Tuesday, July 24, 2018

বাংলাদেশ বিক্রি করে দিচ্ছে শেখ হাসিনা সরকার, বিক্রির পলিসির নাম ‘কর্পোরেটক্রেসি’

আজকে খবরে আসছে, তিন মাসের মধ্যে নোয়াখালী বিমানবন্দরের ভিত্তি প্রস্তর: মন্ত্রী (https://bit.ly/2O9EdEr)
শুধু নোয়াখালী নয়, শরীয়তপুর ও বগুড়ায়ও নতুন বিমানমন্দর হবে। নোয়াখালীর বিমান বন্দরটি বানানোর প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪ হাজার কোটি টাকা (চূড়ান্ত ব্যয় ১ লক্ষ কোটিও হতে পারে)। আমার কথা হলো, মানুষ বাসে চড়ার ভাড়া পায় না বিমান বন্দর দিয়ে কি করবে ? দেশের মূল এয়ারপোটর্ মানে শাহজালাল বিমানবন্দরের নাকি অর্ধেকও এখন ব্যবহার হয় না। তাহলে এত এত বিমানবন্দর কেন ?
এটা ঠিক, বিমানবন্দর বানানোর নাম দিয়ে বহু টাকা চুরি করা যাবে। তবে এর পেছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রও আছে। যাকে বলছে ‘কর্পোরেটোক্রেসি। জন পার্কিন্সের লেখা ‘একজন অর্থনৈতিক ঘাতকের স্বীকারক্তি’ শিরোনামের বইটা পড়লে সহজে বুঝতে পারবেন, কিভাবে বর্তমান সরকার এসব উন্নয়নের নামে বাংলাদেশকে সম্রাজ্রবাদীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে।
‘কর্পোরেটোক্রেসি’ ষড়যন্ত্র শুরু হওয়ার লক্ষণ হলো, আক্রান্ত দেশে প্রচুর বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে, বিমানবন্দর হবে, ফাইভ স্টার হোটেল হবে (https://bit.ly/2NEYhxx), বড় বড় রাস্তাঘাট, ফ্লাইওভার হবে। যা ঐ দেশের জনগণের জন্য মোটেও এখন দরকারি কোন বিষয় না, কারণ ঐ দেশের মানুষ এখন দুইবেলা দুইমুঠো খেতে চায়, বিমানে চড়ে ঘুরতে চায় না। তাহলে এগুলো কেন ?
সম্রাজ্যবাদীরা বাংলাদেশের সম্পদ লুটপাট ও সস্তায় শ্রমিক নেয়ার জন্য আসবে। ইতিমধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরী হচ্ছে (https://bit.ly/2JLPZkR)। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশী কোম্পানিগুলো লাগবে প্রচুর বিদ্যুৎ। আর সেকারণে-
১) পাবনার রূপপুরে রাশিয়া এক লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করে বানাচ্ছে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র
২) বরিশালে হচ্ছে আরেক পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র যার খরচ সোয়া এক লক্ষ কোটি টাকার বেশি।
৩) কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৩৬ হাজার কোটি ব্যয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাচ্ছে আমেরিকার জিই,
৪) পটুয়াখালীতে ৭০ হাজার কোটি টাকার বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাচ্ছে জার্মানির সিমেন্স,
৫) কক্সবাজারে ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র জাপান,
৬) খুলনার রামপালে ১৭ হাজার কোটি টাকা দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাচ্ছে ভারত,
৭) পটুয়াখালীতে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাচ্ছে চীন
এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জনগণের জন্য নয়। আর বাংলাদেশের এত বিদ্যুৎ-ও দরকার নাই। এগুলো ব্যবহার করবে বিদেশী কোম্পানিগুলো, কিন্তু এর খরচ কিন্তু বিদেশীরা দিবে না। দেবে বাংলাদেশের সাধারণ জনগন। ফলে চালের মুল্য বেড়ে কেজি ২০০ টাকা হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। খাদ্যদ্রব্যের দাম যখন চরমে উঠবে, তখন বাড়ির বাবা-মা-ভাই-বোন মিলে সব একযোগে সম্রাজ্যবাদী কলকারখানায় নামমাত্র মূল্যে দাসে পরিণত হবে। আর আধুনিক দাসত্বের নামই হলো কর্পোরেটোক্রেসি।
জন পার্কিন্সের লেখা একজন অর্থনৈতিক ঘাতকের স্বীকারক্তি বইটি পড়লে দেখবেন, সম্রাজ্যবাদী কর্পোরেট কোম্পানিগুলো কিভাবে নিজেদের প্রয়োজনে দক্ষিণ আমেরিকাতে এসব পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ করেছে, কিন্তু খরচ নিয়েছে জনগণের কাছ থেকে। বইয়ের মধ্যে স্পষ্ট আছে, তারা জানে এসব পাওয়ার প্ল্যান্টের কারণে ঐ অঞ্চলের পরিবেশ মারাত্মক দুষণ হবে। কিন্তু তারপরও তারা করেছে। বাংলাদেশেও রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, রুপপুর বা বরিশালের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে পরিবেশ ধ্বংস হবে। (https://bit.ly/2O5bznO) কিন্তু তারপরও সেগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে। কারণ এটাই কর্পোরেটোক্রেসি।
মূল কথা, তারা ঐ দেশের সম্পদ চুষে খাবে, কিন্তু তার প্রতিক্রিয়া বা ‘বিষ’ বহন করতে হবে জনগণকে। আর পুরো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হবে ঐ দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত শাসকের মাধ্যমে।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এ অঞ্চলকে ২০০ বছরের জন্য দাসে পরিণত করেছিলো, তখন বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলো মীর জাফর। আর এখন শেখ হাসিনা সামান্য কিছু টাকার লোভে ফের বাংলাদেশকে ঐ সম্রাজ্যবাদী কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিচ্ছে। সবাই সাবধান।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment