Thursday, May 31, 2018

রাষ্ট্রের শীর্ষস্তর যখন বিশ্বাসঘাতকতা, আইনলঙ্ঘন করে তখন সেই রাষ্ট্রের পতন অত্যাসন্ন

খবর : (১)
নতুন প্রজন্মের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রপতির (https://bit.ly/2LBSUyL)
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বহুদিন ধরে জোকার রাষ্ট্রপতি হিসেবে বহুল প্রচারিত। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে দর্শকদের হাসানোই তার একমাত্র কাজ। কিন্তু সেই রাষ্ট্রপতি হঠাৎ করে কেন নতুন প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িক বানানোর প্রজেক্টে নেমেছেন ?
আজকে খবরে দেখলাম, ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রনব ঘোষ কট্টর হিন্দুত্ববাদী আরএসএসর অনুষ্ঠানে যোগদান করেছে। (https://bit.ly/2L5RzyY)

আমার বিশ্বাস রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এখনও নিজেকে প্রনবের মত অসাম্প্রদায়িক বলে দাবি করতে পারবে না। কিন্তু সেই প্রনব নিজেই যখণ হিন্দুত্ববাদে যোগদান করছে, সেখানে আব্দুল হামিদ কেন তরুন প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িকতার দিকে ঝুঁকাতে চাইছে ? উগ্রহিন্দুত্বের বিপরীতে অসাম্প্রদায়িকতা কতটুকু গ্রহণযোগ্য ? আমরা জানি, ভারতের মুসলমান কিংবা মায়ানমারের রোহিঙ্গারা হিন্দুত্ববাদ বা বৌদ্ধবাদের বিপরীতে ৭০ বছর ধরে অসাম্প্রদায়িকতা দেখিয়েছে। কিন্তু কি ফল পেয়েছে ? মার তো খেয়েছেই, এখন নিজ ভূমিটাও হারাতে বসেছে। আব্দুল হামিদ কি বাংলাদেশের মুসলমানদেরও রোহিঙ্গা বা অসমীয় মুসলমানদের মত বানাতে চায় ?


খবর: (২)
ভারতকে যা দিয়েছি সারা জীবন মনে রাখবে: শেখ হাসিনা (https://bit.ly/2kz0MVi)

এই খবরের পর আনন্দবাজার পত্রিকায় রিপোর্ট এসেছে-
“মোদীর কাছে ‘প্রতিদান’ চান হাসিনা” (https://bit.ly/2smgZBu
)
প্রথম খবরে শেখ হাসিনা ভারতকে ‘যা দিয়েছেন’ বলতে নিজের কিছু দেননি, দিয়েছেনে দেশ ও দেশের সম্পদ। কিন্তু পরের খবরে স্পষ্ট শেখ হাসিনা নিজের জন্য চাইতে গিয়েছেন।
অর্থাৎ দেশ বিলিয়ে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চান শেষ হাসিনা, বিষয়টি শেখ হাসিনা ও ভারতীয় মিডিয়ার বক্তব্যে মোটামুটি পরিষ্কার। এতদিন কথাগুলো হয়ত ভিন্ন ভিন্ন মহল থেকে আসছিলো, কিন্তু এখন খোদ শেখ হাসিনা ও ভারতের পক্ষ থেকে বিষয়টি পরিষ্কার করা হলো।
বঙ্গবন্ধু যে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, তার কন্যা সেই দেশকে ভারতের কাছে ক্ষমতার জন্য বিক্রি করে দিচ্ছে, অবতীর্ণ হয়েছে লেন্দুপ দর্জি বা মীর জাফরের ভূমিকায়। দেশ পুরোপুরি বিক্রির আগে বিশ্বাসঘাতকদের তাড়ানো ছাড়া অন্য কোন উপায় দেখছি না।

খবর : (৩)
বিদেশী পতাকা উড়ানো নিয়ে রিট খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্টের দুই বিচারক
বিশ্বকাপ ফুটবলকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ নুরুল আমিনের করা সেই রিট আজকে শুনানির সময় খারিজ করেছে হাইকোর্টের বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও কেএম কামরুল কাদের। রিটকারীর বক্তব্য ছিলো, বিদেশী পতাকা ওড়ানো রাষ্ট্রের আইনবিরোধী। কিন্তু দুই বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও কেএম কামরুল কাদেরের সরাসরি দাবি হচ্ছে, ‘আইনবিরোধী বলে কিছু নেই। যেই আইন জনগণের বিনোদনের বিরুদ্ধে যায় সেই আইন-ই থাকা উচিত নয়।’ অর্থাৎ দুই বিচারপতিও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন সংরক্ষেণের স্থান হাইকোর্টে বসে দেশের আইনকে সরাসরি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন। সাবাস।

রাষ্ট্রের শীর্ষস্তরে যখন বিশ্বাসঘাতকতা, আইনলঙ্ঘন আর শত্রুর এজেন্ডা বাস্তবায়ন প্রকাশ্যেই হয়, তখন সেই রাষ্ট্রের পতন অত্যাসন্ন, তা বুঝতে বিজ্ঞানী হতে হয় না।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment