Friday, July 20, 2018

কোরবানীর হাট হ্রাস ও পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ চায় লেখক কলামিস্ট আবুল মকসুদ। সংগঠনের ব্যানার বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।



আমি জানি অনেকেই বলবে, “ভায়া, কোরবানী হাট যত্রতত্র বন্ধ এবং পশু জবাইয়ের স্থান নির্দিষ্ট করা তো পরিবেশ ও সমাজের জন্য ভালো। 

আমি কিন্তু আগেই বলেছি, কে আপনাকে কি লোভ দেখালো, সেটার দিকে না তাকিয়ে আগে দেখুন,
- কে কথাটা বলছে, আর
-তার উদ্দেশ্য কি ?

খেয়াল করে দেখুন আবুল মকসুদের গায়ে আছে সাদা কাপড় মোড়ানো। আবুল মকসুদ ২০০৩ সাল থেকে গান্ধীবাদী হয়। এ কারণে তার সাদা পোষাক ধারণ। আচ্ছা গান্ধী তো গো-রক্ষা আন্দোলনের নেতা ছিলো। তারমানে আবুল মকসুদও গো-রক্ষা আন্দোলনের অনুসারী। যার নিজের উদ্দেশ্য গো-রক্ষা করা, সে হাট হ্রাস ও জবাইয়ের স্থান নির্দ্দিষ্ট করার মাধ্যমে আসলে কি চাইছে ? গো-জবাই বন্ধ করতে ?

কোরবানীর হাটের সংখ্যা যদি কমিয়ে ফেলা যায়, তবে মানুষের অবশ্যই পশু কিনতে কষ্ট হবে, পশুর দাম বৃদ্ধি পাবে, পরিবহণ খরচ বাড়বে। জবাইয়ে স্থান যদি নির্দ্দিষ্ট করা হয়, তবে মানুষকে বিভিন্ন বাধা দিয়ে কোরবানীর প্রতি নিরুৎসাহিত করা যাবে, আলটিমেটলি হ্রাস পাবে কোরবানীর সংখ্যা।

এবার আসুন সংগঠনের ব্যবচ্ছেদ করি।
বাংলাদেশে পরিবেশে নাম দিয়ে কিছু এনজিও আছে, যাদের উদ্দেশ্য পরিবেশ রক্ষার নাম দিয়ে সম্রাজ্যবাদীদের বিভিন্ন উদ্দেশ্য সার্ভ করা। এগুলো হলো-
১)বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)
২) বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন)
৩) ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট
৪) পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)
৫) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা)

আমি অনেক আগে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, যেখানে বলেছিলাম, ইহুদীসংঘ তথা জাতিসংঘ বিভিন্ন দেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা বা ‘এসডিজি’ নামক ১৭টি শর্ত (১৬৯টি উপশর্ত) বেধে দিয়েছে। এইসব শর্তের মাধ্যমে বাংলাদেশের মত রাষ্ট্রগুলোকে তারা নিয়ন্ত্রণ করবে (https://bit.ly/2uGRjzR)

উপরে যে সংগঠনগুলোর নাম দিলাম, তাদের কাযই হলো বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা নামক শর্তগুলো পালন করতে বাধ্য করা। এজন্য তারা যত আন্দোলন-সেমিনার করে সেখানে টেকইস উন্নয়ন লক্ষমাত্রা কার্যকর করার কথা বলে। (https://bit.ly/2L0k7yu)

কিন্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রার মধ্যে ‘কোরবানী’ সম্পর্কে কি বলা আছে ?

আছে, অবশ্যই আছে।
সম্রাজ্যবাদীরা প্রাণীরক্ষার নাম দিয়ে কোরবানী বন্ধ করতে চায়, যা তাদের কথিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার-ই অংশ (https://bit.ly/2JuHiLy)

কিন্তু এর পেছনে সম্রাজ্যবাদীদের কি উদ্দেশ্য ?
এটা নিয়ে আমি আগেও লিখেছি। ইহুদীবাদী কর্পোরেটরা চায়, মানুষ পশু জবাই ধিরে ধিরে বন্ধ করে দিক, আর সে সুযোগে তারা সবাইকে মাংশ সার্ভিস দেবে। এজন্য তারা কৃত্তিম মাংশ নামক একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। যা দিয়ে তারা সবার মাংশের চাহিদা মেটাবে ্এবং বিরাট ব্যবসা লুটবে। কৃত্তিম মাংশের পেছনে আছে, মাইক্রোসফটের বিল গেটস, ভার্জিন গ্রুপের রিচার্ড ব্র্যানসন কিংবা জাস্টের জোশু তেট্রিকের মত ইহুদীবাদী কর্পোরেটরা। এছাড়া চীন ও ইসরাইল কৃত্তিম মাংশ তৈরীতে একটি চূক্তি সম্পাদিত করেছে (https://bit.ly/2L1mL6V)

ষড়যন্ত্র অনেক গভীর,
কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে তারা একেবারেই বেখবর।
তাই হাটের সংখ্যা হ্রাস ও জবাইয়ের স্থান নির্ধারণের বিরুদ্ধে যে কোন উদ্দগের বিরুদ্ধে এখনই শক্ত আওয়াজ তুলুন।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment