Wednesday, September 19, 2018

বাংলাদেশের নির্বাচনে বাংলাদেশপন্থী কাউকে পাওয়া যায় না কেন?

বাংলাদেশের রাজনীতিতে যার দিকে তাকানো হয়,
সেই কোন না কোন দিক থেকে বিদেশী শক্তি দ্বারা প্রভাবিত। কেউ ভারতীয় নেটওয়ার্কে চলে, কেউ আমেরিকার নেটওয়ার্কে চলে, কেউ চীনের নেটওয়ার্কে চলে। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য শুধু বাংলাদেশপন্থী কাউকে পাওয়া যায় না।
অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশে এখন এরদোয়ানের মত নেতা দরকার, যে কোন পন্থী হবে না, শুধু দেশ ও জনগণপন্থী হবে। সে ক্ষেত্রে আমি বলবো, আপনি নিজে এরদোয়ানের মত নেতা চান, কিন্তু আপনি নিজে কতটুকু সেই সব বিদেশপন্থীদের চিন্তাধারা থেকে বের হয়েছেন ? আমার মতে, প্রত্যেকটি দেশের শাসক হচ্ছে, ঐ দেশের জনগণের কর্ম ও জ্ঞানের ফল। যে দেশের জনগণ যেমন, তার শাসক ঠিক ঐ শ্রেণীর হয়। অধিকাংশ বাংলাদেশীর কর্ম ও মানসিকতা যে শ্রেণীর, শাসকও ঐ শ্রেণীর। বাংলাদেশের জনগণ যখন নিজস্ব চিন্তাধারা উন্নত করে, বিদেশী সম্রাজ্যবাদীদের বানিয়ে দেয়া মন-মস্তিষ্ক চিড়ে নতুন কিছু ভাবতে পারবে, তখন সে শাসকও পাবে নতুন কাউকে। হয়ত কিছু লোক বলবে, “আমরা তো নতুন করে কিছু চিন্তা করতে পারি”, আমি তাদের বলবো- ঠিক আছে। আপনারা চালিয়ে যান। তবে শাসনের বিষয়টা একদিনের ফসল নয়। এরদোয়ান একদিনের ফসল নয়, বহু চিন্তাধারা, বহু জ্ঞানের সমাবেশ আর বহু ত্যাগ তিতিক্ষার মিলিত ফল। বাংলাদেশে এখনও সে ধরনের চিন্তায় আসতে পারেনি।
আমি বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখি, বাংলাদেশের প্রায় সব মানুষ আবেগ দ্বারা তাড়িত হয়। যারা আবেগ দ্বারা তাড়িত হয়, তারা সঠিক ডিসিশন নিতে পারে না। বিদেশী শক্তিরা ঠিক সেই আবেগটাই ব্যবহার করে বাংলাদেশীদের ব্যবহার করে। শিকারী যখন মাছ শিকারে ছিপ ফেলে, তখন ছিপের আগায় থাকে একটা বরশি। কিন্তু বরশিটা প্রকাশ্যে দেখা যায় না, তার উপর খাবার দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। মাছ যখন সেই বরশি দেখে, সে দেখে এক টুকরা লোভনীয় খাবার। সে খাবারের আবেগ দ্বারা ধাবিত হয়। কিন্তু খাবার গেলার পর দেখতে পারে, তার গলায় আটকে গেছে ধাতব কাটা। যার ফলফল জীবন শেষ।
আমি গত কয়েকদিন ধরে অনেক ব্যস্ততার মাঝেও নির্বাচন নিয়ে অনেক লেখা পড়লাম। আমার কাছে বার বার মনে হচ্ছে সবাই বাংলাদেশীদের আধার দিয়ে শিকার করতে চায়। আওয়ামীলীগও চায়, ড কামালও চায়। জনগণ হইলো ফুটবলের মত, একবার একপক্ষের লাত্থি খেয়ে একদিকে যায়, আরেকবার অন্যপক্ষের লাত্থি খেয়ে অন্যদিকে যায়। কিন্তু জনগণের কোন গোল পোস্ট নাই, যেখানে বলটা ঢুকতে পারে।
আচ্ছা, দাড়ান আমি একটা বুদ্ধি ঠিক করেছি।
সবার প্রথম একটা লক্ষ্য ঠিক করতে হবে জনগণের।
জনগণের একটা সর্বজনবিদিত নিজস্ব মতবাদ থাকবে, একটা পলিসি থাকবে।
সেই পলিসির উপর জনগণ এক হবে ।
যেমন- আওয়ামীলীগ চলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দিয়ে, বিএনপি চলে জাতীয়তাবাদী চেতনা দিয়ে, ভারতের বিজেপি চলে হিন্দুত্ববাদী চেতনা, কোটা আন্দোলন চলে কোটা বন্ধ করার চেতনা নিয়ে, সড়ক আন্দোলন চলে নিরাপদ সড়কের চেতনা নিয়ে।
ঠিক তেমনি বাংলাদেশের জনগণকে একটা বিশুদ্ধ পলিসি বা মতবাদের উপর প্রথমে একমত হতে হবে।
যেই চেতনা বাস্তবায়ন করলে, আসলেই জনগণের মুক্তি আসবে এবং শত্রুরা আর খুবলে খেতে পারবে না।
আমার মনে হয়, জনগণকে আগে ঠিক করতে হবে, জনগণ কি চায় ?
কোন শক্তিশালী চেতনার উপর তারা এক হতে চায়।
সেই চেতনাটাই আগে ঠিক করুক।
তারপর সেই চেতনাটা সবাই একযোগে ব্যক্তি ও জাতীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন শুরু করলেই অপারগ হয়ে পালিয়ে যাবে প্রতিপক্ষ। মুক্তি আসবে জনগণের।
[বি: দ্র: অনেকদিন ধরে নিয়মিত লেখালেখি না করায়, লেখা বেশ অগোছালো। তবে আশা করছি, কয়েকদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।]

===============================
আমার মূল পেইজ- Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5)
পেইজ কোড- 249163178818686
------------------------------------------------------------------
আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
------------------------------------------------------------------------------------------------

0 comments:

Post a Comment