Thursday, June 18, 2020

বাংলাদেশে হার্ড ইম্যুনিটি এচিভ করা অনেক সহজ।

বাংলাদেশে হার্ড ইম্যুনিটি এচিভ করা অনেক সহজ।
কারণ বাংলাদেশে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা অনেক বেশি।
জনমিতি বলছে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার শিশু থেকে ২৯ বছরের জনসংখ্যা হলো মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০%।
(https://en.wikipedia.org/wiki/Demographics_of_Bangladesh)
আর করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে ৬০% জনসংখ্যা প্রয়োজন হার্ড ইম্যুনিটি এচিভ করতে।
(https://www.sciencemediacentre.org/expert-comments-about-herd-immunity/)
0-29 বছরের শরীরের নিঃসন্দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রচুর শক্তিশালী থাকে।
পৃথিবীর কোন দেশে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা কিন্তু এত বেশি নয়।
যে সুইডেন হার্ড ইম্যুনিটি এচিভ করার জন্য লকডাউন/সোশ্যাল ডিসটেন্স মানতেছে না তাদেরও ০-২৯ বছর পর্যন্ত জনসংখ্যা ৩০% এর মত হবে। সেখানে বাংলাদেশে তাদের ডবল।

অনেকে হয়ত বলবেন, “ভাই লকডাউন তুলে দিলে স্রোতের মত রোগী আসতে থাকবে।”
 আসবে কিভাবে ?
 যারা আসবে তাদেরকেই বাসায় লকডাউন দেন। মানে বৃদ্ধ, অসুস্থ ও দুর্বলদের বাসায় সোশ্যাল ডিসটেন্স মানতে বলুন। তারা মানলেই তো আর হাসপাতালে ক্রিটিকাল রোগীর সংখ্যা বাড়বে না। যারা ক্রিটিকাল সিচুয়েশন নিয়ে হাসপাতালে আসার কথা, তারাই যদি সোশ্যাল ডিসটেন্স মানে, তাহলেই তো হয়। সবার ঘরে বন্দি হওয়ার দরকার কি?
 এটা কি মানা যাবে ? বাসার ভেতর কি সোশ্যাল ডিসেটেন্স মানা যায় ?
 আরে ভাই ! ১৬ কোটি মানুষকে দিয়ে জোর করে সোশ্যাল ডিসটেন্স মানাতেই চান, কিন্তু ১ কোটি বৃদ্ধ, অসুস্থকে সোশ্যাল ডিসটেন্স মানাইতে চান না ? এটা কেমন কথা ?
 বাংলাদেশে সরকারী অবসরের বয়স ৫৭ বছর, বেসরকারী কোম্পানিগুলোতেও যে খুব বেশি বৃদ্ধ কাজ করে তাও নয়। যেহেতু বৃদ্ধরা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তেমন সম্পৃক্ত নয়, তাই তাদের বাসায় রাখা সহজ। কিন্তু বাংলাদেশে তরুণ প্রজন্ম অর্থনৈতিক কাজে বেশি সম্পৃক্ত। মোটামুটি ৬০% জনসংখ্যা ইম্যুউন হয়ে গেলে, তখন বৃদ্ধ/অসুস্থরাও সেফ হয়ে যাবে। তারা হার্ড ইম্যুনিটির প্রটেকশন পাবে। কিন্তু যতদিন হার্ড ইম্যুনিটি হচ্ছে না, ততদিন হাসপাতালগুলোও যে তাদের ভালোভাবে সাপোর্ট দিতে পারছে, তাও তো নয়।
 হার্ড ইম্যুনিটি হলো অদৃশ্য প্রটেকশন, আর দৃশ্যত্ব প্রটেকশন হলো প্লাজমা থেরাপী। অর্থাৎ তরুণদের থেকে রক্ত নেয়াও তখন সহজ হবে, যা বৃদ্ধ ও অসুস্থদের জীবন বাচাবে।

যারা শুধু বৃদ্ধ বা অসুস্থদের ঘরে না রেখে সবাইকে গণহারে বাসায় বন্দি করে রাখতেছেন, সেটার সাইড ইফেক্ট তো আরো অনেক বেশি। বহু মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাবে, অনেকে আত্মহত্যা করবে, অর্থনীতি শেষ হয়ে সবার অবস্থা কঠিন হবে। শুধু যাদের সোশ্যাল ডিসটেন্স মানা দরকার, তারা করলেই যদি যথেস্ট হয়। অথচা সবাইকে গণহারে করা মানে বোকামি করা, সবাইকে নিয়ে আত্মহত্যা করা, আর কিছু নয়।

আরেকটি বিষয় না বললেই না, এই সব মানুষ গনহারে বাসায় মধ্যে বন্দি হয়ে আছে, মানে সূর্যের আলো বা ভিটামিন ডি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ ভিটামিন ডি’র সাথে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার একটি সম্পর্ক আছে। ভিটামিন ডি’র ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। বহু লোক ঘরের মধ্যে বন্দি হয়ে আছে, এতে তারা ভিটামিন ডি শুন্য হয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো হ্রাস পাচ্ছে। অথচ করোনার মোকাবেলায় এখন পর্যন্ত একমাত্র শক্তি হচ্ছে শরীরের ভেতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। যার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত বেশি, সে তত সহজে করোনাকে সামাল দিতে পারছে। কিন্তু লকডাউন-সোশ্যাল ডিসটেন্সের নাম করে এত মানুষকে ঘরের মধ্যে বন্দি করে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই তো হ্রাস করে দেয়া হচ্ছে। এদের তো তখন আরো সহজে করোনা বা অন্যান্য রোগ কুপোকাত করতে পারবে। তাই লকডাউন বা সোশ্যাল ডিসটেন্স কিভাবে একটি বৈজ্ঞানিক উপায় হতে পারে, সেটা আমার মাথায় আসে না।

0 comments:

Post a Comment