Friday, May 25, 2018

ইহুদীদের হাতিয়ার ‘সেলিব্রেটি ওরশিপ’


সেলিব্রেটি ওরশিপ যার বাংলা করলে দাড়াবে ‘সেলিব্রেটি পূজা’ বা ‘সেলিব্রেটির ‘আরাধনা’। অভিধানগুলোতে ফিল্ম, টেলিভিশন, স্পোর্টসের নায়ক-গায়ক বা খেলোয়াড়দের প্রতি অতিমাত্রায় আবিষ্ট থাকাকে সেলিব্রেটি ওরশিপ বলে। বর্তমানে এ বিষয়টিকে অনেকে এক ধরনের মানিসিক রোগ বলেও বিবেচনা করে। যাকে বলে Celebrity worship syndrome (CWS) । বেশ কিছুদিন আগে, বাংলাদেশের এক ছেলের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম। সে বলেছিলো, “আমি যদি কখন মেসি’র পায়খানাও পাই, তবে সেটা পায়েস হিসেবে খেয়ে নিবো”।

মানুষ সৃষ্টিগতভাবে অনুকরণ প্রিয়। আর সেই অনুকরণটা ‘সেলিব্রেটি’দেরকেই তারা সহজে করে থাকে। পৃথিবীতে সেলিব্রেটি থাকতেই পারে, কিন্তু সমস্যা হলো সেই সেলিব্রেটি যখন ভাবা হয় নায়ক-গায়ক খেলোয়াড় বা বর্তমান মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের থেকে। কারণ বর্তমানে মিডিয়া চালায় ইহুদীরা। তাই তারা কথিত সেলিব্রেটির সুযোগটাও নেয়। তারাই মিডিয়া পাওয়ারকে কাজে লাগিয়ে ইচ্ছামত সেলিব্রেটি বানায় (অথবা রিক্রুট করে) এরপর নিজেদের কাজে লাগায়। সোভিয়েত রাশিয়া ভাঙ্গার পর তাদের ভেতরে ঢুকে থাকা অনেক মার্কিন গোয়েন্দার সংস্থা সিআইএ’র এজেন্টের নাম প্রকাশ পায়। দেখা যায়, সে সব এজেন্টের একটা বড় অংশ সিনেমা অভিনেতা-অভিনেত্রী, খেলোয়াড়, গায়ক বা গায়িকা। বাস্তবিক অর্থে এই সেলিব্রেটিরা সবাই দুইটা জিনিসের পাগল। এক- টাকা, ২-মিডিয়ায় প্রচার। ইহুদীরা এ দুইটার লোভই তাদের দেখায়, ফলে তারা সহজেই এজেন্টে পরিণত হয়। সেলিব্রেটিদের দিয়ে কর্পোরেট পন্যের প্রচার তো খুব স্বাভাবিক বিষয়, ইহুদীরা তাদের দিয়ে নিজস্ব মতবাদগুলোও প্রচার করে।

গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশী মিডিয়ায় ভারতীয় নায়িকা ‘প্রিয়াংকা চোপড়া’কে বার বার দেখা যাচ্ছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইউনিসেফের দূত হিসেবে প্রিয়াংকা বাংলাদেশে এসেছে। ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ যায়গায় দেখা করেছে। বাংলাদেশের সকল মিডিয়া তাকে প্রাণপনে হাইলাইট করার চেষ্টা করেছে। সোজা ভাষায়, প্রিয়াংকা কোন একটি বিশেষ মেসেজ নিয়ে এসেছে এবং নায়িকা হওয়ায় তার মেসেজটা খুব সহজে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে প্রবেশ করবে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

প্রিয়াংকার চোপড়া ভারতীয় হলেও সে কিন্তু লেখাপড়া করেছে আমেরিকায়। মিডিয়ায় তার শুরু ২০০০ সালে মিস ওয়ার্ল্ডে প্রথম স্থান দিয়ে। এরপর ২০০২ সালে ভারতীয় সিনেমায় অভিনয় শুরু। ২০১৭ সালে ফোর্বস বিশ্বের ১০০ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির তালিকায় প্রিয়াংকার স্থান দেয় এবং ২০১৮ সালে টাইমস ১০০ জন শক্তিশালী ব্যক্তির তালিকায় প্রিয়াংকার স্থান দেয়। গত কিছুদিন আগে ব্রিটিশ দস্যু পরিবারের বিয়েতে প্রিয়াংকা ব্রিটিশ পোষাক পরে উপস্থিত হয়। অর্থাৎ প্রিয়াংকাকে ইহুদীবাদী মিডিয়া বার বার হাইলাইট করতে চাইছে। উদ্দেশ্য তাকে দিকে কোন কাজ করাবে। ঠিক কয়েকদিন পর দেখা গেলো সে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ইস্যুতে এসেছে। সে ঠিক কেন এসেছে হয়ত কয়েকদিন পর সেটা স্পষ্ট হবে। তবে একটি বিষয় আপনাদের বলে রাখি (সবাই বিষয়টি বুঝবেন না), সম্ভবত প্রিয়াংকা সরোস-রানিয়া-পোপ-ট্রুডো নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত।

কয়েকদিন আগে টিভি অভিনেতা মোশাররফ করিমকে দেখা গেছে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশেষ মতবাদ প্রচার করতে, যদিও সে ধরা পড়ে যায়। আসলে সে কাজটি করেনি, কেউ তার সেলিব্রেটি শক্তিটাকে কাজে লাগিয়ে নিজস্ব মতবাদ প্রচার করতে চেয়েছে। শুধু এ কয়েকটি নয়, এরকম অসংখ্য কথিত সেলিব্রেটিকে ইহুদীরা রিক্রুট করছে নিজস্ব মতবাদ প্রচারের জন্য। ভারতের শচীন টেন্ডুলকারকেও দেখলাম ইউনিসেফ নিয়েছে, তার দ্বারাও সামনে কোন ঘটনা ঘটতে পারে।
বাংলাদেশে আওয়ামীলীগও ঐ একই পলিসি অবলম্বন করেছে। নিজেদের দলে নিয়েছে মমতাজ, আসাদুজ্জামান নূর, তারানা হালিম বা কবরীকে, যেন সাধারণ মানুষ তাদের প্রিয় টিভি অভিনেতা-অভিনেত্রী বা গায়ক-গায়িকাকে দেখে আওয়ামীলীগের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এখন সামনে আসছে শমী কায়সার। খুব শিঘ্রই হয়ত দেখা যেতে পারে সাকিব আল হাসান বা মাশরাফি বিন মতুর্জাকে।

আমি চাই, পৃথিবীতে ইহুদীবাদী সম্রাজ্যের পতন ঘটুক। কিন্তু এর জন্য মুসলমানদের কথিত সেলিব্রেটি ওরশিপ থেকে বেড়িযে আসতে হবে। কোন অভিনেতা-অভিনেত্রী, নায়ক-নায়িকা বা ক্রিকেটার-ফুটবলারকে অন্ধ অনুকরণ বা মানা যাবে না (জাফর ইকবালও মিডিয়ার বানানো কথিত সেলিব্রেটি ছিলো)। ইহুদীবাদী মিডিয়া যাকে হাইলাইট করছে, তাকেই সন্দেহের চোখে দেখতে হবে। কি কারণে, কি উদ্দেশ্যে তাকে হাইলাইট করা হচ্ছে, তার কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। এটা ঠিক তাদের অনেকের মধ্যে তার সেক্টরে প্রতিভা থাকবে এবং তার দ্বারাই সে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করবে। স্বাভাবিক ইহুদীরা তো ঐ প্রতিভাধারী লোকগুলোকেই দলে টানতে চাইবে, তাহলে তাদের কাজ তাড়াতাড়ি হবে। পৃথিবীতে অনেক প্রতিভা আছে, কিন্তু ঐ ব্যক্তিটিকেই কেন ইহুদী মিডিয়িা এত হাইলাইট করা হচ্ছে সেটা নিযে অনুসন্ধান করতে হবে। কারণ ইহুদী মিডিয়া কোন কিছুই এমনি এমনি হাইলাইট করে না।

মনে রাখবেন, ইহুদীরা কখনই সামনে আসবে না। তারা সেলিব্রেটি বানাবে এবং তাদের ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে পরিচালিত করবে। ঠিক যেভাবে একজন রাখাল লক্ষ লক্ষ ভেড়ার পালকে তাড়িয়ে নিয়ে যায়। তাই ‘সেলিব্রেটি ওরশিপ’ থেকে বেড়িয়ে আসা ছাড়া নিজ জাতিকে রক্ষা করার আর উপায় নাই।


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment