Thursday, May 24, 2018

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকালকে বলেছে, “বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, প্রমাণ নাই” !

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজকে বলেছে,
“বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, প্রমাণ নাই“ (https://bit.ly/2khpklM)

অথচ ২০১৭ সালের ১০ই এপ্রিল চ্যানেল ২৪ এর রিপোর্ট বলছে,
২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় ইয়াবা চোরাচালনকারীদের একটা তালিকা করে। সেই তালিকায় বদির নাম সবার আগে ইয়াবা গডফাদার হিসেবে সংযুক্ত ছিলো। এছাড়া সহকারী ব্যবসায়ীর তালিকায় ছিলো,
১) বদির ভাই আবদুস শুক্কুর
২) বদির ভাই আবদুল আমিন
৩) বদির ভাই মজিবুর রহমান
৪) বদির ভাই শফিক
৫) বদির ভাই ফয়সাল
৬) বদির ভাগিনা শাহেদুর রহমান নিপু এবং
৭) বদির ফুপাতো ভাই কামরুল হাসান রাসেলের নাম ।
(http://bit.ly/2jop4nv,


https://youtu.be/fAefuWR-rjQ)


কথা হলো ২ বছর আগের করা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের সেই তালিকার কথা আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেমালুম ভুলে গেলেন কেন ?

গতকালের খবরে দেখলাম, বদি নিজেও খুব বুক ফুলিয়ে বক্তব্য দিয়েছে।
বলেছে, সে ক্রসফায়ারকে ভয় পায় না, এমনকি ক্রস ফায়ার আরো আগে শুরু হওয়া উচিত ছিলো এমন কথাও বলেছে। (https://bit.ly/2IJ8KFZ,
https://bit.ly/2s8xUXg
)
অর্থাৎ সে অনেকটা নির্ভয়। সে জানে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিবে না। এর কারণ সরকার লেভেলে তার রয়েছে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ। নেটওয়ার্ক ঠিক থাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় তার ব্যাপারে না জানার ভান করে আর সেও নির্ভয়ে কথা বলতে পারে।
আমার কাছে আসা গোপন তথ্যে জানতে পেরেছিলাম,
২০১৬ সালে যখন সে জেলে যায়, তখন খোদ শেখ হাসিনাকে সে ১১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলো ছাড়া পাওয়ার জন্য। এরপর মাত্র ১৮ দিনের মাথায় সে ছাড়া পায়। তাকে বরণ করা হয় ২০০ তোরণ দিয়ে। তাই এইবারও যদি বদি ছাড়া পেয়ে যায়, তবে ধরে নিতে হবে খোদ শেষ হাসিনার সাথে বদির পূর্বের ন্যায় কোন সমঝোতা হয়েছে।
এছাড়া সরকার মাদকের বিরুদ্ধে উপর দিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করলেও বাস্তবে কতটুকু তা বাস্তবায়ন করবে তার নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কারণ মায়ানমারে ১টা ইয়াবার দাম খুচরা রেটে ৪০-৬০ টাকা। পাইকারী রেট আরো কম। কিন্তু বাংলাদেশে সে ইয়াবা যখন বিক্রি হয় তখন তার মূল্য হয়ে যায় ৩৫০-৫০০ টাকা। অর্থাৎ মায়ানমার যদি ইয়াবা ব্যবসা করে ১ টাকা পায়, তবে বাংলাদেশে যারা ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত তারা পায় ৯ টাকা। (http://bit.ly/2hM74iv)
২০১৬ সালের হিসেব মোতাবেক বৎসরে ইয়াবার পেছনে ব্যয় হয় প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। মায়ানমার যদি পায় ১০ হাজার কোটি টাকা, তবে বাংলাদেশে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। (http://bit.ly/2gwBNmr
)
আমার জানা মতে, সরকারদলীয় রাজনীতির সাথে জড়িত লোকজনই এ ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত এবং মধ্যবর্তী লাভবান তারাই হয়ে থাকে। সরকার যদি ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ করে দেয়, তবে তাদের রাজনীতির অন্যতম চালিকা (বাবা) শক্তি সেই ৪০ হাজার কোটি টাকা আসার পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। তাই নিজেদের ক্ষতি করে শেখ হাসিনা সেই বাবা নেটওয়ার্কে হাত দেবে নাকি এখন সেটাই দেখার বিষয়।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment