Sunday, July 29, 2018

এনালিস্ট ক্লাস : ১ । এক্টরস বা প্লেয়ারস সূত্র :

এনালিস্টের প্রাথমিক কাজ হলো ঘটনার মূল বের করে নিয়ে আসা। এজন্য ঐ ঘটনার পেছনে কতগুলো বা কত ধরনের এক্টর বা প্লেয়ার কাজ করতেছে তা জানতে হবে।
এক্টরস বা প্লেয়ারস সূত্র :
একটা ঘটনার পেছনে কতজন প্লেয়ার/এক্টর আছে, এটা যতক্ষণ জানা না যাবে, ততক্ষণ বুঝা যাবে না, ঐ ঘটনাটা আসলে কেন ঘটলো। কোন একটি ঘটনা ঘটলে যে প্রকাশ্য বিষয়টা ঘটায়, সাধারণ মানুষ তাকেই দায়ী করে। কিন্তু একজন এনালিস্ট এটা করতে পারে না। একজন এনালিস্ট ঐ ঘটনার পেছনে কতগুলো এক্টর বা প্লেয়ার কাজ করেছে তার অনুসন্ধান করে। কোন ঘটনা শুধু এক নয়, একাধিক লোক বা সংগঠনের ইন্ধনেও ঘটতে পারে, যা চিন্তা করা সাধারণ মানুষের চিন্তার অনেক উর্ধ্বে।
সমাজে কোন ঘটনা ঘটলে, একপক্ষ অন্য পক্ষের উপর দোষ চাপিয়ে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে যারা কাজটি করে, তারা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য থাকে এবং কাজটি এতটাই কৌশলে করে যে সাধারণ মানুষ পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়। এছাড়া এক রাজনৈতিক দল, অন্য রাজনৈতিক দলের উপর দায়-দাবি চাপিয়ে দেয়, যার কারণে ঘটনার মূল অনুসন্ধান করতে ব্যর্থ হয় সাধারণ মানুষ।
একটা ঘটনার পেছনে কতগুলো শক্তি কাজ করতেছে এবং কার উদ্দেশ্য কি, এটা জানতে পারলে আপনি অনেক ক্ষেত্রে এক শক্তিকে অন্য শক্তির উপর ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু যদি আপনি সেটা না জানেন, তবে উল্টা তারা নিজের স্বার্থে আপনাকে ব্যবহার করবে।
একটি উদাহরণ দিলে বুঝতে সহজ হবে। যেমন, ধরুন বইমেলায় আগে অনেক ‘ধর্মবিরোধী বই’ বিক্রি হতো। এটা নিয়ে লেখালেখি করার পর অনেক প্রকাশনা বন্ধ করে দেয় সরকার। কথা হলো, এই বইমেলায় কয়টি শক্তি কাজ করেছে ?
(১) মার্কিন বা সিআইএপন্থী একটি গ্রুপ, যারা বইমেলায় ইসলামবিরোধী বই প্রকাশ করতো,
(২) আওয়ামী সরকার,
(৩) জনগণ
আপনার যদি সিআইএপন্থীদের কাজ সম্পর্কে ধারণা থাকে,
এবং তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী সরকারের পলিসি সম্পর্কে জানা থাকে,
তবে সহজেই আপনি আওয়ামী সরকারকে দিয়ে বইমেলায় ইসলামবিরোধী বই বন্ধ করতে পারেন।
এক্ষেত্রে খুব সহজেই বিষয়টি বন্ধ করা সম্ভব।
কিন্তু আপনার কাছে যদি ভুল তথ্য থাকে,
যেমন: আওয়ামী সরকার নিজেই ইসলামবিদ্বেষী বই ছাপতেছে, কিংবা এগুলো ‘ভারতীয় ষড়যন্ত্র’
তাহলে কিন্তু আপনি (২) নং শক্তিকে (১) নং শক্তির উপর ব্যবহার করতে পারবেন না,
বরং মূল কালপ্রিট মানে (১) নং শক্তি হাইড হয়ে (৩) ও (২) নং শক্তির মধ্যে লাগিয়ে দিলো।
এবং তাতেই তার উদ্দেশ্য সফল।
রিয়েল ফেস ও আর্টিফিসিয়াল ফেস সূত্র:
রিয়েল ফেস শব্দের অর্থ একজন এক্টর বা প্লেয়ারের আসল পরিচয়, আর আর্টিফিয়াল ফেস হলো ঐ এক্টর বা প্লেয়ার যে কৃত্তিম রূপ ধারণ করে। যারা এক্টর বা প্লেয়ার থাকে, তারা সব সময় রিয়েল ফেস থেকে আর্টিফিসিয়াল ফেসের দিকে যেতে চায়, উদ্দেশ্য সবাইকে ধোকা দেয়। অনেকক্ষেত্রে তারাও চায়, সাধারণ মানুষ তাদের আর্টিফিসিয়াল ফেসে আঘাত করুক। সাধারণ মানুষ যতদিন তাদের আর্টিফিসিয়াল ফেসে আঘাত করবে, ততদিন তাদের কোন ক্ষতি হবে না, বরং আরো লাভ হবে। কিন্তু যখন রিয়েল ফেসে আঘাত করা হবে, তখন তার মূল উদ্দেশ্য ফাঁস হবে এবং সে সহজেই ধরাশায়ী হবে।
ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল যে কোন বড় গেম বুঝার জন্য রিয়েল ফেসে আঘাত করা জরুরী, কিন্তু সাধারন মানুষ সর্বদা আর্টিফিসিয়াল ফেসে আঘাত করে এবং এতে মূল এক্টর বা প্লেয়ারের ক্ষতির পরিবর্তে আরো লাভ হয়।
যেমন বইমেলায় ধর্মবিদ্বেষী বই বের হচ্ছে। আপনি যদি ভাবেন এটা আওয়ামী সরকার করাচ্ছে তবে এটা ভুল যায়গায় আঘাত, আবার আপনি যদি বলেন, এরা সব নাস্তিক তখনও এটা আর্টিফিসিয়াল ফেস। কিন্তু আপনি যখন বুঝতে পারলেন- এই গোষ্ঠীটা মার্কিন বা সিআইএপন্থী একটি গ্রুপ, তখন আপনি রিয়েল ফেসে আঘাত করলেন। তখন
(১) আমেরিকা মূল পলিসি সম্পর্কে ব্রডওয়েতে আপনি চিন্তা করতে পারবেন,
(২) সরকারের সাথে আমেরিকার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থেকে কি ফায়দা নেয়া যায় সেটা চিন্তা করবেন।
(৩) এরপর এক পক্ষ হয়ে অন্য পক্ষকে দমন করবেন।
(চলবে)

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment