Wednesday, April 25, 2018

পশ্চিমবঙ্গবাসী সানাউল্লাহ খান সাহেবের প্রশ্নের জবাব-


শ্রদ্ধেয় পশ্চিমবঙ্গবাসী সানাউল্লাহ খান, ধন্যবাদ আপনার কমেন্ট করার জন্য।

আপনার কমেন্টের উত্তর দেয়ার জন্য আমি কমেন্টবক্সকে যথেষ্ট মনে করিনি।

তাই নতুন করে পোস্ট লিখতে বসেছি।

আপনি কমেন্টে দুটি প্রশ্ন রেখেছেন:

প্রথম প্রশ্ন: অনেক লড়াই সংগ্রাম রক্তের বিনিময়ে পাকিস্তান লাভ, তারপরও পাকিস্তান ভাগের প্রয়োজন পড়লো কেন ?

দ্বিতীয় প্রশ্ন : ভাগ যখন হয়েই গেলো, তখন পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মানুষ এত অত্যাচারিত কেন ?

উত্তর :

আপনার কমেন্টের মধ্যে আপনার উত্তর রয়ে গেছে। আপনি কমেন্টে বলেছেন, “অনেক লড়াই সংগ্রাম রক্তের বিনিময়ে পাকিস্তান লাভ” । তারমানে পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য যারা দায়ী তারা অন্যায় অবিচার দেখলে তার প্রতিবাদে লড়াই-সংগ্রাম পছন্দ করেন। আর আমার জানা মতে, অন্যায় অবিচার দেখলে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা, সংগ্রাম এটা মুসলমানদের ধর্মেরই নির্দেশ। আর সেই নির্দেশটা পাকিস্তান আর বাংলাদেশের মুসলমানরা পালন করলেও, ভারতের মুসলমানর পালন করেনি। তারা অন্যায় দেখলেও, মুখ বুঝে সহ্য করেছে, কাপুরুষের মত লুকিয়ে থেকেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মুসলমানরা সেটা করেনি।

সানাউল্লাহ দাদা, আপনার জানার জন্য বলছি, পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য দায়ী মুসলিমলীগের শীর্ষ নেতারা কিন্তু এক সময় কংগ্রেস করতো। কিন্তু তারা বঙ্গভঙ্গের সময় দেখলো- কংগ্রেসের হিন্দু নেতারা মুখে মুখে সেক্যুলারিজমের কথা বললেও, তারা একেকজন পাক্কা হিন্দুত্ববাদী। তারা হিন্দু-মুসলিম এক রাষ্ট্রের কথা বলে, বড় মানচিত্র পাওয়ার জন্য, কিন্তু কাজে কর্মে এমন রাষ্ট্র চায় যা হবে হিন্দু নেতৃত্বাধীন। মুসলিমলীগের নেতারা হিন্দুদের চালাকি বুঝে ফেললো। তারা ভাবলো, হিন্দুদের সাথে একত্রে আন্দোলন করলে তারা আমাদের ঠকাবে। তখন তারা পৃথক চিন্তা করলো, তৈরী করলো মুসলিম লীগ। যেই মুসলিম লীগ থেকে পরবর্তীতে বের হয়ে আসলো পাকিস্তান। আপনার জানা থাকার কথা, যে লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তান ভাগ হয়েছিলো, সেই লাহোর প্রস্তাবের নেতৃত্বে ছিলো কিন্তু একজন বাংলাদেশী, যার নাম শেরে বাংলা একে ফজলুল হক। তারমানে ‍মুসলমানদের পৃথক ভূমি পাকিস্তান তৈরীর পেছনে বর্তমান বাংলাদেশীদের একটা বিরাট ভূমিকা ছিলো।

আমি বলেছি, বাংলাদেশীরা সংগ্রাম প্রিয়। তারা অন্যায় দেখলে সংগ্রাম করে, প্রতিবাদ করে। ৪৭-এ দেশভাগের পর বাংলাদেশীরা দেখলো- তারা যতটুকু অধিকার পাওয়ার জন্য আন্দোলন করেছে, তার সবটুকু অধিকার তারা পাচ্ছে না। সেখান থেকেই বাংলাদেশ ভাগ করার জন্য আন্দোলন।

তবে এখানে একটু বলে রাখি-

৪৭ সালে দেশভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানীরা কতটুকু অধিকার পেয়েছে, আর ঐ একই সময় পশ্চিমবঙ্গবাসী মুসলমানরা কতটুকু অধিকার পেয়েছে ? এটা যদি তুলনা করেন তবে হিসেব মিলে যাবে।

পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: বুয়েট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ বিশ্ববিদ্যালয়স, ৪টি ক্যাডেট কলেজ, ভিকারুন্নিসা নূন স্কুলের মত স্কুল। কিন্তু স্বাধীনতার ৭০ বছর পার হয়ে গেলেও পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা তাদের জন্য কোন ভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। ঐ এলাকার মুসলমানরা দীর্ঘদিন ধরে মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা উঠতেই মমতার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলো, “মুর্শিদাবাদের মুসলমানরা আমাদের রাজমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করে, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় হলে আমরা রাজমিস্ত্রী পাবো কোথায় ?”

সানাউল্লাহ দাদা, আপনার যুক্তিমতেই বলছি, পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালী মুসলমান সব সময় সংগ্রাম প্রিয়। তারা অন্যায়, অত্যাচার অবিচার দেখলেই প্রতিবাদ করে। তারা যখন বুঝলো, ৪৭-এ দেশ ভাগ হয়ে যতটুকু অধিকার পাওয়ার দরকার ছিলো, ততটুকু পাচ্ছি না, তখন তারা ফের সংগ্রাম শুরু করলো এবং বাংলাদেশের জন্ম দিলো।

তবে সানাউল্লাহ দাদা, আপনি যদি পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের উপর করা নির্যাতন এবং বাংলাদেশের মুসলমানদের নির্যাতন এক পাল্লাায় পাবেন, তবে ভুল করবেন। এই দুই দেশের মুসলমানদের মধ্যে কোন তুলনা করার সুযোগ নাই।

যেমন, ধরুন বেশকিছুদিন ধরে বাংলাদেশে কোটা নিয়ে আন্দোলন চলছে। কোটা নিয়ে তারাই আন্দোলন করছে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। যদিও যারা কোটা নিয়ে চ্যান্স পাবে, তাদের অধিকাংশ মুসলমান। এখানে আন্দোলনটা হচ্ছে মেধার ভিত্তি নিয়ে। এটা অবশ্যই অনেক আপডেট আন্দোলন। অপরদিকে, ভারতে মুসলমান মেয়েদের ঘর থেকে মেয়ে তুলে নিয়ে হিন্দুরা ধর্ষন করছে, ছেলেদের ধরে ধরে হত্যা করছে, বাড়িঘর পুড়িয়ে ‍দিচ্ছে। এই দুই আন্দোলন কি এক হলো ? ভারতীয় মুসলমানরা তো নূণ্যতম মৌলিক অধিকার পায় না, বাংলাদেশের কোটা নিয়ে আন্দোলনের সাথে কি এর কোন তুলনা চলে ?

বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা যখন মেধার ভিত্তিকে চাকুরী নিয়ে আন্দোলন করছে, তখন পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে অবস্থানটা কোথায়, আসুন দেখি:

শিক্ষা:

১) পশ্চিমবঙ্গে সাধারণভাবে ৭০ শতাংশ অধিবাসী শিক্ষিত। সেখানে মুসলমানদের শিক্ষার হার মাত্র ৩০ শতাংশ (সরকারী হিসেবে মুসলিম জনসংখ্যা ২৮%, যদিও প্রকৃত হিসেব আরো বেশি হতে পারে)।

২) মাধ্যমিক পর্যায়ে মুসলিম ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৫ শতাংশ। কলেজ পর্যায়ে মুসলিম ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩ শতাংশ। মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা অতি নগণ্য। মুসলমানদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত স্কুল মাত্র ১২টি। কলেজ নেই একটিও। পশ্চিমবঙ্গে প্রতি বছর মেধা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ৮০০ ছাত্রছাত্রী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়। এর মধ্যে মুসলিম ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা মাত্র ১০ জন। অপরদিকে প্রতিবছর প্রকৌশল বিভাগে ১০০০ ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়, সেখানে মুসলমান মাত্র ১২-১৫ জন, যার হার ১ শতাংশ।

৩) মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ইসলামিয়া কলেজ ও লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় দেশবিভাগ পূর্বকালে অর্থাৎ ব্রিটিশ আমলে। তখন এ কলেজ দুটি শুধু মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। বর্তমানে ইসলামিয়া কলেজ, (মাওলানা আযাদ কলেজ) ও লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে মুসলিম ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা মাত্র ১০ শতাংশ। এ নগণ্য সংখ্যক ছাত্রছাত্রীকে অন্যান্য বিষয় থেকে বঞ্চিত করে শুধু উর্দু, ফার্সি ও আরবী বিভাগে অধ্যয়নের সুযোগ দেয়া হয়।

চাকুরী:

১) পশ্চিমবঙ্গে জনসংখ্যার প্রায় ২৮ ভাগ মুসলমান, কিন্তু সরকারি চাকুরীতে মুসলমান সংখ্যা মাত্র ৩ শতাংশ।

২) ২০১০ সালে ‘Secretariat of the Public Service Commission, West Bengal’ দফতরে ৩৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১ জন মুসলমানও নেই।

৩) ২০১০ এ ক্লার্কশিপ পরীক্ষায় পাস করে মোট ২৭৮ জন। তার মধ্যে মুসলিম মাত্র ৩ জন। অর্থাৎ মুসলিম নিয়োগের হার এক শতাংশের কম।

৪) ২০১০ এ পিএসসির দু’দফতর মিলিয়ে মোট নিয়োগের সংখ্যা ৫৫৬ আর মুসলিম নিয়োগ মাত্র ১৩! এখানে মুসলিম নিয়োগের হার মাত্র ২.৩%।

৫) পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানরা মোট জনসংখ্যার ২৮% হলেও সরকারি দাবি অনুযায়ী পুলিশে শতকরা ৯ জন মুসলিম চাকরি করছেন। কিন্তু বাস্তবে তাও মেলে না।

মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা: পশ্চিমবঙ্গে ২০১৩ সালে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার সংখ্যা ১০৬টি। এতে মুসলমানদের হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি।

দেশভাগ চেয়ে পাকিস্তানীরা ভালো করেছে কি খারাপ করেছে, এই প্রশ্ন যদি আপনি করেন, তবে আপনারা শুধু শিক্ষা ও চাকুরীর সেক্টরে দুই এলাকার হিসেব মিলান, আমার মনে হয় আপনি সব হিসেব পেয়ে যাবেন। বাংলাদেশের মানুষ এখন মেধার ভিত্তিতে কোটার জন্য আন্দোলন করে, আর পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ মুসলমান এখন পড়ালেখাই পারে না, ভার্সিটি পাশ করে মেধা কোটা আর মুক্তিযুদ্ধ কোটা বুঝতে পারা তো অনেক পরের কথা।

সানাউল্লাহ দাদাদের বলবো, আপনারা এখনও মোহের মধ্যে পড়ে আছেন, যার আদৌ কোন ভিত্তি নাই। ১৯০৫ সাল সালে মুসলিমলীগের নেতারা যে কথাটা বুঝেছিলো, আজকে ১১৩ বছর পরেও আপনারা বুঝতে পারছেন না, হিন্দুদের সাথে এক সাথে থাকলে ক্ষতিটা কি হবে। আমি বলবো, মোহ থেকে বেড়িয়ে আসুন, ভারতে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোকে স্বাধীন করার জন্য আন্দোলন করুন। মাওবাদীরা যদি আন্দোলন করতে পারে, সেভেন সিস্টার্স যদি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য আন্দোলন করতে পারে, তবে মুসলমানরা কেন পারবে না ? আমার কথা হলো, ধুকে ধুকে ইদুরের মত অপমানিত হয়ে মরার থেকে, একবারে সিংহের মত সংগ্রাম করে মরে যাওয়া অনেক ভালো।


কমেন্ট বক্স থেকে সানাউল্লাহ খান সাহেবের কিছু প্রশ্নের জবাব-

Sanaullah Khan প্রিয় সাথী, নয়ন চ্যাটার্জী আমি জানি তুমি চিরকালই সত্যের পক্ষে এবং তথ্য দিয়ে সত্য তুলে ধরার জন্যই তুমি সবার প্রিয় । তোমার কথার জবাব দেওয়ার জন্য আমি কিন্তু মন্তব্য দীর্ঘায়িত করবো না । সামান্য কয়েকটি কথা বলতে চাই... এক. পাকিস্তান সৃষ্টি যে কারণে করা হয়েছিল তার অন্যতম শর্ত হল, পাকিস্তান মুসলিম রাষ্ট্র নয় ইসলামিক রাষ্ট্র হবে সেই শর্ত পূরণ করতে জিন্নাহ থেকে শুরু করে বর্তমান শরীফ সরকার কেউ কখনো সেরুপ তৎপর হয়নি কেন?
সমানভাবে মুসলিম লিগের ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ শেখ মুজিব ইসলামের নামে আওয়ামী লিগ গঠন করে আওয়াম অর্থাৎ জাতি বা বাঙালি জাতিয়তাবাদী আন্দোলনের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে বাংলা ভাষাভাষী অধ্যুষিত পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান হতে বিচ্ছিন্ন করে নেয় । সেখানেও একই ফাঁকি বর্তমান না মুজিব না হাসিনা কেউ ই পরবর্তীতে বাংলাদেশকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিনত করতে চাইনি বা ভারতীয় বাধ্যবাধকতা মেনে এখনো হতে দেইনি । মূখ্য কথা হলো- আমরা কি চাই? মুসলিম রাষ্ট্র না ইসলামিক রাষ্ট্র? খেলাফতি গনতন্ত্র না ধর্মনিরপেক্ষ গনতন্ত্র? যতদিন না এই প্রশ্নের উত্তর সঠিক ভাবে জানতে পারি ততদিন একে অপরকে কমজোর ইমানদার ভাবতে পারি । কিন্তু বাস্তব বড়ই কঠিন আমরা যাদের উদাহরণ তুলে এদেশে আদর্শ ইসলামিক মুভমেন্ট করবো সেই প্রতিবেশিরা যদি নিজেরাই বিপথগামী হয় তখন আমাদের করনীয় কি হবে? দুঃখজনক সত্য হলো আমাদের থেকে ইমানি আবেগে হয়তো একটু এগিয়ে আছো কিন্তু তা উদাহরণ তুলে ধরার মত নয় । চেষ্টা করবো এ ব্যাপারে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমানদের মুল ত্রুটি কোথায় তুলে ধরার জন্য ।


Noyon chatterjee 5 সানাউল্লাহ দাদা, আমি এখন যে এলাকায় আছি সেখানের দিনের কর্মচাঞ্চল্য মাত্র শুরু হলো। কর্মব্যস্ততার মাঝে আপনার কমেন্টের উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেলো, এজন্য দুঃখিত। 
আসলে দাদা, আমার মনে হয় আপনি যেদিকে আলোচনা করতে চাইছেন, সেটা আমার আলোচনার বিষয় ছিলো না। আমি বলিনি
 পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছে ইসলামীক মুভমেন্টের জন্য। যদি পাকিস্তান সে কারণে সৃষ্টি হতো, তবে নিশ্চয়ই সেটা জিন্নাহ’র মত লোকের হাতে নেতৃত্ব থাকতো না। 
আমি একটা কথা স্পষ্ট করে বলেছি, তা হলো মুসলমানদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র। যেখানে রাষ্ট্রের সব সুযোগ সুবিধা মুসলমানরা ভোগ করবে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। কিন্তু ভারতে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের কথা বলা হলেও সেখানে সব সুবিধা হিন্দুরা ভোগ করেছে। কারণ হিন্দুরা অসাম্প্রদায়িক নয়। তারা কট্টর সাম্প্রদায়িক। কংগ্রেস অসাম্প্রদায়িকতা বললেও, নেহেরু স্বাধীনতার মাত্র ১ বছর পর ১৯৪৮ সালে হায়দ্রাবাদে গণহত্যা চালায়। আপনি যে তৃণমূল করেন, সেই তৃণমূল নেত্রী মমতা কিন্তু ২০০২ সালে গুজরাট গণহত্যার সময় মোদির সাপোর্টার ছিলো।
আমি আপনাকে বলিনি, আপনাকে ইসলামী খিলাফত করতে হবে। আমি বলেছি, মুসলমানদের আর হিন্দুদের সাথে এক থাকা সম্ভব নয়। এজন্য মুসলমানরা পৃথক রাষ্ট্রের দাবি তুলুক। প্রয়োজনে সংগ্রাম করুন। কেউ কেউ বলছে, ভারতের মুসলমানরা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকে। মেনে নিলাম। এক্ষেত্রে প্রত্যেক এলাকার মুসলিম নেতা বা প্রধানরা একত্রে হয়ে মিটিং করুক, কি করা যায় প্রস্তাব দিক। নীতিগতভাবে এক হয়ে সব এলাকায় বিদ্রোহ শুরু করুক, কৌশল অবলম্বন করুক। আমি নিশ্চিত সারা বিশ্বের মুসলমানরা আপনাদের সার্পোট দিবে। আর বাংলাদেশের মুসলমানরা তো অবশ্যই দিবে। বাংলাদেশের আওয়ামী সরকার হয়ত কিছূ বাধা সৃষ্টি করতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশীদের আপনি চেনেন না, তারা প্রয়োজনে সীমান্ত পার হয়ে আপনাদের সাহায্য করবে। তাছাড়া আমার মনে হয়, ভারত সরকার নিঃসন্দেহে বিপদে। একদিকে তার পাকিস্তান, অন্যদিকে চীন। বাংলাদেশের শুধূ সরকার ভারতপন্থী। কিন্তু পুরো জনগণ এন্টি ভারত (হিন্দু)। সুতরাং আপনারা স্বাধীনতার চাইলে প্রধান সাহায্য বাংলাদেশীদের থেকেই পাবেন। কিছু লাগবে না, শুধু চিকেনস নেকটা আটকে দিলে মোদি সরকার ম্যা ম্যা শুরু করবে।


Sanaullah Khan বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাইলো ভারত সর্বস্তরে সমর্থন ও সহযোগিতা করলো । কাশ্মীর গত 50 বছর ধরে স্বাধীনতা চাইছে বিনিময়ে লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে । বিশ্ব বিবেক নিশ্চুপ । এরপরও কি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়?

Noyon chatterjee 5 সানাউল্লাহ দাদা, ইংরেজীতে একটা প্রবাদ আছে- নো রিস্ক, নো গেইন। আপনি রিস্ক নিবেন না, কিন্তু আরাম আয়েশে থাকতে চাইবেন সেটা হবে না। বাংলাদেশীদের যেই সাহায্য করুক, বাংলাদেশীরা আসলেই মুক্তিযুদ্ধের সময় রিস্ক নিয়েছিলো, ৩০ লক্ষ লোক রক্ত দিয়েছিলো, যার সুফল তারা আজ ভোগ করছে। তবে কাশ্মীরীদের স্বাধীনতা প্রার্থনার মধ্যে গলদ ছিলো, এ কারণে তারা সুফল পায়নি। আজকে ভারতীয় মুসলমানরা স্বাধীনতা প্রত্যাসা করুক, অনেক শক্তি দাড়িয়ে যাবে তাদের সাহায্য করার জন্য। অন্তত বর্তমান আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাই বলে। 
আরেকটা কথা আপনাকে বলছি, ভারতে আসলে মুসলমানদের সংখ্যা কত ? ভারত সরকার বহুদিন ধরে ১৮ কোটি বলে প্রচার করছে। আমার মনে হয় এটা মিথ্যা। খবর নিয়ে দেখেন ভারতে মুসলমানদের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। কিন্তু তারা লুকিয়ে রেখেছে, যেন মুসলমানরা বিদ্রোহ করতে না পারে। ঠিক হাতির মত অবস্থা। হাতির বিরাট শরীর, কিন্তু তার বিরাট কান আর ছোট চোখের জন্য শরীর বুঝতে পারে না। অনেকে কথার কথা হিসেবে বলে, হাতি যদি বুঝতে পারতো, তার এত বড় শরীর তবে নাকি সে পুরো পৃথিবী গুড়িয়ে দিতো। 
সানাউল্লাহ দাদা, আপনাকে অনুরোধ করবো, ভারতে মুসলমানদের প্রকৃত জনসংখ্যাটা আগে বের করেন। এটা মুসমানদের একটা রিবাট শক্তি। অপরদিকে হিন্দুরা সব হিন্দু নয়। এর মধ্যে শিখ, জৈন, অগ্নিউপাসকসহ অনেক ধর্মের লোক আছে। তাছাড়া হিন্দুরা নিজেদের মধ্যে বহু গোত্রে বিভক্ত। এছাড়া পুরো ভারতে ২ হাজারের উপর ভাষা চালু আছে, এটা তাদের জন্য বিরাট সমস্যা । ভারতে আর্মির মধ্যেও সমস্যা। তাদের মূল শক্তি গোরখা ও শিখরা। তারা উভয়ই আলাদা গোরখা ল্যান্ড ও শিখ ল্যান্ড চায়। তাই গণ্ডগোল একটা লাগলে সবাই জেগে উঠবে।


Noyon chatterjee 5 সানাউল্লাহ দাদা, ভারতে যদি মুসলমানরা বিদ্রোহ শুরু করে তবে আমার মনে হয় পশ্চিমবঙ্গেই প্রথম শুরু করা উচিত। এর কয়েকটি কারণ:
১) পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানদের জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি। 
২) ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন এই পশ্চিমবঙ্গের বিরাট ভূমিকা ছিলো।

৩) পশ্চিমবঙ্গ স্টেটটি এক কোনায়। ফলে তাকে সব দিক থেকে শত্রুকে মোকাবেলা করতে হবে না।
৪) পশ্চিমবঙ্গ এখনও বিজেপির হাতে যায়নি, ফলে উগ্রহিন্দুরা অন্য স্টেটগুলোর মত সক্রিয় নয়।
৫) পশ্চিমবঙ্গে ভারতের দুর্বল পয়েন্ট চিকেনস নেক অবস্থিত। 
৬) বাংলাদেশী মুসলমানরা তাদের সাহায্য করবে।
৭) পশ্চিমবঙ্গের এক কোনায় দার্জেলিং অবস্থিত। দার্জেলিং এর উপজাতি গোষ্ঠীগুলোও স্বাধীন গোর্খাল্যান্ডের জন্য আন্দোলন করছে।



===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment