Tuesday, January 30, 2018

‘পদ্মবত’ মুভি : মুসলমানদের বিরুদ্ধে উগ্র হিন্দুদের দাঙ্গা বাধানোর উস্কানি


‘পদ্মবত’ মুভি সম্পর্কে জানাতে হলে আপনাকে আগে জানতে হবে, ২০১৩ সালে বাংলাদেশের ক্লাস ৯-১০ এর পাঠ্যবইয়ে রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায়ের লেখা ‘স্বাধীনতা’ নামক একটি কবিতা ছিলো, যা মুসলমানদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে ২০১৭ সালে বাদ দেয়া হয়। ঐ স্বাধীনতা কবিতা আর এই পদ্মাবত মূভি একই জিনিস। স্বাধীনতা কবিতাটি ‘পদ্মিনী উপাখ্যান’ কাব্য থেকে সংকলন করা হয়েছিলো। ঐ সময় ‘স্বাধীনতা’ নামক কবিতার বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে আমি একটা আর্টিকেল লিখেছিলাম, যা

পেইজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আর পাওয়া যাচ্ছে না, তবে গুগল সার্চ করে এ লিঙ্কে (http://bit.ly/2rSOiyD) লেখাটা পেলাম। সেখানে মুল ঘটনা বিস্তারিত পাবেন।

পদ্মবত মুভি আসলে কি?

হিন্দুরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদের স্বগোত্রীয়দের উস্কানি দিতে নানান ভ্রান্ত গল্প বানায়। এসব ভ্রান্ত গল্পকে পূজি করে তারা যুগে যুগে মুসলমানদের বিরুদ্ধচারণ করেছে, ‍মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাঙ্গাকে বৈধতা দিয়েছে। যেমন “বাবরী মসজিদের স্থানটি হচ্ছে রামের জন্মস্থান, তাই সেটা ভাঙ্গতে হবে।” কিংবা “তাজমহল হিন্দু মন্দির ছিলো তাই তা ভাঙ্গতে হবে”, “আরবের কাবা ঘর মূলত শিব মন্দির”। এ ধরনের বহু আজগুবি গল্প বা হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা তারা যুগে যুগে বানিয়ে হিন্দুদেরকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে উস্কাতো। বাংলাদেশে ভুয়া সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা সাজানোও একই বিষয়। বাস্তবে যার কোন অস্তিত্ব নেই। মূলত পদ্মাবত মুভি বা পদ্মিনী উপখ্যান সেই স্বভাব থেকেই উদ্ভব।

পদ্মবত মুভির ঘটনায় হিন্দুরা গল্প সাজিয়ে বলে, ‘পদ্মিনী’ হচ্ছে একজন রাজপুত রানী। ১৪শ’ শতাব্দীতে দিল্লীর সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি নাকি ঐ নারীর রুপের কথা শুনে পাগল হয়ে যান এবং চিতোর আক্রমণ করে। হিন্দুরা আরো গল্প সাজায়, ঐ সময় মুসলিম শাসক আলাউদ্দিন খিলজি ও তার বাহিনী থেকে নিজেদের সম্ভ্রম বাচাতে নাকি পদ্মিনীসহ ১৩ হাজার হিন্দু নারী আগুনে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলো।

মুসলমানরা আসার আগে ভারত কত অনুন্নত ছিলো সে ইতিহাস সবার জানা। প্যাগান গোষ্ঠীদের অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ থেকে মুসলমানরা উদ্ধার করে আলোর পথ দেখায়। বিজেপি মাত্র ৪ বছর ক্ষমতা পেয়ে বলে সমস্ত মুসলমানকে বের করে দেয়া হবে। অথচ মুসলমানরা ভারত ৬০০ বছর একচেটিয়া শাসন করে যদি সত্যিই হিন্দুদের উপর নির্যাতন করতো, তবে ভারত বর্ষে এখন একটা হিন্দুও যেতো না। উল্লেখ্য, হিন্দুরা যে সাম্প্রদায়িক ইনটেনশন নিয়ে কাজ করে, তার প্রমাণ- মুসলমানদের আসার আগে হিন্দুরা বৌদ্ধ ধর্মের বিলুপ্তি ঘটায় (http://bit.ly/2rPR6w8)

তারপরও এখন সারা ভারত জুড়ে মুসলিমবিরোধী সেন্টিমেন্ট বিশেষ করে দাঙ্গা উস্কে দিতে এসব ইতিহাস বিকৃত সিনেমা তৈরী করা হচ্ছে। কথিত ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের দেশ ভারতে কত উগ্র সাম্প্রদায়িক পরিবেশ বিরাজ করছে তার নিকৃষ্ট প্রমাণ এ পদ্মাবত মুভি। উল্লেখ্য, এ মুভির বিরুদ্ধে উগ্রহিন্দুদের একটি গোষ্ঠী শুরু থেকে বিরোধীতা করে। এ বিরোধ থেকে হয়ত অনেকে ভেবেছে মুভিটি মনে হয় এন্টি-হিন্দু। আসলে তা না। মুভির কাহিনীর প্রয়োজনে একটি দৃশ্যে কথিত পদ্মবতীকে কথিত আলাউদ্দিন খিলজীর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে দেখানো হয়, আর তাতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে উগ্রহিন্দুরা। যদিও পুরো মুভির এন্টি মুসলিম সেন্টিমেন্ট ঠিক আছে। তবে আমার খারাপ লেগেছে অন্য কারণে। হিন্দুরা বানোয়াট চরিত্র ‘পদ্মবতী’র জন্য মাঠে নামলো, কিন্তু মুভিটিতে যে মুসলমানদের সুলতান আলাউদ্দিন খিলজীকে মিথ্যা ইতিহাস দিয়ে বিকৃত করে (পশুর মত) উপস্থাপন করা হলো তার প্রতিবাদ কোন মুসলমান করলো না। বর্তমানে মুসলমানদের কঠিন অবস্থার জন্য মুসলমানদের বোবা থাকা একটি কারণ।

তবে একই সাথে আলোচনা করা যায়, এ ধরনের একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক ঘটনা কিভাবে বাংলাদেশের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্য করা হলো ? কেন ৪ বছর (২০১৩-১৬) তাদের এ ইসলামবিদ্বেষী পড়তে বাধ্য করা হয়েছিলো ? শিক্ষামন্ত্রী নাহিদের এ কারণে কেন বিচার হলো না ??

মজার ব্যাপার হচ্ছে, এ ধরনের একটি সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেয়ার ঘটনা যখন পাঠ্যবই থেকে বাদ দেয়া হলো, তখন বাংলাদেশের কথিত অসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী মাঠে নেমে বললো- বাংলাদেশের পাঠ্যবই নাকি সাম্প্রদায়িক করা হয়েছে !! আশ্চর্য !!!


===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment