানো নিষিদ্ধ করলো না। তাহলে হাটকে কেন্দ্র করে আওয়ামী-আওয়ামী মরছে এটা নিয়ে এত চিল্লাচিল্লি কেন ?
খুনোখুনি বন্ধ করার দায় প্রশাসনের উপর, তারা কেন খুনোখুনি বন্ধ করতে পারলো না, সে কারণে তারা পদত্যাগ করুক। অথচ সেই দায় হাটের উপর চাপিয়ে হাট বন্ধ করে জনগণকে কষ্ট দেয়া হচ্ছে।

আমি সবসময় একটা কথা বলি, “কোন ঘটনা/কথা দেখলে, আগে দেখো কথাটা কে বলছে এবং তার উদ্দেশ্য কি?” অথচ পাবলিক দেখে তার লাভ/ফায়দা কি। আর সেখানেই ধরা খায়। যারা হাট বন্ধ করতে চাইছে তারা নিজের উদ্দেশ্য হাইড করে, পাবলিককে ‘যানজট/জনদুর্ভোগ হ্রাস’ নামট মুলা খাওয়ায় দিছে।

কিন্তু পাবলিকের বোঝা উচিত ছিলো, যে ঢাকা শহরে ৩৬৫ দিন যানজট থাকে, সেখানে ঈদের ৩-৪টা দিন যানজটের কথা বলে হাট কমিয়ে ফেলা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক। তাছাড়া, দূর্গা পূজার সময় ঢাকা শহরে প্রায় ২০০ মণ্ডপ হয়। অনেক সময় ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ করে পূজা চলে। তখন কেউ যানজটের কথা বলে না। কিন্তু, কোনবানি আসলে কেন তাদের চুলকানি শুরু হয় সেটাই সন্দেহজনক!

আসলে যে সিআইএপন্থীরা চাইছে হাটের সংখ্যা কমুক, তাদের মূল উদ্দেশ্য যাতাযাত ভাড়া বৃদ্ধি করা, পশুর মূল্য বৃদ্ধি করা এবং সবশেষে কোরবানি হ্রাস করা। এভাবে কোরবানীতে বাধা দিতে দিতে এক পর্যায়ে কোরবানী বন্ধ করে দেয়া। উল্লেখ্য, কোরবানীকে কেন্দ্র করে লক্ষ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এতে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। গত ২০১৬ সালে কোরবানী ঈদকে উপলক্ষ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যোগ হয় বাড়তি দেড় লক্ষ কোটি টাকা (https://goo.gl/AmESYJ)। তারমানে কোরবানীতে বাধা দেয়া গেলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বিরাট প্রভাব ফেলা সম্ভব।

জনগণের উচিত, হাট বন্ধের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শক্ত আওয়াজ তোলা। সাথে দাবি তোলা, ঢাকা শহরের প্রত্যেক থানায় যেন কমপক্ষে ১টা কোরবানীর হাট থাকে। আর যেসব ষড়যন্ত্রকারী হাটের সংখ্যা হ্রাস করার পেছনে কাজ করছে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা উচিত।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment