Thursday, May 24, 2018

ভারতীয় পেঁয়াজে ছেয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের মার্কেট

এর কারণ ভারতীয় পেঁয়াজকে শুল্কমুক্ত করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এতে ভারতীয় পেয়াজের দাম অনেক কমে গেছে। ফলে বড় হয়ে গেছে ভারতীয় ও দেশী পেঁয়াজের দামের পার্থক্য।
এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই বাংলাদেশ ও ভারতের মাঝে এখনও একটা বর্ডার আছে। বাংলাদেশ ও ভারত এক দেশ নয়। ভারত থেকে যখন কোন পণ্য বাংলাদেশে আসবে তখন বাংলাদেশ সরকারের শুধু ভারতীয় পণ্যের দামের দিকে তাকালে হবে না, তাকাতে হবে বাংলাদেশে তৈরীকৃত ঐ পন্যের অবস্থার দিকে। বাংলাদেশের নিজস্ব ঐ পণ্যের দাম কত সেটা বিবেচনা করে শুল্ক আরোপ করতে হয়। এই বিষয়টিকে বলে ‘ট্রেড ব্যারিয়ার’। একটা দেশে যখন ট্রেড ব্যারিয়ার উঠে যায় আর ঐ দেশ দেউলিয়া হয়ে যাওয়া একই কথা।
কিন্তু সরকার যদি নিজেই সেই ট্রেড ব্যারিয়ারের গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে, মানে শুল্ক ফ্রি করে দেয়, তখন তা দেশের জন্য হুমকি হয়ে দাড়ায়। কমমূল্যের জিনিস প্রবেশ করলে হয়ত দৃশ্যত কিছু মানুষ উপকৃত হবে। কিন্তু পুরো প্রেক্ষাপট বিবেচেনায় দেশের ক্ষতি হবে। কারণ দেশের কৃষকরা বসে যাবে, আমরা ঐ পণ্যের জন্য পুরোপুরি তাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাবো। এবং নির্ভরশীল হয়ে গেলো পরবর্তীতে তারা একচেটিয়া আমাদের উপর বিজনেস খাটাবে।
ছোট বেলায় এক হিন্দু শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তাম, সে আমাকে মাঝে মাঝে ভারতের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পলিসি সম্পর্কে ধারণা দিতো। একদিন সে বলেছিলো, ভারত সরকার চালের পেছনে অনেক ভর্তুকি দেয় এবং সেই সেই ভতুর্কি দেয়া চাল কমমূল্যে বাংলাদেশে পাঠায়। উদ্দেশ্য বাংলাদেশে অপেক্ষাকৃত কমমূল্যের ভারতীয় চাল প্রবেশ করাতে হয়। এভাবে ২০-৩০ বছর ভর্তুকি অব্যাহত রেখে কমমূল্যে ভারতীয় চাল প্রবেশ করলে এক সময় বাংলাদেশের কৃষকরা ধান চাষ পরিহার করবে, তখন একচেটিয়া বাংলাদেশের চালের মার্কেট কন্ট্রোল করবে ভারত। তখন আগের ক্ষতি সুদে-আসলে পুষিয়ে নেবে।
আমি সময় সময় একটা কথা বলি, মুসলমানরা ব্যক্তি স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেয়, কিন্তু জাতিগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয় না। এ কারণে মুসলমানদের আজ এই অবস্থা।
ভারতীয় পেয়াজের দাম কম, এই কারণে হয়ত বাংলাদেশের মানুষ ভারতীয় পেয়াজকে গ্রহণ করছে। কিন্তু ক্ষণিকের লাভ পেতে গিয়ে, দীর্ঘমেয়াদীভাবে সে যে তার দেশকে অন্যের উপর নির্ভর করে দিচ্ছে বা নিজের স্বাধীনতা হারাচ্ছে এটা সে অনুধাবন করতে পারছে না।
অপরদিকে পুরো সিস্টেমটাতে জনগণকে প্রলুব্ধ করছে এক শ্রেণীর আমদানিকারী ব্যবসায়ী। আমার জানা মতে, আমদানিকারী গোষ্ঠিটি বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের রাজনৈতিক দলের লোকজনই। তারা প্রত্যেক ক্ষেত্রে আমদানি করতে চায়। কারণ আমদানি করলে সহজে লাভ পাওয়া যায়। এজন্য তারা প্রথমে যেটা করে, দেশীয় জিনিসের স্বল্পতা তৈরী করে বা দাম বৃদ্ধি করে। এটা তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সাহায্যেই করে। এরপর সেই শূণ্য স্থানে তারা বিদেশী আমদানি করা জিনিস নিয়ে আসে। এতে খুব সহজেই হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়া যায়।
যেমন,
-দেশের ফল আম’কে সিস্টেম করে আটকে রেখে ভারতীয় আম প্রবেশ করানো।
অথবা
- বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে না কিংবা গ্যাসের দাম দ্বিগুন করে, বিদেশ থেকে এলপি গ্যাস আমদানি করা হচ্ছে। অর্থাৎ দেশের মানুষকে নিজের দেশেরটা রেখে বিদেশীটা খাওয়াতে বাধ্য করা।
একই জিনিস ঘটেছে পেয়াজের বেলায়ও। দেশের পেয়াজের মৌসুমেও পেয়াজ আটকে রেখে দাম বাড়িয়ে ভারত থেকে শুল্কমুক্ত করে পেয়াজ আমাদানি করা হয়েছে।
বর্তমানে ভারতে পেয়াজের দাম বাংলাদেশী টাকায় ৫ টাকা কেজি, সেই পেয়াজ শুল্কমুক্তভাবে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে ১৩ টাকায় এবং খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে ৩০ টাকায়। অর্থাৎ বিরাট ব্যবসা করছে ঐ বিশেষ শ্রেণীটি। মাঝখান দিয়ে পথে বসিয়ে দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশী কৃষকশ্রেণীকে।
আরেকটি কথা আপনারা সবসময় মনে রাখবেন, ভারতীয় পণ্য হলে বাংলাদেশীদের অনেক যাচাই করে খাওয়া উচিত। কারণ ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশ সরকার কোন ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই প্রবেশ করায়, যেটা অন্য দেশ করে না। এমনিতেই ভারতীয় পেয়াজ খুব নিম্নমানের হয়। তার উপর ভারতীয়রা সেই পণ্যে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কিছু প্রবেশ করায় তবে সেটা ধরার জন্য বাংলাদেশে কোন ব্যবস্থা নেই। আপনাদের মনে থাকার কথা, কয়েকবছর আগে এক ইন্ডিয়ান ফেসবুকে বলেছিলো, তারা ভারতীয় পণ্যের মাধ্যমে ক্রনিকরোগের জীবাণূ বাংলাদেশে প্রবেশ করায়, এতে তারা ব্যবসাও করে, আবার সেসব রোগের চিকিৎসা করতে বাংলাদেশের মানুষ ভারতেরই যায়। এতেও তাদের লাভ হয়। তবে খুব ভয়ের বিষয় অতি সম্প্রতি পৃথিবীতে সুপারবাগ ও ডিজিস-এক্স নামক দুটো মৃত্যুরোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা করছে অনেকে। আমার ধারণা ইহুদীবাদীরা এই রোগ দুটি ছড়িয়ে বড় ধরনের ব্যবসা ফাদ করচে। আর ভারত যেহেতু ইসলাইল ও আমেরিকার বড় দালাল তাই বাংলাদেশে যদি এমন কিছু প্রবেশ করে তবে সেটা ভারত তথা ভারতীয় পণ্যের মাধ্যমেই বাংলাদেশে ডোর টু ডোর আসা সম্ভব। তাই সব ধরনের ভারতীয় পণ্য (চাল, ফল, পেয়াজ, গরু, ঔষধ, কাপড় ইত্যাদি) থেকে বাংলাদেশীদের সাবধান থাকা জরুরী।
তথ্যসূত্র:
১) বেনাপোল বন্দরে বেড়েছে তিনগুন পেয়াজ আমদানি : https://bit.ly/2IGPOM4

২) বেনাপোল দিয়ে ৭ দিনে ১০ হাজার ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি :https://bit.ly/2GMTSVf


৩) শুল্কমুক্ত ভারতীয় পেঁয়াজ : https://bit.ly/2LpuKY8


৪) ভারতে ৪ রুপির পেঁয়াজ বাংলাদেশে ৩০ টাকা : https://bit.ly/2LrSBGT


৫) সুপারবাগ আতঙ্ক : https://bit.ly/2IG4I56


৬) আসছে ডিজিজ এক্স : https://bit.ly/2FI9V7f


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment