Sunday, February 18, 2018

বাংলাদেশ দ্রুত বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। স্রমাজ্যবাদী কর্পোরেটরা তা কিনে নিচ্ছে এবং আওয়ামী সরকার দেশটা বিক্রি করে দিচ্ছে।

সারা বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বা ইকোনোমিক জোন হচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে খবর আসছে।
একটি সূত্র মতে এ পর্যন্ত ৫৯টি ইকোনোমিক অঞ্চল বরাদ্দ হয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশী কোম্পানিগুলো পেয়েছে মাত্র ১১টি এবং বাকি ৪৮টি পেয়েছে বিদেশী কোম্পানি। সরকার বিদেশী কোম্পানিগুলোকে এ ইনোনোমিক জোনগুলোতে ইনভেস্ট করার জন্য বেশ কিছু সুযোগ সুবিধাও ঘোষণা করেছে। যেমন : কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশের ট্যাক্স মওকুফ, বিদেশীকর্মীদের আয়কর ও গাড়ীর ট্যাক্স মওকুফ ইত্যাদি। আওয়ামী সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই ইকোনোমিক জোনগুলো দেশে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান করবে।
এসব খবর দেখার পর, আমার মনে কেবল একটি প্রশ্ন জাগ্রত হয়- বাংলাদেশে ইকোনোমিক জোন হলে সেখানে দেশী উদ্যোক্তাদের দিয়ে শিল্পকারখানা তৈরী করা হোক। প্রয়োজনে ঋণ দেয়া হোক। কিন্তু বিদেশীদের কেন বাংলাদেশের ইকোনোমিক জোন বর্গা দেয়া হচ্ছে ? তাও প্রায় ৮০% ! এর কারণ কি ?
আমি গত কয়েকদিন ধরে সম্রাজ্যবাদীদের দেশ দখলের একটা পলিসির নাম শুনিয়েছি, যাকে বলা হচ্ছে- “কর্পোরেটোক্রেসি’। মূলতঃ কর্পোটেক্রেসি পলিসি বাস্তবায়নের জন্যই এ ইকোনোমিক জোন বিদেশীদের বর্গা দেয়া। বিদেশীরা এসব ইকোনোমিক জোনে তাদের কলকারখানা স্থাপন করবে, বাংলাদেশে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পানি গ্যাস ব্যবহার করবে, বাংলাদেশের সস্তা শ্রমিক নেবে, এরপর পন্য বানানোর পর সেই পন্য বাংলাদেশেই বিক্রি করবে। বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করে সারা বিশ্বে রফতানি করবে। এসব বিজনেস করার জন্য প্রায় তাদের বাংলাদেশে আসতে হবে, এজন্য তাদের যাতায়তের সুবিধার্থে ফ্লাইওভার, সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে লাগবে। তাই সেগুলো বানাতে তারা ঋণ দেবে, এরপর সেই ঋণ সুদে আসলে পাবলিকের থেকে তুলে নেবে। আর সেই সুদ আসলে শোধ করতে গিয়ে জনগণে চালের দাম ৭২ টাকা ক্রস করবে। অর্থাৎ আমাদের গাছের কাঠাল আমাদের মাথায় ভেঙ্গে খাবে।
অনেকে বলে, ‘যানজট দূর করতে ফ্লাইওভার বানানো হচ্ছে’। এটা ভুল কথা। বাংলাদেশে এখন যেসব রাস্তা ফ্লাইওভার, সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বানানো হচ্ছে সেগুলো সব হচ্ছে এশিয়ান হাইওয়ের অংশ, যা ১৯৫৯ সালের প্ল্যান, ঐ সময় মানুষ যানজটের কথা চিন্তাও করতে পারে নাই। মূলত এসব ফ্লাইওভার, সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করা হচ্ছে বিদেশীদের জন্য, যেন তারা সহজে বাংলাদেশে বিজনেস করতে পারে। যদি বাংলাদেশের জনগণের জন্যই তা করা হতো, তবে এত দ্রুত এগুলো করার দরকার ছিলো না। (পুরো ব্যবস্থাটা ভিয়েতনামের মত)
আরেকটি কথা, সম্প্রতি বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে সেটাও কিন্তু কর্পোরেটোক্রেসির অংশ। কারণ সম্রাজ্যবাদীরা বাংলাদেশে সস্তায় শ্রমিক চায়। বাংলাদেশে জনগণ যদি ভালো লেখাপড়া করে তবে তারা উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু সেটা তারা পছন্দ করছে না, তারা চায় সবাই শ্রমিক হিসেবে থাকুক। পুরো জাতিকে চিরস্থায়ী দাস (শ্রমিক) হিসেবে তৈরী করার জন্যই বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে টার্গেট নিযে ধ্বংস করা হচ্ছে।
এমনকি কৃষিতে গোল্ডেন রাইস তথা জিএমও ফুডও কর্পোরেটোক্রেসি’র অংশ। বাংলাদেশের পুরো কৃষি সেক্টরকে ইহুদী কর্পোরেট মনসান্টো বা সিনজেন্টা মত কোম্পানির কুক্ষিগত করতেই এ গোল্ডেন রাইস নামক চাল নিয়ে আসা হয়েছে।
একটি বিষয় স্পষ্ট, বাংলাদেশ দ্রুত বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। স্রমাজ্যবাদী কর্পোরেটরা তা কিনে নিচ্ছে এবং আওয়ামী সরকার দেশটা বিক্রি করে দিচ্ছে। বিক্রির বিনিময়ে সরকার একদিকে বিদেশীদের থেকে টাকা পাচ্ছে, অন্যদিকে অবাধ দুর্নীতি করার পরও সম্রাজ্যবাদীদের সমর্থন হারাচ্ছে না। তবে দেশ বিক্রি শেষ হতে হয়ত আর বেশি দিন নাই, দেশবিক্রি শেষ হলে আওয়ামী সরকার হয়ত বিদেশে চম্পট দেয়ার রাস্তাও খালি রেখেছে।

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686

------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment