Thursday, June 18, 2020

দুইটা খবর-

(১)
সুইডেনের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ঘোষণা দিয়েছে,
আগামী মাসের মধ্যেই তারা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে হার্ড ইম্যুনিটি অর্জন করবে।
উল্লেখ্য সুইডেন কোন লকডাউন দেয়নি, শুধুমাত্র ৭০+ বয়সী এবং অসুস্থদের বাসায় থাকার নির্দেশনা দিয়েছে।
(https://bit.ly/2XMaV5T)

(২)
মার্কিন সিনিয়র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অ্যান্থনি স্টিফেন ফাউসি বলেছে, “করোনাভাইরাস একটি মৌসুমি ফ্লু’র প্রকৃতি ধারণ করবে। (https://bit.ly/2KdD9P0)

স্টিফেন ফাউসির কথা বুঝতে গেলে আসলে হার্ড ইম্যুনিটির বিষয়টি বুঝতে হবে।
আমার মনে হয়, বাংলাদেশে যারা করোনা ভাইরাসের জন্য হার্ড ইম্যুনিটির বিরোধীতা করে,
তারা অনেকেই আসলে বুঝে না, হার্ড ইম্যুনিটি কি জিনিস ?

ধরুন, কোন একটি এলাকায় ১ লক্ষ লোক বাস করে।
এর মধ্যে ৬০ হাজার লোক কোন একটি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর যখন সুস্থ হবে, তখন তাদের শরীরে যে ইম্যুনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরী হবে, সেটা তাদের সহ মোট ১ লক্ষ লোককে প্রটেকশন দিবে। অর্থাৎ ৪০ হাজার লোক আক্রান্ত না হয়েও ঐ ৬০ হাজার লোকের সাথে থাকার কারণে সেফ জোনে থাকবে বা ফ্রি সুবিধা পাবে।
যে ৬০ হাজার লোকের দ্বারা সেফ জোন তৈরী, ধরে নিলাম, ১ বছর পর সেই ৬০ হাজার লোকের মধ্যে ২০০ লোক কোন কারণবশতঃ মারা গেলো। পরের বছর যখন করোনা ভাইরাস আসবে, তখন সে ঐ ২০০ লোকের স্থান পূরণ করতে যতজনকে আক্রান্ত করতে হয় ততজনকে আক্রান্ত করবে, এবং ২০০ ইম্যুনাইজড হয়ে গেলে করোনা ভাইরাস আবার ঐ এলাকা থেকে বিদায় নিবে। কিন্তু পরের বছর অনেক কম লোক আক্রান্ত হওয়ায় কেউ সেটাকে আর পাত্তা দিবে না। অর্থাৎ সে একটা সিজনাল ফ্লুতে পরিণত হবে। এই নিয়মেই সৃষ্টির শুরু থেকে ভাইরাস ও প্রাণীর মধ্যে ব্যালেন্স চলে আসছে।

এখানে আলোচনার বিষয় হলো, কোন নতুন যখন ভাইরাস পরিবেশে আসে,
তখন সে অনেককে আক্রান্ত করতে থাকে এবং এটাই চিরাচরিত নিয়ম।
এবং যতগুলো লোক আক্রান্ত হলে হার্ড ইম্যুনিটি এচিভ হয়, ততগুলো লোককে সে আক্রান্ত করতে থাকে। এবং হার্ড ইম্যুনিটি এচিভ (করোনার ক্ষেত্রে ৬০% লোক) হওয়ার সাথে সাথে সে আবার আড়ালে চলে যায়। কিন্তু হার্ড ইম্যুনিটির প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোক পরের বছর হারিয়ে গেলে, সে আবার সেই ঘর পূরণ করার জন্য ফিরে আসে। করোনার ক্ষেত্রেও সেটা হবে, অর্থাৎ সে সিজনাল ফ্লু হয়ে ফিরে আসবে হার্ড ইম্যুনিটির শূণ্যস্থান পূরণ করার জন্য। মার্কিন সিনিয়র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অ্যান্থনি স্টিফেন ফাউসি সেই কথাটাই বলতে চেয়েছে।

তাহলে উপায় কি ?
উপায় হলো সুইডেন যেটা করেছে।
অর্থাৎ লকডাউন খুলে দেয়া এবং বয়স্ক ও অসুস্থদের ঘরে সাবধানে রাখা।
তাহলে সব সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।
উল্লেখ্য, সুইডেনের তুলনায় বাংলাদেশে তরুণদের সংখ্যা দ্বিগুন এবং ৬৫+ বয়সীদের সংখ্যা ৩ ভাগের ১ ভাগ। (মোট জনসংখ্যা অনুপাতে)

অনেকে হয়ত ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন।
বলতে পারেন- হার্ড ইম্যুনিটি এচিভ করবো, কিন্তু সেটা ভ্যাকসিনের মাধ্যমে নিরাপদ উপায়ে।
কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষ দূত ডেভিড নাবারো বলেছে, করোনার ভ্যাকসিন হয়তো কখনই পাওয়া যাবে না”। (https://bit.ly/2KdD9P0)

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত কোন ইনফ্লুয়েঞ্জারই কার্যকরী ভ্যাকসিন আবিস্কার হয়নি।

0 comments:

Post a Comment