Thursday, July 12, 2018

ঢাকা শহরের জনসংখ্যার ঘনত্ব কখনও পুরো বাংলাদেশের প্রমাণ হতে পারে না


গতকালকে কথিত জনসংখ্যা দিবসে দৈনিক প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদকের লেখা এক আর্টিকেলে বাংলাদেশের জনগণকে তুলনা করা হয়েছে ইদুরের সাথে। আমার কাছে এ ধরনের আর্টিকেল খুবই মানহানীকর মনে হয়েছে। (https://bit.ly/2md2e0q)

আর্টিকেলটিতে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব নিয়ে স্পষ্টত মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। 
আপনারা দেখবেন, বাংলাদেশে অধিক জনসংখ্যার প্রমাণ হিসেবে সব সময় ঢাকা শহরকে উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু ১টি বিষয় আপনাকে বুঝতে হবে, ঢাকা শহর কখনও পুরো বাংলাদেশের প্রমাণ হতে পারে না। পুরো বাংলাদেশের আয়তন হচ্ছে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার, সেখানে ঢাকার আয়তন হচ্ছে মাত্র ৩৬০ বর্গ কিলোমিটার। এই ৩৬০ বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যা থাকছে প্রায় ২ কোটি। ঢাকা শহরের জনসংখ্যার ঘনত্ব যদি সারা দেশে থাকতো, তখন বাংলাদেশের জনসংখ্যা হতো ৮১৬ কোটি, যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার থেকেও বেশি। তাই ঢাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব দিয়ে আপনি পুরো দেশ মাপলে হবে না।

আমি আমার লেখায় বার বার বলেছি, ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করলে জনসংখ্যা সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে যাবে। তখন যানজটসহ যাবতীয় জনজট সমস্যা দূর হবে। কিন্তু নিজেদের সমস্যা সমাধানের অনিহাকে যদি আপনি পুরো জনসংখ্যার সমস্যা বলে চালিয়ে দেন, তবে সেটা অবশ্যই ডাহা মিথ্যা কথা।

প্রথম আলোর আর্টিকেলটিতে ‘বাংলাদেশে কৃষি জমির সঙ্কট’ নামক কথিত সমস্যাকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আমার কাছে এটাও ভুয়া মনে হয়।
কৃষিজমির নির্দ্দিষ্ট সংখ্যা কখন জনসংখ্যার সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে না।
কারণ যত সময় যাচ্ছে, একটি কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদনের পরিমাণ তত বাড়ছে।
বৃটিশ আমলে ১ বিঘা কৃষি জমিতে ২-৩ মন ধান হতো, অথচ এখন ১ বিঘা জমিতে ২২ মন হয়। নতুন কিছু ধান বের হয়েছে যেটা বিঘাতে ৩০-৪৫ মন পর্যন্ত হয় (https://bit.ly/2zyQ37U)।
তারমানে কৃষি জমি নির্দ্দিষ্ট থাকলেও ফলন বেড়ে যাচ্ছে।
ব্রিটিশ আমলের শেষ দিকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা যদি ৫ কোটি থাকে, আর ধান যদি বিঘায় ৩ মন হয়।
তবে হিসেব করলে জনসংখ্যা বেড়েছে ৩-৪ গুন, কিন্তু বিঘাতে ধান উৎপাদন বেড়েছে ১০ গুন।
শুধু ধান নয়, হিসেব করলে অনেক ফসল-ফলাদি, মাছ-মাংশ পূর্বের তুলনায় অনেক বেড়েছে, যা আগে কল্পনাও করা যেতো না।
এমনিতেই গ্রামে গঞ্জে একটি প্রবাদ হয়নি: “মুখ দিবেন যিনি, আহার দিবেন তিনি”।
অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেন, সেই সৃষ্টি অনুপাতে তিনি খাবার দিচ্ছেন, এটা তারা অস্বীকার করতে পারেনি।

আপনারা অনেকে জানতে পারেন, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমানায় নতুন একটি বাংলাদেশ জাগছে, যার আয়তন বাংলাদেশের আয়তনের ১০ ভাগের ১ ভাগ। (https://bit.ly/2uestIt) সমুদ্রের মাঝে জেগে ওঠা এ এলাকাগুলো অনেক উৎপাদনশীল, তাই বাংলাদেশে খাদ্য-পানীয়ের অভাব হবে এটা কেউ বলতে পারে না।

প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক জাপানের বয়স্ক জনগোষ্ঠী বৃদ্ধির কথা টেনে বলেছে, বাংলাদেশেও নাকি ভবিষ্যতে এমন হবে।
কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুয়া কথা। বরং বাংলাদেশে এখন জনসংখ্যাকে যেভাবে গলাটিপে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে, তাতেই নতুন প্রজন্ম হ্রাস পাবে আর বয়স্ক প্রজন্ম বাড়বে। ফলে জনসংখ্য হ্রাস কর্মসূচি কারণে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে জাপানের মত সমস্যা দেখা দিবে। কিন্তু জনসংখ্যা ন্যাচারাল উপায়ে বাড়তে দিলে নতুন প্রজন্ম সঠিক পরিমাপেই আসবে, তখন এ ধরনের সমস্যা তৈরী হবে না।।

আমি গতকালকে একটা লেখায় আপনাদের বলেছি,
কোন কথা/ঘটনা দেখলে দুইটি জিনিস খুঁজবেন-
(১) কে বলছে বা করছে :
(২) তার নিজের লক্ষ্য/উদ্দেশ্য কি ?

(১) নং প্রশ্নের উত্তর: দৈনিক প্রথম আলো বলছে, যে দৈনিকটি বাংলাদেশে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সবচেয়ে বড় এজেন্ট বা মূখপাত্র।
(২) নং প্রশ্নের উত্তর: মার্কিন সম্রাজ্যবাদটিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা হ্রাস করতে হবে, এই পলিসি ১৯৭৪ সালেই আমেরিকার ইহুদি পরামর্শদাতা কিসিঞ্জার গ্রহণ করে।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5/posts/580801512321516)

গতকালকে অনেকে প্রশ্ন করেছিলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা কিভাবে আমেরিকার জন্য হুমকি ?
এর উত্তর অনেক রকম হতে পারে। তবে আমার মনে হয়, এর মূল কারণ ইহুদীরা, যারা এখন ভর করেছে আমেরিকার উপর। পৃথিবীতে ইহুদীদের মোট জনসংখ্যা মাত্র ১ কোটি ৪৫ লক্ষ (২০১৮)। তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও ঋণাত্মক। ইহুদীরা নিজেরা ছাড়া সবাইকে তাদের জন্য হুমকি মনে করে। ইহুদীরা চায় তারা ছাড়া পৃথিবীতে কেউ থাকবে না। একারণে তারা অন্যান্য ধর্মের লোকদের জনসংখ্যা হ্রাস করতে কার্যক্রম চালায়। তবে আগে অস্ত্রপাতি দিয়ে গণহত্যা চালানো হতো, কিন্তু এখন পলিসি উন্নত করে ফ্যামিলি প্ল্যানিং এর মাধ্যমে নিরবে গণহত্যা চলানো হয়।

আপনারা হয়ত জানেন, একটা সময় আমেরিকা-চীন বন্ধু রাষ্ট্র ছিলো। তখন ইহুদী হেনরি কিসিঞ্জার চীনকে বুদ্ধি দিয়েছিলো এক সন্তাননীতি গ্রহণ করতে। হেনরি কিসিঞ্জারের সেই পলিসিকে বলে ডি-পপুলেশন থিউরী (https://bit.ly/2zxktHA)। চীন-আমেরিকার বন্ধুত্ব যখন ভেঙ্গে যায়, তখন চীন বুঝতে পারে কত বড় কুবুদ্ধি তাদের দিয়েছিলো কিসিঞ্জার। ২০১৫ সালে চীন তাদের এক সন্তান নীতি বাতিল করেছে (https://bbc.in/2L77IYP) এবং মায়েদের অধিক সন্তান হলে তাদের পুরষ্কৃত করছে। (https://bit.ly/2N8vsch)

আমার মনে হয় ইহুদীদের এসব কুচক্রী প্ল্যান সম্পর্কে আমাদের সচেতন হওয়ার সময় এসেছে।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment